একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৬৬
Mousumi Akter
কোনোভাবে শ্বশুরবাড়ি থেকে যেন জেনেছে যে দ্বীপের ইচ্ছায় দ্বীপ আমাকে বিয়ে করেনি। বরং আমার কারনে দ্বীপ বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। দ্বীপের মধ্যবিত্ত পরিবার তখন ভরসা একমাত্র দ্বীপ। ও লেখাপড়া শেষ করবে চাকরি করবে, ওর পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু তার আগেই বিয়ে করে ওদের পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে যায়। বেকার অবস্থায় দ্বীপের বিয়েতে কেউ রাজি ছিলোনা। ওর বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল চাকরি করবে তারপর বিয়ে করবে। তখন ওর মামার কোম্পানিতে একটা ভাল স্যালারির জবের কথা হচ্ছিলো। এর মাঝে ও আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে কিছুটা অভাব তো থাকেই।
হুট করেই ছেলের এভাবে বিয়ে মেনে নিতে পারেন নি। তারপর ওর মামা বিয়ের জন্য চাকরিটাও দেন নি। শর্ত দিয়েছিলো আমাকে ছেড়ে দিলে চাকরিটা দিবেন। অদ্ভুত ব্যাপার! দ্বীপ আমাকে ভালবাসেনি, তবে চাকরির লোভে ছেড়েও দেয়নি। এটা নিয়ে দ্বীপের মা আরো রেগে যায়। ফলে দ্বীপের মা সব সময়ই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি, কিন্তু দ্বীপকে কখনো বলিনি। কি ভয়ানক কষ্ট আমার ওপর দিয়ে গিয়েছে সেটা আমি ছাড়া কেউ জানেনা। আমার কাছে না কোনো কষ্টই কষ্ট মনে হতো না,যদি দ্বীপের ভালোবাসা পেতাম। ও ভালো তো বাসেনি আবার খারাপ আচরণ ও করেনি। খুব বড় অভিযোগ ও তুলতে পারিনা। বলতে তো পারব না অত্যাচার করেছে। বরং আমাকে ওর সামনে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। একজন স্বামীর সব দায়িত্ব পালন করল অথচ চার দেওয়ালের মাঝে আমি একা জানতাম দ্বীপ আমাকে ভালবাসেনি। ভাল না বাসার ফসল আমি কেন এ দুনিয়াতে আনব। বলেই পিহু দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়ল। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“যাইহোক, ভাইয়া এখানে দ্বীপের কোনো দোষ নেই। ওর মনে একটা চাপা কষ্ট ছিল। ওর বন্ধু হারিয়ে একটা রাত ও ঘুমোয়নি। তার জন্য আজীবন আমাকে অভিশাপ করে যাবে ও। ওর জীবন থেকে হারিয়ে যাবো আমি। ওর জীবন তো গুছিয়ে দিতে পারব না আমি। তোমাদের জীবন থেকেও হারিয়ে যাব। অনুরোধ তোমার বন্ধুকে গ্রহণ করে নাও। ওর কষ্ট আমি আর সহ্য করতে পারছি না।”
মৃন্ময়ের যন্ত্রণা আরো কয়েকগুনবেড়ে গেলো। তারমানে দ্বীপের কোন দোষ ছিল না। দ্বীপ কোন দোষ করেনি, অকারণ ওকে দোষারোপ করেছি। এই মুখ ওকে দেখাব কীভাবে। এর চেয়ে তো মৃ-ত্যু ভাল ছিলো। অন্যদিকে আমার বোনটা দিনের পর দিন কষ্ট পেয়ে গিয়েছে। এত বেশি তেজ না দেখিয়ে আমার একটা বার গিয়ে ওদের কাছে গিয়ে ওদের কথা শোনা উচিত ছিল।তাহলে আজ আমার বোন এত কষ্ট পেত না। ওদের সম্পর্ক টাও আজ স্বাভাবিক হয়ে যেত। আমি এত বাড়াবাড়ি না করে মেনে নিলেই তো হত। নিলাম না কেন? মৃন্ময় হু হু শব্দ করে কেঁদে উঠল।
মৃন্ময় জানেনা যে তরী গোপনে দ্বীপের সাথে কথা বলে। তরী সব সময় গোপনে যোগাযোগ রেখেছে। তরী দ্রুত দ্বীপের নাম্বারে মেসেজ পাঠালো,
