আযদাহা সিজন ২ পর্ব ৩৪ (২)
সাবিলা সাবি
রাত গভীর থেকে গভীরতম। পাহাড়ি বাতাসে হালকা কুয়াশা মেশানো। মাথার উপর দাঁড়িয়ে আছে এল্ড্র গাছ ড্রাগন রাজ্যের পবিত্র বৃক্ষ আর সেই বৃক্ষের নিচেই দাঁড়িয়ে আছে ফিওনা আর জ্যাসপার। গাছের রুপালি পাতাগুলোতে টুপটাপ করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। ফিওনা আর জ্যাসপার ভিজে আছে পুরোপুরি—ফিওনার রেশমি ফ্রক বিশিষ্ট পোশাকটা গায়ে লেপ্ট আছে, চোখে রয়েছে এক অনির্বচনীয় অপেক্ষা।
জ্যাসপার ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে,বৃষ্টি থেমে গেছে অনেক আগেই ।চারপাশ নীরব। পাতার গায়ে শেষ কয়েকটা ফোঁটা পড়ে ঝরে গেলো।
ফিওনা ফিসফিস করে বললো, “it’s cold…”
জ্যাসপার হালকা হাসলো। গাছের নিচ থেকে এলকোহলের বোতলটা তুলে নিয়ে বললো “Then let me warm you, হামিংবার্ড…”
গাছের নিচে শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাও যেন প্রকৃতি কিছুটা তেজি হয়ে উঠছে। ফিওনা এক পা দু পা করে পিছিয়ে গেলো, গাছের সাথে একবারে ঠেকে যায় তার পিঠ।
আর জ্যাসপার এক পা দু পা করে এগিয়ে যায় তার দিকে। তার চোখে ফুটে উঠে আগুনের মত এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা,ঠোঁটে একরাশ তৃষ্ণা। ফিওনার পেছনে সরে যাওয়া দেখে জ্যাসপার বাঁকা হাসলো।
আচমকা ফিওনা এক ঝটকায় এক টানে জ্যাসপারকে নিজের আরো কাছে টেনে নিলো।
আর তারপর, জ্যাসপার আর এক বিন্দু সময় নষ্ট না করেই ফিওনার ঠোঁট দখল করে নিলো নিজের ঠোঁটের আয়ত্তে। তীব্রভাবে, রাফভাবে, যেন কোনো দমন নেই, কোনো শ্বাস নেই, শুধুই একে অপরকে চাওয়া ছাড়া।
ফিওনার শরীর কেঁপে ওঠে ক্ষনে ক্ষনে কিন্তু তবুও সে থামেনা।।তার ঠোঁট, তার ভাষা—আজকে শুধুই জ্যাসপারকে চায়, তার ভেতর দাউ দাউ আগুনের লাভা জ্বলে উঠলো।
জ্যাসপার একের পর এক চুম্বন করেই যাচ্ছে রাফলি—
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তার ঠোঁট একে একে ফিওনার ঠোঁটজোড়ায় শুষে নিতে থাকে।যেন তার আত্মা,তার হৃদয়, তার পোক্ত ভালোবাসা একত্রিত হতে চায় এই স্পর্শে।
ফিওনার ঠোঁটের নিচে জ্যাসপার মৃদু কামড় বসায়, শুরুতে হালকা, কিন্তু তারপর আরও গভীর তীব্র ভাবে। ফিওনার শরীরের প্রতিটি কোষে এক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, কিন্তু তবুও সে থামেনি—বরং জ্যাসপারকে আরো কাছে টেনে নেয়।
জ্যাসপার তার ঠোঁটগুলো দিয়ে একে একে ফিওনার ঠোঁটের কোনে, গালেও চুম্বন দিতে থাকে। ফিওনা তার হাত দিয়ে জ্যাসপারের ঘাড়ে চেপে ধরে, যেন এই মুহূর্তটি কখনো শেষ না হয়। ফিওনা আর জ্যাসপার একে অপরকে এত কাছে পেয়েছে, যেন সময় থমকে দাঁড়িয়েছে। ফিওনা যখন বুঝতে পারে বিষয়টি, তখনই জ্যাসপার তাকে এক পলকে কোলে তুলে নেয়, তার শরীরটা পুরোপুরি জ্যাসপারের শক্তিশালী হাতের মধ্যে ছিল। ফিওনার দু’পা জ্যাসপারের কোমরে পেঁচিয়ে ধরে, তাদের শরীর একে অপরের সাথে মিলেমিশে যাচ্ছে, জ্যাসপার তাকে আরো কাছে টেনে নিয়ে আসে,গাছের সাথে ঠেস দিয়ে ধরে। জ্যাসপারের চোখে ফুটে উঠে এক গভীর আবেদন, এক অদ্ভুত তীব্রতা।
এল্ড্র গাছের রুপালি পাতাগুলো ঝিম ধরে আছে, বৃষ্টির শেষ কয়েক ফোঁটা ফিসফিস করে পড়ছে পাতার ওপর।
জ্যাসপার ফিওনাকে কোল থেকে নামিয়ে দেয়। জ্যাসপারের হাতে তখন ও সেই সোনালি বোতলটা, ভেনাসের এলকোহল যা কারো গায়ে পড়লে শরীরে তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
জ্যাসপার বোতলের কর্ক খুলে ফিওনার ঘাড়ের ঠিক নিচে ঢেলে দেয় কিছুটা।এলকোহলের তরল ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে ফিওনার বক্ষের মাঝখানে থেকে গড়িয়ে নাভী বরাবর পথে। ফিওনার ঠোঁট কেঁপে ওঠে এক নিমিষেই,পুরো শরীর ঝাকুনি দিয়ে ওঠে।
