এমপি তামিম সরকার পর্ব ৯০
কাফাতুন নেছা কবিতা
কলেজের ভিতরের বড় বট গাছটার নিচে মাথা ধরে চুপচাপ বসে থাকে সুবহা! কপালটা বেশ কেটে গেছে!চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে থাকে! টিচার্স রুম থেকে ব্যান্ডেজ করে দিলে ও ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়নি! মূলত ভয়েই যায়নি সে! হাত-পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গেছে তার! পাশে কলি কাকলি বসে তাকে শান্তনা দিচ্ছে! আর পঞ্চ পান্ডব রাগে ফুলছে! তারা কখনোই ভাবেনি তাদের চোখের আড়ালে এতো কিছু হয়ে যাবে!
” বেশ কিছু ক্ষণ আগের কথা ”
দেখতে দেখতে প্রায় সব গুলো পরীক্ষাই বেশ ভালো ভাবেই শেষ করে তামিমের ছয় শয়তান! প্রশ্ন দেখে মাঝে মাঝে সাকিব নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পারলে ও তামিমের ভয়ে কোনো রকম পরীক্ষা গুলো দিয়ে ফেলে! আজ তাদের পরীক্ষার শেষ দিন! ছয় ভন্ড আগেই ঠিক করে পরীক্ষা শেষ হলে একসাথে চিল করবে! না-হলে তামিম আবার তাদের ভার্সিটির জন্য ক্লাস নেওয়া শুরু করবে!
এই দুই মাসে তামিম তাদের জীবনের সমস্ত সুখ শান্তি শেষ করে দিয়েছে!
” ভাবিমা ওই দিকে যান ক্যালা?”
” কলি কাকলি আমাকে একটু ডেকেছে! আপনারা বসুন আমি আসছি!”
” আমি লগে যায়?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সুবহা বড় বড় চোখ করে তাকায়! লেডিস ওয়াশরুমে তাদের কী কাজ? এই কালা মানিক কোনোদিন ও ভালো হবে না! মেয়ে মানুষের গন্ধ পেলেই তার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র হয়ে যায়!
পঞ্চ পান্ডব ক্লাস রুমেই বসে থাকে! আর সুবহা চলে যায় লেডিস ওয়াশরুমের দিকে!
” আমরা কিন্তু ইতিহাস করছি ভাই?”
” কোন ইতিহাসের কথা কস সাকিব?”
” বুইড়া বয়সে এইচএসসি দিছি, তাও পিচ্চি ছেরি গো লগে!”
সাকিবের কথা শুনে চার পান্ডব হেসে উঠে! তারা এখনো ও বিশ্বাস করতে পারছে না যে তারা ও পরীক্ষা দিয়েছে তাও আবার সব!
” সক্কাল সক্কাল, ছেরি গো মুখ দেখতে ভালোই লাগতো!”
” তোরে কেউ চয়েজ করলো না মানিক্কাহ! ”
” ওলে আমাল লাইয়ক! তোরে ও কেউ পাত্তা দেয় নাই বো’মার বাচ্চা! ”
তাদের কথার মাঝেই হুট করে দরজা জোড়ে লাগানোর শব্দ হয়! মাহির দরজার কাছে গিয়ে চেক করলে বুঝতে পারে কেউ বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়েছে! জানালা দিয়ে দেখে কেউ দৌড়ে যাচ্ছে! তারা ডাকাডাকি শুরু করে দেয়!
” আব্বে হা’লা! দরজা বন্ধ করলি কোন হালা’ই! খোল কয়তাছি!”
সাকিব দরজায় ৩-৪ টা লাথি মা’রে! আর বাকিরা জোড়ে জোড়ে চিৎকার করতে থাকে! এভাবে বেশ কিছু ক্ষণ কে’টে যায়! সচারাচর এমন তো হওয়ার কথা নয়! ডাকলে তো পিয়ন দের আসার কথা তাড়াতাড়ি! কিন্তু এখনো ও আসলো না!
সাকিব আরো কয়টা লাথি মা’রে!
কিছু ক্ষণের মধ্যে পিয়ন এসে দরজা খোলে দেয়!
