অনুভবে তুমি পর্ব ১১

অনুভবে তুমি পর্ব ১১
লিজা মনি

চারদিকে পিন পিন নিরবতা।সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
ইয়ানা যখন গভীর ঘুমে মগ্ন কেউ তার কপালে গভীরভাবে চুমু খায়। আগত্য ব্যক্তিটি যখন উঠতে যাবে ঠিক তখনি কেউ পিছন থেকে তার হাত চেপে ধরে।
ব্যক্তিটি অবাক হয়ে পিছন ফিরে তাকায়,,,, দেখে ইয়ানা ওর হাত চেপে ধরেছে।
ইয়ানা এইবার বিছানা থেকে নেমে আগত্য ব্যক্তিটির উদ্দেশ্যে বলে,,,,
– অবাক হলেন বুঝি কিভাবে আমি উঠে গেলাম। ইয়ানা এইবার কষ্ট পাওয়ার অভিনয় করে বলে,,,,,
” আহারে কত কষ্ট করে পানির মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে রেখে ঘুম পারিয়ে রাখতেন। কিন্তু আজ সেই ঔষধ কোনো কাজ ওই দিলো না। কিন্তু আজতো আমি কোনো পানি খাই নি। ” কি মি, অগ্নি চৌধুরি আজ পালিয়ে যাবেন না?

আহান ইয়ানার মুখে নিজের নাম শুনে ইয়ানার দিকে অবাক হয়ে তাকায়! কি করে ওকে চিনতে পারলো?তাহলে কি ওকে দুর্বল ভেবে ভুল করলাম। এত কিছু ও জানলো কিভাবে? আহান এইবার সমস্ত মিথ্যে দুরে ঠেলে দিয়ে ইয়ানাকে ফের প্রশ্ন করে,,,,,
– তুমি এইসব কিভাবে জানলে?
ইয়ানা এইবার রেগে গিয়ে বলে,
” কি ভেবেছিলেন নিজের পরিচয় লোকিয়ে একটা মেয়েকে দিনের পর দিন টর্চার করবেন আর সে বুঝতে পারবে না। মি, অগ্নি চৌধুরি যেইদিন আমি আপনার কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলাম সেইদিন সব পাল্টালে ও নিজের পারফিউম পাল্টাতে মনে হয় ভুল গিয়েছিলেন তাই না। আপনার এই পারফিউম আমার খুব পরিচিত। কারন এই পারফিউম পরিহিতা ব্যক্তি প্রতি রাতে আমার রুমে আসে। আর ওইদিন যে পালাতে দিয়ে নিজের হাতে ব্যাথা পেয়েছিলেন সেইটা লোকাতেও মনে হয় ভুলে গিয়েছিলেন ”
আহান এইবার অবাক না হয়ে ইয়ানার দিকে একটা বাকা হাসি দিয়ে বলে,,,,,
“” খুব বুদ্ধিমতি মেয়ে তুমি। আই লাইক ইট। তবে আমার পরিচয় যেনে যে নিজের বিপদ ডেকে আনলে। আগে লুকিয়ে করতাম আর এখন সামনাসামনি। আমি নিজের আসল রুপ তোমার সামনে আনতে চাইতাম না কারন তুমি সেটা সহ্য করতে পারতে না”””

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ইয়ানা এইবার মুখে চু চু শব্দ করে আহানের সামনে বরাবর গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,,,
” আমি ইয়ানা বিনতে আসাদ অন্যায়কারিকে কখনো ভয় পাই না। আর আপনাকে তো আমি আমার জিবনের চেয়ে ও বেশি ঘৃনা করি। আপনাকে ভয় পাওয়ার তো কোনো প্রশ্ন ওই আসে না। ”
আহান ইয়ানার মুখে ঘৃনার কথা শুনে প্রচন্ডভাবে রেগে রেগে যায়। হাতের রগ গুলো ফুলে উঠে।চোখ দুটি লাল বর্ণ ধারন করে। আহান নিজের হিতাহিত ঙ্গান হারিয়ে সজোরে এক চর বসিয়ে দেয়।
-ইয়ানার গালে হঠাৎ আঘাত পাওয়ায় তাল সামলাতে না পেরে ছিটকে পরে।
আহান ইয়ানার সামনে গিয়ে বসে মুখে হাত চেপে ধরে রেগে দাতে দাত চেপে বলে উঠে,,,,
” আমাকে তুই ঘৃনা করিস 😠। কাকে ভালো লাগে তোর ওই রায়হানকে । কি করেছে ও তোকে?কিরে বলছিস না কেন বল?

