অনুভবে তুমি পর্ব ১
লিজা মনি
স.. সা. সামনে এগোচ্ছেন কেনো? দে.. দে.. দেখুন আমি কিন্তু চিৎকার করবো।
মেয়েটির কথা শুনে সামনে থাকা ব্যক্তিটি উচ্চস্বরে হেসে উঠলো যেনো সে কোনো জোক্স শুনিয়েছে।
তারপর ব্যক্তিটি মুখের কাঠিন্যতা বজায় রেখে বলে,,,,
” তাই নাকি বেবি চিৎকার করবে। অগ্নি চৌধুরির জায়গা এইটা যেখানে তার অনুমতি ছাড়া একটা পাতা ও নরে না। সেখানে তুই যদি চিৎকার করতে করতে মরে ও যাস কেউ আসবে না”
এই বলে আহান এক পা এক পা করে সামনে এগোতে থাকে।
ইয়ানা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। মেয়েরা সব কিছুর সাথে লড়তে পারে কিন্তু যখন কেউ তার ইজ্জতের দিকে হাত বাড়ায় তখন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে কেউ সাহসী হয়ে উঠে আবার কেউ সবচেয়ে দুর্বল। ইয়ানা যথাসম্ভব নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার সামনে সয়ং অগ্নি চৌধুরি দাড়িয়ে আছে। যার সাথে মোকাবেলা করা অসম্ভব।
আহানের রাগে চোখ দুটি লাল হয়ে গেছে। কপালের রগ গুলো ফোলে নীল হয়ে আছে। ফর্সা হওয়ার ধরুন পুরো মুখ লাল হয়ে গেছে। আহানের মনে হচ্ছে ইয়ানাকে শেষ করে দিতে।
আহান ইয়ানার সামনে গিয়ে মুখ চেপে ধরে দাতে দাত চেপে বলে,,,,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“” এখন এত পিছাচ্চিস কেনো। তোর ইচ্ছাতো পূরন করছিলাম। পরপুরুষের সঙ্গ পেতে খুব ভালো লাগে তোর তাই না। একজন দিয়ে মন ভড়ে না তাই আরেকজন নিয়ে নিয়েছিস। বল কি আছে ওই ছেলেটার মধ্য যা আমার মধ্যে নেই। আমার চেয়ে কি বেশি কেয়ার করে । নাকি এতক্ষনে ও বেডে নিয়ে চলে গেছে কিন্তু আমি নিতে পারে নি””
ইয়ানা আহানের কথা সহ্য করতে না পেরে কানে দুই হাত চেপে বলে,,,,
“” প্লিজ চুপ করোন। আর নিতে পারছি না। ছিহ..কি জঘন্য চিন্তাভাবনা আপনার। লজ্জা করে না একটা মেয়ে সম্পর্কে এইসব বলতে””
আহান ইয়ানার কথা শুনে রেগে চিৎকার দিয়ে বলে,,,
“না করে না লজ্জা। কারন তোরা সব মেয়েরা ছলনাময়ী একজনকে দিয়ে হয় না পরে আরেকজনের বেডে চলে যাস। আর আজ আমি তোর সেই আশা ওই পূরন করবো। যাতে কারোর কাছে না যেতে পারিস”
“”””””””””””””””””””””””””””””” ফ্লাসব্যাক “””””””””””
প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ে ভার্সিটিতে পা রাখে জীবন যুদ্ধের একরাশ আশা আর সপ্ন নিয়ে কিন্তুু কে জানত এই আশা আর সপ্ন প্রথম দিন ওই দুঃস্বপ্নে পরিনত হবে।
কিছুক্ষণ আগে ঊনিশে সদ্য পা রাখা কিশোরী ইয়ানা প্রফুল্ল মনে ভার্সিটিতে বন্ধু বান্ধবদেরকে নিয়ে ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। তারা মোট ৬ জন ফ্রেন্ড -ইমথিহা জাহান আয়াত, হুজাইফা ইসলাম আরোরা, সাজিয়া হোসেন সুমাইয়া,ইয়ানা বিনতে আসাদ, রুহান শেখ আর আকাশ চৌধুরী। আর হ্যা আমার পরিচয়টা তো দেওয়া হলো না(আমি ইয়ানা বিনতে আসাদ বাবা মায়ের বড় মেয়ে। আমার একটা ছোট বোন আছে ওর নাম রোয়ানা বিনতে আসাদ। রোয়ানা আমার থেকে তিন বছরের ছোট। বাবার নাম -আসাদ হোসেন, মায়ের নাম সেলিনা হোসেন। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী। আমি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। এই আমার ছোট্ট পরিচয়, এখন গল্পে আসা যাক)
স্যার ক্লাসে না থাকায় সবাই একসাথে বসে ক্লাসরুমে আড্ডা দিচ্ছিলো এমন সময় একটা মেয়ে এসে ইয়ানাকে বলে,,,
মেয়ে— ইয়ানা আমার একটা কাজ করে দিবে?
