ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৯

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৯
সারিকা হোসাইন

যুবরাজের শক্ত বাহুডোরে ম্যাগানের নিথর দেহ খানি পড়ে রয়েছে।এইতো কিছুক্ষণ আগেই মেয়েটির প্রাণবায়ু তার দেহ ছেড়ে দূর আকাশে ডানা মেলেছে।মেয়েটা সারা জীবনের জন্য যুবরাজকে অপরাধী বানিয়ে ধরা থেকে বিদায় নিলো।অবলীলায় মেয়েটি বারংবার তার ভালোবাসার কথা ব্যাক্ত করে গেলো যুবরাজের কাছে অথচ যুবরাজ তার প্রতিদান কিছুই দিতে পারলো না।ম্যাগানের মৃত্যুর সাথে সাথেই যুবরাজের চোখ দুটো স্থির হয়ে রইলো।সেগুলো থেকে এখন আর অশ্রু কণা গড়াচ্ছে না।যুবরাজের হৃদয় যেনো হাজার বছরের ভূমিতে পতিত হওয়া শক্ত পাথর হয়ে গেলো নিমিষেই।।তাতে না আছে অনুশোচনা না আছে আফসোস।শুধু বারবার একটা কথাই মাথায় ঘুরছে

“শেরহাম ফাইয়াজ আ উইল কি*ল ইউ এট এনি কষ্ট,আ উইল গিভ ইউ দ্যা বেস্ট পেইন অফ ডেথ ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড।জাস্ট ওয়াইট ফর মি”
ম্যাগান কে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে সারা ঘরে তল্লাশি চালালো যুবরাজ।এই মুহূর্তে আবেগী না হয়ে কিভাবে সার্ভাইভ করা যাবে সেই চিন্তাই যেনো মুখ্য হলো।ম্যাগানের ঘর থেকে প্রথমেই যুবরাজ একটা গাড়ির চাবি পেলো।এটাই যেনো সে চাইছিলো,এরপর না চাইতেও নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে আলমারি খুলে কিছু নগদ টাকা আর ডায়মন্ড এর গহনা নিয়ে নিলো।সব কিছু গুছিয়ে একটা ব্যাগে ভরে ম্যাগানের ফোন খুঁজে বের করে জেল থেকে একসাথে পালানো সেই ক্রিমিনাল এর নম্বর ডায়াল করলো।প্রথম রিং কেটে গেলো কিছুক্ষন রিং হয়ে।যুবরাজ তবুও হতাশ না হয়ে ঝটপট দ্বিতীয় বার সেই নম্বর ডায়াল করলো।
ফোন কেটে যাবে এই মুহূর্তে ফোন রিসিভ হতেই যুবরাজ বলে উঠলো

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“হেই ম্যাক,ইটস ইউভি”
“আই নিড ইউর হেল্প”
ওপাশের ব্যাক্তি যেনো যুবরাজের নাম শুনেই বেশ খুশি হলো।খুশিতে গদগদ হয়ে যুবরাজকে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রদান করে কল কেটে দিলো ম্যাক।
কান থেকে ফোনটা নামিয়ে নিজের পকেটে পুড়ে ম্যাগানের নিথর দেহের দিকে তাকিয়ে যুবরাজ পুনরায় আলমারি খুললো এবং সেখান থেকে বেছে বেছে কালো রঙের একটা গাউন নিয়ে ব্যাগে ভরে ম্যাগান কে কাঁধে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলো।

পার্কিং লটে এসে কী সুইচ প্রেস করতেই ম্যাগানের পার্সোনাল রোলস রয়েস কারটির হেড লাইট জ্বলে বিপ সাউন্ড হলো।
গাড়ির দরজা খুলে ম্যাগান কে শুইয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো যুবরাজ।এরপর রেহানের গাড়ির কাছে এসে দ্রুত রেহানকে কোলে তুলে নিজের পাশের সিটে বসিয়ে সিট বেল্ট বেঁধে মাথায় একটা ক্যাপ পরিয়ে মোটা শীত বস্ত্র দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিলো।
চারপাশে অলরেডি রোদ উঠার উপক্রম হয়েছে।যুবরাজ বারবার শঙ্কিত মনে নানান ভাবনা ভেবে চলেছে।
“রাস্তা কি ক্লিয়ার পাবো?আমাকে যদি পুলিশ আবার এরেস্ট করে নিয়ে যায় তাহলে কি হবে?ম্যাক পর্যন্ত এদের দুজনকে পৌঁছাতে পারবো তো?

