কালকুঠুরি পর্ব ৪৯

কালকুঠুরি পর্ব ৪৯
sumona khatun mollika

বাবুকে আর ভার্সিটি নিয়ে যায়না মাহা। সেতুকে বেশ কড়া নির্দেশনা দিয়েছে ভুমিকে চোখে চোখে রাখতে। মাহাবুব উদ্দিন তাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল। সঙ্গে তার ছোট ভাই মোহিত উদ্দিন ও এসেছিল। ভুমি তাকে দেখে খুশি হলেও ছোট্ট বাচ্চাটার দৃষ্টি ঘুরেফিরে সেই রঙচটা জিন্সের প্যান্ট পরা লালশার্টওয়ালা লোকটাকেই খুঁজে বেরায়। ।
তার পরিচয় ভুমির জানা নেই। শুধু মাথায় ঘুরপাক খায়, যতবার সে লোকটাকে দেখেছে, লোকটার পড়নে ছিল গাঢ় লাল শার্ট। এবং লোকটা দেখতে সুন্দর । তার কাছে সামিরের সেই লকেট দেখে মাহা কেমন চিন্তিত হয়ে যায় । সেদিন রাতে লকেটটা ভুমির গলায় দেখে মাহা জিজ্ঞেস করে,,

– এইযে, বদের হাড্ডি , এটা কার?
– আমাল।
– মিথ্যে বলছো কেন?
– না না, ইটা, লাল শাটওলা লোকটা দিয়েথে।
– তুমি কেন নিয়েছ?
– উমমম….
– আর কখনো কারো দেওয়া কিছু নেবেনা।
– আতথা।
– যাও ঘুমাও।
– উটা দাও,,
– আমরা মুসলমান । মুসলমানরা এসব পরেনা। বুঝতে পারছো? আল্লাহ রাগ করবেন।
– করবেনা।
– করবেনা? তুমি কি করে জানো করবেনা?
– আমি আদর কলে দেবো। আর রাগবেনা।
– না, কোনো চালাকি চলবেনা। যাও ঘুমাও এটা আমার কাছে থাকবে।
-এ্যাআআআ,, নআ! আমাল লালশাটওলা লোক,, এ্যাআ হ্যাআ্য দাও দাও দাও।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

চেচিয়ে চেচিয়ে ভুমি গড়াগড়ি শুরু করে দিল। মাহা তাকে কান্নার ওপরেই আরেকটা দুম করে বসিয়ে দিল। সেতু দৌড়ে গিয়ে ধরতে পারছেনা। মাহা সচরাচর তাকে মারেনা। যখন বেশি জেদ দেখায় তখন আস্তে করে একটা গদাম দিয়ে দেয়। থামার বদলে উল্টো আরো চেচানো শুরু করে ভুমি।

যত যাইহোক বাঙালি মায়ের জাত, পরে গিয়ে ব্যাথা পেলে তারা টেনে তুলে আগে দুঘা বসিয়ে দেয় , পরে হালচাল জিজ্ঞেস করে। মাহাও তার ব্যাতিক্রম নয় ।
সেতু লালকুঠির এক অত্যাচারিত নারী। তার নাম রেজিস্ট্রার হওয়ার আগেই সে লালগলি থেকে পালাতে সক্ষম হয়। ( রেজিস্ট্রার যেদিন করে সেইদিনি হাতে পোড়া দাগ করে দেওয়া হয়) । সেদিন পালিয়ে সেতু সোজা মাহবুব উদ্দিন এর সাথে ধাক্কা খায়। হাতে পায়ে ধরে সাহায্য চায়। মাহাবুব উদ্দিন তাকে তার বাড়ি নিয়ে যায় । যেখানে ছিল অসুস্থ মাহা আর নবজাতক শিশু সামহা।
মাহা মানুষ চিনতে ভুল করে খুব কম। সেতুকেও সে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করে বুঝতে পারে মেয়েটা খারাপ না। সেই থেকে সেতু আর সামহা সিকান্দার ভুমি একসাথে দিন কাটায়।

রাতে যখন ভুমি ঘুমিয়ে গেল মাহা গোপনে তার গলা থেকে লকেটটা খুলে সরিয়ে নিল। আবারো মনে হলো, একজন বাবাকে তার মেয়ের থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে । কিন্তু কিছুই করার নেই। দড়জায় খটখটানির আওয়াজ হলে সেতু দড়জা খুলে দেয়। সোনালী পেড়ে সাদা শাড়ি পরা এক পৌঢ় মহিলা। মুখে মিষ্টি হাসি। চাদরে মাথা ঢাকা। চোখের পাশ দিয়ে রিংকেলস পরা শুরু করেছে। সেতুকে দেখে তিনি জিজ্ঞেস করলেন,,
– কে তুই? সামিরের বউ কোথায়?

