এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৯

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৯
Chadny islam

“”আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া!!!
“”ওয়ালাইকুম আসসালাম আপু”! কোনো সাহায্য লাগবে আপু??
ইরা শান্ত গলাই বললো!!
জ্বি ভাইয়া! ইরার হাতে থাকা নিজের ফোন থেকে নাম্বার টা বের করে ছেলে টাকে দিয়ে বললো!
__ভাইয়া এই নাম্বার টা দেখবেন প্লিজ! কার নামে রেজিষ্ট্রেশন করা!!
দোকানে থাকা লোকটা ইরার ফোন থেকে নাম্বার টা নিয়ে নিলো। আর বললো পাচ মিনিট অপেক্ষা করার জন্য!ইরা আর জুথী একটা চেয়ার টেনে বসে অপেক্ষা করতে শুরু করলো ।

আইরা বেশ বিরক্ত হয়ে বসে আছে চেয়ারে আর আদিল কে বকা দিচ্ছে। কেনো তাকে আদিল একটু ও সম্মান করে না ভালোবাসে না সময় দেয় না। আন্টি কে বলে অতিদ্রুত বিয়ে টা সেরে ফেলতে হবে।
অহনা সিকদার মিটিং এর প্রোগ্রাম শেষ করে অফিসের চেয়ারে বসলেন। আইরা পানি এগুয়ে দিয়ে বললো!!
__আন্টি তুমি প্লিজ তারাতাড়ি করে আমার আর তোমার ছেলের বিয়ে টা করিয়ে দাও!!
অহনা সিকদার পানি খেতে গিয়ে জুরে সুরে একটা ভিষম খেলেন! টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বললেন!!
___ঠিক আছে! খুব তারাতাড়ি করিয়ে দিবো।
__আন্টি তোমার ছেলে কে কিন্তু আমি আমার শাড়ীর আঁচলে বেধে রাখবো আন্টি!
অহনা সিকদার মুচকি মুচকি হেসে বললেন!!
__আদিল যদি থাকে তোমার শাড়ির আঁচলের নিচে থাকতে চাই!! তাহলে রেখে দিও।
__ওকে আন্টি!!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আদিল হন্তদন্ত পায়ে এসেছে অফিস রুমে! গাড়ির চাবি হাতে নিয়ে চলে যেতে চাইলে অহনা সিকদার জিজ্ঞেস করলেন!! কোথাই যাবে!!!
__ড্যাড কল করে ছিলো মম! পার্টি অফিসে যেতে বলেছে। আমি যাচ্ছি। আদিল কথা শেষ করে অতিদ্রুত চলে আসে অফিস রুম থেকে।
ম্যাম!!এই সিম টা তো কারোর নামে রেজিষ্ট্রেশন করা নয়!!
ইরা বেশ অভাক হয়ে বলে!!!
__মানে???
__জ্বি ম্যাম!!
জুথী বেশ বিরক্ত হয়ে বলে!!
__রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া সিম তোলা কি সম্ভব!!
দোকানের লোক টা জানাই!!!

ম্যাম এমন ও তো হতে পারে!! সিম কোম্পানি টা তাদের নিজেদের। তাই রেজিষ্ট্রেশন এর প্রয়োজন পরে নি। তাছাড়া এই রকম ফেক সিম এ্যাবোল এবেল পাওয়া যাই।এভাবে তো কাউকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় ম্যাম।
ইরার মুখটা ফেকাসে হয়ে গেলো। এত কিছুর পর ও কোনো ভাবে পাওয়া গেলো না ওই লোক টার পরিচয়। কিভাবে খুজে বের করবো ওই মানুষ টাকে। জুথী ইরার হাত টেনে নিয়ে আসলো দোকান থেকে আর বললো!!!

