আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৭

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৭
ইশিকা ইসলাম ইশা

মির শুরু থেকে সবটা বলা শেষ করতেই নাজমা চৌধুরীর মাথা ঘুরে উঠল। আশ্চর্য হয়ে তাকালো তীব্রর দিকে।দাড়ি মুচে ঘেরা মুখখানা দেখে চিনতে বেগ পোহাতে হলো। সেদিন রিদিকে বাড়ি থেকে বের করার পরে নাজমা চৌধুরী রিদির সাথে কোন যোগাযোগ করে নি।কারনটা ছিল তীব্র!নাজমা চৌধুরীর যোগাযোগ আবার ছোট মেয়েটার জীবন ঝড় না বয়ে আনে তাই আর যোগাযোগ করা হয়নি। তাছাড়া বাড়ির পরিস্থিতিও ছিল অস্বাভাবিক।সেদিনের পর তীব্র আরো বেপরোয়া হয়ে উঠল।একদম যোগাযোগ বন্ধ করে দিল।নাজমা চৌধুরী চারদিকের টেনশনে হসপিটালাইজ ও ছিল কিছুদিন।তবে তীব্রর এখানে আসার কারনটা নাজমা চৌধুরীর কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হলো না। সামান্য কারনে তীব্র কখনোই এই বেশে এখানে আসবে না।তবে কি কারন???নাজমা চৌধুরী হতভম্ব হয়ে একটা চেয়ার টেনে সেখানেই বসলেন।এই ছেলে তাকে একদিন হ্যাট এটাক দিয়েই মেরে ফেলবে….
নাজমা চৌধুরী নিজেকে সামলাতে সামলাতে আশেপাশে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখল।সবাই নিশ্চুপ!তবে কেন??

সবাই এমন নিশ্চুপ ভয় পেয়ে এভাবে দাড়িয়ে আছে কেন??
মির চারদিকে একবার তাকিয়ে হামি তুলে বলল,
ওর বৌ ঘুমাচ্ছে তাই!!!
কিহহহ??
মির রান্নার জায়গাই উকি মেরে একটু আরাম করে বসে আবারো হামি তুলে বলতে শুরু করল কিছু মূহুর্ত আগের ঘটনা,
“””মানসিক চাপে ক্লান্ত রিদি যখন ক্লান্তির অবসান ঘটিয়ে ঘুমে ঢলে পড়ল তীব্রর বুকে। তীব্র হচকচিয়ে রিদির মাথা বুকে চেপে ধরে মুখটা নিচু করে দেখল ছোট্ট একটা পাখির মতো চোখ বুজে থাকা পুঁচকে বৌটাকে।ঘুমন্ত বাচ্চা বাচ্চা মাসুম চেহেরা দেখে তীব্র লোভ সামলাতে পারল না।সব ভুলে টপাটপ চুমু বসাল রিদির ফোলা ফোলা গালে।সে তীব্র চৌধুরী!বৌ কে আদর করতে তার কোন জায়গার হিসেব করা লাগে না।তবে ১০০খানেক মানুষের মধ্যেমনি হয়ে চুমু খাওয়ার ব্যাপারটা ক্ষিপ্ত গ্রামের মানুষের কাছে অধিক বাড়াবাড়ি পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই রিদিকে কোলে করে বসানো নিয়ে তাঁদের কথার শেষ নাই।সেটা কোনমতে মির তার কথার জাদুতে ধামাচাপা দিলেও চুমু!!চুমু তাদের কাছে অসভ্যতা!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

