আত্মার আগলে পর্ব ৩
সানজিদা আক্তার মুন্নী
মেহনূরকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে, এহসান নিজে একখানা কাঁথা আর বালিশ নিয়ে রুমে রাখা সোফায় গিয়ে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ে”!
মেহনূর তখনো এহসানের হাতের সেই ভয়ংকর থাপ্পড়ের ধাক্কায় বাক্যহীন। এমন জোরে থাপ্পড় তাকে জীবনে কেউ কখনো মারেনি। এহসান যেভাবে তাকে শুইয়ে দিয়েছিল, মেহনূর সেইভাবেই শুয়ে রইল, যেন তার মস্তিষ্ক আর কাজ করছে না। সমস্ত কিছু যেন থেমে গেছে। অবশেষে ক্লান্তি আর মানসিক ধাক্কায় সে ঘুমিয়ে গেল।
মেহনূর ঘুমিয়ে পড়ার পর, এহসান ধীরে ধীরে উঠে যায় “! ওয়ার্ডরোব থেকে একটি ভ্যাসলিনের কৌটো এনে মেহনূরের বিছানার পাশে নিচু হয়ে বসে পড়ে। এক পলকে তাকিয়ে রইল মেহনূরের দিকে।
ওই মেহনূর—যে তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। তাকে চাওয়ার, তাকে নিজের করে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা উথলে উঠছিল এই কয়টা বছর এহসানের ভিতরে। আচ্ছা এ অনুভূতি কি নোংরামি? হয়তো অনেকের চোখে তাই। কিন্তু এহসানের কাছে এটা পবিত্র ভালোবাসা। আর এখন সে পুরো পবিত্রতা অর্জন করে নিয়েছে “! নিজের হারাম ভালোবাসাকে হালাল করে নিয়েছে “!
এহসান স্পষ্ট দেখতে পায়! তার থাপ্পড়ের চিহ্ন এখনো মেহনূরের ফর্সা গালের উপর স্পষ্ট। লাল হয়ে আছে জায়গাটা। বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে এহসানের এমনটা দেখে! কৌটো থেকে সামান্য ভ্যাসলিন নিয়ে আলতো করে মেহনূরের গালে লাগিয়ে দেয় নরম স্পর্শে। মেহনূর ঘুমিয়ে থাকলেও, এহসানের হাতের স্পর্শ ছিল যত্নের আর গভীর ভালোবাসার।
এহসান হাসে, স্নিগ্ধ অথচ অপরাধবোধে ভারাক্রান্ত সেই হাসি। মেহনূরের দিকে তাকিয়ে নিজ মনেই বলে,
“— তোমার পবিত্র গালে আমার অপবিত্র হাতের স্পর্শ পড়লো”! এটাও তোমার জন্য একটা ভয়ংকর কলঙ্ক। কিন্তু, এতে আমার কিছু করার নেই “! কারণ তোমায় যে আমার সব কলঙ্কে কলঙ্কিত হতে হবে। তুমি শুধু আমার “! কারণ তুমি যে আছো আমার #আত্মার_আগলে!
অতঃপর চুপ করে আরও কিছুক্ষণ প্রাণভরে মেহনূরের দিকে তাকিয়ে রইল এহসান। এই নারী তার, তার হালাল নারী, তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। তারপর আস্তে করে উঠে কৌটোটা জায়গামতো রেখে দিয়ে। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চুপি চুপি এসে সোফায় শুয়ে পড়ে। আল্লাহর নাম নিয়ে চোখ বন্ধ করে এহসান, হয়তো এই ভেবে, “ভালোবাসা যদি পাপ হয়, তবে এ পাপিই আমার জন্য চিরন্তন।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফজরের আযানের শব্দ কানে আসতেই এহসানের ঘুম ভেঙে যায়। ধীরে ধীরে উঠে বসে। “আল্লাহর নাম নিয়ে দিন শুরু করা উচিত,” তাই আল্লাহর নাম নিয়েই চোখ খুলে। চোখ খোলার সাথে সাথেই চোখের কোণে পড়ে মেহনূর। মেয়েটি গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। একদম একটা ফুটন্ত ফুলের মতো মনে হচ্ছে!
বিছানা থেকে উঠে ধীরে পায়ে তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকাতে তাকাতে তার পাশে এসে দাঁড়ায় এহসান। মেহনূরের দিকে হালকা ঝুঁকে গম্ভীর গলায় বলে
— — মেহনূর, উঠো। এটা নামাজের সময়, ঘুমের সময় নয়!
