একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৪০
Mousumi Akter
তরীর বাবা তরীর নিশ্চুপ মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও প্রশ্ন করলেন?
” তুমি কথা বলো এই ছেলের সাথে?”
তরী বাবার কথার উত্তর না দিয়ে ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে মৃন্ময়ের মুখের দিকে। নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে আছে। চোখের পলক পড়ছেনা। সেকেন্ডের মাঝে ছলছল করে উঠল চোখ দু’টো।
তরীর বাবা ক্রমাগত কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেন,
” তুই চুপ কেন? ভালবাসিস ছেলেকে? কথা বলিস।”
মৃন্ময় করুণ চোখে তাকিয়ে রয়েছে তরীর দিকে। দু’জনের দৃষ্টি দু’জনের দিকে। দু’জনের করুণ দৃষ্টি যেন একটা ট্রাজেডি প্রেমের গল্প বলছে। ভয়ে মৃন্ময়ের বুকের মাঝে হাতুড়ি পেটাচ্ছে। মনে ভয় তরী কী তাকে ভুল বুঝছে। সে কি দিশার কথা বিশ্বাস করছে। এই মুহুর্তে কে কি ভাবছে সেটা নিয়ে মৃন্ময় বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। এই মুহুর্তে সে তরীর মুখে ভালবাসি শুনতে গলা কা-টা মুরগীর মত ছটফট করছে। তরী তাকে বিশ্বাস করে এটুকু শুনতে ব্যাকুল।
তরী এতক্ষণ ধরে মৃন্ময়ের রাগি চোখ ঝাঝালো কণ্ঠস্বর শুনে বুঝতে পেরেছে মৃন্ময়ের কোনো দোষ নেই। দিশার প্রতি মৃন্ময়ের আক্রমন ই প্রমান করছিলো মৃন্ময় কিচ্ছু করেনি। এমন নিকৃষ্ট মানুষ সে নয়।
এমন সময় দ্বীপ বলে উঠল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” আপনি ওর বাবা, কোন বাবার সামনে তার মেয়ে নির্লজ্জের মত কাউকে ভালবাসি বলে। সবাই কি আপনার সো কলড নাতনি থুক্কু বউ দিশা নাকি। যে পারলে উলঙ্গ হয়ে অন্য পুরুষের কাছে যায়। মৃন্ময়’কে বুঝাতে গেছিলো ভাল কথা, এর পোশাকের এই অবস্থা ক্যান৷ দেখলেই বমি আসছে। মৃন্ময় ভাল ছেলে না’হলে আপনার মত অন্য কোনো সুগার ড্যাডি থাকলে গায়ে কাপড় যতটুকু আছে অতটুকুও থাকত না। আপনার বউ যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পর পুরুষের কাছে যাচ্ছে আর পর পুরুষে দেখলেই দোষ। শুনুন মৃন্ময় যদি এরে কিছু করেও থাকে ভুল করে নাই। ও একটা ছেলে রোবট নয়। পৃথিবীর কোনো ছেলেই রোবট নয় যে একটা মেয়ে খোলামেলা অবস্থায় যৌন সুড়সুড়ি দিবে আর একটা ছেলে চুপ থাকবে৷ আমরা পুরুষেরা কেউ অত সাধু নই। অনেক সময় না চাইলেও কত ভুলভাল কাজ করে ফেলি। মৃন্ময়ের মত খুব কম পুরুষ ই আছে গু এ হাত দেয়না। আমাদের তিন বন্ধুর যৌনতার দাম আছে। সেখানে সেখানে বিলিয়ে বেড়ায় না৷ ”
দ্বীপের কথা গুলা যেন বোমা ফাটালো। পিহু মৃদু হাসল দ্বীপের দিকে চেয়ে। তন্ময়ের মানসিক অবস্থা ভাল নয়। সে দ্বীপ আর মৃন্ময়ের মত এভাবে কথা বলতে পারেনা। তবুও বলল,
” দেখুন আঙ্কেল ঝামেলা করলে ঝামেলা বাড়বে৷ প্রমান খুঁজতে গেলে দোষ আপনার ওয়াইফ এর ই হবে। আমার বন্ধু এমন ছেলে নয়। এসবের চক্করে মৃন্ময় আর তরীর জীবন এলোমেলো করবেন না কেউ।”
তরী আর চুপ থাকল না। সে সব লজ্জা, ভয় উপেক্ষা করে বলল,
“হ্যাঁ ভালবাসি। উনাকে আমি ভালবাসি। আমার মায়ের পরে আমি উনাকে বেশী ভালবাসি আর আমার মায়ের মতন বিশ্বাস করি। আর উনি আমাকে কখনো ডিস্টার্ব করেনি, খারাপ চোখে তাকান নি। উনি অমন মানুষ নন। উনার চাহনিতে কোনো পাপ আমি আমি পাইনি। তোমার বউ ই সব সময় উনার দিকে খারাপ নজর দিয়েছে যা তুমি টের পাওনি।”
