কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ২৪
মিসরাতুল রহমান চৈতী
রাত গভীর। কিন্তু রাতুলের অভিযান তখনও চলছে।
চৈতী বই পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল, নিজেই বুঝতে পারেনি। বেলকনির দরজাটা ভুলবশত খোলা রয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই একটা শব্দে চৈতী চমকে উঠে বসে। ঘুম জড়ানো চোখে বেলকনির দিকে তাকাতেই দেখতে পায়—একজন অচেনা লোক দাঁড়িয়ে আছে! মুখে কালো মাস্ক, মাথায় হুড চাপা। ঠাণ্ডা বাতাসে তার কালো হুডির ছায়া যেন আরও রহস্যময় হয়ে উঠেছে।
চৈতীর শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায়। এই নিঃশব্দ আগন্তুক কে?
চৈতী ধড়মড়িয়ে উঠে দাঁড়ায়, একদৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে বলে, “তুমি কে? এখানে কী চাই?”
লোকটা কিছু না বলে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে আসে। তার চোখে হিংস্র দৃষ্টি। চৈতীর বুকের ভেতর ধুকপুক শব্দ বাড়লেও সে নিজেকে সামলে নেয়। ভয় পেলে চলবে না!
আচমকা লোকটা একটা ধারালো ছুরি বের করে ঝাঁপিয়ে পড়ে চৈতীর দিকে!
কিন্তু চৈতী পিছিয়ে যাওয়ার বদলে ঝটকা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ছুরিটা ধরে ফেলে! শীতল লোহাটা তার তালুর মাংস কেটে ফেলে, কিন্তু সে ছাড়ে না। ব্যথায় চোখে পানি চলে এলেও সে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে রাখে ছুরিটা।
লোকটা ধাক্কা দিয়ে ওর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু চৈতী জোরে চেপে ধরে রাখে। রক্ত ঝরতে থাকে, কিন্তু সে নড়েনি একচুলও! লোকটা এবার আরো জোরে চাপ দিতে গেলে চৈতী নিজের সব শক্তি দিয়ে ছুরিটা টান মারে!
লোকটা ভারসাম্য হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে, কিন্তু চৈতী তখনও দাঁড়িয়ে! রক্তে ভিজে যাচ্ছে ওর হাত, কিন্তু মুখে একটাও আর্তনাদ নেই।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
চৈতী এবার দৃঢ় গলায় বলে, “এবার যদি এক পা সামনে বাড়াও, তাহলে কিন্তু বাঁচবে না!”
লোকটা কয়েক সেকেন্ড চৈতীর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে—সেখানে ভয় নেই, বরং এক ধরনের অদম্য আগুন!
চৈতী রক্তাক্ত হাতে ছুরিটা শক্ত করে ধরে আছে। লোকটা এক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল, কিন্তু তারপরই দ্রুত আরেকটা ধারালো ছুরি বের করে! তার চোখে এবার আরও বেশি হিংস্রতা।
চৈতী বুঝতে পারে, লোকটা সহজে পালাবে না। সে নিজের ব্যথা ভুলে দাঁতে দাঁত চেপে বলে, “আমি মরতে নয়, বরং মারতে জানি!”
লোকটা ছুরিটা উঁচিয়ে ওর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে গেলে, চৈতী নিঃসঙ্কোচে নিজের হাতে থাকা ছুরিটা ছুঁড়ে মারে লোকটার পায়ে!
ধারালো ফলাটা গভীরভাবে ফুটে যায় ওর হাঁটুর কাছে। লোকটা বিকট চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যায়, ছুরিটা হাত থেকে পড়ে যায় তার। ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে সে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়।
চৈতী এবার রক্তাক্ত হাতে লোকটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, চোখে ভয়ংকর এক দৃঢ়তা—”এখনো যদি ওঠার চেষ্টা করো, তাহলে এবার আর শুধু পায়ে নয়, গলায় মারব!”
চৈতী নিঃশ্বাস ফেলারও সময় পেল না। লোকটা ব্যথায় কাতরালেও সহজে হার মানবে না, সেটা ওর চোখের আগুনেই স্পষ্ট।
সে দ্রুত নিজের রক্তাক্ত হাত সামলানোর চেষ্টা করল, কিন্তু ব্যথা উপেক্ষা করেও মোবাইলটা তুলে নিল। আঙুল কাঁপছিল, তবু রাতুলকে একটা মাত্র মেসেজ পাঠাল—
“বাসায় আসুন, জরুরি!”
