এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২১

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২১
Chadny islam

আদিল সহ রুমের সবাই গুটি শুটি মেরে বসে আছে। জুথীর বলা ঈশান কে গিরে বিবাহিত কথাটা শুনে জেনো সবাই বেশ অবাক হলো।এমন কি ঈশান নিজেও সে তো দুষ্টমি করে বলে ছিলো যে সে বিবাহিত। জুথী কিনা সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছে।ঈশান কিছু বলতে যাবে তার আগেই আদিল গম্ভীর গলাই বললো!!
__কি রে সালা তলে তলে এত দূর!! অথচ আমি তোরে Innocent ভাবতাম।
ঈশান দাঁতে পিসে হিহিহি করে বললো!!

__আমি Innocent ছিলাম আছি থাকবো! আর যদি বিয়ে করেও থাকি অবশ্যই হালাল কাজ করেছি! তোরা দোয়া কর সালা! যেনো দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
ইরা বেশ অভাক হয়ে যায় ঈশান এর মুখে বিয়ের কথাটা শুনে। ঈশান বিয়ে করলে ইরার তো জানার কথা তাহলে কি সত্যি লুকিয়ে বিয়ে করেছে!!
__ভাইয়া সত্যি তুমি বিয়ে করছো?
জুথী বেশ রাগান্বিত হয়ে বললো!!
__শুধু বিয়ে কেনো বলছিস। একটা বাচ্চা ও আছে চার বছরের আরেক টা হবে কিছু দিন পর। অথচ চলা ফেরা করে একদম অবিবাহিত দের মতোন। ছিছি কি নষ্ট সমাজ নষ্ট জাতি নষ্ট পুরুষ কোন সমাজে আজ আমরা বসবাস করছি।
“”জুথীর কথাই ঈশান রাগে কটমট করে উঠলো! মনে চাইলো মেয়ে টাকে তুলে একটা আচার মারতে। বেয়াদব মেয়ে কি উল্টা পাল্টা এসব। খবর আছে আজকে এই মেয়ের!
আদিব এগিয়ে গেলো ঈশান এর দিকে হাতের সাথে হাত মিলিয়ে সিরিয়াস হয়ে বললো!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

__ভাই কনগাচোলেশন!!
ঈশান শান্ত গলাই বললো!!
__Thank Bro!!
আমাদের কে তো বেয়াইন তোমার বিয়ের বিষয়ে জানালো! বেয়াইন কিছু না বললে তো আমরা জানতেই পারতাম না ভাইয়া!!
ঈশান কপাল কুঁচকে মনে মনে ভিরভির করতে লাগলো!!!
___তবে রে ফ্রীরে আমার প্রচার করা হচ্ছে দারা দেখাচ্ছি মজা। ঈশান স্বাভাবিক হয়ে জুথীর দিকে তাকিয়ে বললো!!

__ওই দেখো কত বড় বড় তেলাপিয়া!!
জুথী কথার মানে না বুঝেই। এক দৌড়ে গিয়ে বিছানার উপর উঠে যায়। জুথীর এমন কান্ডে সবাই হিহি করে হাসতে থাকে।আদিব জুথী কে উদ্দেশ্য করে বলে!!
__বেয়াইন আপনি তেলাপিয়া মাছ দেখে ও ভয় পান!!
__তেলাপিয়া হবে কেনো তেলাপোকা ওইটা!!জুথী বুঝতে পারলো ঈশান এই মূহুর্তে জুথীর থেকে মজা নিলো। তবে রে বলে জুথী ঈশান দিকে এগোতে গেলেই রুমে প্রবেশ করে আশরাফ সিকদার!সোফায় এক পাশে বসে ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!

__আম্মু এক গ্লাস ঠান্ডা পানি দাও!
ইরা সম্মতি জানিয়ে পানির জন্য চলে গেলে সাথে জুথী ও যায়। ঈশান কে দিয়ে বিশ্বাস নেই কখন কি বলে ফেলে। আশরাফ সিকদার আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__মাই সান রাত টা কেমন কাটলো??
আশরাফ সিকদার এর কথা শুনে ঈশান হালকা হেসে আদিল এর দিকে তাকাতেই আদিল রাগে কটমট করে বলে!!
__ড্যাড এক দম মজা নিবা না আমার সাথে??
“”কেনো মাই সান! কেমন লাগে বাবা কে যখন হারবাল সেবন করতে বলো তখন বাবার কেমন লাগে।
“”আমি তো ভেবে ছিলাম!
“”বেহায়া ছেলে চুপ করো বাবা হই তোমার !!
ঈশান এগিয়ে গিয়ে আশরাফ সিকদার এর পাশে বসলো!!

