Violent love part 11

Violent love part 11
Mariam akter juthi

“নিঃশব্দে থমকানো পরিবেশ, নিরিবিলি স্থান। চারপাশটা ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত। তখন আরিশ ছেলেগুলোকে নিয়ে যাওয়ার পর,জুথি ওখানে বসে যে হাত ছেলেটা ধরেছিল সে হাত অন্য হাত দিয়ে মোরাতে মোরাতে তখন থেকে বসে আছে।আর কিছুক্ষণ পরপর আরিশ যে দিকটায় গেছে বারবার সেদিকে তাকাচ্ছে। হঠাৎ ওর চোখে পড়ে আরিশ রক্ত আভা চোখ করে ওর দিকে এগিয়ে আসছে। এটা দেখে হাত মোড়ানো ছেড়ে দিয়ে পরপর ঢোক গিলে উঠে দাঁড়িয়ে দু’পা পিছিয়ে যেতে নিলে আরিশ ওর চুলের মুঠি পিছন থেকে শক্ত করে ধরে অন্য হাত দিয়ে গাল চেপে ধরে চেঁচিয়ে বললো,

‘তুই আর কত জ্বালাবি আমাকে? লম্বা চুল সুন্দর ফিগার দেখানোর জন্য ঘুরতে এসেছিলি তাই না?
আরিশ এত জোরে জুথির চুল চেপে ধরেছিল যে ব্যাথায় ওর চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়, সাথে গাল চেপে ধরায় মুখ দিয়ে কিছু বলতে না পেরে মাথাটা দুপাশে ঘুরালো,যার মানে সে এসবের জন্য আসিনি। আরিশের এমনেই মেজাজ চঙ্গে ছিল, তার প্রেয়সী ওই ছাগলের পুতের সাথে ঘুরতে আসায়। এখন আবার এই কান্ডে ওর রাগকে কন্ট্রোল করা দায় হয়ে গেছে ওর কাছেই। ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে অন্যদিক তাকিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো।
‘তোর করা ভুলগুলোকে সবসময় এটাই ভেবেছি, আমিই মনে হয় ব্যর্থ তোকে সামনে রাখতে। তাই তোকে বারবার ক্ষমা করতে চেয়েছি, আর এটাই হয়তো আমার ভুল,আর নয়তো তুই প্রতি পদে পদে ভুল করতি না। কিন্তু আর না, এই হাতটা ধরেছিল তাই না? এই হাতটাই আমি রাখবো না। সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই করে দিব। চল আমর সাথে, — বলে জুথির হাতটা টানতে টানতে বাইকের কাছে নিয়ে, ওকে উঠিয়ে বাইকে স্টাট দেয়।
জুথি ভয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে। আরিশ যে পরিমাণ রেগে আছে বাড়ি গিয়ে ওকে কি করবে কে জানে। এইসব ভাবছে আর ভয়ে ফুপিয়ে উঠছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সময়টা রাত ৮.৩ নেয় ঘরে,খান বাড়ির সবার স্থান এখন বসার ঘরে,বাড়ির কর্তাদের অফিস থেকে প্রায় ফেরার সময় হয়েছে। তাই বাড়ির কর্তিরা, সবাই একজায়গায় বসে ঘোস গল্পের আড্ডা বসিয়েছে। এই তো কিছুক্ষণ হয় রাদিফেরা ফিরে যে যার রুমে গেছে। যদিও সানজিদা খান জিজ্ঞেস করেছিলেন জুথির কথা, তখন ফারি আগ বাড়িয়ে বলেছিল,আরিশ ভায়ের সাথে আসছে। এতে সানজিদা খান মনে মনে বিরক্ত হলেও ছেলের কথা ভেবে মুখে কিছু বলেনি, বরং সাবাই কে যে যার রুমে যেতে বলেছিলেন। ওনার কথায় বাকিরা আর কেউ কথা বারানি,যে যার মত করে গল্প করতে শুরু করলেন। ওনাদের কথা বার্তা বালার এক পর্যায়ে আরিশ কে জুথির হাত ধরে টানতে টানতে ভিতরে আসতে দেখে মেজ চাচি,লিমা খান বললেন,
‘আরে আরিশ তুমি ওকে এভাবে নিয়ে আসছ কেন?
উনার কথা শুনে সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে, জুথিকে টেনে নিয়ে আসার দৃশ্য। জুথি কে দেখে ওর আম্মু মোমেনা খান আরিশের সামনে গিয়ে বললেন,

