আপনাতেই আমি পর্ব ৭৮
ইশিকা ইসলাম ইশা
আমার আম্মু কোথায়?
আমেনা রিদির কাঁপা কাঁপা গলায় বলা কথা শুনে। অনেক বড় সত্যি অজানা ছিল তার। আম্মু !!ডাকটা কি সহজে ডেকে উঠল রিদি!একে হয়তো বলে আত্মার সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক!আমেনা একটু থেমে বলে,
সেদিন রাতে রুপেশের সাথে আমার ভীষণ ঝরগা হয়।সেটা তোকে নিয়ে।তোকে আমার একদম সহ্য হতো না। তুই আমার অস্তিত্বে থাকলেও তোর প্রতি বিশেষ কোন দরদ ছিল না।মূলত আমি চাইছিলাম তোকে আমার শরীর থেকে বের করে ফেলতে।আমি এতো মহান হতে পারছিলাম না তোর মায়ের মতো।এটা নিয়েই ভীষন ঝরগা হয় রুপেশের সাথে।
আদিয়া আড়াল থেকে সবটা শুনে রুমে ঢুকে টলমলে চোখে আমার পেটের দিকে চেয়ে বলে,
আমার বাচ্চা কে আর একটা মাস সময় দাও আমেনা!আমি তোমার হাত জোর করছি!!
রুপেশ রাগী গলায় আমার উদ্দেশ্য বলে,
আমেনা!!তোমাকে ভালো মতো বলছি আমাকে রাগীও না খবরদার যদি বাচ্চার কিছু হয় তো!!
তো!!তো!তো কি করবে তুমি মেরে ফেলবে আমাকে!! তাছাড়া বাচ্চা তো তোমার আরো দুটা আছে ওদের তো তুমি সময় দাও না! আর এই বাচ্চার কথায় এতো গায়ে লাগছে কেন? সম্পত্তির জন্য!!ভুলে যেও না আমি তোমাকে ভালোবেসে সব ছেড়েছি!!!
হ্যাঁ মেরে ফেলব!!তোমার পেটের সন্তান তোমার না হলেও সে আমার সন্তান!!আমার সন্তানদের জন্য তোমাকে এতো ভাবা লাগবে না।
একদম সন্তান সন্তান করবে না রুপেশ!আমি ঘৃনা করি তোমার সন্তান কে!!রুপ, রায়ান ই তোমার সন্তান!এই বাচ্চা আমি কিছুতেই রাখব না!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রুপেশ রেগে আমার গায়ে হাত তুলতে আসলে আদিয়া রুপেশ কে ধরে ফেলে!!
দয়া করুন রুপেশ!!আমার বাচ্চার ক্ষতি করবেন না প্লিজ!!আমেনা তুমি বলো!!তুমি কি চাও!!তুমি যা চাও তাই হবে!আই প্রমিস আমি তোমাকে সেটায় দিব!! তবুও আমার বাচ্চার ক্ষতি করবে না!
আমি তখন বলেছিলাম,
আমি রুপেশ কে কারো সাথে ভাগ করতে চায় না!!
আদিয়া আমার কথায় তাচ্ছিল্য হেসে বলে,
সে তো আমার কখনো ছিলোই না আমেনা!তোমাকে ভাগ করা লাগবে না। সত্যি জেনে আমি আগেই ছেড়ে দিয়েছি।যদি চাও কাগজ কলমে ত….….
রুপেশ চেঁচিয়ে বলে,
দিয়া!!!!!!!
আদিয়া তোর বাবার চেচানোতে তাচ্ছিল্য হেসে বলে,
আপনি কখনো আমাকে ভালোই বাসেন নি রুপেশ।তবে এটা নিয়ে আর কিছু বলছি না। কিন্তু আমেনার এখন পুরো জীবন পড়ে আছে আপনার সাথে কাটাতে। আমার বেবি হলে আমি ওকে নিয়ে চলে যাব! কখনো আপনাদের মাঝে আসব না!
রুপেশ রেগে চট করে চেপে ধরলো আদিয়া কে।রেগে বলল,
ও আমার সন্তান!!!
হাসালেন রুপেশ!পিতা আপনি হলেও আমার সন্তান আমি সাথে নিয়ে যাব। আপনার তো শুধু সম্পত্তি চাই তাই না!আমি দোয়া করছি আপনার অনেক সম্পত্তি হোক তবে আপনি নিঃশ্ব হয়ে যান!
আমি ওদের কথায় বিরক্ত হয়ে বলি,
আমি এভাবে সংসার করবো না!আমাকে আমার শশুর বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে!আমার সন্তানদের সবার সামনে পিতৃপরিচয় দিতে হবে!
