আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ৫
Raiha Zubair Ripti
আরেকটি নতুন প্রভাতের সূচনা,, নতুন প্রভাত নতুন কোনো সংবাদ নিয়ে হাজির হয় দোরগোড়ায়। কখনও এক আকাশ সমান আনন্দ নিয়ে তো কখনও এক সমুদ্র সমান কষ্ট নিয়ে।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে সন্ধ্যা এসেছিল খালার বাসায় রাত টা থেকেই সকালে উঠে চটজলদি ব্রেকফাস্ট করে নিলো। সন্ধ্যার খালা আজকের দিনটা থেকে যেতে বলেছিল কিন্তু সন্ধ্যা থাকে নি। নয়টা বাজলেই বেরিয়ে পড়ে। স্ট্যান্ডে এসে টিকিট কিনে গাড়িতে উঠে বসে।
রাত আজ ভার্সিটি যাবে না বলে মনঃস্থির করছে। আকাশ টা মেঘলা দেখে রুম থেকে বের হলো। একটু ছাঁদে যাবে ঠান্ডা বাতাস খেতে। ড্রয়িং রুমে মাকে বসে থাকতে দেখে বলল-
-“ ভাইয়া চলে গেছে?
আমেনা বেগম টিভি দেখতে দেখতে বললেন –
-“ হ্যাঁ কেবলই গেলো হসপিটালে।
রাত কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে নিলে আমেনা বেগম পেছন থেকে বলে উঠে –
-“ কোথায় যাচ্ছিস?
রাত পেছন না ফিরেই বলল-
-“ ছাঁদে যাচ্ছি হাওয়া খেতে।
ছাঁদে আসতেই দেখতে পেলো ছাঁদে রাত ব্যতিতও আরো একজন আছে। রাত আস্তে আস্তে ছাঁদের কিনারায় গিয়ে বলল-
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-“ কি ব্যপার সরিষার তেল এসময় ছাঁদে যে?
শরিফা চমকে উঠলো রাতের কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে। ত্বরিত গতিতে কান থেকে ফোন টা নামিয়ে রাতের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ আপনি আবার আমাকে সরিষার তেল বলছেন?সমস্যা টা কি ভাই? আমার নাম শরিফা নট সরিষা।
রাত হাসতে হাসতে বলল-
-“ তুই শরিফ নাকি শরিফা??
শরিফা রাগান্বিত হয়ে তাকালো। তর্জনী তুলে বলল-
-“ নাম ভেঙানো যে কবিরা গুনা সেটা জানেন? না জানলে আজ জেনে নিন। একদম আমার নাম ভেঙাবেন না।
-“ আজ মা’কে বলবো আলু ভর্তা বানাতে। সরিষার তেল লাগলে একটু দিস তো।
শরিফা আশেপাশে তাকালো। কিছু পেলো না ছুঁড়ে মা’রার জন্য। তাই ছাঁদ থেকে চলে যেতে যেতে বলল-
-“ গ’জব পড়বে আপনার মা’থায়। বউ জুটবে না কপালে। যারে ভালোবাসবেন তাকে জীবনেও পাবেন না এই বলে রাখলাম।
-“ শকুনের দোয়ায় গরু ম’রে না।
-“ যখন ম’রবে তখন কেঁদেও কূল পাবেন না হু।
শরিফা চলে গেলো। রাত ছাঁদের রেলিংএ হাত দিয়ে আকাশের দিকে তাকালো। কালো আকাশটার দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ ও মেঘ ভালোবাসি কি না জানি না তবে কেউ একজন আছে যাকে দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। ইচ্ছে করে তাকে শুধু দেখতেই থাকি। তার বিরক্তিকর মাখা মুখ,তার প্রথম হাসি আমি বড্ড ভালোবাসি। এই অনুভূতির নাম টা কি জানো? জানলে আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিও উত্তর।
কথাটা বলেই আনমনে হেঁসে ফেলে রাত।
আষাঢ় হসপিটালে আসতে আসতেই জানতে পেলো আজ তার একটা অপারেশন আছে। সেটা দুপুরের দিকে৷ আষাঢ় নিজের কেবিনে আসতেই দেখতে পেলো আরাফাত বসে আছে। আষাঢ় চেয়ার টেনে বসতেই আরাফাত ফোন টা পকেটে ঢুকিয়ে বলল-
-“ কি খবর তোর?
আষাঢ় ফাইল দেখতে দেখতে বলল-
-“ ভালো,তোর?
-“ ভালো। ফাইল দিয়েছিস সন্ধ্যাকে?
