এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৫

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৫
Chadny islam

আশরাফ সিকদার অহনা সিকদার কে দেখে হতবাক হয়ে গেলেন। যেখানে তাদের কালকে বাংলাদেশ ব্যাক করার কথা। সেখানে এক দিন আগে ব্যাক করছে! এক দিন আগে করার মতোন মানুষ তো অহনা সিকদার নয়। তাহলে কি কিছু হয়েছে অহনা সিকদার গম্ভীর মুখে বসে আছেন দেখে আশরাফ সিকদার এগিয়ে গিয়ে বসলেন অহনা সিকদার এর পাশে। আশরাফ সিকদার অহনা সিকদার কে বললেন!!
__কি হয়েছে রাগিণী। তুমি এত নার্ভাস কেনো??
অহনা সিকদার নিজের গম্ভীরতা থেকে বেরিয়ে আশরাফ সিকদার কে বললেন!!
__তোমাকে আরেকটা করাবো তো তাই একটু নার্ভাস আর কি।
“”বিয়ে করাবে সেটা তো সুসংবাদ তাহলে নার্ভাস হচ্ছো কেনো! খুশি হও এত দিনে তুমি আমার মনের মতোন সিদ্ধান্ত নিয়েছো।
অহনা সিকদার অভাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন আশরাফ সিকদার এর দিকে!!

__এ কাকে দেখচে বুঝতে পারছে না।বয়স কত হয়েছে জানা আছে।এই সময়ে কেউ কি বিয়ে করার জন্য রাজি হয়?? আর এই মন্ত্রী তো বিয়ে করার জন্য চার পায়ে রেডি।
আশরাফ সিকদার বাকা হেঁসে বললেন!!
__বিয়ে করতে চার পা লাগে না রাগিনি। দুই পা লাগে আমার তো দুই পা আছে! তাহলে বলো শুভ কাজ টা কবে করবো।
“”‘কেনো নয় অতিশ্রীঘই করবো শুভ কাজ ! মানুষের যখন মরার পাখা গজাই তখন তোমার মতোন অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে। দেখতে পারো সমস্যা নেই।আমি বাধা দিবো না তোমাকে।
“””মানে বিয়ে করাবা না মজা করলা! এই টা কেমন মজা রাগিনি। আমি মানি না।
“””কি মানো না।
ওই যে বিয়ে করবো। আমি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তুমি ভুলে যাচ্ছো কেনো।আমি দুইটা না বরং চার টা বউ ডিজার্ভ করি।
“”ওহহ রিয়েলি!!আমার ঝাড়ু টা কই??
“”এটা ঠিক করো নি তুমি অহনা বিয়ের কথা বলে আমার নিষ্পাপ মন টা কে ভেঙে দিয়ে এখন ঝাড়ু খুজছো।ছিছি অহনা তোমার এত অদপতন হয়েছে। আমি ভাবতেও পারেনি।
“”ছি. অসভ্য মন্ত্রী।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘””আপনার বুকে ছুরি চালাতে আমার কিন্তু বিন্দু পরিমান ও হাত কাঁপবে না সিকদার সাহেব।
“”কেনো চালাবে আমার বুকে ছুরি! কি ভুল করেছি আমি এমন??
“”আপনি পাপি!!
“” হ্যা হতে পারে আমি পাপী ! পাপ টা আজও তোমার সাথে করছি??
“”না।
“”তাহলে ?
“”পাপ তো পাপি হয় যার সাথে করেন না কেন।
গোয়েন্দা গিরি করা বন্ধ করো! স্বামী কে মারার পাই তারা করা বন্ধ করো। স্বামীর কে কি ভাবে সেবা করতে হয় ভালোবাসতে হয় সেটা শিখো। কাজে লাগবে!

