এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১২
Chadny islam
আজাদ চৌধুরী মাথাই হাত দিয়ে বসে আছেন। সে কোনো ভাবেই বুঝতে পারছে না। হঠাৎ করে কি এমন হয়ে গেলো এই বাড়িতে। রোশান রাগে কিরমির করছে।প্রচন্ড রাগের খোপে ফার্নিচার থেকে শুরু করে সব কিছু ভাঙ্গচুর করছে। তাকে আটকানোর সাহস কারোর নেই। সয়ং ইকবাল খানের ও নেই। তিনি মাথাই হাত দিয়ে বসে আছেন। বাড়িতে থাকা অনেক লোকের ভিরে কেউ বা কারা হয়তো মিডিয়া কে খরব পাঠিয়েছে। সরে সরে প্রেস মিডিয়া এসে হাজির হয়েছে চৌধুরী বাড়িতে। একের পর এক প্রশ্ন করেছে মিডিয়ার লোকেরা।
বডিগার্ড গুলোর আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরছে। তাদের এই রকম অবস্থা হয়েছে কেনো বুঝতে পারছে না। তারা তাড়াতাড়ি করে উঠে চলে যায় বাড়ীর ভেতরে। বাড়ির ভেতরের অবস্থা দেখে রীতিমতো অভাক হয়ে যায়।সরে সরে মিডিয়া প্রেস কে দেখে। মিডিয়ার লোকে দের কাজ উল্টা পাল্টা সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। রোশান রাগে হকচকিয়ে দাঁতে দাঁত কিরমির করে সবাই উদ্দেশ্য করে বললো!!!
___খা…..নির পোলারা নাটক দেখবার আইছোস।বের হয় বাড়ি থেকে নয়তো জান্ত করব দিয়ে রেখে দিবো এখানে।
আজাদ চৌধুরী মাথা নয়ে আছে। তার পুরো কনফিডেন্স আছে তার মেয়ের প্রতি। ইরা কখনো তার সম্মানে ব্যাগাথ গঠাবে না। তবে আজকে কি এমন হলো যে কাউকে কিছু না বলে কোথাই চলে গেলো।বডিগার্ড গুলো সব মিডিয়ার লোক দের কে বাড়ি থেকে বের করে দিলো।রোশান সোজা উঠে দাড়িয়ে আজাদ চৌধুরীর পাঞ্জাবির কল্যারে দরে দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
__আমার সাথে বেইমানি করলেন কেনো চেয়ারম্যান সাহেব। আমি তো আপনাকে বিশ্বাস করে ছিলাম।
আজাদ চৌধুরীর নত মাথা আরও নইয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে অনুরোধ করে বললো!!
__বিশ্বাস করো বাবা আমি এই রকম কোনো কিছু করি নি। আমার মনে হয় আমার মেয়ে ও কিছু জানে না। ওকে হয়তো কেউ বা কারা নিয়ে গেছে সবাই কে জ্ঞান শূন্য করে। দয়া করে তুমি আমার মেয়ে কে খুঁজে বের করো।
ইকবাল খান যথেষ্ট শান্ত ভঙ্গিতে রোশান কে বুঝানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। কিছু সময় পর রোশান আজাদ চৌধুরী কে ছেড়ে দিয়ে হনহনিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায়।
ইরার জ্ঞান ফিরেছে মাথা গুরছে। চোখ মেলে তাকাতে পারছে না তাকাতে ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। ইরা পিটপিট করে তাকাতেই দেখে। রুমের চার পাশে সুগন্ধী ফুল দিয়ে সাজানো। সারা ঘরে ছড়িয়ে আছে ফুলের সুভাব। ইরা ভালো করে দেখলো চারপাশটা আর নিজেকে আবিষ্কার করলো বন্ধ একটি রুমে। ইরা বিছানা থেকে দূত উঠে দরজার সামনে যায়। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কেউ হয়তো বাইরে থেকে দরজা আটকে রেখেছে। ইরার ফুলের সুবাস টা ভালো লাগলেও ঘর টাকে ভিষণ ভয় পাচ্ছে। ঘরের সব ফুল কালো রংঙের এমন কি দেয়াল গুলো। কিছুটা ভুতুড়ে ভুতুরে লাগছে। ইরা বেশ কিছু খন পর লখ্য করে দেখলো তার পরিহিত লেহেঙ্গা টা তার শরীরে নেই। একটা পাতলা লাল শাড়ি পরে আছে সে।কিন্তু সে তো লেহেঙ্গা পাল্টে শাড়ি পরে নি তাহলে এই শাড়ি টা কোথাই থেকে তার শরীরে এলো।
আদিল বেশ কিছু খন পর রুমে প্রবেশ করলো প্রবেশ করতেই দেখে ইরা জেগে আছে। বসে আছে বিছানার এক পাশে। আদিলের হাতে ট্রি ভরতি খাবার।আদিল টেবিলের উপর খাবার রেখে ইরা পাশে গিয়ে বসলো!!আর ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__কেমন লাগে আমাকে??
