এলিজা শেষ পর্ব 

এলিজা শেষ পর্ব 
Dayna

অপূর্বর মুখে এরকম বাক্য শ্রাবন কে নাড়ালো। শ্রাবন হাত থেকে চায়ের কাপটা রেখে দেয়।সোফাতে হেলান দিয়ে বসে,আড় চোখে অপূর্ব কে পরোখ করলো। অপূর্ব শ্রাবণের দিকে দৃষ্টি স্থাপন করে বললো, কষ্ট পেয়েছিস?
শ্রাবন দৃষ্টি সরিয়ে বললো, এরকম টা আর কখনো বলবি না।কাকাকে হারালাম,মায়ের মত ছিল কাকি,তাকেও হারালাম। নিজের জীবনের থেকেও যাকে ভালোবাসলাম অবশেষে তাঁকেও হারিয়ে ফেলেছি।
অপূর্ব ভারী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর কথা বললি না!
শ্রাবন অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছলো।
তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয় বোরকা পরিধান করা কেউ। কালো বোরকা দিয়ে,পা থেকে চোখ অব্দি ঢেকে রেখেছে। শ্রাবন উঠে দাড়ায়।অর্পা মহিলাটিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পরোখ করলো। মহিলাটি অপূর্বর সামনে এসে বললো, কেমন আছেন স্যার?

অপূর্ব এক নজর তাকালো। শ্রাবন অপূর্বর দিকে দৃষ্টি স্থাপন করে বললো,কে ইনি? চিনতে পারলাম না।
অপূর্ব চাপ গলায় বললো,রুমা।
শ্রাবন ভ্রু কুঁচকে আওয়াজ করে হাসলো‌।এই সেই রেখা যার চাল-চলন নিয়ে আমরা কত হাসাহাসি করেছি।আর আজ তার কতটা পরিবর্তন।কি করে সম্ভব! শ্রাবন এসব ভাবতেই রুমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, আপনি হঠাৎ এখানে? রুমা পর্দার আড়ালে থেকেই বললো,স্যার অসুস্থ তাই তাকে দেখতে আসলাম।আমি একা আসিনি সাথে আমার মেয়েও এসেছে। শ্রাবন বললো, কোথায়?রুমা ,রুনা বলে ডাকলো।বাহির থেকে ভেতরে আসে ১৪ বছরের রুনা।রুমার একমাত্র মেয়ে। অপূর্ব কে এসেই সালাম করলো। অপূর্ব রুনার দিকে একবার চোখ বুলালো।রুনার মুখের গঠন কিছু টা ভিকার। থুতনির হরন, কিছুটা ভিকার।
অপূর্বর বুকের ভেতর দু’বার চাপ চাপ বেথা হয়। অপূর্বর চোখের সামনে হঠাৎ করেই এলিজার মায়াবী মুখ খানি ভেসে ওঠে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রুমা শ্রাবন অর্পার সাথে, কিছুক্ষণ অপূর্বর শরীরের অবস্থা নিয়ে কথা বলে। অতংপর স্থান ত্যাগ করে।
রুমা চলে যাওয়ার পর শ্রাবন জিজ্ঞেস করলো,তুই না দেখেই, রুমাকে কিভাবে চিনতে পারলি?
অপূর্ব কিছুটা আওয়াজ করে হেসে বললো,আমি পুলিশ ছিলাম। পুলিশের চোখ আগুনের মত।যার চোখ একবার কাউকে প্রদর্শন করলে,তাকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মনে রাখে।
অপূর্ব শ্রাবন কে দ্বিতীয় বার বললো, আজকে রাতেই একবার উকিল কে ডেকে নিয়ে আয়। আমার বাঁকি কাজ টা সম্পন্ন করি। শ্রাবন ইতস্তত বোধ করলো। উদ্বিগ্ন চোখে তাকিয়ে দেখছে অপূর্ব কে। অপূর্ব স্বাভাবিক ভাবেই কথা গুলো বলছে। শ্রাবন তীক্ষ্ণ স্বরে বলল, সম্ভব নয়।
অপূর্ব শ্রাবণের হাত ধরে বললো, না করিস না। আজকে এখনি নিয়ে আস।