“”কোনো প্রয়োজন নেই আপনার মতোন চরিত্র হীন মানুষ কে ভালোবাসার৷
“”চরিত্র হীন যদি হয়েও থাকি।তাহলেও আমি তোমার স্বামী আমার পায়ের নিচে তোমার জান্নাত।
“”আপাতত আপনার পায়ের নিচে জুতা ছাড়া আমি অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছি না!
“”দেখবি কেমনে সালি! মন দিয়া কিছু খুজুস। খালি খুজুস স্বামীর ভুল। সালি কাঁদতে কাঁদতে জাহান্নামে যাবি।
“”অবশ্যই গেলে তো আপনাকে সাথে করেই নিয়ে যাবো। এক সাথে জাহান্নামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন সিকদার সাহেব!!
“”সালার কুওা কপাল! মুখের উপর থ্রেট দিয়া যায়।

আদিল আরেকটু এগিয়ে যায় ইরার দিক। আদিল এর সামনের দিকে এগুতে দেখে ইরা পেছনের দিকে যেতে থাকে। বেলকনির এক পাশে গ্রীল থাকাই ইরা আর পেছনের দিকে যেতে পারে না। আদিল ইরার মুখ বরাবর নিজের মুখ এগিয়ে নেই ইরার দিকে। ইরা কপাল কুঁচকে চোখ বন্ধ করে ফেলে।আদিল ইরার কোমর দরে নিজের খুব থেকে খুব কাছে টেনে আনলো।এইদিকে ইরা কাপা কাপা গলাই বললো!!
__প্লিজ আমাকে বাজে ভাবে স্পর্শ করবেন না।
আদিল কপাল কুঁচকে বললো!!

__স্বামী তার স্রী কে কখনো বাজে ভাবে স্পর্শ করে না। আমার ছোঁয়া কে বাজে মনে না করে পবিত্র মনে করো। এই রকম ছোঁয়া তুমি প্রতি মিনিটে প্রতি সেকেন্ডে প্রতি ঘন্টায় পাবে জান।
“”আমি এই বাজে কিংবা পবিত্র কোনো ছোঁয়াই চাই না আপনার থেকে।
“”স্বামী হই তোমার। আর কত দূরে ঠেলে দিবে আমাকে!এবার তো একটু ভালোবাসো আমাকে!!
“”প্রয়োজন নেই । আমি আপনাকে….
“”আপনাকে কি??
ছাড়ুন আমাকে!বলে ইরা কোনো রকম আদিল থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রুমের ভেতরের দিকে এগিয়ে গেলো।আইরা সুয়ে আছে দেখতে জেনো ঘুমন্ত পরীর মতোন লাগছে।শরীরের জামাকাপড় বেশ ছোট! রুমের ভেতরে তিনজন পুরুষ মানুষ ইরা নিজেও একটা মেয়ে। তাই ইরা এগিয়ে গিয়ে বিছানার পাশে রাখা একটি কম্ফোর্ট দিয়ে ডেকে দিলো আইরার পুরো শরীর।

প্রিয়াশ সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে ফোন দেখছে। আর বাকা নজরে ইরা কে দেখছে। ইরা এই বিষয় টা বেশ কয়েকবার লখ্য করলো। কিন্তু কিছু বললো না। তার কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই প্রিয়াশ এর বিরুদ্ধে। তার তাকানো টা বেশ বাজে! জুথী বেশ দূরে বসে আছে ইশান এর থেকে। ঈশান এগিয়ে গিয়ে বসলো জুথীর কাছে।ঈশান এর কাছে যাওয়া দেখে জুথী বেশ কিছুটা দূরত্ব নিয়ে বসতে চাইলে ঈশান এক হাতে জুথী কে টেনে দরে রাগে ফুসফুস করতে করতে বলে!!

__সমস্যা কি? দূরে যাচ্ছো কেনো??
“” কেনো! কাছে আসার কথা ছিলো বুঝি??
“”হ্যা তুমি জানো না??
“”জেনে কি হবে?? কইটা লাগে আপনার??
ঈশান অভাক হয়ে বললো!!
__মানে কি কইটা লাগে আমার??
“”নাটক করেন আমার সাথে। দেখে মনে হচ্ছে ভাজা মাছ টাও উল্টে খেতে পারেন না।
“”তাহলে তুমি ঠিকি দেখছো আমি সত্যি বাজা মাছ উল্টে খেতে পারি না। তুমি চাইলে উল্টো করে মাছের কাটা বেছে আমাকে খাইয়ে দিতে পারো আমি কিছু মনে করবো না।
“”হুম খুব ঠেকা পরছে আমার। সারুন আমার আমাকে দূরে যান।
“”আর যদি না যাই তাহলে কি করবা।
তাই না! বলেই জুথী ঈশান এর হাত টা টেনে নিয়ে সহ জুরে এক কামুড় বসিয়ে দেই।এতটাই জুরে কামু্র বসাই যে সব গুলা দাঁতের কামুড় স্পষ্ট। ঈশান ব্যাথাই টুকরে উঠে। জুথী কে ছাড়ানের চেষ্টা করলে। জুথী আরও সহ জুরে কামুড় বসাই।ঈশান জুথী কে শান্ত করার জন্য বললো!!
__দেখ বেবস সত্যি বাথা পাচ্ছি। এখন ছার আর কিছু খন পর দুই জন মিলে কামড়া কামড়ি করার প্রতিযোগিতা করবো। ওকে!

