আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২৪

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২৪
ইশিকা ইসলাম ইশা

গাছপালায় ঘেরা অন্ধকার ঘন জঙ্গল থেকে প্রানপনে ছুটছে রিদি!ঠিক তার পিছনে পিছনে ছুটছে মজনু মিয়া!রিদি আজ দেখেছে ভয়ংকর হিংস্র দৃশ্য।একটা মানুষ কতটা নির্দয় আর ভয়ঙ্কর ভাবে একটা মানুষ কে মারতে পারে তা আজ নিজের চোখে দেখেছে।
রিদি ছুটতে ছুটতে হুট করেই কিছুর সাথে বেধে ধপ করে পড়ল পাতার উপর। স্তব্ধ পরিবেশে রিদির পায়ে ধন্নি থেমে গেলেও শুকনো পাতার উপর একজোড়া পায়ের পদধ্বনি ছুটে এলো তার কাছে!রিদি উঠে আবার দৌড়ানোর আগেই খপ করে ধরে ফেলল রিদির হাত।কিছু বুঝার আগেই ঝট করে কোলে তুলে নিতেই রিদি চেঁচিয়ে উঠলো,
ছাড়ুন আমাকে মজনু !কে আপনি?কি চাই?কেন এসব করছেন?
মজনু কিছু না বলে রিদিকে নিয়ে গেল জঙ্গলে ঘেরা সেই অন্ধকার জায়গায়।রিদিকে নামিয়ে বাঁকা হেসে চুপচাপ পায়ে পা তুলে বসল চেয়ারে।ঠিক তার সামনে পড়ে আছে একটা লাশ। বিকৃত লাশ!রিদির শরীর শিউরে উঠলো।ভয়ে শক্তিহীনের মতো ধপ করে বসে পড়ল মাটিতে। দৃষ্টি তার সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকা মজনু মিয়ার দিকে!

কে আপনি?
মানুষ!!(নেশাক্ত কন্ঠে বলল)
রিদি চমকালো,ভরকালো,স্তব্ধ হয়ে গেল মজনু মিয়ার কথা শুনে। মানে সে কথা বলতে পারে। এতো দিন ধরে নাটক করেছে,মিথ্যা বলেছে।রিদির রাগ হলো তাঁদেরকে মিথ্যা বলে, ধোঁকা দিয়ে কি হাসিল করতে চাই এই লোক!
কি চাই আপনাদের?কে আপনি?
আচমকা মজনু মিয়া চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে বসল রিদির সামনে। আপাতত রিদির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মুড নাই তার।কারন রিদিতার কান্নায় ভেজা ভেজা আঁখি যুগল আর ভয়ে কম্পিত ঠোঁট জোড়া খুব টানছে তাকে। এতোক্ষণ নিজেকে কন্ট্রোল করলেও এখন আর পারছে না। এতো কাছে থেকে নিজেকে সামলাতে পারল না।আচমকা মজনু মিয়া উরফে তীব্র আকরে ধরল রিদির ঠোঁট জোড়া।রিদি স্তব্ধ,পাথরের মতো শক্ত হয়ে আছে। তীব্র রিদির রসালো ঠোঁট জোড়া দখল করে নিজের ঠোঁটের তৃষ্ণা মেটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।আফিমের নেশার মতো যত পাচ্ছে আরো চাচ্ছে ঠোঁটের অমৃত সুধা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রিদির টনক নড়ল কয়েক মিনিট পর। ততক্ষণে তীব্র গভীর ভাবে আকরে ধরেছে রিদির ঠোঁট জোড়া।রিদি ধাক্কা দিয়ে সরাতে চাইলে তীব্র রিদির দু হাত পেছনে মুচড়ে ধরল। তীব্রর হুস নেই।সে তার শ্যামকন্যার কোমল ঠোঁটে মজেছে আজ।রিদির ততক্ষণে মোচরামোচরি শুরু হয়েছে। তীব্র রিদির ঠোঁট তবুও না ছেড়ে একদম নিজের সাথে লেপ্টে ধরল।রিদির নরচর বন্ধ হয়ে গেল। প্রায় দশ মিনিট পর ছাড়তেই রিদি জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগলো।
তীব্র নেশাক্ত কন্ঠে স্লো ভয়েসে বলল,
ধীরে ধীরে শ্বাস নাও ।কজ আই ওয়ান্ট ইট এগেইন ফর লং টাইম!
রিদি চমকে বড় বড় শ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলে নেওয়ার আগেই তীব্র ধৈর্যহীনের মতো আবারো আকরে ধরল রিদির ঠোঁট জোড়া।উম্মাদের মতো শুরু করল ঠোটের অত্যাচার!রিদি তীব্রর এই অতিরিক্ত রোমান্স সহ্য করতে না পেরে ঙ্গান হারালো। রিদি ঙ্গান হারাতেই তীব্র রিদির ঠোঁট ছেড়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল নিজের বুকের সাথে।
“লিপ কিস করতেই যদি ঙ্গান হারান। তাহলে বাসরের প্রতিটি স্টেপ যখন আপনার উপর এপ্লায় করব তখন কি করবেন ব্ল্যাক রোজ!”