ইরা গম্ভীর গলাই বললো!
__এক দম বাজে লাগে আপনাকে!! আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন কেনো???
আদিল বাঁকা হেসে বললো!!
__বোকা নারী এত সময় লাগে বুঝতে।তোমার বয়স কত??
মানে৷
আদিল উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললো!!!
___নতুন ভাবে জীবন শুরু করার জন্য প্রস্তুত হয়!!
__কি বলছেন এসব! আমাকে যেতে দিন প্লিজ আমার আব্বু আমার জন্য চিন্তা করছে।আমি এখন না গেলে আমার আব্বুর সম্মান টা নষ্ট হয়ে যাবে। প্লিজ যেতে দিন আমাকে!
আদিল স্পষ্ট ভাবে বললো!!
__আমার সাথে সারা জীবন কাটানোর জন্য রেডি হও।পালিয়ে যাওয়ার ব্যার্থ অজুহাত দেখিও না আমায়!
ইরা বেশ আকুতি করে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আদিল এর কাছে গিয়ে বললো!
__আমি আপনাকে সেদিন থাপ্পড় মেরে ছিলাম বলে আজ আপনি তার প্রতিশোধ নিচ্ছেন আমার থেকে! ঠিক আছে আমি আপনার পায়ে পরছি আমাকে মাফ করে দিন। নয়তো আপনি একটা থাপ্পড় এর পরিবর্তে আমাকে দশটা থাপ্পড় দিন আমাকে যেতে হবে আমাকে যেতে দিন প্লিজ। সবাই যদি জানে আমি আপনার সাথে এক বাড়িতে এক রুমে আছি ।তাহলে সমাজের চোখে আমি কলঙ্কিত হয়ে যাবো। আমাকে যেতে দিন প্লিজ দয়া করুন আমার উপর।আমাকে কলঙ্কিত করবেন না প্লিজ।
ইরার আকুতি করে কথা বলতে দেখে আদিলের বেশ মায়া হলো। তাই ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__কোনে প্রতিশোধ নিচ্ছি না আমি তোমার উপর থেকে!!আমার জন্য তেমার কোনো কলঙ্ক হবে না। আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমার সব কলঙ্ক মুছে দিবো! যত ইচ্ছা আছে কাঁদার আজ কেঁদে নাও এই সুযোগ টা তুমি আর দ্বিতীয় বার পাবে না।
আদিলের ফোনে ফোন এসেছে। তাই আদিল ফোন রিসিভ করতে করতে রুমের বাইরে চলে আসে। ইরা কে রুমের ভেতরে রেখে বাইরে দরজা আটকে দেয়। আদিল কথা বলতে বলতে নিচে ড্রয়িংরুমে চলে যায়। এর মধ্যে ঈশান আর রিফাত কাজি নিয়ে চলে এসেছে। এই বাড়িতে ঈশান আগেও বেশ কয়েক বার এসে ছিলো তবে রিফাত আর কাজি কখনো আসে নি। এই বাড়িতে আসার পর থেকে তাদের শরীর কাঁপছে ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে! এই বাড়িটা দেখতে ঠিক ভুতুড়ে বাড়ির মতোন লাগছে তাদের কাছে। কাজি ঈশান কে বেশ কয়েক বার অনুরোধ করে বলেছিলো!! তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো কাজি কে নিয়ে আসতে। রাত গভীর হয়েছে এখন কোনো কাজি কেনো এখন দোকানের বারান্দাও খোলা নেয়।
আদিল সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে সুয়ে আছে। সারা দিনের এত ছুটাছুটি তে বেশ ক্লান্ত আদিল। এর মধ্যে কয়েক বার কল করে ফেলেছে আইরা। আজকে সারাদিন আদিল এর সাথে ঠিক মতোন কথা ও হয় নি। আদিল সেই সকালে বের হয়ে ছিলো বাসা থেকে আর আইরা গিয়ে ছিলো শপিং এ।অনেক বেশি ফোন আসাই আদিল বেশ বিরক্ত হয়ে ফোন রিসিভ করে বললো!!
