কাজলরেখা পর্ব ৭
তানজিনা ইসলাম
আঁধারের খুব গায়ে লেগেছিলো চাঁদনীর কথাগুলো।ওর খেয়ে ওর বাড়িতে থেকে ওর মুখে মুখে উত্তর দেওয়া, অপমান করে কথা বলার সাহস কোথায় পায় মেয়েটা? আঁধার কী একটু বেশিই লাই দিয়ে ফেলে? মাথায় উঠে গেছে তাই?না, আর বাড়তে দেওয়া যাবে না মেয়েটাকে। এতো কীসের দেমাগ ওর? আঁধার জানতো সুন্দরীদের একটু দেমাগ থাকে, কিন্তু এর তো রূপের র ও নেই। বন্ধুবান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশির সামনে লজ্জায় পরতে হয় চাঁদনী কে পরিচয় করাতে।
আঁধার যখন এসব ভাবতে ভাবতে কিচেনে গেলো,ফ্রিজ খুলে বুঝতে পারলো চাঁদনী দুপুরে খায়নি। আঁধার তবুও চাদনী কে রাতের খাবার খেতে ডাকলো না।এতো নখরা উঠাতে পারবে না ও।খিদে লাগলে নিজে এসে খেয়ে নেবে।এতো নাটক দেখার সময় নেই ওর।এমনিতেই জীবনে অশান্তির শেষ নেই ওর।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আঁধার যখন খেয়ে উঠে চলে গেলো, তখন চাঁদনী কিচেনে এলো।ওর পেট ভীষণ অশান্ত। খিদের জ্বালা বড়ো জ্বালা।
এখানে রেগে থাকা মানে নিজেকে নিজে কষ্ট দেওয়া। এর চেয়ে নিজের ভাগটুকু নিজে বুঝে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।চাদনী গপাগপ ভাত খেলো।পাছে আবার আঁধার চলে আসে।ইদানীং ওর উপস্থিতিও চাদানীর জন্য কেমন অশান্তির, অপমানের।আঁধারের বিষবাক্য চাঁদনীর বুকে জ্বলন ধরিয়ে দেয়।নিজের অস্তিত্ব, খামতি গুলোর উপর প্রশ্ন তোলে।কিচেনের সবকিছু গুছিয়ে চাদনী বেরিয়ে এলো।সিড়ি কাছে এসে দেখলো আঁধার চ্যাম্প কে খাবার দিচ্ছে। চাদনী তাচ্ছিল্য করে হাসে। আসলেই আঁধার ঠিক বলেছিলো, এ বাড়িতে একটা কুকুরের যা দাম আছে ওর সেটুকু দামও নেই।কুকুর কে হাতে নিয়ে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে অথচ ওঁকে ডাকতে পর্যন্ত মানুষের ইগো হার্ট হয়।আঁধার কে পাশ কাটিয়ে উপরে উঠতে গেলো চাঁদনী।
-“সরি চাঁদ!”
চাঁদনী থেমে যায়।পিছু না ফিরেই বলে
-“কী বললে? শুনতে পেলাম না!”
-“সরি বলেছি!”
-“কেন?”
-“খারাপ লাগছে আমার।তোকে ইদানীং বেশিই কথা শোনাচ্ছি আমি।”
-“জুতো মেরে গরুদান করছো?”
-“ব্যাপারটা তেমন না। তুই কী ভাবিস আমাকে নিয়ে সেটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই।বাট তুই বেশি মুখে মুখে কথা বলিস। রাগ লাগে আমার।মুখটা একটু বন্ধ রাখা দরকার তোর!তাহলেই আমি তোকে কথা শোনাবো না আর।”
-“মানে তুমি আমাকে যা ইচ্ছা তাই বলবা আর আমি চুপ থাকবো। আমার কিছু বলা যাবে না চুপ করে তোমার খোঁটা শুনতে হবে।”
-“মিথ্যা বলি একটা কথাও? তুই নিজেই বল তুই কী খুব সুন্দরী? যে আমার তোকে নিয়ে মিথ্যা প্রশংসা করতে হবে? সত্যি কথা সহ্য করতে পারিস না সেটা আমার দোষ। আমি কখনোই তোকে খোঁটা দিই না, বেস সত্যি টা বলি যে তুই কালো।মিথ্যা প্রশংসা করে তোকে খুশি করে লাভ আছে বল!”