আদিয়া একবার টলমলে চোখে রুপেশের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে আমেনার দিকে তাকিয়ে বলে,
আমি নিজে তোমাকে তোমার শশুর বাড়ি দিয়ে আসব!আই প্রমিস!!আমি শুধু আমার বাচ্চার সুরক্ষা চাই আমেনা।আর কিছু না। তুমি যা যা বলবে তাই হবে আমি তোমাকে ওয়াদা করছি!!তবুও আমার সন্তানের ক্ষতি করো না প্লিজ!!
এইটুকু বলেই বেরিয়ে যায় আদিয়া।রুপেশ আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আদিয়ার পিছু পিছু ছুটে।রুপেশ টাকার লোভে এতকিছু করলেও কোথাও তো আদিয়ার জন্য তার মনে কিছুটা জায়গা ছিল।
এরপর তোর দাদুকে জানানো হয়।তিনি সাফ সাফ বলে দেয় সে রুপেশ কে ত্যাজ্যপুত্র করবে। তিনি কখনো আমাকে তার ছেলের বৌ মেনে নিবেন না। কিন্তু আদিয়ার রিকুয়েষ্ট এ তিনি বাধ্য হয় আমাকে মির্জা বাড়ির পুএবধু হিসেবে গ্রহন করতে।আয়োজন করে আমাকে ঘরে তোলা হয় আমাকে।
আমার রুপ দেখে সবাই ধরে নেয় প্রথম বৌ সুন্দর না তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে রুপেশ। তাছাড়া বাচ্চার বিষয়টাও সবাই ধরে মেনে নেয়।আদিয়া বাচ্চা জন্ম দিতে অক্ষম তাই রুপেশ দ্বিতীয় বিয়ে করেছে লুকিয়ে।আবার তাদের জোড়া বাচ্চাও আছে।আর একটা পেটে! তাছাড়া আদিয়া নিজেই দ্বিতীয় বৌ ঘরে তুলতে কোন ঝামেলা করে নি তারা যদি এভাবে সুখে থাকে তাহলে থাক!!আদিয়া সন্তান গুলোকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করবে সে তো আর সন্তান জন্ম দিতে পারবে না!একেক জনের মুখে একেক কথা সবটাই মুখ বুজে সহ্য করেছে দিয়া।
আমাকে মির্জা বাড়িতে আনার কয়েকদিন পরেই খবর আসে তোর নানু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ইমারজেন্সি আদিয়াকে ঢাকায় যেতে হবে।আদিয়া নিজে ড্রাইভ পারত তাই সেদিন বাবার অসুস্থতার খবরে দিশেহারা হয়ে নিজে যেতে চাইলেও তোর দাদা যেতে দেয় নি। ড্রাইভার সাথে পাঠিয়েছিল।আদিয়া যাওয়ার আগে বার বার বলছিল আমার মেয়েটার খেয়াল রেখো আমেনা।আমি জলদিই ফিরে আসব!!
আদিয়া বেরিয়ে যাবার প্রায় ৪ ঘন্টা পর খবর আসে আদিয়া যে গাড়িতে ছিল সেটা এক্সিডেন্ট হয়ে খাদে পড়ে গেছে।আগুনে পুড়ে গেছে গাড়ি।দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা গাড়ির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি আর।
রিদি তীব্রর বুকে মাথা এলিয়ে দিল। তীব্র ছোট্ট একটি শ্বাস ফেলে আগলে রাখল।এমন না যে এসব জানে না।সে সবটা খুব ভালো ভাবেই জানে।অনেক আগে থেকেই জানে।সে চাইনি রিদি তার অতীত জানুক।একটার পর একটা রহস্য উন্মোচন হোক।বৌ নিয়ে তীব্র ভীষণ পসেসিভ।রিদির কষ্ট তার সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।তীব্র এতো শক্ত মানুষ হয়েও মা মেয়ের দিকে দূর্বলতা প্রকাশ পায় তার।
আমেনা আবারো বলে,
এর কয়েকদিন পর একটা খবর আসে।তোর নানু খুব অসুস্থ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে।তোর নানুর ভাই ছিল ইংল্যান্ডে সে ই তোর নানুকে নিয়ে চলে যায়।এরপর তুই হলি।
