এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৪০
Chadny islam
হাইওয়ে থেকে শুরু করে আশেপাশের সমস্ত জায়গায় গাড়ি স্পোলিং জড়িয়ে ভয়াবহ এক অগ্নিগিরির লাবা প্রবাহিত হচ্ছে। ঈশান আদিল কে দরে শক্ত করে দাড়িয়ে আছে।এত খনে ফার্য়ার সার্ভিস এর লোকেরা এসে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পরেছে!রাস্তায় এই পাশ থেকে অন্য পাশের কাউকে ঠিক মতোন দেখা যাচ্ছে না!ভয়ানক অগ্নি কান্ডের জন্য!
মানুষ বলে পুরুষ নাকি কাঁদে না এই কথা টা যেমন সত্যি তেমনি ভুল ও। আদিল এর মতন একজন শক্ত পোক্ত মানুষ জড়সর হয়ে কান্না করছে।সাথে ঈশান জুথী ও তারা এদিক সেদিক তাকিয়ে খোঁজা খোজি করতে শুরু করলো ইরা কে। সবার মন বলছে ইরা ঠিক আছে হয়তো সত্যি ঠিক আছে। যদি ঠিক থেকে ও থাকে তাহলে ইরা কোথায়? ফার্য়ার সার্ভিস এর সব লোকেরা মিলে এত খনে আগুন নেভানোর কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে।ঈশান সহ আদিল সবাই ওঠে দাড়িয়ে পরেছে। আদিল ঈশান এর হাত টাকে সরিয়ে দিয়ে এদিক সেদিক খুঁজতে লাগলো ইরা কে!আশে পাশের সমস্ত মানুষ অবাক হয়ে দেখছে আদিল কে।কিছু কিছু মানুষ তো আদিল কে পাগল বলেও সম্মোদন করছে। তাতেই বা কি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টিকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।নিশ্বাস আটকে আসছে ভেতরের কষ্ট গুলো বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে বার বার।আদিল কাপা কাপা শরীর নিয়ে ইরা কে খুঁজতে লাগলো!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এত বড় অগ্নি দুর্ঘটনা এত খনে সাংবাদিকরা সব কিছু প্রচার করে ফেলেছে ।আশরাফ সিকদার সহ সিকদার পরিবারের সবাই ভিষণ রেগে গেছে আদিল এর উপর।তেমনি টেনশন ও করছে বেশ। আশরাফ সিকদার ইতিমধ্যে কয়েক বার কল করছেন আদিল কে। কিন্তু আদিল ফোন রিসিভ তো দূরেই থাক কেটে পর্যন্ত দেয় নি। তারা কি ঠিক আছে কালকে নির্বাচন আশরাফ সিকদার হাজার বার নিষেধ করে ছিলেন বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য!কিন্তু তার অবাধ্য ছেলে কোনো কথাই না শুনে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। অহনা সিকদার চেয়ারে বসে শক্ত গলাই আশরাফ সিকদার কে বললেন!!
____এত বার নিষেধ করার পরও বাইরে যাওয়ার সাহস হলো কিভাবে।
আশরাফ সিকদার সহ বাড়ির সবাই মিলে বড় টিভির পর্দায় চোখ ভুলালেন! ভয়ংকর অগ্নি কান্ড দেখলেন!
সবার মতোন ইয়ান রোশান সহ ইরার বাবা মা খবর টা দেখলেন টিভিতে । রোশান খরব টা পাওয়ার সাথে সাথে গাড়ি করে বেরিয়ে এসেছে। হয়তো আদিল এর অতিরিক্ত আহাজারি করা কান্নার ভিডিও সাংবাদিক রা এতখনে ছড়িয়ে দিয়েছে সবার মধ্যে!