নানান ভাবনা ভাবতে ভাবতে হাইওয়ে তে এসে বেশ অবাক হলো যুবরাজ।ইতিমধ্যে সিটি কর্পোরেশন থেকে রাস্তার বরফ পরিষ্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে।চতুর যুবরাজ সতর্কতা অবলম্বন করে গাড়ি চালাতে লাগলো যাতে কারো সন্দেহ না হয়।ধীরে ধীরে শহর ছাড়িয়ে গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে যুবরাজ ছুটে চললো তার নির্দিষ্ট ঠিকানায়।
গন্তব্য পোর্ট নিউইয়র্ক
এদিকে হঠাৎই রেহানের শ্বাসকষ্ট হতে লাগলো।যুবরাজ জানে এই মুহূর্তে কি করতে হবে।কিন্তু তার কাছে কোনো ব্যাবস্থা নেবার অবস্থাই নেই।যুবরাজ গাড়ির স্পিড আরো বাড়িয়ে দিলো।যেকরেই হোক রেহানকে বাঁচাতেই হবে।রেহান না বাচলে যুবরাজ নিজেও হাডসন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিজের এই কুৎসিত দুর্দশা আর হতাশা গ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি নেবে।এই কঠিন ভাবনা ভাবতে ভাবতে অসহায় করুন চোখে রেহানের দিকে দৃষ্টি দিলো।রেহানের অবস্থা ধীরে ধীরে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।সব কিছুই যেনো যুবরাজের হাতের বাইরে।এরই মাঝে ম্যাকের কল এলো।
ঝটপট ফোন রিসিভ করতেই ম্যাক বলে উঠলো

“আর দুই মিনিট পর জাহাজ ছেড়ে দেবে,কোথায় তুমি?
যুবরাজ কোনো প্রতিউত্তর না করে ফোন রেখে সকল ট্রাফিক সিগন্যাল ব্রেক করে পোর্টে প্রবেশ করতেই ম্যাকের লোকজন যুবরাজকে গাড়ি সহ জাহাজের ভেতর ঢুকিয়ে দেবার ইশারা করলো।এদিকে জাহাজও হুইসেল বাজিয়ে পোর্ট থেকে যাত্রা করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে।যুবরাজ তাদের নির্দেশ ফলো করে স্কেলেটর চেপে নিজের জীবনের মায়া না করে একপ্রকার জাম্প করেই জাহাজে উঠতে সক্ষম হলো।
ম্যাকের লোকজনের সহায়তায় দ্রুততার সহিত রেহানকে ধরে একটা বেডে চিৎ করে শোয়ানো হলো।এরপর যুবরাজ দুই হাতের সহিত রেহানের বুকে প্রেস করতে লাগলো।প্রেস করতে করতে এই হিম শীতল পরিবেশে যুবরাজের ঘাম ছুটে গেলো।তবুও রেহানের কোনো অবস্থার উন্নতি হলো না।

“আমি কি কোনো ভাবেই তবে তোকে বাঁচাতে পারবো না রেহান?এতো দূর পর্যন্ত এসে তবে কি কোনো লাভ ই হলো না?
কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বলে আরো কিছুক্ষন বুকে পাম্প করে মুখে কৃত্রিম শ্বাস দিলো।
যুবরাজ যখন হাল ছেড়ে দেবার উপক্রম তখন একজন জাপানি লোক এসে জানালো
“আমাদের জাহাজে অক্সিজেন মাস্ক এর ব্যাবস্থা আছে,চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারো।”
যুবরাজ যেনো ডুবে গিয়েও বেঁচে ফিরলো।
জাপানি লোকের সহায়তায় অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ মাস্ক এনে রেহানকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতেই কিছুটা শান্ত হলো সে।

“রেহানকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে কিছু ইনজেকশন,মেডিসিন আর স্যালাইন ইমারজেন্সি প্রয়োজন,কিন্তু এই সমুদ্রে আমি কোথায় পাবো এগুলো?
বহু কষ্টে আটকে রাখা জল আর ধরে রাখতে পারল না যুবরাজ।না চাইতেও জলের ধারা কপোল গড়িয়ে বুক ভাসিয়ে দিলো।
সবটাই অবলোকন করে ম্যাক বলে উঠলো

“মনে করো আমি আলাদিনের দৈত্য ,তুমি তোমার মনের ইচ্ছে আমাকে জানাও, আমি চেষ্টা করে দেখবো এই কথা বলে তোমাকে শান্তনা দেবেনা। আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সেটা এনে দেবো তোমাকে”
ম্যাকের কথা যুবরাজের অবিশ্বাস্য মনে হলো তবুও একটু আশায় যুবরাজ জানালো রেহানকে বাঁচাতে এই মুহূর্তে কি কি লাগবে।
কিছুক্ষন বাদেই জাহাজের আশেপাশে হেলিকপ্টার দেখে ভয়ে সিটিয়ে গেলো যুবরাজ।একজন মার্ডারের আসামিকে নিউ ইয়র্ক পুলিশ পাতাল থেকে হলেও বের করে আনবে।

“রেহানের অবস্থা সংকটাপন্ন এদিকে ম্যাগানের ফিউনারেল বাকি রয়ে গেছে।এই অবস্থায় আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে এই দুটো মানুষের কি উপায় হবে?
এরই মাঝে দৌড়ে এলো ম্যাক।ম্যাকের উদ্বিগ্নতা দেখে যুবরাজ ভয়ে কেঁদে দেবার উপক্রম হলো।
কিন্তু ম্যাক তার পিঠে চাপড় দিয়ে বললো
“এ গুড নিউজ ফর ইউ”
সুসংবাদ এর কথা শুনে যুবরাজের বুকের পাথর যেনো কিছুটা সড়লো।ম্যাক জানালো

“এখান থেকে তিন মাইল দূরেই একটা ক্রুজ শিপ রয়েছে যেখানে অসুস্থ পেশেন্ট বা নাবিকদে চিকিৎসা দেয়া হয়।এই হেলিকপ্টার এ করে তুমি সেখানে পৌঁছে যাও।আমার জাহাজের একজন লোক যাবে তোমার সাথে,আমি সব কিছুর ব্যাবস্থা করে দেবো।প্লিজ ডোন্ট প্যানিক”
রেহানকে রেডি করতে করতে যুবরাজ অসহায় চোখে ম্যাকের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে
“মেয়েটা আমার জন্য প্রাণ হারিয়েছে।আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার ফিউনারেল করতে চাই”
ম্যাক ব্যাথিত বদনে যুবরাজের হাত ধরে বলে উঠলো
“ডোন্ট ওয়ারি,জাহাজের রেফ্রিজারেটর এ আমি যত্নের সাহায্যে তার দেহ সংরক্ষণ করবো।একটা পবিত্র আত্মাকে ফিউনারেল ছাড়া বিদায় দিতে আমিও সমর্থন করি না।সকল নিয়ম মেনেই ফিউনারেল হবে।আগে যে বেঁচে আছে তাকে বাঁচাও।”