ঈশান এর এমন অসভ্য মার্কা কথা শুনে জুথী মূহুর্তেই ঈশান এর হাত টা ছেড়ে দিলো! কামুড় বসানো জায়গা থেকে হালকা রক্ত বের হচ্ছে। ঈশান জানে জুথীর রাগ হলে সে কিছু পারুক আর না পারুক কামড়াকামড়ি টা ঠিক পারবে। আজকে নতুন নয় যে কামুড় বসিয়ে ছে! এর আগে ও বেশ কয়েক বার কামড়ে দাগ ফেলে দিয়ে ছিলো কামড়ে। জুথী ঈশান এর থেকে দূরে ইরার কাছে ইরার গিয়ে বসলো। সেম ঈশান ও গিয়ে বসলো আদিল এর পাশে।আদিল এর গায়ের উপর নিজের হাত টা রেখে ফিসফিস করে বললো!!
__বাসর করার ফিলিংস হচ্ছে হোক। আমি বাসর না করে কাটিয়ে দেয়া লোক।
“”আদিল কিছুটা চাপা হেসে না বোঝার নাটক করে জিজ্ঞেস করলো!!
__মানে??
ঈশান প্রচন্ড অভিমান করে বললো!!

“”বউ দরতে দেই না! ছুইয়ে দেয় না! কাছে বসতে দেয় না এই রোগের কি কোনো ওষুধ পাওয়া যাবে।
“””অবশ্যই আছে তোর ওষুধ একটাই! ড্যাড এর সাথে রাতে গিয়ে লাল পানি সেবন কর তাহলেই হবে!!
“”লাল পানি খেলে তো আমি মাতাল হয়ে যাবো!!
“”তাতে কি তখন তো আর বুঝবি না। যে বউ দরতে দেয় কি দেয় না সোজা কোলে নিয়ে সুয়ে পরবি বাকি টা আল্লাহ ভরসা।
ঈশান সয়তানি হাসি হেসে বললো!!
“”তুই কি ট্রাই করছিস।
“””না তবে খুব তাড়াতাড়ি করবো।
“”তোর ও কি আমার মতোন সেম সমস্যা!!
“”তোর বোন আর তোর বউ দুইটাই এক ভুলে যাস না। তোর বোন আমাকে ওয়াশরুমের ভেতরে বন্ধি করে রেখেছিলো।তোর বোন কে আমি ছারবো না।
“”আমার বোন কে তুই জীবনে দরতেই পারি না। তোর জীবন এমন ভাবে যাবে বাসর না করতে করতে।যা দিলাম দোয়া কইরা খা গা ভিক্ষা কইরা।
“”তবে রে সালা। তোরা ভাই বোন কেউ কারোর থেকে কম না। আজকেই বাসর করবো আর তোকে দেখিয়ে দিবো দেখে নিস সালা।
“‘বোনের সাথে বাসর টা করবি বলে দেখতে চাইলাম না। ওলল দ্যা৷বেষ্ট সামনের দিকে এগিয়ে যাও বস্হ! আমি তো তোমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া তেমন কিছুই দেখছি না।
“”দেখবি ও না তুই যে কানা।

প্রিয়াশ এত খন সবার সব কাহিনি দেখলো।সে বিরক্ত ফিল করছে কার মুখ দেখে যে আজকে উঠে ছিলো তার জানা নেই।এত কষ্টের প্লান সহজেই মাটি করে দিলো। প্রিয়াশ আগে যদি কোনো টের পেতো এই বাড়ীতে ইরা আছে তাহলে কখনো ভুল করেও আসবে না।সকাল হলে আইরা তো সব টাই বুঝে যাবে। তার কাছে তেমন কোনো ভিডিও নেই। যে গুলো দেখিয়ে ভয় দেখাবে! সকাল হলে সিকদার মহলে প্রতিটা লোক তো তাকে চিরে চিরে খাবে কে বাঁচাবে তাকে।তাহলে কি রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাবো। প্রিয়াশ এর ভাবনার মাঝেই ঈশান গিয়ে বসলো প্রিয়াশ এর কাছে।ঈশান সয়তানি হাসি হেসে বললো!!

