কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ২৬
মিসরাতুল রহমান চৈতী
ভোরের আলো একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ছে। শহর জাগতে শুরু করেছে, কিন্তু রাতুলের মনে যুদ্ধের দামামা বাজছে। ফোনের সেই অপরিচিত কণ্ঠস্বর এখনো কানে বাজছে তার—
“দেলোয়ার খন্দকার টের পেয়ে গেছে। ওর মানুষজন আপনাকে খুঁজছে!”
রাতুল জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরের রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলো। গলির মুখে দুটো কালো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, ভেতরে লোকজন বসে আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না।
— “ভাই, কিছু মনে হচ্ছে?”
আসিফের কণ্ঠে সতর্কতা। রাতুল ধীর চোখে তার দিকে তাকালো, তারপর আবার বাইরে তাকিয়ে বললো—
— “দেলোয়ার খন্দকার এত সহজে হার মানবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সে কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে?”
আসিফ এগিয়ে এসে ল্যাপটপে কিছু স্ক্রল করলো। রাতুলের দিকে তাকিয়ে বললো—
— “ভাই, ভিডিওটা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম— সব জায়গায় আগুন লেগে গেছে। দেলোয়ার খন্দকারের প্রেস মিট শুরু হওয়ার আগে ওকে নিয়ে নিউজ চ্যানেলেও আলোচনা শুরু হয়ে যাবে।”
রাতুল মৃদু হাসলো, কিন্তু সেই হাসির গভীরে লুকিয়ে থাকা ভয়ংকর দৃঢ়তা আসিফকে কাঁপিয়ে দিলো।
— “দেলোয়ারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?”
আসিফ চিন্তা করে বললো—
— “আমার মনে হয়, সে প্রথমে ভিডিওর সত্যতা অস্বীকার করবে। তারপর তার লোকজন দিয়ে মিডিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা এটা প্রচার না করে। কিন্তু ভাই, আমরা তো আগেই চিন্তা করেছিলাম, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় না, বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার কাছেও ভিডিওটা পাঠিয়ে দিয়েছি।”
রাতুল আসিফের কাঁধে একটা চাপড় দিলো—
— “ভালো কাজ করেছিস। কিন্তু তোর মনে হয়, ও এত সহজে ছেড়ে দেবে?”
আসিফ মাথা নাড়লো—
— “না ভাই, ও নিশ্চয়ই সরাসরি কোনো অ্যাকশন নেবে।”
ঠিক তখনই দরজায় ঠক ঠক শব্দ হলো। দুজনেই সাথে সাথে সজাগ হয়ে গেলো।
— “ভাই, কে আসতে পারে?” আসিফ ফিসফিস করে বললো।
রাতুল ইশারায় তাকে চুপ করতে বললো। আস্তে করে দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো, তারপর নিচু স্বরে জানতে চাইল—
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— “কে?”
বাইরে থেকে একটা পরিচিত কণ্ঠ ভেসে এলো—
— “ভাই, আমি রাসেল। দরজা খুলেন।”
রাসেল তাদের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র। রাতুল ধীরে ধীরে দরজা খুলে দিলো। রাসেল দ্রুত ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো। তার মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।
— “ভাই, আপনারা বিপদে আছেন! দেলোয়ার খন্দকারের লোকজন পুরো শহরে আপনাদের খুঁজছে। তারা জানে, এই ভিডিওটা আপনাদের হাত থেকে গেছে!”
রাতুল গম্ভীর চোখে রাসেলের দিকে তাকালো।
— “আমরা কি নিশ্চিত যে তারা আমাদের জায়গাটা জানে না?”
রাসেল মাথা ঝাঁকালো—
— “এখনো নিশ্চিত না, কিন্তু বেশি সময় নেই। ওরা আপনার পিছু নিয়েছে। যেকোনো সময় খোঁজ পেয়ে যাবে।”
আসিফ দ্রুত ফোন বের করে কোথাও কল দিলো।
— “আমাদের বের হওয়া দরকার ভাই! নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে!”