কথাটা নেশাক্ত কন্ঠে বলে আবারো বলল তীব্র,
“আমাকে আপনার অস্তিত্বে ধারন করতে অনেকটা সহ্য করা লাগবে জান।আপনার বরের ধৈর্য্য কমে আসছে! আপনি খুব খুব বেশিই ডেসপারেট করে তুলছেন আমায়!
এতোটা এলোমেলো করে দিচ্ছেন পরে আপনি ঙ্গান হারালেও আমি ঙ্গান ফিরিয়ে আপনাতে মত্ত হবো! প্রস্তুত হন!”
তীব্র ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে রিদিকে কোলে তুলে নিতে নিতে বলল,
আল্লাহ হয়তো আমার ধৈর্য্য বাড়িয়ে দিন নয়তো বৌয়ের সহ্য ক্ষমতা বাড়িয়ে দিন।এই টুকু তো বৌ আমার!!আমিন! আমিন!আমিন!

গাড়ি চলছে আপন গতিতে। তীব্র একধ্যানে তাকিয়ে আছে রিদির ফুলে ওঠা ঠোঁট জোড়ার দিকে।আর রিদি সে ঙ্গানহীন পড়ে আছে তীব্রর বুকে। তীব্র গভীর নিঃশ্বাস নিজের ভেতরে টেনে নিয়ে বিরবির করে বলল,
বৌ টা তার এতো সফট কেন?একটু ছোয়াতেই ক্ষত চিহ্ন সৃষ্টি হয়!এই বৌ নিয়ে সে বাসর করবে কিভাবে!এই বৌ এতো নাজুক কেন?নাকি সে বেশি ডেসপারেট!!
তীব্র স্টেয়ারিং ধরে এক হাতে রেখে গাড়ি চালাচ্ছে।অপর হাতে রিদিকে নিজের সাথে ধরে রেখে কথাগুলো ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।এই বৌ তাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না আজকাল! আবার সাহস ও বেশ হয়েছে!

তীব্রর গাড়িকে ফলো করে চলছে লাবিব। তীব্র আসলে যাচ্ছে কোথায় সেটাই সে বুঝতে পারছে না। মির্জা বাড়ি ছেড়ে এসেছে অনেক আগে!মানে বস মিজা বাড়ি যাচ্ছে না।তবে কি ঢাকা ফিরছে? কিন্তু সাথে ভাবি! থুক্কু ভাবিমা আছে!
তীব্রর গাড়ি গ্রামের পথ পেরিয়ে চলে এলো মেইন রাস্তায়! লাবিব গালে হাত দিয়ে যখন ভাবনায় মত্ত!গাড়ি এসে থামল গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটা লেকের ধারে।ইট দিয়ে বাঁধাই করা লেকটা চারদিকে একদম শান্ত।তীব্রর গাড়ি থেমেছে কিছুটা দূরে। আশেপাশে শুধু গাছ আর গাছ।তবে লেকের ধারে শান্ত পরিবেশে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে জোনাকি পোকা।লাবিবের গাড়ির আসার কিছু সময় পর আরো একটি গাড়ি এসে দাড়ালো। লাবিব দীর্ঘশ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল সেদিকে। গম্ভীর মুখে বলল,
মানিক লাশের কি ব্যবস্থা করেছো??
বস যা বলেছে। বাজারের বটগাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে এসেছি।
ওকে!বস ভাবিম… ভাবির সাথে আছে চারদিকে নজর রাখো!
ওকে!

