এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৬
Chadny islam
হৃদয়পুর এর সিকদার মহলে সবাই বসে আছেন ড্রয়িংরুমে।আশরাফ সিকদার কফি খাচ্ছেন আর সামনের রাজনীতি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। অহনা সিকদার মাইমুনা সিকদার এবং সোনালি তালুকদার সবাই বসে বসে গল্প করছেন। কলি আইরার রুমে বসে আছে! তাদের মধ্যে বেশ ভালো বনডিং হয়েছে। আইরা কে এখনো আদিল এর বিয়ের বিষয় টা জানানো হয় নি।সোনালি তালুকদার নিজেও ঠিক মতোন কোনো কিছুই বুঝতে পারছেন না। তবে আদিল যদি সত্যি বিয়ে করে। তাহলে তারা আর এক মিনিট ও এই বাড়িতে থাকবে না। আইরা কে নিয়ে সোজা ইউএসে চলে যাবেন! তবে আইরা কে সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পরবে এই সিচুয়েশনে ।
সিকদার মহলের গেটের সামনে বেশ চেচামেচির শব্দ পেয়ে ড্রয়িং রুম থেকে বের হয়ে বাইরের দিকে এগোতেই দেখতে পান বড় বড় দুইটা গাড়ি বাড়ীর ভেতরে আসার চেষ্টা করছে ! তবে আশেপাশে মিডিয়া প্রেস মিলে গাড়ি টিকে ভীড় করে রেখেছে!তার জন্য বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে না। দুপুরের দিকে পুলিশ প্রশাসন এর লোক এছিলো। তবে মিডিয়ার লোকেরা ছিলো না তখন তাই প্রশাসনের লোক চলে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে আবার কোথাই থেকে আসলো তারা কেউ বুঝতে পারছে না। এত মানুষের ভিড়ে আদিল গাড়ি নিয়ে ও ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে না। সে নিজের রাগ কন্টোল করতে না পেরে যদি মিডিয়ার লোকের মধ্যে কারোর উপরে গাড়ি তুলে দেয়,।সামনে নির্বাচন এই সময়ে এমন কাজ টা করলে সব থেকে বড় বোকামি টা করবে আদিল। আশরাফ সিকদার এক সেকেন্ড ও সময় নিলেন না! অতি দ্রুত কল করলেন থানাই সিকদার মহলে পুলিশ পাঠানোর জন্য।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আশরাফ সিকদার এবং ওনার ছোট ভাই আনিস সিকদার দুইজন মিলে এগোলেন গেটের দিকে। ওনাদের কে মিডিয়ার লোকেরা চারপাশে ঘিরে দাড়ালেন!! আর বললেন!!
___স্যার আমাদের কাছে খবর আছে!আপনার বড় ছেলে আদিল সিকদার আজাদ চেয়ারম্যান এর মেয়ে কে কিডনাপ করে বিয়ে করছেন। আমাদের কাছে কিছু প্রমাণ ও আছে। আমরা সত্যিটা জানতে চাই প্লিজ মন্ত্রী সাহেব আমাদের কে সবটা জানান।
আনিস সিকদার সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!
__আপনাদের কাজ জি উল্টা পাল্টা সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া! আমাদের বংশের ছেলে কে আমরা ওইরকম শিক্ষায় শিক্ষিত করি নি। যে অন্যের বাড়ীর মেয়ে কে কিডনাপ করে বিয়ে করে নিয়ে আসবে।আপনারা উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে আমাদের কে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন! রাস্তা থেকে সরে দাড়ান গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করবে।
আনিস সিকদার এর কর্কট গলার কথা শুনে আর প্রশ্ন করলো না মিডিয়া লোকেরা।বরং আদিল এরগাড়ির সামনে গিয়ে দাড়ালো এমন ভাবে গাড়ি কোনো ভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে পারলো না! একটা সময় আদিল রাগে কটমট করতে লাগলো! সে অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নামলো আর সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললো “!