ইরা বিড়াল কোলে নিয়ে বসে আছে একটি চেয়ারে! বিড়াল টি দবদবে ফর্সা তাই ইরার বেশ পছন্দ হয়েছে বিড়াল টিকে। আজকে বাড়িতে যাওয়ার সময় বিড়াল কে সাথে করে নিয়ে যাবে! দরকার পরলে বাড়িতে যাবে না তবুও বিড়াল কে একা রেখে যাবে না। কয়েক মিনিট এ বেশ মায়া লেগে গেছে বিড়াল এর প্রতি ইরার।ইরা আদর করে কত গুলা চুমু দিয়ে ফেলেছে এতখনে তার হিসাব নেই।বিড়াল টাও কাচুমাচু হয়ে বসে আসে ইরা কোলে। এবং পিটপিট করে তাকিয়ে দেখছে বার বার ইরা কে। ইরা হয়তো ভুলেই গেছে সে এই খানে একা আসে নি সাথে তার স্বামী ও এসে ছিলো। ইরা যেনো এবার উঠে দাড়ালো আদিল কে খুঁজতে। ইরা একটু সামনের দিকে এগুতেই দেখলো আদিল হন্তদন্ত পায়ে কিছু একটা খুজছে। তাই ইরা এগিয়ে গেলো আদিল এর দিকে। ইরা বেশ কিছু টা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে ডেকে উঠলো আদিল কে!!
_____সিকদার সাহেব!!
একটি ডাক দেয়ার সাথে সাথে আদিল এর শান্ত মস্তিষ্কে ডাক টা পৌঁছে যায়।আদিল পেছন ফিরে তাকাই ইরা দিকে। ইরা কে এক পলক দেখার সাথে সাথে ছুটে আসে ইরার কাছে। ইরা কে খুব বেশি স্বাভাবিক লাগছে দেখতে না কোনো টেনশন আছে। আদিল ইরার সামনে দাঁড়াতেই ইরা বলে উঠলো!!
____আমি বিড়াল টিকে কিন্তু বাসায় নিয়ে যাবো!
ইরার কথার মাঝেই আদিল ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো ইরার গালে। আদিল দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!
____কোথায় ছিলি এতখন???
ইরাকে থাপ্পড় মারার সাথে সাথে ইরা গালে হাত দিয়ে ঝরঝর করে কেঁদে উঠলো! একটা প্রশ্ন করার জন্য কেউ কাউকে থাপ্পড় মারে। তাই ইরা গাল ফুলিয়ে প্রশ্নের উওর না করে উল্টো গুরে হাঁটতে শুরু করে।
তাই দেখে আদিল মেজাজ হারিয়ে ইরার বাহু টেনে বললো!!
_____কোথায় ছিলি এতখন ??
আদিল এর রাগের গভীরতা বুঝতে পেরে ইরা গালে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে নিয়ে ইশারা করে চেয়ার এর দিকে আঙুল তাক করে বললো!!
_____ওই খানে বসে ছিলাম! আপনি তো আমাকে রেখে চলে গিয়ে ছিলেন আগে আগে। এখন এতো দরত দেখাতে আসছেন কেনো।
আদিল দাঁতে দাঁত পিসে বললো!!
____অসভ্য মেয়ে ভুল করে আবার মুখ মুখ তর্ক করিস! এক থাপ্পড়ে সব গুলা দাঁত ফেলে দিবো বেয়াদব!
ইরা রাগে কটমট করে উঠলো!
____মেরে দেন আমাকে!!
আদিল ইরার বাহু টেনে নিজের কাছে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে দরে বললো!!
___মিস ইউ বউ!আমি তো ভেবে ছিলাম…..
ইরা অবাক হয়ে যায় আদিল এর কর্মকান্ডে। সেকেন্ড সেকেন্ড মানুষ কিভাবে পাল্টি খায়।এই লোক তো দেখি গিরগিটির থেকেও দূত রং বদলায়। ইরা আদিল কপ ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও আদিল ছাড়ে না ইরা কে। আশেপাশে মানুষ এর উপস্থিত বুঝতে পেরে ইরা বলে উঠলো!!