রাতুল তখনো কাজের মধ্যে ব্যস্ত ছিল। ফোনের স্ক্রিনে চৈতীর মেসেজ দেখেই কপালে ভাঁজ পড়ে গেল। গভীর রাতে চৈতী এমন মেসেজ পাঠানোর মানে নিশ্চয়ই কোনো বড় সমস্যা হয়েছে।
সে এক মুহূর্ত দেরি না করে গাড়ি ঘুরিয়ে বাসার দিকে রওনা দেয়। পথের ধুলো উড়িয়ে দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকে গাড়ি, মাথার ভেতর হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—চৈতী কি বিপদে পড়েছে? কেউ ওকে আক্রমণ করেছে?
প্রায় এক ঘণ্টা পর রাতুল যখন বাড়ির সামনে পৌঁছায়, তখনই তার নজরে পড়ে একটা অস্বাভাবিক কিছু—গেটের বাইরে কোনো নড়াচড়া নেই!
সে দ্রুত নেমে সিকিউরিটি চেকপোস্টের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু সামনে গিয়েই তার শরীর বরফ হয়ে যায়—গার্ডরা সবাই মাটিতে পড়ে আছে, একদম অচেতন!
রাতুলের ধমনীতে উত্তেজনার স্পন্দন তীব্র হয়ে ওঠে। হাত মুঠো হয়ে যায় ক্রোধে।
“এই রাতে বাসায় কিছু একটা হয়েছে! চৈতী বিপদে!”
সে আর এক মুহূর্তও দেরি না করে দ্রুত বাসার দরজার দিকে ছুটে যায়!
অতিরিক্ত চাপে চৈতী আর সহ্য করতে পারলো না। তার চোখে অস্পষ্টতা নেমে আসলো, শরীরটি নরম হয়ে গিয়ে রাতুলের বুকে ঢলে পড়ল। তার শরীর একেবারে অসাড় হয়ে গেছে, হাত থেকে ছুরিটা পড়ে গেলো।
রাতুলের হৃদয় যেন থেমে গেল, শরীরের প্রতিটি কোষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো। তার হাত আঁকড়ে ধরল চৈতীর মাথা, গভীর শ্বাস নিল।
“চৈতী, না… না…”
তার কণ্ঠে শুধু একটিই শব্দ, যেন সে হারিয়ে ফেলছে কোনো কিছু অত্যন্ত মূল্যবান। চৈতীর রক্তমাখা শরীর তার বুকে, এবং সে পুরো পৃথিবীকে উপেক্ষা করে তার প্রিয় মানুষটিকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
রাতুলের চোখে জল লুকানো ছিল না, কিছু একটা ভেঙে যাচ্ছিলো—একটি গভীর ও অসম্ভব কষ্ট। তার কাছে চৈতী ছিল তার একমাত্র অস্তিত্ব, এবং এই মুহূর্তে সে যেন কোনো কিছুই করতে পারছে না।
রাতুলের কণ্ঠ কাঁপছে। সে দ্রুত চৈতীকে ধরে সোফায় শুইয়ে দিল। কাপড় ছিঁড়ে তার হাতের ক্ষতস্থান চেপে ধরলো, যাতে রক্তপাত বন্ধ হয়। কিন্তু চৈতীর নিঃশ্বাস এতটা ধীর হয়ে আসছে যে রাতুলের মনে হচ্ছে, সে এই মুহূর্তে অক্সিজেন পাচ্ছে না।
তারপর, তার চাহনি ধীরে ধীরে বদলে গেল। ঠান্ডা, ভয়ংকর, মৃত্যুর মতো নিষ্ঠুর হয়ে উঠলো। মাটিতে কাতরানো লোকটার দিকে তাকাতেই তার ভেতরের দানব জেগে উঠলো।
“কে পাঠিয়েছে তোকে?”
লোকটা যন্ত্রণায় ছটফট করছে, কিন্তু মুখ শক্ত করে আছে। রাতুল কোনো দয়া দেখালো না। এক মুহূর্তের জন্যও না। পায়ের আঘাতে লোকটাকে উল্টে দিল, তারপর তার চোয়াল চেপে ধরলো এতটাই শক্তভাবে যে লোকটা হাউমাউ করে উঠলো।
“বল, নইলে এমন জায়গায় আঘাত করবো যে তোর চিৎকারও বের হবে না!”
লোকটা ছটফট করছিল, কিন্তু রাতুলের মনোযোগ এখন অন্যদিকে। চৈতীর নিঃশ্বাস ঠিক আছে তো?