__আংকেল জানেন ঠিক কতটা মিস করেছি আপনাকে!!আমি আপনার কাছে প্রায় আসতে চাই কিন্তু আদিল নানান এক্সকিউজ দিয়ে আসতে নিষেধ করে। জানেন আংকেল সেদিন ডুবাই থেকে এক দম করা মাল নিয়ে এসেছি। আদিল তো আপনাকে দেখতেই পারে না।সোজা না করে দিয়েছে আেনি নাকি বাজে জিনিস খান না! একদম বাজে ছেলের আপনার।
আদিল গম্ভীর গলাই বললো!!
__বাবার কাছে ছেলের নামে বদনাম আহা কি অসাধারণ দৃশ্য। তোকে তো নোবেল দেয়া উঠিত।
“‘নোবেল যেহেতু দিতে চাইতেছিস আমি না করবো না! অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির দিবি।
“”অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির দিতাম তোকে। এই মূহুর্তে কম বাজেট থাকাই তোকে নোবেল টা দিতে পারছি না। তবে আমি মুটেও ছোট লোক নয় তোর জন্য স্পেশাল গিফট আমার জাংঙ্গা টা তোকে দিচ্ছি। অবশ্যই যত্ন করে রাখবি।

“‘”সালা তুই আসলেই ছোট লোক!!!
আশরাফ সিকদার কথা ছেরে বললেন!!
__কিডনাপ করে বিয়ে করে নিয়ে এসেছো। আমি কিছু মনে করি নি। তবে তোমাকে তো বিয়ের জন্য তেমন কোনো গিফট দেয়া হয় নি। তাই তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে ছোট একটা গিফট।
“”আশরাফ সিকদার এর কথা শেষ করার আগেই আদিব বলে উঠলো! দিস ইস নট্ ফেয়ার ড্যাড! আমি বিয়ে করেনি বলে কি আমি কোনো গিফট টা পাবো না! এটা হতে পারে না ড্যাড।
আশরাফ সিকদার দুষ্ট হাসি হেসে বললেন!!
__মাই বয় তোমার জন্য ও গিফট আছে।একটু ওয়েট করো।
“”ওকে ড্যাড ।
“”এই নাও মাই সান! তোমার হানিমুনের টিকিট!!
আদিল এ পিট ওপিট নেরে দেখলো। আর গম্ভীর গলাই আশরাফ সিকদার কে বললো!!

__আমার সাথে মজা নিতেছো ড্যাড! এখানে তো একটা টিকিট!
“”হ্যা আমি নিজে গিয়ে তোমার জন্য কেটে নিয়ে আসছি।
“”বউ ছাড়া আমি হানিমুনে গিয়ে কি করবো??
“”রুমেই বা কি করো ওয়াশরুমে গিয়ে ঘুমাও। কষ্ট হয় মাই সান তোমার জন্য! তোমার কষ্ট দূর করার জন্য আমেরিকার টিকিট কেটে নিয়ে এসেছি। গিয়ে বরং দুই দিন ঘুমিয়ে নাও বাবা হই তোমার! তোমার জন্য মায়া হওয়া টাই স্বাভাবিক।
“””হ্যা দেখলাম কত মায়া করছো আমার জন্য।বউ ছাড়া আমাকে হানিমুনে যাওয়ার ব্যবস্থা করছো। তোমার হানিমুনে তুমিই যাও আমি যাবো না!
“”আমি তো যেতে চাই মাই সান! কিন্তু তোমার মম তো যেতে চাই না আমি নাকি বুড়ো হয়ে গেছি।
“”মম তো ঠিকি বলেছে। তোমার বয়স হচ্ছে ড্যাড। তুমি এখন আর কচি নেই। নিজের দিকে একটু তাকিয়ে দেখো ড্যাড।