তরীর মুখের উত্তর শেষ হতে না হতেই তরীর বাবা তরীর গালে থা-প্প- ড় মে-রে দিলো খুব জোরে। সেই থা-প্প-ড়ে তরী ফ্লোরে পড়ে গেল। মৃন্ময়ের সমস্ত শরীর টগবগ করে উঠল। সমান ভাবে ঘু’ষি নিয়ে এগিয়ে গেল তরীর বাবার দিকে। তন্ময় আর দ্বীপ দ্রুত মৃন্ময় কে ধরে বলল,
” কি করছিস তুই? উনি তরীর বাবা হন।”
তরীর বাবা রাগে কাঁপছেন। বড় বড় চোখে মৃন্ময়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন। দিশা তরীর বাবাকে ধরে মৃন্ময়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
” উনার মেয়েকে উনি শাষন করেছেন? তুমি বলার কে? মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী। ”
মৃন্ময়ের বাবা এইবার তরীর বাবার দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে বললেন,
“শুনলেন আপনার মেয়ের কথা। দোষ আমার ছেলের হলে, আপনার মেয়ের ও আছে। এক তরফা আমার ছেলের দোষ দিচ্ছেন কেন আপনি? এখন কি বলবেন আপনি?”
তরীর বাবা অপমানে থমথম করতে করতে তরীর দিকে তাকিয়ে বললেন,
“অপয়া নিজের মাকে খেয়েছিস, এখন আমাকে খাবি। তোর জন্য আজ এত বড় অপমান হলাম আমি। এরা সবাই মিলে আমাকে অপমান করছে।”
মৃন্ময়ের বাবা তরীর বাবার কথা শেষ না হতেই বললেন,
“নিজের মেয়ের মুখে না শুনে এভাবে আজে বাজে কথা বলা কি উচিৎ হয়েছে আপনার।”
তরীর বাবার চোখ দু’টো যেন ছুটে যাচ্ছে৷ সে মৃন্ময়ের বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন,
“ও ছোট, বোঝার বয়স হয়নি। আপনার ছেলেই ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে প্রেম ভালবাসা বুঝিয়েছে। যে ছেলে আমার স্ত্রীকে বেইজ্জতি করেছে, আমার গায়ে হাত তুলতে গিয়েছে অমন চরিত্রহীনের সাথে কোনদিন বিয়ে দিবনা আমার মেয়ের। দুনিয়া কেয়ামত হলেও দিবোনা।”
মৃন্ময়ের বাবা চোয়াল শক্ত করে বললেন,
“কে চেয়েছে আপনার মেয়ে? আপনার যে পরিবেশ, আগে যদি জানতাম হাঁটুর বয়সী এক মেয়ে আপনার বউ ভাড়াই দিতাম না। আজ ই নামুন আমার বাসা ছেড়ে।
তরীর বাবা বিস্ফোরিত কণ্ঠে বললেন,
“লজ্জা শরম থাকলে আপনার ছেলে যেন আমার মেয়ের পিছে আর না ঘোরে। আপনার যদি কোনো মান সম্মান থেকে থাকে আপনার ছেলেকে এখানেই থামিয়ে দিবেন। আর যদি না থামাতে পারেন চুন কালি বাবা ছেলে সবার মুখেই লাগাব।”
মৃন্ময়ের বাবা কঠিন গলায় বললেন,
“আমার ছেলে কোনদিন আপনার মেয়ের দিকে আর তাকাবেনা। কোনদিন ও না। আমি বেঁচে থাকতে ওই মেয়েকে আমার ছেলের বউ করব না।”
তরীর বাবা ও শক্ত গলায় বললেন,
“দিশা তরী দুজনের কাপড় গোছাও। আজই এ বাসা ছাড়ব।”
মৃন্ময়ের বাবার এমন কঠিন সিদ্ধান্তে মৃন্ময়, পিহু, তন্ময়, দ্বীপ সবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। তরী কেঁদে দিয়ে বলল,
” প্লিজ আঙ্কেল আমি যেতে চাইনা আমার বাবার সাথে। আমার নামেই উনি বাবা। আমাকে নিয়ে মে’রে ফেলবেন উনি। আমাকে বাঁচান আঙ্কেল।”
মৃন্ময় ছুটে গিয়ে বাবার হাত জড়িয়ে ধরে বলল,
“বাবা আমি ওকে বিয়ে করতে চাই। প্লিজ ওকে যেতে দিওনা! তুমিতো আমার কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখোনি। প্লিজ বাবা এই একটা চাওয়া, শেষ একটা চাওয়া বাবা।”
পিহু বলল,
” বাবা প্লিজ! তুমি তরীকে ভাইয়ার বউ করে রেখে দাও। তরী খুব ভাল একটা মেয়ে।”
দ্বীপ আর মৃন্ময় দু’জনই মৃন্ময়ের বাবাকে অনুরোধ করে বলল,
” আঙ্কেল প্লিজ আপনি তরীকে যেতে দিবেন না। ওরা দু’জন দু’জনকে ভালবাসে।”