“পিহু হসপিটালে বাচ্চা নষ্ট করতে এসেছে। ও বলছে আপনার সিদ্ধান্তেই বাচ্চাটা নষ্ট করবে। বাচ্চাটাকে কি আপনি সত্যি নষ্ট করতে চান? এটা কি আপনাদের দু’জনের সিদ্ধান্তই হচ্ছে। ”
দ্বীপের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল মেসেজটা দেখে। দ্রুত তরীর নাম্বারে কল করল। খুব উত্তেজিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,
” কোন হসপিটালে পিহু আছে। প্লিজ দ্রুত বলো তরী। আমি এখুনি আসছি।”
তরী নাম বলার সাথে সাথে দ্বীপ কয়েক মিনিটের মাঝে ছুটে চলে এলো। শহরেই হসপিটাল আর যশোর শহরেই দ্বীপের চাকরি। বিশ মিনিটের মত লাগলো দ্বীপের বাইক নিয়ে আসতে। দ্বীপ এত দ্রুত চালিয়ে এসছে যে, পথে কোনো এক্সিডেন্ট ঘটেনি এটা ওর ভাগ্য। দ্বীপ হসপিটালের সামনে বাইক রেখে দেখল, মৃন্ময়, তরী আর পিহু দাঁড়িয়ে আছে। দ্বীপের পায়ের তলার মাটি গুলো সরে যাচ্ছে। মৃন্ময়ের দিকে একবার তাকাতেই দ্বীপের শরীর কাঁপতে শুরু করল। মৃন্ময় স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে প্রিয় বন্ধুর দিকে। দ্বীপ আর মৃন্ময়ের দিকে তাকালো না। সে সরাসরি দৃষ্টি ফেলল পিহুর দিকে। তুফানের বেগে পিহুর কাছে ছুটে গিয়ে বলল,
” তুমি এখানে কেন পিহু?”
পিহু কোন কথা বলল না।
দ্বীপ বলল,
” বেবি নষ্ট করতে এসছো? এটা কি সত্য? ”
পিহু মাথা নিচু করে রইলো।
দ্বীপ রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,
” আমার বাচ্চা তুমি কোন সাহসে নষ্ট করতে এসছো।”
পিহু ছলছল চোখে দ্বীপের দিকে তাকালো। চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে বলল,
” সন্তানের মা আপনার হলনা, তাহলে সন্তান কীভাবে আপনার হল। ”
দ্বীপ বলল,
” আমি জানি তোমার হাজারটা অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগে আমি অপরাধি। শাস্তি নিতে মাথা নত করব। আজীবন তোমার গোলাম হয়ে থাকব। প্লিজ পিহু চলো এখান থেকে।”
” বাহ! এতদিন একসাথে থাকলাম কোনদিন তো আমাকে বলেন নি আমি আপনার। আপনার অনিচ্ছায় চলে আসা সন্তানের প্রতি এত দরদ আপনার।”
দ্বীপ পিহু হাত ধরে বলল,
” চলো এখান থেকে। অজানা অনেক কিছু তোমার জানার বাকি আছে।”
এমন সময় মৃন্ময় গিয়ে দ্বীপের হাতটা শক্ত করে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আমার দিকে তাকাবি না? আমার সাথে কথা ও বলবি না? ”
দ্বীপ বলল,
“আপনার সাথে কথা বলার যোগ্য আমি নই। আমি একজন প্রতারক, আপনার সাথে কি কথা বলব।”
মৃন্ময় পায়ের জুতা খুলে দ্বীপের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
” মা’র। আমি বেঈমান। আমি কখনো তোর কথা শুনিনি, তোর কথা শুনতেও চেষ্টা করিনি।পিহু আমাকে সব সত্য বলেছে। ”
এটুকু বলে মৃন্ময় দ্বীপকে জড়িয়ে ধরল। জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে বলল,
“আমাকে মাফ করে দে ভাই। তোকে ছাড়া ভালো ছিলাম না। আমার একটা মুহুর্ত ও ভালো কাটেনি। আমি কাউকে বোঝাতে পারছি না এখন কেমন লাগছে আমার। জানিস আমার মন চাচ্ছে যে, আমি এখন সু-ই- সাইড করি। আমি ম-রে যাই। আমার এত অস্থির লাগছে। ”