ইয়ানা— কি কাজ করতে পারি তোমার জন্য?
মেয়েটি —- আসলে কাজটাএকটু জরুরি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না আমার সাথে একটু বাহিরে চলো।
মেয়েটার কথা শুনে আয়াত বলে,,,,, ঠিক আছে চলো আমি ও যাচ্ছি।
তখন মেয়েটি বলে,,,, না আয়াত শুধু ইয়ানা গেলেই হবে।
তখন ইয়ানা কিছুএকটা ভেবে বলে,,,,ঠিক আছে চলো।কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ইয়ানাকে নিয়ে একটি ক্লাসরুমে প্রবেশ করে।ইয়ানা চারদিকে তাকিয়ে দেখে পুরো রুম ফাঁকা। সে মেয়েটিকে কিছু বলতে গেলে দেখে মেয়েটি নেই। আজবতো বললো কি কাজ আছে এখন মেয়েটি গেলো কই। সে এইসব ভাবতে ভাবতে যখন ক্লাসরুম থেকে বের হতে যাবে তখনি একটা ছেলের পরিচিত কন্ঠ শুনতে পায়।
ছেলেটি—হেই সুইটহার্ট এত কষ্ট করে ডেকে আনলাম কথা না বলেই চলে যাচ্ছো।
ইয়ানা ছেলেটাকে দেখে ঘাবরে গিয়ে বলে,,,,,,,,,রায়হান তুমি?আর তুমি ডেকে এনেছো মানে আমাকে তো,,,,
তখন রায়হান বলে উঠে,
,,,,,হ্যা জান ওই মেয়েটাকে আমিই পাঠিয়েছি তোমাকে আনার জন্য।আমি বললে তো তুমি আসতে না।
এরপর রায়হান ইয়ানার দৃষ্টির আড়ালে একটা বাকা হাসি দেয়।
ইয়ানা রায়হানের কথা শুনে চমকে যায়। সে মনে মনে ভাবে এটাতো সেই ছেলেটা যে কি না হাজারো মেয়ের সাথে ফ্লাট করে এমনকি কতো মেয়ের জীবন ও নষ্ট করেছে এইসব ভাবনার মাঝে ছেলেটির কণ্ঠ আবার ও ভেসে আসে-
রায়হান—কি হলো সুইটহার্ট কি এতো ভাবছো আমাকে ও একটু দেখো। ,
ইয়ানা —এই ছেলে তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে এইখানে ডেকে আনার?