দরজা খোলার সাথে সাথে তারা পিয়নের উপরে চড়াও হতেই জানতে পারে নিচে গন্ডগোল হয়েছে! এমপির বউয়ের মাথা ফে’টে গেছে! একদল ছেলে রং মেখে এসে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মিশে যায়! আর সেখানেই তাকে বাজে ভালো ছোঁ’য়া হয়! পড়ে গিয়ে মাথা ফে’টে যায় তার!
কলেজে এমপির বউ একজনই! সেটা সুবহা সরকার! কিন্তু সে তো ওয়াশরে গিয়ে ছিলো! তাহলে? নিচে কীভাবে গেলো!
পঞ্চ পান্ডব জোড়ে দৌড় লাগায় টিচার্স রুমের দিকে! যেখানে সুবহার মাথায় ব্যান্ডেজ করা হচ্ছিল! পাশে কলি কাকলি ভয়ে কাঁপতে থাকে!
তামিম সরকার যদি একবার জানে সুবহার মাথা ফে’টে গেছে, তাহলে আর কারো রক্ষা নেই! তার উপরে যদি এটা জানে তাকে কেউ নোং’রা ভাবে ছোঁওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে তাহলে আজকে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না!
পঞ্চ পান্ডব এসে সোজা টিচার্স রুমে হাম’লা দেয়! সুবহা মাথা নিচু করে বসে থাকে! তাদের রাগের পারদ ফেটে পড়ছিলো! আরশিনগরে এতো সুনাম যুক্ত কলেজে বহিরাগত প্রবেশ করে কীভাবে? তাও এমন একটা কান্ড ঘটায়! এটা কী নিতান্তই একটা সাধারণ ঘটনা? কিন্তু টিচার্সদের কিছু বলে লাভ নেই! আগে জানতে হবে কী হয়েছিলো!
পঞ্চ পান্ডব লেগে পড়ে তাদের কাজে, কেউ ফুটেজ কালেক্ট করে, কেউ জিজ্ঞেস বাদ শুরু করে, কেউ তানভীর সরকারকে জানায়, আর বাকিরা ভয়ে ভয়ে শামসুকে জানায়! সে যেনো তামিমকে পুরো বিষয়টি জানায়!
” বর্তমান ”
” ভাবি-মা এমনে কাইন্দেন না! ভাই আইলো বলে!”
তামিমের কথা শুনে গলা শুকিয়ে যায় সুবহার! আজকে যে আরো একবার আরশিনগরে রক্তের বন্যা বয়বে, সেটার আন্দাজ সে ভালো মতোই পেয়েছে!
তাদের কথোপকথনের মাঝেই বেশ কয়েকটা গাড়ি তাদের উদ্দেশ্য করে আসতে থাকে! কোবরা চিহ্ন করা গাড়িটি দেখেই সকলে বুঝে যায়, তামিম সরকার আসছে!
খুব জোড়ে ব্রেক কষাস গাড়িটি সুবহার একদম সামনে! স্বজোরে গাড়ি খুলে বেরিয়ে আসে তামিম! চোখ রক্তিম বর্ন ধারণ করা!
তামিম এসেই সুবহার সামনে দাড়ায়! এবং তার হাত ধরে একটান দিয়ে সামনে হাঁটতে থাকে! সুবহাকে গাড়িতে বসিয়ে খুব জোড়ে ড্রাইভ করতে থাকে তামিম! পঞ্চ পান্ডব ও যে যার মতো গাড়িতে বসে এবং তামিমের গাড়ি অনুসরণ করতে থাকে!
তামিম কোনো কথা না বলে সোজা, পোড়াবাড়ির দিকে গাড়ি নিয়ে যায়, গাড়ির স্পিড এতোটাই বেশি ছিলো যে কেউ সামনে পড়লেই আজকে তার ইন্না লিল্লাহ হয়ে যেতো!
জঙ্গলের ভিতরে গাড়ি সোজা রঙ্গমঞ্চ খানার সামনে দাড়ায়! তামিম নেমে সুবহার হাত ধরে তাকে ও নামায়! রীতিমতো টেনেই নামায়! সুবহা তখন ও কিছু বলে না! আর না তামিম নিজের মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের করে!
