আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৭০
ইশিকা ইসলাম ইশা
তীব্র চৌধুরী নিবাস থেকে তীব্র নিবাসে এসেও তার তান্ডব চালাচ্ছে।এক দন্ড থেমে নেই।তীর অসহায় দৃষ্টিতে একবার তীব্র কে দেখে বলল,
রিদি কথাটা অতো বুঝে বলেনি!
তীরের কথায় তীব্র আবারো দেওয়ালে ঘুসি মেরে বলল,
আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে কি পায়? হ্যাঁ??ওর সাহস কিভাবে হয় আমাকে ছেড়ে যেতে চাই!!
তীর হতাশ হয়ে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে দেখল এখনো তীব্রর হাত থেকে ফ্লোরে রক্ত চুঁইয়ে পরছে। তীব্রর রাগ এক অংশও কমে নি।সে বুঝে না শুধু কথাটা উচ্চারণ করতেই যদি এতো রেগে যাই।তবে যদি কোনদিন এমন হয়!তখন???তীর ভাবতেই যেন শুকনো ঢোক গিলল।মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করল আল্লাহ এই পাগল কে বাঁচাতে মেয়েটার কোন ক্ষতি করেন না।নয়তো একটা জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
দেখ ভাই! রিদি ছোট তার মধ্যে ও প্রেগনেন্ট।এই সময় মুড সুইং হয়।তাই হয়তোবা বলেছে।
যতোই বালের সুইং হোক। কিন্তু এই কথা আমি এলাউ করব না। বলেই আবারো জোরে দেওয়ালে বাড়ি মারতেই রক্তে দেওয়াল ও যেন ছেয়ে গেল। তীর ছুটে এসে তীব্রর হাত ধরতেই তীব্র ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতেই তীর ছিটকে গিয়ে পড়ল কারো উপর।
তীর ভাইয়া আপনি ঠিক আছেন???
তীর রুপের দিকে তাকিয়ে হতাশ হয়ে বলল,
ওর হাত থেকে প্রচুর বিলিডিং হচ্ছে রুপ।এমন চলতে থাকলে অঘটন ঘটে যাবে।রিদিকে আনতে হবে।
রুপ কিছুটা রেগে বলল,
ওর জন্যেই এসব হয়েছে!ওকে আনার দরকার নেই।আমি দেখছি!
রুপের কথায় তীর রুপের দিকে তাকিয়ে বলল,
তীব্র চৌধুরীকে সামলাতে পারবে রুপ!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তীর একটু থেমে আবারও বললো,উপরে এক আল্লাহ ছাড়া যে কাউকে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না।সে আজ ভয়ার্ত!জানো কেন?ওর মনে ভয়টা হলো ও রিদিকে না হারিয়ে ফেলে।
রুপ ছলছল চোখে তাকিয়ে রইল তীব্রর দিকে।যে অনবরত দেওয়ালে ঘুসি মেরে চলছে। সহ্য হলো না রুপের।তীরের কথা উপেক্ষা করে ছুটে এসে বলল,
কি করছ এসব?তোমার হাতের অবস্থা খারাপ তীব্র ভাইয়া!!
হোক খারাপ!সব শেষ করে ফেলব আমি।সব!যা এখানে থেকে…. গো….. তীব্রর হুংকারে রুপের রুহ কেঁপে উঠল। তীব্র কে এই মুহূর্তে তার হিংস্র বাঘের মত লাগছে।যার হিংস্রতা পুরো জঙ্গল ছাড়খার করার মতো ক্ষমতা রাখে।
ঠিক তখনি রুমে ঢুকে রিদি।পেটে হঠাৎ ই চিনচিনে ব্যাথায় অনেক কষ্টে তীব্র নিবাসে আসে।রিদি পেটে হাত দিয়ে তীব্রর সামনে দেওয়ালে যেতেই তীব্রর হাত থেমে যায়। তীব্র রিদিকে দেখে চেঁচিয়ে উঠলো,
দূরে থাকতে বলেছি না!যা……
রিদি তীব্রর হুংকারে কেঁপে উঠে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তীব্রকে। তীব্র রিদিকে ছাড়াতে চাইলে রিদি আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তাকে।
থামুন প্লিজ!!অনেক রক্ত পড়েছে!