রায়হান একটা জঘন্য হাসি দিয়ে বলে,,,
“”শুধুইতো ডেকে এনেছি আরতো কিছু করিনি। কতবার ভালোবাসার কথা বললাম অথচ রিজেক্ট করে দিলে। কতো মেয়ের আমকে এক রাতের জান্য পেতে চাই।কত মেয়ের সাথে রুম ডেট করেছি তার হিসাব নেই কিন্তু তোমাকে ছুইনি পর্যন্ত কতক্ষণ নিজের ভদ্রতা ধরে রাখতে পারব জানিনা বেইবি। তাই বলছি আমার ভালোবাসা স্বীকার করো জান। হালাল ভাবে তোমায় পেতে চাই। ”
ইয়ানা রায়হানের এইসব কোরুচিপূর্ণ কথা শুনে এইবার ভীষন রেগে যায়।কারন সে ছেলেটির স্বভাব সম্পর্কে অবগত। আবার ছেলেটির যুক্তিহিন কথাবার্তা। রেগে গিয়ে নিজের হিতাহিত ঙ্গান হারিয়ে ছেলেটির কলারে ধরে দাতে দাত চেপে বলে উঠে,,,
—ইউ বাস্টার্ড।আর কত মেয়ের জীবন নষ্ট করবি।তর মত ছেলেদের দেখলেও ঘৃণা হয় আর ভালোবাসা তো বিলাসিতা মাত্র। ।আর কখনো যদি আমার সামনে আসিস আর এই নোঃরা মুখে আমার নাম উচ্চারন করিসতো………. এর মাঝেই রায়হান বলে উঠে,,,,,,
-তো, তো কী করবে জান। ইউ নো তুমি কি জানো তুমি রাগলে কী হট লাগে মনে চাই বলেই রায়হান ইয়ানাকে হুট করে জড়িয়ে ধরে।ইয়ানা এইবার রাগে দুঃখে লজ্জায় ছেলেটিকে চর মেরে সেইখান থেকে হনহন করে চলে যায়।
রায়হান ইয়ানার যাওয়ার পানে চেয়ে উদ্ভুত রকমের একটা বাকা হাসি দিয়ে বলে,,, এই রায়হান শেখের শরীরে একটা মাছি পর্যন্ত বসতে পারে না আর সেই যায়গায় তুমি আমাকে থাপ্পর মেরেছ জান এর ফলতো তোমাকে ভোগতে হবে। তোমাকে যখন মেলাই দেখেছি তখনি ভেবে নিয়েছি তোমায় একদিন হলেও চাই সেটা জোরে হক বা সেচ্ছায় । এরপর রায়হান এইখান থেকে চলে যায়।
ইয়ানা রাগে দুঃখে ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। তার এই দিধ্বস্ত অবস্থা দেখে আরোরা বলে,,,,
– কিরে তোর চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেনো? কিছু হয়েছে নাকি আর এই মায়েটিই বা কি বলল?
ইয়ানা এইবার নিজেকে একটু স্বভাবিক করে বলে,,,,,
— আরে কিছু না কি হবে?
এর প্রতিউত্তরে আকাশ বলে,,,,
– বোকা পেয়েছিস আমাদের নাকি ছোট বাচ্ছা ভাবছিস। তোর চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছ কোনো যুদ্ধ থেকে পরাজিত হয়ে এসেছিস আর বলছিস কিছু হয় নি।
আকাশের হালকা ধমক শুনে ইয়ানা ঠোঁট উল্টে কান্না শুরু করে দেয়। ইয়ানার পরিবারের পর যদি কেউ আপন হয়ে থাকে তাহলে এই বন্ধুগুলো। একটু সমস্যা হলেই কিভাবে জেনো বুঝে যায়।এই যে বলে না রক্তের সম্পর্ক ছাড়া ও আত্মার সম্পর্ক বড় সম্পর্ক।
ইয়ানার কান্না দেখে রোহান বলে উঠে,,
– কিরে বাসর রাতে কি তর জামাই পালাইছে নাকি যে এমনে মরা কান্না জুরাইছস।
রোহানের কথা শুনে আয়াত বলে ,,,,,, রোহাইন্নার বাচ্ছা চুপ করবি দেখছিস মেয়েটা ভয় পেয়ে আছে।
সুমাইয়া —এই চুপ কর তরা ইয়ানা বেবি বলতো কি হইছে?
