এমপি তামিম সরকার পর্ব ৪৬
কাফাতুন নেছা কবিতা
” ও ভাবি, পানি অনেক ঠান্ডা, আমাগো বাঁচান! ”
সুবহা তামিমের হাত ধরে বেচারির মতো তাকিয়ে থাকে! সুবহা হাত ধরতেই তামিম বুঝে যায় সে কী বলবে! পানিতে থাকা সাকিব আর মাহির খুব খুশি হই!
” ভাবিসাপ আমাগো বাঁচাইবো রে!”
” হো! না-হলে আন্ধারে পাছাই কিছু কা’মড় দিলে, জীবন শেষ! “”
সাকিব আর মাহির খুব আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে সুবহা তামিমের দিকে!
” ছেড়ে দেন না বেবি!””
সুবহার মুখে বেবি ডাক শুনে একটু হলে ও তামিম গলে যায়!
” বেডি মানুষ নিজের ছলাকলা দিয়ে বাঘকে ও বশ করে! সে জায়গায় আমি তো নিষ্পাপ মানুষ! ”
সুবহা সহ বাকিরা মিটমিট করে হাসতে থাকে! তামিম ইশারা করে সবাইকে সামনে আসতে বলে! সবাই সুন্দর মতো তামিমের সামনে এসে দাড়ায়! তারপর একসাথে কান ধরে সরি ভাই বলে! তামিম ও আর কিছু বলে না! সুবহার হাত ধরে চুপচাপ হাটতে থাকে। ততক্ষণে গাড়ি গুলো ও এক এক করে হাজির হয়!
” কিছু বলবা পরী! এভাবে মনে মনে হাসতাছো যে!”
” আপনি, আমি আর অন্ধকার রাত সারাজীবন এভাবে হাতে হাত ধরে হাঁটলে ভালো হতো না বলেন!”
তামিম আশেপাশে তাকায়!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” হ্যা! সামনে ধানক্ষেত ও আছে সমস্যা নাই! ”
সুবহা তামিমের হাতে খুব জোড়ে চিমটি কাটে! আর তামিম হালকা লাফিয়ে উঠে!
” কী সমস্যা বেডি!”
” মাথায় কী সারাদিন এগুলাই চলে?”
” হ্যাঁ ১৯/২০! ”
তামিম আরো শক্ত করে সুবহার কাধ ধরে হাটা শুরু করে!
” আমরা কিছু শুনি নাই কইলাম!”
মাহিরের কথা শুনে সুবহা লজ্জায় পড়ে যায়! তারা যে পিছনে পিছনে বডিগার্ডের মতো আসছিলো সে দিকে খেয়াল ছিলো না তামিম সুবহার!
” এই মাহির!”
” জ্বী ভাই!””
” রাতের বেলা তোরে ড্রেনের পানিতে চুবালে কেমন হয় বলতো?
” আসতাগফিরুল্লাহ! ভাই আমি কালা! কানে কম শুনি!”
” সারাজীবন এইভাবেই থাকবি!”
” হো মাহির! বাঁইচ্চা থাকো চিরকাল, ছিড়তে যাও অন্যের বা*ল!”
সাকিবের কথা শুনে সুবহা, তামিম আর বাকিরা মোটামুটি শব্দ করেই হেসে উঠে!
তামিম সুবহাকে নিয়ে গাড়িতে বসে পড়ে! আর বাকিরা ও অন্য গাড়িতে বসে পড়ে!
তামিম একদম সুবহার গা ঘেসে বসে! বিন্দু মাত্র জায়গার দূরত্ব নেই তাদের মাঝে! গাড়ির পিছনের লাইট অফ করে দিতে বলে তামিম! তার মুডের ১২ টা বাজে লাইট দেখলে!
” জামাইয়ের কোলে বসার বয়সে, সিটে বসে আছিস! লজ্জা থাকা দরকার সুবহা!”
সুবহা খুবই রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকায় তামিমের দিকে!
” শূন্য পরিমাণের দূরত্ব ও নেই আমাদের মাঝে তামিম!”
” কিন্তু তুই তো সিটে বসা!”
সুবহা চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে! এই লোককে নিয়ে পারা যায় না একদম! এতো অধৈর্য এই লোকটা!
সুবহা বেশি কথা না বাড়িয়ে তামিমের কোলে উঠে বসে! তামিম ও খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সুবহার কোমর!
” চু’ম্মা দে ১২০ টা!”
” ১২০ টা?”
” কেন? কম হয়ে গেলো! আচ্ছা আরো বেশি দেয় সমস্যা নেই, আমার মন বড়! ”
” ইউ আর মাই পুকিও!”
” আসতাগফিরুল্লাহ! আমি তোমার পু*কি হতে যাবো কেন সকাল!”
সুবহা খুব শব্দ করেই হেসে উঠে!
‘” এটার মানে আপনি ভালো, অনেক সুইট!”
” কী লাভ, এখনো ভার্জিন! তুই আমার সর্বনাশ করতে পারলি না!”
সুবহা কিছু না বলে শুধু তাকিয়ে থাকে তামিমের দিকে। তারপর তামিমের কান বরাবর নিজের মুখ নিয়ে যায়!
” কন্ট্রোল বেবি! কন্ট্রোল! বাড়ি চলেন আগে!”
তামিম সুবহার মাথার পিছনে হাত দিয়ে হঠাৎ করেই সুবহার ঠোঁটে চু’মু দেয়!
” আই কান্ট কন্ট্রোল মাই,সেল্ফ এন্যিমোর!”
