আপনাতেই আমি পর্ব ৪১

আপনাতেই আমি পর্ব ৪১
ইশিকা ইসলাম ইশা

সমস্যা কি আপনার?
ঘুম থেকে উঠে নিজেকে তীব্রর বাহুডরে আবিষ্কার করে প্রথমে খুশি হলেও পরক্ষনে রেগে তীব্রর বাহুডর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেকে ছাড়াতে চাইলে তীব্রর ঘুম ভেঙ্গে যায়। তীব্র তখন রেগে উপরোক্ত কথাটা বলে,
কিন্তু রিদি!!সে নিজের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছে তীব্রর বাহুডর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।এতে কিল,ঘুসি,খামচি কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলেও পেরে উঠছে না তীব্রর শক্তির সাথে।কোন কথাও বলছে না তীব্রর সাথে।যদিও তীব্র আগে অনেকবার জিঙ্গেস করেছে রিদির কি হয়েছে তাকে বলতে। কিন্তু রিদি অভিমানে মুখ ফুলিয়ে কোন কথা বলছে না।তীব্র সকাল থেকেই বৌয়ের ব্যবহার দেখে বুঝেছে বৌ তার হয়তো রেগে আছে।

শুধু রেগে নেই হয়তো কোন কারনে কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু কি?তবে রিদি যে তাকে বলবে না সেটা জানে তীব্র। ভাবতে গেলেও ভাবার মতো পরিস্থিতি নেই তার। বৌয়ের সাথে একপ্রকার যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতি এখন একটাই কাজ যাতে রিদি শান্ত হবে।তাই সময় নষ্ট না করে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবাল ।রিদি তীব্র ছোঁয়ায় আরো ধস্তাধস্তি শুরু করলেও ছাড়ল না তীব্র।কিছু সময় রিদি শান্ত হতেই ছেড়ে দিল।রিদি চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনাজল।তীব্র চোখের পাতায় কয়েকটা চুমু খেল।বৌ শান্ত হয়েছে। কিন্তু কাঁদছে।তীব্রর মেজাজ খারাপ হলেও আপাতত তার বৌয়ের কষ্টের কারণ জানা দরকার।না হলে সমাধান করবে কি করে।তাছাড়া বৌয়ের ব্যবহার তাকে ভীষণ প্যারা দিচ্ছে। যদিও তীব্র জানে রিদি এমনি এমনি হয়তো রাগ করবে না।তীব্র সকাল থেকে একেক টা কাজ আর কথা ভাবতে লাগল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সকাল সকাল রোজকার মতোই বের হয়েছে তখন রিদির মুড ঠিক ছিল।এরপর ক্লাস চলবে রিদির।ঠিক ১.২০ পর্যন্ত।ক্লাসে কিছু হলে অবশ্যই তাকে কল করা হতো।তাছাড়া মোটামুটি সবাই জানে তীব্রর বৌ রিদি তাই কারও কিছু বলার সাহস হবে না।
রিদি ক্লাস থেকে বের হয়ে আসলে তার ফোনে ম্যাসেজ আসে।এসেও ছিল তীব্র দেখেছেও। এরপর তীব্র রিদিকে কল করে খাবার খেতে যেতে বলে।তখনো রিদির কথায় কোন রাগ, কষ্ট, অভিমান কিছু ছিল না।এর পর আর তীব্রর সাথে যোগাযোগ হয়নি রিদির।তীব্র বলল,
কাল বৃষ্টির জন্য আটকে গেছিলাম জান।সরি তো!!
রিদি কোন প্রতিক্রিয়া করল না।তীব্র আবারো বলল,
কি হয়েছে জান?কেউ কিছু বলেছে?সরি বলছি তো!আপনার বর এতো গুলো সরি!বলেন না কি হয়েছে? শরীর খারাপ করছে?

রিদি তবুও কিছু বলছে না। নিশ্চুপ হয়ে কাঁদছে।তীব্রর রাগ হলো।ঝট করে রিদিকে ছেড়ে উঠে বসল। অশান্তি লাইছে তার।মেজাজ গরম হচ্ছে।রাগ সামলাতে না পেরে রিদির বাহু টেনে এনে বলল,
এই মেয়ে!!এই!!কেন জালাচ্ছিস?কথা বল!
রিদি এবারো নিশ্চুপ হয়ে কাঁদছে।রিদির কান্নায় সহ্য হচ্ছে না তীব্রর।বুকের মাঝে অসহ্য পিরা দিচ্ছে এই কান্না।পারছে না রিদিকে মেরে এখুনি মাটি চাপা দিতে। কিন্তু এই মেয়েটা তার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা। সে না রিদির কান্না সহ্য করতে পারছে আর না কি কারনে কাদছে তা জানতে পারছে। তীব্র তিরিক্ষি মেজাজে বলল,
আই সয়ার রিদি কথা বল!! না হলে সব শেষ করে দিব!