পড়ুক!আমি শেষ হয়ে যায় এটাই তো চাস তুই!বলেই রিদিকে হালকা ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতেই রিদি এই পর্যায়ে হুট করেই ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় তীব্রর গালে।এবার সবার চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসার পালা।তীর তো ধাক্কায় দু কদম পিছিয়ে যায়।এটা কি হলো??এটা কি হলো??ও মাই গড!!দি তীব্র চৌধুরী বৌয়ের হাতে থাপ্পড় খেয়েছে!এই বেডা নাকি মাফিয়া। পুরো আন্ডারওয়ার্ল্ড যার নামে কাপে সে নাকি বৌয়ের হাতে থাপ্পড় খেয়ে নিশ্চুপ হয়ে আছে! আল্লাহ এই দিন ও দেখার ছিল।তীর মাথা ঘুরিয়ে ইতিমধ্যে বসে পড়ল ফ্লোরে।
সমস্যা কি আপনার? হ্যাঁ??কি সমস্যা?? কিসের এতো রাগ শুনি!কথাটা আমি আনমনেই বলেছি! শুধু এতটুকু কথার জন্য আপনি কি করেছেন খেয়াল আছে আপনার?কি পেয়েছেন টা কি? রক্তের বন্যা বানিয়ে ফেলেবেন।
তীব্র শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদির দিকে। আজ প্রথম রিদিকে এভাবে রাগতে দেখল।চোখে পানি, মুখে তেজ।বাহহহ!!!রিদি চেঁচিয়ে কথাটুকু বলায় পেটের ব্যাথা আরো বাড়তেই বিছনায় বসে পড়ল। তীব্র রিদিকে বসতে দেখে চিন্তিত মুখে বলল,
কি হয়েছে বসলেন কেন??
রিদি কটমট করে বলল,
বসতেও পারব না নাকি আমি!আহহহহ!!!
তীব্র ভাঙচুরের কাচগুলো ঠেলে ঝট করে রিদির পায়ের কাছে বসে রক্তাক্ত হাত রিদির গালে রেখে চিন্তিত মুখে বলল,
কি হয়ছে বৌ? কোথায় লেগেছে?ব্যাথা পেয়েছেন?
তীব্র হুট করে রাগ ভুলে রিদির জন্য চিন্তা করা দেখে সবাই সত্যি অবাক হল। তাঁদের ধারনা ছিল তীব্র রিদির উপর রেগে আছে অনেক।এখন রিদি তার আশেপাশে থাকা সেটা সুরক্ষিত না। নাজমা চৌধুরী সেটা ভেবেই রিদিকে এখানে আসতে দিতে চাইছিল না। তীব্র আবার রেগে না রিদি আর বাবুর ক্ষতি করে ফেলে সেই ভাবনা থেকেই তিনি চাইনি অনাগত সন্তানের ক্ষতি হোক। কিন্তু রিদি জোর করেই এখানে এসেছে।
রিদি পেটের ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে সহ্য করতে না পেরে তীব্রর কাঁধে মুখ গুঁজে দিল। তীব্র ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে সেই রক্তমাখা হাতেই রিদিকে টেনে বুকে চেপে ধরল। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
কি হয়েছে আপনার? কোথায় কষ্ট হচ্ছে?দাদি ও এমন করছে কেন?
নাজমা চৌধুরী কিছু বলার আগেই রাইমা এসে দাঁড়াই।রাইমাকে নাজমাই কল করে ডেকেছে।রিদির পেটে ব্যাথা শুনেই আগে রাইমা কে কল করেছে।রাইমা পুরো রুম আর তীব্রর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে ছুটে এলো। তীব্র রাইমা কে দেখা মাত্রই বলল,
ওকে ঠিক করে দে! আমার বৌকে ঠিক কর।
রাইমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
ওকে শুইয়ে দে তুই বাইরে যা।আমি ওর চেকআপ করব!
তীব্র রিদিকে বুকে আরো একটু চেপে ধরে বলে,
আমি কেন বাইরে যাব?যা করার আমার সামনে কর!
তীব্র পাগল হোস না।ওকে শুইয়ে দে।তুই বাইরে যা।নয়তো ওর ক্ষতি হতে পারে।
তীব্র শুনল।রিদিকে শুইয়ে দিয়ে ভয়ার্ত গলায় বলল,
কিছু হবে না ওর তাই না!
রাইমা তীব্র কে এতোটা পাগলামী করতে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তীব্র এতোটা পাগলামি করতে পারে!!রাইমা রিদিকে চেকআপ করে সাথে সাথে একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়।
এদিকে তীর তীব্রর হাত ব্যান্ডেজ করে দিতেই তীব্র আবারো দরজায় বারি মেরে বলল,
আমার বৌ আমাকে দে!খোল দরজা !!
রাইমার ঢোকা সবেই ২০ মিনিট হয়েছে।বিশ মিনিটে ২০ বার দরজায় বারি মারা হয়েছে তীব্রর।তীর সহ সবাই এখন রিদির জন্য চিন্তিত না হয়ে তীব্র কে নিয়ে চিন্তা করছে।তীর হতাশ হয়ে বলল,
এবার অন্তত থাম ভাই! ধৈর্য ধর!হাতে সবেই ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি। তাছাড়া তোর বৌ রাই খেয়ে ফেলবে না!