তোর মা মারা যাবার পর তোর নানু আদিল খাঁন খুব চতুররতার সাথে তার সমস্ত সম্পত্তি তোর নামে উইল করে দিয়ে যায়। সেই উইলে স্পষ্ট লেখা ছিল ১৮বছরের আগে তুই সম্পত্তি কাউকে হস্তান্তরক করতে পারবি না আর না তা ব্যবহার করতে পারবি।১৮ বছরের আগে তোর যদি কিছু হয় তবে তারক সমস্ত সম্পত্তি ট্রাস্ট এ চলে যাবে।আর তোর বিয়ের পর তোর সন্তান সে প্রোপাটির ৫০% পাবে।
তোর নানুর করা উইল দেখে রুপেশ রেগে যায়। তবে তোর দাদু তোর নানুর চতুরতায় খুশি হয়েছিলেন।রুপেশ যে তার কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেছে তা তিনি বুঝেছিলেন।তাই ছেলের উপর তিনি বিশেষ ভরসা করতেন না।তাই তিনি ছেলের নামে সম্পত্তি না দিয়ে গোপনে সেটা তোদের তিনজনের নামে করে দিয়েছে।
দিন গড়িয়ে সময় চলেছে তার মতো।এর মাঝে তুই বড় হতে থাকিস। কিন্তু আমার তোকে সহ্য হতো না।এই নিয়ে তোর দাদা আমার উপর রাগ করত।তোর দাদা দাদি থাকাকালীন তারাই তোকে আগলে রেখেছে। তাছাড়া রুপেশ তো ছিলোই।
হুট করে যখন রুপেশ গায়েব হয়ে যায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায় না তার।সবাই ধরে নেয় রুপেশ বেঁচে নেই। কিন্তু আমার মনে হতো ও বেঁচে আছে। রুপেশ নিজেকে মৃত ঘোষণা করে গড়ে তুলেছে নতুন নামে তার পাপের রাজ্য।ক্ষমতা পেয়েছে,পেয়েছে অনেক টাকা।
একদিন কল করে আমাকে সবটা বলে রুপেশ।আমি প্রথমে এসব করার জন্য বারন করলে আমাকে হুমকি দেয়।তোর সম্পদ যুক্ত করে সে আরো শক্তিশালী হতে চায়। ক্ষমতার এতো লোভ জন্মেছে যে তোদের প্রতি তার কোন ভালবাসা কাজ করে না।
হাঁপিয়ে উঠেছেন আমেনা।এদিকে রিদি প্রতিক্রিয়া হীন পড়ে আছে তীব্রর বুকে। এতোক্ষণ কান্না করলেও এখন আর কান্নাকাটি করছে না।তার প্রিয়,শান্তির জায়গায় আছে সে। তাইতো এতোকিছু জানার পরেও ভেংগে পড়ে নি। শক্ত করে ধরে রাখা মানুষটা তাকে শক্ত হতে সাহায্য করছে।
আমেনা আবারো বলে,
তোকে আগলে রাখার বিশেষ কারন ছিল তোর নানু।তোকে ঘরবন্দি করার কারন বলতে তোর নানু তোকে তার সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে তোকে নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল।কিন্তু আমি দিই নি তোর বাবার কথায়।তোর নানু চেষ্টা করেছিল তোকে নিয়ে যাওয়ার। সরাসরি না!বলতে গেলে বুঝিয়ে বা জোর করে তোকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।তোর নানুর পাওয়ার খাটিয়ে হলেও তোকে সাথে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু তখন রুপেশের কালো দুনিয়ার ও ক্ষমতার প্রভাবে তিনি পারেন নি।
আর এই কারনে তোকে ঘরকুনো করে রেখেছি।সব জায়গায় নিয়ে যাইনি।স্কুল,কলেজ এগুলোতেও তোকে দরকার ছাড়া যেতে দেয়নি।তোর পরিচয় গোপনে রেখেছি বাইরের বেশিরভাগ মানুষের থেকে।তবে তোর ১৮ বছর হওবার আগেই তোর বাবা তোকে দিয়ে সম্পত্তি লেখানোর ব্যবস্থা করে রাখে।
তাইতো আজানা, অচেনা ,পরিচয়হীন , সামান্য দাড়োয়ান মজনুর সাথেই তোর বিয়ে দিতে দ্বিমত করে নি।বরং দিয়ে আরো সহজে তোর সবকিছু নিজের নামে করে নিতে চেয়েছে।
তবে চক্র কি দেখেছিস।যাকে সামান্য একজন দাড়োয়ান ভেবে গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল সে নিজেই নিজেকে গুটি করে সামনে রেখেছিল তোর জন্য!