__চিন্তা করিস না সব কিছু ভালো হবে। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
ইরার হাতে থাকা ফোনটা বার বার কেপে উঠলো
ফোনটা সাইলেন্ট ইরা ফোন টা রিসিভ করে কানে নিতেই ভেসে আসে!!
__এই যে আমার না হওয়া মহারাণী!! আমাকে এত কষ্ট করে খুঁজতে হবে না আপনাকে! আমি ঠিক সময় আপনার কাছে গিয়ে দরা দিবো। আপনি বরং আমার মহারানী হওয়ার জন্য তৈরি হন!!
ইরা বেশ ঘারবে গিয়ে বললো!!

__মা…মানে??
অপর প্রান্তের লোক টা শান্ত গলাই বললো!!
__আমাকে খুজবেন না আমার মহারানী!!
ইরা ন্বিচুপ হয়ে রইলো আর বললো!!
__আমি আপনাকে খুঁজে পাচ্ছি না কেনো!!
__আমাকে খুজবেন না মহারানী!!!
__কেনো খুজবো না আপনাকে?? আমি দেখতে চাই আপনাকে??
অপেক্ষা করুন আমার মহারানী!আর কয়েকটা মূহুর্ত মাএ!!
__পারবো না!!
__কেনো??
__কষ্ট হচ্ছে আমার!!
__তাহলে কি ভালোবাসতে শুরু করলেন এই অচেনা পুরুষ কে??
__না!!
__তাহলে!!
__কিছু না!!
__অপেক্ষা করুন মহারাণী!!দূয্যের ফল সব সময় মিষ্টি হয়।আপনি জানেন না /??
__আমার মিষ্টি ফল চাই না!! আমি শুধু আপনাকে দেখতে চাই!!
এতটা অতলা হবেন না আমার জন্য মহারানী ! নয়তো শুক্রবার পযর্ন্ত অপেক্ষা করাটা বেশ যন্ত্রণা দায়ক হবে আমার জন্য!!
ইরা বেশ লজ্জা পেয়ে কল টা কেটে দিলো। এখন তার মনের ভেতরে অতলা অর্তেজনা আবেগময় অনুভূতি বিরাজ করছে।সে খুব করে চাইছে অপর প্রান্তের পুরুষ টিকে মন ভরে দেখতে।

আশরাফ সিকদার এর সাথে এক গাড়িতে বসে আছে আদিল। আদিল কে দেখে মনে হচ্ছে বেশ টেনশনে আছে। আদিল কে উদ্দেশ্য করে বললেন আশরাফ সিকদার!!
__কি হয়েছে মুখ টাকে বাংলা পাঁচের মতোন করে রেখেছো কেনো মাই সান???
আদিল কাটকাট গলায় বলে!!
__আমাকে নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না ড্যাড!
কেনো???
__আমার বিয়েটা ভাঙ্গার মুরদ নেই তোমার! তোমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে বানালো??
এই ছেলের সমস্যা কি?? সব কিছুতেই কেনো আমার প্রফেশন নিয়ে তাকে কথা বলতে হবে। সে কি জানে না আমার যোগত্যা।
এখন এত হাইপার হলে চলবে না রিল্যাক্স আদিল!!
আদিল আদুরে গলাই মন টা কে নরম করে বললো!!!

__প্লিজ ড্যাড!! বিয়ে টা ক্যানসেল করে দাও! মম কে ভয় পেও না আমি সামলে নিবো!!
আশরাফ সিকদার গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন!!
___তোমার মম কে! কে ভয় পাই হ্যা????
দাঁড়াও ড্যাড একটু পর বলছি ইমপোর্টেন্স কল এসেছে। আদিল ফোন রিসিভ করে কথা বলতে ব্যাস্ত হয়ে পরে। প্রায় অনেক খন পর কথা বলা শেষ করে। আশরাফ সিকদার কে বললল?
__কি ভাবলে ড্যাড??
আশরাফ সিকদার অভাক হয়ে বললো!!
__কি ভাববো আমি??
__বিয়ে টা কিভাবে ক্যানসেল করা যায়।
আশরাফ সিকদার দুষ্ট হেসে বললেন!!!
__বিয়েটা ক্যানসেল হলে আমার কি লাভ??
লাভ লোকসান নিয়ে পরে ভেবে ড্যাড আগে বিয়ে টা ক্যানসেল করো!!এত মূহুর্তে তুমি লাভ লস নিয়ে টেনশন করছো!! ছি ড্যাড!!
আশরাফ সিকদার কিছুটা করছস গলাই বললেন!!

