উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৩৯

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৩৯
আফিয়া আফরোজ আহি

মধ্যরাতের পূর্ণিমাতে পুরো পৃথিবী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আমি আর আদ্র তখন ছাদে চুপটি করে একে অপরের সাথে মিশে প্রকৃতি বিলাসে মগ্ন। আদ্রর বুকের সাথে পিঠ মিশিয়ে বসে আছি। উনি আমার চুলগুলো এলোমেলো করছে আবার গুছিয়ে দিচ্ছে। আমি বসে বসে তার পা*গলামো দেখছি। এক সময় বলে উঠলো,
“শোন রৌদ্রময়ী আমাদের বিয়ের পর তুই যখন আমার বাড়ি যাবি তখন তুই তোর চুল ধরতে পারবি না”
“মানে? কি বলছো?”

“তোর চুলের ওপর তোর কোনো অধিকার নেই সব আমার অধিকার। আমি সুন্দর করে চুলে শ্যাম্পু করে দিবো, চুল মুছে দিবো, আচড়িয়ে দিবো, হেয়ার প্যাক লাগিয়ে দিবো এমনকি আমি নিজের তোর চুল বেঁধে দিবো। তুই চুলে হাত দিতে পারবি না। তুই জানিস তোর কোমর সমান চুল গুলো আমার কাছে আস্ত এক মাদকতা? দেখলেই নেশায় পড়ে যাই আমি”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আদ্রর কথা যতো শুনি ততই মুগ্ধ হই। এই মানুষটা আর কতো পা*গলামো করবে? এখন নাকি তার জন্য আমি আমার চুলও ধরতে পারব না ভাবা যায়? মানুষটা সত্যিই পা*গল। আমার জন্য পা*গল, শুধুই আমার জন্য। আমার জন্য করা তার পা*গলামোর লিস্ট শুধু বড়ই হয়ে যাচ্ছে এর শেষ নেই। আদোও কখনো শেষ হবে কিনা তাও জানি না। এইযে একটু আগের ঘটনা। আদ্রকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
“সত্যি করে বলো তো ওই হাঁদারাম গাধার জায়গায় তুমি এলে কি করে? ওখানে তো ওদের থাকার কথা ছিলো। আর ওগুলো কে ভাগালেই বা কিভাবে?”
আদ্র চুটকি বাজিয়ে বলল,

“ইটস ম্যাজিক”
“ম্যাজিক তো জাস্ট বাহানা সত্যি করে বলো তো তুমি কি চাল চেলেছো যে ওই গাধা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে?”
আদ্র দাঁত কেলিয়ে হেসে দিলো। আমি নিশ্চত উনি কিছু না কিছু তো অবশ্যই করেছে। আদ্রর বর্ণনা মতে ঘটনাটা এমন যে, হাদারাম গাধা মানে শিহাব ভাইয়ের কাজিন সিফাত আর তার ফ্যামিলি বসে আছে। এমন সময় আগমন ঘটলো আদ্র মহাশয়ের। উনি যেয়ে সোজা তাঁদের সামনে পায়ে পা তুলে বসে পড়লো। বড়র কেমন বাঁকা চোখে তাকালো তার দিকে। আদ্র সেসবে পাত্তা দিলো না। বড় আব্বুর উদ্দেশ্যে বলল,
“একি মামু মেয়ে বিয়ে দিচ্ছ আর আমাদের একবার জানালেও না? এটা কিন্তু মোটেও ঠিক করোনি মামু”
বড় আব্বু বলল,

“আরে আমরা জানতাম নাকি আগে থেকে? একটু আগে তোর বড় মা আমায় ফোন দিয়ে জানিয়েছে তখন জানলাম”
আদ্র বড় আব্বুর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তাকালো সিফাত এর দিকে। ছেলেটা কেমন লাজুক মুখ নিয়ে মাথা নিচু করে আছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে নতুন বউ টাইপ। তার পাশে ওর বাবা-মা। ওপর পাশের সোফায় শিহাব ভাইয়ার বাবা-মা। আদ্র সিফাতকে জিজ্ঞেস করলো,
“নাম কি তোমার? কি করো? পড়াশোনা কতদূর?”
ছেলেটা মৃদু কণ্ঠে জবাব দিলো,

“আমার নাম সিফাত, একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি। ইংলিশে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি”
আদ্র সিফাতের দিকে ভালো করে খেয়াল করলো। নিঃসন্দেহে ছেলেটা ভদ্র। দেখেই মনে হচ্ছে বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তান। আদ্র ফের প্রশ্ন করলো,
“রোদকে পছন্দ করো? ভালো লেগেছে?”
সিফাত এবার লজ্জায় লাল হয়ে গেল। হয়তো বাবা-মা সামনে আছে বলে। মিনিমিনে কণ্ঠে বলল,
“হ্যাঁ”