অতিরিক্ত ঠান্ডা কন্ঠের হুমকি শুনে চোখ মেলে তাকাল রিদি।রাগে লাল টকটকে চোখ!! যেন চোখ দিয়েই ভষ্ম করে দিবে, আগুন জ্বালিয়ে দিবে চারদিকে। কপালের রগগুলোও ফুলে উঠেছে। বিধ্বস্ত লাগছে তীব্র কে।রিদি এতোক্ষণ রাগ করে কথা না বললেও এখন তীব্র কে এই অবস্থায় দেখে ভয় পেল। তীব্র রিদির শান্ত হয়ে থাকা দেখে নিজের প্রতি কন্ট্রোল হারালো।একে একে সব কিছু ছুড়ে মারল।হাতের সামনে যা পাচ্ছে তাই ভেঙে ফেলছে। মূহুর্তের ভয়ংকর হয়ে উঠল তীব্র।রিদি তীব্রর এমন রুপ দেখে আঁতকে উঠে স্তব্ধ হয়ে গেল।এমন রুপ মজনু থেকে আজ পর্যন্ত দেখে নি রিদি।যদিও প্রথমে তীব্রর এমন রুপ দেখেছে কিন্তু বিয়ের পর আজ প্রথম আবারো তীব্রর আগের ভয়ার্ত রুপ দেখে রিদি স্তব্ধ হয়ে আছে।উঠে তীব্র কে থামানোর মতো কথা ও মনে হচ্ছে না রিদির।সে মূর্তির মতো বসে আছে।

ভাংচুর এর শব্দে সবাই ছুটে আসলেও রুমের ডোর লক থাকায় বাইরে থেকে দরজা খুলতে,ভাংতে বলছে হয়তো।এর ঠিক দু মিনিটের মাথায় দরজা খুলে রুমে ঢুকে সেই মেয়েটি।রুমের বেহাল দশা দেখে হয়তো কিছুটা ভয় ও পায়।মেয়েটি তীব্রকে থামাতে তার কাছে যেতে গিয়েও যাই না।রিদিকে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকতে দেখে রিদির কাছে আসে।রিদির কাধ ঝাকিয়ে বলে,
স্টপ হিম!যাও ওকে থামাও না হলে!!যাস্ট গো!!
রিদি একবার মেয়েটিকে দেখে তীব্রর দিকে তাকাই।চট করেই বেড থেকে নামতেই ভাঙা কাচের চুকরো পায়ে ঢুকে যায়। তবুও হেটে তীব্রর কাছে আসতেই তীব্র রেগে রিদিকে দেওয়ালে ঠেসে ধরে।এতো জোরে ধরাই ব্যাথায় ককিয়ে উঠল শরীর,
আমার ধৈর্য পরিক্ষা নিচ্ছিস? ধংসলীলা চাচ্ছিস? তীব্রর কথায় রিদি তীব্র কে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।রিদির ধাক্কায় দূরে সরে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে তীব্র।ভয়ংকর দেখাচ্ছে তাকে ।যেন ঘেপা বাঘ। তবে এবার রিদিও রেগে তীব্রর কলার চেপে ধরল।

কালকের মেয়েটি চোখ বরবর করে তাকালো রিদির দিকে। আঁতকে উঠল।তীব্রর রাগ সম্পর্কে ধারনা আছে তার।
রিদি তীব্রর ভয়ার্ত চেহেরা দেখে এখন আর যেন ভয় পেল না।রেগে বলল,
সবসময় নিজের রাগ কে প্রাধান্য দেন কেন?এতো রাগতে হবে কেন?আমি কথা বলছি না তাই!আমি শুধু কথা বলছি না তাই সব ভাংতে হবে?সব ভেঙ্গে চুরমার করলে আমি আপনার সাথে কথা বলব ভেবেছেন!নিজেকে কি মনে করেন আপনি?আপনি যা বলবেন তাই হবে!কোন দেশের প্রেসিডেন্ট আপনি?অসভ্য নষ্টা পুরুষ আপনি,রাগী ভয়ংকর প্রাণী আপনি।আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয়নি তাই বলি নি! বলবোই না!!কি? কি করবেন আপনি হ্যা?কি করবেন?মেরে ফেলবেন?ফেলুন! অসভ্য জঙ্গি লোক!একদম আর ভাংচুর করবেন তো!তো!আমি আপনাকে টেনে থাপ্পর বসাব!

