এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৯
Chadny islam
আশেপাশে সমস্ত নিরবতা ভেঙে! কলির অশান্ত মন কে কোনো ভাবে সামলাতে পারছে না।উন্মাদ বেসামাল হয়ে উঠেছে বার বার।তার পাগলামোর প্রতিটি মূহুর্ত কে রিফাত ইগনোর করার চেষ্টা করতে লাগলো!কিন্তু কলির পাগলামি টাও দ্বিগুন বাড়িয়ে দিতে শুরু করলো! রিফাত বাধ্য হয়ে গাড়িতে থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে কলি রিফাত এর হাত টেনে শক্ত পোক্ত গলাই বললো!!
____ভালোবাসি আপনাকে প্লিজ বিশ্বাস করুন!
রিফাত কলির হাত টা কে সরিয়ে দিয়ে সজোড়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয় গালে!সাথে সাথে কলি গালে হাত চেপে ঝরঝর করে কান্না করে দেই।রিফাত রাগান্বিত গলায় হিসহিসিয়ে বললো!!
___ফাজলামো মনে হয় আমাকে! আমার শরীরে টাস করার সাহস দিছে কে তোমাকে! হাও ডেয়ার ইউ??
রিফাত গাড়িতে সহজোড়ে এক লাথী মেরে কলির দিকে তাকিয়ে চোখ গরম করে বললো!!!
____তোমাদের মতোন বড়লোক মার্কা মানুষ আমি হাজার হাজার দেখছি।তোমরা বিশ্বাস এর অযোগ্য! আমার পিছু নেয়া বন্ধ করো। নেক্সট টাইম থেকে আমার সাথে কথা বলা তো দূরেই থাক না কেনো! দেখা টাও যেনো না হয় তোমার আর আমার।মাইন্ডেট!!!
কলি গালে হাত চেপে অনবরত কান্না করতে লাগলো!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
_____আমি আপনাকে ভালোবাসি! আমি আপনার পিছু হাজার বার নিবো! আপনি পারলে আমাকে ঠাকাইয়েন!যেই শরীরে টাস করার জন্য আমাকে থাপ্পড় মারলেন! সেই শরীর টাই আমার কাছে সুপে দিয়ে বলবেন! আমার সব টুকুই তোমার! জাষ্ট ওয়েট আন্ড ওয়াচ!
বলেই কলি গাড়ি থেকে নেমে গেলো। আশেপাশে তেমন গাড়ি চলাচল করছে না। নিরিবিলি পরিবেশ কলি হাঁটা শুরু করলো!রিফাত ও কলি রাগের কারন টা বুঝতে পেরে সাথে সাথে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। কলি এত দূত হাটছিলো যে রিফাত কলি কে দরতে পারছিলো না। রিফাত এর ডাক কে কোনো রকম পাওা না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো। সামনে এগোতেই একটা রিকশা পেয়ে যায় কলি! সাথে সাথে রিকশা য়াই ওঠে পরে। রিফাত বেশ দূরে থেকে সবাই দেখলো।কোনো ভাবেই হেঁটে পৌছাতে পারলো না কলির কাছে!রিফাত রাগে দাতে দাঁত পিসে কিরমির করে উঠলো!!