সুবহার হাত ধরেই টেনে রঙ্গমঞ্চ খানার ভিতরে নিয়ে যায় তামিম!
ভিতরে ঢুকতেই চোখ কপালে উঠে সুবহার! মুখে রং মাখানো সেই সকালের লোকগুলো এখানে! তাও নিচে বসে থাকা! দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচন্ড মা’র খেয়েছে তারা!
তামিম সুবহার হাত ধরে সামনের সেই লোক গুলোর দিকে ঠেলে দেয়! ভয়ে তামিমের দিকে তাকায় সুবহা!
” চল কে ধরবি ওকে ধর!”
সুবহার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরে!
” ওঠ কে ওকে ধরছিলি, ধর! জলদি ওঠ! বা:ন্দীর বাচ্চা জলদি উঠঠঠঠ!”
খুব জোড়ে চেচিয়ে উঠে তামিম!
নিচে বসে থাকা লোকগুলো ভয়ে কাঁপতে থাকে! তাদের সামনে আর কেউ নয়, বরং তামিম সরকার দাড়িয়ে আছে!
তামিম নিচে পড়ে থাকা র’ড হাতে নিয়ে ইচ্ছে মতো পিটাতে থাকে লোকগুলো কে! ততক্ষণে পঞ্চ পান্ডব ও এসে হাজির হয়! তারা সুবহাকে সাইটে দাঁড় করায়!
” আমার ঘরের বউয়ের গায়ে হাত..! তোদের হাত কা”ইট্টা আমি কু’ত্তারে খাওয়াবো না! ”
তামিমের মা’রার স্পিড আরো বাড়তে থাকে! ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে সুবহা! এটা প্রথম বার ছিলো যখন তামিম এভাবে কাউকে সুবহার সামনে মার’ছে!
এক পর্যায়ে থেমে দাড়িয়ে পড়ে তামিম! ততক্ষণে পুরো শরীর র’ক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছে!
তামিম হাত দিয়ে ইশারা করে শামসুর দিকে! ইশারা করতেই শামসু তামিমের সিগা’র ধরিয়ে তার হাতে দেয়! সিগা’রে টান দিতে দিতে তামিম আবারে রড হাতে নেয়! এবার একই বারে শেষ করবে তাদের!
তামিম যেই না সামনে পা বাড়াবে, ততক্ষণই সুবহা পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে!
” সুবহা সর!”
” নাহ তামিম! ”
” সর বলতাছি!”
” নাহ! প্লিজ শান্ত হন! প্লিজ! ”
সুবহা খুব জোড়ে জোড়ে কেঁদে উঠে! তামিম ও চোখ বন্ধ করে ফেলে! এক পর্যায়ে হাতের রড নিচে ফেলে দিয়ে সুবহার হাত ধরে তাকে সামনে আনে! সুবহার গালে হাত রেখে শান্ত দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকে!
” তোরে প্রটেক্ট করতে পারি নাই সকাল! সরি! স্বামী হিসেবে আমি ব্যর্থ!”
” ইউ আর দ্যা বেস্ট হাসবেন্ড এভার তামিম!”
সুবহার মাথা ধরে তামিম তাকে বুকে জড়িয়ে নেয়! একটা আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি রঙ্গমঞ্চ খানাতে! তামিমের চোখের পানি গুলো সুবহার কাঁধে পড়ে! সুবহা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তামিমকে!
” আব্বে আমারে ধরস ক্যালা!”
মাহির একটু চেচিয়ে উঠে! কারণ সাকিব তাকে জড়িয়ে ধরে!
” ভাই ভাবির জড়াজড়ি দেইখা আমার ও মন চাইছে ধরতে!”
” আমারে কেন?”
” তুই বেডি সাইজা আমারে যেই ধোকা দিছিলি! শা’লা আর কোনো মাইয়ারে মনেই ধরে না!”
সাকিবের কথা শুনে কালা মানিক ও মাহিরের কাছে চলে আসে! কারণ মাহির ও তো তার সাথে ও ফ্ল্যাট করেছিলো! কিন্তু মাহির দুরে চলে যায়! এই দুই মুসিবতের থেকে!
” বাড়ি চলুন তামিম!”