__আরে আমার বোকা ছেলে! বিয়ে ক্যানসেল করতে যথেষ্ট কারন লাগে!! আমি তো কোনো কারনি খুঁজে পাচ্ছি না!!
আদিল কাঁদো কাঁদো কন্ঠ বললো!!
__তাহলে আমার কি হবে ড্যাড???
তোমার আর কি হবে!!! কিছুদিন পর আমি দাদা ভাই হবো আর তুমি বাবা হবে!! এত টুকু হওয়া বাকি আপাতত!!
আদিল মুখ বাঁকিয়ে বলে!!
__শখ কতো!! বিয়ে ভাঙ্গার মুরদ নেই আবার নাকি দাদা ভাই হবে!!
তোমার সমস্যা কি আদিল?? আমাকে দাদা ভাই হতে টাইম ওয়েষ্ট করাচ্ছো কোনো ??
__ড্যাড টাসষ্ট মি. আমি আইরা কে বিয়ে করব না !! তুমি আমার জিন্দেগী টা নিয়ে অনন্ত একটু ভাবো। ওরে বিয়ে করলে আমার জীবন টা পুরো পান্তা ভাতের মতোন হয়ে যাবে।
__ওহহহহহ তাহলে কাকে কি করবে???
আদিল শান্ত গলাই বললো!!
__দেমাকি, বদমেজাজি, রাগিণী, কেশবতী, রুপবতী, সুন্দরী, কিশোরী, মেয়ে কে করবো ড্যাড!!!!
আশরাফ সিকদার ঝড়ের গতিতে নিজের পকেটে থেকে ফোন বের করলেন! আর যথেষ্ট শক্ত পোক্ত হয়ে বললেন!এখনি দারাজ থেকে অডার দিচ্ছি মাই সান। ঘন্টা খানেক এর মধ্যে চলে আসবে তুমি একদম টেনশন করো না!যাই হোক তুমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে বলে কথা।অডার কনফার্ম হবেই হবে।
আদিল চেতে গিয়ে বলে উঠলো!!

__ইয়াকি করছো ড্যাড আমরা সাথে।
আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!!
__ইয়াকি আমি করছি নাকি তুমি করছো!! তুমি উদাহরণ সরুপ যে মেয়ের কথা বললে। দারাজ কেনো সারা বাংলাদেশে ও একটা খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা জানা নেই! তুমি চাইলে ওই রকমি অন্য কোয়ালিটির একটা অডার করতে পারি। কি বলো??
আদিল দাঁতে দাঁত কিরমির করতে লাগলো!! এটা ড্যাড আমার হতেই পারে না! প্রশ্নই আসে না!!
ড্যাড তুমি আজাদ চৌধুরী এর মেয়ে কে দেখেছো???
__না তো!! কোন আজাদ চৌধুরী??
__বর্তমানে যে চেয়ারম্যান পদবি তে আছে!!