“”বেহায়া ছেলে বাবা হয় তোমার। এক দম বুড়ো বলবা না আমাকে। আমার বয়স কত কম তুমি জানো!!
ড্যাড তোমরা বাপ ছেলে ঝগড়া বন্ধ করবা আমার গিফট দাও। আশরাফ সিকদার এগিয়ে গিয়ে আদিব এর হাতে ও একটা পাসপোর্ট আর টিকিট দরিয়ে দিয়ে বললেন!!
__যাও মাই বয় দুই ভাই মিলে হানিমুন টা সেরে আসো।
আদিব রাগে ফুসফাস করতে লাগলো! এ কেমন মজা করছে তার সাথে! সে তো বিয়েই করেনি। আদিব রাগে কর্কট গলাই বললো!!

__ড্যাড আমি তো বিয়েই করি নি আমাকে কেনো হানিমুনে এর টিকিট দিচ্ছো।আমার টাও ভাইয়া কে দিয়ে দাও!
“”এদের এমন কান্ড দেখো ঈশান মাথাই হাত দিয়ে বসে আছে। মনে হচ্ছে হয়তো কোনো নাটক বা সিনেমা দেখছে। আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!
__রাত নয় টাই ফ্লাইট রেডি হও! মাই সান এন্ড বয়!
“”যেই ইয়াং ম্যান!! কাম! আশরাফ সিকদার ডাকার সাথে ঈশান এগিয়ে আসলো আশরাফ সিকদার এর কাছে। আশরাফ সিকদার ঈশান কে বললেন!
__ইয়াং ম্যান তুমি যে ডুবাই থেকে করা একটা মাল নিয়ে এসেছো। তুমি বরং রাত দশ টার পর নিয়ে আইসো! রাতে পার্টি করবো আমরা। এই দুই আপদ কে আপাতত বাড়ী ছাড়া করে নেই।
“”ওকে আংকেল!!
আদিল আর আদিব একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে বার ড্যাড এটা কি বললো বুঝতে পারছে না। আদিল নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করে ভাবতে লাগলো!

__আমার বাসর টা আর করা হলো না! এবার কি হবে আমার।
এমন একটা অদ্ভুত ডিসিশন যদি আমার জান পাখি টা জানে তাহলে খুশিতে বক্সে গান ছেড়ে সাথে সাথে একটা লুঙ্গি ড্যান্স দিবে। মেয়ে টার কি কপাল আহা! আর আমার কি কপাল! পুরাই কুওা কপাল।
আদিল কে বিরবির করতে দেখে আদিব জিজ্ঞেস করলো!!
__কি হয়েছে ভাই কি বিরবির করছো তুমি একা একা??
আদিল গম্ভীর গলাই বললো!!
__কিছু না!!
জুথীর কলেজ টাইম শেষ এর দিকে এখন বাড়িতে চলে যেতে হবে। সে ঈশান এর তসাথে তো যাবে না কোনো ভাবেই। তাহলে কিভাবে যাওয়া যায়! জুথী ইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
__আমার এখন বাড়িতে চলে যাওয়া উচিত! আমি কোচিন এর কথা বলে বাসা থেকে এসেছি। এখন কি ভাবে যাবো।
ইরা বলে!!

__ আমি ভাইয়া কে বলি তোকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসবে। একটু অপেক্ষা কর আমি ডেকে দিচ্ছি।
জুথী ইরার কথা শেষ হওয়ার আগেই বলে! কোনো প্রয়োজন নেই! আমি একাই চলে যেতে পারবো। জুথী ইরা কে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে বাই বলে চলে যেতে চাইলে ঈশান পেছন থেকে ডাকে জুথী কে! ইশান এর সাথে আশরাফ সিকদার নিজেও ছিলেন। ঈশান বেশ রাগান্বিত হয়ে জুথী কে বললো!!
__এই মেয়ে কোথাই যাচ্ছো
জুথী গম্ভীর গলাই বললো!!
__বাসাই।
“”তোমার এত সাহস হয় কোথা থেকে। তোমাকে আমি নিয়ে এসেছি সো আমি যখন তোমাকে নিয়ে যাবো তুমি ঠিক তখনি যাবে। আন্ডসট্র্যা্ন্ট!
ঈশান এর কথাই জুথীর বেশ মেজাজ গরম হলো। তাকে নিয়ে কে বলেছে এত টেনশন করতে এত অধিকার বোধ কোথা থেকে আসে। বউ আছে তাকে গিয়ে রাগ দেখাক। জুথীর রাগের গতিবেগ টা সবাই চট করে বুঝে ফেললো। আশরাফ সিকদার ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!