দ্বীপ মৃন্ময় কে জড়িয়ে ধরে বলল, পা-গ- ল হয়ে গিয়েছিস। আমি একটু ভাব নিচ্ছিলাম তোর সাথে অভিমানের। আমি কোনো মান অভিমান করিনি। শালা আমি কি তোর সেই বন্ধু। আমি জানি তোর তখন মাথা কাজ করেনি। চল সিগারেট টানবো দুই ভাই। অতীতের কষ্ট সিগারেটের ধোয়াই উড়িয়ে দেব।
ওদের দেখে তন্ময় আর সারাহ সব চেয়ে বেশী খুশী হবে। তন্ময় আর সারাহ অনেক চেষ্টা করেও ওদের মেলাতে পারেনি। এই দিনটা দেখলে ওরা পা-গ-ল হয়ে যাবে খুশীতে। আমি সেদিনের অপেক্ষায় ছিলাম দুই বন্ধুর মহামিলন। পিহু বলল,
” আপনাদের দুই বন্ধুর মিলন ঘটেছে। এখন আমি আসি।”
দ্বীপ বলল,
“যেখানে যাবে যাও, আমার বউ বাচ্চার যেন কিছু না হয়।”
পিহু বলল,
“বউ বলে মেনেছেন কোনদিন।”
দ্বীপ বলল,
” বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই মেনেছি।”
“আপনি তো ভালবাসেন ফেসবুকের রং নাম্বারে সুন্দরী একটা মেয়েকে।”
দ্বীপ বলল,
” আমার ওটা এখন মনেও নেই। আমার জীবনে ওটা সিরিয়াস কিছু ছিলোনা। আমার লাইফে এখন তুমি আছো। আর তুমিই আমার সিরিয়াস চ্যাপ্টার। অতীতের কিছুই এখন আর আমার জীবনে অবশিষ্ট নেই। আমার জীবনে এক এবং একমাত্র সত্য তুমি।”
পিহু মাথা নিচু করে রইলো। দ্বীপ বলল,
” আমি জানি আম্মু তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছে। চাচীর কাছ থেকে আজ শুনে এসেছি। কেন কখনো বলোনি পিহু? বললে কবেই আলাদা হয়ে যেতাম তোমাকে নিয়ে। রাগ অভিমান তোমার প্রতি ছিলো। কিন্তু ভালবাসা ও একটু একটু করে তৈরি হচ্ছিলো। সেজন্য আমি কখনো তোমাকে কষ্ট দিইনি, আর তোমাকে অন্য কেউ কষ্ট দিবে কখনো মেনে নিতে পারতাম না সেটা।”
পিহু বলল,
“একজন মায়ের থেকে তার সন্তানকে আলাদা করার মত শিক্ষা আমি পাইনি।”
তরী বলল,
“আমি কি এখন বো_ মা ব্লাস্ট করব।”
মৃন্ময় বলল,
” আবার জিগাই। দেরি করছো কেন?”
তরী বলল,
” সেই রং নাম্বারের হারিয়ে যাওয়া নায়িকা আমাদের পিহু।”
দ্বীপের চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল। তরী বলল,
“বিশ্বাস না হলে ওর কাছে শুনে দেখুন, ওর ফোন চেক করে দেখুন ওর ফোনে সেই আইডি এখনো আছে।”
দ্বীপ বিস্মিত চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
“সত্যি তোমার ছিল?”
পিহু বলল,
” হুম।”
দ্বীপ বলল,
” এইটা আগে বললেই তো হতো তাহলে তো, আমি এসব বন্ধু-টন্ধু দিন দুনিয়া এত কষ্ট আর মনে রাখতাম না।”
পিহু বলল,
” তারমানে আপনি আইডিকেই ভালোবাসেন, আমাকে না।”
দ্বীপ বলল,
” মেয়ে মানুষ চেতানো অনেক সোজা। মেয়েটা যদি অন্য কেউ হতো। সে যদি আজ সামনে বলতো সে ভালোবাসে আমাকে আমি তাও রিজেক্ট করতাম।ফিরেও তাকাতাম না আর। আমি আমার পিহুকে ভালবাসি। পিহুকে আমি প্রতিদিন রোজ একটু একটু করে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। ”
মোটামুটি বন্ধুত্ব ভালোবাসার একটা মহামিলন ঘটে গেল।
মৃন্ময় বলল,
“চল একটা সারপ্রাইজ আছে। রোশান স্যার আর তন্ময়ের সামনে নিয়ে যাবো তোকে। আমার সাথে তোদের দু’জনকে দেখলে ওরা ভিশন অবাক হবে।”
দ্বীপ বলল,
” চল একসাথে অনেক দিন আড্ডা হয়না। আজকের দিন বিশ্ব আড্ডা দিবস।”
তরী বলল,
