এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১০

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১০
Chadny islam

আজাদ চৌধুরী সকাল সকাল বাজার করতে গিয়েছেন। সাথে তার আরও আত্মীয় স্বজন দের মধ্যে কয়েক জন সাথে গিয়েছেন।আজাদ চৌধুরী সব সময় হাসি খুশি থাকেন!যথেষ্ট সম্মানিত একজন মানুষ।
ইরা সকালের খাবার শেষ করে বসে আছে ফোন নিয়ে বেশ কয়েক বার সাজিদ কে কল করেছে। কিন্তু সাজিদ ফোন রিসিভ করছে না। তাই বাধ্য হয়ে জুথী কে কল করলো সাজিদ এর বিষয়ে জানতে। ইরার মতোন জুথী ও জানে না সাজিদ এর খবর। তাই ইরা আর কথা না বাড়িয়ে জুথী কে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে বললো। জুথী সম্মতি জানিয়ে ফোন কেটে দিলো।

সিকদার বাড়িতে সবাই বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছে!আজ শুক্রবার বাইরে তাদের তেমন কোনো প্রয়োজনীয় কাজ নেই।আশরাফ সিকদার পায়ের উপর পা রেখে বসে বসে কফি খাচ্ছে! আর খবরের কাগজ পরছেন। অহনা সিকদার লেবু দিয়ে গরম পানি খাচ্ছে পাশে আছেন সোনালি তালুকদার । আইরা আর কলি বসে বসে টিভি দেখছে। আদিল ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার টেবিল বসেছে। আদিল ব্লাক কফি খাচ্ছে। অহনা সিকদার বসে থাকা সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললেন!!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

__আগামী রবিবার আদিল আর আইরার বিয়ের কাজটা সম্পূর্ণ করতে চাই। শুভ কাজে এত দেরি করতে নেই।
আশরাফ সিকদার অহনা সিকদার এর কথাই ফিক করে হেসে ফেললন। অহনা সিকদার গম্ভীর মুখে চাইলে আশরাফ সিকদারের মুখের হাসিটা নিমিষেই হারিয়ে গেলো।
আইরা খুশিতে গদগদ হয়ে দৌড়ে এসেছে অহনা সিকদার এর কাছে। আদিল সিনেমা দেখার মতোন করে সবটা দেখে নিলো। আদিলের কোনো রুপ প্রতিক্রিয়া না দেখে অহনা সিকদার মনে মনে ভাবলেন হয়তো আদিল বিয়ে তে রাজি।
আশরাফ সিকদার মনে মনে বলতে লাগলেন!! এত এক্সাইটেড হয়ো না অহনা! তোমার ছেলের মুখ টা এক বার দেখো শয়তান ও বুঝে ফেলবে সে নতুন কোনো ছক কসছে।
আদিল আশরাফ সিকদার কে বার বার ভ্রো নাচিয়ে
বলতে চাইছে। আমার মনের কথা পরো না ড্যাড পরলে তুমি বিশাল বড় বিপদে পড়ে যাবে। তখন আবার বলতে পারবে না যে সব দুষ আমার!!!
আইরা উওেজিত হয়ে আদিল কে বললো!!

__চলো বেবি শপিং এ যাই আর তো হাতে বেশি সময় নেই..!
আদিল টেবিল ছেড়ে ওঠতে ওঠতে বলে!!!
__যারা মিলে বিয়ের প্লান করছো!! তারা তারাই বরং যাও সাথে আমার ড্যাড কেও নিয়ে যেও। সামনে অনেক কিছুর সম্মুখিন হতে হবে। তাই না ড্যাড।
আদিলের কথার মানে টা কেউ বুঝলো না সয়ং আশরাফ সিকদার নিজে ও না! আদিল সোজা চলে গেলো নিজের রুমে বসে রইলো আশরাফ সিকদার মুখ টা বাংলা পাঁচের মতোন করে। সে জানে এখানে আর এক মিনিট বসে থাকলে! আদিল কেনো এই কথাটা বলেছে জিজ্ঞেস করতে করতে মাথা চুল গুলা তুলে ফেলবে। আমি যে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরা মনেই করে না। আমাকে নায্য সম্মান টা পযন্ত দেয় না এই মা ছেলে। এখন কোথাই গিয়ে বিচার শালিস করলে আমি নায্য সম্মান পাবো!!!