তীব্র স্থির হতে পারল না। রুমের বাইরে পায়চারি করতে করতে আবারো বলল,
রাই ভালোই ভালোই দরজা খুলে দে!!নয়তো আমি ভেঙে ফেলব!বলে ধাক্কা দিতেই রাইমা দরজা খুলে দিল। তীব্র দ্রুত রুমে ঢুকে বলল,
বাল করছিলি এতক্ষণ?কি করেছিস ওর সাথে??
রাইমা কিছুটা রেগে বলে,
আমি কিছু করিনি যা করার তুই করেছিস। অতিরিক্ত স্ট্রেস এর কারনে এমন হয়েছে।ঠিক সময়ে না এলে বাচ্চার ক্ষতিও হতে পারত।
তীব্র রিদির পাশে বসে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল,
ওর কিছু হলে আমি সব শেষ করে দিব।
রাইমা কিছু বলল না। শুধু আশ্চর্য হলো।একটা মানুষ সত্যিই কি এতোটা পাগল হতে পারে।সেটা যদি তীব্র হয় তবে ব্যাপারটা যেন আরো বিষ্ময়কর।
দুপুর তখন ১২ টার কাছাকাছি।রিদি পিটপিট করে চোখ খুলতেই নজর এলো তীব্র কে।রিদির কালকের কথা মনে হতেই ঝট করে উঠে বসতে চেয়েও পারল না। তীব্র তাকে দুহাতে পিষ্টে রেখেছে।যেন ছেড়ে দিলেই গায়েব হয়ে যাবে।রিদি নিজের পেটে হাত রেখে আবারো চাইল তীব্রর দিকে। তীব্রর মুখটা তুলে পুরো মুখে ঠোঁট বুলিয়ে বলল,
কোথায় যাব না আপনাকে ছেড়ে। কোথাও না।
তীব্র ঘুম ঘুম কন্ঠে বলল,
সরি!সরি বৌ!সরি!!
রিদি তীব্রর ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে বলল,
আমি সরি!! এত্তগুলা……উমমমম উমমমম….
তীব্র একটু পর রিদিকে ছেড়ে দিয়ে বলল,
কখনো আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলবেন না।আপনি হয়তো বোঝেন না আপনি আমার কাছে কি?
আপনি আমার দুনিয়া বেগমজান।
রিদি তীব্রর মুখটা দুহাতে ধরে বলল,
কোথাও যাব না আপনাকে ছেড়ে।আপনি ছাড়া আমার কোন পথ নেই তীব্র।আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া আপনি।যার উধ্ধে কেউ নেই, কিছু নেই।
দেখতে দেখতে আবারো সময় চলছে তার আপন গতিতে।রিদির ৭ মাস চলছে।পেটটাও খানিকটা উঁচু হয়েছে।দেখতেও বেশ গোলুমোলু হয়েছে। যাকে আমরা হেলদি বলি।
রিদি তীব্রর পিছু পিছু ঘুরছে কিচেনে। তীব্র যেদিকে যাচ্ছে রিদিও সে দিকে যাচ্ছে। তীব্র রিদির জন্য পাস্তা রান্না করছে।তার হুট করেই তীব্রর হাতের পাস্তা খেতে ইচ্ছে করছে। তীব্র ও বৌয়ের হুকুম পালনে হাজির কিচেনে।এই ৭ টা মাস তার অবস্থা নাজেহাল করে ছেড়েছে।সে ভাবেনি তার বৌ এতোটা বাচ্চামি করবে এই সময়ে।হুট হাট রাগ,মন খারাপ,জেদ,বাচ্চামি সব মিলিয়ে তীব্রর মনে হচ্ছে সে একটা বাচ্চা পালছে।
রিদি তীব্র কে পেছনে জড়িয়ে ধরে পিঠে মুখ গুঁজে দাঁড়ালো। তীব্র হতাশ হয়ে বলল,
আবার কি হলো?এভাবে চেপে ধরলেন কেন? চুপচাপ জুস ফিনিস করেন।
রিদি তীব্রর ঢিলেঢালা টিশার্ট এর মধ্যে ঢুকে পেছন থেকে তীব্র কে জড়িয়ে ধরে পিঠে নাকমুখ ঘুসতেই তীব্রর শরীরে মৃদু বাতাস বইয়ে গেল।কাজ করা হাত থেমে গেল। উত্তেজনায় গলা শুকিয়ে যেতেই তীব্র শুকনো ঢোক গিলে বলল,
কি করছেন? ছাড়ুন!!
এহহহ??এটা তো আমার ডায়লগ!
