তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৫

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৫
ফারহানা নিঝুম

বিয়ে বাড়ি।চারপাশে ঝকমক করে জ্বলছে আলোর মেলা, যেন আকাশের তারাগুলো নেমে এসেছে মাটিতে। রঙিন বাতিগুলো অদ্ভুতভাবে ঘুরছে। চারিদিক অতিথিদের হাসি ঠাট্টা নিয়ে মেতে উঠেছে সবটা। নতুন বর আসার অপেক্ষায় সবাই। গাড়ি দিয়ে সবে এসেছে আরিয়ান আর স্নেহা।
আরিয়ান এগিয়ে গিয়ে ম্যানলি হাগ করলো তাশফিনের সহিতে। আশেপাশে দৃষ্টি বুলিয়ে বললো।
“নিহাল আসেনি ব্রো?”
হাত ঘড়িটায় দৃষ্টি বুলিয়ে বলল তাশফিন।
“চলে আসার কথা,কেনো যে এত লেইট করছে!টেনশন নিস না চলে আসবে, বাই দ্য ওয়ে স্নেহা কোথায়?”
মুচকি হাসে আরিয়ান।
“ওই তো ফারাহর কাছে গেলো।”

মুখ জুড়ে দেখা দিলো রাগের ছটা লেগেছে, চোয়াল শক্ত হয়ে এলো তার।তার ফুটফুটে বউ টা আজকে লাল শাড়ি পড়েছে।তার তো উচিত একবার হলেও স্বামীর কাছে আসা। স্বামীর ছোঁয়া নেওয়া,অথচ বেয়াদব বউ টা দূরে দূরে থাকছে।তাশফিন কে গম্ভীর হতে দেয়া ভ্রু কুঁচকালো আরিয়ান। কাঁধে হাত রেখে শুধোয়।
“ব্যাপারটা কি ব্রো মুখ এমন করে রেখেছিস কেন?”
সুঁচালো চোখ করে তাকালো তাশফিন, বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হেসে উঠলো আরিয়ান।
“বুঝে গেছি ভাবি তোকে পাত্তা দেইনি রেএএ।হা হা হা।”
সজোরে একটা ঘুষি বসালো তাশফিন আরিয়ানের পেটে “উপ্স”শব্দ করে।
“ব্রো তুই ভাবির রাগ আমার উপর দেখাচ্ছিস?”
“শাট আপ আরিয়ান।”
“কি হয়েছে গাইজ?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আরিয়ান আর তাশফিন দুজনেই পিছনে দিকে ঘুরে।নিহাল চলে এসেছে। নিহাল কে দেখে আরিয়ান এগিয়ে গেলো।
“ব্রো দেখ তাশফিন আমাকে ঘুষি দিয়েছে।”
হেসে ফেলল নিহাল,তাশফিনের দিকে এগুতে এগুতে বললো।
“এমনি এমনি তো আর ঘু ষি দেয়নি।কি করেছিস সেটা বল!”
“আবে শা’লা ভাবির সব রাগ আমার উপর দেখাচ্ছে।ব্রো কে পাত্তা দেয়নি।”
হো হা করে হেসে উঠলো নিহাল, গরম চোখ করে তাকালো তাশফিন। দুজনেই চুপ করে গেলো। আরিয়ান নিহালের কানে ফিসফিসিয়ে বললো।
“ভাবি বোধহয় ভাত দেয়নি!আই মিন চুমু!”
আবারো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।

ফোনের টুং শব্দ হতেই সেটা হাতে নিয়ে ছাদের এক কোণে চলে গেল তাশফিন। হোয়াটসঅ্যাপে‌ ম্যাসেজ এসেছে। ফারাহ ম্যাসেজ করেছে। “মিসেস শেখ” নামটি ভেসে উঠলো চোখের সামনে।ম্যাসেজ ওপেন করতেই বুকের ভেতর ধক করে উঠলো। কন্ঠনালি কাঁপছে থরথর করে। পুরুষালী মনটা কাঁপছে যেনো থরথরিয়ে।লাল রঙা শাড়িটা পরে অদ্ভুত অদ্ভুত ভঙিতে সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছে তাকে। অনাবৃত বক্ষের কিছু সুন্দর চিত্র ধারণ করে সেগুলো পাঠিয়েছে স্বামী নামক আ’সামীর কাছে। কানের পাশ বেয়ে ঘাম গড়িয়ে গেলো তাশফিনের। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে ফুটফুটে বাচ্চা বউটার উপর। আচ্ছা এমন কেউ করে?একে তো সকাল থেকে কাছেই আসছে না তার উপর এসব পাঠিয়েছে। এতক্ষণে নিচের ম্যাসেজ টা লক্ষ্য করলো তাশফিন। স্পষ্টভাবে লিখে দিয়েছে।