__বার,বার কল করছো কেনো??ডিস্টার্ব হচ্ছি আমি!!
আদিলের এমন কর্কট গলাই কথা শুনে আইরার কিছুটা মন খারাপ করে বললো!!
__অনেক মিস করছি তোমাকে আদিল! কোথাই তুমি??
আদিল বেশ গম্ভীর গলাই বললো!!
__সকালের কথা ভুলে গেলে কি করে এত দূত!!আমি এটা তোমার থেকে আশা করি নি।
আইরা সত্যিই ভুলে গেছে কি বলে ছিলো সকালে।আইরা বার বার চেষ্টা করলো মনে করার জন্য। কিন্তু মনে করতে ব্যার্থ হয়। তাই আদিল কে ফের আবারও প্রশ্ন করে!!
__কি বলে ছিলে সকালে মনে করতে পারছি না তো!! থাক এখন আর মনে করতে ও চাি না! জানো আজকে একটা বেশ দামী সুন্দর লেহেঙ্গা কিনে নিয়ে এসেছি বিয়ের দিন পরবো বলে অহনা আন্টি কিনে দিয়েছে।
আদিল কিছুটা বাঁকা হেসে বলে!
__তোমার হাসবেন্ড এর পাশে দাড়িয়ে আমাকে ছবি পাঠিয়ে দিও।
আইরা হেঁসে হেঁসে বললো!!
__আমার হাসবেন্ড তো তুমিই হবে! একটা নয় পুরো একশো টা ছবি পাঠিয়ে দিবো তোমাকে।
এরি মধ্যে ঈশান চলে এসেছে কাজি কে নিয়ে। ওদের কে আসতে দেখে আদিল কল টা কেটে দেয়। ঈশান গম্ভীর গলাই বলে!!!
__সারা পৃথিবীতে এত সুন্দর সুন্দর ঘর বাড়ী থাকতে তুই কিনা একটা ভুতুড়ে বাড়ি বানিয়ে দিস। আত্মা হাতে করে নিয়ে এসেছি আর কয়েক মিনিট পর সোজা টপ করে উপরে চলে যাবো।
আদিল ইশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__আল্লাহ আমার বন্ধুর মনের আশা টা তাড়াতাড়ি পুরন করো! ওরে টপ করে উপরে তুলে নাও দেশের জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে।
ঈশান বেশ বিরক্ত নিয়ে বললো!!!
__সালা বন্ধু নামের কলঙ্ক! শেষ মেশ কিনা আমাকে উপরে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছিস।
কাজি কাঁপছে ভয়ে। রিফাতের শরীরের প্রশম সব দাঁড়িয়ে আছে। সে শুধু পারছে না এক ছুটে এই বাড়ি ছেরে পালিয়ে যেতে।কাজি সাহেব কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন!!
__বাবা বিয়ে টা তাড়াতাড়ি পরিয়ে আমি বরং চলে যায়। শুভ কাজে বেশি দেরি করতে নেই! বাবা পাএ আর পাএী কে?.
ঈশান হাত দিয়ে আদিলের দিকে ইশারা দিয়ে বললো!
__আজকের জন্য পাএ শুধুই ও??
ঈশান আদিল কে জিজ্ঞেস করলো!!
__ইরা কোথাই??
আদিল বললো উপরে! কাজি কে নিয়ে উপরে চল। আদিল এর পেছন পেছন সবাই উপরে ইরার রুমে আসে। ইরা চুপ করে বসে আছে ফ্লোরের এক পাশে অঝরে কান্না করছে। চোখের পানি গাল মুখ ভেয়ে নিচে পরছে। ইরা ঈশান কে দেখে এক দৌড়ে ঈশান এর কাছে যায়। ইরা ভেবেছে হয়তো ঈশান সুপারম্যান হয়ে এসেছে ইরা কে বাচাতে এই পাপী অসভ্য লোক টার থেকে তাকে বাঁচাবে! । ইরা ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!!