চাদনী মাথা নোয়ায়।ঠোঁটের কোণে ছড়ায় বিষাদ হাসি। ঠোঁট গুলো কাঁপছে। কান্না পাচ্ছে ভীষণ ভাবে।চাদনী কাঁদে না। আঁধার আবার বললো
-“কাল আসার সময় ফোন নিয়ে আসবো।সকালে বুয়া আসবে।তোর একা লাগবে না আর।”
চাদনী চুপ করে থাকলো কিছু বললো না।
-“তোর রাতে একা ভয় লাগে?” আঁধারের মনোযোগ চ্যাম্পের দিকে।
-“না!”
-“লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাস দেখি। বুয়া রাতে থাকবে। ভয় লাগবে না আর তোর!”
-“আগেও থাকতো?”
-“না, তুই ভয় পাস তাই থাকবে।”
-“আমার জন্য চিন্তা করছো দেখি অনেক?”
তাচ্ছিল্য করে বললো চাদনী।আঁধার খরখরে গলায় বললো
-“কারণ আমি তোর কথা ভাবি। ভালোবাসি তোকে!”
চাদনী এবার পিছনে ফিরে তাকালো আঁধারের দিকে।পাংশুটে মুখে বললো
-“ভালবাসাে?এটা কেমন ভালোবাসা? ভালোবাসার মানুষের সাথে এমন বিহেভিয়ার করা যায়?”
-“আমি তোকে ভালোবাসি তবে বউ হিসেবে না। এটা অন্যরকম ভালোবাসা!”
-“তোমার কোনোরকম ভালোবাসা লাগবে না আমার আঁধার ভাই।যে ভালোবাসা বারংবার আমার কমতি গুলো নিয়ে খোঁটা দেয়,আমাকে অপমান করে সে ভালোবাসা আমার চাই না।আমি শুধু মুক্তি চাই এ সম্পর্ক থেকে।”
আঁধার মাথা তোলে। কথাটা তেমন প্রভাব ফেললো না বোধহয় ওর উপর।ও আগের মতোই গুমোট স্বরে আওড়ালো
-“তুই পরের জন্মে ফর্সা হয়ে জন্মাস চাঁদ, আমি তোকে সে জন্মে বউ হিসেবেই ভালোবাসবো।”
-“পরের জন্ম বলতে কিছু হয়না।”
-“তাহলে এই এক জীবনে তোকে আমার আর ভালোবাসা হলো না।”
চাদনী নিষ্প্রাণ দৃষ্টিতে তাকালো আঁধারের দিকে।খুবই ধীরে,চার পাঁচ সিড়ি উপরে উঠলো।পা দু’টো চলছে না ওর। ইদানীং ওর নিজেকে পাথর মনে হয়। মনে হয় যেন ও একটা যন্ত্রমানব, যার কোনো অনুভূতি নেই।তবে চাদনীর অনুভূতি এখনও কিছুটা জীবিত আছে।মাঝেমাঝে ওর ভীষণ কান্না পায়, চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। তবে এই পাষাণ মানুষটার সামনে ও নিজের কান্না গিলে ফেলে, শক্ত দেখানোর চেষ্টা করে নিজেকে। মানুষটা ওঁকে ভাঙতে দেখলে জোড়া লাগাতে আসবে তো দূর উল্টো আরো ভেঙে দিয়ে চলে যাবে।
পরের দিন বুয়া এলেও তার সাথে চাদনীর তেমন কোনো কথাই হলো না। সে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলো।চাদনী উদাস হয়ে বসে থাকলো এক জায়গায়। বেলকনিতে গিয়ে গতকালকের মেয়েটার খোঁজ করলো। না পেয়ে চাদনীর মন খারাপ হয়। মেয়েটা বলেছিলো গল্প করবে ওর সাথে, ও যাতে বিকেলে গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়ায়।চাদনী দাঁড়িয়ে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। অপেক্ষা করে মেয়েটার আসার। মেয়েটা এলো না।হয়তো ভুলে গেছে ওর কথা।সবাই খালি ভুলে যায় ওঁকে।
সন্ধ্যায় আঁধার চাঁদনীর জন্য ফোন নিয়ে এলো।চাঁদনী তেমন কোনো উৎফুল্লতা দেখালো না।ওর চঞ্চলতা কমে গেছে ইদানীং।আধার নিজেও সেটা খেয়াল করে, কিন্তু বলে না কিছু।চাদনী সারাদিন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে।কথা বলে না কারো সাথে। সারাদিন এক কোণায় বসে ফোন দেখে। আকিব শিকদারের সাথে কথা বলে।মোবাইল দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে টিভি খুলে বসে।কার্টুন দেখে।একা থাকতেই যেন সাচ্ছন্দ্য বোধ করে ও।