শ্রাবন বাধ্য হলো। সন্ধ্যা বেলায় ই বেড়িয়ে পরে, উকিল এর উদ্দেশ্য। অপূর্ব বৈঠকখানা থেকে ছাদে চলে যায়।অর্পা যেতে সাহায্য করলো।অর্পা বললো, তুমি সন্ধ্যা তারা উপভোগ করো।আমি নিচ থেকে আসছি।
অপূর্ব জ্বলজ্বল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।ঝলমল করছে তাঁরা রা। চাঁদের গা ঘেঁষে মেঘ উড়ে যাচ্ছে। অপূর্ব আকাশের দিকে তাকিয়ে ভারি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।কম্পন ঠোঁটে বললো, হাজার ও তারাদের মাঝে আমার এলিজার বসবাস।সে কত শান্তি তে দূর থেকে আমাকে দেখছে। হাজারো তারা তার সঙ্গী।তার কোন একাকীত্ব নেই। অথচ, এলিজা_হীন আমি যে প্রতি মূহুর্তে,পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছি। অপূর্ব অঝর বৃষ্টির মত কেঁদে উঠে। কান্না জড়িত কন্ঠে বিড়বিড় করে বললো, এখন ও মনে পরে, তোমার ঝুলন্ত দেহ_টাকে। চোখের সামনে ঝুলছিলে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী। আমাকে বাঁচাতে নিজের প্রান দিয়ে দিলে।এই ঋণ কি কোনদিন শোধ করার !নারী হলো সুখের ভুষন। আমার সুখ যে ছিল, আমার এলিজা।হৃদয়ের প্রতিটি কর্নারে কর্নারে গেঁথে আছে যার স্মৃতি,তার স্মৃতি গুলো কোনদিন ভুলে যাওয়ার নয়।আমি ভুলে যেতেও চাই না।আমি আসছি, শীঘ্রই আমি আসছি। তুমি’হীন জীবন টা বড্ড বেশি ভারী।যার,ভার_বহন করার মত শক্তি আমার নেই।তাই চলে আসছি আমি।

অপূর্ব কাপা হাতে চোখের পানি মুছলো।
অপূর্ব কারো উপস্থিতি অনুভব করলো। পেছন ঘুরে দেখলো শ্রাবন।
শ্রাবন অপূর্বর পাশে এসে দাঁড়ায়। শ্রাবন আকাশের তারা গুলো অপলকে দেখছে।
শ্রাবন অপূর্ব কে নিচে নিয়ে আসে। বৈঠকখানায় বসে আছে উকিল। উঁকিল তার সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছে। অপূর্ব কে বললো,স্বাক্ষর করতে।
শ্রাবন ক্লান্ত চোখে অপূর্বর দিকে পরোখ করে বললো,এখনি এসব করার খুব দরকার?
অপূর্ব মৃদু হেসে স্বাক্ষর করে দেয়। সমস্ত পেপার শ্রাবণের হাতে তুলে দেয়।বললো,ঢাকার ১৮ টি বাড়ি বিক্রি করে টাকা গুলো বিলিয়ে দিস।গরিব, অসহায়, মসজিদ মাদ্রাসা সহ সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে।
শ্রাবন শ্বাস ফেলে হ্যা সুচক মাথা নাড়ে।

রাত ১১ টা নাগাদ ল্যান্থলাইনে ফোন বেজে উঠলো। শ্রাবন দ্রুত পায়ে ফোনটা রিসিভ করে। ওপাশ থেকে শ্রাবণের এক বন্ধু বললো,শুনেছিস, ৩ জন লোক মিলে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে।তবে, পুলিশের হাত থেকে অপরাধীরা রেহাই পায়নি। পুলিশ ধরে ফেলেছে। শ্রাবন কাট গলায় বললো,মেয়েটির ঠিকানা কি?নাম কি?
ওপাশ থেকে বললো,মেয়েটি খ্রিষ্টান।নাম রেখা।
শ্রাবন ফোনটা রেখে দিল। অপূর্বর ঘরের উদ্দেশ্যে যায়। অপূর্ব বসে বসে তসবিহ পরছে।ডান হাতে তসবিহ,বাম হাতে এলিজার ব্যবহৃত শাড়ি। শ্রাবন গলায় কাশি দিয়ে বললো,রেখা কে তো চিনতিস? অপূর্ব ঘুরে তাকায়। অপূর্ব হ্যা সূচক মাথা নাড়ে। শ্রাবন বললো,রেখাকে কেউ,ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে।তবে খু’নিদের ও ধরে ফেলেছে।
অপূর্ব তসবিহ টা কপালে ছুঁইয়ে পাশে রাখলো
ঠোট কুঁচকে হেসে,নরম গলায় বললো,পাপ মানুষ কে ছেড়ে দেয়না।এর শাস্তি পেতেই হয়।হয় দু’দিন আগে নয়তো দু’দিন পরে।