একনাগাড়ে কথা গুলো বলে হাঁপিয়ে উঠল রিদি সে কি কি বলেছে আপাতত তার ধারনা নাই।জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে তাকাল তীব্রর দিকে।তীব্র নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তীব্রকে নিশ্চুপ দেখে পুরো রুমে একবার চোখ বুলাল।কোন কিছু আস্ত নেই। তাছাড়া এটা হসপিটাল তার বেডরুম না কতো পেসেন্ট আছে আশেপাশে তাদের এতো শোরগোলে সমস্যাও হতে পারে ভেবেই কটমট করে আবারো তাকালো তীব্রর দিকে। তবে তীব্র শান্ত চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে রিদির দিকে।
এতো কথা শুনার পরও তীব্রর কোন প্রতিক্রিয়া নেই।সে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এটা তীব্র!!! মেয়েটার বিশ্বাস হলো না।এই মানুষটা তীব্র কি করে হতে পারে!তীব্র!তীব্র চৌধুরী কে কেও রাগ দেখাতে পারে?এটা সম্ভব?আর তীব্র শুনেও নিশ্চুপ!!!
রিদির পুরো রুমে চোখ বুলানোর সময় নজর আসে কালকের সেই মেয়েটির বিষ্ময়কর চাহনি যেন এখানে এখন সে আশ্চর্য জনক কিছু দেখেছে।দেখতে অতিরিক্ত ফর্সা মেয়েটা সুন্দর বটে।রিদি জানে না মেয়েটা কে?তবে জানার প্রবল ইচ্ছা জাগল।যাই হোক সব কিছু এই মেয়েটার জন্যই হয়েছে।আর মেয়েটা এখন তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,
আপনি???

রিদির কথায় ধ্যান ভাঙল মেয়েটির।
আমি মোনা।তীব্রর.. বন্ধু!
রিদি একবার তীব্র কে দেখে বলল,
কেমন বন্ধু?
মোনা সংকোচ বোধ করে বলে,
একসাথে পড়াশুনা করেছি!
রিদি কি বুঝল চটপট বলল,
আমি ওনার ওয়াইফ!
মেয়েটি যেন জানত রিদি তীব্রর ওয়াইফ।সে তীব্র কে দেখল।কেমন স্মহিত হয়ে তাকিয়ে আছে রিদির দিকে যেন রিদি ছাড়া কেউ নেই কিছুই নেই,এতো কিছুর পরেও যেন সে কিছু করে নি , নিষ্পাপ।রিদির এতো কথা শুনে যেন সে শান্ত হয়েছে।শান্ত বাচ্চাদের মতো দাড়িয়ে আছে।মনে হচ্ছে যেন রিদি তাকে পানিসমেন্ট দিয়েছে এদিক ওদিক না তাকিয়ে রিদির দিকে তাকিয়ে থাকার। আর তীব্র অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করছে।তীব্র কাউকে এতো তীব্রতার সাথে ভালোবাসতে পারে এটা কল্পনাও ছিল না।মেয়েটি ভাবনা থেকে বেরিয়ে বলল,

দেখেই বুঝতে পেরেছি।তীব্র অনেক বেশি বদলে গেছে!বলতে গেলে পুরোপুরি বদলে গেছে!
মেয়েটির কথায় তীব্রর তবুও কোন রিএকশন নেই।সে যেন সম্মোহিত হয়ে আছে রিদিতে।এমন কি দেখে এই মেয়েটার মাঝে।বুঝল না মোনা। সুন্দর !!হয়তো সুন্দর!!মায়া মায়া চেহারা। শ্যামকন্যা!বুক চিরে বেরিয়ে এলো একটা দীর্ঘশ্বাস।
এদিকে রিদি একটু সরার জন্য কদম ফেলতেই বুঝতে পারল সে হাঁটতে পারছে না।পা শুধু নড়াতেই ব্যাথায় টনটন করে উঠলো।নিচে তাকাতেই দেখতে পেল রক্ত। রক্ত অনেকটা জায়গা লাল হয়ে আছে।রিদি নিচে থেকে মুখ তোলার আগেই ঠাসস করে থাপ্পর পরল গালে।রিদি হতবাক হয়ে তাকালো তীব্রর দিকে। এতোক্ষণের শান্ত তীব্র আবারো আশান্ত হয়ে উঠল।রিদির গাল চেপে ধরে রেগে বলল,