____স্যাটার চাকরি করি! সব গুলাই বালের রাগ দেখাই!ছ্যা.. জীবনটা পুরাই তেনা তেনা করে ফেললো এরা!!
________________!!!!
বিকেলে ঠান্ডা পরিবেশের উষ্ণ আর্দ্র তাপমাত্রা প্রায় শীত ছুঁই ছুঁই!ইরা ছাদের এক পাশে দাড়িয়ে আছে! ঠান্ডা মিষ্টি বাতাসে খোলা চুল এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে বারবার।লম্বা চুল গুলো মেচিয়ে যাচ্ছে বার বার মিষ্টি বাতাসে তাই ইরা হাত খোঁপা করে নিলো। ছাদে বেশ অনেক রকমের ফুলের গাছ আছে।ইরা গাছ থেকে লাল টুকটুকে একটা গোলাপ ছিড়ে নাকের সামনে নিয়ে বার বার সুবাস নিতে থাকলো!গোলাপ ফুল টা তার বরাবরি পছন্দের লিষ্টটে থাকে। হাজার হাজার ফুল একএে থাকলেও ইরা সবার প্রথমে গোপাল ফুল টাকে চোচ করবে।আজকে আশরাফ সিকদার এর কড়া নিষেধে আদিল সহ পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বের হয় নি। আদিল ফোনে কিছু খন যাবত কারো সাথে কথা বলছিলো। সেই জন্য ইরা বেশ বিরক্ত হয়ে ছাদে চলে আসে। ছাদে চলে আসার ও প্রায় আধঘন্টা হয়ে গেছে। ইরা বার বার সুবাস নিচ্ছে ফুলের। আদিল টু-কোয়াটার পার্ট এর সাথে কালো গেনজি পরে ছাদে চলে আসে। ইরা উল্টো দিক ঘুরে দাড়িয়ে থাকাই আদিল কে লখ্য করে নি ইরা একদম। ইরা কে এক মনে কিছু একটা চিন্তা করতে দেখে আদিল হাতের ফোন টা পকেটে গুঁজে এগিয়ে গেলো ইরার দিকে। ইরার কোমর টেনে নিজের দিকে ঘুরাতেই ইরা ভয়ে থমথমে হয়ে উঠলো। বুকে একথলা থুতু দিয়ে বলে!!
___ওহহহ আপনি!
আদিল কপাল কুঁচকে ফেলে!
___আমি নয়তো কে?অন্য কাউকে আশা করে ছিলে বুঝি??
“”ছাড়ুন! আমি কাউকে কেনো আপনাকেও আশা করি নি!
“এবার থেকে আশা করো! কত দিনি বা আর নিরা আশায় থাকবে! তোমার পাশে স্বামী ছাড়া তোমাকে এতিম এতিম লাগে বাউ!!
ইরা খিলখিল করে হেসে ফেললো আদিল এর কথা শুনে! ইরার মিষ্টি হাসি দেখে আদিল মূহুর্তেই ফিদা হয়ে হয়ে গেলো।একটা মিষ্টি হাসি কতটা স্বচ্ছ হয়! তাই ভেবে আদিল এক হাতে ইরার কোমর তো অন্য হাতে ইরার হাতের ফুল টা কে নিয়ে ইরার কানে গুজে দিয়ে খোঁপা করা চুল গুলা কে ছেড়ে দিলো! ইরার দিকে তাকিয়ে এক স্বচ্ছ মিষ্টি হাসি হেসে বললো!
_____স্বদ্ধ যেনো আসমানের চাঁদ কে দেখছি!তোমার সৌন্দর্যে আমি প্রতি মূহুর্তেই দিশেহারা হয়ে উঠি বউ! প্রতি মূহুর্তেই তোমার সৌন্দর্য খুব করে আমাকে টানে আমাকে!তোমার রূপের আগুনে আমি ঝলসে যাচ্ছি বউ!!
ইরা লজ্জাহীন গলায় ঠাস করে বলে দিলো!
___আমাকে আলো পাম দেয়া বন্ধ করেন হবু এমপি সাহেব!!
আদিল ভ্রো নাচিয়ে মজা নিয়ে বললো!!
____যদি দিতেই হয় পাম! তবে দিবো কেনো আলো পাম ! একদম পাম্পার পাম দিবো।😁
ইরা কপাল কুঁচকে বললো!!
___বেহায়া লোক! বাজে একটা! চুপ করুন!!
আদিল নিজের ঠোঁটে আঙুল চেপে বললো!!__তুমি বললা তাই কয়েক সেকেন্ড এর জন্য আমি চুপ করলাম!