দুইজন লোক এমন অসভ্যতা দেখে তেড়ে এসে বেলাল চাঁন মানে রুপেস মির্জার চাকর আরকি সোজাসাপ্টা তীব্রর শার্টের কলার ধরে ঝাকাতে শুরু করল। এতে রিদি নড়েচড়ে উঠতেই তীব্রর ধরে রাখা ধৈর্য্য ভেঙে গেল।একে তো বৌটা ঘুমাচ্ছে তার উপর তীব্রর কলার ধরার সাহস করেছে। তীব্র চৌধুরীর কলার ধরার সাহস কি আর এমনি এমনি চুকে যাবে!
মূহুর্তেই পকেটে থাকা গান তেড়ে একজন হ্যাংলা পাতলা লোকটার পায়ের ঠিক মাংসাশী জায়গায় চালিয়ে দিতেই লোকটা চিৎকার করতেই তীব্র একহাতে রিদিকে বুকে চেপে লোকটার গলায় বন্দুক ঢুকিয়ে দেয়।যেন সে চিৎকার করতে না পারে।
গ্রামের মানুষ এমন দৃশ্য দেখে ভয়ে জমে গেছে।তা এগিয়ে আসতেই তীব্র রিদির কানে পকেটে থাকা ইয়ারফোন গুজে দিয়েই ধাক্কা মেরে লোকটাকে ফেলে গান তাক করে হাওয়াই ফায়ার করে।সাথে সাথে তেড়ে আসা অপর একজন বেহুঁশ হয়ে মাটিতে পড়ল।
মিনিট কয়েকের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখে সবাই যখন ভয়ে, আতঙ্কে নিশ্চুপ তখন শান্ত এই পরিবেশে দীর্ঘ নিশ্চুপতা ভেঙে তীব্র বলল,

Don’t make noise.she is sleeping…….
আতঙ্কের পরিবেশে তীব্রর কথা শুনে কিছু মানুষ যেমন অবাক,হতবাক,নির্বাক হয়েছে,আবার আজানা কিছু মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে আতঙ্ক!আবার কিছু মানুষ তীব্রর ইংরেজি না বুঝে ভয়ে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে!! আবার কেউ ভয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে!!১০০খানেক মানুষের একেক রকম অনুভুতিতে তীব্রর কোন ভাবাবেগ নেই সে রিদির মাথা নিজের ঘাড়ে দিয়ে শরীর টা নিজের সাথে ভালোভাবে জরিয়ে ওরনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে আবারো গম্ভীর গলায় শান্তস্বরে বলল,

আপনাদের তামাশার জন্য ওর ঘুমের ডিস্টার্ব হলে সবগুলোকে এইভাবেই শান্ত করব!!আর খবরদার যদি কেউ এই মিজা বাড়ির প্রাঙ্গনে থেকে একপাও এদিক ওদিক করেছে তো!!
আজ সারারাত আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান চলবে তাই আজ রাতে কেউ ঘুমাবে না। যে ঘুমাবে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করব আমি।প্রথমবার তাই গুলিটা পায়ে লেগেছে এবার যে একটা টু শব্দ করবে একদম কপাল বরাবর শুট করে দিব।
তীব্রর খুব ঠান্ডা হুমকিতে বিষ্ফোরণ ঘটালো ওদের মধ্যে। মূহূর্তের মধ্যেই পুরো জায়গা নিরব হয়ে গেল। আর তেড়ে আসা আরো একজন ভয়ে ঙ্গান হারিয়ে পড়ল মাটিতে।
চারদিকে তখন শুধু আতঙ্ক।আমেনা বেগম আর আলিশা শকড্ হয়ে আছে।তারা হয়তো মজনু মিয়াকে সস্তা ভেবে বস্তা ভরে ভুল করেছে।রক্তে লাল হয়ে যাওয়া জায়গাটা দেখে থরথর করে কাঁপতে লাগল আমেনা বেগম।আলিশা নিজেও শকড্।ভাবেনি এমন কিছু ঘটবে!আলিশা মজনুর দিকে তাকিয়ে দেখল দাঁড়ি মুচে ঘেরা মুখখানা।চোখ ছাড়া আর কিছু তেমন বোঝা যায় না। কে?এই মজনু মিয়া??
এদিকে গুলির শব্দে রান্নার জায়গা থেকে হুট করেই ছুটে এলো মির। বেচারা সবেই একটু বসেছিল কিন্তু গুলির শব্দ তাকে আর বসতে দিল না।মির সামনে পড়া দুইটা -তিনটা মানুষ কে দেখে হতবুদ্ধি হয়ে বলল,
কি করলি এসব??

