এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৬

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৬
Chadny islam

বাইরের উষ্ণ আর্দ্র তাপমাত্রা বলে দিচ্ছে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা বেশ অনেক টাই।বর্ষাকালের শুরু বাইরে রিমঝিম বৃষ্টি লেগেই আছে।চার দিকে ঠান্ডা বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যাওয়ার মতোন আবহাওয়া । রাত বেশ গভীর থেকে গভীর। আদিল এবং ঈশান পাশাপাশি সুয়ে আছে। দুই জনেই বেশ চুপ চাপ হয়ে সুয়ে আছে।আদিল বেশ কিছু খন পর ঈশান কে ডেকে বললো

____ঈশান ঘুমিয়ে পরেছিস!
ইশান অল্প অল্প ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো!!
__না! ঘুমাই নি কিছু বলবি!!
ঈশান এর ঘুম না আসার কথা শুনে আদিল বুঝতে পারে ঈশান ঘুমাই নি তাই আদিল উঠে বসে। ঈশান কে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস বললো!!
__আচ্ছা ঈশান ইরা যদি আমার অতীত সম্পর্কে জানে তাহলে কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে! যদি ইরা আমাকে রেখে চলে যায় আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো।
ঈশান আদিল কে শান্ত করার জন্য বললো!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

__তোর অতীত টা অতীতি থাক! কেনো বার বার মনে করে নিজে কে অপরাধী ভাবিস।
“””তুই তো জানতি বল আমি কোনো বাজে কাজ করি নি!
“”হ্যা আমি সব কিছুই জানি। ইরা কখনো অনন্ত জানবে না আমার থেকে কোনো কিছু ।আর তোকে ছেড়ে ও যাবে না।
“”ইরা আমার সত্যি টা জানলে কখনো আমার কাছে থাকবে না ঈশান! আমি কি করবো বল! প্রিয়াশ এর পাগলামি করার অভ্যাস টা এখনো যায় নি। যদি প্রিয়াশ ইরার কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
“””প্রিয়াশ কে কেনো এত আগলে রাখিস তোরা। প্রিয়াশ মোটেও ভালো নয়। ওর তো জেল হাজতে থাকার কথা৷ বাসা থেকে বের করে দিস না কেনো ওকে।
আদিল অসহায় গলায় বললো!!!

“”চারপাশে প্রেস মিডিয়া পরে আছে কখন কি সংবাদ পাবে সেটাই লোক সমাজের মাঝে ছেড়ে দিবে। সামনেই নির্বাচন এখন কোনো ভাবেই জনগণ কে উওেজিত করা যাবে না। ছোট চাচ্চু তো মাঝে মাঝে প্রিয়াশ কে বাসা থেকে বের করে দিতে চাই কিন্তু আব্বুর সম্মানের কথা চিন্তা করে কোনো কিছু করে না।
আদিল কিছুটা সময় নিরব হয়ে রইলো!আর বড় একটা দীর্ঘ শ্বাস টেনে বললো!! জানিস ঈশান আমার অতীত!!
ঈশান বেশ অভাক হয় আদিল কে দেখে যে আদিল এক টা ছাড়া দুইটা কথা বললে রেগে যাই সেই কিনা নিজের জীবন সম্পর্কে আমাকে জানাবে।ঈশান বেশ কৌতুহল নিয়ে বললো!!
__না জানি না তো! তুই বল আমি শুনবো!
আদিল বলতে শুরু করলো!

__আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে এই যে আশরাফ সিকদার কে দেখছিস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আগে কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ ছিলেন না।ছোট খাটো একটা কোম্পানিতে জব করতেন।তবে তখন হবে হয়তো আমার বয়স এক বছর। ছোট চাচ্চু কাউকে কিছু না জানিয়ে ছোট আম্মু কে বিয়ে করে নিয়ে আসে। তখন দাদা ভাই বেশ আপওি করে ছিলো মেনে নিবে না বলে। কিছুটা বাধ্য হয়েই মেনে নেই আব্বুর জুড়াজড়ি তে ছোট চাচ্চু কে। পরে আস্তে আস্তে সবাই জানতে পারে। চাচ্চু আরও বেশ কয়েক বছর আগেই বিয়ে টা করেছিলো! ছোট আম্মুর নাকি কখনো বাচ্চা হবে না।বেশ কয়েক টা ডক্টর দেখাই সবাই নাকি একি কথা বলে! দেখতে দেখতে দুই টা বছর কেটে যায়।ছোট আম্মুর সব সময় মন খারাপ থাকতো একটা বাবুর জন্য।

