অশ্রুজলে বোনা বিয়ে সিজন ৩ শেষ পর্ব 

অশ্রুজলে বোনা বিয়ে সিজন ৩ শেষ পর্ব 
ইয়াসমিন খন্দকার

আমিনাসহ পুরো পরিবারের জাঈদকে এড়িয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো। এই এক বছরে এই বাড়িতে থেকেও যে সে যেন অদৃশ্য ছিল। সবাই এমন ভাবেই তাকে ট্রিট করেছে। জাঈদের ভীষণ খারাপ লাগে। অনুশোচনায় সে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারে না। কারণ সে জানে, সে এসবই ডিজার্ভ করে।
এর মাঝে বাড়িতে চলছে আকাশের বিয়ের আয়োজন। আকাশের জন্য অনেক পাত্রী দেখার পর অবশেষে সায়রা খান জোরপূর্বক একটা মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছে। আকাশের শত বারণ সত্ত্বেও গুরুত্ব দেয় নি। এসব ভেবে আকাশ বলে ওঠে,”এবার মনে হয় বিয়েটা করতেই হবে।”

বলেই সে এসে বসে সোফায়। কিছু একটা মনে করে ফোনটা বের করে। অবাক হয়ে যায় যখন দেখে তার হোয়াটসঅ্যাপে সেই মিম নামের মেয়েটার ফোন থেকে অনেকগুলো মিসড কল। তার হোয়াটসঅ্যাপ এতদিন লগআউট ছিল৷ আজকেই লগইন করল আবার। মেয়েটার সাথে শেষ কথা হয়েছিল সেই ১০ মাস আগে যখন মেয়েটা টাকা ফেরত দিয়েছিল। এরপর আর তাদের মাঝে কোন কথা হয়নি। এতদিন পর মেয়েটা হঠাৎ কেন কল দিলো এটা ভেবেই আকাশ অবাক হলো। এর মাঝে সায়রা খান এসে তাড়া দিলেন,”চল তাড়াতাড়ি এখনই যেতে হবে। আজ তোদের আকদটা পারলে করিয়ে আনব।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আকাশ বিরক্ত হয়ে বলে,”আজকেই মেয়েটাকে প্রথম দেখতে যাব। আর আজকেই আকদ! লাইক সিরিয়াসলি!”
“তোকে নিয়ে আর কোন ভরসা নেই। না জানি বিয়ে ভাঙার জন্য আবার কি নাটক করিস। তাই বিয়েটা করিয়ে রাখলে আমার শান্তি হয়।”
আকাশ আর কিছু বলতে পারে না। এর মাঝে আবরাজকে সাথে নিয়ে আমিনা সেখানে চলে আসে। আবরাজ এখন এ বাড়ির সবার সাথে মানিয়ে নিয়েছে। সে এসেই আকাশের কোলে বসে বলে,”আজ নাকি তোমার আকদ মামা?”
“হুম, সোনা। আজ তোমার মামার জীবন পুরো এলোমেলো করে দিতে চলেছে তোমার নানুজান।”
সায়রা খান বলেন,”এখন তো এসবই বলবি। বিয়েটা হয়ে যাক। আমি কথা দিচ্ছি, একদিন তুই আমায় এই বিয়েটার জন্য ধন্যবাদ দিবি।”

আকাশ কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। ততক্ষণে আরহাও চলে আসে। আরহার কোলে নিঝুমও ছিল। আরহা এসেই বলে,”তোমরা সবাই প্রস্তুত তো?”
আরহার গলা শুনেই আবরাজ এগিয়ে যায়। নিজের ফুফুর সাথে তার অনেক ভাব। তার থেকেও বেশি ভাব নিঝুমের সাথে। আরহার কোলে দুই বছরের ছোট্ট নিঝুম। সে অবাক হয়ে সব দেখছে৷ আবরাজ আরহাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে,”ফুপি এই বুড়িটাকে নামিয়ে দাও। ও কি বড় হয়নি? সবসময় কেন তোমার কোলে উঠে থাকে।”
ছোট্ট নিঝুম ভ্রুকুটি দিয়ে আরহার গলা জড়িয়ে বলে,”নামম না মাম্মা। আমি নামম না।”