ইরা সকাল সকাল ডাইবার কে পাঠিয়ে দিয়ে ছিলো জুথী কে আনতে। সাজিদ এর ফোন বন্ধ থাকাই কোনো ভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এখন কোনো ভাবে সাজিদ এর বাড়িতে যাওয়াও সম্ভব নয়। ইরা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে ফোনের দিকে দেখছে বার বার। আজ কেনো কল করছে না সেই অচেনা পুরুষটি। জীবনের এই কঠিন মূহুর্তে না দেখে কে কাকে বিয়ে করে বা এনগেজমেন্ট করে তা জানা নেই। গভীর ভাবে ইচ্ছে করছে অপর প্রান্তের মানুষ টিকে দেখতে। এর মধ্যে ডাইভার এসে পরছে গাড়ি নিয়ে সাথে জুথী। জুথী একটা হালকা পেস্ট রংঙের থ্রিপিস পরেছে। চুল গুলোকে ছেড়ে রেখেছে যা কোমর পযর্ন্ত গিয়ে পরছে কপালে একটা ছোট টিপ পরছে দেখতে বেশ ভালো লাগছে।
জুথী কে দেখে ইরা বেলকনি থেকে বাইরে আসে। তারপর জুথী কে নিয়ে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে। ইরা কে মন মরা হয়ে বসে থাকতে দেখে জুথী বললো!!

__একটু হাসতে তো পারিস!! এভাবে মুখ গুমরা করে বসে থাকলে চলবে!! তুই দেখিস আমাদের দুলাভাই এক দম কচি জেন্টালম্যান হয়ে এন্ট্রি নিবে তোর জীবনে!!
জুথী কথাই ইরা ফিক করে হেসে ফেললো! আর বললো!!
__জেন্টাল ম্যানের মতোন নি যেনো হয়,।আমার কিন্তু হিরো আলমের মতোন কাউকে চাই না!!
আদিল রুমে বসে পা দোলাতে দোলাতে কল করলো ঈশান কে!!
__কিরে সমন্ধির বাচ্চা!! কি করিস??
ঈশান খেপে গিয়ে বললো!!
__সমন্ধি না কি কচু! আগে বিয়ে টা কর পরে না হয় ভুল বাল নামে ডাকিস আমাকে!!
“”ওকে!! কখন বের হবি তোর বোনের এনগেজমেন্টে??
“”কিছুখন পর তুই রেডি হয়ে চলে আয়!! দাড়া এক মিনিট!!
__হ্যা বল!!!
“”আমার বোনের এনগেজমেন্টে তোরে দাওয়াত দিছে কি??
আদিল গলা খাঁকারি দিয়ে বললো!!
__আরে আমার দাওয়াত লাগে না!! আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে না। প্রতি টা বিয়ে তে আমার নায্যতম অধিকার আছে দাওয়াতে যাওয়ার।তোকে এত কিছু বলে লাভ কি আমার??আর মাএ কয়েক ঘন্টা তারপর ওইটা আমার শশুর বাড়ি হবে।

ওকে দেখা যাবে বলে ঈশান কল কেটে দেয়। আদিল তারাতাড়ি করে সাওয়ার নিয়ে নেই। সাওয়ার শেষ করে টাওয়াল পেচিয়ে রুমে প্রবেশ করে!! এর মধ্যে এসে দেখে আইরা এসে বিছানার পাশে বসে আছে। হঠাৎ করে আসাই বেশ বিরক্ত ফিল করে আদিল। আইরা আদিলের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো!!
__জাস্ট লোকিং লাইক এ ওয়াও!!তুমি জিম করো আদিল বেবি??
আদিল কাটকাট গলায় বললো!!
__হ্যা!!কিন্তু তুমি আমার রুমে কি করছো??
আইরা বিছানা থেকে ওঠে আদিলের ঠিক পাশে গিয়ে বললো!!
__কিছু দিন পর থেকে তো এইটা আমার ও রুম হবে আদিল বেবি!!তাহলে এখন আসলে প্রবলেম কি??
আদিল কোনো উওর করে না বরং কাবাড খুলে নিজে জামাকাপড় বের করে নেই।
আইরা বেশ বিরক্ত নিয়ে বলে!!!
__আদিল তুমি এই অসময়ে তুমি কোথাই যাচ্ছো??
আদিল শান্ত গলাই বললো!!
__তোমাকে কাঁদাতে যাচ্ছি বেবি!!
“”হোয়াট??