রাতুল মাথা নাড়লো—
— “না, এখন না। দেলোয়ারের প্রেস মিট শুরু হবে কিছুক্ষণ পর। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। দেখি, সে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করে।”
রাসেল কিছু বলার জন্য মুখ খুললো, কিন্তু রাতুল হাত তুলে তাকে থামিয়ে দিলো।
— “আমরা এখন পালিয়ে গেলে, ওরা আমাদের দুর্বল ভাববে। আর ওদের কৌশল বোঝার জন্য আমাদের এখানেই থাকা দরকার।”
আসিফ ও রাসেল একে অপরের দিকে তাকালো। এরপর আসিফ চাপা গলায় বললো—
— “তাহলে ভাই, আমাদের সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।”
রাতুল চোখ সরু করে বললো—
— “ঠিক তাই।
রাসেল মাথা ঝাঁকালো।
— “ভাই, তাহলে আমাদের প্ল্যান কী?”
রাতুল জানালার পাশ থেকে সরে এসে ধীর পায়ে সোফায় বসল। হাতে থাকা ফোনটা টেবিলে রাখলো, তারপর গভীরভাবে বললো—
— “আমরা অপেক্ষা করবো। দেলোয়ারের প্রেস মিট শুরু হোক, দেখি সে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। তারপর… আমরা শেষ চালটা চালবো।”
আসিফ ভ্রু কুঁচকে বললো—
— “ভাই, আপনি কি নিশ্চিত? ওর লোকজন আমাদের পেছনে লেগে আছে!”
রাতুল ঠান্ডা গলায় বললো—
— “এটাই তো দরকার, আসিফ। ওরা আমাদের খুঁজবে, আমি চাই ওরা আমাদের খুঁজে পাক।”
রাসেল বিস্মিত হয়ে বললো—
— “ভাই, আপনি ওদের সামনে পড়তে চান?”
রাতুল মৃদু হাসলো, কিন্তু সেই হাসির নিচে ছিল ভয়ংকর আত্মবিশ্বাস।
— “দেলোয়ার খন্দকারকে আমি নিজের হাতে তুলে দেবো। ও নিজে বুঝতেই পারবে না, কখন সে আমার ফাঁদে পা দিয়েছে।”
আসিফ আর রাসেল নির্বাক হয়ে গেলো।
ঠিক তখনই, টেবিলে রাখা ফোনটা ভাইব্রেট করলো। রাতুল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে এক মুহূর্ত চুপ করে থাকলো, তারপর ফোনটা কানে লাগালো।
— “বলুন।”
অপর প্রান্ত থেকে কেউ দ্রুত কণ্ঠে বললো—
— “স্যার, দেলোয়ার খন্দকার লাইভে এসেছে! ও প্রেস মিট শুরু করেছে!”
রাতুল ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। চোখে এক অদ্ভুত আগুন জ্বলছে।
— “ভালো। এবার ওর নাটক শেষ করার সময় হয়েছে।”
দেলোয়ার খন্দকারের মুখ গম্ভীর, চোখে-মুখে অস্থিরতা লুকানোর চেষ্টা করলেও, সেটার ছাপ স্পষ্ট। সামনে সারিবদ্ধভাবে বসে আছে সাংবাদিকরা। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ একের পর এক ঝলসে উঠছে।
একজন সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো—
— “আপনার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, দেলোয়ার সাহেব। ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আপনার অবৈধ লেনদেন! আপনি কি একে মিথ্যা বলছেন?”
দেলোয়ার খন্দকার কাশির ভান করে গলা পরিষ্কার করলো।
— “এটা একটা চক্রান্ত! আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে! আমি এই ভিডিওর কোনো সত্যতা স্বীকার করি না!”
ঠিক তখনই এক সাংবাদিক উঠে দাঁড়িয়ে বললো—
— “কিন্তু স্যর, ভিডিওতে আপনাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আপনি কি বলতে চাইছেন, এটা এডিটেড?”
দেলোয়ারের কপালে ঘাম জমতে শুরু করলো।
— “দেখুন, আমি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে!”