তীব্র রিদিকে টিশার্টের ভেতর থেকে বের করে বলল,
হ্যাঁ!আপনার ডায়লগ কিন্তু বর্তমানে আমি সেটা ব্যবহার করছি!
রিদি ঠোঁট উল্টে কাঁদো কাঁদো মুখে বলল,
ওহহহ!! আপনার আর এখন আমাকে ভালোলাগছে না তাইতো।এমনিতেই আমি সুন্দর না তার উপর দিনদিন বেলুনের মতো ফুলছি।আপনার ভালো লাগবে কিভাবে??
তীব্র রাগ করল না।এসব এই কয়মাসে শুনে শুনে অভ্যস্ত সে।অথচ রিদি বোঝে না সে নিজেকে কিভাবে সামলে রেখেছে। তীব্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিদিকে সামনে এনে গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলল,
আপনাকে এখন আরো বেশি ভালোলাগে বৌ!
রিদি মানল না।ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে উঠে বললো,
আপনি আমাকে ভালোবাসেন না। একটুও বাসেন না।
তীব্র ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে রিদির কান্না দেখছে। পরক্ষনেই দ্রুত রিদিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল,
হুস হুস!!কাঁদে না জান! আচ্ছা বলুন কি করলে আপনি থামবেন?
চুমু দেন!!!
তীব্র আলতো করে আবারো রিদির কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতেই রিদি মুখটা আরো একটু উঁচু করে তীব্রর পায়ের উপর পা তুলে নিজের ঠোঁট দেখিয়ে বলল,
এখানে করেন!
তীব্র রিদির ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলল।সে জানে বৌয়ের স্পর্শে সে কতোটা ডেসপারেট হয়ে যায়।অন্য সময় হলেও ঠিক ছিল কিন্তু এখন না!! তীব্র নিজেকে শান্ত করে গভীর নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
আর কয়েকটা দিন!এরপর অনেক আদর করব!!ততদিনে আপনার পেট থেকে বেবি বেরিয়ে আসুক।
কিন্তু রিদির জেদ সেটাই থাকল।এতো বুঝানোর পরেও সে মানতে নারাজ।একটাই কথা তার আদর চাই মানে চাই! তীব্র হতাশ হয়ে মনে মনে বলল,
পেটের টা নিশ্চয় বাপের জেদ পেয়েছে।নয়তো তার বৌ এতো নির্লজ্জ নয়।
রিদি তীব্রকে ভাবতে দেখে উঁচু হয়ে তীব্রর ঠোঁট কামড়ে ধরতেই তীব্র নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে। এবার আর নিজেকে সামলাতে না পেরে উম্মাদের মতো আকড়ে ধরে রিদিকে।
নাজমা চৌধুরীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অবশেষে বৌয়ের মাসুম চেহেরা দেখে ৭ মাসের সাতের অনুষ্ঠানের জন্য রাজি হয় তীব্র। তীব্র রাজি হওয়াই সবাই বেশ খুশি হয়।তীব্রর নানু,মামা,মামি সহ সবাই খুশি হয়।সবাই মিলেও তীব্র কে যখন রাজি করাতে পারছিলো না তখন তীব্র বৌয়ের মায়াবী মুখখানা দেখেই রাজি হয়েছে।বৌ যখন এদের দলের সদস্য। তখন মানা করা যায় না। তীব্র রাজি হওয়াই মিহি লাফিয়ে উঠে বলল,
খুব মজা হবে এবার!
তীর নাটকিয় ভঙ্গিতে বলল,
দেখছ দেখছ!!আমরা যে এতোক্ষণ খোসামদি করলাম তাতে বান্দা রাজি হলো না।আর এক লুকেই রাজি হয়ে গেল।বৌ পাগলা তীব্র চৌধুরী!
তীব্র কিছু বলল না।আপাতত এদের সাথে কথা বাড়ালে মাথা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।একে তো এতো কোলাহল তার পছন্দ না। কিন্তু বৌয়ের জন্য সব সহ্য করা লাগছে। তীব্র ফুস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে কমলার কোয়া রিদির মুখের সামনে ধরে।রিদি নাকমুখ কুচকে বলে,
আর না!!
অনুষ্ঠান করতে চান কি না??
চায় চায়!!
তো জলদি ফিনিস করেন।
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৬৯
রিদি অসহায় দৃষ্টিতে সবার দিকে একবার তাকালো। তীব্র সবার সামনেই রিদিকে খাওয়াচ্ছে।এটা এখন কোন ব্যাপার না।কারন তীব্র যা করবে তা করবেই।তাকে বলা বা আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই।তীব্রর প্রথম প্রয়োরিটি তার বৌ।তাই এসব লজ্জা টজ্জা তীব্রর ধাঁচে নেই।