__এখন পযর্ন্ত তোর কোনো অদপতন হলো না রে বন্ধু সেই লুচ্চামি করিস! লুচ্চামি টা না করে বরং কয়েক শো বিয়ে করে নিলেই পারিস। জনগনেরও লাভ তোর লাভ।
“”যা বাল মজা নিস না। বলিস নি কেনো সালা তোরা এই বাড়িতে আসবি। তাইলেই তো এই মেয়েরে নিয়ে এই বা্রিতে আসতাম না। আমার কত গুলা টাকা জলে ভেসে গেল জানিস।
“”তোর জন্য এক বালতি সমবেদনা বন্ধু। তুই চাইলে তোর জন্য আমি মেয়ে দেখতে পারি। একদম সানি লিওন এর মতোন। পাএী হিসাবে তোর জন্য বেষ্ট অপশন!

“”ওই রকম কম বাজেট এর সস্তা মেয়ে কে আমি বিয়ে করবো না ভালো মেয়ে দেখ। তবে আজকে রাত টা মানেজ করে দে।সেই ফিল হচ্ছে আজকে বাসর টা করতে দে সিরিয়াসলি কালকে ওরেই বিয়ে করবো।
“”সালা লুচ্চামি বন্ধ কর। আদিল জানতে পারলে এখনি মেরে দিবে তোরে বালি চাপা দিয়ে দিবে।এত মেয়ে থাকতে দলা বিড়াল কে নিয়ে এসেছিস কেনো। সকাল হলে এই দলা বিড়ালি তো তোর জান কবজ করে ফেললে। দুঃখ হচ্ছে বন্ধু! এখনো শিখলি না কোথাই টুপ ফেলতে হয়।
আদিল বেশ কিছু খন ফোনে কথা বলাই ব্যাস্ত ছিলো। ঈশান আদিল কে ইশারা করে বললো বাইরে যাওয়ার জন্য সিগারেট খাবে। আদিল আর ঈশান রুম থেকে চলে যাবে ঠিক তখনি আদিল এর মনে হয় প্রিয়াশ কে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না সাথে করে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।তাই আদিল প্রিয়াশ কে ডেকে বলে সাথে আই আমাদের সাথে! ঈশান পাশ থেকে দুষ্ট হাসি হেসে বলে!!

__আজকে কোনো ভাবেই শেয়ালের কাছে মুরগি বাগী দেয়া হবে না। আহা বন্ধু দুঃখ হচ্ছে তোর জন্য।
আদিল ঈশান রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ইরা ওঠে গিয়ে রুমের দরজা আটকে দেই। আইরা যে ভাবে পরে আছে মনে হচ্ছে সারা রাতে আর জ্ঞান ফিরবে না। বিষয় টা মুটেও খারাপ নয় মোটামুটি ভালোর লক্ষণ এই সুযোগে রুম টাকে ভালো ভাবে দেখা যাবে। তারপর না হয় সময় বের করে রতন মিয়ার রুমে যাওয়া যাবে।এর মাজে পারুল এসে দরজাই কড়া নাড়লো আর ডেকে বললো!!
__আপামনি রাতের খাবার খাইবেন না??

এত কিছুর টেনশনে ইরা জুথীর খাওয়ার কথাই ভুলে গিয়ে ছিলো। পারুল কে ইরা বললো তাড়াতাড়ি করে খাবার টা জেনো রুমে এসে দিয়ে যায়। পারুল তাড়াতাড়ি করে নিচে গিয়ে খাবারের সব কিছু উপরে ইরার রুমে রেখে যাশ। ইরা আর জুথী খাবার গুলা ভেতরে নিয়ে দরজা আটকে দিবে তখনি পারুল কে ডেকে বলে তাড়াতাড়ি খেয়ে সুয়ে পরতে।পারুল আচ্ছা বলে চলে যায়।ইরা আর জুথী মিলে পুরো ঘরের জিনিস পএ খোঁজাখুজি করতে শুরু করলো। যদি কোনো প্রমাণ পেয়ে যায়। রুমে অনেক বেশি আসবাবপত্র কোনটা রেখে কোনটা খুজবে।ইরা কার্বাড খুললো আর জুথী রুমে সব জায়গা খুজতে লাগলো।