তীব্রর মেজাজ খারাপ হল।খিচে যাওয়া মেজাজ নিয়ে শান্ত স্বরে দাঁত চেপে বলল,
বাল করলাম!!চোখে দেখিস না।
এই এদিকে এসে এইটারে চোখের সামনে থেকে নিয়া যা।
তীব্রর কথায় দুইটা গাড ছুটে এসে গুলি করা লোকটাকে তুলে নিয়ে গেল।মির এক পলক তীব্র কে দেখল ,রিদিকে শক্ত করে বুকে আগলে নিয়ে আছে। মির ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে ছুটল লোকটার দিকে।লোকটাকে হসপিটালে নিয়ে যেতে বলে হতাশ হয়ে ফিরে এলো।একবার চারপাশে দেখে বলল,
মারলি কেন??
মারিনি!!
মারিসনি মানে??
বাল!! নিজেই মরতে এখানে এসেছে।
সব বাল আমার হাতেই মরতে চাই তার বেলায় কিছু না আর আমি মারলেই তখন দোষ……
কি করেছে বলবি তো??

ওকে চুমু খেয়েছি আমি এতে ওদের গায়ে ফোস্কা পড়ে কেন ?ওরা তেড়ে এসে আমার কলার ধরছে।যদি বৌ টার ঘুম ভেঙ্গে যেত!নিহাত বালের এই বৌটা আছে তাই নয়তো এদের আমি……
থাম ভাই থাম! বুঝলাম আমি…..
তাছাড়া রিদি ঘুমাচ্ছে ওকে রুমে….
মিরকে কথা শেষ করতে না দিয়েই তীব্র ক্ষিপ্ত সুরে বলল,
বালের কথা বলছিস!ওকে রুমে রেখে আসলে এখানে একটাও মানুষ বাঁচবে!আমি দিব বাঁচতে!! প্রত্যেক টা নোংরা কথার হিসেব নিব না!! যতক্ষণ বৌ আছে এদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি আছে!বৌ নাই তো সব কটাকে বিনা টিকিটে উপরে পাঠাব!!
মির তীব্রর কথায় অসহায় দৃষ্টিতে দেখল শুধু বুকের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা এক মায়াবীনিকে।তীব্রর মেজাজ দেখে ওকে আর ঘাটালো না।বলা তো যায় না।পাগলা ঘোড়া কখন ক্ষেপে যায়। শান্ত আছে আপাতত শান্ত থাকতে দেওয়াই উওম কাজ।

এদিকে তীব্র উরফে মজনুর কথায় গ্রামবাসীর মনে অধিক ভয়ের আভাস পেল লতিফা বেগম।একপলক সবার হতভম্ব হওয়া মুখখানা দেখে বিরবির করে বলল,
“পোলা তো না রে এইতো আগুনের গোলা””বাপরে!!
রিয়া দাদির বিরবিরানি দেখে বলল,
তুমি জানো তাই না মজনু কে??
লতিফা বেগম হামি তুলে বলল,
তুই ও জানতে পারবি সবুর রাখ!সবুরে মেওয়া ফলে।
বর্তমান,
এদিক নাজমা চৌধুরী সবটা শুনে স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে বলল,
এতো ডেসপারেট কবে থেকে হলো??এই ছেলেই তো ওমন নির্দয়ের মতো ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেল এই গ্রামে।কি হচ্ছে এসব??
মির একটু থেমে ধরা গলায় বলল,
তীব্র ডেসপারেটলি লাভ হার!রিদিকে পাগলের মতো ভালোবাসে।রিদি ওর কাছে নেশার চেয়েও নেশাময় দাদি!
নাজমা চৌধুরী মিরের কথায় তীব্রর আগের সেই বৌ বৌ করা বিষয়টা আমলে নিয়ে ভাবলো সবটা।তবে তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।এটা কিভাবে সম্ভব!! তীব্র আর ভালবাসা!