__ইয়াং ম্যান তুমি বরং মেয়ে টিকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসো। আর অবশ্যই রাতে আমাদের বাড়িতে চলে আসবা।
“””ঈশান সম্মতি জানিয়ে বলে৷ ওকে আংকেল! জুথী আশরাফ সিকদার এবং ইরা কে বাই বলে চলে গেলো সোজা ঈশান এর গাড়িতে।
অহনা সিকদার নিজের সব জামা কাপড় লাগেজে তুললেন। রাত নয় টাই ফ্লাইট অহনা সিকদার এর ব্যাস্ততার জন্য আশরাফ সিকদার কে দিয়ে টিকিট পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেন আদিল এবং আদিব এর কাছে!কোম্পানির কিছু ইমপোর্টেন্স কাজের জন্য আজ রাতে আমেরিকা যেতে হবে। আশরাফ সিকদার ভয়ে ভয়ে গিয়ে বসলেন সোফায়। ভয় পাওয়ারি কথা যেখানে তাকে পাঠানো হয়ে ছিলো কোম্পানির বিষয়ে কথা বলার জন্য। সেখানে ছেলে দের কে গিয়ে বলে এসেছে হানিমুনের কথা। যদি আদিল বা আদিব সত্যি টা বলে ফাঁসিয়ে দেয়। তখন এই রাগিনি টা যে কি করবে !! আশরাফ সিকদার এসির মধ্যে ও ঘামছেন তাই দেখে অহনা সিকদার এগিয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখলেন। আশ্চর্য কিছুই হয় নি সব কিছু ঠিক ঠাক। তবে এমন করে ঘামছে কেনো। অহনা সিকদার ঠিক বুঝতে পারলেন কোনো একটা উল্টা পাল্টা করে এসেছেন। তাই অহনা সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!!!!!

__আমার ছেলে কে কি উল্টা পাল্টা বলে এসেছো সত্যি করে বলবা??
আশরাফ সিকদার ভয়ে ভয়ে বললেন!
__ ছি অহনা এই তোমার আমার প্রতি বিশ্বাস!! ওরা শুধু তোমার ছেলে নয় আমার ও ছেলে। আমি কেনো শুধু শুধু উল্টা পাল্টা বুঝাতে যাবো!
“””নাটক বন্ধ করে সত্যি করে বলো। কি বলে এসেছো আমার ছেলে দের কে??
আশরাফ সিকদার উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললেন!
_/আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তুমি আমাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারো। তবে আমার সম্পর্কে তোমার ছেলেরা বাজে কথা বলতে পারে এটাই স্বাভাবিক!তবে তুমি একদম বিশ্বাস করবে না।
কথা শেষ করে আশরাফ সিকদার উঠে চলে গেলেন। আর কিছু সেকেন্ড থাকলে কোন কথার কোন মিনিং তা বের করতে রাগিনি এর এক মিনিট ও টাইম ওয়েষ্ট হবে না ।
আদিল গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। কিছু কেনা কাটা করতে হবে তাকে। ঈশান আর জুথী বেরিয়ে গেছে বেশ কিছু খন আগে। ঈশান রাগে নিজের চোয়াল শক্ত করে জুথী কে বললো!!

__আদিব এর সাথে এত হাসাহাসি করার কারন টা কি??
জুথী চুপ করে আছে। তার মনে হলো ঈশান যুক্তি ছাড়া কথা বলছে। আদিব এর সাথে যা নিয়েই কথা বা হাসাহাসি করুক তাতে ওনার কি?? জুথীর এমন বেখেয়ালি ভাব দেখে ঈশান শক্ত করে গাড়ি থামলো যেনো মনে হলো কিছুর সাথে ধাক্কা লাগলো। ঈশান বেশ রেগে গেল জুথীর উপর নিজের চোয়াল শক্ত করে জুথী কে বললো!!
__হোয়াইস রং উইথ ইউ! হোয়াটস ইয়োর প্রবলেম! আনসার মি নাউ??
জুথী বেশ বিরক্ত নিয়ে বললো!!.
__আপনার সমস্যা কি??? বিরক্ত করছেন কেনো আমাকে??
ঈশান দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!
__হোয়াট??

