ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ৩৪

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ৩৪
সারিকা হোসাইন

চলছে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময় ,প্রকৃতি ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদল করে চলেছে।এই তীব্র অস্বস্তিকর রোদ আর গরম তো এই বৃষ্টি।প্রকৃতির এই রূপ বদলের সাথে সাথে মানুষের মন মেজাজের ও যখন তখন পরিবর্তন ঘটেছে।রোদের তেজের সাথে পাল্লা দিয়ে রাগের পারদ তর তর করে বাড়তে থাকছে আবার মেঘ বৃষ্টির শীতলতায় ধীরে ধীরে মনে ফুরফুরে হাওয়া বইছে।
শেরহাম যখন রেজোয়ান চৌধুরীর বাড়ির প্রধান ফটকে এসে দাঁড়ায় তখন আকাশে ঝকঝকে রোদ আর প্রখর তার তেজ।কিন্তু যুবরাজ আসার সাথে সাথেই তেজী রোদ মেঘের তলে লুকিয়ে বৃষ্টির সৃষ্টি করার ফন্দি এটেছে ।শুধু কি তাই?গুড় গুড় শব্দে থেকে থেকে মেঘের গর্জনে চারপাশ ভারী করে তুলছে।
রায়াফের সাথে কথা বলার মাঝখানে পরিচিত কন্ঠস্বর পেয়ে শেরহাম ঘাড় ঘুরিয়ে দরজায় দৃষ্টি ফেলতেই মুখে ফিচেল হাসি ঝুলানো যুবরাজ কে দরজার চৌকাঠে দুই হাতে ভর দিয়ে সামান্য ঝুকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলো।

আকস্মিক যুবরাজের এমন হাসিখুশি চেহারা দেখেই শেরহামের মস্তিকের পিটুইটারি গ্রন্থিতে রক্ত ছলকে উঠেলো।তবুও সকলের সামনে নিজের হিংস্রতা প্রকাশ না করে দাঁতে দাঁত চেপে সমস্ত রাগ গিলে নিলো মুহূর্তেই।
যুবরাজকে দেখতে পেয়ে রায়াফের বুকের উপর চাপা দেয়া পাথরটা যেনো নিমিষেই সরে গেলো।কিছুক্ষন আগেও যেই শ্বাস টা থমকে গিয়েছিলো নিমিষেই সেটা সচল হলো।ঠান্ডা অবহায়াতেও তার চিবুক বেয়ে দরদর করে ঘাম গড়িয়ে পড়তে লাগলো সমানে।
রায়াফের এমন বিধস্ত অবস্থা দেখে যুবরাজ স্মিত হাসলো।এরপর নিজের পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে রায়াফের চিবুক থেকে আলতো হাতে ট্যাপ ট্যাপ করে ঘাম গুলো মুছে বলে উঠলো
“এতো ভয় পেলে চলে শালা সাহেব?ভয় গুলো সব আমার উপর ছেড়ে দিয়ে একটু রিল্যাক্স তো থাকতে পারিস নাকি?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

যুবরাজ আর রায়াফের এমন অদ্ভুত আচরণ কারোরই বোধগম্য হচ্ছে না।এখানে রাজ্য পুরোপুরি নির্বাক হয়ে মিসেস তনুজার হাত চেপে দাঁড়িয়ে রয়েছে।রেজোয়ান চৌধুরী শেরহামের আগমন সম্পর্কে অবগত কিন্তু এই অদ্ভুত ছেলের আগমনের উৎস কি?
মিসেস তনুজা বহু কষ্টে নিজের গলার আওয়াজ বের করে নিভু নিভু কন্ঠে শুধালেন
“তোমাকে তো চিনতে পারলাম না বাবা!”
মিসেস তনুজার প্রশ্নে যুবরাজ ভড়কে না গিয়ে প্যান্টের পকেটে দুই হাত গুঁজে খানিক মেপে হাসলো।এরপর তনুজার সামনে এগিয়ে এসে ভারী কন্ঠে সকলের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো

“আমি আপনাদের মেয়েকে ভালোবাসি,শুধু আমি ই নই সেও আমাকে ভালোবাসে।আর আপনাদের মেয়ের অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ সব আমি।রাজ্য আমার না হলে আর কারো হতে পারবে না।সাফ সাফ কথা বলতে আমি খুব পছন্দ করি।একপ্রকার নির্লজ্জ্ব ও ভাবতে পারেন।তাতে আমার কিচ্ছুটি যায় আসে না।কিন্তু রাজ্যই আমার বউ হবে এটাই শেষ কথা।সেই ছোট থেকে দেখে দেখে রাখছি।সার বিষ পানি দিয়ে গাছ বড় করেছি আমি আর ফল অন্য কেউ খেয়ে চলে যাবে তা কি করে হতে দেই বলুন?”
যুবরাজের এমন অবলীলায় রাজ্য সম্পর্কে বলা কথায় শেরহামের যেনো গায়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো।বহু ক্ষণ ধরে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখা ক্রোধ লাগামহীন হলো।অধৈর্য শেরহাম শক্ত হাতের মুষ্টিতে যুবরাজের দিকে এক ঘুষি উঁচিয়ে বলে উঠলো