মৃন্ময়ের বাবার মন গলল না। সে আগের সিদ্ধান্তে স্থির থেকে বললেন,
” অমন নর্দমার পরিবেশে আমার ছেলেকে আমি বিয়ে দিবোনা। ছেলে যদি বাড়াবাড়ি করে আমি গাড়ির নিচে মাথা দিবো। ”
অনেক কথা কাটাকাটি চলতে চলতে আধাঘন্টা হয়ে গেলো। তরীর বাবা একটা গাড়ি কল করেছিলেন। একটা প্রাইভেট কার আর একটা মিনি ট্রাক চলে এসছে। ওদের যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। মালামাল সব মিনিট্রাকে উঠানো শেষ। দিশা গিয়ে প্রাইভেট কারে উঠেছে। তরীর বাবা তরীর জন্য অপেক্ষা করছেন। তরী গিয়ে মৃন্ময়ের পাশে দাঁড়ালো। কাঁদতে কাঁদতে বলল,
” প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিবেন না। আমি যাবোনা এখান থেকে।”
তরীর কাঁন্নামিশ্রিত কণ্ঠ মৃন্ময়ের বুকে র’ক্ত ক্ষরণের মত যন্ত্রণা দিচ্ছে। সে একবার তরীর অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলো। সহ্য করতে পারছে না তরীর চোখের পানি। মৃন্ময় তরীর হাতটা শক্ত করে ধরে বলল,
” আমি শেষ নিঃশ্বাস অবধি তোমার হাত ছাড়ব না। যত কিছুই হোক।”
মৃন্ময়ের বাবা বললেন,
” মৃন্ময় যেতে দাও, ওকে ওর বাবার সাথে।”
মৃন্ময় শক্ত কণ্ঠে বলল,
” দেখো বাবা তুমি আমাকে যাই বলোনা কেন? আমি ওর হাত ছাড়ব না। আমি কথা দিয়েছি তরীকে। তুমি প্লিজ আমাকে বেইমান বানিওনা। আমি ওর হাত ছেড়ে দেওয়া মানে ওর চোখে বেইমান হওয়া। তুমি কি চাও আমি বেইমান হয়ে বেঁচে থাকি। প্লিজ বাবা! বাংলা সিনেমাত মত কঠিন শর্ত দিওনা। আমাকে শর্ত দিলে আমাকে হারাতে হবে।”
তরীর বাবা মৃন্ময়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,
” ওর হাত ছেড়ে দে। আমি বেঁচে থাকতে তোর সাথে ওর বিয়ে দিবোনা। তুই যদি বাড়াবাড়ি করিস তোর নামে মামলা দেব আমি। কারণ তরীর বয়স এখনো আঠারো হয়নি। এখনো আমি যা বলব তাই হবে। তরী ওর কাছ থেকে চলে আয়। না ‘হলে মৃন্ময়কে সারাজীবন জেলের ভাত খাইয়াবো আমি।”
তরীর বাবার হু’ম’কিতে ভয় না পেয়ে বলল,
” আমি যাবোনা।”
তন্ময় বিচক্ষণ ছেলে। সে মৃন্ময়কে আস্তে করে বলল,
” এই লোকটা ভালো নয়। তরীর আঠারো বছর হয়নি এখনো। একটা বিশাল ঝামেলা লাগবে।”
এরই মাঝে তরীর বাবা কোথায় একটা ফোন দিলেন। সাথে সাথে উপরে পুলিশ উঠে এলো। পুলিশ দেখে রিতীমত ভড়কে গেল সবাই। কারোর বুঝতে বাকি নেই তরীর বাবা আগেই পুলিশ এনে রেখেছিলেন। পুলিশ ওপরে আসতেই তরীর বাবা বললেন,
” স্যার দেখুন, আমার মেয়ের হাত ধরে রেখেছে। মেয়ের বয়স আঠারো হয়নি। মেয়ে কি তার ভাল মন্দ বোঝার উপযুক্ত হয়েছে। এই ছেলে আমার মেয়ের মাথা খারাপ তুলেছে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে চলে যেতে চাই। প্লিজ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে দিন।”
দারোগা মৃন্ময়ের দিকে থাপ্পড় এগিয়ে নিয়ে বলল,
” ছাড় হাত ছাড়। বাড়িতে ভাড়াটিয়া আসলে তাদের সাথে অসভ্যতা তাইনা? চল থানায় চল, কিছুদিন থাকলে ভাল হয়ে যাবি।” বলেই মৃন্ময়ের হাত ধরে ফেলল পুলিশ। তরীর বাবা তরীর হাত ধরে টেনে তার দিকে নিলেন। তরী তখন জোরে কেদে দিলো।
মৃন্ময়ের বাবা বললেন,
” স্যার, আপনি যা ভাবছেন তা নয়। ওই লোকটা আপনাকে মিথ্যা বলেছে। আমার ছেলের সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। ওরা দু’জন দু’জন কে পছন্দ করে।”
দারোগা তখন ধমকে বললেন,
” আপনার ছেলে এই মেয়ের হাত ধরে রেখেছিলো কেন? আমরা নিজেরাই এসে দেখেছি। ছেলেকে আটকান নি কেন?”