তামিম সুবহাকে ছেড়ে দিয়ে তার হাত ধরে ! আর সামনের দিকে যেতে থাকে! কিন্তু যাওয়ার আগে তার পঞ্চ পান্ডবদের ইশারা করে যায়! তামিম সরকারের বউয়ের সাথে নোংরা’মীর চেষ্টা আর তামিম ছেড়ে দিবে!
হাতে ক্যান্ডকাফ লাগিয়ে গাড়ির পিছনে এটাচ করে প্রত্যেককে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে দৌড় করানো হয়! যতক্ষণ না তাদের প্রাণ যায়!
” সরকার বাড়ি”
তামিম সুবহাকে নিয়ে সরকার বাড়িতে চলে যায়! তাদের গাড়ি থামতেই আয়েশা সরকার তাড়াতাড়ি করে চলে আসে!
” ওর মাথা ফাটছে কেম’নে বাপ?”
তামিম চুপ থাকে! কী বলবে কিছু বুঝতে পারে না! তার গাফিলতির জন্য যে এটা হলো সেটা তো অস্বীকার করতে পারবে না!
তামিমের চুপ থাকা দেখে আয়েশা সরকার বুঝে যায়! তামিমের মনে কষ্ট! সে আর কিছু জিজ্ঞেস না করে সুবহাকে নিয়ে ভিতরে চলে যায়!
তামিম ও ভিতরে যেতেই তানভীর সরকার তার পথ আঁটকে দাড়ায়! তামিম তার বাবার দিকে তাকিয়ে থাকে!
তানভীর সরকার তামিমের হাত ধরে আবার ও গাড়িতে বসায়! কোনো প্রটেকশন ছাড়ায় দুই বাপ-,বেটা বেরিয়ে পড়ে! তামিম তখন ও জানতো না তানভীর সরকার তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!
—-রাত তখন ১০ টার বেশি! ঘরে চুপচাপ বসে থাকে সুবহা! তার মাথা ফে’টে গেছে কিন্তু তামিম এখন ও বাসায় আসলো না! বেশ কয়েকবার কল দেয় তাকে! কিন্তু বরাবরেরই মতোই ফোন বন্ধ দেখায়!
আজ এতো কিছু হয়ে গেলো, কিন্তু তামিম গায়েব! সাথে তানভীর সরকার ও! সুবহার মন কু ডাকতে থাকে!
কোথায় ভেবেছিলো পরীক্ষা শেষ, কোথায় ও ঘুরতে যাবে! তামিমের সাথে একান্ত সময় কাটাবে! কিন্তু তা না! আজকেই এতো কিছু হয়ে গেলো!
ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসতে থাকে সুবহার! তামিম গেলো তো গেলো কোথায়? ! হঠাৎ দরজায় পিন পড়ার শব্দ ভেসে আসতেই সুবহা দরজার কাছে চলে যায়!
দরজা খুলতেই দেখে তামিম এক গাল হাসি দিয়ে ভিতরে ঢুকছে! তার পুরো শরীরে র’ক্ত! কিন্তু মুখের হাসি দেখে বোঝায় যাচ্ছে না কী হয়েছে!
সুবহা সাত পাঁচ না ভেবেই তামিমকে জড়িয়ে ধরে!
” কোথায় ছিলেন আপনি? ”
” গরু কাটটা’ছিলাম বউ!”
সুবহা বেশ অবাক হয়ে যায়! গরু তো কষায় কা’টে! তামিম কবে থেকে গরু কা’টা শুরু করলো?
তামিম রুমের দরজা লাগিয়ে সুবহাকে বিছানায় বসায়!
” শোনো, তোমার স্বামী শুধু মানুষ নয়, গরু কা’টতে ও এক্সপার্ট! ”
সুবহা কিছু না বুঝেই তামিমের দিকে তাকিয়ে থাকে! সকাল থেকে আজ এতো কিছু হয়ে গেলো,তামিম সেদিকে খেয়াল না করে গরু কা’টছিলো? তানভীর সরকার যেহেতু ছিলো, সেহেতু তামিম মানুষ খু’ন করার সাহস পাবে না নিশ্চয়ই! কিন্তু হঠাৎ গরু কেন? এমন অজস্র প্রশ্নে বাসা বাধে সুবহার মনে! কিন্তু সুবহা ঠিক করে সে তামিমকে বিশ্বাস করবে! আর একটা ও বার্তি প্রশ্ন করবে না!