আঁধারের খারাপ লাগে ওর এই অবস্থা দেখে।রিগরেট হয়। চাদনী এমন ছিলো না। আঁধার ওঁকে এমন বানিয়ে ফেলেছে।কথা বলতে গেলেই আধার ওর গায়ের রং নিয়ে খোটা দিত।বুঝিয়ে দিতো কতোটা ঠেকায় পরে এ বিয়েটা করতে হয়েছে ওঁকে।
চাদনী আর শুনতে চায় না সেসব।মানুষের ধৈর্য্যের একটা লিমিট আছে।চাঁদনীর সে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।আঁধারের সাথে একেবারেই কথা বলা কমিয়ে ফেলেছে মেয়েটা।বলেই না ধরতে গেলে।
একই বাড়ির সদস্য দুজন।অথচ যোজন যোজন দূরত্ব দু’জনের মধ্যে। এ দুরত্বটা চাদনী নিজেই তৈরী করেছে।
চাদনী গ্রাম-গঞ্জে মুক্ত পাখির মতো বড়ো হওয়া একটি মেয়ে।যার জীবনের সতেরোটা বসন্ত কেটেছে মুক্ত বাতাসে।
আঁধার সকালে বেরিয়ে যায়, চাঁদনী কে বন্দি করে। এরপর থেকে কাটে চাদনীর বন্দী জীবন।চাঁদনী উড়ার জন্য পালক ঝাপটায়। কিন্তু এই বদ্ধ ঘর ওঁকে বন্দী করে ফেলে, দম বন্ধ হয়ে আসে ওর।চাদনী উদাস হয়ে বেলকনিতে বসে থাকে। রেলিংগুলো শিকল মনে হয় ওর কাছে। মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে চাদনীর যন্ত্রণাগুলো আরো বেড়ে যায়।সৃষ্টিকর্তার উপর ভীষণ অভিমান জমে।কেন এ বন্দী জীবন, ভালোবাসাহীন সংসার সে দিলো চাদনী কে।এ বিশাল পৃথিবীতে একটা মানুষ ওঁকে ভালোবাসার নেই।
-“উপরওয়ালা, আমাকে রূপ দিলা না, একটু ফর্সা গায়ের রং দিলা না,কারো ভালোবাসা পাওয়ার ভাগ্যও দিলা না।
খালি দিলা চোখ ভর্তি কান্না, প্রাপ্তির খাতায় শূণ্যতা আর একটা মন্দ ভাগ্য!”
পনেরো দিন এভাবেই কাটলো।আজ চাঁদনীর রেজাল্টের দিন।চাদনী চিন্তায় চিন্তায় সকালের খাবার পর্যন্ত খেতে পারেনি।রাতেও তেমন একটা ঘুম হয়নি ওর।ভালো একটা কলেজ পাওয়ার জন্য ভালো একটা রেজাল্টের খুব দরকার।এই পড়াশোনা ছাড়া চাদনীর আর কিচ্ছু নেই।আঁধার আজ ভার্সিটিতে যায়নি।ওর বন্ধুদের সাথে আজ ওর হ্যাংআউট আছে।চাদনী কে খেতে বলছে ও সকাল থেকে।চাদনী খাচ্ছে না, ওর এক কথা রেজাল্ট দেখার পর খাবে।ওর গলা দিয়ে খাবার নামবে না।
দশটার দিকে রেজাল্ট বেরোলো।চাদনী তখন বিরস মুখে ড্রইংরুমে বসে আছে।আধার ল্যাপটপ হাতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো।চাদনী বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকালো ওর দিকে।আঁধার এসেই ওর মাথায় গাটা মারলো।অস্হির স্বরে বললো
-“কীরে বেয়াদব, আমার চেয়ে বেশি নাম্বার পেলি কী করে তুই?”
-“কতো পেয়েছি? ফাইভ এসেছে?”
-“শুধু ফাইভ না, গোল্ডেন এসেছে।মোট নাম্বার বারোশো পঞ্চাশ।আমি চল্লিশ পেয়েছিলাম ছয় বছর আগে।আমার চেয়ে দশ নাম্বার বেশি পেলি কী করে? পুরো ফ্যামিলিতে আমি সব কাজিনদের চেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছিলাম, তুই আমার রেকর্ড ভেঙে দিলি!”
চাদনী পিট পিট করে পলক ঝাপ্টায়। কথাগুলো মাথায় ঢুকতেই খুশিতে চিল্লানি দিলো ও।লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে হড়বড় করে বললো
-“তুমি সত্যি বলছো দাদাভাই?”
-“একশো পার্সেন্ট!”