” স্যার, আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। ওরা দু’জনেই ছোট। আমরা বোঝাচ্ছিলাম।”
দারগা বললেন,
” থানায় নিয়ে বুঝাব। আপনিও আসুন থানায়।”
তন্ময় বলল,
” স্যার, প্রেম ভালবাসা বয়স দেখে আসেনা। তরী নিজেই মৃন্ময়ের সাথে থাকতে চাইছে। উনার অভিযোগ কিন্তু সত্য নয়।”
দ্বীপ বলল,
” স্যার এক পক্ষের কথা শুনে বিচার করা উচিৎ নয়।”
তখন দারগো বলল,
” ভালবাসে ভাল কথা। বয়স আঠারো হোক আমরাই বিয়ে দিয়ে দিবো। আপাতত থানায় যেতেই হবে৷ মেয়ের বাবার অভিযোগ। আমাদের কিছুই করার নেই। আইন মেনে কাজ করতে হবে।” বলেই মৃন্ময়কে টানতে টানতে নিয়ে গাড়িতে উঠাল। তরীর বাবাও তরীকে নিয়ে গাড়িতে উঠালেন। মুহুর্তের মাঝে যেন তছনছ হয়ে গেল তরীর সব স্বপ্ন। ভেঙে গেল সব আশা। সে গাড়ির কাচ ভেদ করে তাকিয়ে আছে মৃন্ময়ের দিকে। চোখ ভরা পানি। মৃন্ময় ও পুলিশের গাড়ি থেকে তরীর দিকে তাকিয়ে আছে। দু’জনের চোখ ভর্তি পানি। মৃন্ময় গাড়ি থেকে বারবার বলছে, ” প্লিজ কেঁদোনা। আমি আছি তোমার সাথে।”
তখনই দু’টো গাড়িই স্টার্ট হল,দু’জনের ই যাত্রা ভিন্ন। তরী ভয়াবহ কাঁন্নায় ভেঙে পড়ল। এই দেখাই কি শেষ দেখা? এই যাত্রাই কি শেষ যাত্রা। আর কি কোনদিন দেখা হবে তাদের। নিয়তি কি আলাদা করে দিলো তাদের। কিছুক্ষণের মাঝেই দুটো গাড়ি দুই গন্তব্য রওনা হল। আলাদা রাস্তায় চলে গেলো। তরীর কাঁন্নার মাত্রা বাড়ল।
মৃন্ময় চিৎকার দিয়ে বলল,
একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৩৮+৩৯
” আমি আসব মায়াবিনী। তোমাকে উদ্ধার করতে আসব। আমার নিঃশ্বাস যতক্ষণ থাকবে তোমাকে আকাশ-পাতাল ফুঁড়ে হলেও খুঁজব। আমাদের আবার দেখা হবে।”
দু’টো গাড়িই দুইদিকে চলে গেল। আর দেখা মিলল না গাড়ির। যতদূর চোখ যায় দু’জন দেখার চেষ্টা করল। আর দেখা গেল না কিছুই। দু’টো হৃদয় একবুক যন্ত্রণা নিয়ে ছটফট করতে করতে হারিয়ে গেল। আর কি কোনদিন মায়াবিনীর সাথে দেখা হবে মৃন্ময়ের? কোনো বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়, অথবা কোনো গোধুলী লগ্নে? সত্যিকারের ভালবাসস জীবনকে কেন যেন একটা সিনেমা বানিয়ে দেয়। যে ভালবাসে সেই জানে এই যন্ত্রণার ভয়াবহতা।