__ভাইয়া তারাতাড়ি চলো এখান থেকে! আব্বু অনেক চিন্তা করছে আমার জন্য।
ইরার এমন আকুতি ভরা কান্না দেখে ঈশান এর বেশ মায়া হলো। ঈশান তো যতই হোক বড় ভাই সে কিনা নিজের ছোট বোন কে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। ভাবতেই ঈশান এর শরীরে লোম দাড়িয়ে যায়। কাজি সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!
__এই টাই কি বিয়ের কনে। কিন্তু এমন ভাবে কান্না করছে কেনো। মেয়ে কি রাজি নয়??
রিফাত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেই যে এইটাই বিয়ের কনে। জোর করেই হোক বা ইচ্ছে করেই হোক আপনার দায়িত্ব বিয়ে পরানো আপনি বরং নিজের কাজটা অতি তাড়াতাড়ি করেন।ইরা রিফাত এর কথাই বেশ রেগে গিয়ে ইশান কে বলে!!
__ভাইয়া কি বলছে এসব??
আদিল ঈশান এর পাশে থেকে ইরা কে টেনে নিয়ে বিছানায় বসাই। ইরা পুরুষালী শক্ত পোক্ত হাতের সাথে পেরে উঠেনা ! তবে অনেক জুরে জুরে চিৎকার চেচামেচি করে খুব আকুতি করে আদিলের কাছে। কিন্তু আদিল কোনো কিছুই শুনে না। একটা সময় ইরার পাগলামি আরো বেড়ে যায়। সে মরে গেলে ও আদিল কে বিয়ে করবে না। আদিল বেশ রেগে গেলো ইরা উপর আর দাঁতে দাঁত কিরমির করে বললো!!
__জানে বাঁচতে চাইলে যেটা বলছি সেটা করো। তোমার শরীরে হাত তুলতে আমার ভিষণ কষ্ট হবে।
ইরা চোখের কোনে পানি মুছতে মুছতে বলে!
__আমি বাঁচতে চাই না আমাকে মেরে ফেলোন??
আদিল বাঁকা হেসে ইরা কে বললো!!
__বৈধ্য অবৈধ বুঝো!
ইরা শান্ত ভাবে উওর করলো!!
হুম! ইরার হুম এর মানে ইরা জানে বেধ্য অবৈধ কাকে বলে।
তোমার রুপের আগুনে তোমার তেজে আমি ঝলসে যাচ্ছি।এখন কি তুমি চাচ্ছো তোমার শরীরে আমার দেয়া অবৈধ্য তার ছোয়া পরুক।
ইরা মাথা নয়ে ফেলবো আর ভাবলো! সে একা কোনো ভাবে পেরে উঠবে না এই ছেলের সাথে। তার শরীরে এখন অনেক বেশি কলঙ্ক লেগে গেছে। তার অচেনা পুরুষটি নিশ্চয় এই কলঙ্কিত নারী টিকে বিয়ে করবে না।এক জন নারীর কাছে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে তার চরিত্র। কোনো ভুল না করে ও সেই কলঙ্ক এক বার গায়ে লেগে গেলে সমাজের চোখে তাকে কলঙ্কিত বানিয়ে দেয়া হবে। আজকে হয়তে এই পুরুষ টি কে নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে আর বেঁচে থাকার মতোন সুখ কখনো হবে না। জীবন্ত মৃত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে সারাজীবন ।তবে আমাকে এমন ভাবে কলঙ্কিত করার জন্য আপনাকে প্রতি পদে পদে তার খেশারত দিতে হবে আদিল সিকদার । আমি কখনোই আপনাকে ক্ষমা করবো না। আপনি কখনো আমার থেকে নিজের বউয়ের অধিকার পাবেন না। ইরা শান্ত ভাবে গিয়ে বসলো বিছানার এক পাশে। তাকে শান্ত দেখে সবাই বেশ স্বস্তি পেলো।
ঈশান ইরার মাথাই হাত দিয়ে বললো!!
__আজকে হয়তো আমাকে পৃথিবীর সব থেকে নিকৃিষ্ট তম ভাই বলে মনে হচ্ছে তোর। তবে কোনো এক দিন তুই ঠিক বুঝবি। তোর ভাইটা নিকৃিষ্ট ছিলো না।
কাজী সাহেব এগিয়ে গিয়ে বসলেন বিছানায়! বিয়ের সব নিয়ম নিয়ম নীতি পরতে শুরু করলেন। কাজী সাহেব কে কাবিন নিয়ে তেমন কিছু বলা হয়নি। কাজি সাহেব আদিল কে জিজ্ঞেস করলেন! __দেনমোহর কত দিবো বাবা???