সাংবাদিকরা চাপ বাড়াচ্ছিলো, কিন্তু তখনই একটা নতুন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলো।
হলরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে গেলো, আর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে রাতুল আহম্মেদ! তার প্রবেশে পুরো হল নড়েচড়ে উঠলো। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেলো, তারপর আবার চলতে লাগলো।
দেলোয়ার খন্দকার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো, তার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
— “আপনি! আপনি এখানে কেন?”
রাতুল ধীর পায়ে এগিয়ে এলো, মাইক্রোফোনের সামনে এসে দাঁড়ালো। তারপর ঠান্ডা গলায় বললো—
— “আপনার মিথ্যার পর্দা আজই ফাঁস হবে, দেলোয়ার খন্দকার।”
তারপর পকেট থেকে একটা পেনড্রাইভ বের করলো, সেটা সাংবাদিকদের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো—
— “এই পেনড্রাইভের মধ্যে রয়েছে দেলোয়ার খন্দকারের সব অপরাধের প্রমাণ। কেবল সেই ভাইরাল ভিডিও নয়, বরং আরও অনেক তথ্য, যা প্রমাণ করে যে উনি শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত নন, একজন ভয়ংকর অপরাধীও!”
পুরো হলরুম নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। সাংবাদিকদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হলো।
দেলোয়ার খন্দকার দিশেহারা হয়ে গেলো। সে চিৎকার করে উঠলো—
— “তুই কে রে! তোর এত সাহস!”
রাতুল এগিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বললো—
— “আমি সেই লোক, যে তোকে আজ শেষ করতে এসেছে।”
ঠিক তখনই, বাইরে পুলিশের গাড়ির সাইরেন বাজলো।
সাংবাদিকদের চোখের সামনে দেলোয়ার খন্দকারের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
রাতুল সোজা চোখে তার দিকে তাকিয়ে বললো—
— “গেম ওভার, দেলোয়ার।”
তারপর ধীরে ধীরে পেছনে সরে গিয়ে আসিফকে ইশারা করলো। আসিফ মোবাইল বের করে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে একটা মেসেজ পাঠালো—
“টার্গেট লোকেশন ফিক্সড। গ্রেফতার করতে পারেন।”
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন ইউনিফর্মধারী অফিসার ভেতরে প্রবেশ করলো। তাদের মধ্যে একজন সামনে এগিয়ে এসে বললো—
— “দেলোয়ার খন্দকার, আপনাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।”
সাংবাদিকদের ক্যামেরা আবার ঝলসে উঠলো।
দেলোয়ার খন্দকার হতবাক হয়ে গেলো।
দেলোয়ার খন্দকারকে হাতকড়া পরিয়ে যখন টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুরো হলরুমে এক অদ্ভুত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। সাংবাদিকরা চিৎকার করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছিলো, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ এক মুহূর্তের জন্যও থামছিল না।
দেলোয়ার খন্দকার শেষবারের মতো পেছনে ফিরে রাতুলের দিকে তাকালো। চোখে ছিল অন্ধকার প্রতিশোধের ছাপ, গলার স্বর তীব্র ও বিষাক্ত—
— “আমি এভাবে হারবো না, রাতুল আহম্মেদ! তোর জীবন আমি নরকে পরিণত করবো!”
রাতুল শান্ত, স্থির। তার চোখে একটুও ভয় নেই, বরং একটা কঠিন দৃঢ়তা খেলা করছে। ধীর পায়ে এগিয়ে এসে দেলোয়ারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো—
— “নরক তোকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত, দেলোয়ার! দেখা যাক, তুই কয়দিন নরকের মুখ দেখতে পারিস!”
তারপর পুলিশ দেলোয়ার খন্দকারকে টেনে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। দেলোয়ার খন্দকারকে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তেই প্রেসরা একসাথে ঘিরে ধরলো রাতুলকে। একের পর এক মাইক্রোফোন তার দিকে ধরা হলো—
— “রাতুল আহম্মেদ, আপনি কি মনে করেন, দেলোয়ার খন্দকারের পতন আপনার একমাত্র লক্ষ্য ছিল?”
— “এখন কী পরিকল্পনা আপনার?”
— “আপনার বক্তব্য কী, দেশবাসীকে কী বলবেন?”