এইবার ইয়ানা সবকিছু খুলে বলে।
সমস্ত কথা শুনে রোহান বলে,,,,আরে বইন কার পাল্লাই পরেছিস। রায়হান কালো জগতের সাথের সম্পৃক্ত। এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে ও করে না। খুন করা ওর নিত্য দিনের কাজ।
সুমাইয়া—- হ্যা কয়েকদিন আগে একটা রেপ হয়েছে। ধারনা করা হয়েছে এইটা রায়হানে করছে। কিন্তু তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না।
আকাশ তাদের কথোপকথন শুনে মুখে” চ ” শব্দ উচ্চারণ করে বলে উঠে –
-এই শালার সাহস কি করে হয় তোকে স্পর্শ করার। একে তো আমি এই বলে সে রাগে ফুঁসতে থাকে।সবাই আকাশের রাগ সম্পর্কে অবগত। এখন ও যদি রায়হানের লোকেদের বা ওকে গিয়ে কিছু বলে তাহলে ওরই বিপদ। কারণ রায়হানের চারপাশে একাধিক বডিগার্ড থাকে।
আরুরা —:শান্ত হ ভাই এখন রাগ করার সময় নয়। ঠান্ডা মাথায় সবকিছু ভাবতে হবে।
ওর কথায় সকালে সম্মতি জানায়। আকাশও একটু স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ইয়ানা—-: রায়হান বলে গেছে ও দুই মাসের জন্য দেশের বাহিরে যাচ্ছে কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে।
রুহান —-:কি আর কাজ গিয়ে দেখ কোনো খুন করতে গেছে।
সুমাইয়া—-: সে যাই হোক তবে দুই মাসের জন্য ইয়ানা বিপদমুক্ত।তবে একবার যেহেতু এই গুন্ডার নজর তোর উপর পড়ছে এত সহজে সে পিছু ছাড়বে না। তবে ওর হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কিছু একটা করতে হবে। তবে আদ ও কি বাঁচা সম্ভব।
তাদের এইসব কথোপকথন এর মধ্যে ভার্সিটির পিওন এসে ইয়ানাকে ডাক দেয়-
পিয়ন—- ইয়ানা তোমাকে প্রিন্সিপাল স্যার ডাকছে। বলেছে ওনার অফিসরুমে যেতে।পিয়নের কথা শুনে সবাই একটু ঘাবরে যায়।
তবে সুমাইয়া ইয়ানাকে আশ্বাস দিয়ে বলে,,, যা।
ইয়ানা ও বাধ্য মেয়ের মত চলে যায়।ইয়ানা প্রিন্সিপাল স্যারের রুমের সামনে গিয়ে অতঙ্কিত সুরে বলে,,,,
-স্যার আসতে পারি।
প্রিন্সিপাল স্যার— হ্যাঁ আসো তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি।
ইয়ানা : কে… ক. কেন স্যার কিছু কি হয়েছে.?