তুই কি আমাকে বাঁচতে দিবি না?মেরে ফেলতে চাইছিস?বল?
রিদি টলটলে চোখে তাকালো তীব্রর দিকে।রিদি মোটেও এখন থাপ্পর আশা করেছিলো না।তবে এটাও জানে তীব্র কে এখন শান্ত না করলে আবারো অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে।রিদি চট করেই জরিয়ে ধরলো তীব্র কে।।রাগে পুরো শরীর মৃদু কাঁপছে তীব্রর।রিদি আরো একটু শক্ত করে ধরল। তীব্র হাত মুঠো করে আছে তখনো ধরে নি রিদিকে।মোনার দিকে তাকিয়ে করে বলল,
ফাস্ট এইড বক্স দাও !ফাস্ট!মোনা আহত চোখে দুইজন কে দেখে বক্স তীব্রকে দিল। তীব্র রিদিকে ছাড়িয়ে বেডে বসিয়ে পায়ের কাছে বসল।হাঁটুতে রিদির পা তুলে ধীরে কাচের টুকরা বের করতেই রিদি দাঁত চেপে তীব্রর কাধের শাট খামচে ধরলো।তীব্র একটু ঝুকে পায়ে ফু দিচ্ছে দেখে রিদি নিচু মস্তিষ্ককে বসা তীব্রর দিকে ভালো করে তাকালো।নিজে ডাক্তার এটা কি ভুলে যাই তীব্র! ডাক্তাররা এতো নার্ভাস হয় নাকি?

তীব্র রিদির পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিল। তীব্রর ব্যান্ডেজ করার মাঝেই আমির রুমে ঢুকে। এতোক্ষণ বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়নি গাড।রুমের বেহাল অবস্থা দেখে অবাক হয়ে তাকালো।এটা তার ছেলে ছাড়া কেউ করবে না জানে আমির।তাই আপাতত কিছু বললেন না।তবে রিদির পা কেটে যাওয়ার জন্য রেগে দুইজন কেই কিছুটা বকল আমির।সব পরিস্কার করে রিদি আর তীব্রর খাবার দেওয়া হল। খাওয়া শেষ করে রিদিকে মেডিসিন দিল তীব্র। এরপর লাবিব কে দিয়ে আনা ল্যাপটপ নিয়ে বসল সোফায়!রিদি তীব্র কে সোফায় দেখে ভু কুঁচকে তাকাল।রিদির রাগ তীব্রর প্রতি তখনো কমে নি।তাই ঝাঁঝালো গলায় বলল,

মোনা নামের মেয়েটি কি শুধু আপনার বন্ধু?
তীব্র ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে তাকালো রিদির দিকে,
আপনার কি মনে হয়?
তীব্রর উল্টা প্রশ্নে রিদি কটমট করে বলল,
আপনার মতো বর যার আছে তার বন্ধু মনে না হওয়াই স্বাভাবিক!
তীব্র তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল,
বন্ধু না জিএফ ছিল!!
রিদি থম মেরে তাকালো তীব্রর দিকে।তার মানে তার ধারনা ঠিক ছিল। ক্যাফেতে হাত ধরে বসা সেসব বন্ধু হিসেবে ছিল না।রিদির কষ্টের সাথে রাগ ও বাড়ল,
তাই তো ক্যাফেতে হাত ধরে বসে থেকে কান্না করলেও কিছু বলেন না!অথচ ভাব এমন করেন যেন মেয়েদের ছোঁয়ায় এলার্জি। পুরানো প্রেম মনে পড়েছে বুঝি!!
তীব্র কোন উত্তর করল না।আর না রাগ করল।ভু কুঁচকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে রইল রিদির দিকে। তীব্র উত্তর দেওয়ার বদলে প্রশ্ন করে!

আপনাতেই আমি পর্ব ৪০

বৃষ্টিতে কেন ভিজেছেন??
রিদির চটজলদি রাগ হলো,
কেন ভিজেছি!কারন আপনার রংলীলা আমার সহ্য হচ্ছিল না।ক্যাফেতে একটা মেয়ে আপনার হাত ধরে কাঁদছে আর আপনি তাকে ….
কান্নার কারনে আর কিছু বলতে পারল না।তবে তীব্রর এমন ভাবসাব দেখে মনে হল সেই সঠিক।তীব্র ও কিছু বলল না।আবারো মনোযোগ দিল ল্যাপটপের দিকে!!

আপনাতেই আমি পর্ব ৪২