এদিকে আবরাজও ছাড়ার পাত্র নয়। আরহা বাধ্য হয়ে আবরজকেও কোলে তুলে নেয়। আবরাজ কোলে উঠেই নিঝুমের গাল টেনে দেয়। সাথে সাথেই নিঝুম চিল্লানি দিয়ে কেদে ওঠে। আমিনা সাথে সাথে এসে আবরাজকে নিজের কোলে নিয়ে বলে,”খুব দুষ্টু হয়েছ তুমি। এভাবে কেউ নিজের বোনকে কষ্ট দেয়।”
আবরাজ বলে ওঠে,”বোন না ও আমার ভবিষ্যতের বউ। ও বড় হলে আমি ওকেই বিয়ে করব।”
কথাটা শুনে যেন নিঝুম কান্নার গতি বাড়িয়ে দেয়। আমিনা আবরাজের কান মলে দিয়ে বলে,”বিদেশে বড় হয়ে খুব পেকেছ তাই না?”
আবরাজ দুষ্টু হেসে আবার নিঝুমের দিকে তাকায়।

আকাশকে নিয়ে আসা হয়েছে পাত্রীদের বাড়িতে। আজ খান পরিবারের কমবেশি সবাই এসেছে এখানে। আরহাম খান এখন কেমোথেরাপি সহ আধুনিক চিকিৎসায় এখন অনেকটাই সুস্থ। তিনিও এসেছেন। শুধুমাত্র জাঈদকেই কেউ আসতে বলে নি। সেও আসেনি।
একটু পরই আকাশের পাসে এনে পাত্রীকে বসানো হলো। আকাশের কোন আগ্রহ ছিল না তাকে দেখার। কিন্তু একটু পর একটা আয়না এনে তাদের সামনে এনে রাখা হয়। সবাই আয়নায় তাকাতে বললে আকাশ বিরক্ত হয়ে আয়নায় তাকায়। সাথে সাথেই অবাক হয়৷ কারণ এই মেয়েটা ছিল মিম। একটু দূরের মিমের মা-বাবাও ছিল। সাফোয়ানও ছিল। কারণ মিম তার চাচাতো বোন। মিম আকাশকে বলে,”অবাক হলেন নাকি?”
আকাশ বলল,”তুমি?”

“আমাকেই তো আপনার মা পছন্দ করেছে আপনার স্ত্রী হিসেবে।”
আকাশ আর কিছু বলতে পারে না। বিয়েটা কোনরকমে হয়ে যায়। আকাশ শুধু নীরব সাক্ষী থাকে। সাফোয়ানের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল রিয়াশা। তাদের মাঝে ছিল রোহন। সাফোয়ান রিয়াশার দিকে আকুল চোখে তাকিয়ে। ইতিমধ্যে তারা একে অপরের প্রেমে পড়েছে। কিন্তু রিয়াশার পরিবারের সবাই এখনো তার উপর নারাজ। তাই তাদের সম্পর্ক এগোচ্ছে না। আজ এখানে মাশরাফি এবং তার মা-বাবাও ছিল৷ তাই সাফোয়ান রিয়াশার হাত ধরে সাহস করে তাদের দিকে এড়িয়ে যায়। রাজীব হাসান রিয়াশাকে দেখেই চলে যেতে নেয় তখন রিয়াশা করুণ স্বরে বলে,”আর কতদিন আমার উপর রাগ করে থাকবে আব্বু? আমায় কি ক্ষমা করবে না?”

মাশরাফি বলেন,”তুই যা করেছিস তা কি ক্ষমার যোগ্য?”
এমন সময় সাফোয়ান বলে,”আমি জানি আমার এখানে কথা বলা ঠিক না, তবুও বলছি। মানুষ মাত্রই ভুল হয়, রিয়াশাও ভুল করেছে। এজন্য যথেষ্ট শাস্তি পেয়েছে। পুরো একটা বছর আপনারা ওকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এবার অন্তত ওকে ক্ষমা করুন।”
রাজীব হাসান বলেন,”তুমি কে?”
“আমি রিয়াশাকে ভালোবাসি। আপনারা যদি ওকে ক্ষমা করে ওকে কাছে টেনে নেন তাহলে আমাদের সম্পর্কটা পূর্ণতা পায়। আমরা এর জন্য এতদিন অপেক্ষায় আছি ”

বলেই সে দূরে চলে যায়। রিয়াশা কান্নারত স্বরে বলে,”সরি..আমি ভীষণ দুঃখিত।”
কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। রাজীব হাসান ও মিসেস রুমি নিজের মেয়েকে এভাবে দেখতে না পেরে অবশেষে তাকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নেয়। মাশরাফি দূরে দাঁড়িয়ে ছিল৷ আরহা তাকে ইশারা করতে সেও গিয়ে জড়িয়ে ধরে। সব অভিমান গলে জল হয়।