__সা…য়ার গুরে দাড়াইয়া আছো নাপতির পোলারা ভেতরে কি তোমাদের মাথার উপর দিয়ে যাবো।
একজন সাংবাদিক আদিল এর খুব কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন!! স্যার আপনি কি সত্যি কিডনাপ করে বিয়ে করেছেন আজাদ চৌধুরীর মেয়ে কে।
__হ্যা বিয়ে করছি!! তাতে তোর বাপের কি সমস্যা!!
আশরাফ সিকদার রাগে কটমট করতে লাগলেন! এমন ভাবে কথা বললে জনগন ভোট কেনো পরবর্তী নিবাচনে দাড়ানোর আগেই লাথী মেয়ে নামিয়ে দিবে। তাই মিডিয়া কে ফোকাস করার জন্য আশরাফ সিকদার বললেন!!
__আপনারা যেহেতু ইন্টারভিউ নিতে এসেছেন! তাহলে আপনারা বরং ভেতরে আসেন!বসে কথা বলি!! আদিল তুমি গাড়ি নিয়ে ভেতরে যাও।
আশরাফ সিকদার সবাই কে উঠানের এক পাশে রাখা ছোট একটি ঘরে গিয়ে বসলেন! সাথে সাথে সাংবাদিক রাও গিয়ে বসলো। তাদের নানান ধরনের মন্তব্যের শিকার হচ্ছে তারা। একটা সময় সাংবাদিক এর লেকেরা বেশ বিরক্ত হয়ে গেলো আশরাফ সিকদার এর উপর! ছেলের বউকে মিডিয়ার সামনে আনতেছে না দেখে। সামনে নির্বাচন এই মূহুর্তে জনগণ কে রাগিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। তাই আশরাফ সিকদার ওনার ছোট ভাই আদিস সিকদার কে পাঠালেন ছেলে আর ছেলের বউকে এখানে নিয়ে আসতে। আশরাফ সিকদার বলার সাথে সাথে আদিস সিকদার ডাকতে চলে গেলেন। আদিল গাড়ি সাইডে রেখে ইরা কে শক্ত করে দরে রেখেছে। আশরাফ সিকদার যেতে বলেছেন বলে জানাই আদিস সিকদার। আদিল সম্মতি জানিয়ে বলে আসছি!! আদিল ইরা কে শক্ত করে দরে এগিয়ে গেলে উঠানের পাশে রাখা ছোট ঘরে। আদিল আর ইরা ঘরে প্রবেশ করতেই মিডিয়ার লোকেরা উঠে দাড়িয়ে একেক জন একেটা প্রশ্ন করতে লাগলো। আদিলের শক্ত মেজাজ টা আরও শক্ত হয়ে গেলো। মনে হলো একেক টা কে দরে মাথার উপর তুলে একটা করে আচার মারতে। মিডিয়ার লোকে দের প্রশ্ন❓
__ম্যাডাম আপনাকে কি কিডনাপ করে তুলে নেয়া হয়ে ছিলো!
আরেকজন জিজ্ঞেস করলো!!
__নাকি ম্যাডাম আপনাদের আগেই সম্পর্ক ছিলো বাড়িতে মেনে নিচ্ছিলো না বলে পালিয়ে গিয়ে ছিলেন।
আমরা তো শুনে ছিলাম ম্যাডাম আপনার এনগেজমেন্ট ছিলো সেদিন মাফিয়া কিং ইয়ান রোশান খান এর সাথে। যদি ম্যাডাম পরিষ্কার করে আমাদের কে সব টাই জানানেন।
আশরাফ সিকদার বার বার ইরা আর আদিল এর তাকালেন। ইরা ছোট মানুষ হয়তো এত মিডিয়া ক্যামেরার সামনে কখনো আসে নি। দেখে ও বেশ ন্যারভাস লাগছে মেয়ে টিকে। না জানি কি বলে ফেলে। এই মূহুর্তে আদিল কিছু বললে সেটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। পুরো সিকদার বাড়ী এবং চৌধুরী বাড়ির সম্মান ইরা হাতে। ইরা সবাই কে উদ্দেশ্য করে সালাম দিয়ে বললো!!