অপূর্ব বললো,চল একবার কবরস্থানে যাওয়া যাক।
শ্রাবন নিয়ে যায়। শ্রাবন প্রতিদিনের মত,হাতে মোমবাতি নেয়।
পাখির কবরের কাছে শ্রাবন মোমবাতি রাখে। অপূর্ব এলিজার কবরের দিকে ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আছে।
ভার কন্ঠে বললো,”আমি মরলে আমাকে এলিজার ডান দিকে কবর দিস”কারন আমার বুক পাঁজর ছাড়া যে,এলিজা ঘুমাতে পারছে না ”
“”””
রাত গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। শ্রাবন অপূর্ব কে ঘরে দিয়ে এসে ঘুমিয়ে পরে।
মমতাজ শ্রাবণের দিকে একবার পরোখ করে বললো, আমার বুকের ভেতর পুড়ে উঠছে।একটু পর পর, চাপ চাপ বেথা হচ্ছে।কি যেন কি হবে। শ্রাবন উপেক্ষা করে বললো, ঘুমিয়ে পরো।

ফজরের আজান পরে। তৎক্ষণাৎ শ্রাবনের কানে অর্পার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। শ্রাবণের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
। শ্রাবন দ্রুত পায়ে ঘর থেকে বের হয়। শ্রাবনের হাঁটার জোড় শক্তি কমে যাচ্ছে। বুকের ধুকবুকানি বেড়ে চলেছে। শ্রাবন নিচে আসে। বাড়ির দারোয়ান সামনে পরে, শ্রাবন কাঁপা কন্ঠে বললো,কি হয়েছে?অর্পা কোথায় বসে কাঁদছে? দারোয়ান কবরস্থানের দিকে দেখিয়ে দেয়। শ্রাবন দ্রুত হেঁটে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়।
দেখলো, অপূর্ব এলিজার কবরের উপর লুটিয়ে পড়ে আছে।যেভাবে কবর জড়িয়ে ধরে,সেভাবে উপর হয়ে পরে আছে। আশেপাশে কিছু লোকজন ভির করেছে।অর্পা বুক ফাটিয়ে কাঁদছে। শ্রাবন অপূর্বর কাছে বসে।কাপা হাতে অপূর্বর পাল্স পর্যবেক্ষন করে দেখলো, অপূর্ব আর দুনিয়াতে নেই।

শ্রাবন ভাই ভাই বলে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠে। ভেজা কন্ঠে বললো, আমার ভাই ,এই ভাই ,কি করে এভাবে একা করে রেখে যেতে পারলি। আমি যে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। কাকে, অপূর্ব অপূর্ব বলে ডাকবো।এই ভাই!
শ্রাবনের কান্নায় ফেটে যাচ্ছে মাটি। আকাশের রং বদলে গিয়ে ধোঁয়াসা হয়ে যাচ্ছে।
অপূর্বর মৃত দেহ টা নিস্তেজ হয়ে পরে আছে। আশেপাশে মানুষজন ভির করছে। বায়েজিদ পাশে বসে অঝরে কাঁদছে।
থমকে গিয়েছে প্রকৃতি। অপূর্ব নামক মানুষটি চিরতরে হারিয়ে গেছে।চলে গেছে তার,প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে।
শ্রাবন অপূর্বর মৃত শরীর স্পর্শ করে কান্না জড়িত কন্ঠে বললো, পরপারে এলিজার সাথে তোর আবার দেখা হোক। পরপারে অপূর্ন জীবনটা এলিজার সাথে পূর্ন হোক।ভালো থাকিস পরপারে। জান্নাতে আমাদের দেখা হবে।
বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। শ্রাবন অপূর্বর কথা মত এলিজার ডান পাশে কবর দেয়।
শ্রাবন দাঁড়িয়ে আছে কবরের কাছে।

কিছুদূরে দাড়িয়ে আছে চাঁদনী।দূর থেকে অপূর্বর কবরটা পরোখ করছে।
বায়েজিদ স্বর্বহারা হয়ে বসে আছে এলিজার কবরের কাছে।
অর্পা ক্লান্ত শরীরে ভাই ভাই বলে কাঁদছে।
‘নিয়তির নিয়মে থমকে গিয়েছে হাজার ও হৃদয়”’‌