তাদের রিলেশন এর বিয়ে থাকলেও বাচ্চা না হওয়াই বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভবনা টাই বেড়ে গিয়ে ছিলো।চাচ্চুর এমন ভাবে নিশ্চুপ ভাব টা আব্বু মেনে নিতে পারেন নি। চাচ্চু কে আব্বুই বলে ছিলো একটা বাচ্চা দওক আনার জন্য।চাচ্চু ও কোনো উপায় না পেয়ে একটা বাচ্চা দওক নিয়ে আসে।তার পর থেকে সব কিছুই ঠিক ছিলো বেশ কিছু বছর। আমার আর প্রিয়াশ এর ছেলে বেলা টা বেশ ভালোই কাটতে লাগলো। প্রিয়াশ এর বয়স যখন আট তখন আমার দশ। প্রিয়াশ ওই সময়ের পর থেকে উল্টা পাল্টা আচরণ করতো। তখন ছোট বেলা বলে সবাই হাসির ছলে বিষয় টা মেনে নিতো। এর মাঝে আদিব এর জন্ম হয় আম্মু আদিব কে নিয়ে বেশ ব্যাস্ত হয়ে পরে আর আব্বু ব্যাস্ত হয় রাজনীতি নিয়ে।আম্মু হাজার বার আব্বু কে নিষেধ করে ছিলো কিন্তু আব্বু শুনেনি।

আমাদের সুন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন।প্রিয়াশ এর পনেরো বছর আমার সতেরো। আমরা একি স্কুলে পরতাম।প্রিয়াশ ছোট বেলা থেকেই মেয়ে দেয় কে ইফটেজিং করতো।কাউকে সম্মান তো দূরেই থাক আচার আচরন এত বাজে ছিলো যে ছোট আব্বু বেশ বিরক্ত হয়ে ওঠে প্রিয়াশ এর উপর। এর মাঝে ছোট আম্মুর কোল জুড়ে আসে কলি। সবাই বেশ অভাক হলে ও খুশির বন্যা বয়ে যাই সিকদার মহলে।ছোট আম্মুর কলির প্রতি ব্যাস্ততা টাই যেনো কাল হয়ে দাড়াই আমাদের সবার জন্য।প্রিয়াশ এর অতিরিক্ত দুষ্টমি আর কলি জন্ম নিয়ে ছোট আম্মু বেশ ব্যাস্ত হয়ে পরে তার জন্য প্রিয়াশ কে হোস্টেলে দেয়া হয়।সাথে আমাকে ও আমি যেহেতু প্রিয়াশ এর থেকে এক ক্লাস উপরে আমি পরতাম সেকেন্ড ইয়ারে আমার হোস্টেল এর রুম টাও ছিল বেশ দূরে। প্রতিদিন দেখা না হলেও দুই এক দিন পর পর ঠিক দেখা হতো।

তারপর আদিল কিছু মিনিট এর জন্য চুপ হয়ে গেলো।ঈশান আদিল কে আবারও জিজ্ঞেস করে বলল!!
__কি হলো থামলি কেনো?? তারপর কি হলো বল___
আদিল আবার ও নিজের মতোন করে বলতে শুরু করলো ____