‘আরে আরিশ আব্বু, তোমার এই অবস্থা কেন? নিশ্চয়ই এই অলক্ষনে মেয়েটা কিছু করেছে তাই না?
আরিশ কারো কথায় উত্তর করলো না, নিজের মতো করে জুথির হাত টেনে উপরে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে নিলে তানজিরা খান করা কন্ঠে বললেন,
‘আরিশ তোমাকে ঠিক লাগছে না, আর এভাবে পাগলের মত করছ কেন? এই মেয়ের হাত ছাড়ো।

আরিশ তার মায়ের কথায় ওখানে দাঁড়ায়, পেছন ঘুরে না তাকিয়ে মায়ের কথার সম্মান রাখার জন্য নম্ন কন্ঠে বললো,
‘দেখো আম্মু, এমনিতেই অনেক বার নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি ব্যর্থ আম্মু। এখন আমাকে আর রাগিও না। আমাকে আমার মত থাকতে দাও। আর নয় তো এবার আমি একা নয় এই বাড়তি প্যারাকে আমার সাথে নিয়ে যাব। বলে আগের মত জুথির হাত টানতে টানতে ওর রুমের দিক চলে গেছে।—সানজিদা খান আর কথা বাড়ালেন না। ওনার এই ঝামেলা গুলো মোটেই সহ্য হচ্ছে না। উনার ছেলেটা দিন দিন কেমন বেপরোয়া উন্মাদ হয়ে গেছে। কারো কথা এখন আর তেমন শুনতে চায় না। নিজের মন মত চলে। আরিশ এমনটা ছিল না, দেশে থাকাকালীন আরিশ আর কেউর কথা শুনুক আর না শুনুক ওর মায়ের আর ওর আব্বুর কথা সবসময় শুনতো। কিন্তু দেশে ফেরার পর আরিশ কেমন বদলে গেছ সেই,চেনা আরিশ আর এই আরিশের অনেক পার্থক্য। ছেলেকে কিছু বলতেও পারছেন না আবারও যদি ওনাদের ছেড়ে চলে যায়,এসব চিন্তা করে উনি সোফার উপর বসে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়েন।

আরিশ জুথি কে ও রুমে এনে ঠাস করে দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে, জুথিকে বিছানায় উপর ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে। খাটের পাশে ছোট টেবিলের ড্রয়ার থেকে, মাঝারি লোহার মত লম্বা কিছু একটা বের করে ম্যাচ জ্বালিয়ে আগুনের উপর ধরে। এটা দেখে জুথি আরো জোরে কান্না করে দিয়ে বললো,
‘প্লিজ আ,আমার সাথে এ,এমনটা করবেন না, আমার হাত পু,পুড়াবেন না প্লিজ। তাহলে আমি পরীক্ষা দিতে পারবো না।
‘পরীক্ষার কথা আগে মনে ছিল না? ওর দিকে না তাকিয়ে লোহাটা গরম করতে করতে।
আরিশ জুথির কোন কথা শুনছে না দেখে,জুথি ভয়ে বিছানার এক কোণে গুটিসুটি দিয়ে বিছানার চাদর খামছে ধরে,ফুপিয়ে ফুপিয়ে ভয় ভয় চোখে আরিশের দিক তাকিয়ে কান্না করছে। আরিশের লোহাটা গরম করা হয়ে গেলে, আগুন থেকে সরিয়ে দেখে সেটা দিয়ে সাদা সাদা ধোঁয়া উড়ছে। এটা দেখে আরিশ বাঁকা হেসে জুথির দিকে তাকিয়ে ঠান্ডা কন্ঠে বললো,

