এক মায়াবতীর প্রেমে পর্ব ৪২

এক মায়াবতীর প্রেমে পর্ব ৪২
তানিশা সুলতানা

নতুন ভোর নতুন দিনের সূচনা। ঝলমলে আলোর ঝিলিক নিয়ে পশ্চিম দিগন্ত হতে সূর্য উঠে নতুন সকালের আগমন ঘটায়। শাখায় শাখায় ছড়িয়ে পড়ে আলো। কিছু মুহুর্তে তিমিরে ঢাকা ধরনীকে আলোকিত করে দেয়।
কি আশ্চর্য ব্যাপার তাই না?
এখন দুনিয়ায় মানুষ এই সূর্যদ্বয়কে আশ্চর্য বলে মানে না। কেনোনা এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে। মানুষ অভ্যস্ত।
বরং এখন যদি নির্দিষ্ট সময়ের পর সূর্য না ওঠে তাহলে মানুষ আশ্চর্য হবে।
ট্রেন লাইনের পাশেই আশিকদের বাড়িটা অবস্থিত। নিরিবিলি পরিবেশ। আশেপাশে দুই চারটা বাড়ি রয়েছে তবে কাছাকাছি নয়। বেশ অনেকটাই দূরে। নতুন ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ শোনা যায় না। মাঝেমধ্যে তীব্র ট্রেনের আওয়াজ ভেসে আসে। এই যাহহহ

তন্নির ঘুম ভেঙে গেছে কিছু মুহুর্ত আগেই। ভেঙে গেছে বলতে ঘুমতেই পারে নি তন্নি। সবে একটু ঘুম ধরা দিচ্ছিলো চোখের পাতায় তখনই অর্ণব মুখ গুঁজে দেয় তন্নির গলায়। “উমমম উমমম” শব্দ করে নাক ডুবিয়ে দেয়। শিহরণে কেঁপে ওঠে তন্নির সত্তা। সদ্য নেমে আসা ঘুম মুহুর্তেই গাট্টিবোচকা নিয়ে পালিয়ে যায়। রেখে যায় অসহায় তন্নিকে। গত চার বছর যাবত তন্নি ইমাজিন করে এসেছে এমন একটা সকালের। যে সকালটা শুরু হবে অর্ণবের মুখদর্শন করে। গভীর রজনীতে ভেবেছে কেমন হবে অর্ণবের পাশে ঘুমলে? গায়ে হাত পা তুলে দিলে বা বা একটু চুমু খেয়ে নিলে?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অর্ণবের তীব্র ভালেবাসায় ডুবে গেলেই বা কেমন লাগবে? বলিউড হিরোদের মতো কামুক দৃষ্টি ইমাজিন করতেই তন্নির শিরদাঁড়া দাঁড়িয়ে যায়। অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করতে থাকে। নিজের স্বামীকে নিলজ্জের মতো কাছে পেতে চাওয়া কি অপরাধ? অবশ্যই অপরাধ। কেনো না তাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিক নয়। মাঝেমধ্যে তন্নির মনে হয় সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে এই মানুষ টিকে আপন করে নিতে। আবার মাঝেমধ্যে মনে হয় থাক না দূরে।
ফের নরেচরে ওঠে অর্ণব। কাঁধ হতে তন্নির আঁচল নামিয়ে দেয়। ব্লা উ জ এর গলা টানতে থাকে। চমকায় তন্নি। অর্ণবের হাতের ওপর হাত রাখেৃ আতঙ্কিত নয়নে তাকায় একবার। সাহেব চোখ বন্ধ করে আছে। যেনো এখনো ঘুম ভাঙে নি৷ তাহলে কি ঘুমের ঘোরেই এমন করছে?
নিজ ভাবনার কুল কিনারা খুঁজে পাওয়ার আগেই নেশালো স্বরে অর্ণব বলে ওঠে

“খুলে ফেলো জান। ডিস্টার্ব করছে তো।
বুকের ভেতর টিপটিপ করছে তন্নির। কি অবলীলায় বলে দিলো খুলে ফেলতে। আরেহহহ ব্যাডা খুলে ফেলো বলতে হয় না কি? জোর করে খুলে ফেলতে হয়।
শুধু বলিউড হিরোদের মতো লুক দিতে পারে। কাজের কাজ কিচ্ছু পারে না। মনে মনে বিরক্ত হয় তন্নি। লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে নিজেই খুলবে? আর কোনো শব্দ করছে না লোকটা।
তন্নি একটু ভালে করে খেয়াল করে দেখে ফের ঘুমিয়ে কাঁদা অর্ণব।
আজিব বেপার সেপার।