আদিল ঠিক দুই সেকেন্ড চুপ থেকে তারপর ইরার কোমর ছেড়ে হাত টেনে বললো!!____চলো??
___কোথায় যাবো??
“”ঘুরতে!!
ইরা এগিয়ে আসলো আদিল এর সামনে! আদিল এর হাত টাকে উপরে তুলে আদিল এর চোখের সামনে ধরে বললো!!
___সময় কত এখন??
আদিল খুব স্বাভাবিক ভাবে বললো!!
____পাঁচটা একুশ!
“””আধঘন্টা পর মাগরিব এর আযান পরবে! এখন আমি কোথাও ঘুরতে যাবো না! আপনি যান!!
“””আদিল কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললো!___এত ভয় কিসের স্বামীর সঙ্গে তো যাচ্ছো!!
“”আব্বু বলেছে আজকে কোথাও যাওয়া আমাদের জন্য সেভ নয়! তাই আমি কোথাও যাবো না! আপনি যান!
“”আই রিপিট! এক কথা বার বার বলতে ভালো লাগে না! চলো আমার সাথে!!
বলেই আদিল ইরার হাত দরে টেনে নিয়ে রুমের ভেতরে চলে গেলো।ইরা অবাক হয়ে দেখলো আদিল কে! বার বার মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আদিল এর ছোট ছোট পাগলামি দেখে।আদিল রুমের ভেতরে গিয়ে ইরার হাত টা ছেড়ে দিয়ে। কার্বাড হতে ইরার জন্য বরাদ্দকৃত কিছু জামা এনে ইরার হাতে দিয়ে বললো!!
____অনলি ফাইব মিনিটস!
ইরা না চাইতেও আদিল এর দেয়া জামা টা হাতে নিলো!তারপর জামাটা পরার জন্য ওয়াশরুমের দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। তখনি আদিল পেছন থেকে ডেকে বলে!!
___এই খানে চেন্স করো বউ! আই প্রমিজ আমি দেখবো না!
ইরা কপাল কুঁচকে ফেললো! রাগে কটমট করে আদিল এর দিকে তাকাতেই বলে উঠলো!!.
____শেয়ালের কাছে মুরগি বাগী দেয়া! আর আপনার সামনে আমার এইখানে চেন্স করা একি কথা!
“””হে ইউ! তুমি কি আমাকে কোনো ভাবে ইনসাল্ড করে শেয়াল বললা!
“””শেয়াল কে তো শেয়ালি বলবো তাই না!
আদিল রাগে কটমটিয়ে ইরার দিকে এগোতে লাগলে আদিল এর হাঁটার গতি বেগ বুঝতে পেরে ইরা টুস করে ওয়াশরুমের ভেতরে চলে গেলো চেন্স করবে বলে!আদিল দরজার বাইরে দাড়িয়ে রেগে হকচকিয়ে উঠে বললো!!
____প্রেত্নীর বাচ্চা শুধু একবার বের হও!
ইরা ঠোঁট কামড়ে খিলখিল করে করে বেশ অনেক খানি হেসে বললো!!