তামিম নিজের কন্ট্রোল হারাতে বসেছে, কী গাড়ি থেমে যায়! আর তাদের মুহুর্তে ব্যঘাত ঘটে!
” আজকে সবাই এতো বেইমানি করতাছে কেন আমার সাথে!”
তামিম মোটামুটি রেগে যায়! যখনই একটু মুডে আসে কিছু না কিছু বাঁধা আসে! আজকে যেনো পুরো দুনিয়ায় তার আর সুবহার বিরুদ্ধে!
” বাড়ি এসে গেছে তামিম!”
সুবহা ডোর খুলে নেমে পড়ে! তামিমের জন্য অপেক্ষা করে! তামিম ও নেমে ডোর অফ করে সুবহার হাত ধরে ভিতরে যেতে থাকে!
বেল বাজার ৫-৬ মিনিট পর দরজা খুলে। অবশ্য ততক্ষণে তামিমের আরো কয়েকবার সুবহাকে কি’স করা শেষ!
তামিম সুবহা ভেতরে যেতে থাকে। ঠিক তখনই তামিমের ডাক পড়ে পিছনে!
” ভাই!”
তামিম খুব বিরক্তি নিয়ে তাকাই পিছনে! তার পঞ্চ পান্ডব পিছনে দাড়িয়ে আছে! এদের জন্য তার রোমান্স আর হয়ে উঠে না!
” তুমি উপরে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও! আমি আসছি! ”
” আচ্ছা! ”
” শোনো! তোমার কাবাটের নিচে দেখবে কয়েকটা ব্যাগ আছে, যেটা ভালো লাগে সেটা পরো!”
সুবহা কিছু না বলে চুপচাপ উপরে উঠে যায়! সুবহা বুঝতে পেরেছে তামিমের কথার অর্থ!
সুবহা উপরে যেতেই তামিম তার পঞ্চ পান্ডবের সামনে দাড়ায়!
“‘ কী সমস্যা? ”
” ভাই………….!”
সুবহা রুমে এসে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে! তার কাবাটের সেকশনে চলে যায়! নিচে দেখে কয়েকটা হট নাইটি সুট রাখা! সুবহা সেগুলো দেখেই চোখ বন্ধ করে লজ্জায় লাল হয়ে যায়! তামিম যে এসব ও ভেবে রেখেছিলো সেটা তাকে দেখলে বুঝা যায় না!
সুবহা একটি কালো সুট পড়ে ফেলে! আর খুব সুন্দর করে রেডি হয়! একদম বলিউড হিরোইন দের মতো! তারপর রুমে এসে বিছানায় বসে তামিমের অপেক্ষা করতো থাকে!
সুবহা মোটামুটি বিরক্ত হয়! অন্য বেলা তামিম সারাদিন তার পিছনে ঘুরঘুর করে! আর আজকে সে যখন চাইছে তামিম তার কাছে আসুক, তামিমের কোনো খবরই নেই!
এভাবে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষার পর দরজায় পিং দেওয়ার শব্দ ভেসে আসে! তার মানে তামিম এসেছে! সুবহা খুব ভাব নিয়ে বসে থাকে! একদম হিরোইন দের মতো!
তামিম রুমে ঢুকেই শুকনো ঢোক গিলে! আর সুবহার পা-মাথা অব্দি দেখতে থাকে!
” সময় এসেছে কালো রং নিষিদ্ধ করার!”
তামিম রুমে ঢুকেই পিং দিয়ে দরজা লক করে দেই! কিন্তু সুবহা একটু ভ্রু কুঁচকে তাকায় তামিমের দিকে!
” কাঁধে কী ওটা?”
‘” অক্সিজেন সিলিন্ডার!”
” সেটা তো আমিও দেখতে পারছি, কিন্তু এখানে কেন এনেছেন!”
তামিম অক্সিজেনের বড় সিলিন্ডার টি নিচে রেখে খুব খুশি মনে সুবহার কাছে আসে!
” আর কেন! কালকে মাত্র ১:৩০ ঘন্টা চু’ম্মা দিছিলাম বলে তুমি তো বেহুশ হয়ে দুনিয়া ছাড়তে গেছিলা! তাই আজকে ব্যাকআপ সিস্টেম নিয়ে আসছি! তুমি বেহুশ হলেই এটা তোমার মুখে লাগাইয়া দিয়ে ১৯/২০ করবো!”
সুবহা চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে!
” আপনাকে এমপি বানাইছে কে?”
” কেন, আমার আব্বাজান! ”
সুবহার রাগ এবার আর কন্ট্রোল হয় না! একটা সুন্দর মুহুর্তে কেউ অক্সিজেনের বোতল নিয়ে আসে? ইতিহাসে বোধ হয় এটাই প্রথম বার ছিলো যখন হিরো রোমান্স করার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসে!
” আপনি বের হন রুম থেকে!”
” কেন বউ!”
“” ভাই আপনি বের হন!”
” আরে আজব,, করলাম টা কী!”
এমপি তামিম সরকার পর্ব ৪৫
সুবহা কোনো কথা না বলে তামিমকে রুমে থেকে বের করে দেই!
” রোমান্সে অক্সিজেন কে আনে? পুরো মুডের ফালুদা করে দিয়েছেন! ”
সুবহা খুব জোড়ে দরজা লাগিয়ে দেই! আর তামিম বাইরে দাড়িয়ে থাকে।
” সাকিবের বাচ্চচচচচচচচাাাাাাাা!”
তামিম নিজের জুতো খুলে নিচে নামতে থাকে। আজকে ও তার আর ১৯/২০ করা হলো না এই পঞ্চ পান্ডবের জন্য!!