সময় এগিয়ে গেছে আরো ৬ মাস। আকাশ ও মিমের সম্পর্ক এখন অনেক এগিয়েছে। প্রথম দিকে বিয়ে নিয়ে নাখোশ থাকলেও মিমের মতো মিষ্টি মেয়ের থেকে বেশিদিন দূরে থাকতে পারেনি আকাশ। এখন তারা সুখী দম্পত্তি। সায়রা খানের কথাই ঠিক হয়েছে৷ তারা এখন একে অপরকে চোখে হারায়।
এরমধ্যে আজ রিয়াশা ও সাফোয়ান চৌধুরীর বিয়ে। চারিদিকে তারই বিরাট আয়োজন। রাজীব হাসানের একমাত্র মেয়ের বিয়ে। তাই তিনি কোন কমতি রাখতে চান না।

বিয়ের আসরে উপস্থিত হয় খান বাড়ির সবাই। রিয়াশাকে আজ বড্ড খুশি লাগছে৷ আজ সে তার বিয়েতে জাঈদকেও ডেকেছে। রিয়াশা ভেবে নিয়েছে আজ যে করেই হোক জাঈদের সাথে বাড়ির সবার সম্পর্ক ঠিক করে দেবে। জাঈদ অন্যায় করেছিল, নিজের কাজের জন্য যথেষ্ট শাস্তিও পেয়েছে। এবার সে ক্ষমা ডিজার্ভ করে।
নিজের পরিকল্পনা মতোই চলছিল রিয়াশা। তাই তো যখন আমিনা তার কাছে এসে শুভকামনা দেয় তখন সুযোগ বুঝে বলে,”আপু একটা কথা বলব কিছু মনে করো না। আমি জানি, জাঈদ ভাইয়া তোমার সাথে যা করেছিল তা অন্যায়। কিন্তু তার জন্য সে যথেষ্ট ফল ভোগ করেছে। আমিও তোমার কাছে অপরাধী ছিলাম। কিন্তু আজ তো তুমি আমায় মন থেকে ক্ষমা করে আমার খুশিতে অংশীদার হতে এসেছ। তাহলে জাঈদ ভাইয়ার উপর কেন রাগ করছ? দেড় বছর ধরে তোমরা সবাই তাকে একঘরে রেখে রেখেছে৷ এবার অন্তত সব ঠিক করো। মানুষটা যে অনেক কষ্ট পাচ্ছে।”

রিয়াশার কথাগুলো আমিনাকে ভাবায়। সেও কিছুদিন থেকে জাঈদকে ক্ষমা করার কথা ভাবছিল। কারণ এভাবে জাঈদকে এড়িয়ে যেতে তারও আর ভালো লাগে না। কষ্ট হয় খুব।
অবশেষে রিয়াশা ও সাফোয়ানের বিয়ে সম্পন্ন হলো। তারাও সুখী দম্পত্তি হওয়ার যাত্রা শুরু করল।

বাড়িতে ফিরেই আমিনা জাঈদের কাছে গেল। জাঈদ চুপচাপ বসে ছিল বিছানায়। আমিনা পেছন থেকে গিয়ে জাঈদকে জড়িয়ে ধরে। জাঈদ অবাক হয়ে যায়। আমিনা কান্নারত স্বরে বলে,”অনেক কাঠিন্যতা দেখিয়েছি তোমায়,,,আর পারছি না। আমি ভালোবাসি তোমায়,,,খুব ভালোবাসি।”
জাঈদও আবেগঘন স্বরে বলে,”আমিও..আমায় ক্ষমা করে দাও সবকিছুর জন্য।”
“করেছি ক্ষমা।”
জাঈদ হেসে ফেলে।
আরহা নিঝুমকে কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছিল সোফায় বসে। আর মাশরাফি তার দিকে মুগ্ধদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল৷ এখনো তাদের ভালোবাসা ভীষণ অমলিন।

আরহাম ও আরুশির মাঝেও সব ঠিক হয়ে গেছে। আকাশ ও মিমও সুখী দম্পত্তি। এর মাঝে জাঈদকে ধরে নিচে নিয়ে আসে আমিনা। সবাই সোফায় বসে ছিল৷ আমিনা এসেই বলে,”আমি জাঈদকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এবার আপনারাও সব মান অভিমান মিটিয়ে নিন। আমরা আবার একত্রিত হই।”
আরুশি এগিয়ে আসেন। জাঈদকে জড়িয়ে ধরেন। জাঈদও নিজের মাকে জড়িয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। একে একে সবাইকে জড়িয়ে আবেগপ্রবণ হয়। আফিফা খান ও সায়রা একসাথে ছিল। আফিফা খান বলেন,”আজ মনে হচ্ছে আমাদের পরিবার পরিপূর্ণ। চলো আমরা ফ্যামিলি ফটো তুলি।”
এরপর একসাথে সবাই ফ্যামিলি ফটো তোলে। সবার ছবি তোলা হয়ে গেলে, আফিফা খান বলেন,”এখন চলো আমাদের বাড়ির মেইন রুমে। যা আজো সবার স্মৃতি বিজড়িত।”
মিম অবাক হয়ে বলে,”সেটা আবার কোন রুম দাদি?”