রাতুল এক মুহূর্ত চুপ রইলো। তারপর ধীর পায়ে সবার সামনে এসে দাঁড়ালো। চারপাশে তাকিয়ে নিলো একবার। তারপর চোখ তুলে সোজা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বললো—
— “প্রিয় দেশবাসী,”
তার কণ্ঠে ছিল একটা তীক্ষ্ণ দৃঢ়তা, যেন দেশের প্রতিটা মানুষকে সে এই মুহূর্তে জাগিয়ে তুলতে চায়।
— “আজ আমি আপনাদের সামনে দেলোয়ার খন্দকারের মতো একজন কুখ্যাত নেতাকে তুলে ধরেছি। কিন্তু এটা আমার একার লড়াই নয়, এটা আমাদের সবার লড়াই! আমি শুধু একটা অনুরোধ করতে চাই— নিজের অধিকার নিজেই বুঝে নিন, অন্য কেউ আপনাকে বুঝিয়ে দেবে না।”
প্রেসরুম নিস্তব্ধ। সবাই গভীর মনোযোগে শুনছে তাকে।
— “দেলোয়ার খন্দকার ধরা পড়েছে, কিন্তু এরকম দেলোয়াররা এখনো আমাদের চারপাশে আছে। ধর্ষকের শাস্তি চাইতে গিয়ে ধর্ষিতার ছবি ভাইরাল করবেন না! ওদের মুখ ঢাকবেন না, ধর্ষকের মুখ উন্মুক্ত করুন! বিচার চাইতে গেলে যদি রাস্তায় নামতে হয়, তবে নামুন! দেশটা যেমন আপনার, আমার, আমাদের সবার, তেমনি এই দেশের মানুষগুলোর দায়িত্বও আমাদের।”
রাতুলের চোখে আগুন জ্বলছে, তার কণ্ঠে ছিল প্রতিবাদের শক্তি।
— “এই দেশের মা-বোনও আমাদের। তাদের ইজ্জতও আমাদের। যদি সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে চান, তবে কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে থেমে যাবেন না— রাস্তায় নামুন, লড়াই করুন, নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে আনুন! কেবল একটা কথাই বলবো—
‘বীর বাঙালি, গর্জে উঠো! রক্ষা করো আমাদের সোনার বাংলাদেশকে!’
প্রেসরুমের প্রতিটা মানুষ নিঃশব্দ হয়ে গেলো। যেন মুহূর্তের জন্য শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে সবার।
রাতুল এক মুহূর্ত থেমে, একটু কাছে এগিয়ে এসে আরো গভীর গলায় বললো—
— “একটা কথা মনে রাখবেন— জোর যার, মুলুক তার! যারা ক্ষমতায় আছে, তারা ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গেছে। নেতাদের ওয়াদা বিশ্বাস করবেন না! ওদের মুখে মধু, অন্তরে বিষ। যারা আপনাদের স্বপ্ন দেখায়, কিন্তু বাস্তবে কেবল নিজেদের আখের গোছায়, তাদের থেকে সাবধান থাকুন!”
তারপর একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে বললো—
— “আমি জানি, এই লড়াই একদিনে শেষ হবে না। কিন্তু আজকের দিনটাকে ইতিহাস মনে রাখবে। আজ এক দেলোয়ার খন্দকার ধরা পড়েছে, কাল আরও অনেক ধরা পড়বে। কারণ, এ লড়াই শুধু আমার নয়— এটা তোমাদেরও লড়াই।”
তারপর একদম শেষ কথাটা বললো—
কোন গোপনে মন ভেসেছে পর্ব ২৫
— “ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন, এবং সবচেয়ে বড় কথা— লড়াই চালিয়ে যান! আল্লাহ হাফেজ!”
এই বলে রাতুল ধীরে ধীরে মাইক্রোফোন থেকে সরে এলো।
ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠলো একসাথে।
সাংবাদিকরা চিৎকার করে আরো প্রশ্ন করতে চাইল, কিন্তু রাতুল পেছনে ঘুরে সোজা হলরুম থেকে বেরিয়ে গেলো—
নতুন এক যুদ্ধে নামার জন্য!