মাহা এগিয়ে গিয়ে তাকে দেখে একটা মুচকি হাসি দেয়। সেতু অচেনা এই মহিলা কে কেমন রহস্যময়ী মনে হয়। কোনো পরিচয় জানতে না চেয়ে মাহা সালাম দিয়ে তাকে ভেতরে আসতে বলে। সেতু লক্ষ্য করে পেছনে নুসরাত সিকান্দার ও আছে।

সাল,,২০২৪
সেদিনের পর থেকে সামির কেন যেন গভীর আগ্রহে ওই বোরখাওয়ালী বেবি টার পথ চেয়ে থাকে। কান সবসময় খাড়া করে রাখে, যদি আবারো শোনা যায় লালশার্টওয়ালা লোক ডাকটা,
তবে অপেক্ষারা জোনাকি হয়ে হাওয়ায় মিশে যায় । তবু ডাকটা শোনা যায় না।

সময়ের গতি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে এগোতে থাকে। সামির সিকান্দার এর গতি সেই আগের মতোই রয়ে যায় । । কারো সম্পর্কে কোনো তথ্য জানতে উদাসীন , সম্পর্কের দিকে উদাসীন , টাকার বদলে জান কুরবান, রাতের আঁধারের হুতোম পেঁচা, ফুটো মস্তান সামির সিকান্দার!

বেরিয়ে যায় লুকোচুরির দু,তিন বছর। ততদিন কি সাফিন সামিরকে বসিয়ে রেখেছিল? অবশ্যই না। সিকান্দার দের জন্য পুরো রাজশাহী শহরের আনাচে কানাচে ভয়ের আধার নেমে আসে। সামির সিকান্দার একজন কনট্র্যাক্ট কিলার, সবাই জানে সামনে পরে থাকা লাশের খুনি হয়ত সামির নয়ত সাফিন নাহলে ওদের দলেরি কেও হবে। শহরে মাত্রাতিরিক্ত মাপে বেরে গেছে চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাসের দল ।

বর্ডার এলাকা হওয়ায় এবং নিজ স্বাধীনতা থাকায় মনের মতো ড্রাগস ইমপোর্ট এক্সপোর্ট করে একদল। কোনো কারণে মিশন বাধাগ্রস্ত হলে ডেকে আনা হয় সামির সিকান্দার কে । বছরে বছরে পুলিশ অফিসার চেঞ্জ করা হয়। কোনো নিউজ রিপোর্টের কর্মী নিউজ আনতে গেলে সে আর ফেরত আসতে পারেনা। বলা চলে বহিরাগত কোনো পাখিও রাজশাহী তে এলাউড না। বাইরে থেকে পড়তে আসা স্টুডেন্টদেরো হুশিয়ারি জারি করা হয়। সামির আগের চেয়েও আরো ভয়ঙ্কর রূপে রূপান্তরিত হয়ে যায়।

এর কারণ একটাই , সামির বলেছিল, নিজ হাতে এই জনমটা শেষ করে দেবে। সিকান্দার বাড়ির ছাদে বসে ঢকঢক করে মদ গিলছে সামির। মাথার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে উড়াউড়ি করছে। চিলেকোঠার আড়াল থেকে নজর রাখছে একজন। সে এই বাড়ির নতুন সদস্য । মেহমান তবে দীর্ঘস্হায়ী। সে সিয়েরার খালা নাজিয়া বর্ষা। ডাকনাম নাজিয়া। সিয়েরার খাতিরেই তাকে নুসরাত এখানে ডেকেছিল। তবে সাথি যখন বুঝতে পারে নাজিয়া সামিরকে একটু অন্যরকম নজরে দেখে, সাথি একটু পরিকল্পনা করে যদি নাজিয়াকে সামিরের বউ বানানো যায় ! সাফিনকে এ ব্যাপারে জানানো হলে, সেও মত দিয়েছে। তবে নুসরাত মত দেয়নি।

সামিরকে যতই দেখে ততই অবাক হয় নাজিয়া। সে খারাপ জেনেও তাকে পাওয়ার এক অদ্ভুত লোভ সৃষ্টি হয় নাজিয়ার মাঝে। সামির বোঝে
তবুও পাত্তা দেয়না । এইতো সেদিন ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় নাজিয়া তাকে দেখে গান গাইছিল,,