এরপর প্রিন্সিপাল স্যার ইয়ানার সামনে মোবাইলের কয়েকটি ছবি দেখায় যা দেখে ইয়ানার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। ও ভাবতে থাকে আরে এইগুলোতো ঐসব ছবি যে সময় রায়হান আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। কিন্তু ছবিগুলো তুললো কে? ইয়ানার এসব ভাবনার মধ্যে প্রিন্সিপাল স্যারের গম্ভীর্যপূর্ণ কথা কানে ভেসে ওঠে,,,,,,
—- ইয়ানা তোমার থেকে এটা আশা করিনি। তুমি আমাদের ভার্সিটির মেধাবী ও ভালো একজন শিক্ষার্থী। আর তুমি কিনা ছিহহহ। আর হ্যাঁ এইসব করার যদি ইচ্ছে হয় তাহলে ভার্সিটির বাইরে গিয়ে করতে পারো। দয়া করে ভার্সিটির পরিবেশ নষ্ট করো না। ইয়ানা প্রিন্সিপাল স্যারের কথা শুনে মাথা নিচু করে রাখে ওর বা কি বলার আছে। ছবিগুলা তো সত্যি। সে আর ভাবতে পারছে না কাঁদতে কাঁদতে ভার্সিটি থেকে বাইরে চলে আসে। মোবাইলটা অফ করে দেয় কিছুক্ষণ একা থাকা প্রয়োজন। তাকে আজ পর্যন্ত কেউ চরিত্র নিয়ে কথা বলতে পারিনি আর আজকে কিনা অন্যায় না করেও দোষী। কাঁদতে কাঁদতে সে এক পর্যায়ে একটা জনমানবহীন পরিত্যক্ত গোডাউনের সামনে গিয়ে প্রবেশ করে। সে কোথায় যাচ্ছে তার কোনো খেয়াল নেই শুধুমাত্র প্রিন্সিপাল স্যারের কথা গুলাই কানে ভাসছে। এক পর্যায়ে সে ক্লান্তি হয়ে গোডাউনের সামনে বসে পরে।এমন সময় এই রাস্তা দিয়ে চৌধুরী গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক আহান চৌধুরী যাচ্ছিলো । তবে তার আশেপাশের কোনো খেয়াল নেই। সে গাড়িতে হেলান দিয়ে আপন মনে কোনো কিছু ভেবে চলছিলো ।
তার ভাবনার ছেদ ঘটে তার পাশে বসে থাকা রায়ানের কথা শুনে,,,,
রায়ান —- এই সন্ধ্যা বেলায় এমন একটা জঘন্যতম জায়গায় একা একটি মেয়ে কি করছে?
আহান রায়ানের কথা শুনে মুখে বিরক্তির ছাপ নিয়ে বাইরে তাকিয়ে বলে,,,,,,
– —-কে কোথায় আছে না দেখে গাড়ি স্টার্ট কর।
রায়ান—-ব্রো তুই খুব ভালো করেই জানিস জায়গাটা মেয়েটার জন্য সেইভ না। এটা রায়হানের এলাকা। একটু পরেই রায়হানের লোকেরা যাওয়া আসা করবে। তারা যদি একা একটি মেয়েকে দেখে তাহলে তার অবস্থা খারাপ করে ফেলবে। তুই একটু বস আমি দেখে আসছি।এই বলে রায়ান গাড়ি থেকে বের হতে নিলে আহান হাত চেপে ধরে রেগে বলে ওঠে -,,,,,,
—–তর যে পায়ে ব্যাথা এইটা ভুলে গিয়েছিস । কোন সাহসে এখন বের হতে নিচ্ছিস?
রায়ান এবার একটু ইনোসেন্ট ফেইস নিয়ে বলে,,,,
—– কি করব বল এখন একা একটা মেয়েকে তো আর যমের দোয়ারে ফেলে যেতে পারি না। আর তুই ও যাবি না তরতো আবার মেয়ে দোষ আছে।
আহান রায়ানের ইনোসেন্ট ফেইস করা মুখের কথা শুনে বিরক্তি নিয়ে বলে,,,,,
“”ঠিক আছে তুই বস আমি দেখছি।’
রায়ান এইবার খুশিতে গদগদ করে বলে,,,,
– ঠিক আছে যা।
আহান কিছুটা বিরক্তি নিয়ে নেমে ইয়ানার সামনে গিয়ে দাড়ায়। কিন্তু ইয়ানার কোনো খেয়াল নেই। এইসব দেখে আহান রাগে কিছুটা হুংকার দিয়ে বলে –
– এই মেয়ে জানের মায়া নেই। এই সন্ধায় এমন একটা নিষিদ্ধ জায়গায় কি করছো? আহানে ধমকে ইয়ানার ধ্যান ভাঙ্গে । সে এতসময় অতীতে ডুবে ছিল। সে এইবার মুখ তুলে আহানের দিকে তাকায়।আহান ইয়ানাকে দেখে চমকে উঠে। এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছ জীবন থমকে গেছে। সে…….