__না দেখনি!! তবে সুনেছি ওই এলাকার চেয়ারম্যান নাকি অনেক ভালো একজন মানুষ! তার কি মেয়ে ওআছে??
হুম আছে!! কলেজ ভর্তি ক্যাম্পাসের সামনে আমাকে একটা থাপ্পড় মেরে ছিলো!!
আশরাফ সিকদার অভাক হয়ে তাকিয়ে বললো!!!__তোমাকে থাপ্পড় মেরে ছিলো??
আদিল ঠোঁটে ঠোট কামড়ে মনে মনে ভিরভির করতে লাগলো!! হাই আল্লাহ শেষ মেশ কিনা ড্যাডের সামনে মুখ ফসকে বলে দিলাম।এই লোক তো আমাকে পদে অপমান করবে!! আশরাফ সিকদার আদিলের দিকে তাকিয়ে ৩২পাটি বের করে হাসছে তার খুব ভালোই লাগছে তাহলে তো এই মেয়ে কেই এক বার হলে ও দেখতে হয়!!
ইরা আর জুথী বাড়িতে প্রবেশ করতেই দেখতে পাই। বাড়ীর ভেতরে বিশ থেকে পঁচিশ জন লোক বসে আছে।আজাদ চৌধুরী বার বার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে। ইরা বাড়ির ভেতরে যাওয়ার সাথে সাথে ইরার মা সালমা চৌধুরী ইরা কে টেনে নিয়ে গিয়ে রুমে প্রবেশ করেন।এত গুলো লোকরের মধ্যে একজন উঠে গিয়ে টেবিলের সামনে সব পাকেট খুলে ভালো ভাবে আজাদ চৌধুরী এবং বাকি সবাই কে দেখালেন। ইকবাল খান যথেষ্ট সম্মানের সাথে আজাদ চৌধুরী কে বললেন!!!

__আমার একমাএ ছেলের এনগেজমেন্ট আমি চাই না কোনো কিছুর কমতি থাকুক এই আয়োজনে।এখানে বিশ ভরি গহনা আছে। আর মেয়ের জন্য ডুবাই থেকে লেহেঙ্গা অডার দিয়ে বানানো হয়েছে। কালকে কোনো রকম গন্ডগোল আমি যাচ্ছি না চেয়ারম্যান সাহেব। আমার মনে হয় আপনি ও চাইবেন না আপনার মান সম্মান নষ্ট হোক।
আজাদ চৌধুরী মাথা নত করে বসে আছেন।তার বুকের মাঝে এক বিশাল সুনামি বয়ে যাচ্ছে। তার কলিজার টুকরো মেয়ে কে এক অচেনা মাফিয়ার কাছে বিয়ে দিতে হবে। ভাবতেই বার বার গা শিউড়ে উঠছে।
কি ভাবছেন চেয়ারম্যান সাহেব!!
আজাদ চৌধুরী শান্ত গলাই বললেন!!!

__কিছু ভাবছি না খান সাহেব!!!
ইকবাল খান ওঠে দাড়ালেন আর বললেন!! কোনো রকম উল্টা পাল্টা করার চেষ্টা করবেন না চেয়ারম্যান সাহেব। আমি আপনাদের এই ভুল গুলো ক্ষমা করলে ও কিন্তু আমার ছেলে ক্ষমা করবে না। আজ আসি কাল আবার দেখা হবে। পরম আত্মীয় তার সাথে। ইকবাল খান কথা শেষ করে বেবিয়ে এলেন আশেপাশে বডিগার্ডরা গার্ড দিচ্ছে। হয়তো পালানোর আশংঙ্কা বুঝতে পেরে ছিলেন।
আম্মু কি হয়েছে এভাবে টেনে আনলে কেনো?? বাইরে কারা এসেছে???
__ সালমা চৌধুরী জানায় যে এনগেজমেন্ট এর সব কিছু দিতে ইকবাল খান এসেছেন। ইরা আর কিছু বলে না বরং জুথী বলে অনেক লেট হয়ে গেছে বাড়িতে যেতে হবে।আজাদ চৌধুরী নিজে দের গাড়ি করে জুথী কে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসলেন।

আদিল এবং আশরাফ সিকদার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আদিল কে পরিচয় করিয়ে দিলেন! সামনের বার পদপ্রার্থী করা নিয়ে বেশ কিছু আলাপ আলোচনা শেষ করে বাড়িতে ফিরেছেন বাপ ছেলে। আদিল ফ্রেশ হয়ে কম্পিউটার নিয়ে বসেছে কোম্পানি কিছু ইমপোর্টেন্স কাজ আছে সে গুলোই করছে আপাতত।
আইরা এসেছে অহনা সিকদার এর সাথে এসে কয়েক বার আদিল কে খুঁজে গিয়ে ছিলো! কিন্তু আদিল বাড়িতে না ফেরাই কলির রুমে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। এখন রাত প্রায় এগারো টা। হাতে এক কাপ ব্লাংক কফি নিয়ে আদিল এর রুমের সামনে গিয়ে নক করে ভেতরে প্রবেশ করলো!!