সে দ্রুত পরিচিত একজনকে ফোন দিল, স্বাভাবিক গলায় না, বরং এমন শীতল স্বরে যা শুনলে কেউ বুঝতে পারবে আজ কেউ রেহাই পাবে না।
“দশ মিনিটের মধ্যে এখানে আসো। একটা কাজ আছে।”
ফোন কেটে দিয়ে চৈতীর দিকে তাকিয়ে দেখলো, সে অচেতন হলেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। রাতুল চৈতীর গালে আলতোভাবে হাত রাখলো, এক মুহূর্তের জন্য তার ঠোঁট কেঁপে উঠলো।
“চৈতী, চোখ খোলো প্লিজ! আমি আছি তোমার পাশে, তোমাকে কিছু হতে দেব না।”
তারপর হাতটা নিজের বুকের ওপর রাখলো, যেন নিজের উষ্ণতা দিয়ে চৈতীকে জাগিয়ে তুলতে পারে। তার নিজের চোখ ভিজে উঠলেও সে শক্ত থাকতে চায়।
রাতুল জানে, কেউ যদি তার প্রিয় মানুষকে আঘাত করে, তবে সে ছেড়ে দেবে না। সেই দিন শেষ, যখন সে ধৈর্য ধরতো। আজ থেকে রাতুল আহম্মেদ তার ভালোবাসার জন্য পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে রাজি।
রাতুলের নিঃশ্বাস আটকে আসছিল। চৈতীর নিস্তেজ শরীরটা তার বুকে হেলে পড়েছে। তার রক্তমাখা হাত শক্ত করে ধরা, যেন এখনই ছেড়ে দিলে সে আর ফিরে আসবে না!
রাতুল এক মুহূর্তও দেরি করলো না। ধীরে ধীরে নিচু হয়ে চৈতীকে দুহাতে তুলে নিলো। এতক্ষণ যে কাতরাচ্ছিলো, সেই লোকটিও শ্বাস আটকানো দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল রাতুলের দিকে।
রাতুল একঝলক তাকাল, চোখে ভয়ানক শীতলতা। সে এখন কিছু বলতে চায় না, শুধু চৈতীকে বাঁচানোই তার একমাত্র উদ্দেশ্য।
সিকিউরিটি গার্ডদের সবাই তখনও অচেতন। রাতুল বুঝলো, পরিকল্পনা করেই বাসার ভেতর ঢোকা হয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিশোধ নয়, তার প্রথম লক্ষ্য চৈতী।
গাড়ির দরজা খোলা ছিল। সে আস্তে করে চৈতীকে সামনের সিটে বসিয়ে দিলো, তারপর খুব যত্নে সিটবেল্ট লাগিয়ে দিলো। চৈতীর কপালের ওপর হাত রাখতেই বুঝলো, সে ঘেমে গেছে, নিঃশ্বাস অনিয়মিত।
স্টিয়ারিং শক্ত করে ধরে গ্যাস চাপলো সে।
“আমি তোমার পাশে আছি, চৈতী। তুমি একা নও।”
গাড়ির গতি পাগলের মতো বাড়িয়ে দিলো। ফোন বের করে একজন পরিচিত ডাক্তারকে কল দিলো—
“আমি আসছি, রেডি থেকো!”
তার স্বর এত দৃঢ় ছিল যে, ওপাশ থেকে আর কোনো প্রশ্ন আসেনি।
চৈতীর নিঃশ্বাস ধীর, কিন্তু অবিচল। রাতুল জানে, সে যতক্ষণ আছে, কিছুই চৈতীকে স্পর্শ করতে পারবে না।
রাত প্রায় তিনটা। পুরো শহর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, কিন্তু আসিফের চোখে ঘুম নেই। তার দল নিয়ে সে সরাসরি ঢুকে পড়লো শহরের এক berপ্রান্তের পতিতালয়ে। জায়গাটা নোংরা, অন্ধকার, ভেতরে ঢুকলেই গন্ধে মনে হয়, এখানে বাতাসেরও দম বন্ধ হয়ে আসে।
এই জায়গাটা রাতুলের শত্রুদের এক ধরনের ঘাঁটি হতে পারে, এমন তথ্যই পেয়েছিলো আসিফ। কিন্তু সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে হবে। তাই আসিফ আজ এসেছে, হাতে নির্ভরযোগ্য দল, কোমরে অস্ত্র, চোখে চূড়ান্ত তীক্ষ্ণতা।
বাইরে পাহারায় ছিল চারজন— তাদের দেখে আসিফের লোকজন খুব সন্তর্পণে ছায়ার আড়ালে সরে গেল। কয়েক মিনিট অপেক্ষার পর এক ঝটকায় চারজনের ঘাড় ধরে টেনে ফেলে চুপচাপ কাবু করে দিলো। এরপর আসিফ দল নিয়ে এগিয়ে গেল ভেতরে।
ভেতরের পরিবেশ আরও ভয়ঙ্কর। ঘরের ভেতর থেকে চাপা কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে— যেন কেউ ফিসফিস করে কথা বলছে।
আসিফ জানে, এত রাতে এখানে শুধু অপরাধীরাই থাকতে পারে।
দরজার একটা ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই তার চোখ পড়লো কিছু মেয়ের দিকে, যারা এককোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। তাদের চোখে ভয়, কাঁধ কাঁপছে আতঙ্কে। আর সামনের চেয়ারে বসে আছে এক মাঝবয়সী লোক, মুখে সিগারেট। লোকটা কারও সাথে ফোনে কথা বলছে।
“কাজ তো শেষই হয়ে গেছিল। কিন্তু মেয়েটা…”
লোকটা কথা শেষ করতে পারেনি, ঠিক তখনই আসিফ দরজাটা এক লাথিতে ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেল।
“হাত তুলে দাঁড়া! একটাও বাড়তি কথা বলবি না!”