__তোমাকে এমন ভাবে কাঁদাতে যাচ্ছি আমি। যে কান্না তুমি সারাজীবন কেঁদে ও শেষ করতে পারবে না।এত বেশি কাঁদবে তুমি যে তোমার রুহু পযন্ত কেঁপে উঠবে।
আদিলের শান্ত মস্তিষ্কের কথা টাই বেশ নরে উঠে আইরা। তবে মানে টা বুঝতে পারে না। এত বেশি শক্ত পোক্ত কথা টা মাথাই ডোকে না। সে চাই না এই রকম হেয়ালি কথা শুনতে। আইরা এসে ছিলো বিয়ে তে কি ক্যালারের লেহেঙ্গা পরবে সেটা জানতে। আদিলের এমন হেয়ালি কথা শুনে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। বরং রুম থেকে চলে গেলো আর ভাবলো হয়তো কাজের চাপের কারনে উল্টা পাল্টা কথা বলছে।
আদিল নিজের কার্বাড থেকে জামা কাপড় বের করে পরতে শুরু করলো। খুব সুন্দর করে পরিপাটি হয়ে বের হলো রুম থেকে। রুম থেকে বের হতেই দেখা হয় আশরাফ সিকদার এর সাথে কোথাই যাবে জানতে চাইলে আদিল জানাই!!

__তোমার সম্মানে ব্যাগাদ ঘটাতে যাচ্ছি ড্যাড। এতে করে তুমি আরও বেশি প্রোপোলারি পেয়ে যাবে।
আশরাফ সিকদার চমকে উঠে বললেন!!!
__হোয়াট??
“”বিয়ে করতে যাচ্ছি ড্যাড!! তুমি যাবে চলো তেমাকে সাথে করে নিয়ে যাই???
হেয়ালি করছো কেন আমার সাথে!!! বিয়ে তো তোমার রবিবারে!! আজকে নয়!! দুইটা দিন অপেক্ষা করতে পারছো না!! ছিছিছি লজ্জা হচ্ছে আমার তোমাকে ছেলে দাবী করতে।
__আমার ও বেশ লজ্জা হচ্ছে! তোমাকে ড্যাড বলতে!! সামান্য একটা বিয়ে ক্যান্সেল করার মুরোদ নেই।সে কিনা ড্যাড হয়ে গেছে।
আশরাফ সিকদার চুপ হয়ে গেলেন!!সে বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারছে। আজকে কোনো একটা কিছু গটাবেই! তাই জন্য হয়তো সকাল থেকে ডান চোখ লাফ পারছে!!! আশরাফ সিকদার কে চুপ থাকতে থেকে আদিল বললো!!

__আচ্ছা বলো তো ড্যাড হানিমুন টা কোথাই করলে বেশি ভালো হয়!!
আশরাফ সিকদার গম্ভীর গলাই বললেন!!!
__বেহায়া ছেলে একটা! শেষ মেশ কিনা বাপের কাছ থেকে ইনফরমেশন নিচ্ছে কোথাই গেলে হানিমুন ভালো হয়!!
আদিল নিজের হাসি সংবরন করে বলে!!
__শালার জিন্দেগী আমার নানা জীবনে সব থেকে একটা বড় ভুল করছে আমার মম কে তোমার সাথে বিয়ে দিয়ে। মম এর সাথে সাথে আমার জীবন টাও:শেষ করে দিলা।
বেহায়া ছেলে এই কথা টা আমার বলা উঠিত। তোমরা মা ছেলে মিলে আমার জীবন টাকে তেজপাতা বানিয়ে দিয়েছো।আমি উচ্চ আদালতে অভিযোগ করবো তোমাদের নামে!!