তোর কি মনে হয় তোর ১৮ হওয়ার পর তোর বিয়ের পর তোর বাবা তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করেনি।করেছে! কয়েকশত বার করেছে।যা তোর অজানা।তোর ধারনার বাইরে।এতো চেষ্টা করেও তোর কিছু করতে পারেনি।কারন কি জানিস!কারন তীব্র!তোর সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তোর প্রথম সন্তান হারানোর পিছনেও আছে রুপেশ।রাদিফ তোকে ভালোবাসে সেই দূর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে সেদিন তোর ক্ষতি করার চেষ্টা করে।ইভেন রোজ কেও কিডন্যাপ করে রাখে।সদ্য জন্মানো বাচ্চাকে তোর থেকে দূরে রাখে।
আবারো হাঁপিয়ে উঠেছেন আমেনা বেগম।বয়স হয়েছে। এতোক্ষণ সবটা বলে যেন হাঁপিয়ে উঠলেন আবারো।রিদি তীব্রর বুকে আরো একটু সিটিয়ে গেল। তীব্র এহাতে রিদিকে ধরে মাথায় হাত রাখল। এমনটা না যে সে নিজে এসব বলতে পারতো না।পারতো তবে সে চেয়েছে রিদি সবটা আমেনার থেকেই শুনুক।
আমেনা হাঁপিয়ে উঠে দরজার দিকে তাকাতেই নজরে এলো রুপ কে।রুপ স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছে।হয়তো শুনেছে সব! বাবার প্রতি রুপের বিশেষ কোন টান না থাকলেও বাবা হিসেবে এখন মানুষ টাকে কল্পনা করলেও গা ঘৃনায় গুলিয়ে উঠলো তার।থম মেরে দাঁড়িয়ে থেকে এগিয়ে আসলো মায়ের কাছে।
“এতো কিছু করে কি পেলে আম্মু!!!
আমেনা রুপের দিকে তাকিয়ে বলল,
ধোঁকা!!!
রুপ অবাক হয়ে বলল,
মানে??
আমি তোর বাবার সব খারাপ জেনেও তোর বাবাকে ভালোবেসে সব খারাপ কাজে তার সঙ্গ দিয়েছি। ভালোবাসা নাকি অন্ধ!দেখ আমি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ!আমি অন্ধের মতো বিশ্বাস করে গেছি।অথচ সে!সে আমায় এতোটা বছর ধোঁকায় রেখেছে।আমি এতো কিছু করার পরেও তার কাছে আমি মূল্যহীন!আমার সামনে সে অন্য মেয়ের………
আমি যখন সহ্য করতে না পেরে বলি সব বলে দিব তীব্র কে!তখন আমাকে হুমকি দেয়।তোদের ও রিদির মতো মেরে দিবে!এরপর আমাকে বন্দি করে রাখে একটা অন্ধকার ঘরে।
সেদিন সুযোগ বুঝে আমি পালিয়ে আসি।এসেই আগে তীব্রর কাছে আসি।সবটা বলি।আমি জানতাম না তীব্র আগে থেকেই সবটা জানত।এরপর আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে! আমি……..
তীব্রতা একা ঘুমাচ্ছে তীব্র??
রিদির কথায় তীব্র ভূ কুঁচকে তাকাল রিদির দিকে।মেয়েটা কান্না করছে না কেন? এতো স্বাভাবিক কেন?আমেনা,রুপ দুইজনেই তাকালো রিদির দিকে।
কি হল বলুন!থাক আমি ঘরে গিয়ে দেখছি!!মেয়েটা আমার অনেকক্ষন একা আছে! চলুন ঘরে!
রুপ বোনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখ মুছে নিল।বাবাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসত রিদু।বাবা গায়েব হওয়ার পর রিদি বলত,
আপনাতেই আমি পর্ব ৭৭
আপু আমি বড় হয়ে শহরে যাব।তারপর বাবাকে খুজে বের করব।রুপ দেখেছে বাচ্চা রিদির বাবার জন্য কান্নাকাটি করা।কি অসম্ভব ভালোবাসত রিদু!ভালোবাসত!হয়তো আর কখনো বাবা শব্দ টা মুখ থেকে বের হতেই ঘৃনা লাগবে রিদির।কোন বাবা কিভাবে তার রক্তের সন্তান এর সাথে এমন করতে পারে।আদো সে কি বাবা!বাবা কি এমন হয়!!কই আমির ও তো বাবা!বাবা হিসেবে যেমন বেস্ট শশুর হিসেবে তার তুলনা নেয়।তবে কি তাদের ভাগ্যে খারাপ!
রুপের ভাবনার মাঝেই রিদি তীব্রর হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো।ধীর পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে আসল।রোজ তখনো ঘুমিয়ে আছে।রিদি ধীর পায়ে গিয়ে ঘুমন্ত মেয়েকে কোলে তুলে বুকে চেপে ধরল।রোজ নড়েচড়ে মায়ের বুকের উষ্ণতায় আবারো ঘুমিয়ে পড়ল।রিদি চুপচাপ মেয়েকে বুকে চেপে বসে রইল।