আবার বসন্ত পর্ব ৮
ঝিলিক মল্লিক
রুবায়েত লেকপাড়ে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ মিনিট হলো। তাজরীনের আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
রুবায়েত বারংবার হাতঘড়িতে সময় দেখেই যাচ্ছিল। সময়ের ভীষণ মূল্য ওর কাছে। সারাদিনের কাজকর্ম সবকিছু সময় বেঁধে করা। একটা নিয়মমাফিক রুটিনের ওপর নির্ভর করে প্রত্যহ যান্ত্রিক নিয়মে চলতে থাকে জীবন। সেখানে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করাটা বিরাট ক্ষতির ব্যাপার। রুবায়েত স্বাভাবিক মেজাজে আসলেও বিরক্ত-ই হচ্ছে বৈকি। তাজরীনকে দ্রুত আসতে তাগাদা দেওয়ার জন্য ফোনের ফিঙ্গার লক খুলে হাতে নিতেই একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো রুবায়েতের ফোনে। কিছু না ভেবেই কল রিসিভ করলো রুবায়েত। সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ওপাশ থেকে কতগুলো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ছুটে এলো। তিক্ততায় ভ্রু-নাক কুঁচকে এলো রুবায়েতের। প্রথমে ভাবলো, কেউ ফাজলামো করছে। কল কাটতে যাবে, তখনই শোনা গেল; ফোনের ওপাশ থেকে ছোকরা গলায় কেউ বলছে একনাগাড়ে,
“এই হারামজাদা, তুই তাজরীনের কী লাগিস? আশিক হ্যাঁ? আশিকগিরি ছুটাই দিমু পুরা। ওর কাছ থেকে দূরে থাকবি, বুঝছোস? নাকি বুঝোস নাই? কী দুইটা রিগি দেখাইয়া ওর সামনে হিরো সাজতে আসছিলি সেদিন? কী ভাবছিলি? ওই রিগিতে ও তোর প্রেমে পইরা যাইবো?”
রুবায়েতের ধারালো মস্তিষ্ক এবার চট করে ধারণ করে নিলো, ফোনদাতা ব্যক্তিটি কে! অত্যন্ত ভদ্রতার সহিত রুবায়েত জবাব দিলো, “প্রথমত তুই আমার পার্সোনাল ফোন নাম্বার কোথায় পেয়েছিস? দ্বিতীয় কথা, বৈধ বাপের সন্তান হলে ভদ্রভাবে মাফ চেয়ে ফোন রাখ এশরাক। তাছাড়াও, আমি দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, তাজরীনের মতো আত্মবোধ সম্পন্ন মেয়ে কখনোই সামান্য একটা ঘটনায় কারো প্রেমে পড়ে যাবে না। ওকে এতোটা আত্মসম্মানহীন ভাবার সাহস পেলি কোথা থেকে তুই?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আরে রেএ সাহস আমার রগে রগে ভরপুর। তোরে তো দেইখা নিমু!”
“দেখতে তো সেদিন মোটামুটি মানের লাগছিল তোকে বেশভূষায়। তাহলে ভাষা, কথাবার্তা আর আচার-আচরণ এমন ছাপড়ি, বস্তির পোলাপানদের মতো কেন? জাস্ট ফার্স্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং, সময় থাকতে ভাষা আর ব্যবহার ভালো করিস। নচেৎ, পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার কখনো আমার চোখের সামনে বা হাতের নাগালে পরলে সোজা মাটির গেঁড়ে রেখে দেবো তোকে। তখন তোর রগে রগে সাহস খুঁজবো আমি। আল্লাহ হাফেজ।”
রুবায়েত ফোন কেটে দিয়ে লেকের দিকে মুখ করে তাকালো। যতোটা স্বাভাবিকভাবে এশরাকের সাথে কথা বলেছে রুবায়েত, বাস্তবে ততোটা স্বাভাবিক আসলে ও না। ভেতরে মেজাজে জ্বলেপুড়ে কয়লা হয়ে যেতে চাইছে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রেখে ভেতরেই দমন করে রাখলো রুবায়েত। যথেষ্ট স্বাভাবিক ভাবমূর্তি নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো তাজরীনের অপেক্ষায়।
তাজরীন এলো আরো মিনিট তিনেক পরে। রুবায়ত টের পেতেই পেছনে ঘুরে আগে প্রশ্ন করলো,
“এতো দেরি হলো কেন তোমার? আমি কারেক্ট টাইমে এসেছি। কোনো টাইম সেন্স নেই দেখছি তোমার!”