___আসসালামু আলাইকুম! আমি প্রথমেই সবার কাছে খমা চেয়ে নিচ্ছি আমি যদি কোনো ভুল কিছু বলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।আমি আপনাদের থেকে বয়সে অনেক টাই ছোট। আমাকে এই বাড়ীর ছেলে কোনো ভাবে কিডনাপ করে তুলে নিয়ে আসে নি। আমি ইচ্ছা কৃত ভাবে ওনার সাথে এই বাড়িতে এসেছি!আমাদের সম্পর্ক টা বেশ অনেক দিন আগের! আমাদের বিয়ে টা পারিবারিক ভাবে ঠিক করে রাখা হয়ে ছিলো। আর যদি আসে এনগেজমেন্ট এর কথা তাহলে আমি বলবো সে রকম কিছুই ছিলো না! আর যদি ও কোনো কিছু থেকে থাকে। অবশ্যই সেটা আমাদের ব্যাক্তিগত বিষয়। আপনার নিশ্চয় অন্যের ব্যাক্তিগত জীবনে ইন্টারফেয়ার করেন না।
কারোর কোনো প্রশ্ন থাকলেও আর করার সাহস দেখালো না বরং এক এক করে সবাই বেরিয়ে গেলো। আদিল আর আশরাফ সিকদার একে অপরের দিকে তাকা তাকি করছে। ইরা কিছু টা সামনে এগিয়ে আশরাফ সিকদার কে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে গেলে আশরাফ সিকদার পায়ে হাত দিয়ে বারন করলেন। বরং মাথাই হাত রেখে শান্ত গলাই বললেন!!
__সিকদার বাড়ির যোগ্য বউ তুমি আম্মু। অনেক দোয়া করি তোমার জন্য।সিকদার বাড়িতে তোমাকে স্বাগতম আম্মু।
আশরাফ সিকদার আদিল কে নিজের কাছে বুকে টেনে নিয়ে বললেন!!
__ইউর চয়েস ইজ দ্যা বেষ্ট! মাই সান! আই এম প্রাউড ওফ ইউ।
আদিল শান্ত গলাই বললো!!!
__থ্যাংঙ্ক ইউ ড্যাড!!
আশরাফ সিকদার এবং আদিস সিকদার দুই জন ছোট ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে এগোলেন । আদিল প্রথম বারের মতোন ইরা কে শক্ত করে দরে নিয়ে হাটছে বাড়ির ভেতরে প্রবেশের উদ্দেশ্য!!!
ইশান জুথী কে কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়ে সোজা বাড়িতে চলে যাবে। আজ কাল জুথী ঈশান এর সাথে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করে না। আগের থেকে অনেক টাই ফ্রি হয়ে গেছে তারা দুইজন।ঈশান এর জুথী কে ঘিরে ভালো লাগার বিষয় টা জুথী বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারছে। আজকাল জুথীর আর খুব বেশি ঈশান কে বিরক্ত লাগে না।বরং ভালোই লাগে। ঈশান জুথী উদ্দেশ্য করে বললো!!
__জুথী তোমার নাম্বার টা দেয়া যাবে??
জুথী বেশ কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
__কেনো??
ইশান দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!
__না মানে বড় বড় তেলাপোকা খুঁজে পেলে তোমাকে কল করে জানাবো। তারপর তুমি এসে এক ছুটে ভয়ে আমাকে ঝাপটে দরবে। ওপপসস কি ছিলো সেই দৃশ্যটা।
জুথী বিরক্ত হয়ে বললো!!
__লুইচ্ছা বেডা!!!
__কে??
__আবার কে আপনি!!
জুথী কলেজের সামনে আসতেই ঈশান কে বলে এখানেই গাড়ি থামান! আমি কলেজে এসে পরেছি আমি এই খানেই নামবো।জুথী অতিদ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যায়। আর ঈশান কে বলে চলে যেতে। যাওয়ার আগে ইশান জুথীকে জিজ্ঞেসা করে!!