____সরি এমপি সাহেব! আর আপনাকে শেয়াল বলবো না! দারকার পরলে কুওা বলবো! এবার তো একটু যান!
আদিল হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারলো না! তবে কপাল কুঁচকে ফেললো! এবং কার্বাড হতে নিজের জামা কাপড় বের করে নিয়ে আসলো।বাইরে বেশ ঠান্ডা দুপুর এর দিকে রোদ টা বেশ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে অনেক টাই বেড়ে যায়।তাই আদিল কালো লেদার এর জ্যাকেট পরে নিলো! এত খনে ইরা ও রেডি হয়ে নিয়েছে। আদিল দেয়া পান্ট কালো গেনজি এবং লং ওভারসাইজের কুটি পরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো ইরা! আদিল রেডি হয়ে নিয়েছে এতখনে! সে কি মেয়ে মানুষ যে তার রেডি হতে ঘন্টা খানেক লাগবে! শুধু বাকি আছে ঘড়িটা পড়া তাই ঘড়ি টা হাতে পরছিলো! কিন্তু ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে পেছন ফিরে তাকাতে অবাক এর শীর্ষে উঠে যায় আদিল। ইরা কে একদম বিদেশি দের মতোন লাগছে। আদিল যেনো চোখের পলক ফেলতে দ্বিধা বোধ করছে। ইরা কোনো রকম আদিল কে পাওা না দিয়ে বড় আয়নার সামনে গিয়ে মাথা আচড়ে চুল গুলা কে উচু করে বেধে নিলো। চোখে একটা সানগ্লাস আর হাতে ঘড়ি পরে নিয়ে এগিয়ে গেলো আদিল এর দিকে! এবং খুব সিরিয়াস গলায় বললো!!
____কেমন লাগছে আমাকে!
আদিল হাত ঘড়ি টা পরে শার্টে সানগ্লাস জুলিয়ে সিরিয়াস হয়ে বললো!!।
____একদম এমপির বউ বউ লাগছে আপনাকে ্যাম!!
ইরা ফিক করে হেসে দিয়ে বলল!!
____ধন্যবাদ!!!
“””ওয়েলকাম ম্যাম! এবার চলেন!!
বলেই আদিল ইরা কে টেনে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। এতখনে মাগরিব এর আযান পরে গেছে। ড্রয়িংরুমে হয়তো কেউ বসে নেই এখন! ইরা বেশ সংকোচে পরে গেলো। তাকে এই পোশাকে দেখলে যদি কেউ কিছু বলে তখন কি হবে। ইরা অল্প অল্প করে হাঁটতে শুরু করলো! তাই দেখে আদিল ইরা কে কোলে তুলে নিয়ে বললো!!
_____ডায়েট করবা বুঝছো! দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছো!
ইরা মূহুর্তেই কপাল কুঁচকে ফেললো!!
____আমি একদম মোটো নই! আমি তো আরেক টু মোটা হতে চাই৷ তাহলে আমাকে আরেক টু বেশি ভালো লাগবে! আম্মু বলেছে!
“”কোনো দরকার নাই! তুমি এমনিতেই সুন্দর এবং হটস আর তোমার হট্স নেস বারিও না বউ!তখন আবার আমি উদ্মাদ হয়ে যাবো। আমাকে সামলাতে তুমি হিমশিম খেয়ে খাবে।
ইরা লজ্জায় মুখ ডেকে ফেললো!ছি কি বাজে এই পুরুষের মুখে কি কোনো কিছুই আটকায় না৷ইরা কে লজ্জা পেতে দেখে আদিল ভ্রো নাচিয়ে বলল!!
____আমার এক মাসের পুরাতন বউ এত বেশি লজ্জা পাই!ছি আদিল ছি! এখনো বউ এর লজ্জা হরন করতে পারলে না তুমি।
কথা বলতে বলতে আদিল ইরা কে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে এসেছে। ইরা কিছুটা সংকোচ করে বললো!!
____আমাকে এই রকম ছেলেদের মতোন জামা কাপড় পড়ালেন কেনো! যদি কেউ দেখে ফেলতো তখন! ছি কি লজ্জা টাই না পেতাম!
“””আপনি আমার জন্মগত অধিকার বউ! আমি ছাড়া কখনো আপনাকে অন্য কারোর সামনে লজ্জা পেতে দিবোনা!আপনার লজ্জা হরণ করার প্রতিটি কারনি থাকবে এই আদিল সিকদার!