ঘুমাবিই যখন খুলতে কেন বলবি?
মানে গাছের মাথায় তুলে ডাবের রস খাওয়ানোর স্বপ্ন দেখিয়ে অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়েই ক্লান্ত?
ছেহহ ছেহহ
পর মুহুর্তে ফের তন্নির ডান গালে ঠোঁট ছুঁয়িয়ে ধরে আসা গলায় বলে
” আই মিসড ইউ সো মাচ জান। আই আই নিড ইউ। কেন আই
বাকি গুলো শেষ করে না৷
তন্নি হতাশ। এতোক্ষণে বুঝতে পারে স্বপ্ন দেখছে লোকটা। মানে প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখে? স্বপ্ন কি কি যে করে আল্লাহ জানে।

দুষ্টু বুদ্ধি চাপে তন্নির মাথায়। অর্ণবের ধবধবে ফর্সা বুকে চট করে কা ম ড় বসিয়ে দেয়। প্রথমে আলতো করে তারপর গভীর ভাবে।
একটু বেশি লেগেছে বোধহয়। অর্ণব মৃদু স্বরে “আহহহ” বলে এক লাফে বসে পড়ে। ভরকায় তন্নি। সেও বুকে হাত দিয়ে বসে পড়ে। একটু বেশিই ব্যাথা পেয়েছে কি?
নিজের বুকে হাত বুলিয়ে আধবোজা নয়নে তন্নির পানে তাকায় অর্ণব। পরপরই নয়ন জোড়া বড়বড় করে ফেলে।
”তুমিহহহ?
আশ্চর্য শোনালো বেশ। তন্নি ভেংচি কাটে। আয়েশ করে শুয়ে পড়ে বুকের ওপর বালিশ নিয়ে। ঠোঁট ফুলিয়ে বলে
“এসেছি রাতে। আপনিও জেগে ছিলেন। এখন নাটক করবেন না।
অর্ণব চোখ বন্ধ করে কিছু একটা চিন্তা করে।।তার বলে

” সে তো প্রতি রাতেই আসো।
“স্বপ্নে?
” জানি না।
তবে তুমি আমার স্বপ্ন দোষের কারণ।
সকাল সকাল গোসল করিয়ে ছাড়ো।
লজ্জায় কান গরম হয়ে তন্নির। মনে মনে বেশ কয়েকটা গালি ছুঁড়ে অর্ণবের উদ্দেশ্যে। বজ্জাত লোক।
অর্ণব আড়মোড়া ভেঙে হাই তোলে। এলোমেলো ঝাঁকড়া চুলে হাত বুলিয়ে বলে
“ফ্রেশ হবো। তুমি যাবে এখন?
ভেতরে ভেতরে ফুঁসে ওঠে তন্নি। যাবে মানে কি?

বিয়ে করা বউ। একটু আদর টাদর করবে না? চুমুও খাবে না? এই লোক এতো নিরামিষ কবে হলো? কিভাবে হলো?
” হেই অথৈয়ের তন্নি৷ আন্টি জেগে গেলে অন্য কিছু ভাব
অর্ণবের কথা শেষ হওয়ার আগেই তন্নি অর্ণবের গলা জড়িয়ে ধরে। চোখে চোখ রেখে হিসহিসিয়ে বলে
“যাবো না আমি। বুঝেছেন?
অর্ণব বাঁকা হাসে। জড়িয়ে ধরে তন্নির কোমর। আলতো করে চুমু খায় তন্নির ঠোঁটে।
” না গেলে থাকো এখানে। আমি যাবো।
রাগ যেনো তরতর করে বেড়ে গেলো তন্নির। মুহুর্তেই অর্ণবের ঝাঁকড়া চুল গুলো মুঠো করে ধরে।
“মে রে ফেলবো আপনাকে আমি।
অর্ণব খামচে ধরে তন্নির উদর।

নাকে নাক ঠেকিয়ে বলে
” মে রে ফেললেও আদর করবো না।
ছোট ছোট নয়নে অর্ণবকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে তন্নি। ব্যাপারটা এমন হয়ে যাচ্ছে না? বেড়াল বলছে মাছ খাবো না?
ঠিক আছে
না খেলো মাছ। তন্নি কি আদর খাওয়ার জন্য মরে যাচ্ছে না কি?
এই লোকটার ধারে কাছে আর ঘেসবে না তন্নি৷ কখনো না। জীবনেও না।