____আশে পাশের সবাই নাটক সিনেমা দেখছে! তাও আবার ফ্রীতে।
মূহুর্তেই আদিল ইরা কে ছেড়ে দিয়ে ইরার পাঁচ আঙুলের বাঝে নিজের আঙুল ডুকিয়ে সাথে করে সবার সামনে থেকে ইরা কে নিয়ে চলে আসে। ঈশান এবং জুথী বেশ কিছুটা স্বস্তি পেয়ে এগিয়ে যায় সামনের দিকে।
রোশান প্রায় অনেক দূরে দাড়িয়ে বিষয় টা লখ্য করে দেখ ছিলো!ইরা ঠিক আছে ভেবে একটা দীর্ঘ শ্বাস নেয়।তবে ইরার খুব কাছে আদিল কে দেখে অনেক টাই অস্বস্তি বোধ করে রোশান। কোনো রকম ইগনোর করে গাড়িতে গিয়ে বসে রোশান!
আদিল আশরাফ সিকদার কে কল দিয়ে সব টাই জানিয়ে দিয়েছে।আশরাফ সিকদার প্রথমে একটু রাগারাগি করলেও পরে সবাই ঠিক আছে শুনে স্বস্তি পান। এবং আদিল ইরা কে তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসতে বলে ফোন কেটে দেন।
ইরা জুথীর পাশের চেয়ারে ছোট বিড়াল টিকে কে নিয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে! বিড়াল ছানা টা তো তার বেশ পছন্দ হয়েছে! এখন যদি আদিল নিষেধ করে বিড়াল ছানা কে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে না তখন কি হবে! ইরা শক্ত করে দরে রেখেছে ছোট বিড়াল কে। আদিল দীর্ঘ শ্বাস টেনে চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে বসে আছে। আদিল কে চুপচাপ দেখে ঈশান দুষ্টমির ছলে আদিল কে বললো!!
____বিশ্বাস কর তোকে দেখতে এক দম হিরো আলম এর মতোন লাগছে।
আদিল এর শান্ত মস্তিষ্ক টা বিগড়ে গিয়ে হকচকিয়ে উঠলো!!
____সালা তুই আর তুলনা করার জন্য মানুষ পেলি না সোজা চলে গেলি হিরো আলমের কাছে।
আদিল একবার হাত ঘড়িতে সময় টা দেখে নিলো। ঠিক ১১ টা ৫৯ মিনিট আর মাএ ১ মিনিট তারপর বারো টা বেজে যাবে। নতুন একটি দিন শুরু হবে এবং খুব সুন্দর একটি মূহুর্ত।আদিল মনে মনে অল্প হেসে নিলো।ঠিক বারো টা বেজে উঠতেই আদিল হাত দিয়ে ইশারা করার সাথে সাথে রেস্টুরেন্টে ভিন্ন রকমের লাইটের আলো জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠলো।সেই সাথে বিভিন্ন রকমের ফুল বেলুন তো আছে। সাথে সাথে বেশ সাউন্ডে মিউজিক বেজে উঠলো।হঠাৎ এমন ভাবে হওয়াতে সবাই বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। লাইটের অল্প অল্প আলোতে আদিল মুখ টা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।মুখে এক রাশ হাসি নিয়ে ইরার দিকে তাকিয়ে আছে। ইরা বিষয় টা বুঝতে উঠে আসে আদিল এর দিকে। তখনি আদিল আবার ও হাত দিয়ে ইশারা করতেই আশে পাশের সবাই এক সাথে তালে তাল মিলিয়ে বলতে লাগলো!
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মিসেস ইরা সিকদার। ইরা অবাক এর শীর্ষে উঠে যায়।ইরার তো মনেই ছিলো না আজকে তার জন্মদিন। যদি জন্মদিনি হয় তাহলে কেনো তার আব্বু আম্মু কল করলো না তার সাথে দেখা কেনো করলো না মূহুর্তেই ইরার মুখটা ফেকাসে হয়ে উঠলো। সে হয়তো ভুলে গেছে জন্মদিন এখনি শেষ নয় শুরু! আদিল এগিয়ে গেলো ইরার দিকে সাথে সাথে বড় লাইটের আলো জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠলো। চারপাশে এত এত মানুষ যাদের কে ইরা আগে কখনো দেখে নি।এা কারা?? তখনি আদিল ইরার কানে ফিসফিস করে বললো!!