আদ্র ভ্রু কুঁচকে চাইলো। মনে মনে বলল,
“আমার বউকেই পছন্দ হতে হলো তোর? দুনিয়ায় মেয়ের অভাব পড়েছিল নাকি?”
আদ্র এবার নড়েচড়ে বসলো। মুখে গম্ভীর্য এনে প্রশ্ন করলো,
“তুমি যে মেয়ে দেখতে এসেছো এটা তোমার গার্লফ্রেন্ড জানে? নিজের গার্লফ্রেন্ডকে ধোঁকা দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছো? এটা কি ঠিক?”

আদ্রর প্রশ্নে সিফাত বেক্কেল বনে গেল। চোখ তুলে চাইলো আদ্রর দিকে। সিফাতের বাড়ির সবাইক ওর দিকে দৃষ্টিপাত করলো। শিহাব ভাইয়া জিজ্ঞেস করলো,
“সিফাত আদ্রর কথা কি সত্যি? তোর গার্লফ্রেন্ড আছে?”
“না ভাইয়া। আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই”
আদ্র বলল,
“মিথ্যা কথা কেন বলছো?”
“আমি মিথ্যা কথা বলছি না”

এর মাঝেই সিফাতের ফোন বেজে উঠলো। সবার দৃষ্টি সিফাতের দিকে। আদ্র সিফাতকে বলল,
“কল রিসিভ করে স্পিকারে দেও। আমরাও শুনি কে ফোন দিয়েছে”
সিফাত কল রিসিভ করে স্পিকারে দিলো। ফোনের ওপর পাশ থেকে মিষ্টি কণ্ঠে ভেসে এলো,
“হ্যালো জান,কেমন আছো তুমি?”
সিফাত ঘাবড়ে গেল। কোনো উত্তর দিলো না। মেয়েটা আবার বলে উঠলো,
“কি হলো জানু তুমি কথা বলছো না কেন? তুমি কি আমার ওপর রাগ করেছো?”
এবার আর সিফাত চুপ রইলো না। মুখ্ খুলে বলল,
“আপনি কে? আর ফোন দিয়ে কি সব আবোল তাবোল বলছেন?”

“ছিঃ বাবু তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছো কেন? তুমি আমাকে চিনো না? তোমার জানকে চিনো না? এভাবে বলতে পারলে তুমি ? ও বুঝেছি কালকে তোমার সাথে ঘুরতে যায়নি বলে রাগ করছো তাই না? সরি বাবু”
“আমি আপনাকে চিনি না। আর এসব কি বলছেন?”
এবার মেয়েটা রেগে মেগে বলল,

“সিফাত এবার কিন্ত বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে। তুমি রাগ করছো আমি রাগ ভাঙাতে চেয়েছি। তাই বলে তুমি এতো বেশি করবে এটা ঠিক না। কালকে এসো অফিসে দেখাচ্ছি মজা”
মেয়েটা কল কেটে দিলো। সিফাতের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে আদ্র হাই তুলে বলল,
“দেখলেন তো আমার কথাই সত্যি হলো তো?আপনাদের ছেলে আপনাদের মিথ্যা বলেছে”
সিফাত বলল,

“বাবা বিশ্বাস করো এই মেয়েকে আমি চিনি না”
শিহাব ভাইয়ার বাবা বড় আব্বুর উদ্দেশ্যে বলল,
“দুঃখিত ভাইজান। আমাদের ছেলে যে এমন কান্ড করবে আমরা জানতাম না। আপনাদের বিড়ম্বনায় ফেলে দিলাম”
“সমস্যা নাই ভাইজান। এখানকার যুগে এসব হয়ে থাকে। আপনারা ছেলের পছন্দকে মেনে নিন তাহলেই আর ঝামেলা হবে না”

শিহাব ভাইয়ারের আব্বু সবাইকে উঠতে বলেল সবাই উঠে দাঁড়ালো। বড় আব্বু তাঁদের থাকার জন্য রিকোয়েস্ট করলেও তারা শুনলেন না। বললেন অন্য একদিন আসবেন। ঈশিতা আপু আর শিহাব ভাইয়াকে থেকে যেতে বললেন। যাওয়ার আগে সিফাত আবার বলল,
“বিশ্বাস করো আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই। ওই মেয়েকে আমি চিনি না”
শিহাব ভাইয়ার বাবা ওকে ধমক দিয়ে বলল,
“চুপচাপ বাড়ি চলো আর একটা কথাও বলবে না”