জ্যাসপার ফিওনার কানের কাছে মুখ নিয়ে “this isn’t alcohol” জ্যাসপার ফিসফিস করে, “it’s a key open every inch of you.” বলেই জ্যাসপার এলকোহলের গড়িয়ে পড়া তরলের সেই পথ অনুসরণ করে লে*হন করতে থাকে— ঘাড় থেকে শুরু করে বুকের মাঝখানে, থেমে থেমে, আরেকটু চাপ প্রয়োগ দিয়ে। ফিওনার পায়ের আঙুল কুঁচকে আসে।
তারপরে—সে ফিওনার রেশমি পোশাক আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করে ।প্রথমে জামার কাঁধের ফিতেটা ফেলে দেয় কাধ থেকে তারপর বাকি কাপড় পড়ে যায় গাছের পাতা আর ফুলে ছড়িয়ে তৈরি হওয়া বিছানায়।
ফিওনা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায়, ষ তার ভেজা বাদামী চুল গড়িয়ে পড়ে পিঠের উপর। গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ফিওনার চোখে তখন এক অদ্ভুত তীব্রতা—একটুও ভয় নেই, একটুও লজ্জা নেই।
জ্যাসপার এক পা করে এগিয়ে আসে। তার হাতে তখনও সেই এলকোহলের বোতল। সে এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে ফিওনার ন*গ্ন পিঠ—জলে ভিজে চকচক করছে সেই পিঠ। তারপর সে পুনরায় বোতলের ঢাকনা খুলে খুব আস্তে করে ফিওনার পিঠের ওপর এলকোহল ঢেলে দেয়।
ঠান্ডা তরলটা ফিওনার গোটা শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। সে চোখ বন্ধ করে শ্বাস আটকে রাখে। জ্যাসপার বোতল নামিয়ে ফেলে তারপর তার ঠোঁট নামিয়ে আনে ফিওনার সেই ভিজে পিঠে। এক এক ফোঁটা এলকোহলের সঙ্গে মিলিয়ে সে চুম্বন করতে থাকে—পিঠের গোড়া থেকে ধীরে ধীরে কাঁধ আর তারপর ঘাড়ে।
ফিওনা নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরে। কিন্তু যখন জ্যাসপারের জিভ তার মেরুদণ্ড বরাবর নিচের দিকে নামতে থাকলো, এলকোহলের স্বাদ আর জ্যাসপারের স্পর্শ একসাথে জ্বালিয়ে তোলে তার অনুভূতিগুলো—সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না।
জ্যাসপার ফিওনার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে “I’ll taste every drop from you tonight, hummingbird…” — এটা বলেই পুনরায় ফিওনার নরম পিঠে আরও গভীর চুম্বন আঁকতে থাকে জ্যাসপার।
কিন্তু ফিওনা এবার থামিয়ে দেয় জ্যাসপাকে “Just lie down now,” ফিওনা বলে উঠলো তার চোখে হালকা খুশির দৃষ্টি—তাতে সাহস, স্পর্ধা, আর তৃষ্ণা মিলেমিশে একাকার।
জ্যাসপার চমকে যায় কিছুটা। ফিওনার চোখে ঠোঁটে এই আগুনটা যেনো ঝলসে দিতে চায় জ্যাসপারকে।
ফিওনা এলকোহলের বোতলটা হাতে তুলে নেয়।
সে হাঁটু গেড়ে বসে জ্যাসপারের উরুর ওপর। এক এক করে জ্যাসপারের পোশাক খুলে ফেলে—বুকটা উন্মুক্ত করে দেয়।
তারপর এলকোহল ঢেলে দেয় ধীরে ধীরে জ্যাসপারের গায়ে— জ্যাসপারের গলার হাড় বেয়ে, বুকের মাঝখানের পথ ধরে পেটের নিচ পর্যন্ত পোঁছে যায় এলকোহলের তরল।ফিওনা নিজের ঠোট দিয়ে এক ফোঁটা এলকোহলও ছাড়ে না সবটুকুই শুষে নেয়। লালচে মুখে সে জ্যাসপারের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
“Your turn to burn,” ফিওনা ফিসফিস করে বলে।জ্যাসপার মৃদু কাঁপলো তবে সেই কম্পন ড্রাগনের মতো নয়—এক পুরুষের মতো, যাকে একজন নারী পুড়িয়ে দিচ্ছে নিজের হাতে।
ফিওনা তার ঠোঁট রেখে দেয় জ্যাসপার বুকের ওপর, দাঁত দিয়ে একটুখানি চেপে ধরে, কামড় বসায় জ্যাসপারের উন্মুক্ত বুকে।
পুনরায় চুম্বন করতে করতে জ্যাসপারের পেট বরাবর নেমে আসে তার ঠোঁটজোড়া, এক হাত জ্যাসপারের বুক আঁকড়ে ধরে,আরেক হাতে তার পায়ের ভেতর বয়ে যায় হালকা ছোঁয়ায়।
“You touched me like I was fragile,” ফিওনা বললো ফিসফিস কন্ঠে, “But tonight, I’ll show you I’m made of fire too.”