“এটা তোর ভাবি হবে বাস্টার্ড”
শেরহামের উন্মাদনা অবস্থায় যুবরাজ ক্রুর হেসে সাইডে সরে যেতেই সেই ঘুষি গিয়ে পাশের দেয়ালে লাগলো।ঘুষির পাউন্ড এতোই শক্তিশালী ছিলো যে ওয়াল থেকে কিছুটা চটচটে সিমেন্ট রঙ সমেত উঠে গেলো।
এটা দেখে রেজোয়ান চৌধুরী আর মিসেস তনুজা ভয়ে সামান্য কেঁপে উঠল।তারা দুজনেই রায়াফের দিকে তাকিয়ে আসল ঘটনা বুঝার চেষ্টা করলেন।রায়াফ চোখের ইশারা দিতেই রাজ্যকে নিয়ে মিসেস তনুজা এবং রেজোয়ান চৌধুরী দূতলার সিঁড়ি ধরে উপরে উঠে গেলেন।
এদিকে শক্ত দেয়ালে চোট পেয়ে শেরহামের হাত ফেটে ঝরঝর করে উষ্ণ তরল ধারা প্রবাহিত হতে লাগলো।সেটা দেখে যুবরাজ হো হো শব্দ তুলে হেসে বলে উঠলো
“তোর হবু বউয়ের সর্বাঙ্গে আমার উষ্ণ স্পর্শ জড়িয়ে আছে মামাতো ভাই!আমার এটো করা খাবার খেতে তোর রুচিতে বাধবে না?”

যুবরাজের এমন কথায় শেরহাম হিংস্র ক্ষিপ্ত বাঘের ন্যায় গর্জে উঠলো।রাগে তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।যুবরাজকে আক্রমন করার উদ্দেশ্যে সমানে ফুঁস ফুঁস করে শ্বাস নিতে লাগলো।কিন্তু সেসবে পাত্তা না দিয়ে যুবরাজ পুনরায় বলে উঠলো
“ম্যাগান আমার কেউ ছিলো না তবুও তুই তাকে মে*রেছিস,কিন্তু রাজ্য আমার দীর্ঘ বছরের ভালোবাসা তাকে তুই ছুঁয়েও দেখতে পারিস নি।কতো বড় ব্যার্থতা এটা তোর একবার ভেবে দেখেছিস?

বলেই পুনরায় যুবরাজ প্রচন্ড খুশিতে ফেটে পড়লো।যুবরাজের এহেন দুধর্ষ সাহসিকতায় শেরহাম টেবিলের উপর থাকা ফলের ঝুড়ি থেকে একটা চাকু নিয়ে যুবরাজের দিকে তেড়ে গেলো।শেরহামের এমন বোকামি দেখে যুবরাজ মুখে ক্রুর হাসি ঝুলিয়ে শেরহাম কে পাল্টা আক্রমণ করে বসলো।শেরহাম কিছু বুঝে উঠার আগেই থাবার ন্যায় শক্ত হাত মুষ্টি পাকিয়ে একের পর এক ঘুষি বসিয়ে দিলো শেরহামের মুখ বরাবর।মুহূর্তেই শেরহামের ঠোঁট কেটে ফিনকি দিয়ে র*ক্ত ছুটে গেলো।তবুও শেরহাম দমার পাত্র নয়।সেও সুযোগ বুঝে যুবরাজকে চাকু দিয়ে গভীর এক পোচ বসিয়ে দিলো।এতে যুবরাজের রাগ সপ্তম আকাশে ছুলো।