রাত তখন প্রায় ১টা বেজে ২০ মিনিট এর কাছাকাছি,
পুলিশের গাড়ি এসে পৌঁছেছে মিজা বাড়িতে।দুই ভ্যান পুলিশের গাড়ির সাথে সাদা চকচকে একটা সরকারি গাড়িও এসে থেমেছে মিজা বাড়ির প্রাঙ্গনে। সেখানে থেকে রাগান্বিত অবস্থায় বেরিয়ে এলেন রুপেস মির্জা।খবর তার কাছে পৌঁছেছে আগেই।তবে তিনি বুঝেছেন মজনু মিয়া লোকটা সুবিধার না।তবে রুপেস মির্জা ও কম যায় না।সকল ব্যবস্থা করেই তবে এসেছেন গ্রামে।গাড়ির অপর পাশ থেকে নেমে এলেন এমপি আবু জাহির উদ্দিন!মূলত রুপেস মির্জা এমপি আবু জাহির কে নিয়ে এসেছে মজনু মিয়া নামক মানুষটাকে কাহিনী শেষ করতে। তাছাড়া সেদিন বাড়িতে আগুন লাগার পিছনে মজনুর হাত আছে সেটাও ইতিমধ্যে জেনেছে তিনি।মূলত রুপেস মির্জার ভাবনা অনুসারে মজনু ছদ্মবেশে আসা তার কোন শত্রু।যে চাইছে হসপিটালের পাশের জমি রিদির নামে হওয়াই রিদিকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করতে।
এদিকে রুপেস মির্জা কে দেখেই সবার মাঝে চাপা গুঞ্জন শোনা গেল।আমেনা আর আলিশা ছুটে এলো রুপেসের কাছে।

দেখছ দেখছ তোমার ম্যাইয়া নাগর কেমন জুটাইছে??
বেলাল চাঁন কে গুলি করছে এই পোলাই!!সাহস কতোখানি দেখছ!
রুপেস মির্জা আমেনার কথা তোয়াক্কা না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখল মজনু কে। পরক্ষণেই বাঁকা হেসে বলল,
শেষ সময় চলে এসেছে!! চিন্তা করো না!
আমেনা স্বামীর শয়তানি কথায় কিছুটা ভরসা পেয়ে সরে দাড়ালো।
রুপেস মির্জা নিজের দাম্ভিকতা নিয়ে দাঁড়ালেন তীব্রর বরাবর। চেয়ার টেনে বসল সামনাসামনি। গম্ভীর মুখে বলল,
কে তুই?? আর কি চাইছিস??
তীব্র ভাবলেশহীন ভাবে রিদির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
এতোক্ষণ ধরে আপনার বৌ চুপিচুপি ফোন করে আপনাকে কি বলল মির্জা সাহেব!
ওহহ!! চুপিচুপি বলায় হয়তো শুনতে পারেন নি। সমস্যা নাই আমিই বলছি।আমি আপনার মেয়ের জামাই শ্বশুর মশাই!!
আর কি চাইছি??

আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করে আমার মেয়েকে আনতে চাইছি….
রুপেস মজনুর এমন কথায় কিছুটা বিরক্ত হলেও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলল,
ও বিবাহিত!!
তীব্র উরফে মজনু বাঁকা হাসল।তবে নিজের ভাবলেশহীনতা বজায় রেখেই বলল,
বিবাহিত বৌ বিয়ে করা সুন্নত!!
রুপেস মির্জা মজনুর কথায় অবাক হলেও সেটা বুঝতে না দিয়ে বলল,
আসলে কে তুই??
মজনু রিদিকে কোলের ভেতর টেনে নিতে নিতে শান্ত স্বরে বলল,
আসলে নকলে আমি আপনার মেয়ের জামাই শ্বশুর মশাই!!
রুপেস মির্জা এবার রেগে বলল,
বেশি বার বারিস না ফলাফল খুব ভালো হবে না!
তীব্র রিদির ঘুমন্ত মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রিদির ওষ্ঠের দিকে একবার নজর বুলিয়ে বাঁকা হেসে বলল,
ফলাফল ভালো না হোক !!মিষ্টি হলেই চলবে……
রুপেস মির্জা তীব্রর এমন হেঁয়ালি কথায় এবার অধিক রেগে বলল,
জান বাঁচাতে চাইলে এখুনি এখান থেকে চলে যা…..
তীব্র কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল,

আহা শ্বশুর!!এভাবে চেঁচামেচি করছেন কেন? দেখছেন না ওও কি সুন্দর করে আমার বুকে ঘুমাচ্ছে!আহা!!কি যে আরাম শ্বশুর মশাই কি বলব! ঘুমাচ্ছে আপনার মেয়ে কিন্তু আরাম পাচ্ছি আমি, শান্তি লাগছে,ভালো লাগছে!আপনি মানুষটা জানোয়ার হলেও মেয়ে আপনার একদম র সো গোল্লা!! ইচ্ছে করছে টুপ করে গিলে ফেলি!
কন্ট্রোল হচ্ছে না শ্বশুর সাহেব!আপনি একটু যদি ঘুরে দাঁড়াতেন! মানে ঐ আরকি বৌ কে টপাটপ কয়েকটা চুমু দিয়েই আবারো আমরা কথায় ফিরতে পারতাম!!
এদিকে রুপেস মির্জা যতই খারাপ হোক কিন্তু তীব্রর এমন নির্লজ্জতা দেখে তিনি না চাইতেও হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।তার ভাবনার চাইতেও বেশি নির্লজ্জ মজনু মিয়া।
অপরদিকে লতিফা বেগম তীব্রর এমন কথায় লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে বলল,
অসভ্য পোলা!!

“”দাদি!!সভ্য হলে কি আর আমার রোজ প্রিন্সেস আসবে!মেয়ে আমাকে বার বার বলছে ওকে নিয়ে আসতে! এখন আমি যদি সভ্য হয় !!তবে সে তো আসতে পারবে না””
লতিফা বেগম হচকচিয়ে তাকাল,
মূলত সে ভেবেছিল এখানে থেকে শোনা যাবে না। তাছাড়া তিনি বিরবির করেই বলেছেন। কিন্তু কে জানে এই পোলা আগুনের গোলার সাথে সাথে কান খাড়াও বটে! লজ্জায় লতিফা বেগমের ই কান গরম হয়ে গেছে, ফর্সা গাল টমেটো সস হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে তিনি লজ্জায় ই ঙ্গান হারাবেন!!আহারে বেচারি দাদিমা অসহায় দৃষ্টিতে দেখল তীব্র কে ।এই যে সে এতো লাগামহীন কথা বলছে তাতে বিন্দুমাত্র তার লজ্জা লাগছে না।বরং সে ভাবলেশহীন। তবে চোখ তার শুধু ঘুমন্ত বাচ্চা বৌটার দিকে।এতো সিরিয়াস একটা সিচুয়েশনেও তীব্রর রিদির প্রতি অসম্ভব এই কেয়ার দেখে তিনি স্বস্তি পাচ্ছেন।এই যে রিদিকে এতো যত্ন সহকারে ধরে আছে। ঘন্টার পর ঘন্টা পার হচ্ছে তবুও রিদিকে ছাড়ছে না। আর না নিজে বিরক্ত হচ্ছে!

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৬

লতিফা বেগমের চোখ আজ ছলছল করছে খুশিতে!হোক না একটু এলোমেলো তাতে কি! সবচেয়ে বেশি ভালো তো এই এলোমেলো মানুষটার কাছেই থাকবে!

আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৩৮