“”বাংলা বুঝতে পারেন না! আমি যার সাথেই কথা বলি না কেনো!তাতে আপনার কি প্রবলেম ! আমার পারসোনাল বিষয় আমি কার সাথে হাসাহাসি করি! বা কান্না করি সেটা একমাত্র আমার ব্যাক্তি গত ব্যাপার! আপনি আমার পারসোনাল লাইফে ইন্টারফেরার করবেন না। আই ডোন্ট লাইক!
ঈশান রাগে কটমট করতে করতে জুথীর গাল চেপে দরলো শক্ত করে মূহুর্তেই জুথীর ফর্সা উজ্জ্বল মুখে লাল বর্ণ দারন করে ফেলে! জুথী ঈশান এর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ঈশান আরও শক্ত করে দরে জুথির গাল! শক্ত করে গাল চেপে দাতে দাঁত পিসে হিসহিসিয়ে বললো!!
__ভালোবাসি তোকে বুঝতে পারিস না!! ইগনোর করিস আমাকে। জেলাস ফিস করাতে চাস। হাউ ডেয়ার ইউ তোর সাহস হয় কিভাবে আমার সামনে অন্য কারোর সাথে কথা বলার।
জুথী ঈশান থেকে নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললো!!

__হ্যা ইগনোর করি আপনাকে! আই ডোন্ট লাইক ইউ!
“”বাট হোয়াই??
আমি কেনো! কোনো বিবাহিত ছেলের সাথে কথা বলবো। বিকোস ইউ আর এ ম্যারেড! আমার থেকে দূরে থাকুক। ভালোবাসা কেনো নেক্সট টাইম আর দেখাই করবো না আপনার সাথে। জুথী কথা শেষ করে গাড়ি থেকে বের হতে গেলে ঈশান এর শক্ত দাবাই আটকে যায় জুথী!!
__হেই ইউ নিজেকে কি মনে করো??

“”নিজেকে আপাতত তেমন কিছুই মনে করছি না! তবে আপনাকে আপাতত অশ্লীল অসভ্য লাফাঙ্গা আর বেহায়া মনে করছি। ঘরে বউ থাকার পরেও কিনা অসভ্যের মতোন আমার পেছনে পরে আছেন।
জুথী ঈশান এর হাতটা ছেড়ে দিলো। এবং গাড়ি স্ট্যাস্ট দিলো গাড়ির এত গতি বেগ দেখে জুথী রীতিমতো অভাক হয়ে গেলো! ঈশান কে বেশ কয়েক বার থামতে বললো কিন্তু ঈশান না থামিয়ে গাড়ির স্পিড আরও দ্বিগুন বারিয়ে দিলো। জুথী রাগে উল্টা পাল্টা কয়েক টা বকা দিয়ে নিলো ঈশান কে। ঈশান এর কোনো হেলদুল না দেখে হাতের বড় বড় নখ দিয়ে ঈশান কে আঘাত করতে লাগলো বুকে পিঠে। ঈশান বাদা দিলো না। বরং পকেটে থাকা ফোনটা হাতে নিয়ে কল করলো রিফাত কে। আর বললো তারাতাড়ি কাজী অফিসে আসতে!! কাজী অফিসের কথা শুনে জুথী আরও রেগে গিয়ে ঈশান কে কামড়ে দিয়ে বললো!!

__আমাকে বাসাই নামিয়ে দিয়ে আসুন। নয়তো আমি চিৎকার করে লোক জন জড় করবো। প্লিজ আমাকে বাসাই নামিয়ে দিয়ে আসুন!
ঈশান নিজের চৌয়াল শক্ত করে বললো!!
__আমার সাথে বেয়াদবি করার ফল কি হতে পারে তুমি আজকেই বুঝতে পারবা!
জুথী ভয়ে শিতিয়ে যাচ্ছে। তার ভিষণ কান্না পাচ্ছে। সে তো জানতো ঈশান বিবাহিত না তাহলে কি তাকে খুব বেশি রাগিয়ে দিয়েছে সে। জুথী ঈশান কে খুব করে অনুরোধ করে বললো!!
__সরি আর বেয়াদবি করবো না আপনার সাথে!আমাকে যেতে দিন। জীবনে ও ভুল করে আপনার সামনে আসবো না! “প্রমিজ।
ঈশান বাঁকা হেসে বিরবির করে বললো!!