” ছোঁয়া আপুকে মিস করছি খুব। কবে যে মিরাক্কেলের মত আপুর সাথে তন্ময় ভাইয়ার মিল হয়ে যাবে। হঠাৎ যদি এমন হত, আমরা জানতে পারলাম ছোঁয়াপুর কোন দোষ ছিল না।”
দ্বীপ বলল,
” সেটা হয়তো আর কখনো সম্ভব নয়।”
তরী বলল,
” আপনারা সবাই কি ভুলে গিয়েছেন ছোঁয়া আপুকে।”
দ্বীপ বলল,
“না কখনো ভুলিনি। কষ্ট হয়, অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু তন্ময় যেকষ্ট পেয়েছে ওর জন্য সে কষ্ট এসব কষ্টের কাছে কিছু না। জানিনা কেন ছোঁয়া এমন করল। সব সময় রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আমাদের রেস্টুরেন্টের বিল দিয়েছে ছোঁয়া। সিগারেটের টাকা দিয়েছে। টাকা দিয়েছে ট্যুরের আবার ওর গাড়ি ও দিয়েছে। আমরা ঘুরেছি সব ঈদে বন্ধুদের গিফট দিয়েছে। এতকিছু করেও এই বাজে ভাবে বেঈমানিটা কেন করলো ? ”
মৃন্ময় বলল,
” তরী তুমি এখনো ছোঁয়াকে মনে রেখেছো। তন্ময় তাই ভুলে গিয়েছে।”
তরী বলল,
” পৃথিবীর সবাই ভুললেও উনি ভুলবেন না।”
মৃন্ময় বলল,
” পাঁচ বছরে একটা বার ছোঁয়ার নাম বলেনি। ”
” তাতে কি? মনের গভীরে ছোঁয়া আপু আছে।”
বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় রোশান সিদ্দিকী আর তন্ময়ের কোচিং সেন্টার এখন। রোশান সিদ্দিকী একা সব সামলাতে পারছিলেন না। নিজের সাথে তন্ময় কে ও নিয়ে নেন। এখন দু’জন মিলে একই সাথে কোচিং এর কাজ করেন। আজ যশোর জেলায় অনেক বড় একটা কোচিং উ
উদ্ভোদন করবেন। সাত তলা একটা বিল্ডিং। অফিস রুমে বসে আছেন রোশান সিদ্দিকী। অপেক্ষা করছেন তন্ময়ের। এরই মাঝে হন্তদন্ত হয়ে সারাহ প্রবেশ করল অফিস কক্ষে। ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দিলো। রোশান সিদ্দিকী দরজা লাগানোর কারণ বুঝলেন না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সারাহ নিজের শাড়ি খুলে ফেলল। রোশান সিদ্দিকী তার চোখের খয়েরী ফ্রেমের চশমা খুলে কপাল টানটান করে বলল,
” এ্যানি প্রব্লেম?”
সারাহ ঘুরে দাঁড়াল। রোশান সিদ্দিকী’র কণ্ঠে যেন যাদু থাকে। সেই যাদুতে মাতোয়ারা হয়ে সারাহ এক পা দু’পা করে এগিয়ে গেল। রোশান সিদ্দিকী সারাহ উদ্দেশ্য বুঝে উঠতে পারছেন না। প্রশ্ন করলেন,
” কি হয়েছে তোমার?”
সারাহ এগিয়ে গিয়ে রোশান সিদ্দিকী’র গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
” খুব অসুখ স্যার, নিড আ ট্রিটমেন্ট। ”
রোশান সিদ্দিকী সারাহ’র কপালে হাত রেখে বললেন,
” কই জ্বর নেইতো।”
সারাহ আদুরে গলায় বলল,
” ভালবাসার অসুখ কি ভালবাসা ছাড়া নিরাময় হয় স্যার।”
রোশান সিদ্দিকী মৃদু হেসে জানাল,
একটি নির্জন প্রহর চাই সিজন ২ পর্ব ৬৫
” প্রগ্রাম শেষ করে বাসায় যাই, আজ কোনো বাঁধা দিতে পারবে না কিছুতে। এমন রুপে এসে আমাকে খু- ন করে দিয়েছো। এখন প্রগ্রাম ক্যান্সেল করে দিয়ে রোমান্স করতে ইচ্ছা হচ্ছে। ”
সারাহ রোশান সিদ্দিকী’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
” শাড়ি খুলে গেলে আমার কি দোষ। আমি তো আপনাকে খু’ ন ক র তে আসিনি। শাড়ি ঠিক করতে এসছি।”
রোশান সিদ্দিকী ফিসফিস করে বলল,
” প্লিজ শাড়ি ঠিক করো,আর আমাকে ছাড়ো। নইলে মান ইজ্জত আজ সব যাবে। অনর্থ ঘটে যাবে। অলরেডি এলোমেলো হয়ে গিয়েছে সব অনুভূতি। ”