শরীরের সমস্ত বাধা সরিয়ে দিয়ে তারা দুজনে তখন পাতার বিছানায়, একে অপরের ওপর আগুনের রেখা এঁকে চলছে প্রতি মুহূর্তে।
জ্যাসপার এবার চিৎকার করে বলে উঠলো— “You’re not a hummingbird tonight… you’re the flame that consumes a dragon!”
তাদের দেহ ছটফট করছে,তাদের নিঃশ্বাসে পাহাড় কেপে উঠছে।পাতারা ঝরে পড়ছে, রাত নিশ্চুপ হয়ে গেলো—আর গাছের নিচে শুধু দুটি দেহ, দুই দেহের আগুন, আর এক আত্মার প্রেমের বিস্ফোরণ। জ্যাসপার ফিওনার শরীরকে এমনভাবে ছুঁতে থাকে, যেন প্রতিটি অংশ সে আগুনের দাবানলে জ্বালিয়ে দিতে চায়।
ফিওনা আর সহ্য করতে পারে না, তার দেহ আর হৃদয় দুটোই একসাথে কাঁপছে। সে নিচু গলায় ফিসফিস করে বললো — “Take me… now. No more waiting.”
জ্যাসপার ততক্ষনাক তাকে শুইয়ে দেয় গাছের নিচে পাতা আর ফুলে বিছিয়ে থাকা বিছানায়। জ্যাসপারের উন্মুক্ত, উষ্ণ শরীর এক মুহূর্তে ফিওনার উপর ঝুঁকে পড়ে। তারপর—
ফিওনার চোখে চোখ রেখে জ্যাসপার থেমে যায় এক মুহূর্ত, যেন তার ভেতরের ড্রাগন কিছু বলার অপেক্ষায়।
তখনই ফিওনা জ্যাসপারের কাঁধে হাত রেখে কানে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে— “Don’t be gentle…”I ‘m not breakable. I’m yours—so take me like you mean it.”
জ্যাসপারের চোখ রক্তিম হয়ে উঠে, নিঃশ্বাস জ্বলে ওঠে আর চোখে আগুন জ্বলা দৃষ্টি। ঠোঁটের কোণায় শিকারির মতো হালকা হাসি। সে ফিওনার চিবুকে আঙুল রেখে এক পলকও না সরিয়ে বলে দৃঢ় গলায় বলে— “Then be ready, hummingbird…Tonight, I’m going to show you heaven—Tonight, I want to hear you scream my name— Let the stars witness how loud I can make you beg for more.”
আযদাহা সিজন ২ পর্ব ৩৪
তারা দুজনে এক হয়ে যায়। তীব্র, আগুনের মতো জ্বলা ছোঁয়ার উত্তাপে। জ্যাসপার থামে না—ফিওনাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়, একবার জোড়ে, একবার টানে, আবার একবার ভালোবাসায়।ফিওনা ঠোঁট কামড়ে ধরে, চোখ বন্ধ করে রাখে, এক হাতে মাটি আঁকড়ে ধরে— ফিওনা নিজেও আর থামে না,তার হাত, তার ঠোঁট— সব কিছু দিয়েই জ্যাসপারকে দাবিয়ে দেয়। পাতারা কাঁপে, রাত চিৎকার করে,আর গাছের নিচে শুধু দুই দেহ, দুই আত্মা— একটি স্বর্গ গড়ে তুলে, যেই স্বর্গে তারা নিজেরাই হয়ে উঠে রাজা আর রাণী।