__আদিল বেবি তুমি সারা দিন কোথাই ছিলে কত মিস করেছি তোমাকে জানো???
আদিল কর্কট গলাই বললো!!
__আমাকে মিস করার কি খুব প্রয়োজন ছিলো??
__হ্যা অনেক বেশি প্রয়োজন ছিলো!!
আইরা কে উদ্দেশ্য করে বললো আদিল!! তুমি যাও এখান থেকে আমি রেস্ট করবো আমি অনেক টাইয়ান্ড। আদিল এর ক্লান্তির কথা শুনে আইরা আর বেশি খন ধারালো না সোজা চলে গেলো নিজের রুমে সারা দিনের পরিশ্রমের জন্য হয়তো অনেক ক্লান্ত। আইরা রুম থেকে চলে গেলে আদিল ফোন বের করে কল করলো ঈশান কে!!! একবার রিং হওয়ার পর কল রিসিভ করে ঈশান।

__হ্যালো!! হ্যা আদিল বল।।
আদিল বেশ এক্সাইটেড হয়ে বললো!!
__কালকে কখন যাবি বোনের এনগেজমেন্টে???
ঈশান গম্ভীর গলাই উওর করলো!!!
__আমার বোনের এনগেজমেন্টে দিয়ে তুই কি করবি। তুর মতলব তো ঠিক লাগছে না???
আরে এ সম্মদির বাচ্চা এর জন্যই মানুষ বলে মেয়ে দের বড় ভাই থাকলে গুনে গুনে দশ হাত দূরে থাকতে।কারন তাদের জন্মগত শএু হয় বোনের বয়ফেন্ড দের সাথে!
আদিল ইশান কে বললো!!

__ তুই আজ কি করে ভুলে গেলি আমি তোর ছোট্ট বেলার বন্ধু। আমাকে কিনা সন্দেহ করিস।এটা বলতে পারলি আমার মতলব নাকি ঠিক না। আমি ঠিক কতটা ইনোসেন্ট তুই জানিস??
সালা চাপা মারিস!! কি নয় ছয় করার মতলবে আছিস সেটা বল।।
আদিল ঠোঁটে কামড়ে হাসি সংবরন করে বললো!!
__ভালো লাগে তোর বোন কে!!!বিয়ে দিবি আমার কাছে??
ইশান হাসতে হাসতে ফ্লোরে বসে পরে আর বলে!! __কাল কিনা এনগেজমেন্ট আজকে ভালোবাসি বলছিস। মাথা ঠিক আছে নাকি পাগল হয়ে গেছিস!
__এখন ও হাতে ২৪ ঘন্টা আছে। আমার জন্য ২৪ সেকেন্ডি যথেষ্ট। তুই হয়তো জানিস না!! যারা প্রেমে বাধা দেয় তারা পরের জন্মে কুকুর হয়ে জন্ম নেই।তুই কি চাস পরের জীবনে কুকুর হয়ে জন্ম নিতে!!!
ঈশান হাসতে হাসতে বলে!!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৮

__আমার বোন জীবনেও তোর মতোন লাফাঙ্গার প্রেমে পরবে না!! যা কব্বর গেরান্টি!!!
__আর যদি পরে তখন কি করবি???
__তুই যা বলবি তাই বলে!!
__আরেক টু সময় দিলাম ভেবে দেখ!!
__কোনো দরকার নাই!! আমি রাজি।
“”ওকে তাহলে ভয়েস রেকর্ড করে রাখ যদি পরবর্তী সময়ে পাল্টি খাস তখন কি হবে??
“”সালা এই চিনলি আমারে “”পাল্টি খাবো না আমি..
ওকে!! তাহলে সময় মতোন রেডি হয়ে থাকিস!!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here