আদিল আশরাফ সিকদার এর কথাই পাওা না দিয়ে হনহনিয়ে রুমে থেকে বের হয়ে গেলো। আশরাফ সিকদার হ্যা করে তাকিয়ে দেখলেন ছেলের যাওয়ার দিকে! আজকে এই ছেলের জন্য স্টক হবেই হবে!! আদিল গাড়িতে উঠে ফোন কটলো ঈশান কে আমি আসতেছি তুই রেডি হও!!
চৌধুরী বাড়িতে খনে খনে আত্নীয় স্বজনরা এসে পরেছেন। ইরা রেডি হচ্ছে সাথে জুথী হেল্প করছে। ইরার জন্য পাঠানো হয়েছে ডুবাই এর ফ্যাসান ডিজাইন করা মিষ্টি গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা। যার দাম হবে হয়তো কয়েক লাখ টাকা। এত বেশি গর্জিয়াস প্রিটি চমৎকার দেখতে! জুথী লেহেঙ্গা টাকে বার বার হাত দিয়ে নেরে দেখছে। দাম টা অনুমান করার মতোন না। তবে জুথী বলে!!!

___যার পছন্দ এত বেশি সুন্দর! না জানি সেই পুরুষটি দেখতে কতটা আকষনীয় হবে!!
জুথী কথার সাথে সাথে ইরা ও রেডি হওয়া বাদ দিয়ে ভাবতে শুরু করলো।তার স্বপের রাজ কুমার দেখতে না জানি কতটা আকষনীয় হয়!!!
“”এর মধ্যে সালমা চৌধুরী এসে বার বার মেয়ে কে তাড়া দিচ্ছেন রেডি হওয়ার জন্য! বাড়িতে মেহমান আসতে চলেছে। কিছু খনের ভেতরে ইকবাল খান এবং তার ছেলে ও চলে আসবে।
আদিল গাড়ি ডাইভ করছে পাশেই বসেছে ঈশান। আদিল ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বললো!!!
__আমার সম্মানিত মহা মূলবান সম্মদির বাচ্চা!!কোনো কাজে তো লাগিস না ঠিক মতোন! চট পট একটা প্ল্যান বের কর!!!
ইশান গম্ভীর গলাই বললো!!!

___সালা সম্মান দিতে জানিস না!! তাহলে সম্মান দেয়ার চেষ্টা করিস কেনো!! তোর দ্বারা সম্মান আশা করা মানেই পচা পানিতে ডুবে মরা !!
আচ্ছা আমার হবু সমুন্ধি সম্মান দিলাম তোরে দিলাম তোরে! এহন যা ভিখা কইরা খা!!!
ঈশান চোখ মুখ লাল করে বললো!!
__যা বাল!! সম্মান লাগবো না আমার!!!
আদিল বেশ কৌতুহল নিয়ে বললো!!
__বলতো কোথাই হানিমুনে গেলে সব থেকে ভালো হয়??
__আরে সালা তুই এটাও জানিস না???
__না তো
__ট্রেন্ড চলতেছে দেখিস না???
__মানে কিসের ট্রেন্ড
আজকাল বাসর করতে হানিমুনে যাওয়ার দরকার পরে না টাকা নষ্ট করে! তুই বরং গাড়িতে, সমুদ্রে, হেলিকপ্টারে, বাথটবে জঙ্গলে,ঘোড়ার পিঠে, গাছের নিচে এখানেই বাসর কর টেন্ড ফলো করতে শিখ সালা!!!
আদিল কপাল কুঁচকে বললো!!