চাঁদনী জ্বলজ্বল দৃষ্টিতে তাকালো আধারের দিকে।উৎফুল্ল হয়ে কল দিলো আকিব সরদার কে।আঁধার মলির হাসে ওর খুশি দেখে।মেয়েটাকে অনেকদিন পর হাসতে দেখলো ও।হাসিখুশি মেয়েটার হাসি যেন কর্পূরের মতো উবে গিয়েছিলো কোথায়!আজ অনেকদিন পর মেয়েটার এই অসীম আনন্দ, ঠোঁটে ঠিকরে পরা হাসি দিনটা ভালো করে দিলো আঁধারের।
চাঁদনীর কলেজ চয়েস দিচ্ছিলো আধার।চাদনী ওর পাশে গালে হাত দিয়ে বসে আছে।ওর দৃষ্টি ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে।আঁধার কীবোর্ডে আঙুল চালিয়ে বললো
-“ফার্স্ট চয়েস সিটি কলেজ দেই?”
চাঁদনী নাকোচ করে বললো
-“ওমেন কলেজে দিলে ভালো হতো না!”
-“কেন? তোর নাম্বার ভালো,সিটি কলেজে চান্স পাবি। ঢাকার টপ কলেজগুলোর মধ্যে সিটি কলেজ সবার আগে।রেজাল্টের দিক দিয়েও সবার চেয়ে এগিয়ে।আমি সিটি কলেজ দিচ্ছি কেমন?”
-“ওমেন দাও না!”
-“কেন?”
-“আমার একচুয়ালি ছেলেদের সাথে পড়তে ভালো লাগে না। চট্টগ্রামেও আমি গার্লস স্কুলে পড়তাম!”
আঁধার ভ্রু কুচকে তাকালো চাঁদনীর দিকে।চাঁদনীর নিরীহ মুখ। আঁধার বাঁকা চোখে তাকিয়ে বললো
-“সারাজীবন ঘরকুনো হয়ে থেকে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই।ছেলেদের সাথে পড়তে ভালো লাগে না মানে কী? এই যুগে এসে এসব কথা বলছিস, যেখানে নারীরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে।ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে সব সেক্টরে জব করছে।”
চাদনীর চোখ মুখের পরিবর্তন হলো না, অর্থাৎ ও ওমেন কলেজেই পড়বে।আঁধার চাদনীর কথা শুনলো না।ফার্স্ট চয়েসে সিটি কলেজই দিলো। দুই নাম্বারে ভিকারুননিসা, তিন নাম্বারে ওমেন কলেজ।চাদনী মুখ কালো করে চাইলো আঁধারের দিকে।আঁধার মুখ বাকিয়ে বললো
-“তোর কী মনে হয়, সিটি কলেজে পড়লে ছেলেরা তোর পিছু পিছু ঘুরবে? বন্ধুত্ব করতে চায়বে বা প্রেমের প্রস্তাব দিবে? তাহলে তুই বোকার স্বর্গে বাস করছিস। এই দুনিয়াতে সবাই সুন্দর খোঁজে। তুই সুন্দর না চাঁদ।”
-“আমি জানি আমি সুন্দর না। এটা বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।”
চাঁদনীর গম্ভীর স্বর। আঁধার বললো
-“তুই ভুলে যাস তো।মনে করিয়ে না দিলে কী করে হয়!সারাজীবন গার্লস স্কুলে পড়েছিস তো তাই উল্টাপাল্টা চিন্তা আসছে মাথায়।বাট ট্রাস্ট কর, একটা ছেলেও তোর দিকে ফিরে চায়বে না।সবাই ওই সুন্দরীদের পিছনেই ঘুরবে।কলেজে কতো কিউট কিউট মেয়ে ভর্তি হবে, ওঁদের ভীড়ে তোকে দেখার সময় কোথায় সেখানে? কোনো ছেলে আশেপাশে ঘেঁষবেও না তোর।”
একটু থেমে আবার বললো
কাজলরেখা পর্ব ৬
-“বাই দা ওয়ে, তুই এটা ভেবে ফ্রাস্টেটেড হচ্ছিস না তো যে ছেলেরা সবাই তোকে নিয়ে মজা উড়াবে সেখানে?”
-“আমি যে ঘরে থাকি সে ঘরের মানুষটাই প্রতিনিয়ত আমাকে নিয়ে মজা উড়ায়।তামাশা করে আমার ফিলিংস নিয়ে।সেখানে বাইরের মানুষ দ্বারা কষ্ট পাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। আমি আমার নিয়তি মেনে নিয়েছি।”