ম্যাক কে থ্যাঙ্কস জানিয়ে রেহান কে হেলিকপ্টার এ তুলে যুবরাজ শেষ বারের মতো ম্যাগানের ফ্যাকাশে মুখ খানা দেখে সিক্ত কন্ঠে বলে উঠলো
“উই উইল মিট এগেইন,আ উইল ডু ইউর ফিউনারেল বাই মাইসেলফ,প্লিজ ডোন্ট বি এঙরী”
কথাগুলো বলতে বলতে যুবরাজের গলা ধরে এলো,বারবার মেয়েটির সুন্দর মিষ্টি হাসি মাখা মুখশ্রী চোখের সামনে ভেসে উঠছে।বড় বড় নীল চোখের পাপড়ি ঝাপ্টানো আর ধীর কণ্ঠে নম্র ভাবে কথা বলার ধরন।সব মিলিয়ে যুবরাজের মন বেদনার নীল কষ্টে বিষিয়ে উঠলো।

“তোমার প্রতি আমার সাময়িক ভালোলাগা ছিলো ম্যাগান গ্যাব্রিয়েলা, সেই ভালোলাগা থেকে বাকি অসাধু পুরুষদের মতো সামান্য ফ্লার্টিং করার ইচ্ছেও জেগেছিলো।কিন্তু বিশ্বাস করো তোমার মায়াবী মুখশ্রী দেখে আমার বিবেক আমাকে বাধা দিয়েছে।আমি নিজেকে কঠিন শাসনে বেঁধে নিয়েছিলাম।কখনো তোমাকে নিয়ে বাজে কোনো চিন্তা পর্যন্ত করিনি।অথচ আমাকে ভালোবাসার অপরাধে কঠিন দণ্ডে দণ্ডিত হলে তুমি।তুমি ভুল মানুষকে ভালোবেসে ছিলে ম্যাগান।আম সরি”

গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া জল গুলোকে আঙুলের সহায়তায় মুছে ম্যাকের সহায়তায় জাহাজের নিচের একটা ফ্রিজের ড্রয়ারে কাপড়ে মুড়িয়ে নাকে তুলো গুঁজে ম্যাগান কে কাঁপা হাতে ভরে দরজা লাগিয়ে উপরে উঠে এলো যুবরাজ।দ্বিতীয় বারের জন্য যুবরাজ আর পিছনে তাকিয়ে সেই বিষাদ ময় স্মৃতি দেখার ইচ্ছে পোষন করলো না।ম্যাগান কেবল যুবরাজের কালো বিষাদি অধ্যায় হয়ে রইলো।

বিশাল বড় মেডিকেল ক্রুজ শিপটিতে সকল ধরনের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট এ পরিপূর্ণ।যুবরাজ নিজের পরিচয় দিতেই ভেতরে থাকা আরো দুজন স্পেশালিষ্ট সার্জন বেরিয়ে এলো।এরা মূলত সমুদ্রে থাকা নাবিক,জাহাজের যাত্রী এবং কোস্ট গার্ডদের চিকিৎসা করে থাকেন।এই জাহাজ গুলোতে অপারেশন থিয়েটারে থেকে শুরু করে সকল প্রকারের মেডিসিন সহ আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান।
রায়াফের সমস্ত শারীরিক কন্ডিশন সেই ডাক্তার দুটোকে খুলে বললো যুবরাজ।সেই অনুযায়ী তারা রায়াফকে চিকিৎসা দিতে ব্যাতিব্যাস্ত হলো।

প্রথমেই রায়াফের হার্ট পালস রেট পজিশনে আনার জন্য সিপিআর দেয়া হলো।বার বার লুব্রিকেন্ট লাগিয়ে শক দেবার পরেও রায়াফের অবস্থার কোনো উন্নতি হলো না।এদিকে যুবরাজ হার্টের ব্লাড ফ্লো বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন দিয়ে সবকিছু আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে।লাস্ট বারের মতো একজন সহযোগী ডক্টর সিপিআর দিতেই রায়াফের নিভু নিভু প্রাণ প্রদীপ কিছুটা সচল হলো।যদিও ঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সক্ষম হলো না রেহান।
পাশে থাকা একজন প্রবীণ ডক্টর যুবরাজকে কাঁধ চাপড়ে বলে উঠলো