আদিল ইরাকে কোলে নিয়ে সোজা চলে গেল নিচে! যেখানে বাড়ির ছোট বড় সব ধরনের গাড়ি রাখা হয়!আদিল ইরাকে কোলে থেকে নামিয়ে দিলো!তারপর ভেতর থেকে একটা বাইক yamaha R15 v4 নিয়ে বেরিয়ে আসলো। এক দম নতুন চকচক করছে বাইক টা। ইরা কখনো আদিল কে বাইক রাইট করতে দেখে নি। এই বাড়িতে আজও কইটা গাড়ি কইটা বাইক আছে তা ইরা জানে না।হয়তো বাইক রাইট করবে বলে আদিল ইরা কে এই রকম ড্রেসে পরিয়ে নিয়ে আসলো।আদিল বাইক নিয়ে বেরিয়ে এলো! ইরার সামনে দাঁড় করিয়ে বললো!!
____বাইকে উঠো!কুইক!
ইরা কপাল কুঁচকে ফেললো!!
____আমরা এই রাতে বাইকে কেনো যাচ্ছি! আমরা বড় গাড়ি করে যাই না!
আদিল রাগে কটমট করে তাকাতেই!!ইরা বাইকের পেছনে উঠে বসলো! আদিল একটা হেলমেট পরিয়ে দিয়ে বললো!!
____দরে বসো! নয়তো রাস্তায় পরে গিয়ে তোমার কোমর সহ দাঁত ভেঙে যাবে!
“””দরকার হলে পরে যাবো! তাও আপনাকে দরবো না!
___কেনো! আমার শরীরে কি সমস্যা??
“”” কোনো সমস্যা নেই ! যাবেন নাকি নেমে যাবো!
আদিল আর কোনো কথা বললো না! বরং বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরলো বাড়ি থেকে।বাড়ি থেকে বের হতেই বাইকের স্পিড হাই টেনে বেরিয়ে গেলো। রাতের ঠান্ডা বাতাসে শরীরের কাঁপা-কাঁপি শুরু করে দিয়েছে ইরা। এতখনে আদিল এর পেটে দুইহাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে ইরা!আদিল অল্প হেসে স্পিড কমিয়ে দিতে দিতে বললো!!
____আরেক টু জড়িয়ে দর জান!
তা না হলে আমি সাইকেল এর স্পিড নিয়ে বাইক চালাবো! ইরা তৎক্ষনাৎ আদিল এর পেটে থেকে হাত সরিয়ে গাড়ের এক সাইডে হাত দেয়।তা দেখে আদিল এর মেজাজ চোরক গাছ!দাঁতে দাত পিষে কিরমির করে উঠলো!!
_____সালার কুওা কপাল! মনে হচ্ছে পেছনে বউ না কাজের খালা নিয়ে বাইক রাইট করছি! ছ্যা..
ইরা ফিক করে হেসে দিলো।ইরা আদিল এর দুঃখ টা বুঝতে পেরে আদিল এর পেট জড়িয়ে গাড়ে মাথা রেখো বললো!!
____আর এখন কি মনে হচ্ছে??
আচ্ছা আমরা এই শীতের মাঝে এত রাতে এই খানে কেনো আসলাম!জুথী প্রায় একশো বার জিজ্ঞেস করে ফেলেছে ঈশান কে। ঈশান প্রত্যেক বার প্রশ্ন টা এড়িয়ে গেছে। তাই দেখে জুথী ঈশান এর ঠিক সামনে দাড়িয়ে চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করলো!!
___আমি বউ আপনার ভুলে গেলেন নাকি?একটা প্রশ্ন আপনাকে আর কত বার করলে তার উওর আমি পাবো আমাকে বলে দেন??
ঈশান জুথীকে এক সাইড করে হাতে হাত গুঁজে বললো!!
____আদিল এবং ইরা আসছে!
“”””এত রাতে কেনো আসছে!
“””জানি না!
জুথী আর প্রশ্ন করে না ঈশান কে বরং নিজে দের গাড়িতে গিয়ে বসে।বাইরে বেশ ঠান্ডা হাত পা সহ সব কিছু জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে!