____জন্মদিন এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা বউ!তোমার ছোট্ট জীবনটা ফুলের মতোন সুন্দর মনোমুগ্ধকর হোক।
ইরা থ্যাংক কিউ জানিয়ে ফের আবারও এদিক সেদিক তাকাতাকি করছে তাই দেখে আদিল বলে উঠলো!!
____নার্ভাস ফিল করছো! এদের কে আউট করে দিবো।
আদিল এর অনাকাঙ্ক্ষিত কথায় ইরার বুঝতে বাকি রইলো না! আদিল রেস্টুরেন্ট টা বুক করে নিয়েছে। ইরার জন্মদিন আজ তা আদিল কিভাবে জানলো! তাই ইরা আদিল কে প্রশ্ন করতে চাইলে! আদিল ইরা ঠোঁট চেপে বললো!!
____সব বলবো পরে! একান্তে বসে এখন নই!
বলেই আদিল ইরার পাঁচ আঙুল এর বাঝে হাত বুজে এগিয়ে নিয়ে গেলো সামনের দিকে।রেস্টুরেন্ট এর কিছু স্টাফ মিলে বড় একটি কেক নিয়ে আসলো! এনে আদিল এবং ইরার সামনে বড় একটা টেবিলে রাখলো! পাশেই জুথী এবং ঈশান দাড়িয়ে! তাদের কাছে এখন সব টাই দুয়াশার মতোন পরিষ্কার! সবাই খুব আনন্দিত। ইরা এক রাশ হাসি নিয়ে আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললো!!
___জানেন আগে কেউ কখনো আমাকে এমন ভাবে ওয়িশ করে নি। ধন্যবাদ আপনাকে!
আদিল অল্প হেসে খুব স্বাভাবিক ভাবে বললো!!
____কেক টা কাটুন ম্যাম! সবাই অপেক্ষা করছে।
বলেই আদিল ইরার হাত দরে কেক টা কাটতে শুরু করলো। পাশে সবাই জুড়ে জুড়ে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানালো। আদিল কেক এর এক টুকরো ইরার মুখে খাইয়ে দিয়ে বললো!!
___ভালোবাসি বউ তোমাকে বড্ড বেশি !সারাজীবন তুমি আমার সাথে থাকলে তোমাকে এর থেকেও বড় বড় সারপ্রাইজ দিবো । টাস্ট মি বউ!
ইরা অল্প হেসে কেক এর এক টুকরো আদিল এর মুখ দিয়ে বললো!!
____আমাকে লোভ দেখাবেন না আমি বাচ্চা নয়!!
আদিল মুখ টা কে গম্ভীর করে পকেটে থেকে একটা ডায়মন্ড এর রিং ইরার হাতে পরিয়ে দিয়ে ফের আবার একটা হাতে চাবির রিং দিয়ে বললো!!
_____বাইরে যে উপহার টা আছে। তা দেখলে না আবার এক লাফে আমার কোলে উঠে বসো।
ইরা কপাল কুঁচকে ফেললো!!
____চুপ করুন বেহায়া লোক!!
পর পর ইরা সবাই কে এক এক করে কেকে খাইয়ে দিলো!
হ্যালো!
আদিব কপাল কুঁচকে বললো!!
____এখনো ঘুমাও নি যে!
“””ঘুমিয়ে পরবো কিছু খন ! কেবল পড়া শেষ করেছি!
“””ওহহহ! কেমন হয় এক্সাম??
“””হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো! আপনি এত রাতে জেগে আছেন???
“””হুম! কালকে ভাইয়ার নির্বাচন কিছু কাজ করছিলাম তাই! তুমি ভোট দিতে আসবে না??
“””হুম যাবো এক্সাম শেষ করে!
“””তাহলে কি আমাদের দেখা হবে??
“””দেখা হওয়া টা কি খুব দরকার???
“””হলে ভালো হয়!!
‘”‘হুম! এখন রাখি বলেই রিমঝিম কল টা কেটে দিলো!!!