আষাঢ় ফাইল টা দেখা বন্ধ করে আরাফাতের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ সন্ধ্যা?
-“ হু শ্রেয়ার বোন তো ও?
-“ হু৷
-“ দিয়েছিস?
-“ হ্যাঁ দিয়েছি কেনো?
-“ শ্রেয়ার যে বোন আছে তাও আবার এত সুন্দর আগে তো বলে নি আমাদের?
আষাঢ় ফাইল দেখতে দেখতে বলল-
-“ কেনো আগে বললে কি করতি?
-“ ক..কি করতাম আবার ঐ তো….
-“ যেটা ভাবছিস সেটা কস্মিনকালেও হতো না। তাই ওসব ভেবে লাভ নেই। যেটা আছে সেটাকে আঁকড়ে ধরে থাক৷ ওটা কে হারালে কপালে আর মেয়ে জুটবে না।
-“ অপমান করছিস আমাকে?
-“ না বাস্তবতা জানিয়ে দিলাম।
-“ তোর কপালেও তো মেয়ে জুটবে না।
আষাঢ় ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ কে বলল?
-“ কে আবার আমি বলেছি। মা বলেছি।
-“ আন্টি কে রেডি থাকতে বলিস খুব শীগ্রই বিয়ের কার্ড পাঠাবো।
আরাফাত বিস্ময় হয়ে বলল-
-“ কিহ! তুই করবি বিয়ে? এটাও বিশ্বাস করা লাগবে?
-“ কেনো অবিশ্বাস্য এটা?.
-“ তা নয় তো কি? কদিন আগেও তো বললি বিয়ে টিয়ে করবি না।
-“ এখন মনে হলো করা উচিত। দিন শেষে কাজ করে বাড়ি ফিরে কাউকে তো দরকার।
-“ বুঝতে পেরেছি বন্ধু.. ডাল মে কুচ কালা হে অ্যাম আই রাইট ব্রাদার? মেয়ে কে সেটা বল। ছবি দেখা। আমিও দেখবো কন হো ও লারকি জিসনে মেরা দোস্ত কা দিল জিতলিয়া! মুঝে ভি দেখনা হ্যাঁ মেরা হোনেওয়ালি ভাবি কো।
-“ তুই চিনিস তাকে..ইভেন সবাই চিনে।
আরাফাত ভেবে বলল-
-“ কে ভাই? নাম বল । বুঝতে পারতেছি না ঠিক কার কথা বলতেছিস।
-“ সময় হোক। সময় হলেই জানবি এখন তুই তোর কেবিনে যা। আমার অপারেশন আছে রেডি হতে হবে।
-“ আচ্ছা যাচ্ছি অপারেশন শেষে আমি আসছি তখন বলবি সে কে।
আরাফাত চলে গেলো। আষাঢ় রেডি হয়ে নিলো অপারেশন এর জন্য।
সন্ধ্যার বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়িয়ে যায়। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে মায়ের রুমে আসে। সন্ধ্যার মা শুয়ে আছে। সন্ধ্যা মায়ের পাশে বসে বলল-
-“ মা উঠবে একটু?
সন্ধ্যার মা শোয়া থেকে উঠে বসে বলল-
-“ সন্ধ্যা?
-“ হু।
-“ কখন এসেছিস?
-“ একটু আগেই। উঠবে? তোমাকে নিয়ে হাঁটতে বের হতাম।
সন্ধ্যা তার মা’কে নিয়ে সতর্কতার সহিত বাসা থেকে বের হলো। বাসার সামনেই মাঠ, চারিদিকে ইট দিয়ে ঘেরাও করা। সন্ধ্যা মা’কে নিয়ে ঘাসের উপর বসলো। বিল্ডিং এর পিচ্চি ছেলেপেলে রা খেলাধুলা কররছে। সন্ধ্যা মায়ের এক হাত জড়িয়ে কাঁধে মাথা রেখে ছুটন্ত ছেলেপুলে দের দেখে চলছে। জীবন টা তো তখনই সুন্দর ছিলো যখন মনের ভেতর কেউ ছিলো না.. সারাদিন খেলাধুলা পড়াশোনা নিয়ে ছিলো। অথচ একটা মানুষ কে ভালোবেসে জীবনের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে দিতে হলো। হঠাৎ দূরে নিখিলের মুখ দেখতে পেয়ে কিঞ্চিৎ পাথরের মূর্তির মতো থম মেরে রইলো। শ্রেয়া আর নিখিল আসছে। লোকটার শরীরে হোয়াইট শার্ট আর শ্রেয়া সে আজ লাল টুকটুকে শাড়ি পড়েছে। আহ্ কি সুখ তাদের তাই না? নিখিল রিকশা থেকে নেমেই সন্ধ্যা কে দেখে শ্রেয়ার থেকে নিজের হাত ছাড়াতে চাইলে শ্রেয়া আরো চেপে ধরে। বিষয় টা নজরে আসে সন্ধ্যার। সন্ধ্যা তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দেয়। নিখিলের হাত ধরেই এগিয়ে এসে বলল-
-“ মা কে নিয়ে নিচে এসেছিস কেনো?