কায়দা করে শেরহামের সামনের চুল গুলো মুঠ পাকিয়ে ধরে গম্ভীর ভারী কন্ঠে হিসহিসিয়ে বলে উঠলো
“তোকে আমি এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দেবো না মামাতো ভাই।তোকে টর্চার করে তোর বাপ কে এখানে আনবো আমি।তোর সাথে আমার খেলা পরে হবে।আগে তোর বাপের কোরবানিটা করে নেই।তুই কি ভেবেছিস আমার হেল থেকে পালিয়ে আমাকে ডজ দিয়েছিস?আরে পাগল মামাতো ভাই আমি ই নিজেই তোকে পালানোর সুযোগ দিয়েছি।যেদিন আমি সদিচ্ছায় তোকে বন্দি করবো সেদিন আর নিস্তার পাবিনা।
কথা গুলো বলেই শেরহামের মাথা থেকে এক মুঠ চুল তুলে এনে ফু দিয়ে হাওয়ায় উড়িয়ে দিলো যুবরাজ।
যুবরাজের থেকে এমন নাস্তানাবুদ হয়ে সমানে নিজের মাথায় নিজেই আঘাত করতে লাগলো শেরহাম। এরপর পাগলের মতো বলতে লাগলো―

“আমি তোকে ছাড়বো না যুবরাজ,আমি কক্ষনো তোকে ছাড়বো না।রাজ্য আমার হবে।তোর থেকে রাজ্য কে ছিনিয়ে নিয়ে আমি তোকে আবারো নারকীয় কষ্ট দেবো।আমাকে চিনতে তুই বড্ড ভুল করেছিস।তুই আবারো সারা জীবন পস্তাবি।তোর ক্যারিয়ার এর মতো তোর লাইফ ও আমি একদম ফিনিসড করে দেবো দেখিস।
শেরহাম কে কথা গুলো শেষ করতে না দিয়েই পুনরায় নিজের থাবা যুক্ত হাত দিয়ে সজোড়ে শেরহামের গলা চেপে ধরলো যুবরাজ।এরই মাঝে দ্রুত পদে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এলো রাজ্য।শেরহাম আর যুবরাজের এমন ধস্তাধস্তি দেখে তার চোখ কপালে উঠে গেলো।

পুরো ড্রয়িং রুমের এলোমেলো অবস্থা সেই সাথে সাথে মেঝে জুড়ে রক্তিম পদার্থের হুটোপুটি।
রাজ্যকে দেখতে পেয়ে শেরহাম নিজেকে যুবরাজের হাত থেকে ছড়ানোর বেশ চেষ্টা চালালো।কিন্তু অসুর সম যুবরাজের সাথে না পেরে বহু কষ্টে ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বলে উঠলো
“প্লিজ সেভ মি,হি ইজ এ কিলার!আই হ্যাভ প্রুফ”
যুবরাজের এমন ক্রোধিত চেহারা রাজ্য এর আগে কখনো দেখেনি।যুবরাজকে আজকে পুরোটাই অন্য ধাঁচের মানুষ মনে হচ্ছে রাজ্যের কাছে।রাজ্য যুবরাজের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো
“এ কোন যুবরাজকে দেখছি আমি?আমি কি এই যুবরাজকে ই ভালোবেসে ছিলাম?এতোটা হিংস্র কবে কবে হয়েছে সে?

শেরহামের দম যখন প্রায় নিভু নিভু তখন রায়াফ এগিয়ে এসে যুবরাজের হাত খামচে ধরে বলে উঠলো
“ম*রে যাবে প্লিজ ছেড়ে দে।”
যুবরাজ রায়াফের হাত ঝটকা দিয়ে সরিয়ে গর্জে উঠলো
“তোকে ছেড়ে ছিলো?
শেরহামের জিভ যখন অনেক খানি বেরিয়ে এলো তখনই শেরহামের গলা ছেড়ে দিয়ে মেঝেতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো যুবরাজ।ধাক্কার টাল সামলাতে না পেরে হাটু মুড়ে ফ্লোরে বসে গেলো শেরহাম সেই সাথে অনবরত জোরে জোরে কাশতে লাগলো।সেই অবস্থাতেই যুবরাজ শেরহামের সামনে হাটু গেড়ে বসে রায়াফের দিকে আঙ্গুল তাক করে শুধালো
“ও কে জানিস?

শেরহাম কাশির চোটে কথাই বলতে পারছে না।শেরহাম কথা না বলাতে যুবরাজের রাগ আরো বেড়ে গেলো। পুনরায় গর্জে উঠে একই প্রশ্ন করতেই রায়াফ রাজ্য দুজনেই কেঁপে উঠলো।
যুবরাজের প্রশ্নের উত্তরে শেরহাম কিঞ্চিৎ মাথা নাড়িয়ে বুঝালো রায়াফ কে তা সে জানেনা।
যুবরাজ শেরহামের হাত মোচড়ে ধরে বলে উঠলো
“ডক্টর রেহান চৌধুরী যাকে তুই প্রাণে বাঁচিয়ে রেখে চরম বোকামি করেছিস”!
যুবরাজের মুখে রেহানের নাম শুনে বিস্ফারিত নেত্রে রায়াফের দিকে তাকালো শেরহাম।লম্বা চওড়া সুদর্শন রায়াফের দিকে অবিশ্বাস্য নজরে কিছুক্ষন তাকিয়ে বলে উঠলো
“তোদের দুজনকে আমি আবার শেষ করবো যুবরাজ শাহীর,এবার আর বাঁচতে পারবি না”
সাথে সাথেই যুবরাজ শেরহামের কলার চেপে ধরে দাঁড় করিয়ে টেনে হিচড়ে বাড়ির বাইরে বের করে এনে শক্ত গলায় বলে উঠলো