“অবাধ্য লেফটেন্যান্ট সাহেব আপনি আমাকে প্রচন্ড জ্বা’লান। এখন একটু আমিও জ্বা’লাই।”
রাগে কপালের রগ গুলো ফুলে উঠেছে তাশফিনের।পরপর টাইপ করলো তাশফিন।
“ট্রাস্ট মি সুখ ধরতে পারলে জ্বা’লিয়ে দেবো।তখন কেঁদেও কুল কিনারা পাবে না।”
ভেং’চি ইমোজি দিলো ফারাহ। নিজেকে সংযত করা বড্ড কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাশফিনের জন্য। চটজলদি ছাদ থেকে নেমে ঝুমুরের রুমের দিকে এগুতে লাগলো।ঠিক তখনই কানে এসেছে বর চলে এসেছে কথাটি।তাশফিন থামবে না,তাকে কেউ থামাতে পারবে না

যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সেগুলো ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে চলেছে। ফারাহ যেই দেখেছে তাশফিন আসছে,সুযোগ পেতেই বেরিয়ে এলো সে রুম থেকে। তাকে পালাতে দেখে চিৎকার করে উঠল তাশফিন।
“সুখ ওয়েট,সুখ ধরতে পারলে খারাপ হবে। দাঁড়া বলছি সুখ।”
কে শুনে কার কথা? ফারাহ ছুটে বাইরে বেরিয়ে ভিড়ে মিশে গেলো। বরযাত্রী রা এসেছে।বর চলে এসেছে।তাশফিন খুঁজে চলেছে ফারাহ কে, অথচ কোথাও দেখতে পাচ্ছে না। রাগে চোখের কার্নিশ লাল হয়ে আসছে তার।সে ছাড়বে না বউ কে,আজ তাকে জ্বা’লিয়ে শেষ করবে।আরো একবার দৃষ্টি বুলিয়ে দেখতে পেলো নূপুরের সাথে দাঁড়িয়ে আছে সে,তাশফিন এক পা ফেলতেই মাহির কে কোলে তুলে নিলো ফারাহ।মোটা ভ্রুদ্বয় কুঞ্চিত করে তাকালো তাশফিন।সে দৃষ্টি তীক্ষ, ফারাহর জান কবজ করতে তার অবাধ্য পুরুষের দৃষ্টি যথেষ্ট।

নববিবাহিতা ঝুমুরের হৃদয়জুড়ে তখনো ব্যাকুলতা ও কৌতূহলের মৃদু ঢেউ খেলছে। কবুল বলা মাত্রই নতুন একটি মানুষের সাথে পবিত্র বন্ধন আবদ্ধ হয়েছে সে। ঘোমটার আড়ালে থাকা সদ্য বিয়ে করা বউ কে দেখতে চায় ব্যাকুল বর।ঠিক তখনই এক চমকপ্রদ মুহূর্তে ঝুমুর কে অবাক করে বলে উঠে।
“ফাইনালি বিয়ে করে ফেললাম বই পড়ুয়া ম্যাডাম।”
ঝুমুর যেন জমে গেল এক মুহূর্তে। শীতল হাওয়ার ঝাপটা বয়ে গেল তার শিরদাঁড়া বেয়ে। এ কণ্ঠস্বর, এ তো তার চেনা খুব চেনা মানুষটির কন্ঠস্বর।

ঘোমটার আড়ালে থাকা ঝুমুর অস্থির হয়ে উঠে,পাশের মানুষটিকে এক পলক দেখার জন্য।গলা জড়িয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফারাহ ফিসফিসিয়ে বললো।
“অবাক হলে আপু? তোমার জামাই কে জানো? দেখতে চাও?”
থরথরিয়ে কাঁপছে ঝুমুর, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে তার।কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না। অস্থিরতা কাটাতে ঘোমটা সরিয়ে পাশের মানুষটিকে দেখলো।এক গাল হাসি নিয়ে বসে আছে নবীন আহমেদ। নবীন কে দেখে স্থির নেত্রে চেয়ে রইল ঝুমুর।চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো এক ফোঁটা অশ্রু।তবে কি নবীন তার স্বামী?লোকটার সাথেই বিয়ে হয়েছে তার?
ঝুমুর এবং নবীনের সম্পর্কটা আগে থেকেই জানতো তাশফিন। নবীন যেদিন ঝুমুর কে ভালোবাসার কথাটি বলল ঠিক সেদিন ছাদে তাশফিনের সাথে কথা হয় নবীনের। নিজের বোনের খেয়াল রাখে সে,যেমন বাইরে ঠিক তেমনি বাসায়। সব দিকেই নজর রয়েছে তাশফিনের।