‘এদিক আয়।
আরিশের বলা দুটো কথা যেন জুথির বিছানায় খামচে দ্বারা হাত দুটো কেঁপে ওঠে। তাই একদম খাটের কোণে আরো গুটি ছুটি দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে ফুপাচ্ছে।আরিশ জুথির নরচর না দেখে, গম্ভীর কন্ঠে বললো,
‘কি হলো কাছে আসতে বললাম না?
জুথি কোন উপায় না পেয়ে, আস্তে বিছানা থেকে নেমে, গুটি গুটি পায়ে আরিশের সামনে দাঁড়িয়ে নিচের দিক তাকিয়ে ভয়ে কুপিয়ে কান্না করছে।
জুথিকে কাছে আসতে দেখে আবারও গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘তোর হাতটা দে, লোহা টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো?
জুথি আরিশের ভয়ে আরিশ বলার সাথে সাথে ওর ডান হাতটা আস্তে করে ওর সামনে ধরে।জুথি হাত বাড়াতে, আরিশ জুথির হাতটা মুঠোর মধ্যে নিয়ে বললো,

‘এত নরম কোমল, হাতটা ধরার জন্যই পারফেক্ট।
‘মা,মানে? এবার নিচের দিক থেকে আরিশের দিকে তাকিয়ে।
‘মানে এটাই তোর হাত পুড়বো না।
আরিশ জুথির হাত পুড়বে না, শুনে জুথির কিছুটা ভয় কমে। তাই হিচকি দিতে দিতে বললো,
‘স,সত্যি?
‘তবে একটা শর্ত আছে?
‘ক,কি?

‘এখন এই মুহূর্তে আমাকে diply জড়িয়ে ধরবি, এবং আমি যতক্ষণ পর্যন্ত না ছাড়তে বলবো এভাবেই ধরে থাকবি, যদি রাজি থাকিস তো হাত পুরবো না, আর যদি না,— আরিশের সম্পূর্ণ কথাটা জুথি শেষ করতে দিল না,তার আগে দুপা জাগিয়ে আরিশের গলা জড়িয়ে ধরতে নিলে বিপত্তিবাজে জুথি আরিশের লম্বাটা নিয়ে। কারণ আরিশ ৬ ফিট আর জুথি ৫.২ ইঞ্চি। আরিশ বুঝতে পারে, তাই একটু নিচের দিক ঝুকে যাতে তার মৌ তাকে জড়িয়ে ধরতে পারে, হলো তাই আরিশ নিচু হতে, জুথি আরিশের গলাটা জড়িয়ে ধরে। জুথি আরিশের গলা জড়িয়ে ধরতে আরিশ সোজা হয়ে দাঁড়ায়, তাতে জুথির পা মাটি থেকে অনেকটা উপরে হয়ে গেছে। জুথি আরিশের গলা ধরে ঝুলছে দেখে, আরিশ মনে মনে হেসে ও জুথির কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে আরো আবদ্ধ করে নেয়। দুজনের এমন ভাবে যে কতক্ষণ কেটেছে সেটা হয়তো ওরা নিজেও জানে না। একটা সময়, জুথি অতিরিক্ত কান্না পাশাপাশি এভাবে অনেকক্ষণ জড়িয়ে থাকায়, প্রায় ওভাবেই ঘুমিয়ে গেছে।জুথি আরিশের জড়িয়ে ধরা গলা থেকে হাতটা পড়ে যেতে দেখে, বুঝতে পারে তার বউ ঘুমিয়ে গেছে। সে আজ ভীষণ সন্তুষ্ট। তার বউ আজ তার বুকে ঘুমিয়েছে। হোক না সেটা জোর করে। তাতে কি যায় আসে?

Violent love part 10

আরিশ আস্তে করে জুথিকে ওর বুকের কাছ থেকে সরিয়ে, বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। অতঃপর চাদরটা টেনে ওর কোমর পর্যন্ত দিয়ে দেয়। ওকে সোয়ানো হয়ে গেলে যখন আরিশ ওর পাশে শুবে তখন,,,

Violent love part 12