লোকটা চমকে উঠলো, হাতে ধরা ফোন নিচে পড়ে গেল। তার পাশে বসা দুজন উঠে পালানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু আসিফের দলের দুজন দ্রুত তাদের কাবু করে দিলো।
আসিফ সামনে গিয়ে লোকটার কলার চেপে ধরলো—
“কাল রাতে এখানে কে এসেছিল? কাকে লুকিয়ে রেখেছিলি?”
লোকটা গলা শুকিয়ে ফেলে বললো, “আমি কিছু জানি না… আমি শুধু এখানে ব্যবসা করি…”
“বাজে কথা বললে বুলেট গুনতে হবে!” আসিফ কোমর থেকে বন্দুক বের করতেই লোকটা ভয়ে কেঁপে উঠলো।
মেয়েদের মধ্যে একজন তখন আসিফের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো, “আমি কিছু জানি।”
“বল!”
মেয়েটা গলার কাছে হাত রেখে শ্বাস নিলো, যেন ভীষণ ভয় কাটিয়ে উঠে বললো, “একটা লোক এসেছিল কাল রাতে। তার হাতে কাটা দাগ ছিল। সে এখানে বসের সাথে কথা বলেছিল। তারপর সে দ্রুত চলে যায়।”
“বস কে?”
মেয়েটা থমকে গেল।
এদিকে লোকটা মুখ শক্ত করে বললো, “তুমি যা জানো, তার চেয়ে বেশি জানতে চাওয়ার দরকার নেই!”
“সত্যি? তাহলে এবার একটু নরমভাবে কথা বলি,” আসিফ ঠাণ্ডা স্বরে বললো।
তারপর পকেট থেকে একটা ছোট ছুরি বের করে লোকটার হাতে ছুঁড়ে মারলো, তীক্ষ্ণ ফলাটা লোকটার হাতের একপাশে গিয়ে লাগলো।
লোকটা কঁকিয়ে উঠলো, কিন্তু মুখে কোনো কথা নেই।
“এবার বলবি, নাকি হাতের আরেকপাশও যাবে?” আসিফ চাপা গলায় বললো।
লোকটা তখন কাতর গলায় বললো, “ওদের প্ল্যান ছিল রাতুলের বাসায় ঢোকার! আমি জানি না এরপর কী হয়েছে!”
আসিফের চোখ তীক্ষ্ণ হয়ে উঠলো।
“ওদের আসল জায়গাটা কোথায়?”
লোকটা মুখ শক্ত করে চুপ।
কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ২৩
আসিফ এবার আর দেরি করলো না, পাশের টেবিলের ওপরে লোকটার মাথা সজোরে ঠেসে ধরলো।
“বলবি, নাকি মাথা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো?”
লোকটা তখন মুখ খুললো, আস্তে আস্তে জায়গার ঠিকানা বললো।
আসিফের চোখ জ্বলে উঠলো। “এবার তোর গল্প শেষ!”
লোকটাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে দেরি করলো না আসিফ। তারপর দল নিয়ে দ্রুত নতুন ঠিকানার দিকে রওনা দিলো।
এদিকে, রাতুল তখনও জানে না— এই লড়াই শুধু শুরু হয়েছে, শেষ এখনও অনেক দূর!