যদি কিছু মিলে যাই। কার্বাড এ এত জামাকাপড় দেখে ইরা বেশ অভাক হয়। এই বাড়িতে তো তেমন কেউ থাকে না তাহলে এত জামাকাপড় কার।বেশির ভাগ শার্ট আর টি-শার্ট গুলা কালো।আদিল এর রুমের কার্বাড যেভাবে গোছানো ছিলো ঠিক সেই ভাবে। জামাকাপড় গুলো দেখে মনে হচ্ছে সব গুলাই আদিল এর। ইরা সব জামাকাপড় অগোছালো করলো একটা একটা করে দেখলো সবগুলা শার্ট টিশার্ট গুলো কে। ইরার চোখে হঠাৎ করে পরে যাই একটি লকেট। লকেট টা ছেড়া ভালো ভাবে নজর গুরাতে দেখে এই লকেট টাকে সে চিনে কোথাই যেনো দেখছে। ইরা মস্তিষ্কে তখনি বিচরণ করে সেই লকেট টা এটা তো তার বড় বোন আদ্রিতার হাতে দেখে ছিলো। এই লকেট টাই তো আদ্রিতা হাতের শক্ত মোঠ করে রেখে ছিলো।লকেট টা হাতে নিতেই ইরার মনে পরে যাই বোনের কথা চোখে বেয়ে অজস্র পানি ঝড়ে পরে। মূহুর্তেই মনে পরে বোনের মৃত্যুর কথা। ভেসে আসে নিশপাপ বোনের মুখ খানা।

“”””” যেই মানুষ টা তাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসতো। সেই মানুষ টাই সবার প্রথমে তাকে ছেড়ে চলে গেলো। আজ এই শূন্য পৃথিবীতে মায়ের মতোন একটা বড় বোন কে হারিয়ে আজ আমি নিশ্ব।আমার ছোট বেলা আমার শৈশব কেটেছে আমার আপু কে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে। আব্বু এখনো আমার মাথায় হাত রেখে আপুর কথা মনে করে চোখের পানি ফেলে।আম্মু তো স্বপ্নের মাঝেই চমকে ওঠে আপু কথা ভেবে।আমাদের ছোট পরিবারের সবার একটা চাওয়া আমার আপুর মৃত্যুর পরিশোধ নেয়া।
আদিল ঈশান প্রিয়াশ সবাই নিচে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রুম থেকে বের হলেও তারা এই মূহুর্তে গিয়ে বসেছে রতন মিয়ার রুমে সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা দেখতে। রতন মিয়া আর ঈশান বাইরে দাড়িয়ে দেখছে কেউ ভেতরে আসছে নাকি। না কেউ তো আসতেছে না ইতিমধ্যে আদিল আর প্রিয়াশ সব কিছু ভালো মতোন দেখে নিয়েছে। আদিল রতন কে কাছে ডেকে বললো!!

__সব কি তো ঠিক ঠাকি আছে!! তাহলে কি ওরা এই পযর্ন্ত আসতে পারে নি।
রতন মিয়া জানাই__
__না স্যার! ম্যাডামরা তো আমার রুমে আহে নাই। আমারে সন্দেহ করলেও এই আমার ছোট রুম ডারে সন্দেহ করে নাই।আপনাদের মেলা বুদ্ধি ছোট সাহেব! একদম রাজা বাদশা দের মতোন।
আদিল শয়তানি হাসি হেসে বললো!!
__ আমারা তো রাজাই ছিলাম আছি থাকবো! ভালো করে নজরে রাখো! কোনো ভুল যেনো না হয়।
রতন মিয়া বললো,,,
__ছোট সাহেব! আপনার বউ মানে আমাগো ম্যাডাম মেলা চালাক। ম্যাডাম সব কিছু মনে হয় খুব তারাতাড়ি খুইজা বের কইরা ফেলবো।
প্রিয়াশ দাঁতে দাঁত পিসে রাগে কটমট করে বলে!!
__মেয়ে টা তোর বউ না হইলে এত দিনে কবেই ফুট্টুস করে দিতাম। তোর জন্য মায়া হয় তাই তোর বউরে এহন পযন্ত কোনো কিছু করি নাই!