তাজরীনের কথাটা ঠিক গায়ে লাগেনি আবছা আঁধারে। তাই সহসা হাসিমুখে অস্থিরভাবে পা জোড়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, আবার সেখান থেকে একই জায়গায় বদল করতে করতে জবাব দিলো,
“স্যরি। আসলে ওই বিল্ডিংয়ের বিড়ালটা ঝোপের নিচে লুকিয়ে ছিল। ওর মালকিন ওকে খুঁজছিল। তাকে হেল্প করছিলাম, তাই দেরি হলো।”
রুবায়েত এবার শান্ত হয়ে বললো, “ও আচ্ছা। কি বলতে ডেকেছো? দ্রুত বলো।”
“ওখানে বসি?”
তাজরীন হাতের শাহাদাত আঙুলের ইশারায় লেকপাড় ঘেঁষে তৈরি বেঞ্চি দেখিয়ে বলতেই রুবায়েত ভ্রু কুঁচকে একবার ওকে দেখে নিয়ে বেঞ্চিতে গিয়ে বসলো। তাজরীনও অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে আরেক প্রান্তে বসতেই রুবায়েত বললো, “এবার বলো।”
তাজরীন প্রথমে ইতস্তত বোধ করলো। শান্ত হতে চোখ বুঁজে শ্বাস টেনে প্রশ্ন করলো,
“আপনার আমাকে কেমন লাগে মেজর?”
“কেমন লাগে মানে? প্রশ্ন বুঝিনি তোমার!”
অন্ধকারে রুবায়েতর রাশভারী আওয়াজ। তাতে সামান্যটুকু অস্বস্তিও হয় না আপাতত ভ্রমে মগ্ন তাজরীনের। বিভ্রম কাটে না ওর। বরং একই প্রাণবন্ত কন্ঠস্বর জাগিয়ে আবারও বলে,
“জিজ্ঞাসা করেছি, আপনার আমাকে কেমন লাগে?”
“কেমন লাগবে?”
“ভালো নাকি মন্দ?”
“মন্দ কেন লাগতে যাবে? তোমার সাথে কী আমার কোনোরকম বিদ্বেষ বা জমিজমা নিয়ে শত্রুতা? নাকি কোনোকালে মনোমালিন্য হয়েছিল? সুতরাং, অবশ্যই ভালো লাগার কথা।”
“না, মূলত এই ভালো লাগার কথা আমি বলছি না। অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবুন।”
“অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে কেমন? বুঝতে পারছি না তোমার কথা। তুমি কী আমাকে এসব উৎকট আলাপ করতে ভর সন্ধ্যায় ডেকে এনে তামাশা করছো তাজ?”
“আরে আগে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবুন না! তারপর বলছি।”
“হ্যাঁ. . . রুস্তমের বোন তুমি। সেই হিসেবে বেশ ভালোই। সহবত শিক্ষা পেয়েছো ভালো। পারিবারিক শিক্ষা যাকে বলে আরকি।”
“ভালো লাগা এটাকে বলে?”
“আমি বুঝতে চাইছি তাজ, তোমার মতিগতি অন্যরকম, সন্দেহজনক। ক্লিয়ার হওয়া দরকার। সত্যি করে বলো তো, কেন ডেকেছো এখানে?”
“আমার আপনাকে ভালো লাগে।”
কথাটা বলেই মুখ ঘুরিয়ে নিলো তাজরীন। রুবায়েত চকিতে লেকের পানি হতে দৃষ্টি সরিয়ে তাজরীনের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। তারপর দ্রুততার সহিত উঠে দাঁড়িয়ে ওর সামনাসামনি এসে আশ্চর্যান্বিত বললো,
“ওয়েট ওয়েট! এবার আমার কাছে সবটা ক্লিয়ার। ঠিক ওই লেকের পানির মতো-ই স্বচ্ছ। আমি যা ভাবছি, সেটাই?”
“জি। আমি আপনাকে পছন্দ করি। আমার মনে হয় আপনিও. . .”
“না। তুমি ভুল ভাবো তাজরীন! কোন আচরণে তোমার মনে হলো, তোমাকে আমি পছন্দ করি? মানে সিরিয়াসলি?! আশ্চর্য না হয়ে পারছি না আমি। এতোটা ইমম্যাচিউর কেন তুমি?”
“কিন্তু আমি তো আপনাকে. . .”