গাড়ির ভেতরেই সিট ডাউন করে বেডের মতো জায়গায় শুয়ে আছে দুইজন মানব মানবি।রিদির লম্বা চুল গুলো গুছিয়ে পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে তীব্র! একবার ঙ্গানহীন রিদির দিকে চেয়ে রিদির গায়ের ওরনা আলতো করে সরিয়ে এসি চালু করে দিয়ে ক্লান্ত ভঙ্গিতে রিদির
গলায় মুখ গুঁজে রিদির শরীরের ঘ্রাণ টেনে নিল!রিদির শরীরের স্পর্শে ক্লান্ত শরীর যেন আরাম পেয়েছে ।রিদির বুকে এসে মাথা রাখতেই মনে হলো যেন পৃথিবীর সব শান্তি এই মেয়েটার মধ্যে আছে। তীব্র মুখ তুলে রিদির পুরো মুখে অজস্র চুমু দিয়ে আবারো মাথা রাখল রিদির বুকের উপর। তীব্রর মনে হলো এমন শাস্তি আর আরাম আর কোথাও নেই।চারদিকে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক আর রিদির হৃদস্পন্দন দুটোই আজ মোহনীয় লাগছে। ক্লান্ত তীব্র সব ভাবনা সাইডে রেখে রিদিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখ বুজে বিরবির করে বলল,
“আমার সুখপাখি আপনি জান! এইটুকু ছোয়ায় এতো শান্তি দিচ্ছেন।”

চারদিকে তখন সূর্যের আলো ফুটতে শুরু করেছে।রিদি ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ শুনে। পিটপিট করে চোখ খুলে মাথার উপর নজর যেতেই মনে হল ঘরের ছাদ যেন খুব কাছে চলে এসেছে।রিদি চোখ বন্ধ করে আবার খুলল।একই দৃশ্য দেখে চোখ জোড়া খুলল পুরোপুরি!হাত,পা নাড়াতে চাইলে বুঝল সে নড়াতে পারছে না কারো গরম নিঃশ্বাস গলার কাছটায় বারি খাচ্ছে। মস্তিষ্কে জোর দিতেই মনে পড়ল রাতের ঘটনা।ঝট করে উঠতে চাইলেও উঠতে পারল না। মনে হচ্ছে ৮০-৯০ কেজি ওজনের কিছু তার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।রিদি মোচরামুচরিতে তীব্রর ঘুম হালকা হলো।জোরে শ্বাস নিতেই নাকে এসে বারি বারি খেল পরিচিত সুবাস। তীব্র রিদির গলায় নাক মুখ ঘষতেই রিদির চিৎকারে হালকা একটু উঠে তাকালো রিদির রাগী চেহেরার দিকে। তীব্র সকাল সকাল টাসকি খেল বৌয়ের এমন রাগী চেহেরা দেখে।সে তো এমন রাগী চেহেরা দেখে নি।দেখেছে সাদা সিধে আর ভয়ার্ত চেহেরা। যদিও তার ভয়ার্ত চেহেরায় কাঁপা কাঁপা ঠোঁট জোড়া প্রিয় তবে রাগী লুকেও সে ফিদাহ!হাইরে কি দিনকাল আসল! তীব্র আরো কিছুক্ষণ বৌ কে দেখতে চাইল কিন্তু বৌ তার আজ সত্যিই রন মূর্তি ভয়ংকর রুপ ধারন করেছে,
ছাড়…ছাড় আমাকে শয়তান!তোর সাহস কি করে আমাকে এখানে আনার!তাও আবার…
ছাড়!!আমাকে বলছি খবিশের বাচ্চা! শয়তান!ছাড় বলছি!
তীব্র রিদির এমন ভয়ঙ্কর চিৎকার শুনে রিদির উপর থেকে উঠে সিটে বসল হেলান দিয়ে।রিদি উঠতে চাইলে বুঝল শরীর তার প্রচুর ব্যাথা।রিদির ভয় বাড়ল।তার ধারনা মজনু তাকে অঙ্গান করে তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার সাথে…..