“আর কিচ্ছুটি করতে পারবি না তুই ।আর আমি যে তোকে এভাবে মেরেছি এটা তোর বুড়ো শয়তান বাপ কে বলে দিস।এটাও বলবি ওই বুড়োর শীতল র*ক্ত খাওয়ার জন্য আমি অনেক পিপাশিত।”
দুজন সম বয়সী যুবকের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে কখন মেঘ ফুঁড়ে বৃষ্টি পতিত হয়েছে ধরনীতে এটার খবর কেউ রাখেনি।বাহিরে ভারী বর্ষণ ঝড়ে যাচ্ছে বিরামহীন ভাবে।সেই সাথে বিকট বজ্রপাত।এমন অবস্থায় শেরহাম কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বৃষ্টিতে নামিয়ে দিলো যুবরাজ।শেরহাম যখন বৃষ্টিতে ভিজে যুবরাজের দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলো সেই সময় রায়াফ এসে যুবরাজকে ভেতরে টেনে নিয়ে ধাম করে দরজা লাগিয়ে দিলো।

রেজোয়ান চৌধুরীর ড্রয়িংরুমে শান্ত হয়ে বাড়ির প্রত্যেক সদস্য সমেত যুবরাজ পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে।
রায়াফ তার মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা একে একে সবিস্তারে সকলকে খুলে বলে দম ফেললো।
চিন্তিত বিরস মুখে রেজোয়ান চৌধুরী নানান ভাবনা ভেবে চলেছেন আর মিসেস তনুজা আঁচলে মুখ গুজে কেঁদে চলেছেন।রাজ্য কাকে কিভাবে শান্তনা দেবে সেটাই যেনো ভেবে পেলো না।সকলেই যখন নীরবতা পালনে ব্যাস্ত ঠিক সেই সময় সমস্ত নীরবতা ভঙ্গ করলো যুবরাজ।

“আপনাদের কারো কোনো অমত না থাকলে আমি আজই রাজ্যকে বিয়ে করতে চাই,শেরহাম কে একদম ভরসা নেই।নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য পৃথিবীর যেকোনো নিকৃষ্ট কাজ করতে সে এক সেকেন্ডের জন্যও দ্বিধানিত হবে না”
রেজোয়ান চৌধুরী সমানে কপালে স্লাইড করে আসন্ন পরিস্থিতি ভাবতে লাগলেন।মিসেস তনুজা নিরুপায় হয়ে সোফায় হেলান দিয়ে দুই চোখ বন্ধ করে বসে রইলেন।রাজ্য কিছু বলবে কি বলবে না সেই ভাবনায় মত্ত হলো।
“বাবা যুবরাজ খুব ভালো ছেলে,আর মানুষ হিসেবেও অমায়িক।আজ এই যুবরাজের জন্যই তোমরা তোমাদের ছেলেকে নতুন করে ফিরে পেয়েছো।রাজ্যের খেয়াল যুবরাজ খুব ভালো ভাবে রাখতে পারবে।আমরা একটা ট্র্যাপে পরে গেছি বাবা।শেরহাম হিংস্র থাবা মেলার আগেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
কথা গুলো বলে রেহান রেজোয়ান চৌধুরীর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো।কীয়তখন বাদে মিসেস তনুজা ধীর কন্ঠে বলে উঠলো

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ৩৩

“রেহানের বাবা কিসের এতো ভাবনায় মগ্ন হয়েছো তুমি?ওই ছেলেকে প্রথম থেকেই আমাদের ভালো লাগেনি।ওর চোখের দৃষ্টি কতো অদ্ভুদ।এই ছেলের থেকে রাজ্যকে যত দূরে রাখা যায় ততই মঙ্গল।আর যুবরাজকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।আমরা সবাই রাজি।
স্ত্রীর কথা শুনে হুঁশে ফিরলেন রেজোয়ান চৌধুরী।যুবরাজের দিকে দৃষ্টি মেলে চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠল
,”আজ রাতেই বিয়ে,তোমার বাবা মায়ের সাথে আমাদের যোগাযোগ করবার ব্যাবস্থা করো”

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ৩৫