আদিল নিজ সংকোচ করে বললো!!
__আমার এই Black RoSe বাড়িটা লিখে দেন।
কাজি অভাব হয়ে বললো!!
__ এইটা তো ভুতুড়ে বাড়ি এই বাড়ি দিয়ে এই পিচ্চি মেয়ে কি করবে!!!
রিফাত কর্কট গলাই বললো!!
__এই কাজির বাচ্চা! এই বাড়ীর দাম কত টাকা জানা আছে তোর?
কাজি অভাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
__কত টাকা বাবা???
রিফাত শান্ত গলাই বললো!!
__দশ কোটি প্লাস!!
কাজি বাড়ির দামের কথা শুনে বুকে হাত দিয়ে বসে পরলো। আদিল বিরক্ত হয়ে বললো!!
___এই ডিলা মার্কা কাজি নিয়ে আসছিস কেনো?? দুনিয়ায় কি আর কাজি নাই!! একটা বিয়ে পরাতে এত সময় লাগে। সালা বাসর করবো কখন।
ইরা অভাক হয়ে চেয়ে রইলো আদিলের দিকে। আদিল কে কিছু না বলে বরং কাজি কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__কাজি সাহেব আপনি লিখেন।
কাজি বেশ অভাক হয়ে গেলো। শুধু কাজি একাই নয় আশে পাশের সবাই এমন কি আদিল নিজে ও। এত খন যে মেয়ে বিয়ে করবো না করবো না করে মরেই যাচ্ছিলো! তার মুখে এখন কি চমৎকার কথা ফুটেছে! কাজি ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!
__হ্যা মা বলো!!
ইরা শান্ত গলাই বললো!!
__দেনমোহর এর জায়গায় লিখুন!যদি কখনো আমাদের ডির্বোস হয় তাহলে আমি নির দ্বিধায় এই লেকের মানে আদিল সিকদারের চোখ, দাত, কিডনি,হার্ট, ফুসফুসি, হাত, পা সব আমি নিয়ে নিবো!
তখন যদি এই আদিল সিকদার মরে যায় তখন কিন্তু তার দাই আমি ইরা নিবো না।
কাজি সাহেব বললেন!!
__তাহলে তো এই মানুষ টা মরে যাবে। তার কি প্রয়োজন মা তুমি বরং এই মানুষ টাকেই নিয়ে নিও।
ইরা স্পষ্ট ভাবে নিষেধ করে বলে!!!
__না! ওনাকে আমার চাই না!!
ইরা কথা শেষ হাতে বা হতেই আদিল ঠোঁটে ঠোট কামড়ে বললো!!
__স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের বউ বলে কথা। এত টুকু ডিমান্ড তো আশা করাই যায়।পারফেক্ট ম্যাচিং! বউ একটা জিনিস বাদ পরলো।এইটা বাদ কিন্তু দেয়া যাবে না।নিতেই হবে!!
সবাই বেশ অভাক হলো! পাশ থেকে ঈশান জিজ্ঞেস করলো আর কি বাদ পরছে???
আদিল বাঁকা হেসে বললো!!
__আমার টুনটুনি!!!
আদিলের কথা শুনে সবাই জোরে হিহিহি করে হাসতে শুরু করলো। ইরা বেশ লজ্জা পেয়ে মাথা নয়ে ফেললো।এত গুলো পুরুষের মধ্যে ইরা একাই লজ্জা পাওয়া টাই স্বাভাবিক!!!
কাজি বাকি বিয়ের কাজ টা সম্পূর্ণ করলেন৷ ঈশান এক জন ডাইবার কে ডেকে বললো কাজি কে বাসাই পৌঁছে দিয়ে আসতে। এর মধ্যে ঈশান লুকিয়ে আদিল আর ইরার ছবি তুলে নিয়েছে। ইশান ছবি টা Whatapps আশরাফ সিকদার এর ফোনে পাঠিয়ে দিয়ে বললো!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১১
__আংঙ্গেল ছবি টা আন্টি কে দেখাবেন। আর বললেন আদিল এই আকাম টাই করছে।
আশরাফ সিকদার বিকেল থেকে স্টোক এর নাটক করে সুয়ে আছে।এখন মনে হচ্ছে আরও দুই দিন এই ভাবে নাটক করে কাটিয়ে দিতে হবে।