প্রায় ঘন্টা খানেক পর আদিল এবং ইরা বাইক নিয়ে চলে আসে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে! বাইরে অতিরিক্ত ঠান্ডাই ইরার ফর্সা হাত গুলা টকটকে লাল হয়ে গেছে। আদিল ইরার মাথা থেকে এবং নিজের মাথা থেকে হেলমেট গুলো কে খোলে বাইকের উপর রেখে দেয়। ইরার হাত দরে নিজের কাছে টেনে আনে আদিল তখনি খেয়াল করে ইরার হাত বরফ ছুঁই ছুঁই অবস্থা! তাই দেখে আদিল দূত ইরার হাত টাকে পান্ট এর পকেটে দিয়ে বলে!
____রুমে থাকলে অন্য পদ্ধতিতে তোমার গা গরম করে দিতে পারতাম বউ! সো সেড দুঃখ হচ্ছে তোমার জন্য!
মূহুর্তেই ইরা আদিল এর পকেট থেকে হাত টেনে বের করে কপাল কুঁচকে ফেললো!!
____বেহায়া লোক!!
___হুম জন্মগত থেকে!
আদিল ফোন টা বের করে কল করলো ঈশান কে! ঈশান গাড়ির ভেতরে থাকায় কারোর চোখেই পরে নি!ঈশান কল কেটে দিলো এবং জুথী কে নিয়ে বেরিয়ে এলো গাড়ি থেকে। জুথী আর ঈশান সামনে এগোতেই দেখলো আদিল এবং ইরা।জুথী ইরা কে দেখা মাএই জড়িয়ে দরলো ইরা ও সেম! ঈশান এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো আদিল এর পাশে। এবং ঠোঁটে ঠোট কামড়ে হেসে বললো!!
_____ডো ইউ হাগ মি বেবি!
আদিল কপাল কুঁচকে ফেললো!!
____সালা! গা ঘেসাঘেসির স্বভাব তোর এখনো গেলো না!
মূহুর্তেই ঈশান মুখ টা কে বাংলা পাঁচের মতোন করে বললো!!
____মুখে মধু অন্তরে বিষ! এত আনরোমান্টিক হলে জীবনে বাসর কেনো একটা ব ও ছিড়তে পারবি না!
“””তাই নাকি! তাইলে তোর বোন কে পাঠিয়ে দিস!
“”এক মাস আগেই তোরে কানা হয়ে দান করে দিছি। কি ছিড়তে পারছোস!
দ্যাত বাল! তোর বোন কে ছোঁয়ার আগেই ফ্যান ফ্যান শুরু করে দেই।এখন জোর করে ছিড়তে চাইলে তোর বোন আমাকে সোজা করে গুলি করে মেরে দিবে।
ইশান ফিক করে হেসে দিয়ে শার্ট টেনে বললো!!