ছেড়ে দেয় অর্ণবের চুল। উল্টো দিকে ফিরে চলে আসতে নেয়৷ তখনই দ্যা গ্রেট অর্ণব চৌধুরী তন্নির ওষ্ঠদ্বয় দখল করে নেয়। আলতো করে খানিকক্ষণ অনুভব করে ওষ্ঠের ভাজে ওষ্ঠ মিলিয়ে। তন্নি ফের খামচে ধরে অর্ণবের চুল। মৃদু হাসি ফুটে উঠতে চায় ঠোঁটের কোণে। চোখে হেসে সায় জানায় অর্ণবের তালে। কিছু মুহুর্ত সুন্দর চলে পরমুহূর্তেই চুম্বনের তাড়নায় কাহিল করে তোলে ছোট্ট দেহখানা। দুই হাতের বেসামাল বিচরণ রীতিমতো হয়রান করে তোলে তন্নিকে। নরম তুলতুলে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়।
শ্বাস টানতে ভুলতে বসেছে বোধহয় তন্নি। বরাংবার কাচুমাচু হয়ে অর্ণবকে সরানোর চেষ্টা করে। দুই চোখের কুর্ণিশ বেয়ে গড়াতে থাকে নোনাজল।

অর্ণবের বোধহয় দয়া হলো। বেসামাল থাকের বিচরণ থামিয়ে দেয়। ছেড়ে দেয় ওষ্ঠ। তন্নি চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস টানতে থাকে।
অর্ণব দাঁতে দাঁত চেপে বলে
“রোমাঞ্চ করার ক্ষমতা নেই তোমার। এটলিস্ট আমার রোমান্স সহ্য করার চেষ্টা করো।
তন্নি হতাশ স্বরে জবাব দেয়
“এমন না খাওয়া বাঘের মতো হামলে পড়েন কেন? আমি বাচ্চা না?
” ২৯ বছরের না খাওয়া বাঘ আমি। হামলে পড়বো না?
জবাব দেয় না তন্নি। চলে যাওয়ার রাস্তা খোঁজে। অর্ণব বোধহয় বুঝতে পারলো তন্নির মতলব৷ তাই দুই গালে হাত রেখে ঠান্ডা স্বরে বলে

“কালকে তোমার বাড়িতে যাবো। এন্ড তারপর যা হবে সেটা তোমার ভালো লাগবে না।
তন্নি সময় নেয় না। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে অর্ণবের বাহু। কাতর স্বরে বলে
” জানি না আমি। কিছু করুন। আপনাকে ছাড়া থাকতে পারছি না আমি। আপনাকে লাগবে আমার৷
“সহ্য করতে পারবে তো?
” মানিয়ে নিবো।
“আমি কিন্তু ভীষণ হ…..
” প্লিজ চুপ করুন। একটু অনুভব করতে দিন আপনাকে।

“তামিম এমন একটা চিজ যে একবার খেয়েছে চুমু সেই শুধু বুঝে চিজের মজা। এই তামিমের চিজনেস টেস্ট করতে হলে ফটাফট খেয়ে নাও কয়েকটা চুমু। উহু ভুলেও হাতে চুমু খাওয়ার কথা চিন্তা করিও না। তামিম ছোট হতে পারে তবে হাতে চুমু সে মেনে নিতে পারে না।

সকাল সাড়ে সাতটায় ইংরেজি সাবজেক্ট পড়ে তামিম৷ একই সাথে পড়ে লাবিবা নামের এক মেয়ে। বাচ্চাটা প্রচন্ড ভীতু। প্রতিদিন কোচিং এ এসে সবার পেছনে বসবে এবং চুপচাপ পড়বে। একটুি শব্দ করবে না। তামিম বেশ কিছুদিন হলো তামিম খেয়াল করছে বিষয়টা। বেশ মনে ধরেছে মেয়েটাকে। কি যে মিষ্টি দেখতে। সব থেকে সুন্দর সামনে থেকে কাটা চুল গুলো। পুতুল পুতুল লাগে যেনো। এই পুতুলকে একটু ডিস্টার্ব না করলে মজা আসবে? একটুও না। তাই তো আজকে সকলের পেছনে বসেছে। চুপিচুপি ডিস্টার্ব করবে বলে। আর স্যার যে হাঁদারাম। বুঝতেও পারবে না। হি হি
লাবিবা মনোযোগ দিয়ে প্যাসেল থেকে বেছে বেছে কোশ্চেন সলভ করছে। My Name i Tamim. I’ m ten year’s old. I study in class five. My Father is a doctors. My Mother Is a Housewife.
কোশ্চেন এসেছে “How old is Tamim?”

লারা হবেই লিখতে যাবে তামিম নামটা তখন তামিমের বলা কথা গুলো কানে আসে। পাত্তা দেয় না ঠিক। সে নিজের কাজে ব্যস্ত। এমনিতেও তামিম ভীষণ দুষ্টু এটা জানা তার। সারাক্ষণ উল্টাপাল্টা কাজ করবে আর উল্টাপাল্টা বলবে, বাচ্চাদের ডিস্টার্ব করবে, স্যারের থেকে বকা খাবে, মা ই র খাবে। তবুও সুধরাবে না। ঠিক এই জন্যই লাবিবার ঠিক পছন্দ নয় তামিমকে।
লাবিবার থেকে পাত্তা না পেয়ে তামিম একটু হতাশ হলো। তবে দমে গেলো না। উঁকিঝুঁকি মেরে লাবিবার খেলা দেখলো। অতশত ইংরেজি বোঝে না তামিম৷ তবে নিজের নামটা ঠিকই ধরতে পারলো। মুহুর্তেই টেনে নিলো লাবিবার খাতা। সটাং হয়ে দাঁড়িয়ে স্যারকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে বলে ওঠে
“স্যার লাবিবা লাভস মি।