__সবাই তো ভালো ভালো জায়গাই বাসর টা সেরে ফেললো তাহলে আমি কোথাই বাসর করবো!
ঈশান দুষ্ট হাসি হেসে বললো!!
__কেউ তো টয়লেটে বাসর টা করে নাই!! তুই বরং বাসর টা টয়লেটে করিস! তাই ট্রেন্ড ফলো করা হয়ে যাবে! ট্রেন্ডের একটা বেপার সেপার আছে না।
ইকবাল খান এবং তার ছেলে তাদের বডিগার্ড নিয়ে ৫০ জনের মতোন চলে এসেছে চৌধুরী বাড়িতে। ইকবাল খান এবং তার ছেলে ভেতরে প্রবেশ করলো বাড়ির চারপাশে বডিগার্ডরা পাহারা দিচ্ছে। সন্দেহ জনক কাউকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। ইকবাল খান একমাত্র ছেলে #ইয়াশ_রোশান_খান বতমানে যে মাফিয়া জগতের কিং।কালো সুট বুট পরে এসেছে। দেখতে যথেষ্ট সুন্দর লাগছে বয়স ও খুবি কম। ইকবাল খান আজাদ চৌধুরীর হাতে হাত মিলিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন তার একমাত্র ছেলে #ইয়াশ_রোশান_খান এর সাথে।
রোশান যথেষ্ট সম্মানের সাথে সালাম দিলেন আজাদ চৌধুরী কে। আজাদ চৌধুরী সালামের উওর ফিরিয়ে বুকে টেনে নিলেন। এক দেখাই রোশান কে আজাদ চৌধুরীর বেশ ভালো লেগে গেছে। আজাদ চৌধুরী রোশান কে নিয়ে সোফায় বসলেন আর বললেন!!!

__তুমি বাবা যদি প্রথম দিন এসেই বিয়ের প্রস্তাব টা দিতে তাহলে হয়তো এত জুর ঝামেলা হতো না।
রোশান বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারলো। আজাদ চৌধুরীর রোশান কে বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু ইয়াশ রোশান তো ভালো মানুষ নই। তবে ভালো হওয়ার ওষুধ টাই আপনার মেয়ে। তাকে পেয়ে গেলে ই এ জীবন পরিপূর্ণ।
ঈশান আর আদিল বাড়িতে প্রবেশ করলো!! ঈশান রোশান কে ভালো ভাবে চিনে না। তবে আদিল চিনে রোশান কে তাদের পার্টি অফিসে এক বার দেখা হয়ে ছিলো নাইট ক্লাবে!! তাহলে কি রোশান এর সাথে ইরার এনগেজমেন্ট আজকে!! ঈশান আদিল কে পরিচয় করিয়ে দেয় ইরার বাবার সাথে!!
__মামা ও আদিল আমার বন্ধু! বতমানে যে আশরাফ সিকদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে আছেন তার ছেলে ।
আদিল সালাম দিয়ে পরম যত্নের সাথে কথোপকথন বিনিময় করলো। আদিল আজাদ চৌধুরীর সাথে কথা শেষ করে রোশান এর পাশে গিয়ে বসলো। আর বললো!!

__হাই রোশান!!
__হ্যালো আদিল!!
__আচ্ছা রোশান তোমার আর ইরা রিলেশন কত দিনের।
রোশান শান্ত গলাই বললো!!
__আমাদের কোনো রিলেশন ছিলো না। কথা শেষ হওয়ার আগেই ঈশান আদিল কে ডেকে বললো ভেতরে আই! আদিল আর এক মিনিট ও দাড়ালো না ঈশান এর পেছন পেছন গেলো। ঈশান সোজা ইরার রুমে প্রবেশ করলো!! ঈশান জুথী কে দেখে এক ঝটকাই সোফায় বসে পরলো!! ঈশান কে এমন ভাবে পরে যেতে দেখে দরতে গেলো জুথী। ঈশান জুথীর হাত টেনে বললো!!

__প্লিজ মিস জুথী আমাকে একটু দরে রাখুন!!
আদিল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছে ইরা কে। ইরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল গোলো কে বাধতেছে। লেহেঙ্গা পরাতেই তার সৌন্দর্য যেনো আকাশ ছোঁয়া। আদিল কখনো ইরা কে হিজাব ছাড়া দেখে নি। তবে আজকেই প্রথম এই মেয়ে টাকে হিজাব ছাড়া দেখলো আর ভাবলো হয়তো আল্লাহ খুব যত্ন সহ কারে তৈরি করেছেন। তার সৌন্দর্য এত টাই মনোমুগ্ধকর যে ব্যাখা করা সম্ভব নয়। আদিল কে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইরা বেশ অভাক হয়ে হাতে তরি বাজিয়ে ডেকে বললো!!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ৯

__আপনি এখানে কেনো???
আদিল শান্ত মস্তিষ্কে ডোক গিলে বললো!!
__তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছি….!

এক রহস্যময় ভালোবাসা পর্ব ১১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here