সন্ধ্যা দৃষ্টি অন্য দিকে তাক করে বলল-
-“ সেটার কৈফিয়ত তোকে দিতে হবে আমার?
-“ ভালো ভাবে কথার উত্তর দেওয়া যায় না? সব সময় ত্যাড়া ত্যাড়া কথা কেনো বলিস?
-“ তুই কেনো সবসময় বেহায়ার মতো সেধে সেধে আগ বাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলতে আসিস? একটু ও কি লজ্জা সরম নেই তোর?
শ্রেয়া চেতে গেলো। কিছু বলার জন্য উদ্যত হলে নিখিল শ্রেয়ার হাত টেনে নিয়ে হাঁটা ধরে। শ্রেয়া রেগে তাকায় নিখিলের দিকে রাগান্বিত হয়ে বলে-
-“ দেখলে ও আমার সাথে কিভাবে কথা বলল?
নিখিল বিরক্ত হয়ে বলল-
-“ ঠিকই তো বলেছে৷
-“ কিহ! তোমার কি পুরোনো প্রেম জেগে উঠতেছে সন্ধ্যা কে দেখে?
-“ পুরোনো প্রেম কেনো হবে? ভুলে যেও না তুমি জাস্ট আমার দয়ার পাত্র। ভুলেও সন্ধ্যা কে কষ্ট বা ঠেস মেরে কথা বলার চেষ্টা করবে না। তা না হলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।
-“ কি করবে তুমি হুমম?
-“ যেটা দু বছর আগে করার কথা ছিলো। সেটাই করবো।
কথাটা বলেই নিখিল শ্রেয়া কে রেখেই চলে গেলো। চারিদিকে আধার ঘনিয়ে আসলো। মাগরিবের আজান কানে আসতেই সন্ধ্যা মা’কে বলল-
-“ চলো বাসায় যাই।
সন্ধ্যার মা উঠে দাঁড়ালো। আমেনা বেগম এসেছিল নিচে ময়লা ফেলতে। সন্ধ্যা আর সন্ধ্যার মাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে বলল-
-“ আপা আপনি নিচে যে?
সন্ধ্যার মা মেয়ের হাত ধরে বলল-
-“ আমেনা আপা না?
-“ হ্যাঁ।
-“ ঐ তো সন্ধ্যার সাথে আসলাম একটু।
-“ এসেছেন ভালোই করেছেন। আজ চলুন আমার বাসায়। এক কাপ চা তো খাওয়াই যায়।
সন্ধ্যা আশেপাশে তাকিয়ে বলল-
-“ আন্টি সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আজ না বরং অন্য কোনোদ…
-“ না না আজই চলো সন্ধ্যা। আন্টির বাসা টা দেখে নিও।
সন্ধ্যার মা সন্ধ্যা কে বলল যেতে। সন্ধ্যা মাকে নিয়ে আমেনা বেগমের সাথে চললেন। ফোর্থ ফ্লোরে এসে আমেনা বেগম দরজায় কলিং বেল চাপতেই রাত দরজা টা খুলে দিলো। খুলেই সন্ধ্যার মুখ টা দেখতে পেয়ে ভীষণ চমকালো। আপনা-আপনি মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো-
-“ আরে সন্ধ্যা তারা যে!
সন্ধ্যা ইতস্তত বোধ করলো। আমেনা বেগম ছেলেকে দরজার সামনে থেকে সরিয়ে সন্ধ্যা দের নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। সোফায় বসতে বলে আমেনা বেগম চললেন রান্না ঘরে চা বানাতে। রাত সোফার অপর প্রান্তে বসে বলল-
-“ কবে আসলেন?
-“ আজই আসলাম।
-“ আবার চলে যাবেন?
-“ জরুরি ক্লাস পড়লে তো যেতেই হবে।
-“ পড়াশোনা শেষ করে কি করার ইচ্ছে আপনার?