আদিল প্রিয়াশ এর শার্টের কলার টেনে নিজের মুখ বরাবর তাক করিয়ে বলে!!
__এই ভুল টা জীবনে ও করিস না! সব ভুলের ক্ষমা পাইলেও এই ভুলের ক্ষমা পাবি না।জান্ত দাফন করে দিবো!
“”একটা মেয়ের জন্য বন্ধুর মতোন ভাইয়ের এর শরীরে হাত তুললি!! আজ সমাজ কোথাই??
‘”হ্যা আমি এক মিনিটে টেই সব ভুলে যেতে পারি। কে আমার বন্ধু আর কে আমার ভাই।আর ইরা কোনো সাধারণ মেয়ে নই! ইরা আমার বউ সিকদার মহলের বড় বউ।যার কথাই পুরো বাড়ী গ্রাম এলাকা এমন কি তুই ও চলবি। অতি শীঘ্রই আমি সেই ব্যাবস্থা ও করবো।
“”তার আগেই যদি তোর বউ তোকে ছেড়ে চলে যায় ।
“‘সেটা অসম্ভব! সেটা কখনোই হবে না আমি হতেই দিবো না! ইরা আমার মানে শুধু আমার পুরো টাই আমার।জীবিত কিংবা মৃত ও শুধুই আমার।

“”ওপপস কি ভালোবাসা! আজ মনে হচ্ছে নিজের চোখের সামনে লাইলি মজনু কে দেখছি!!বিগ ফ্যান র্ব্রো!
ঈশান আদিল প্রিয়াশ সবাই বেশ কিছু খন নিজেদের মতোন কথা বলে বাড়িতে প্রবেশ করে। কথা বলতে বলতে উপরে চলে আসে। ভেতরে ইরা জুথী ছেলে দের উপরে আসার আওয়াজ পেয়ে রুমের লাইট ওফ করে দিয়েছে। যেনো তাড়া বুঝতে না পারে রুমের ভেতরের সবাই ঘুমিয়ে পরেছে। ইরা আর জুথীর ভাবনাই সঠিক হলো ঈশান কয়েক বার রুমের বাইয়ে থেকে ডাকলো কিন্তু ভেতর থেকে কোনো শব্দ তো দূরেই থাক মনে হচ্চে বাতাস টাও বেশ হচ্চে না। আদিল জানে নিজের বউ কে। একবার যখন দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।

এখন ডেকে মরেই গেলেও খুলবে না!তাই আদিল আর ডেকে নিজের এ্যানার্জি ওয়েষ্ট করলো না। বরং সবাই কে নিয়ে নিচে চলে গেলো।সারা দিন এর ছুটাছুটি তে বেশ ক্লান্ত আদিল এখন মনে হচ্ছে বিছানাই গেলেই ব্যাস মরার মতোন পরে পরে ঘুমাবে। এর মাঝে পারুল ডাকতে ডাকতে উপরে চলে এসেছে। বাইরে মনে হচ্ছে ঝড় আসবে। তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া শেষ করে সুয়ে পরতে হবে। পারুল সবাই কে ডেকে রাতের খাবার খাওয়ালো খাওয়াটা শেষ করে আদিল রুমে চলে গেলো। ঈশান একটু প্রিয়াশ এর সাথে কথা বলে ইশান ও চলে গেলো। বসে রইলো প্রিয়াশ। পারুল হাতের সব কাজ শেষ করে সুয়ে পরতে গেলে প্রিয়াশ পেছন ডেকে বলে এই মেয়ে এইখানো আসো??
পারুল ভয়ে ভয়ে প্রিয়াশ এর সামনে আসে! পারুল বেশ ভয় পেয়ে প্রিয়াশ কে জিজ্ঞেস করে!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৪

__স্যার কিছু কইবেন??
প্রিয়াশ উঠে পারুল এর বেশ কিছুটা কাছে এসে সয়তানি হাসি হেসে বললো!!
__তোমার বয়স কত দেখতে তো এক দম কচি লাগছে।
__কি কইলেন স্যার????
“””বয়স কত??
পারুল ভয়ে ভর্রকে গিয়ে বললো!!
__স্যার একুশ
প্রিয়াশ আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না! বরং পারুল কে বললো!!
__যা গিয়ে দেখ রতন মিয়ার ঘরের ভেতরে কয়েক টা দামি মদের বোতল আছে নিয়ে আই। আর হ্যা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসবি! রাইট নাও!!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here