“””””প্রিয়াশ নিজের থেকে জুনিয়র মেয়ে দের সাথে রিলেশন এর নাটক করতো এবং তাদের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশনে চলে যেতো! মেয়েরা প্রথমে বুঝতে না পারলে পরে বিষয় টা আস্তে আস্তে বুঝতে পারতো।বুঝতে পারলেও তখন তেমন কোনো কাজে আসতো না।প্রিয়াশ তো প্যারসোনাল মোমেন্ট এর ভিডিও করে রাখতো। তাদের কে নাকি ব্লাক মেইল করার জন্য এমনি কি টাকা ও আনতো নেশা করার জন্য। এই বিষয় গুলা একটি স্যার বুঝতে পারেন। সে প্রিয়াশ কে অনেক বুঝিয়ে ছিলেন। প্রিয়াশ শুনে নি তার কথা।স্যারের নাম ছিলো কামরুল হাসান। পরে তিনি কিছুটা বাধ্য হয়ে আমাদের পরিবারের কাছে সব টা বলে দেই। তার পর চাচ্চু টানা তিন দিন একটা ঘরের ভেতরে প্রিয়াশ কে আটকে রেখে দেয় কোনো খাবার বা পানি না দিয়ে। তখন প্রিয়াশ শপথ করে ছিলো আর বাজে কাজ করবে না।সবাই ছোট বলে প্রিয়াশ কে মাফ কে দেয় এবং ওর বলা সব কথা বিশ্বাস করে নেই। প্রিয়াশ আগের মতোন কলেজে যাওয়া শুরু করে। প্রিয়াশ কলেজে যাওয়া তিন দিন পর থেকে আর সেই স্যার কে পাওয়া যায় নি কোথাও। প্রিয়াশ কে সন্দেহ করে পুলিশ থানাই নিয়ে গেলেও কোমো প্রমাণ না পাওয়াই পরের দিন প্রিয়াশ কে ছেড়ে দেয়া হয়।

“””আরে একটু খেলে নেশা হয় না! খা!!
পারুল ভয়ে নিজের জামা আঁকড়ে দরে বসে আছে। রতন মিয়ার রুম থেকে দুই টা দামি মদের বোতল আচার সিগারেট গ্লাস সব কিছু সামনে এনে দিয়ে পারুল রুমে চলে যেতে চাইলে প্রিয়াশ বলে। আমাকে গ্লাসে ডেলে দে। কি করবে পারুল কোনো কিছু বুঝতে না পেরে প্রিয়াশ এর থেকে বেশ দূরত্ব নিয়ে বসলো।পারুল যদি প্রিয়াশ এর এই মুহুর্তে মুখের উপর বলে পারুল ডেলে দিতে পারবো না।প্রিয়াশ যদি সেই রাগ দেখিয়ে তাকে কাজ থেকে বের করে দেই! তাহলে পারুল কোথাই যাবে। ঘরে অসুস্থ বাবা। এই মূহুর্তে এই কাজ টাও চলে গেলে তারা খাবে কি। পারুল এর ভাবনার মাঝেই প্রিয়াশ রেগে গিয়ে বললো!!

__এই সালির বেডি ডালোস না কেন!!
পারুল কাঁপা কাঁপা গলায় বললো!!
__ডালতাছি ভাইজান। বলে পারুল গ্লাসে ডেলে দিলো। প্রিয়াশ এর দিকে গ্লাস টা এগিয়ে দিলে প্রিয়াশ বলে….
____তুমি খাও এটা। একা একা ড্রিংক করে ফিল পাচ্ছি না।
___আমি খাই না এসব। তাছাড়া নেশা করা ইসলামে হারাম! প্লিজ আপনি ও খাবেন না এসব।
প্রিয়াশ এর মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি জেগে বসেছে!!!
___ওকে আর খাবো না আমি আজকেই লাস্ট। তবে একটা শর্ত আছে।
“””কি শর্ত স্যার।
“””তোমার কেও আমার সাথে বসে ড্রিংক করবে হবে! প্রমিজ করতেছি আর কখনো খাবো না।
“””কিন্তু আমি তো এসব খাই না।
“”এক দিক খেলে কিছু হবে না। তাছাড়া আমি ও তো আর খাবো না প্রমিজ করলাম না তোমাকে। এখন তুমি চাইলে আমাকে বাজে নেশা করা থেকে আটকাতে পারো।

বেশ মায়া হলো পারুল এর! তাকে কেউ কখনো এমন ভাবে বলে নি আগে! প্রিয়াশ এর কথাটা মনে লাগার মতোন করে বিধলো।তাই পারুল খুব সহজেই প্রিয়াশ কে বিশ্বাস করে নিলো! প্রিয়াশ মদের গ্লাস টা পারুল এর দিকে এগিয়ে দিলে। পারুল বেশ অস্তিত্ব নিয়ে এক প্যাক খেলো। খাওয়ার সাথে সাথে পারুল এর মাথা ঝিমঝিম করতে লাগে। প্রিয়াশ জেনো এই সুযোগে এর অপেক্ষাই ছিলো এতখন। পারুল এর মাথা গুরানো দেখে প্রিয়াশ আরও কয়েক গ্লাস পারুল এর সামনে এগিয়ে দিয়ে বললো!!