ইয়ানা : কি… কি করছেন কি ছারুন বলছি। ব্যাথা লাগছে ছারুন।
ইয়ানার কথা শুনে আহান ছেরে দেয়।
“আহান : শুনে রাখো মেয়ে। খুব করে চাই আমি তোমাকে। আমার অনুভবে মিশে গেছো তুমি। আমি যখন চোখ বন্ধ করি তখন আমার এই নিষ্ঠুর চোখে তুমি মায়াবতী অংকিত হও। কি খারাপ ব্যপার তাই না অগ্নি চৌধুরির চোখে একটা মেয়ের মুখ অংকিত হয় ছেহ। ”
আহান যখন রুম থেকে বের হতে যাবে ঠিক তখনি ইয়ানার প্রশ্ন শুনে থমকে যায়,,,
“” ভালোবাসেন আমাকে। “”
আহানের সোজাসাপ্টা উত্তর, না।
ইয়ানা এইবার আহত শুরে বলে,,,,,
” রাগ দেখানোর জন্য অধিকার লাগে, আর অধিকার দেখানোর জন্য ভালোবাসা। যখন ভালোবাসেন না তখন এত অধিকার দেখান কেনো মি, অগ্নি চৌধুরি?”
আহান সরাসরি ভাবে বলে উঠে,,,,
” আমার জীবনে কোনো মেয়ের স্থান নেই। বাজেভাবে ঘৃনা করি তাদের । আর রইলো বাকি অধিকারের কথা এইটা আমি সবসময় দেখাবো তুমি চাও বা না চাও। বলেই এইখান থেকে প্রস্থান করে।
ইয়ানা এক দৃষ্টিতে আহানের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে। আর নিজের জীবনের মাপকাঠি ভাবতে থাকে।

সবাই ভার্সিটির মাঠে অবাক হয়ে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে থাকে।
ইয়ানা : কি হয়েছে এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো তোরা?
সুমু : কি হয়নি সেটা বল ইনু। ওই ছেলে অগ্নি চৌধুরি কিভাবে হতে পারে। তুই জানিস উনি কত বড় মাফিয়া। সবার ওনার নাম শুনলে কাপাকাপি শুরু হয়ে যায় । চেহারা না দেখে ও হাজার ও মেয়ের ক্রাশ ওনি। সেখানে তুই বলছিস অগ্নি চৌধুরি তোকে এতদিন এত কেয়ার করত। আর কি যেন বলেছিলি? অহ হে তোকে এক পলক দেখার জন্য তর রুমে যেত। আর আমরা ওনার কথা গিয়ে ওনাকে বলেছি।
ইয়ানা : তোর কি মনে হয় আমি মিথ্যে বলছি। প্রথমে আমার ও সন্দেহ হয়েছিলো যে হয়তো আমার সন্দেহ ভুল। কিন্তু ওনি আর কোনো ছলনা করে নি। নিজেই সব স্বিকার করেছে।
আয়াত : আমার জীবনটা এমন কেন? যার উপর ক্রাশ খাই সেই বলে আরেক বেডির জামাই। এই কষ্ট কই রাখি আমি।

অনুভবে তুমি পর্ব ১০

রুহান : মর তুই বাইচা আছিস কেন? এমন গাঞ্জা খাস কেনো যাকে আরেক বেডি নিয়ে যায়।
আয়াত : শয়তান পোলা তুই কি আমার জামাইরে বিধবা করতে চাস নি। আর রইলো বাকি গাঞ্জার কথা এইটা গাঞ্জা ন ক্রাশ। বাদ দে তুই বুঝবি না কোনো সময় তো খাই নি কেউ তর উপর।
আরু: বালের প্যাচাল বাদ দিবি তোদের। সতিনের মতো সবসময় চুলাচুলি লেগে থাকিস।
আকাশ : তুই কবে ভালো হয়েছিস আরু। 🤔
আরু : এখন বাদ দে ভাই আগে ইনুর কথাটা নিয়ে ভাব।
এইভাবেই খুনশুটি তে মেতে উঠে তারা। সবাই সবার মত বাসায় চলে যায়।
ইয়ানা বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে। কিন্তু একজনের কথা শুনে সে থমকে যায়…..

অনুভবে তুমি পর্ব ১২