“তুমি তো আমাকে — কী? আর কী বলতে চাও? এতোটা লজ্জাজনক কথা না বললে চলছিল না তোমার? এক বাচ্চার বাপকে মন দিয়ে বসেছো। ছি ছি! সমাজ কি বলবে!”
রুবায়েত উল্টোদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুই হাতে মাথার চুল চেপে ধরলো। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে ওর।
“আমি আপনার আর লাড্ডুর সাথে ভবিষ্যৎ জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম রুবায়েত।”
তাজরীন বেঞ্চিতে বসেই রুবায়েতের দিকে তাকিয়ে কথাটা বলে। রুবায়েত ঘুরে শাহাদাত আঙুল তাজরীনের মুখের সামনে তুলে নাক খাঁড়া করে বলে,
“বাজে বকো না একদম। কীসের জীবনের কথা বলছো তুমি? নিজের আর আমাদের সবার জীবন বরবাদ করতে চাইছো? তুমি নিজে সুখী হবে আমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলে? আর আমার লাড্ডু? ওর কী হবে ভেবে দেখেছো? একটা জঘন্য সত্যি বলছি তোমাকে। কান খুলে শুনে নাও। সৎমা কোনোদিনও আপন হতে পারে না। তুমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে পারবে না। আমার পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারবে না। তুমি নিজেই তো ইমম্যাচিউর। তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইমম্যাচিউরিটিতে ভরপুর। সেখানে তুমি মানুষ করবে একটা বাচ্চাকে? এসব চিন্তাভাবনা ছাড়ো। তোমার জন্য আমি নিজে একটা ভালো ছেলে খুঁজে দেবো। এখন বাসায় যেয়ে পড়তে বসো। নয়তো ইউটিউব থেকে ইনস্ট্যান্ট ম্যাচিউর হওয়ার টিপস দেখে শেখো। তোমার জন্য উপযুক্ত।”
তাজরীন নিথর বসে আছে। একদৃষ্টিতে রুবায়েতের শাসানো বাচনভঙ্গি দেখছে আর কথাগুলো কানে ঢুকাচ্ছে। যদিও এই মুহূর্তে ওর কানে একটা কথা-ই বাজছে— সৎমা কোনোদিনও আপন হতে পারে না। সে সন্তান মানুষ করতে পারবে না।
এতোটাই অযোগ্য! জীবনে সব পেয়েছে তাজরীন। কাঙ্ক্ষিত সবকিছু। তবে একদিক থেকে হেরে গেছে সে। আর তা হচ্ছে — মাতৃত্ব!
রুবায়েত তাজরীনকে তার দুর্বলতায় আঘাত করেনি। তবে সবসময় এক ট্রমায় অভ্যস্ত তাজরীনের মনে গেঁথে গেছে যে সেটুকুই!
রুবায়েত তখন অনর্গল বলেই চলেছে, — “কিছুক্ষণ আগেই এশরাককে কতোটা গর্ব করে বললাম, তুমি অনেক আত্মসম্মানী মেয়ে। তুমি কখনোই আমার সামান্য সৌজন্যতাবোধপূর্ণ ভালো আচরণ কিংবা তোমাকে প্রটেক্ট করার ওপর ভিত্তি করে আমাকে পছন্দ করে বসবে না। কিন্তু, তুমি আমাকে ভুল প্রমাণ করেছো। লজ্জা হচ্ছে আমার নিজের কথার ওপর! এসব ভুলে যাও তাসনিয়া। তোমার মোহ এসব। দু’দিনের মোহে পড়ে দু’টো কথা সরাসরি বলে দিলেও বা কীভাবে তুমি? অথচ, তোমাকে আমি এমন মেয়ে হিসেবে জানতাম না। ওসব কবি-সাহিত্যিকরা ঠিকই বলেন। — প্রেমে পরলে মেয়েরা ছাগল হয়ে যায়। দেখতে মনুষ্যরূপ। তবে ভেতরে ভেতরে উচ্চমানের ছাগল। মনে মনে তারা পুরো মাঠ চষে বেড়িয়ে ঘাস খায়। কিন্তু বাস্তবে আদতে এসব গ্রহণযোগ্য নয়৷ আমার বিন্দুমাত্র বলতে দ্বিধা নেই— এই মুহূর্তে আমার সামনে তুমি একজন মানুষরূপী ছাগল। মনের অলীক কল্পনা মনে অপ্রকাশিত রাখতে পারোনি— এটা তোমার দোষ, আমার নয়।”
রুবায়েত এতোক্ষণ একটানা কথা বলে বিরাম হলো। জোরে জোরে শ্বান টানতে লাগলো ভেতরে। তাজরীন এতোক্ষণ স্থির নেত্রে চেয়ে সবকিছু গিলছিল। এবার উঠে দাঁড়ালো ও। রুবায়েতের সামনে দাঁড়িয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বললো, “আপনি খুব অহংকারী, দাম্ভিক এবং স্পষ্টভাষী নামের বেয়াদব— তা কী আপনি জানেন?”