____আর একবার খাও তাই আর মাথা গুরাবে না!
পারুল প্রিয়াশ এর কথাই পেচিয়ে যায়। সে প্রিয়াশ এর সাথে সাথে ড্রিংক করতে শুরু করে। একটা সময় অতিরিক্ত মাথা গুরাতে থাকলে সেখানে সুয়ে ঘুমিয়ে পরে। প্রিয়াশ সয়তানি হাসি হেসে বললো!!
__একটা পাখি বেঁচে গেছে। তাতে কি আজকে রাত টা আমি এই পাখি টাকে নিয়েই কাটিয়ে দিবো।
বলেই প্রিয়াশ পারুল কে কোলে তুলে নিয়ে সুয়ে দিলো সোফায়। প্রিয়াশ ভালো ভাবে পারুল এর পুরো শরীর টাকে দেখে নিলো। কিছুখনের ভেতরে ঝাপিয়ে পরলো পারুল এর শরীরের উপর হিংস্র বাঘের মতোন।নিজের শরীরে পরে থাকা শার্ট এক টানে খুলে ফেলে দিলো ফ্লোরে। পারুল কে একটু একটু করে উনুমক্ত করে নিলো। শরীরের পরিহিত সব জামা কাপড় খুলে ফেলে দিলো ফ্লোরে। পারুল বুঝতে পারছে কি হচ্ছে তার সাথে কিন্তু শরীর দূবল মাথা ঝিমঝিম করছে কিছু বলতে পারতে শরীরে শক্তি নেই কোনো। আজকে তার এই সুযোগ টাকেই কাজে লাগালো প্রিয়াশ।

বাইরে ঝড় উঠেছে! এত বেশি বৃষ্টি হচ্ছে যে আশে পাশের তেমন কোনো শব্দ কানে আসছে না।ঝড়ের প্রবলতা বৃদ্ধমান হওয়াই কারেন্ট চলে গেছে। আশে পাশের সব কিছুই অন্ধকার! আইরা পাশে ইরা জুথী বেশ কিছু খন বসে কথা বলেছে। তারপর বাইরের ঠান্ডা ময় আবহাওয়া কারনে বেশ ঘুম পাচ্ছিলো। তাই ঘুমিয়ে পরেছে। এত বৃষ্টির মাঝে রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ভিজে যাবে। তাই আর বাইরে না গিয়ে ঘুমিয়ে পরেছে।
ঈশান এর পাশে বসেই আদিল সিগারেট এর ধোঁয়া ছারছে।আজ যেনো পুরনো সব অতীত উঁকি মেরে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।ইশান আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!

__প্রিয়াশ এর বিষয়ে কি ভাবলি??
“””আপাতত তেমন কিছু ভাবতেছি না! তবে মনে হচ্ছে অতি দ্রুত প্রিয়াশ কে বিয়ে করিয়ে কোম্পানির হাল দরিয়ে দিলে সব দিক থেকেই ভালো হয়।
“”হুম! হবে হয়তো!!!
“”আচ্ছা ঘুমাই চল। অনেক বোরিং ফিল হচ্ছে।
আদিল সোজা বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে সুয়ে পরলো পাশে ইশান ও।

রাত তিন টা বেজে পনেরো ____
পারুল এর একটু একটু করে ঘুম ছেড়ে গেছে পুরোটাই। এখন আর আগের মতোন মাথা গুরতেছে না। সে আশেপাশে তাকাতেই দেখে চারিপাশ টা অন্ধকার! সে উঠে রুমের লাইট ওন করবে বলে উঠতে গেলে কোনো ভাবে ফিল করে তার শরীর অনু মুক। জামা কাপড় কই কোথাই ফেলেছে কিছুই জানে না।প্রচন্ড তীব্র পেট ব্যাথা ফিল করছে।পারুল এর হঠাৎ চোখ পরতেই দেখে জানালার অল্প আলোতে একটি পুরুষ দাড়িয়ে। পারুল এর ভয় টা যেনো বেড়ে দ্বিগুণ হলো।তার সাথে কি হয়েছে সেটা পুরো পুরি বুঝতে সময় লাগলো না।সোফায় থেকে ওঠে দাড়াই পেটে হাত নিয়ে সোফা থেকে নামতেই পায়ের সাথে কিছু লাগে পারুল এর মনে হলো হয়তো তার জামা হুম ঠিকি ভেবে ছিলো পারুল এই জামাই তার। অতিদ্রুত জামাটা পরে নিলো পারুল। তারপর গিয়ে রুমের লাইট ওন করলো পারুল। হঠাৎ লাইট ওন দেখে প্রিয়াশ পেছনের দিকে তাকাতেই দেখে পারুল।প্রিয়াশ সয়তানি হাসি হেসে পারুল এর শরীরে বাজে স্পর্শ করে বললো!!