(শেষ অংশ) কিছু চরিত্র তুলে ধরা____
জাহাঙ্গীর যে তার ছেলেকে অসম্ভব ভালোবাসতো।তার ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য নিয়েছিল অন্যর প্রান।তার সাথে লোভ সামলাতে না পেরে হাতিয়ে নেয় তার বন্ধুর সম্পত্তি। কিন্তু এই পাপের অনুশোচনার দগ্ধে পুড়েছে সারাজীবন।যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন পাপের অনুশোচনায় দগ্ধ ছিলো।ছিলো না মানসিক শান্তি।পাপ মানুষ কে ক্ষনিকের সুখ দেয় তবে চিরস্থায়ী নয়।

সূর্য নিজের ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে,ভীতিকার থেকে হয়ে ওঠে হা’য়নার মত হিংস্র।
প্রতিশোধের আগুনে তক্ত হয়ে ওঠে।সেই প্রতিশোধের জ্বালে ভুলক্রমে হ’ত্যা করে নিজের প্রানপ্রিয় বন্ধুকে।যে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলো তার আরেক বন্ধুর হাতে মৃত্যু বরন করে।
অতংপর,চলে গেলো নির্দোষ একটি মানুষ তাদের প্রান প্রিয় বন্ধু রায়হান।
ডাঃ ইব্রাহিম যিনি লোভে পরে কেড়ে নেয় একটি প্রান। কিন্তু এই পাপকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নিতে হয়েছিল একাধিক প্রান। টাকার জন্য অন্ধ হয়েছিল, চীপস সহ অনেকে। তাদের মধ্যে কেউ বেঁচে গিয়ে নিজেকে সুদরে নিয়েছে।তো কেউ শাস্তি পেয়েছে।

শ্রাবন “তার ভালোবাসার মানুষটি বেঁচে থাকবে ৬ মাস, জেনেও তাকে বিয়ে করে। অতংপর থমকে যায় তার ও হৃদয়। বেঁচে আছে তার স্মৃতি নিয়ে।
ভাগ্যর নির্মম পরিহাসে যুক্ত হয় মালাইকা।মালাইকা ছিল শান্তিপূর্ণ,ভীতিকার,
মেয়ে।যে অল্প আচেই কেঁদে উঠতো। সামান্য ধমকে বুক কেঁপে উঠতো। কিন্তু,সেই মালাইকা তার পরিবার হারানোর বেদনায় হয়ে ওঠে হিংস্রি এলিজা। প্রতিশোধের বিষাক্ত নেশায় আসক্ত হয়ে যায়। নিয়েছিল একাধিক প্রান। কিন্তু অতংপর থমকে যায় ভালোবাসার কাছে।
যার প্রান নেয়ার জন্য যার চোখে ঘুম আসতো না, কিছু টা সময়ের ব্যবধানে তাকে বাঁচানোর জন্য ঝুলেছিলো, ফাঁসি নামক দড়িতে।

প্রতিশোধ নামক শব্দের জন্য, এলিজা হয়ে উঠেছিল, ”শান্ত থেকে সাংঘা’তিক।
কিন্তু পবিত্র ভালোবাসার জোয়ারে হেরে যায় এলিজা।
নিয়তির নির্মম পরিহাসে,হেরে যায় ভালোবাসার আতশবাজির জোয়ারে।
তার সাথে চিরদিনের জন্য থমকে যায় অপূর্ব নামক মানুষ টি।বেচে থেকেও প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর স্বাদ পাচ্ছিল। অতংপর চলে যায় তার প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে।
একটি ভুলের জন্য থমকে গিয়েছিল হাজার ও জীবন। শেষ হয়েছিল হাজার ও পরিবার।
বর্তমান কর্মের উপর নির্ভর করে আগাম দিনের পরিচ্ছেদ। সময়ের সাথে সাথে মানুষ বদলে যায়।বদলে যায় তাদের আচরন।

এলিজা পর্ব ৯০+৯১

”সময় মানুষ কে শান্ত থেকে করে তুলে সাংঘাতিক ”
”সময় মানুষ কে করে তুলে উত্তম থেকে উত্তাপ ”
সময়ের তারনায় শান্ত নদীর জোয়ার ,তিগ্ন হয় ভারী জোয়ারে”
যে জোয়ার ভাসিয়ে নিতে পারে অন্ধকার থেকেও গহীন অন্ধকার জগতে ”
রুপের ঝলক বৈষম্য মাত্র “সফলতা অর্জন করতে রুপের বাহার প্রয়োজন নেই ”দরকার চেষ্টা _প্রচেষ্টা ”
হাজারো বাঁধা বিপত্তি পার হয়ে সফল হয়েছিল খুশি”
“আমরা নারী চাইলেই পারি”

সমাপ্ত