“দেখুন ডক্টর ইউভি আপনি নিজেই একজন হার্ট স্পেশালিষ্ট।আপনাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলার কোনো বিষয় নেই।তবুও আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে উনাকে লাইফ সাপোর্ট এ রাখা প্রয়োজন।উনার সিচুয়েশন কেমন যেনো আমার ভালো লাগছে না।আর উনার চেহারার যেই অবস্থা তাতে আমার মনে হয় না উনি সারভাইভ করতে পারবে।আর তাছাড়া উনাকে এভাবে রাখাও যাবেনা।তাই আমার মনে হয় উনাকে লাইফ সাপোর্ট এ রেখে উনার শারীরিক কন্ডিশন এর রিপোর্ট করে তারপর ট্রিটমেন্ট করা উচিত।আদৌ উনি ব্রেন ডেথ কিনা সেটাও জানা জরুরি..অতিরিক্ত ঠান্ডায় তার রক্তনালী সংকুচিত হয়ে হার্টে ঠিক ভাবে ব্লাড ফ্লো হতে পারছে না এখন যদি করোনারি আর্টারি ব্লক হয় উনি হার্ট এট্যাক করবে।

ডক্টর এর বলা কথা গুলো যুবরাজ মন দিয়ে ভেবে কিছু ক্ষণ চিন্তা করলো এরপর আহত কন্ঠে বলে উঠলো
“ডক্টর রেহান যেই সিচুয়েশন থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরেছে সেই সিচুয়েশনে কারো বেঁচে থাকা পসিবল নয় ডক্টর ।ও বাঁচবে,ওকে বাঁচাতে আমি সব কিছু করতে প্রস্তুত আছি ।আপনি ওর ট্রিটমেন্ট এর ব্যাবস্থা করুন।ওকে লাইফ সাপোর্ট দিন।ও কখনোই ব্রেন ডেথ নয়।

একটানা সাত ঘন্টা ঘুমানোর পর শেরহামের হঠাৎ করেই ডক্টর রেহানের কথা মনে পড়লো।চট করে শোয়া থেকে উঠে মনে মনে বলে উঠলো
“আরে সালাকে না মে*রেই তো চলে এসেছি,একবার গিয়ে দেখে আসবো নাকি বেঁচে আছে নাকি ম*রে গেছে?
রেহানের কাছে যাবার জন্য ঝটপট রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো শেরহাম।ড্রয়িং রুমে বসে বসে সুবহান শেখ দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আর টিভি দেখছেন।
“এই অসময়ে কোথায় যাচ্ছ নাকি?
“যুবরাজকে একটা বড় ধাক্কা দিতে যাচ্ছি পপস”

“এটর্নির সাথে ভালো করে কথা বলেছো?যুবরাজ কি কোনো ভাবে বেল নিতে পারবে?
“না,যুবরাজকে আজীবন জেলে পঁচেই মরতে হবে”তুমি চিন্তা করো না।আমি সব সামলে নেবো।
“চিন্তা কি আর সাধে করি?তোমার দাদুর সম্পত্তির ফিফটি পার্সেন্ট যুবরাজের মা নবনীতা কে দিয়ে গেছে।একমাত্র ছেলে হিসেবে যুবরাজ ই সব কিছুর মালিক হবে এটাই স্বাভাবিক।যুবরাজ বেঁচে না থাকলে তবেই তুমি রাজত্ব করতে পারবে সাদাফের সম্পত্তি পর্যন্ত হাতাতে পারবে।

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৮

“যুবরাজের অস্তিত্ব আমি মাটির সাথে মিশিয়ে দেবো পাপা,প্লিজ অযথা চিন্তা করো না।
হঠাৎই টিভির ইংলিশ চ্যানেলের খবরে চোখ আটকে গেলো বাবা ছেলের।
“ডক্টর ইউভি এস্ক্যাপড ফ্রম জেল”

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ৩০