__এত রাতে তুমি এখানে কি করো ঘুমাও নি! যাও নিজের রুমের যাও!
পারুল এক ঝটকাই প্রিয়াশ এর হাত টাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বললো!!
___রাতে কি করেছেন আমার সাথে??
“”হোয়াট?? কি বলছো এসব মাথা ঠিক আছে???
“”নাটক করবেন না স্যার সত্যি করে বলেন কি করেছেন!!
প্রিয়াশ বাঁকা হেসে বললো!!
___বাকি সব পুরুষ যা করে আমি ও তাই করেছি! কেনো ভালো লাগে নি।
“””ছি কি নোংরা আপনি! আমার গায়ে এ কোন কলঙ্ক লাগিয়ে দিলেন আপনি! আল্লাহ সহ্য করবে না আপনার কঠিন শাস্তি হবে।
“””কে করবে আমার কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবে তোর বাপ??
আমি সকালেই আপনার পরিবারের কাছে সব কিছু বলে দিবো। এখন সময় আছে সব মেনে আমাকে

পারুল এর কথা শেষ করার আগেই প্রিয়াশ পকেট থেকে কত গুলা টাকার নোট পারুল এর মুখের উপর ছুড়ে মারলো। আর বললো!!!
____এখানে দেখ কত গুলা টাকা আছে গুনেও শেষ করতে পারি না। এগুলা নে আর নিজের মুখটা বন্ধ করে চুপচাপ সুয়ে পর।
প্রিয়াশ এর কথা বলতে দেরি কিন্তু পারুল এর শক্ত ফুলের টপ দিয়ে প্রিয়াশ এর মাথায় বারি মারতে দেরি হলো না।এত জুড়ে বারিটা মারলো যে। প্রিয়াশ ব্যাথাই আউচ বলে উঠে। কপাল ফেটে রক্ত ঝরছে! পারুল দাঁতে দাঁত পিসে বলে!!!

___গরীব হতে পারি বে….শ্যা না! শরীর বিক্রি করে টাকা উর্পাজন করি না। আপনি আমাকে এই মূহুর্তে বিয়ে করে আপনার এই কলঙ্ক আপনার গায়ে নিন। হয়তো আমি থানাই যাবো।
প্রিয়াশ মাথাই হাত দিয়ে রেখেছে রক্ত ঝরছে। পারুল এর এই রকম আজাইরা কথা শুনে মনে হচ্ছে আরেক বার। সালীর তেজ কত। প্রিয়াশ বপশ কিছুটা এগিয়ে গিশে পারুল কে বললো!!
___আমার বউ হওয়ার মতোন কোন বাল ডা আছে তোর??
এই প্রশ্ন এখন করছেন কেনো! কোনো বাল না থাকলেই কি একজন পুরুষ আরেক জন মহিলা মানুষ কে বাজে ভাবে স্পর্শ করে! আপনি আমার ইজ্জত নষ্ট করছেন।তাই বিয়ে করবেন আমাকে! কি কি বাল ডা আছে আপনি তো ইতি মধ্যে দেখেই ফেলেছেন! তাছাড়া আপনাদের বাড়ীর সবাই ভালো মানুষ। আপনার আগে বোঝা উচিত ছিলো যে আমি কার সাথে সুইতাচি।সুইতে পারলে বিয়ে করতে খারাপ লাগবো কেনো??
প্রিয়াশ দাঁতে দাঁত পিসে বলে!!