” অনেক র’ক্ত লেগে আছে তামিম! আপনি ফ্রেশ হন আগে!”
তামিম সুবহার গাল টিপে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়!
–বেসিনের আয়নার সামনে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকে তামিম! আজকে তার বিজয়ের দিন! সে পেরেছে সুবহার দোষীদের খুঁজে শাস্তি দিতে! সুবহাকে কিডন্যাপ করা থেকে শুরু করে আজকের ঘটনা, যারা যারা ছিলো প্রায় প্রত্যেককে সে মৃত্যু’র দোয়ার অব্দি পৌঁছে দিয়ে আসে!
কিন্তু পরক্ষণেই তামিম আবার ও কল্পনা করতে থাকে! তার চোখে ভেসে উঠে দিনের ঘটনা গুলো!
আজ তানভীর সরকারের যেই রুপ তামিম দেখলো সেটা হয়তো কল্পনা ও করতে পারেনি তামিম! তামিম এখন বুঝলো এমনি এমনি সরকার ভাইয়ের নাম শুনলে মানুষ মু’তে প্যান্ট ভিজাতো না!
” আমার আব্বা জান , আমার ও তিন কাঠি উপরে! সরকার ভাই, কামাল কী চিজ হো আপ!”
—বেডে চুপচাপ বসে থাকে সুবহা! তামিম ফ্রেশ হতে গেছে প্রায় ১০ মিনিটের মতো হতে চললো! ঘড়ি কাটা জানায় দিচ্ছে ১১ টার কাছাকাছি! সুবহা চুপচাপ বসে বসে ভাবছে তামিম এতো ব্যাস্ত, কালের দিনের কথা কী ভুলে গেছে? সে কী আদোও জানে কালকে কী?
বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ ওয়াশ রুম থেকে তামিম সুবহাকে জোরে জোরে ডাকতে থাকে! হঠাৎ তামিমের এতো ষাঁড়ের মতো ডাক শুনে সুবহা হন্তদন্ত হয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়! গিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে তামিম ঝর্ণার পানির মাঝে দাড়িয়ে আছে অপর পাশ হয়ে! সুবহা তামিমের একদম কাছে চলে যায়!
” তামিম?”
সুবহা তামিমকে ডাকতেই তামিম তার হাত ধরে ঝর্ণার পানির মাঝে নিয়ে নেয়! শক্ত করে চেপে ধরে সুবহার কোমর! সুবহা তামিমের বুকে হাত রাখে!
তামিম আস্তে আস্তে সুবহার মুখ বরাবর নিজের মুখ আনে! দখলে নিয়ে নেয় সুবহার ওষ্ঠ যুগল! সুবহা ও তামিমের গলায় হাত রাখে!
ধীরে ধীরে তামিমের বেগতিক হাতের স্পর্শ গুলো কাপিয়ে তোলে সুবহাকে! সে ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মত্ত হতে থাকে তামিমের মাঝে!
প্রায় অনেক দিন পর সুবহা তামিম এতোটা কাছে!
” তুমি মাথা ফাই’টাছো, তারপর তোমাকে রেহায় দিতে মন চাইলো না, সরি!”
তামিম আবার ও মত্ত হতে থাকে সুবহার মাঝে! সুবহা ও তামিমের তালে মিলাতে থাকে! স্বামী তামিম সরকার যতটা ভয়ংকর ততটাই রোমান্টিক! রোমান্টিকতা তার মাঝে ভরপুর!
–বাথটবে তামিমের উপরে চুপচাপ বসে থাকে সুবহা! থেকে তামিম তার চুল গুলো এপাশ ওপাশ করতে থাকে! এতো দিন এতো কাছে এসে দু’জনই অন্য দুনিয়াতে হারিয়ে যায়! সময়ের কোনো খেয়াল থাকে না!
এমপি তামিম সরকার পর্ব ৮৯
” tamim! What you like in me? ”
” i like the way you breathe! ”
সুবহা হালকা হেসে উঠে!
” গরীবের কাবির সিং! ”