_
রেস্টুরেন্টের ভেতরে খুব সুন্দর করে জন্মদিন উৎযাপন করে আদিল এবং ইরা বেরিয়ে আসে রেস্টুরেন্ট থেকে। ঈশান এবং জুথী কিছু গিফট জন্য গিয়ে ছিলো। একটা বড় পার্সেল ইরার হাতে দিয়ে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানালো জুথী।ইরা ও খুশি খুশি মনে গিফট টাকে হাতে তুলে নিলো!ইরা হাতের মাঝে চাবির রিং টা ঘুরাতে গুরাতে আদিল এর দিকে মুখ গুরিয়ে বললো!!
___এইটা কিসের রিং??
আদিল অল্প কিনচিত হেসে বললো!!
____জাষ্ট ওয়েট!
ইরা মাথা নেরে সম্মতি জানালো! আদিল ইরার হাত দরে সামনের দিকে এগুতেই দুইজন বডিগার্ড এসে আদিল কে বললো!স্যার সব কিছু কমপ্লিট!
মূহুর্তেই আদিল ইরা কে বলে চোখ বন্ধ করার জন্য!ইরা কিছু মিনিট নার্ভাস ফিল করলেও আদিল এর জোড়াজুড়ি তে চোখ বন্ধ করে ফেলে। আদিল ইরা কে নিয়ে সামনে দিকে যায়।ঈশান এবং জুথী বেশ কৌতুহল নিয়ে সব কিছুই দেখছে। আদিল ইরা কে বড় একটি গাড়ির সামনে দাড় করিয়ে চোখ খুলতে হবে। ইরাও সাথে সাথে চোখ খুলে ফেললো। গাড়ির উপরে লাল চাদর দিয়ে ডাকা থাকাই ইরা অনুমান করতে পার ছিলো না ঠিক কি আছে! তাই ইরা এক টানে চাদর খুলতেই চোখ দাদিয়ে যাই।এত বড় চার চাকার গাড়ি দেখে ইরা বেশ অবাক এবং কৌতুহল নিয়ে আদিল এর দিকে তাকাই। আদিল অল্প হেসে সুধায়!!
____দিস ইস ফর ইউ মাই কুইন!
ইরা কি বলবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না! এত বড় গাড়ি দিয়ে সে কি করবে! ইরা আদিল এর দিকে তাকিয়ে ঝরঝর করে কেঁদে উঠে বললো!!
_____আমার এই সব কিছুই চাই না! আপনি আছেন তো!!
আদিল ইরার কপালে আলতো চুমু খেয়ে বললো!!
____স্বামী কিছু দিলে নিতে হয়!
ইকবাল খান সহ বাড়ির সব দারোয়ান মিলে দাড়িয়ে আছে। রোশান চেয়ার টেবিল সহ সব কিছু ভেঙে গড়িয়ে দিচ্ছে। তার রাগের কারন টা সবারি অজানা! রোশান রেগে গেলে শুধু যে ভাঙাচোর করে এমন টা নয়। মানুষ ও খুন করতে দ্বিধা বোধ করে না। ইকবাল খান সহ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পরে ছিলো। হঠাৎ ভাঙচুর এর শব্দে সবার ঘুম ভেঙে যায়।এক এক করে সব বডিগার্ড রাও এসে হাজির হয়।ইকবাল খান সবাই কে ইশারা করে বলেন চলে যেতে সাথে সাথে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে চলে যায়।সাথে ইকবাল খান এর ওয়াইফ ও। ইকবাল খান এবার ছেলের কাছে গিয়ে খুব শান্ত গলাই বললেন!!
____রিলাক্স হও! কোথায় গিয়ে ছিলে এত রাতে কি এমন হয়েছে??
রোশান রাগে এক ঘুসি মারে থ্রাই গ্লাসে সাথে সাথে ভেঙে কয়েক শো টুকরো হয়ে গড়িয়ে পরে ফ্লোরে।মূহুর্তেই হাত কেটে ঝরঝর করে রক্ত পরা শুরু হয়। রোশান ভয়ংকর হুংকার দিয়ে বলে উঠলো !
