তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৮

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৮
ফারহানা নিঝুম

মধ্যরাতের অন্ধকারে ডুবে থাকা সময়টা যেন এক নিঃশ্বাসে থেমে থাকা পৃথিবী। সব কোলাহল থেমে গেছে, মানুষের হাঁটাচলা, গাড়ির শব্দ, দিনের সব ব্যস্ততা সব মিলিয়ে যেন এক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন শহর । চারপাশের অন্ধকার এত ঘন হয়ে যায়, মনে হয় যেন আকাশ আর মাটি মিশে গেছে এক অদৃশ্য চাদরে।
চাঁদ যদি না থাকে, তাহলে সেই অন্ধকার আরও গভীর হয় কোনো আলো নেই, শুধু নরম ঠান্ডা বাতাস, আর দূরে কোথাও হয়তো কুকুরের হালকা ঘেউ ঘেউ। জানালার কাচ দিয়ে তাকালে দেখা যায় শূন্যতা, শুনতে পাওয়া যায় নিজের নিঃশ্বাসের শব্দ।
মধ্যরাতের এই ঘন অন্ধকারে অনুভবগুলোও অন্যরকম মনে হয় সময় থেমে গেছে, চারপাশের সব কিছু হারিয়ে গেছে, শুধু তুমি আর তোমার ভিতরের পৃথিবী রয়ে গেছো। এটা একা থাকার সময়, আবার নিজের সঙ্গে কথা বলারও সময়।

“ম্যাডাম।”
পরিচিত কন্ঠস্বর,রাগলো ফারাহ। কপাল কুঁচকে এলো তার। এক বারের জন্য পিছন ফিরে তাকালো না সে। ট্রাউজারের পকেটে হাত গুজে টান টান হয়ে দাঁড়ালো তাশফিন। ঠোঁটে ঝু’লছে তার দুষ্টু হাসি। ফারাহ বিছানা গুছিয়ে নিচ্ছে, ঘুমাবে সে। ঠাস করে দরজাটা বন্ধ করে দিল তাশফিন, বক্ষঃস্থল কম্পিত হয় ফারাহর। অস্থির চিত্তে তৎক্ষণাৎ বিছানায় উঠে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল সে।সহসা হেসে ফেলল তাশফিন। এগিয়ে গিয়ে বেড সাইডে লাইট সুইচ অফ করে সেও বিছানায় উঠে এলো।
গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকা ফারাহর দিকে এক নজর দেখে টান দিয়ে সরিয়ে দিল কাঁথা টা। আঁতকে উঠে ফারাহ। কম্পিত সুরে বলল।
“পঁচা মানুষ, ফাজিল মানুষ সরেন ঘুমাতে দিন আমাকে।”
চোখ পাকিয়ে তাকালো তাশফিন, অসহায় চোখ করে তাকালো ফারাহ।
“আমি এখন জাপটে ধরে ঘুমাবো, এরপর নড়াচড়া করলেই মাইর ‌”
আঁখি দু’টো একটু বেশী বড় হয়ে এসেছে।
“আপনি আমাকে মা’রবেন?”
“হুঁ।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ছিহ কমান্ডার হয়ে এটা বলছেন? আপনার নামে আমি মা’মলা দেব।”
“❝উঁহু আজ আমি তোমার নামে মামলা দেব সুখ, উচ্চ আদালতে আপিল করব। এরপর চিরতরে বন্দি বানাবো।”❞
“খবরদার আমার সাথে লাগবেন না। আমি না আপনার সাথে থাকব না।”
ফারাহ রাগ করে উঠে গেল তৎক্ষণাৎ, বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো।
“আল্লাহ মালুম আপনার মাথায় কি চলে? বিকেলে স্টাডি রুম থেকে বের করে দিলেন, এখন আবার আসছেন বন্দি বানাতে ‌। থাকুন আপনি, আমি আপনার সাথে রুমে থাকব না ‌।”
দরজার দিকে পা বাড়ানোর পূর্বে উঠে গেল তাশফিন, এগিয়ে গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে পরে। থতমত খেয়ে গেল ফারাহ।
“সরুন সরুন। দেখুন একদম কাছে আসবেন না বলে দিচ্ছি।”
মনে মনে কুটিল হাসলো তাশফিন,এক পা দু পা করে এগিয়ে আসতে আসতে মেকি রাগ দেখিয়ে বলল।
“এক বছর দূরে ছিলি, এখন আবার দূরে থাকার কথা বলছিস ।মে’রে ফেলব।”
ঠোঁট ভেঙে আসছে ফারাহর। অস’ভ্য পুরুষ তার উপর সব দোষ চাপিয়ে দেওয়ার ধা’ন্দা।