__আমি জানি মেডাম! আমি আপনাকে আজ যেতে দিলে আপনি হারিয়ে যাবেন। আমি তো এতটা বোকামি করতে পারি না বেবস।
আদিল নিজের সমস্ত কিছু কেনা কাটা করে বাসায় চলে এসেছে! এসে সোজা নিজের রুমে চলে গেলো! ইরা কেবল সাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে। চুল গুলো এখনো পুরো টাই ভেজা চুল গড়িয়ে পানি পড়ছে টাওয়াল টা কোথায় যেনো রেখেছে মনে পরছে না। তাই ভেজা চুল গুলো কে হাত খোঁপা করে বেঁধে রেখে! আয়নার সামনে গিয়ে মুখে হালকা করে ক্রিম লাগালো।আদিল হন্ত দন্ত হয়ে রুমে প্রবেশ করলো প্রবেশ করতেই চোখে পরলো তার ছোট্ট বউ টাকে। আদিল এগিয়ে গেলো ইরার দিকে ইরার কোমর কে নিজের কাছে টেনে আনবে বলে এগলোই ইরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সবটা বুঝে ফেলে ইরা এক ঝটকাই দূরে সরে গেল। আদিল আর এগোলো না বরং ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো। ফ্রেশ হয়ে বিছানার উপর রাখা একটি প্যাকেট ইরা কে দিয়ে বললো!!

__এটা তোমার!
ইরা বেশ অভাক হয়ে বললো!!
__কি আছে এই প্যাকেটে??
“”আছে হয়তো কোনো একটা ইমপোর্টেন্স জিনিস! এটা তোমার নাও!!
“””লাগবে না আমার কোনো কিছু!
“”””নিতে বলছি!!
“”লাগবে না বললাম না!
“”আচ্ছা তুমি কি জন্ম থেকেই ঘ্যাড়তাড়া??
“”মানে?
“””একটা কথা একশো বার কেনো বলতে হয় তোমাকে। শান্ত মেয়ের মতোন আমার সব কথা শুনতে পারো না। আমার লক্ষী বউ হয়ে থাকতে পারো না।
“”মনে হচ্ছে একটু বেশি বেশি আশা করে ফেলছেন!চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করেন সিকদার সাহেব! এমন টা চিন্তা ভাবনা করলে বড্ড বেশি লস হয়ে যাবে আপনার!

“””আমাকে রাগিয়ে দিস না জান বাচ্চা। নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে।
“”ওহহ তাই নাকি!তাহলে আপনি একটু রেগে যান আমি ও একটু দেখি আপনি কি এমন খারাপ করতে পারেন আমার সাথে ??
__ভয় লাগে না আমাকে একটু ও! আমার বাড়িতে আমার বেডরুমে দাঁড়িয়ে আমাকেই থ্রেট দিতে।
“”না একটু ও ভয় করে না! বিন্দু পরিমানও না।
“”বোকা ভেবে নিয়ে করছিলাম এই মেয়ে কে! ওমা এখন দেখি এটা শয়তানের নানী! তোমার ভয় পাওয়া লাগবা না এটা নাও।
আদিল জুর করে ইরার হাতে প্যাকেট টা দিয়ে বললো!!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১৯

__আমি আজ রাতে আমেরিকা চলে যাচ্ছি!ফিরবো তিন দিন পর।
ইরা বেশ উৎফুল্ল নিয়ে বললো!!
__সত্যি আমেরিকা চলে যাবেন তিন এর জন্য!!
আদিল গম্ভীর গলাই বললো!!
__হ্যা! তোমার তো খুশি হওয়ার কথা।
__কে বলেছে আমি খুশি হয়নি! আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
“”সালি তুই জাহান্নামী…!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here