___দেখতে হবে না কার বোন! পুরাই জোস হাজারে একটা!
সবাই একসাথে দাড়িয়ে কিছু সময় নিয়ে কথা বললো! বিশেষ করে কালকের নির্বাচন নিয়ে!ঈশান এবং জুথী একটু আগে আগে এগিয়ে গেলো!আদিল এবং ইরা একা ছেড়ে দিলোয় কিছু সময় কাটানোর জন্য। তারা সাধারণ বেশি সময় বাসা থেকে বের হয় না! আজকে যেহেতু বের হয়েছে তাহলে না হয় একটু প্যারসোনাল সময় কাটাক। জুথী আর ঈশান চলে গেলো রেস্টুরেন্টের ভেতরে৷ আদিল ইরার হাত দরে রেখেছে আশেপাশে হাইওয়ে বেশ অনেক গাড়ি। হুট করে আদিল এর ফোনে একটা কল আসায়! আদিল ইরার হাত ছেড়ে ফোন টা কে রিসিভ করে কথা বলতে শুরু করলো। হয়তো একটু বেশি ইমপোর্টেন্স কল ছিলো! তাই ইরা চুপচাপ পেছন পেছন হাঁটতে লাগলো। এদিক সেদিক তাকা তাকি করতেই দেখলো একটা ছোট বাচ্চা বিড়াল রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছে৷ ইরা বেশ কিছু মিনিট দাঁড়িয়ে বিষয় টা লখ্য করলো। বিড়াল টাকে দেখতে দেখতে আদিল এর সাথে পা মিলিয়ে চলতে পারে নি ইরা! আদিল বেশ অনেক টাই সামনে এগিয়ে গেছে! ইরা আদিল কে দুই এক বার ডাকে।
কিন্তু আদিল এর কান পর্যন্ত হয়তো সেই ডাক গিয়ে পৌছায় না।তাই ইরা দৌড়ে যায় বিড়াল টিকে বাঁচাতে। আশেপাশে হাইওয়ে তে অনেক গাড়ি আসছে যে একবার ভুল ক্রমে সামনে এগলে সাথে সাথে ধাক্কা লেগে জীবন নামের ছোট পাখিটি উরে যাতে পারে। ইরা বিড়াল টিকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে গেলো বিড়াল ছানার দিকে! আশে পাশের গাড়ি খেয়াল করে নি ইরা। ইরা রাস্তায় মাঝে দৌড়ে গিয়ে কোলে তুলে নিলো বিড়াল ছানা কে৷ কোলে তোলার সাথে সাথে অন্য আরেক টি গাড়ি ব্রেক উল্টো গুরে গেলো সাথে সাথে কয়েক টিক গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে গাড়ির সংঘর্ষে আগুন এর স্পোলিং শুরু হয়ে যায়। ! আশেপাশে অতিরিক্ত আওয়াজে আদিল পাশ ফিরে তাকাই! ইরা খুজতে থাকে! কোথায় নেই এদিক সেদিক তাকাতেও ইরা কে দেখতে না পেয়ে দৌড়ে আসে আগুন এর স্পোলিং ঘর্ষণ এর কাছে।আশেপাশে হাজার হাজার গাড়ি সহ মানুষ দাড়িয়ে আতংকে চিৎকারও চেচামেচি করে উঠলো। পাশে একটা বয়স্ক দাড়ায়ান বলে উঠে!!
_____ভেতরে একটি মেয়ে আছে আগুন নেবাও!তাকে বাঁচাও।
শব্দটা তৎক্ষনাৎ আদিল এর মস্তিষ্ক জুরে বিচরণ করতে লাগলো। ইরা কোথায়! আশেপাশে চিৎকার আগুনের ঝলসানো ভয়ংকর আওয়াজে ঈশান সহ জুথী রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। আদিল এর পাশে ইরা কে দেখতে না পেরে ঈশান দৌড়ে আদিল কাছে ছুটে আসে। আদিল আগুনে ঝাপ দেয়ার জন্য অগ্রসর হতেই ঈশান আদিল এর হাত শক্ত করে চেপে দরে জিজ্ঞেস করে জানতে চাই!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৮
কোথায় ইরা।আদিল কোনো এক ঘরের মধ্যে আছে। দেখে ঈশান কোনো রকম দুই হাতে দরে রেখেছে আদিল কে। আদিল চিৎকার করে ডাকছে ইরা কে। আদিল এর এমন পাগলামি দেখে আশেপাশের সমস্ত মানুষ এসে আদিল কে সামলানোর চেষ্টা করে। আদিল রাস্তায় বসে আহাজারি করে কান্না করতে শুরু করলো! তার মনে হচ্ছে তার সব কিছু জ্বলে পুরে বর্ষ হয়ে যাচ্ছে। আদিল চিৎকার করে কাঁদছে তার ভুলের জন্য সব হয়েছে। আদিল চিৎকার করে আল্লাহ কে ডাকে!
__হে আল্লাহ তুমি বাঁচিয়ে দাও আমার বউকে!আমাকে নিঃস্ব করে দিও না রহম করো আল্লাহ! ফিরিয়ে দাও আমার বউ কে!