ওরা সবাই চলে গেল। আদ্র ভাই আয়েস করে সোফায় বসে পড়লো। বড় আব্বু বলল,
“তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবা। ঠিক সময়ে এসে আমাদের করতে যাওয়া ভুলটা আটকে দিলি। এর আগেও আমাদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য মেয়েটাকে কতো কষ্টই না পেতে হলো। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিলো ওর সাথে। মেয়েটার জন্য যোগ্য একটা ছেলে পেলে আমি ওকে তার হাতে তুলে দিয়ে শান্তি পেতাম। ইভানের সাথে ওরা বিয়ে ঠিক হওয়ায় ওর ওপর দিয়ে যেই ঝড় গেল সেই কথা ভাবলে এখনো আমি আত্মগ্লানিতে ভুগি। আমার সেদিনের নেওয়া ভুল সিদ্ধান্তের জন্য মেয়েটা কতো টা বদলে গিয়েছিলো। তুই ছিলিস বলে ও আবার আগের রূপে ফিরে এসেছে। তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবা”
আদ্র বিরবির করে বলল,

“ধন্যবাদ না দিয়ে মেয়েটাকে আমায় দিয়ে দিলেও তো পারো নাকি? ধন্যবাদ দিয়ে কি আমি ডিম ভেজে খাবো?”
বড় আব্বু বলল,
“কিছু বললি বাবা?”
“বলছি ছেলে তোমাদের সামনেই আছে খুঁজে দেখো”
“কোথায় ছেলে? আমার চোখে তো কাউকে পড়ছে না”
আদ্র ফের বিরবির করে বলল,
“তা পরবে কেন? এইযে তোমাদের সামনে দিয়ে ঘুর ঘুর করছি তাও তোমাদের চোখে পরবে না”
“ছেলে তোমাকে আম্মু দেখিয়ে দিবে”

ফুপ্পি এতক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আদ্রর কান্ড দেখছিলো। তার ছেলে আমার জন্য কতো দূর যেতে পারে সেটাই দেখছিলো। এগিয়ে এসে বড় আব্বুর হাত ধরে সোফায় বসিয়ে নিজে পাশে বসলো। বড় আব্বুর হাতে হাত রেখে বলল,
“ভাইয়া আজকে আমি তোমার কাছে একটা আবদার করবো রাখবে?”
“তুই বল, রাখার মতো হলে অবশ্যই রাখবো। তুই আমাদের সবার আদরের একটা মাত্র বোন”
“আমি রোদ সোনাকে আমার আদ্রর জন্য চাইছি। রোদকে আমার ছেলের বউ হিসেবে দিবে? আমি ওকে আমার বাড়িতে পুতুলের মতো সাজিয়ে রাখবো”
“কিন্তু?”

“কিন্তু কি ভাইয়া? তুমি কি ভাবছো আদ্রও ইভানের মতো করবে? না, তোমরা তো ওকে চিনো। আদ্র কেমন তোমরা ভালো করেই জানো। আমার ছেলেটা রোদকে অনেক ভালোবাসে ভাইয়া। আমি মা হয়ে বলছি তোমাকে তুমি দেখো আদ্রর মতো রোদকে কেউ ভালোবেসে এতটা আগলে রাখতে পারবে না। আদ্র রোদকে মাথায় করে রাখবে। রানী বানিয়ে রাখবে তোমাদের মেয়েকে”
“কিন্তু কথা হচ্ছে রোদ কি আদ্র কে পছন্দ করে? ওকে একসেপ্ট করবে?”
মাঝ থেকে ইভা ফট করে বলে উঠলো,
“রোদ ও আদ্র ভাইকে পছন্দ করে বাবা”

“তাহলে তো ভালোই। খুব শীঘ্রই দুজনের চারহাত এক করে দিবো। আমাদের মেয়ে আমাদের কাছেই থাকবে। আর আমিও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো”
ইভা খুশিতে লাফিয়ে উঠে বলল,
“আমি বনুকে জানিয়ে আসি”
আদ্র বাঁধা দিয়ে বলল,
“মোটেও না। আগে শোন আমার একটা প্ল্যান আছে”
আদ্র সবাইকে বুঝিয়ে বলল। আদ্রর প্ল্যান শুনে ইভা উঠফুল্ল কণ্ঠে বলে উঠলো,
“আদ্র ভাই তুমি পারোও বটে”