ইংরেজি শিক্ষক ইকবাল কপালে ভাজ ফেলে তাকায় তামিমের পানে। ইতোমধ্যেই লাবিবা কেঁদে ফেলেছে। এবং দাঁড়িয়েও পড়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে অনবরত মাথা নেরে বলে
” নো স্যার। আই হেইট তামিম।
মেজাজ চটে যায় তামিমের।
“ইহহহ হেইট তামিম। থাপ্পড়ে দাঁত ফেলে দিবো। এই যে খাতায় আমার নাম লিখেছো। আমি বুঝি না ভেবেছো? T দিয়ে তামিম হয়। সাথে a থাকলে সেটা কনফার্ম তামিম। শেখাও আমায়?
ইকবাল দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। এই ছেলেকে এখন আর বকা দিতেও ইচ্ছে করে না। দশ বছরের বাচ্চা এতো দুষ্টু কি করে হতে পারে?

” লাবিবা সামনে চলে এসো।
বাধ্য মেয়ের মতো লাবিবা ব্যাগ খাতা কলম নিয়ে সামনে চলে যায়। তামিম গোমড়া মুখে বসে পড়ে। ধুরর স্যার বিশ্বাসই করলো না। অথচ সেম কথাটা লাবিবা বললে এতোক্ষণে মে রে চামড়া গুটিয়ে নিতো তামিমের।
মানে ব্যাপার খানা এমন “যত দোষ তামিম ঘোষ”
ওরেহহ তামিম রে এই তিন কুলে তোর কেউ নেই। চলে যা এখান থেকে। মই বেয়ে উঠে পড় চাঁদে। সেখানে রাজত্ব কর। আর হ্যাঁ অবশ্যই একটা মেয়ে কিডন্যাপ করে সাথে নিস। নাহলে ঝগড়া করবি কার সাথে?

সারা রাত ঘুমতে পারে নি আশিক। তাই তো ভোর রাতে দু’চোখের পাতা এক হয়ে গিয়েছিলো। আর এতো বেলা হলো তবুও ঘুম ছুটলো না। অবশ্যই একবার চোখ মেলেছিলো কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারে নি।
সাথী রান্না বান্না শেষ করে এসেছে আশিককে ডাকতে। আশিকের মায়ের সাথে বেশ ভাব জমেছে। তিনি বুড়ো বয়সে গল্প করার সঙ্গী পেয়েছে আর সাথী একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়েছে।
একটুখানি ভালোবেসে কপালে চুমু খেয়েছিলেন আশিকের মা সেই থেকে সাথীর ঠোঁটের কোণে লেপ্টে আছে হাসির রেখা।

গোলাপি রংয়ের শাড়ির আঁচল মাথা তুলে রুমে ঢুকে পড়ে। উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমচ্ছে আশিক। সাথী মাথার কাছে বসে চুলের ভাজে হাত ডুবিয়ে দেয়।
“এই যে শাশুড়ীর ছেলে উঠুন
অনেক বেলা হয়েছে।
আশিক নরেচরে আবারও চোখ বন্ধ করে ফেলে। দারুণ একটা স্বপ্ন দেখছে সে। সেই স্বপ্নে সাথীকে চুমু খাচ্ছে। আহহহা সে কি চুমু। আরামের চুমু যাকে বলে। স্বপ্নে যদিও সাথী বেশ খানিকটা বড় হয়েছে। লম্বায় আশিকের থুতনি ছুঁই ছুঁই।

” এই যে উঠুন না।
বলতে বলতে আশিকের চুল গুলো মুঠো করে ধরে সাথী। ধরফরিয়ে উঠে বসে আশিক। এতো জোরে ডেকেছে যে ভয় পেয়ে গেছে। আশিককে ভয় পেতে দেখে ঠোঁট টিপে হাসে সাথী। দাঁড়িয়ে পড়ে বিছানা থেকে।
“ভয় পাবেন না আমি।
আশিক মাথা চুলকায়। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে সাথীর মুখ পানে। বিরবির করে বলে
” ঢং

এক মায়াবতীর প্রেমে পর্ব ৪১

রাতে একটা চুমুও খেতে দিলো। এখন এসেছে ডাকতে।
কপালে ভাজ ফেলে সাথী বলে ওঠে
“কি বললেন?
” বললাম যাও এখন। উঠেছি।

এক মায়াবতীর প্রেমে পর্ব ৪৩