~ বন্ধু আমার মনের মাঝে
হলো জানের জান
আল্হাদের ঢেউ তুলে যায়
পরীতের তুফান,
উতলা হই দেখলে তারে
বাড়ছে মায়ার টান
আমার থেকে থাকলে দুরে
মন করে আনচান
আমি বোঝাব কেমনে
দেখেছি স্বপনে
দেখলে তারে পরাণ ভরে নাআআ

সিভান মানা করেছে নাজিয়াকে তবু সে প্রফেসর সামির সিকান্দার ভিরানকে নিজের মন প্রাণ দিয়ে বসেছে। ইনায়া সামিরকে একটু হলেও ভয় পেত। নাজিয়া একটু ভয়ও পায়না। কেনইবা পাবে ওর বাবারাওতো রাজনীতিবিদ। হিসাব করতে গেলে সামির টাকার বদলে তাদেরও কনট্র্যাক্ট কিলার।
সমিরের অবহেলা তেও নাজিয়ার তেমন কিছু যায় আসেনা।
এর মাঝে একদিন টেবিলে খাসির মাংস দেখে সামিরের মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । জরিনা চেচিয়ে বলে, তরকারি আনতাছি। রাইগেন না ভাইজান। সামির চুপচাপ টেবিলে বসে থাকে। পেছন থেকে নাজিয়া একবাটি মুরগির মাংসের তরকারি ধরে বলে, আপনিতো গোশত খান না দেখুনতো এটার কেমন স্বাদ? আমি বানালাম । ইনায়ার কান্ড কপি করায় সামিরের ইনায়ার কারসাজিও মনে পরে যায় । রাগের মাত্রা লাফিয়ে আকাশ সমান হয়ে যায় । ঝট করে দাড়িয়ে পুরো টেবিলটা উল্টে ফেলে দেয় । চিতকার করে চেচিয়ে ওঠে,,
– কোনো বাঙ্গির বাচ্চা আমার জন্য যেন দরদ না মারায়, আমার কোনো চাকরানী দরকার নাই। আর কখনো পিরিত দেখাতে এলে এমন হাল করব, পিরিত পেচন দিয়ে বারাইবো।

– এতো রাগার কি হলো বেয়াই সাব? গালি দিচ্ছেন কেন? আমিতো,,,
– চোপপ! সাট আপ! জাস্ট সাট আপ! ভাবিই? ভাবি!
– কি হ’য়েছে সামির চেচাচ্ছো কেন?
– রাহা, নুসরাত ভাবিকে বল একে বাড়ি থেকে বের করতে। নয়ত দেখা যাবে একে মেরে আমি পদ্মায় ভাসিয়ে দেব।
নুসরাত মানা করলেও নাজিয়া শুনছে কোথায় , জেদ ধরে সিকান্দার বাড়িতে রয়ে গেছে।
,,,,,,,,

রকি আর কাশেম পাশাপাশি বসেছিল, রকি তার বড়ভাই রনিকে নিয়ে এটা ওটা কিছু কথা বলতে শুরু করে । কাশেম তার কথায় তেমন মনযোগী না দেখে রকি বলে,,
– ভাই?
– উমম?
-কি হইল? এমন আনমনা কেন আপনে?
-আনমোনা, আমারতো পদ্মায় লাশ ভাসা উচিৎ বে।
– কেন?
– এতগুলো বছর ঘুরে ঘুরেও একটা মেয়েরে বোঝাইতে পারতাছিনা আমি তারে কত ভালোবাসি।
– সামির ভাই শুনলে রাইগা বোম হইবে।
– কেন বে?
– বইলবে যে, একটা কাইলানীর লাইগা জিন্দেগী বরবাদ কইরা লাইতাছেন।
– কি বইললি বে?
– ইয়া মানে, আমিনা আমিনা, সামির ভাই বইলতো আরকি।
– খবরদার অরে কাইলানী কবিনা। অর চে আরো কালো মানুষ আছে।
– তবে আপনে তো সুন্দর আছেন ভাই, ফর্সা, লম্বা,, একটা সুন্দরী জুটবো। হেরে ভুইলা যান।
– এতো সুন্দরী দিয়া কি করবি আমি বুজিনা। আরে সুন্দরী রা কি খায়না? পাদে না? আরো খারাপ ভাষায় বইলবো?
– থাক ভাই। এসব সামির ভাইয়ের মুখেই মানায়। আপনে আমাগো আলাভোলা কাইশসা ভাই। আপনে রাইগেন না ভাই।