__আবার কবে দেখা হবে!!!
__জানি না। আজ আসি। বলে জুথী তাড়াতাড়ি করে কলেজের ভেতরে প্রবেশ করে।
আদিল ঘরের ভেতরে ইরা কে নিয়ে প্রবেশ করতেই অহনা সিকদার সহ পরিবারে সবাই উঠে দাড়াই।সোনালী তালুকদার বেশ রেগে যায়৷ অহনা সিকদার এর রাগ ছেলের প্রতি থাকলে ও ইরা কে দেখে রাগ অনেক টাই কমে গেলো । মেয়ে টা ভয়ে কাঁপছে মাথা নত করে রেখছে। সৌন্দর্য লাবণ্য ছড়িয়ে পরেছে পুরো সিকদার বাড়ীতে। আদিল কে ইরার হাত শক্ত ভাবে দরে থাকতে দেখে সোনালি তালুকদার রাগে হিরহির করতে লাগলেন। তাদের থেকে বেশ দূরে দাড়িয়ে আছে আইরা সে গাড়ির শব্দ শুনে নিচে এসে ছিলো। ভেবে ছিলে আদিল এসেছে! হ্যা আদিল তো সত্যি সত্যি এসেছে।তবে আদিলের পাশের মেয়ে টাকে দেখে আইরা আদিল এর বেশ কাছে গিয়ে বললো!!
__আদিল বেবি তুমি এই মেয়ে কে এই ভাবে দরে রেখেছো কেনো??এই মেয়ে কে ছাড়ো।
আইরার কথাই আদিলের শান্ত মস্তিষ্ক টা খুব তারাতাড়ি বিগড়ে গেলো। ইরা বুঝতে পারছে না এই মেয়ে টা কে। আইরা আরেক টু কাছে গিয়ে আদিল এর থেকে ইরা কে ছাড়ানোর ব্যার্থ চেষ্টা করতে লাগলো!! আদিল ইরা কে কোনো ভাবে ছারবে না । তাদের দুজনের এই টানাটানির মাঝে পরে ইরার ফর্সা হাতটা লাল বর্ণ দারন করে ফেললো। হাতের রগ ফুলতে শুরু করলো। সোনালী তালুকদার মেয়ের এমন পাগলামি সহ্য করতে না পেরে এগিয়ে গেলেন মেয়ের দিকে। আইরা কে আদিল এর থেকে দূরে আনার চেষ্টা করলে। আইরা চিৎকার করে আদিল এর কাছে জানতে চাইলো!!
__কে এই মেয়ে আদিল!!
আদিল নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করে শান্ত গলাই বললো!!
__সিইচ মাই ওয়াইফ! সেইচ মিসেস ইরা আদিল সিকদার।
হোয়াট! তাহলে আমি কে??
আই ডোন্ট নো!!
প্রাঙ্ক করছো তাই না! আমাকে ভয় দেখানোর জন্য প্রোভ করছো রিয়েল ভালেবাসি কিনা ফেক ভালেবাসি ! আমি সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছি। টাসস্ট মি.
এবার তো বলো তুমি প্রাঙ্ক করছো।
__হোয়াট ননসেন্স!! তেমার সাথে প্রাঙ্ক করবো কেনো!!তুমি কি আমার বেয়াইন লাগো।
আইরা চিংকার করে কাঁদতে কাঁদতে বললো!!
__আমাদের যে কাল বাদে পরশু বিয়ে তাহলে বিয়ে টার কি হবে!!
আদিল নিজের চোয়াল শক্ত করে কর্কট গলাই বললো!!
__আজব!! এই রকম উল্টা পাল্টা প্রশ্ন আমাকে কেনো করছো! আমি কি তোমাকে একবার ও বলেছি আমি তোমাকে ভালোবাসি বা আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।আমি কখনো তোমাকে এই সব কথা বলেনি যারা তোমার বিয়ে ঠিক করে ছিলো আমার সাথে! এই প্রশ্ন গুলো তুমি বরং তাদের কে জিজ্ঞেস করো। আদিল ইরার এক হাত শক্ত করে দরে টানতে টানতে ইরা কে নিজের রুমে নিয়ে যায়।
আইরা ফ্লোরে বসে পরলো এত খনে তার চোখের পানি শত শত ফোটা হয়ে চোখ বেয়ে ঝড়ে পরেছে। সোনালি তালুকদার মেয়ে কে বোঝানোর জন্য বললো।
__একটা আদিল বিয়ে করেছে তো কি হয়েছে। হাজার টা আসবে আমার মেয়ে কি আমি অন্য জায়গায় বিয়ে দিবো। আদিল এর ৎেকে ও ভালো চেলের কাছে।
সোনালি তালুকদার এর এমন কথাই আইরা নিজের মায়ের থেকে দূরে সরে গেলো। আর বললো!!