রিদির ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এলো।সে ব্যাথাযুক্ত শরীর এ উঠে বসল। স্তব্ধ হয়ে থেমে গেল।
তীব্র তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদির দিকে।হুট করেই রিদির শান্ত হয়ে যাওয়া তাকে ভাবাচ্ছে!এই বৌ না এখনি চিৎকার করছিল আবার এখুনি শান্ত হয়ে বসে আছে কেন?না কাঁদছে না…….
ব্যস!!এইটুকু ভাবতেই রিদি হুট করেই তীব্র কে ধাক্কা দিল। হঠাৎ এমন আক্রমনে তাল সামলাতে না পেরে তীব্রর মাথা গিয়ে বারি খেল জানালার সাথে।সাথে সাথেই রিদি কান্নাভেজা রাগি আর তেজি গলায় চেঁচিয়ে বলল,
কেন করলি এমন?কি ক্ষতি করেছি আমি তোর?কে তুই?কি চাস!!!!
কি চাস?তুই কি চাস!হাহ..যা চেয়েছিস পেয়ে তো গেছিস!ভোগ করেছিস আমাকে! আমার সুযোগ নিয়েছিস!ছিছছছ…..

তীব্রর ভু কুঁচকে যায়। আবার সেই ভোগ!তবে এবার আর রাগল না রিদির পরবর্তী কথার জন্য প্রস্তুত হল।আজ বৌয়ের সব কথা শুনবে।সব অভিযোগ শুনবে।যা বলে বলতে দিবে।
রিদি আবারো চিৎকার করে বলল,
তুই জানতি না আমি বিবাহিত!জানতি না বল?তাহলে কেন এসব করলি?তুই মানুষ খুন করেছিস আমি দেখেছি তার জন্য কি তুই আমার সাথে…..এতো জঘন্য কেন তোরা??
হুট করেই রিদি নিভে গেল তীব্র কে ছেড়ে ধপ করে বসে পড়ল সিটে।চোখ মুখ লাল হয়ে আছে তার।শরীর থেমে থেমে কাঁপছে।রিদি একটু থেমে আবারো বলল,
মেরে ফেললি না কেন তুই আমায়!মেরে ফেল!প্রিয়ার মতো আরো একটা প্রিয়ার আজ মৃত্যু হোক!আমি মৃত্যু বরন করতে প্রস্তুত কিন্তু কলঙ্ক নিয়ে বাঁচতে প্রস্তুত না।মেরে ফেল আমাকে!মারছিস না কেন?
তীব্র নিশ্চুপ হয়ে বৌয়ের কথা শুনছে।এমন না যে তার রাগ হচ্ছে না।তবে আজ সে বলতে দিচ্ছে।না হলে এখুনি গলা টিপে বলত,মরবি না মর!
রিদি এবার ডুকরে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো,
আমাকে মেরে ফেল এখুনি মেরে ফেল।আমি এই কলঙ্ক নিয়ে বাঁচতে চাই না।আমি পারব না বাঁচতে!আমাকে মেরে ফেল প্লিজ!আমি বাঁচতে চাই না।হুট করেই রিদি পাগলের মতো এদিক ওদিক করল কিছু না পেয়ে আবারো চিৎকার করে উঠল।

তীব্র এবার রেগে নিজেকে প্রকাশ করার আগেই রিদির কথা শুনে থেমে গেল।
রিদি দু হাতে নিজের মুখ ঢেকে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
কোন মুখে আমি তার সামনে দাড়াবো!এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি।ঘৃনা হচ্ছে আমার নিজের প্রতি।এতো কিছু করতে পারলি আর আমার জান টা নিতে পারলি না!!
তীব্র অবুঝ গলায় বলল,
কার সামনে??
রিদি হুট করে রেগে তীব্রর গলা টিপে ধরে বলল,

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২৩

তোদের মতো নরখাদক কিভাবে বুঝবে।নিজের সসতিস্ব স্বামী ব্যাতিত অন্য কেউ হরন করলে কেমন লাগে!
তীব্র এক ধ্যানে তাকিয়ে দেখল রিদি কে।এই সামান্য শক্তি দিয়ে তীব্রর গলা টিপে ধরায় তীব্রর যদিও কোন সমস্যা নাই।তবে রিদির তীব্রর প্রতি স্বামী হিসেবে মান্য করাটা বেশ খুশি করল তাকে।
তীব্র রিদির দু হাত দু হাত গলা থেকে টেনে রিদিকে বুকে জরিয়ে ধরলো!রিদি চিৎকার আর ছোটাছুটি করছে। তীব্র খুব শক্ত করে রিদিকে নিজের সাথে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
রিল্যাক্স!কিছু হয়নি আপনার সাথে!কিছু করিনি আমি!সারারাত শুধু নিজের ভর আপনার উপর ছেড়ে শান্তিতে ঘুমিয়েছি!৮৫ কেজি ওজন নিজের উপর নিতে শিখুন ব্ল্যাক রোজ!!

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ২৫