____প্রিয়াশ এর এত টাও খারাপ দিন আসে নাই! তোর মতোন ছোট লোক কে বিয়ে করবে। আরও টাকা লাগলে বলিস……..
পারুল প্রিয়াশ কে গাল বরাবর একটা সজুড়ে থাপ্পড় লাগাই।প্রিয়াশ আর দাড়াই না পারুল এর গলা চেপে দরে ওয়ালের সাথে লাগাই আর রাগে রাগান্বিত হয়ে দাঁতে দাঁত পিসে বলে!!!

______ছোট লোকের বাচ্চা তোরে মেরে ফেলবো তুই কার শরীরে হাত দিছোস।
বলেই পারুল এর গলা শক্ত করে চেপে দরে দেয়ালের সাথে। পারুল এর নিশ্বাস আটকে আসছে। পারুল হাত দিয়ে প্রিয়াশ এর অনু মুক্ত শরীরে আঘাত করতে থাকে! হাতের নক বড় থাকাই প্রিয়াশ এর বুকে পিঠে দাগ গুলা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।একটা সময় প্রিয়াশ এত জুড়ে পারুল এর গলা চেপে দরে যে পারুল এর নিশ্বাস আটকে আসে। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। প্রিয়াশ কে অনুরোধ করে বলে ছেরে দিন। বেশ কয়েক মিনিট চলতে থাকে এমন। প্রিয়াশ শরীরের পুরো শক্তি দিয়ে পারুল কে দরে পারুল আর নিঃশ্বাস নিতে পারে না। একটা সময় শরীরের ভার পুরোটাই ছেড়ে যেই।চোখ বন্ধ হয়ে যায়।নিঃশ্বাস আটকে যায়।চোখের কোনে বেড়ে ঝরে পরেছে হাজার হাজার অশ্রু কনা।

পারুল এর আকুতি ও তাকে বাঁচাতে পারলো না।শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে চলে গেলো। এই সুন্দর রঙিনময় পৃথিবী ছেড়ে প্রিয়াশ পারুল কে ছেড়ে দিলো সাথে সাথে পারুল ধপাস করে ফ্লোরে পরে গেলো। সুন্দর মুখ খানা মূহুর্তেই কালো হয়ে গেলো! প্রিয়াশ হাতের সিগারেট টা শেষ করে শার্ট টা পরে নিলো। সোফার উপরে রাখা নিজের ফোন টা ও পকেটে ঢুকালো! প্রিয়াশ পারুল কে কোলে তুলে নিয়ে রুমের লাইট ওফ করে বাইরে চলে গেলো। এর বাড়ীতে যদি আজকে এত গুলা মানুষ না থাকতো তাহলে প্রিয়াশ এর এত কষ্ট করা লাগতো না। সকালে সবাই ঘুম থেকে উঠলেই দেখতে পাবে পারুল কে তাই সবার ঘুম থেকে উঠার আগেই সরিয়ে ফেলতে হবে পারুল কে ৷ প্রিয়াশ সোজা হেঁটে গেলো রতন মিয়ার রুমের সামনে৷ বাইরে থেকে একবার ডাকলেই রতন মিয়া উঠে দরজা খোলে দিলো। বাইরে বৃষ্টি তাই আর রাত জেগে গেটের সামনে দাড়ায় নি সুয়ে পরেছে। রতন মিয়া যেনো কিছুই বুঝতে পারলো না।কাকে কোলে করে নিয়ে এসেছে বা কে হতে পারে এত রাতে। প্রিয়াশ রুমের ভেতরে ডুকে দরজা আটকে দিলো। পারুল কে বিছানায় সুয়ে দিলো।রতন মিয়া ঘুম যেনো এক ঝটকাই উরে গেলো! রতন মিয়া অভাক হয়ে প্রিয়াশ কে বললো!!