রুবায়েত কোমরে হাত গুঁজে হালকা ঝুঁকে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
“জি জানি। এসব পুরোনো কথা। নতুন কিছু বলো। নেক্সট। আমি শোনার অপেক্ষায়। রিজেক্ট হওয়ার পরে মেয়েরা কি বলে, তা জানা নেই। নতুন অভিজ্ঞতা হউক।”
“রাখুন আপনার আত্মম্ভরিতা আপনার কাছে। আপনার সব কথা আমি গায়েও নিইনি মেজর। তবে একটা কথা খুব গায়ে লেগেছে। আপনি বললেন না? সৎমা কখনো আপন হয় না? এটা ভুল জানেন আপনি। শতকরায় আটানব্বই শতাংশ খারাপ হলেও দুই শতাংশ ভালো হয়। আর আমি সম্ভবত ওই দুই শতাংশের মধ্যে পরতাম। এটা আমার আত্মবিশ্বাস। তাই আপনার কথাটা আমার গায়ে লেগে গেছে। আমি কোনো অবলা নই রুবায়েত, যে নিজেকে অবলা মনে করে আপনাকে মন দিয়ে বসেছি; আপনাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ভেবে ফেলেছি। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে গেছে। এখানে আমার কী দোষ? আপনি আসলে একজন নিষ্ঠুর লোক। লাড্ডুর স্বাধীনতা দিতে পারেননি। এখন আবার এভাবে— ·”
“হ্যাঁ। ঠিক এই জায়গাটায় আমার সমস্যা! যদিওবা ধরে নিলাম, তুমি আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়েছো; তখন তুমি কী করতে জানো? লাড্ডুকে ধীরে ধীরে তোমার মতো তৈরি করে ফেলতে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও ও তোমার মতো ইমম্যাচিউর, ফ্যাসিস্ট এন্ড ষ্টুপিড হতো। ছেলে আমার কলিজার টুকরা। ওর এমন দুরবস্থা আমি নিজ ভুলে কখনো হতে দেবো না তাজরীন। ও আমার আদর্শ ছেলে হবে। তাছাড়াও, দ্বিতীয় বিয়ে কখনো করতাম না আমি৷ নিজের ছেলেকে একা হাতে মানুষ করতে পারবো৷ সিঙ্গেল ফাদার হয়েই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেবো। সুতরাং, তোমার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।”
“আমি ভেবেছিলাম, আপনিও বোধহয় আমাকে পছন্দ করেন। কিন্তু নিজের রূঢ় আচরণের দ্বারা আমাকে ভুল প্রমাণিত করলেন রুবায়েত। মানুষ যাকে-তাকে মন দেয় না। তবে আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমি হলাম ছাগল। যত্রতত্র ঘাস ভেবে ভুলবশত মুখ দিয়ে বসেছি। সবাই সবকিছুর যোগ্য না। ভালো থাকবেন। আর লাড্ডুকে দয়া করে একটু স্পেস দেবেন।”
আবার বসন্ত পর্ব ৭
তাজরীন কথা বাড়ালো না আর। ওড়নার আঁচল শক্ত করে জাপ্টে ধরে উল্টোপথে পা বাড়ালো। দু’ফোঁটা দুর্বোধ্য জল গড়িয়ে পরলো ঘাসের ওপর। রুবায়েত বিধ্বস্ত ভঙ্গিতে ধপ করে বসলো বেঞ্চির ওপর। একটিবার ঘুরে তাকিয়ে দেখলো না, দূর আঁধারে একজন চরম অভিমান এবং অপমানে জর্জরিত হয়ে ফিরে যাচ্ছে নীড়ে। থামানোর প্রয়াস নেই কোনো, আর না-তো অভিমান ভেঙে অপমানিত করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার। বরঞ্চ, জীবনের কঠিন বাস্তবতা সহসা বুঝিয়ে দিতে পেরেছে ভেবে ভেতরকার আত্মম্ভরিতা আরো বাড়লো বৈ কমলো না।