মেহনূরের কানে আসতেই এই ডাক। ঝট করে চোখের পাতা খুলে নেয়! ঘুমের আচ্ছন্নতা কাটতে না কাটতেই এহসানকে এতটা ঝুঁকে থাকতে দেখে আঁতকে উঠে! মনে মনে বলে— ছিঃ! এভাবে এতটা অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম? আস্ত একটা কুমির রুমে রেখে! এই মানুষটা একটা পশু, যে কোনো সময় যে কিছু ভয়ংকর করে তুলতে পারে! নিজের বুঝ হওয়ার পর থেকেই এর আর এর পরিবারের অমানুষিক কার্যকলাপ দেখে আসছি!
মেহনূরকে এভাবে আতঙ্কিত চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে এহসান কিছু বলে না। ধীর পায়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। মেহনূর এখনো একই ভাবে বসে আছে। এহসান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে একখানা চাদর, টুপি আর নিজের মিসওয়াক হাতে নিয়ে বেরিয়ে যায়। উদ্দেশ্য—মসজিদের পুকুরে ওযু করে নামাজ পড়া।
এহসানের যেতেই মেহনূর তড়িঘড়ি করে উঠে ওযু করে ফজরের দুই রাকাআত সুন্নত পড়ে নেয়। সে কাল রাতে একটা পাকাপোক্ত পরিকল্পনা করেছে। এই সময়ই সে পালাবে কারণ এ বাড়ির সবাই—মানে দারোয়ানসহ সব পুরুষ মসজিদে নামাজে থাকবে। আর মহিলারা সবাই কাজের বুয়া সহ নিজ নিজ ঘরে নামাজে থাকবে। তাই এই সুযোগেই সে নিজ বাড়ি যাবে। এখান থেকে বেশি দূরে নয় তাদের ছোট তালুকদার মঞ্জিল।
মেহনূর তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত এহসানের একখানা কালো চাদরে ঢেকে নেয়। মুখ ঢেকে নিঃশব্দে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা। ও একটু এগোতেই পেছন থেকে কেউ ওর কাঁধে হাত রাখে। মেহনূর থমকে যায়। আসাড় হয়ে যাচ্ছে ভয়ল ওর শরীর। মনে হচ্ছে হয়তো আজ শেষ! আস্তে আস্তে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়। । তখনই মনে প্রশান্তি আসে। এটা এশা! এশা বুঝে যায় মেহনূর পালাতে যাচ্ছে। এশা মেহনূরকে বাধা না দিয়ে উল্টো বলে
— — তুই তাড়াতাড়ি যা। ভাইজান বা কেউ নেই, এটাই সুযোগ।
মেহনূর ভরসা পেয়ে ওকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে। পা টিপে টিপে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় নিচে। আশেপাশে তাকায়। কেউ নেই। আর সদর দরজা খোলা ছিল, তাই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়। ধীরে ধীরে গেটও পেরিয়ে যায়।
একটু এগোতেই মেহনূরের পা থমকে যায়। অদৃষ্ট যেন মেহনূরের পিছু ছাড়ে না। গেট পার হতে না হতেই কুয়াশার ভেতর এহসানকে দেখতে পায়। সে নিজ মনে কোরআনের আয়াত পড়তে পড়তে এগিয়ে আসছে। কিন্তু এখনো মেহনূরকে এহসান লক্ষ্য করেনি। মেহনূর নিজেকে কোনোরকমে সামলে আলগোছে এহসানের পাশ কাটিয়ে দ্রুত হাঁটতে থাকে।
এহসান এতে কিছু বুঝতে পারে না। পরক্ষণে মনে আসে, কে গেলো যে তাকে দেখেও সালাম দিল না? কারণ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ তাদের পরিবারের কাউকে দেখলেই সালাম দেয়, ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করে। তাই লোকটিকে দেখার জন্য পেছনে তাকাতেই তার চোখে চাদরের সোনালি লেস নজরে আসতেই বুঝতে পারলো এটি তার নিজেরই। কারণ এমন চাদর সে ছাড়া গ্রামের কেউ ব্যবহার করে না। আর অন্য গ্রাম থেকে এদিকে দিয়ে আসার কোনো রাস্তাও নেই।
এরমধ্যে কুয়াশার ফাঁকে তার চোখে পড়লো মেহনূরের খালি পা। সব বুঝতে পেরে একটুও দেরি না করে এহসান দৌড়ে পিছু নিলো। মেহনূর তো এখন ধীরে যাচ্ছে। কারণ দৌড়ে গেলে আর যদি এহসানের বাড়ির কেউ নামাজ থেকে আসার সময় দেখে নেয়, তো আবার ওকে সেই জাহান্নামে যেতে হবে। তাই সে পেছনে না তাকিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছে। এর জন্য এহসানকে দেখতে পেলো না মেহনূর। হঠাৎ এহসান ওকে ডাক দেয়,
— — মেহনূর!