“মোটেও না, আপনি চলে গেছেন।”
“দায়িত্ব ছিলো আমাকে ফেরানো।”
“ও মা গো কোন দেশের রাজা আপনি আপনাকে ফিরিয়ে আনবো?”
“সুখ রাজ্যের রাজা আমি। আমার স্ত্রীর নাম কি ফারাহ শেখ। ফারাহ অর্থ কী সুখ।আর আমি সেই সুখের অধিকারী।”
বাকরুদ্ধ ফারাহ , লোকটা নিজের অতি সুন্দর আদুরে কথা গুলো দিয়ে ব’শীভূত করে রাখে। খিঁচিয়ে আঁখিদয় বুঁজে নিল সে।তাশফিন নম্র কন্ঠে বলল।
“সুখ চোখ মেলে তাকাও।”
“উঁহু আপনি আমাকে চোখ দিয়ে ব’শীভূত করে নেন, আমি তাকাবো না আপনার দিকে।”
কর্ণ স্পর্শ করলো চমৎকার একটি হাসির শব্দ। অবাক নেত্রে আঁখি মেলে তাকাল ফারাহ।তাশফিন হাসছে, সুন্দর তার হাসি।
“সুখ সুখ সুখ তুমি এত সরল কেন?”

কথার মাঝখানে আকস্মিক ফারাহ কে কোলে তুলে নিল তাশফিন, এগিয়ে নিয়ে গেল বিছানায়। আলগোছে শুইয়ে দিল তাকে,নিজেও চলে এলো বিছানায়। টেনে নিল প্রাণপ্রিয় সুখ কে, দু’হাতে ভালোবাসার আলিঙ্গন করে।
“সুখ আমাদের সম্পর্ক এখনো পরিপূর্ণ হয়নি। যেদিন সম্পূর্ণ ভাবে আমি তোমাকে আপন করে নেব সেদিন পূর্ণতা পাবে। তুমি যথেষ্ট ছোট, তোমার পড়াশোনা আছে। আস্তে আস্তে সহজ হও আমার সাথে! এরপর তোমাকে ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে নেব। এখন আপাতত তোমার কাছে আমার সুখ আমানত রাখা আছে,তা সামলে রাখার দায়িত্ব তোমার।”
ফারাহ তাশফিনের অভিব্যক্তি বোঝার চেষ্টা করলো।এই লোকটা কী সত্যি তাকে ভালোবাসে? হয়তো খুব ভালোবাসে যা ফারাহ ছোট হওয়ায় দরুন এখনো কি বুঝতে পারছে না?তার সুন্দর কথা গুলো মনে কেড়ে নিচ্ছে ফারাহর।
অকস্মাৎ হেসে ফেলল তাশফিন।

“সরি মিসেস শেখ, আমি জানি না নিজেকে কতখানি কন্ট্রোল করতে পারব!বাট হ্যাঁ কন্ট্রোল করতে পারলে সমস্যা নেই ছোট হলেও আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেব।”
কথাটা বলেই চোখ টিপে তাশফিন। লজ্জায় কুঁকড়ে যায় মেয়েটা। এতক্ষণ ধরে ভালো ভেবেছিল, কিন্তু অবাধ্য লাগামহীন লেফটেন্যান্ট সাহেব কখনো ভালো হবার নয়!
“আপনি মানুষটা ভীষণ অভদ্র!”
“কীভাবে বুঝলে?”
“দেখেই তো বোঝা যায়।”
“কিন্তু আমি তো এখনো কিছু দেখাইনি!”
লজ্জায় কান গরম হয়ে আসছে ফারাহর। না আর শুনতে পারবে না সে
উঠতে নিলো আবারো, তবে এবারে তাকে ডিরেক্ট কোলে নিলো তাশফিন। দু’পা ছড়িয়ে বসেছে ফারাহ
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে তাশফিনের মুখ পানে।

“সুখ আই নিউ ইউ রাইট নাউ।”
“না.. আমি প্লিজ..
“আই কান্ট!”
উতলা হয়ে উঠে তাশফিন, নিজেকে উন্মুক্ত করে সফেদ রঙা শার্ট হতে। দু’হাতে আঁকড়ে ধরে ফারাহর সরু কোমর খানা। মত্ত হয় তার বক্ষ ভাঁজে। অকস্মাৎ তাকে থামিয়ে দিলো ফারাহ।
“থেমে যান।”
মুখ তুলে চাইলো তাশফিন, বোঝার চেষ্টা করছে ফারাহর অভিব্যক্তি। মেয়েটা কাঁপছে থরথরিয়ে। ফিসফিসিয়ে বললো।
“মেয়েলি সমস্যা!”
বাচ্চা বাচ্চা মুখ করে তাকালো তাশফিন, নিজের চুল গুলো ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে তার।তার কপালে কি সুখের ছোঁয়া নেই!
“ওয়াশ রুম যাবো!”
ঠোঁট উল্টে তাকালো তাশফিন, শান্ত স্বরে বলল।
“প্লিজ! কিচ্ছু হবে না আই প্রমিজ!”
ফারাহর অসহায় মুখ দেখে কিছু বলতে পারলো না তাশফিন। কোলে নিয়েই তাকে নিয়ে গেলো ওয়াশ রুমে।তাশফিনের অসহায় মুখখানি দেখে মনে মনে হেসে ফেলল ফারাহ।

ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে সাইফুল, উঁকি দিয়ে এক পলক দেখে নিল নূপুর ঘুমিয়েছে কিনা? ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলো সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ছোট মাহির এক পাশে চুপচাপ ঘুমিয়ে আছে। সাইফুল ল্যাপটপের শাটার অফ করে উঠে গেল। থাইগ্লাসটা টেনে বাইরে ব্যালকনিতে চলে গেল। ফোন টা ট্রাউজারের পকেট থেকে বের করে একজন কে কল করলো।
“হ্যালো?”
ওপাশ থেকে পুরুষালী কন্ঠস্বর ভেসে এলো।
“হ্যা বলো।”
“কালকের ভেতরে আমার মাল গুলো ডেলিভারি চাই,উপর মহল থেকে আদেশ করেছে।”
“ওকে পেয়ে যাবেন।”
ফোন টা পকেটে রেখে দিল।

একটি নতুন ফাইল,সব গুলো ফাইল লেফটেন্যান্ট নাইম ইসলাম নিজে নিয়ে উপস্থিত হয়েছে বাড়িতে।তাকে ডেকে আনার একটি যথাযথ উদ্দেশ্য রয়েছে।
সকাল সকাল নাইম ইসলাম কে দেখে চমকে উঠে সৌহার্দ্য।
“নাইম তুমি?”
“হ্যা সৌহার্দ্য কমান্ডার ডেকে পাঠিয়েছেন।”
সৌহার্দ্য চিন্তিত হলো, হঠাৎ তাশফিন কেনো তাকে ডেকে পাঠিয়েছে?
রাইমা শেখ দুতলা থেকে নেমে এসেই নাইম কে দেখে সৌজন্য মূলক হাসলো।
“আরে নাইম তুমি?এসো এসো ভেতরে এসো।”
নাইম অল্প হাসি উপহার দিয়ে এগিয়ে গেল। রাইমা শেখ ভীষণ পছন্দ করেন ছেলে টাকে।সবে সোফায় বসেছিল সেই মূহূর্তে বেরিয়ে এলো তাশফিন।তাশফিন কে দেখা মাত্র উঠে দাঁড়ালো নাইম।
“গুড মর্নিং কমান্ডার।”
“গুড মর্নিং নাইম।চলে এসো স্টাডি রুমে।”
নাইম খুব একটা দ্বিমত করলো না, এগিয়ে গেল তাশফিনের পিছু পিছু। সৌহার্দ্য কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গেল, কিছুই বোধগম্য নয়।
দুপুর গড়িয়ে এসেছে। ড্রয়িং রুমে আসা মাত্র চমকে উঠে ফারাহ।

“স্নেহা!”
“ফারু।”
ঝাপটে গিয়ে ফারাহ কে জড়িয়ে ধরে স্নেহা। পাশেই দাঁড়ালো নবীন। নবীন কে দেখে আশ্চর্য হয় ঝুমুর।এই লোকটা এখানে কি করছে?
“ফারু রে তোকে দেখে যে কি আনন্দ হচ্ছে বলে বোঝাতে পারবো না।”
ফারাহ বিস্ময়কর কন্ঠে বলে উঠে।
“তোরা? কখন এসেছিস?”
“ঘন্টা খানেক আগেই।”
ফারাহর প্রচন্ড মাথা ব্যথা ছিলো সকাল থেকে তাই ঘুমিয়ে ছিলো সে।
“আরে এদিকেও একটু তাকা।”
নবীনের কথায় হেসে ফেলল ফারাহ, ঝাপটে জড়িয়ে ধরে নবীন কে।
“কেমন আছো ভাইয়া?”
“আমি তো দিব্যি ভালো আছি, কিন্তু তুই কেমন আছিস?”
“আমিও খুব ভালো আছি।”