কাশেম ঘাড় ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইল। মেধার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়নি। বরেন্দ্রতে হয়েছে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি তে ভর্তি হয়েছে ।
কাশেমকে দেখলে সে উল্টো আরো দৌড়ে পালিয়ে যায়। রকি কাশেমের কাছে জানতে চায়,,
– আচ্ছা ভাই,, আপনে কি দেখে হেই বেডিরে এত ভালোবাসেন? ভুইলা যান গা।
কাশেম এবার সামিরের মতো সুর করে বলে,,
– পাগল আব্দুল করিম গায়
ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারেচায়
এগো ওকূল নেশায় পিরিতের দিশায়
পাগল করেছে, দেওয়ানা বানাইছেএ
কি জাদু করিয়ায়বন্দে মায়া লাগাইছে।

কাশেম সেখান থেকে উঠে বলে,,
– চল, সামির ভাইরে ডাকতে যাম। হের আইজ পরীক্ষার ডিউটি আছে।
– সিকান্দার বাড়ি উত্তরে আপনে দক্ষিণে কই যানভাই? আর গাড়ি রনিবেন না?
– না। ভাই বাড়িত নাই।
– তাইলে কোথায় আছে?

তৈমুরের প্রশ্নে ঘুরে তাকায় দুজনেই। সে উৎসুক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,,
– কোথায আছে? আমার সামির সিকান্দার এর সাথে কথা আছে।
– আজকে টাইম নাই। কাইল বইলো।
– আমি জানতে চাই, সে কোথায়? ভুলে যেওনা আমি তোমাদের সিনিয়র ।
– ঠিকাছে, চলেন, পরে আবার টাল্লি খাইয়েন না।

কাশেমের পিছু পিছু তৈমুর আর রকি হাটতে হাটতে পৌঁছে যায় দক্ষিণ পাড়ার গোরস্থানসংলগ্ন বড় মসজিদে । তৈমুর আসলেই টাল্লি খাওয়া পর্যায়ে চলে যায়। হাকরে তাকিয়ে দেখে, সামনে সামির সিকান্দার মোনাজাত ধরে আছে। মাথায় সাদা টুপি। চোখ বন্ধ । যেন সমুদ্র সমান গভীর মনযোগ দিয়ে কিছু চাইছে মনে মনে। রিতীমত তার মাথা ঘুরতে লাগল। সে ভেবেছিল তাকে হয়ত বার বা ক্লাবে পাওয়া যাবে। তাই বিনা দরকারে ইচ্ছে করে পিছে পিছে এসেছে। বিনা নোটিশে স্হান ত্যাগ করল তৈমুর ।

সামির চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলছে,,
” আমি হয়ত ঠিক করে ইবাদত করতে জানিনা। আমি তোমার কাছে কিছুই চাইনা। শুধু আমার শান্তি চাই। কারণ তুমিতো আর আমার মৃত দিবাকে ফেরত দিতে পারবেনা। যদি পারো তবে ফেরত দাও। আর যদি না পারো তবে আমায় তুলে নাও। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিনা। তুমি বড় নিষ্ঠুর হে মাওলা। মরণ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেনা। জীবদ্দশায়ই শাস্তি বর্ষণ করলে। ”

সামিরকে ওভাবে দেখে রকির চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরে। চোখের পানি আড়াল করতে সেখান থেকে চোখ চুরিয়ে পালিয়ে যায় রকি। কাশেম সন্দিহান দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। মনে মনে বলে, সামির সিকান্দার তবে যথেষ্ট সাজা ভোগ করছে মাহাদিবার সাথে জবরদস্তি করার অপরাধে ।

সামির সিকান্দারকে যে এই জায়গায় পাওয়া যাবে তা সকলের কল্পনাতীত! সামিরের মতো পাথরের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরে দুইফোটা নোনাজল। কাশেম হা করে তাকিয়ে দেখে ভালোবাসার কাছে একটা পাহাড়ও ধ্বসে যায়। পাথরে ফুর ফোটে। ,,,, কাশেম কখনো কল্পনাও করতে পারেনি সামির সিকান্দার কাওকে এতটা ভালোবাসতে পারে, যার জন্য সে অন্তর থেকে চোখের পানি ফেলবে!
সামির পাশের মাঠের এককর্নারে গিয়ে বসে,, আশেপাশে অজস্র কবুতর, সামিরের অনুভব হয় মাহা তার পাশে বসে কবুতরগুলোর দিকে দানা ছড়িয়ে দিচ্ছে ,, সামির আকাশের দিকে তাকিয়ে গেয়ে ওঠে,,

কালকুঠুরি পর্ব ৪৮

~Teri nazron ke sadqe,
yeh jaan vaar doon ga
Tu jo keh de tou apna
jahan vaar doon ga
Mene maula se teri meri
duniya hai maangi
Woh jo likh de tou usko
hee haq maan loon ga~

কালকুঠুরি পর্ব ৫০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here