আদ্রর বুকে হেলান দিয়ে ঘটনা শুনে হেসে কুটি কুটি অবস্থা আমার। এই লোক পারেও বটে। কিন্ত আমার সন্দেহ হচ্ছে। সন্দেহহান কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
“এই সত্যি করে বলো তো ওই হাদারাম গাধার কি সত্যিই কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে? নাকি ওটাও তোমার কারসাজি”

আদ্র ভাই দাঁত কেলিয়ে বলল,
“অবশ্যই আমার কারসাজি”
“কিভাবে করলে শুনি?”
“মিহিকে কল করে সব বললাম ও বুদ্ধি দিলো, বলল ও বাকিটা সামলে নিবে”
“নাম্বার পেলে কোথায়?”
“ওর নাম্বার জোগাড় করা আমার বা হাতের খেল”
“সত্যিই তুমি পারোও বটে”
“বেটার শখ কম না আসছে আমার বউ বিয়ে করতে। তাইতে এতো কিছু করা”
মনে মনে হাসলাম। এই মানুষটা পারেও। আমার জন্য একদিনের মাঝে কতো কিছু করে ফেলল। আমি তো শুধু একটু উদিগ্ন হয়েছি আর উনি তো পুরো পাগলামো শুরু করে দিয়েছিলো। নিজেকে বড্ড ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। এই আদ্র নামক মানুষটাকে পেয়ে আমি ধন্য। ঘাপটি মেরে ওনার বুকে পড়ে রইলাম।

সকালের মিষ্টি আলো এসে চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। চোখ কচলে চেয়ে নিজেকে রুমে আবিষ্কার করলাম। কিন্তু আমার যতো টুকু মনে পড়ে আমি আদ্রর বুকেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।তারামানে আদ্র মহাশয় আমায় রুমে নিয়ে এসেছে। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে একেবারে রেডি হয়ে নিচে নামছি। নামতে নামতে খেয়াল করলাম টেবিলে আদ্র, ইভা, শুভ ভাই নাস্তা করছে। আমি টেবিলের কাছে যেতেই আদ্র ইশারা করলো উনার পাশে বসার জন্য। একটু পড়েই বড় আম্মু খাবার দিয়ে গেল। এক মনে খাচ্ছি হটাৎ কানে ভেসে এলো কারো ফিসফিসে কণ্ঠস্বর।

“শুভ সকাল বউ”
অধর কোলে খেলে গেল মুচকি হাসি। উনার মুখে ‘বউ’ ডাকটা শুনলেই শিরদাঁড়া বেয়ে শীতলতা ছড়িয়ে যায়। মনে প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়। ওনার মতো ফিসফিস করে বললাম,
“শুভ সকাল বর মশাই”
“ইসস, বুকে লাগলো রে। এভাবে কেউ মিষ্টি করে বর মশাই বলে?”
ওনার কথায় লজ্জা পেলাম। সামনে শুভ ভাই আছে তাই কথা বাড়ালাম না। ইভা কাশি দিয়ে বলে উঠলো,
“দুজনে কি ফিসফিস করছো? আমাদেরও বলো, আমরাও একটু শুনি”
আদ্র খেতে খেতে বলল,

“বর-বউয়ের পার্সোনাল কথা শুনতে হয় না জানিস না?”
ইভা মুখ ভেংচি খাওয়াও মনোযোগ দিলো। খাওয়া শেষে শুভ ভাই, ইভা আর আমি বেরিয়ে এলাম। শুভ ভাই গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করছে। আমি আর ইভা দাঁড়িয়ে আছি। গাড়ি বের করতেই ইভা আগে উঠে বসলো। আমি উঠতে যাবো এমন সময় আদ্র এসে হাত ধরলো। শুভ ভাইকে বলল,
“ভাইয়া তোমরা চলে যাও। আমি রোদকে পৌঁছে দিবো”

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৩৮

শুভ ভাই সম্মতি জানিয়ে চলে গেল। ইভা দাঁত কেলিয়ে হাসছে। আদ্র আমার হাত ধরে নিয়ে গাড়িতে বসালো। নিজে বসে পড়লো ড্রাইভিং সিটে।আচমকা ঝুঁকে এলেন আমার দিকে। উনাকে নিজের দিকে ঝুঁকতে দেখে মাথা খানিকটা পিছিয়ে নিলাম। আদ্র সিট্ বেল বেঁধে দিয়ে কপালে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দিলো। অতঃপর সরে নিজের জায়গায় বসে গাড়ি স্টার্ট দিলেন।

উষ্ণ প্রেমের আলিঙ্গন পর্ব ৪০