এতে আপনাআপনি মেহনূরের পা থেমে যায়। প্রথমে মনে হয় মনের ভুল। কিন্তু মনের ভুল হবে না! তাই নিজে নিশ্চিত হতে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়। তাকিয়ে ওর অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে এহসানকে দেখে! এবার আর কোনো দিকে না তাকিয়ে, আপন প্রাণ বাঁচাতে দেয় দৌড়। কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয়। এহসান সহজেই ওকে ঝাপটে ধরে নেয়!
এবার মেহনূর চিৎকার করে বলে,
— — ছাড়ুন আমায়! ছাড়ুন বলছি! যেতে দিন। আমি যাব!
এহসানের রাগে মগজ টগবগ করছে এই এত বড় ঘটনায়! সবচেয়ে বেশি এটা ভেবে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যদি তার নিজের জায়গায় কোনো হারাম পুরুষ ঘটনাক্রমে মেহনূরের মুখ দেখে নিত, তাহলে কী হতো?
তাই ওকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নেয়। মেহনূর নিজেকে ছাড়ানোর জন্য এহসানের পাঞ্জাবির কলার চেপে ধরে, নিজের শরীরে যত শক্তি ছিল, তা দিয়ে এহসানের কাঁধে দাঁত বসিয়ে দেয়। কিন্তু এতেও এহসানের হাতের বাঁধন একটুও নড়ে না। বরং আরো শক্ত করে ধরে নেয় মেহনূরকে। রাগে এহসানের শরীর কাঁপছে, জ্বলছে শরীর! মেহনূর নিজেকে ছাড়ানোর জন্য কত কিছু করছে। কিন্তু আফসোস, সব চেষ্টা ব্যর্থ।
এহসান মেহনূরকে গেটের ভিতর নিয়ে ঢুকে, বাড়িতে না গিয়ে, বড় পুকুর পাড়ে চলে আসে। দাঁত চেপে কিড়মিড় করে বলে—,
— এবার দেখ কেমন লাগে অতিরিক্ত বাড়লে!
এ বলেই পুকুরের কয়েক সিঁড়ি নেমে যায়। মেহনূর কী হতে যাচ্ছে বুঝতে পেরে চিৎকার করে বলে,
— — না না! এমন করবেন না! আমি সাঁতার ভুলে গেছি!
ভয়ে এহসানের পাঞ্জাবির বুকের অংশ খাবলে ধরে। তবে এতেও কোনো কাজ হয় না। এহসান দুম করে ওকে পুকুরের মাঝখানে ঠান্ডা পানিতে ফেলে দেয়।
এহসান মনে করেছিল, মেহনূর মিথ্যা বলছে। কারণ গ্রামের মেয়ে হয়ে কীভাবে সাঁতার জানবে না! ঠিকই পুকুর থেকে উঠে যাবে! কিন্তু সে তো আর জানতো না, সত্যিই তার প্রাণপ্রিয় নারী সাঁতার ভুলে গেছে!
এদিকে মেহনূর হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে। কিন্তু কিছু বলতে পারছে না। বারবার পানি খাচ্ছে। আর কিছু করতে না পেরে, দম থাকতে কালেমা পড়ে নেয়! বুঝে নেয় এটাই হয়তো শেষ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে হয়তো আজরাইল এসে এই দেহ থেকে প্রাণ খানা ছিনিয়ে নেবেন। তাই তলিয়ে যেতে থাকে।
মেহনূরকে হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে না দেখে কলিজা মুচড়ে উঠে এহসানের। চোখে ভেসে ওঠে তার প্রাণপ্রিয় নারীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য! নিজের চাদর রেখে এক লাফে পুকুরে ঝাঁপ দেয়! অতঃপর সে অতি যত্নে প্রাণপ্রিয় নারীর অচেতন দেহখানা তুলে নিয়ে আসে পানি থেকে। কলিজা ফেটে যাচ্ছে এমন অবস্থায় মেহনূরকে দেখে!