____আদিল এর সব ডিটেইলস আনার ব্যাবস্থা করো ড্যাড কুইক! আমি কালকেই যেনো ওর জীবন টাই আগুন লাগিয়ে দিতে পারি। আমার থেকে কেড়ে নেওয়া জিনিস নিয়ে আদিল সিকদার দিব্বি সুখে থাকবে আমার এই টাও দেখা লাগবে।
ইকবাল খান ছেলের কাঁধে হাত রেখে বললেন!!
____টেনশন ফ্রী থাকো বেডা! আমি সব কিছুর ব্যবাস্থা করছি। এমিডেটলি
আদিল এবং ইরা বড় BMW গাড়ি করে সিকদার মহলে চলে এসেছে।যেই গাড়িটা কিছু খন আগে আদিল ইরা কে গিফট করে ছিলো। ডাইভ করছে আদিল পাশেই বসে আছে ইরা ছোট বিড়াল টিকে নিয়ে।ইরা অদ্ভুত দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে আদিল এর দিকে। এই তাকানো না চাইতেও বলে দিচ্ছে অনেক কিছু!আদিল নিজেও দেখছে ইরা কে বার বার। দুই জানের চাওয়া টাও এক পাওয়া টাও এক! তাহলে দেহের মিলনের কেনো এত অপেক্ষা! হুম ভালোবাসা হয় মন থেকে। কিন্তু ভালোবাসা ফিল করার জন্য পারস্পারিক মিলনের খুবি প্রয়োজন।
রাত দুই টা…….
গভীর রাতের সূচনা! বাইরে গুটগুটে কালো অন্ধকার!কুয়াশায় মুরানো চারদিক।বাইরে প্রবল ঠান্ডা স্রোতের বাতাস শিশি করে প্রভাবিত হচ্ছে।আদিল এক সাইড করে গাড়ি রেখে ইরা কে নিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো।সিকদার পরিবারের সবাই হয়তো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন! তাই আদিল এবং ইরা নিজে দের রুমে চলে যায়।দুইজন কোনো রকম নিজেদের ড্রেস চেন্স করে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে সুয়ে পরলো প্রায় রাত তিন টার দিকে!!!
নতুন ভোরের সকাল ধরণীতে! সিকদার মহলের প্রতিটি পুরুষ সহ সয়ে সয়ে বডিগার্ড পুলিশ প্রেস সবাই ভোটের কেন্দ্রে চলে গেছে। যেখানে নির্বাচন এর আয়োজন করা হয়েছে।আদিল সহ আশরাফ সিকদার এবং বিপক্ষের দলীয় রা সবাই বসে আছে এক সাথে। ভোট দেয়ার জন্য শয়ে শয়ে লোক উপস্থিত হয়েছে। তাদের কে যথেষ্ট সুবিধার সাথে ভোট দেয়ার ব্যবাস্থা করা হয়েছে।আশে পাশে পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে ছোট ছোট পদের পুলিশ রয়েছে হাজার হাজার। নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে নিষ্ঠার সাথে। হাজার হাজার বডিগার্ড ও রয়েছে যাদের চোখে সন্দেহ জনক কেউ পরলে সাথে সাথে তুলে নিয়ে যাবে।সুষ্ঠু নির্বাচন সবারি কাম্য!
আদিল কে অনেক টাই টেনশন করতে দেখে আশরাফ সিকদার মুখ টিপে টিপে হেসে বললেন!!!
এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৩৯
____এমপি হওয়া এত সোজা না! অনেক কাঠ গুর পেরিয়ে হতে হয়। সবাই তোমার সাকসেস দেখবে তোমার পরিশ্রম নয়।
আদিল কপাল কুঁচকে বললো!!
____শান্তনা দিলা নাকি ইনসাল্ড করলা ড্যাড??
আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!
___আপাতত দুই টাই দিলাম!কখন কোন টা কাজে লাগে বলা যায় না তো!!!!
আদিল দাতে দাঁত পিসে কিরমির করে বললো!!
____ধন্যবাদ দিলাম মন থেকে নয়! বিরক্তি নিয়ে দিলাম!! রেখে দাও তোমার ও কাজে লাগবে ড্যাড !