-“ ভাবি নি এখনও।
কথার মাঝে হুট করে আকাশের বুক চিঁড়ে উদয় হয় ঝড়ের৷ বিদ্যুৎ ও চমকায়। রাত উঠে জানালা লাগিয়ে দেয় বসার ঘরের। তারপর ছুটে রুমের জানালা বন্ধ করতে। এরমধ্যে হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠে। বসার ঘরে কেউ নেই। দরজা খুলবে কি খুলবে না ভাবতে ভাবতেই সন্ধ্যার মা বলল- দরজা টা খুলে দিয়ে আয়।
সন্ধ্যা মায়ের কথা মতো দরজা খুলে দিলো। আষাঢ় ভিজে গেছে। মাথার চুল হাত দিয়ে মাথা নিচু করে ঝাড়তে ঝাড়তে বলল-
-“ এতক্ষণ লাগে দরজা খুলতে?
সন্ধ্যা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। আষাঢ় মাথা উচু করে তাকাতেই দেখতে পেলো সন্ধ্যা কে। ভালো করে আবার নিজের ফ্ল্যাট নম্বর দেখে নিলো। নাহ্ ঠিক ফ্ল্যাটেই এসেছে সে। সন্ধ্যা দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়ালো। আষাঢ় ভেতরে ঢুকলো। সন্ধ্যা দরজা আঁটকে দিলো। সোফায় সন্ধ্যার মা’কে দেখতে পেয়ে আষাঢ় এগিয়ে এসে বলল-
-“ আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
-“ ওয়ালাইকুমুস সালাম,, আষাঢ়?
-“ হু।
-“ কেমন আছো?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
রাত রুম থেকে বের হয়ে ভাইকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে বলল-
-“ আরে ভাইয়া আসছো যে। ভালোই হবে সবাই মিলে চা খাবো একসাথে।
আমেনা বেগম চা নিয়ে আসলেন। আষাঢ় কে ভেজা দেখে তড়িঘড়ি করে বললেন-
-“ ভিজে গেছিস তো। যা পাল্টে আয়।
আষাঢ় চলে গেলো পোষাক পাল্টাতে। সন্ধ্যার কেমন যেনো লাগছে সবার মাঝে নিজেকে। নিজের বাসায় চলে যেতে ইচ্ছে করছে।
আষাঢ় পোষাক বদলে ব্লু টি-শার্ট আর টাউজার পড়ে আসলো। আমেনা বেগম ছেলের হাতে কফির মগ তুলে দিলো। আষাঢ় একাকী বসলো। সন্ধ্যা যখনই আষাঢ় কে দেখছে কিভাবে যেনো দুজনের চোখাচোখি হচ্ছে আর আষাঢ় কিভাবে যেনো তাকাচ্ছে। ল্যাপটপে কাজ করতে করতে কফি খাচ্ছে আষাঢ় । সন্ধ্যার আরো অস্বস্তি হচ্ছে এর জন্য। রাত সন্ধ্যার ঠিক সামনের সোফায় বসে চায়ের মগ হাতে নিয়ে বলল-
-“ ভাই বাসায় আসতে না আসতেই আবার কাজ নিয়ে পড়লে? দেখো কে এসেছে। সন্ধ্যা তারা এসেছে আন্টির মেয়ে। পরিচয় হও।
আষাঢ় ল্যাপটপের থেকে চোখ সরিয়ে সন্ধ্যার দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ পরিচয় তো দিয়েই দিলি তুই। আর কি জানার আছে।
সন্ধ্যা ভরকে গেলো আষাঢ়ের এমন বিহেভিয়ারে। কথার ধরন এমন কেনো? কোনো রকমে চা টা খেয়ে বলল-
-“ আন্টি এবার আসি।
-“ আর একটু থাকো না।
রাত ও তাল মিলিয়ে বলল-
-“ সন্ধ্যা তারা আর একটু থাকুন না।
-“ না না অন্য আরেকদিন আসবো। আজ উঠি। মা চলো।
সন্ধ্যা তার মা কে নিয়ে চলে গেলো। আষাঢ় সন্ধ্যার যাওয়ার পানে তাকিয়ে কিছু একটা মনে হতেই রাতের উদ্দেশ্যে বলল
আষাঢ় রাতের সন্ধ্যা পর্ব ৪
-“ যার নাম যা তাকে সেটা বলে ডাকতে অভ্যস্ত হ। তারা সেটা আবার কি? নাম সন্ধ্যা সন্ধ্যা বল তারা লাগাতে যাস কেনো?
কথাটা বলেই বসা থেকে উঠে রুমে চলে আসলো।