মেহনূরের পড়নে সাদা ড্রেস। পায়জামা ভিজে ওর ফর্সা শরীরের সাথে লেগে গেছে। এতে ওর শরীরের অবয়ব এহসানের চোখের সামনে স্পষ্ট। কিন্তু সে চায় না এই মুহূর্তে নিজের অপবিত্র চোখ দিয়ে তার পবিত্র নারীর শরীর পরখ করতে। তাই তো ভেজা শরীরখানা নিজের চাদর দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে নেয়।
তাড়াতাড়ি বাড়ির ভেতর ঢুকে তবে কেউ তাদের দেখতে পায়নি তড়িঘড়ি করে রুমে নিয়ে রুমের মেঝেতে মেহনূর কে শুয়ে দেয়! তারপর সে দ্রুত কাজ শুরু করল।
প্রথমে তার নাক-মুখ পরিষ্কার করল, যেন কোনো ময়লা বা পানি আটকে না থাকে।
তারপর দুই হাতে বুকের মাঝখানে চাপ দিতে লাগল। “এক, দুই, তিন…” এহসান নিজের মনে গুনছিল।
৩০ বার চাপ দেওয়ার পর মেহনূরের মুখে মুখ লাগিয়ে দুইবার শ্বাস দিল।
মেহনূরের শরীর একটু নড়ল। এহসান আবার শুরু করল। বুক চাপ আর শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া অবিরাম চালিয়ে গেল। একসময় মেহনূর কাশতে শুরু করল। গলা দিয়ে পানি আর কফ বেরিয়ে এলো।
“শান্ত হও,,” এহসান ফিসফিস করে বলে।
মেহনূর আবারও নিজের জ্ঞান হারায় “!
এহসান মেহনূরে কে রেখে তাড়াতাড়ি এশার রুমে যায় “! গিয়ে দেখতে পেলো এশা নিজ রুমে পায়চারি করছে “! এশা হতবাক হয়ে যায় এমন অবস্থায় তার ছোট ভাইজান কে দেখে কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে যাবে তখনি এহসান বলে উঠে
— তাড়াতাড়ি আয় এশা একটা থ্রী পিস নিয়ে আমার রুমে
এশা কিছু বলতে যাবে আবারও”! এহসান তাড়া দিয়ে বলে
— তাড়াতাড়ি আয় এশা!
এশাও একটা তাড়াতাড়ি ক্যাবিনেট খুলে সামনে একটা কালো রঙের থ্রী পিস নিয়ে এহসানের পিছু পিছু তার রুমে যায়”! গিয়ে মেহনূরের নিতর দেহ খানা মেঝেতে পড়ে দেখে কলিজা মোচড়ে উঠে তার! এহসানের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে
—ভাইজান কি করেছেন আপনি ওর এমন অবস্থা হলো কি করে
এহসান দাঁত চেপে বলে
— চুপচাপ ওর কাপড় চেঞ্জ করে দে! আর ওকে তুই পালাতে সাহায্য করেছিস তাই না এখন তো মনে চাচ্ছে তোকেও ওর মতো পুকুরে ফেলে ডুবিয়ে মারি “!
এশা চুপসে যায় “! এহসান এ কথা বলেই বেরিয়ে যায় এশা মেহনূরে কে কাপড় চেঞ্জ করে বাইরে আসে “”! এহসান ওকে বলে
— এশা এটা যেনো কেউ না জানে না!
এশা মাথা নাড়িয়ে চলে যায় “! মেহনূর কে এসে আলতো করে বিছানায় শুয়ে দেয় “! অতঃপর নিজেরর কাপড় বদলে নেয় “! বিছানার কাছে এসে দেখে মেহনূরের ভেজা চুলে বালিশ সহ বিছার চাদরও ভেজে গেছে “! তাই নিজের গা মুছার টাওয়াল নিয়ে মেহনূরের মাথার পাশে বসে অতঃপর আলগোছে আলগোছে মেহনূরের চুল গুলো মুছে দিতে তাকে মেহনূরের চুলগুলল খুব বেশি ঘন আর লম্বা তাই এহসানের টাওয়াল সম্পুর্ন ভিজে যায় “! এহসান এই টাওয়াল রেখে অন্য একখানা নিয়ে এসে মেহনূরের চুল ভালো ভাবে মুছে দেয়”!
এদিকে এশা রান্নাঘরে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে “! এতে ওর মা বড় ভাবী ছোট মেঝো ভাবী সবাই ভরকে যান হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক ভাবে কাঁদছে কেন এশা”! এনিসা বেগম নিজের সামনে এসে বলেন
আত্মার আগলে পর্ব ২
— কি রে কি হয়েছে এভাবে কাঁদছিস কেনো
এশা নিজের কান্না থামিয়ে বলে
— আম্মা… আম্মা
এ বলে একটু থেমে আবার বলে
— আম্মা আম্মা ছোট ভাইজান মেহনূর কে পুকুরে ফেলে দিয়েছে এখন ও জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে আম্মা তত তুমি কিছু করো
এশার মুখে এমন কথা শুনে সবাই স্তব্ধ হয়ে যান “!