__পারুল এর কি হয়েছে ছোট সাহেব??
প্রিয়াশ বিরক্তি নিয়ে বললো!!
__মরে গেছে!!
___কি হয়ে ছিলো ছোট সাহেব!
প্রিয়াশ রেগে গেলো রতন মিয়ার উপর ছোট লোকের বাচ্চা কৌফিওত দেয়া লাকবে তোরে। গ্রোপ্ত ঘরের দরজা খোল। নয়ন তো তুই মেরে ছিস বলে তোকেই ফাঁসিয়ে দিবো।
রতন মিয়া পারুল কে নিজের মেয়ের মতোন ভালোবাসতো! এই মেয়ে তো বিকালে ও ছুটাছুটি করছিলো কিছু খন আগেও এসেছিলো মদের বোতল সাতে করে নিয়ে গেল যে তাহলে কি হলো এর মাজেই। কোনো উওর খোঁজে পেলো না রতন মিয়া। নিজের কাছে থাকা ঘরের ভেতরে কার্বাড টাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তার নিচের দিকে সুরঙ্গ এর ভেতরে তালা খুলে দিলো। প্রিয়াশ পারুল কে কোলে তুলে নিয়ে সুরঙ্গ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো রতন মিয়া বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলো বেশ কিছু খন। প্রিয়াশ মিনিট দশ পর উপরে এসে দরজা বন্ধ করে সুরঙ্গের চাবি টা রতন মিয়া কে দিয়ে বলল!!

____বেশি বারাবাড়ি করো না নইতো তোমাকেও ওই খানে পাঠিয়ে দিবো।
প্রিয়াশ গ্রোপ্ত ঘরের ভেতরের কাজ টা শেষ করে সোজা উপরে চলে এলো এদিক সেদিক দেখে।কাউকে না দেখে সোজা উপরে চলে গেলো মদের গ্লাস এবং আশে পাশের সব কিছু সরিয়ে রেখে আসলো! তারপর আদিল আর ঈশান এর পাশে গিয়ে চুপ করে সুয়ে পরলো। আদিল আর ঈশান গভীর ঘুমে বিভোর ছিলো তাই প্রিয়াশ এর উপস্থিতি বুঝতে পারে নি।
সকাল আট টা ________
ইরা আর জুথী এক সাথে উঠেছে ঘুম থেকে! আইরা এখনো ঘুমুচ্ছে! হয়তো আইরা খুব তারাতাড়ি উঠে যাবে।ইরা উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো সাথে জুথী ও! ইরা পারুল কে না দেখে এগিয়ে গেলো কিচেনে এর দিকে। পারুল কে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না।ইরা বেশ কয়েক বার জুরে জুরে ডাকলো পারুল কে! জুথী এদিক সেদিক খুজতে লাগলো ইরার সাথে ড্রয়িং রুমে আসতেই জুথী দেখে সোফায় এক পাশে পারুল এর ওড়না। জুথী ডাকে ইরা কে!!আর বলে!!!

_____এই যে এইটা তো পারুল এর ওড়না! গতকাল পরে ছিলো। পারুল এর ওড়না এখানে থাকলে পারুল কোথাই।
ইরা আর দাড়ালো না ছুটে গেলো রতন মিয়ার কাছে। কারন পারুল এর বিষয়ে সব খোঁজ তার কাছেই থাকে। ইরা কে দেখে রতন মিয়া কিছুটা অভাক হয়। তবু ও চমকায় না কারন সে জানে সকালে ঠিক ইরা এখানে আসবে পারুল কে খুজতে তাই রতন মিয়া ইরার দিকে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো!!
____এত সকাল সকাল এই এখানে কেনো ছোট ম্যাডাম! কিছু কইবেন!
ইরার সহজ সরল উওর। হ্যা পারুল কে তো দেখছি না পারুল কোথাই??
রতন মিয়া এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখে কেউ আসছে কিনা!না কেউ আসছে না তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললো!!!!

_____জানি না তো ছোট ম্যাডাম! রাতে বেশি বৃষ্টির কারনে গেট সামনে ছিলাম না! আগেই সুয়া পরছিলাম। কিছু হয়ছে ম্যাডাম।
রতন এর কথা খুব স্বাভাবিক লাগলো ইরা আর জুথীর কাছে সত্যি তো বাইরে বৃষ্টি ছিলো পারুল কেথাই গেলো। ইরা চলে যাবে তখন আবার পেছন গুরে রতন মিয়া কে জিজ্ঞেস করলো!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৫

______কালকে রাতে কি পারুল এর বাড়ির কেউ এসে ছিলো পারুল কে নিতে??
রতন মিয়া বেশ স্বাভাবিক কন্ঠে বললো!!!
____আমি তো জানি না ছোট ম্যাডাম!আর কেউ আসলে তো এখান দিয়েই আসতো হয়তো আসে নাই!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ২৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here