“চলো গেলেই দেখবে।”
সবাই আফিফা খানের সাথে যায়। রুমটায় যেতেই সবাই অবাক হয়ে যায়। কারণ এই রুমটা পুরো সাজানো গোছানো আর দেওয়ালে অনেক ছবি টাঙানো। আফিফা খান ইশারায় মিমকে কাছে ডাকেন। অতঃপর বলেন,”এসো আমাদের পরিবারের সবার সাথে তোমার পরিচয় করে দেই।”
প্রথমে তিনি আবরাজ ও নিঝুমের বিয়ের ছবি দেখিয়ে বলেন,”এই হলো আমার শ্বশুর মশাই এবং একইসাথে আমার চাচা আবরাজ খান ও আমার শাশুড়ী/চাচী নিঝুম খান। ওনাদের দিয়েই আমাদের এই গল্পের সূচনা।”
এরপর নিজের আর নির্ঝরের ছবি দেখে তিনি আবেগঘন হয়ে যান।
“এই হলো আমার এবং তোমার দাদা শ্বশুর নির্ঝর খানের বিয়ের ছবি। লোকটা আমায় অনেক কষ্ট দিয়েছে আবার ভালোও বেসেছে।”

পাশে টাঙানো ছবি দেখে আরুশি আবেগপ্রবণ হয়। তিনি বলেন,”এই হলো আমার আম্মু আরিশা খন্দকার ও আমার পাপা জাঈদ শেখের বিয়ের ছবি!”
আফিফা খান তার কাধে হাত দিয়ে সান্ত্বনা দেয়। অতঃপর সায়রা হাসিখুশি হয়ে এগিয়ে এসে বলে,”এই হলো আমার আম্মু বৃষ্টি ও আমার আব্বু সায়ন চৌধুরীর বিয়ের ছবি। কত সুন্দর লাগছে তাদের তাইনা?”
আফিফা খান হেসে বলেন,”মজার ব্যাপার হলো আরিশা ছিল আমার বোন আর বৃষ্টি আমার ননদ। আর আজ ওদের দুজনের মেয়েই আমার পুত্রবধূ।”

সবাই একসাথে হেসে ওঠে। এরপরের ছবি দেখে আরহাম ও আরুশি দুজনেই লাজুক হাসে। আফিফা খান বলেন,”এই হলো আমার বড় ছেলে আর বৌমার বিয়ের ছবি।”
পরের ছবিটা দেখতেই সায়রা খানের বুক কেপে ওঠে। আরহা অনুশোচনা করে। মাশরাফি তার কাধে হাত রেখে সান্ত্বনা দেয়। সায়রা খান মিমকে বলেন,”এই হলো তোমার শ্বশুর আমান খান আর আমার বিয়ের ছবি। লোকটা আমায় বড্ড ভালোবাসত জানো। কখনো আমায় কষ্ট পেতে দেয়নি। আমি ওনার সাথে বয়সে কিছুটা বড় ছিল৷ তবুও ভালোবাসায় কমতি রাখেন নি।”

আফিফা খান চোখের জল মুছে বলেন,”আরে আমাদের আগের প্রজন্মের কথা বাদ দাও। নতুন প্রজন্মের সুন্দর ছবিগুলো দেখো। এই দেখো, জাঈদ-আমিনা, মাশরাফি-আরহা, আকাশ-মিম সবার ছবিও আছে এখানে।”
এমন সময় হঠাৎ ছোট্ট আবরাজ এগিয়ে এসে বলে,”আমার আর নিঝুমের ছবিও একসময় এখানে টাঙানো হবে যখন আমরা বিয়ে করব।”

অশ্রুজলে বোনা বিয়ে সিজন ৩ পর্ব ৯৩

সবাই হেসে দেয়। নিঝুম কি মনে করে আবার কেদে ওঠে। মাশরাফি তাকে থামাতে কোলে নেয়। এমন সময় আফিফা খান বলেন,”আরে আমাদের পরিবারের বেশিরভাগ বিয়েই তো অশ্রুজলে বোনা৷ তাই হয়তো ও কাঁদছে।”
সবাই একসাথে হেসে ওঠে। আবরাজ এবার সাহস করে নিঝুমকে কোলে তুলে নেয়। আফিফা খান বলেন,”গল্পের শুরুটা ছিল আবরাজ ও নিঝুমকে নিয়ে আর শেষটাও হলো ওদেরকে নিয়েই!”
♪The Great Ending

সমাপ্ত