তৎক্ষণাৎ আগমন ঘটে তাশফিনের, কিছুক্ষণ আগেই দীর্ঘ দু ঘন্টার আলোচনা শেষ করে নাইম ইসলামের সাথে।যা নিয়ে চিন্তায় আছে সৌহার্দ্য। তাকে বলেনি তাশফিন কি নিয়ে আলোচনা করেছে তারা? নাইম চুপচাপ এসেছিল এবং চুপচাপ ফিরে গেছে।
“ম্যাডাম উঠে গেছে?তা ম্যাডাম কখন উঠলেন আপনি?”
কপাল কুঁচকে তাকালো ফারাহ।এহ এমন একটা ভাব করছে যেন ফারাহ দিন রাত ঘুমিয়ে পার করে!
“তো আপনি কি চান আমি ম’রার মতো ঘুমাই?”
অকস্মাৎ হেসে ফেলল তাশফিন, ডান ভ্রু উঁচিয়ে কিছু একটা ইঙ্গিত করে,যা বুঝতে পারলো না ফারাহ। অথচ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নবীন ঠিকই বুঝে গেল, ওষ্ঠাদয় কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে এলো তার। লজ্জায় চোখ নামিয়ে পাশ কা’টিয়ে চলে গেল।
“আমি চাই আপনি আমার সাথে ঘুমান।”
চোখ বড়বড় করে তাকালো ফারাহ,এই লোকের মুখে লাগাম নেই।সে ফেঁসে গেলো!

ফুরফুরে মেজাজে কলেজে গিয়েছে আজ ফারাহ ওর সাথে আছে স্নেহা, মূলত ফারাহ কিছু নোটস নিতে গেছে যা নিয়ে ফিরে আসবে সে।
কলেজে যাওয়া মাত্র রাহা আর নেহা দু’জনেই এগিয়ে এলো।রাহা অবাক হয়ে বলল।
“ভাই রে ভাই তোর হটিফটি জামাই আর্দ্র কে কি চড় মা’রটা মা’রলো রে!”
স্নেহা খুব একটা অবাক হলো না,এই তো এখানে আসার পর থেকে ফারাহ তাকে সবটাই বলেছে।
“আচ্ছা এসব বাদ দে তো,আর আমার নোট গুলো দে।”
নেহা লম্বা একটা টানা দিয়ে বলল।
“আমরা কই তে পামু?ওইটা তো আর্দ্র ভাইয়ের কাছে?”
কিছুটা আশ্চর্য হয় ফারাহ।
“ওনার কাছে মানে?”

“আরে উনি আমাদের ডিপার্টমেন্টের টপার, সব নোট এগুলো ওনার দায়িত্বে, ভাইয়া সবথেকে ভালো। কিন্তু তুই তো বেচারা রে কেস খাইয়ে দিলি?”
আহাম্মক বনে গেল ফারাহ। আর্দ্র তাহলে ঠিক বলছিল, ছেলেটা ততটা খারাপ নয়। ইশ্ পঁচা জামাই টা কি করলো?
“এবার আমি কি করব?”
খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো সবাই, স্নেহা চিল মুডে বলে উঠে।
“আরে টেনশন নট, আমি আছি না তোর সাথে?দেখিস কি করে নোট নিয়ে দেই।”
ফারাহ ভাবনায় পড়ে গেল, বেচারা শুধু শুধু একটা থা’প্প’র খেলো।
ক্যান্টিনের বেঞ্চে বসে কলম গুঁতাতে ব্যস্ত আর্দ্র। নিজের সামনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে মুখ তুলে তাকায়। অটোমেটিক ডান,হাত ডান গালে চলে গেল আর্দ্রর।
“ফ.. ফারাহ তুমি? আমি কি করেছি? দেখো আমাকে মাফ করো ভাই আমি কিছু করিনি সত্যি।”
ফারাহ হাসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছে না। ইশ্ ভয়ে বেচারা কুপোকা’ত।
“তোমার সাথে আমার কথা আছে আর্দ্র।”

তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ালো আর্দ্র। ব্যস্ত ভঙিতে বলে উঠে।
“না না তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই।”
“আরে আরে দাঁড়াও ভাই কোথায় যাচ্ছ?”
স্নেহা আটকে দেয় আর্দ্র কে। আর্দ্র ভয় পেলো।
“আপনি বুঝতে পারছেন না ফারাহর হাসব্যান্ড.. উফ্ ভাবতেই পারছি না।”
ফারাহ হেসে ফেলল, আর্দ্র কে উদ্দেশ্য করে বলল,

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৭

“সরি আর্দ্র। আসলে কমান্ডার এত রেগে গেছিল কি বলব?”
কপালে ভাঁজ পড়ে আর্দ্রর।
“উনি কমান্ডার?”
“লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাশফিন শেখ।”

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ২৯