___আমিতো আদিল কে ভালোবেসে ছিলাম চোখ বন্ধ করে ভরসা করে ছিলাম। আমাকে ঠকিয়ে দিলো আদিল। আমার দোষ ছিলো বলো তোমাকে বেশি ভালোবাসার! আমি তো প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত অপেক্ষা করেছি তোমাকে নিজের করে পাওয়ার। আজ তুমি কিনা একটি বার ও ভাবলে না আমাকে নিয়ে তুমি কিনা অন্যের হয়ে গেলে। কি আছে ওই মেয়ের মধ্যে যা আমার মধ্যে মধ্যে নেই।
সোনালি তালুকদার মেয়ে এমন অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পরলেন। আইরা আহাজারী করে কেঁদে কেঁদে বললো!!
__আজ আমি তোমাকে হারিয়ে হয়ে গেলাম শূন্য! আর ওই মেয়ে তোমাকে পেয়ে হয়ে গেলো পরিপূর্ণ।ইশ্বর কি তোমার আমার এ প্রেম লিখতে পারতো না।
আদিল এর রুম টা বেশ বড়। এই রুমে আজ থেকে ইরা ও থাকবে। ইরা গুটিসুটি মেরে বসে আছে বিছানার এক পাশে। আদিল গোছল করে ফ্রেশ হয়ে নিলো।
ইরা রেগে গম্ভীর হয়ে তাকিয়ে আছে আদিল এর দিকে।তাই আদিল দুষ্ট হাসি হেসে ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__ চলো এখন চোখাচোখি করার খেলাটা বরং খেলি!! নাকি ট্রি _টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবা! ডিসাইড করো।
ইরা রাগে কটমট করতে করতে বললো!!
__অসভ্য লোক বেহায়া লোক! মুখ দিয়ে ভালো কথা বের হয় না তাই না??
আদিল দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!!
__না তো বউ! বিবাহিত পুরুষের মুখ দিয়ে কখনো ভালো কথা বের হয় না। বিয়ের পর বিবাহিত পুরুষের মুখে ব্রেক থাকে না। তুমি এটাও জানো না।
ইরা নিজের চোয়াল শক্ত করে বলে!!
__আপনার মুখ বিয়ের আগে থেকেই ব্রেক ছিলো না! অসভ্য লোক!!!
এখন আর ও থাকবে না বউ! বিয়ে করেছি না।
ইরা কথা গুরিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো!! ওই মেয়ে টা কে! আর কেনো এমন করে কান্না কর ছিলো।। কি হয়েছে ওই মেয়ের!!
ওহহহ তোমাকে তো বলাই হয় নি।ওই টা আমার প্রথম বউ! আর তুমি আমার দুই নাম্বার বউ! আমি আরেক টা বিয়ে করেছি তো সেই খুশিতে কান্না করেছ আমার প্রথম বউ।
__মানে!! ”
মানে এটাই সামনের বছর তুমি ও খুশিতে কাঁদার জন্য রেডি হও।
অসভ্য লোক উল্টা পাল্টা কথা বলে আমার মাথা টা নষ্ট করে ফেলছে। হে আল্লাহ আমি আর পারছি না। তুমি বরং এই বাজে লোক টাকে তোমার কাছে নিয়ে নাও।
আল্লাহ তুমি আমার বউয়ের কথা কবুল করো। এবং আমি আমার সাথে করে আমার বউকে ও নিয়ে আসবো তোমার কাছে।আল্লাহ তুমি দোয়া কবুল করো! আমিন! আমিন!
ইরা বিরক্ত হয়ে বললো!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৫
__না আল্লাহ আমি এত তাড়াতাড়ি করে মরতে চাই না।আমি আরো বেশ কিছু দিন বাঁচতে চাই।
আমি ও সেম। বউ আছে যেখানে আমি ও থাকবো সেখানে।তাই না বলো বউ …..!