“কি ভেবেছিলি প্রেম করবি অথচ বিয়ে করবি না?”
ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো ঝুমুর,কিছু বলতে গিয়েও পারছে না বলতে।
“থাক আমাকে কিছু বলতে হবে না। তুই কেন এসব করেছিস সব জানি আমি।দেখ ঝুমুর তুই আমাদের সবার খুব আদরের, একবার মুখ ফুটে বলতে পারতি।আর সেখানে তুই কি-না চুপ রইলি!”

আজকে নূপুর খয়েরির মধ্যে একটা শাড়ি পরেছে ,মাহির সেই থেকে তাকে ঘুরাচ্ছে । এখন আবার ফারাহর কোলে উঠে বসে আছে।
দুতলায় ছেলে মেয়েদের ভিড় ,সব গুলো বাচ্চা এখানে জড়ো হয়েছে। বিয়ে বাড়ি বলে কথা চারিদিকে অতিথিরা গিজগিজ করছে।
করিডোর পার করে সামনের দিকে পা বাড়ায় নূপুর , হঠাৎ পিছন থেকে ডাক শুনতে পেলো।
“নূপুর?”
নূপুরের পা জোড়া থামলো ,পিছু ফিরে তাকালো। নিহাল এক পলক তাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে। শাড়িতে বেশ লাগছে মেয়েটাকে।

“নিহাল ভাইয়া? কিছু বলবেন আপনি?”
নিহাল ক্ষণিকের জন্য চুপ রইল , অগোচরে লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে বলল।
“ভাবছি পৃথার সাথে কথা বলব। আমি ওকে কিছু বলতে চাই।”
নূপুর কিঞ্চিৎ ভড়কালো।
“কি বলতে চান?”
নিহাল আইঢাঁই করে বলল।
“তোমার ভাষ্যমতে পৃথা খুব ভালো মেয়ে ,আর আমিও সেটা জানি। তাই ভাবছি যদি ও চায় তাহলে আমি ওকে নিজের পরিচয়টা দিতে চাই।”

চোখের পাতা কাঁপে নূপুরের। ওষ্ঠো চওড়া হলো।
“সত্যি বলছেন আপনি ভাইয়া? মানে আমি ঠিক শুনছি তো?”
নিহাল হাসলো , হাসিটা কি আনন্দের নাকি তাচ্ছিল্যের তা বোঝা বড় দায়।
“নিহাল ভাইয়া আপনি যে সিদ্ধান্ত টা নিয়েছেন সেটা সত্যি চমৎকার।”
নিহাল নূপুরের পানপাতার মতো স্নিগ্ধ মুখশ্রীতে এক পলক দৃষ্টি বুলিয়ে পিছন ফিরলো। সব কিছু এত ভারাক্রান্ত লাগছে কেন? শরীর টা আচানক ভারী হয়ে আসছে।

বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ যেন হঠাৎ করে তার মেজাজ বদলে ফেলেছে। সকালের উজ্জ্বল রোদটা তখনো জানালার কাঁচে গা বেয়ে নেমে আসছিল, অথচ এখন সব যেন অন্য রকম। আকাশের রঙ বদলাতে শুরু করেছে নিঃশব্দে, এক প্রান্তে গোধূলির হালকা কমলা, আর অন্য পাশে গভীর ধূসর মেঘের ছায়া। বাতাসে এক ধরণের অদ্ভুত স্নিগ্ধতা, যেন প্রকৃতি আপন মনে গান গাইছে। টিনের ছাদে বৃষ্টির শব্দ এক ঘরোয়া সঙ্গীত হয়ে বেজে চলেছে, আর জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ যেন হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের ভেতর, কিছু না বলা কথার মতো। ব্যালকনির দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে এলো ফারাহ
শীতলতা কে আজ আঁকড়ে ধরতে চায় সে।দুহাত মেলে বৃষ্টি কে আলিঙ্গন করে নেয় আলগোছে। আজকের দিনটা এত মধুর কেন? ভালোবাসা গুলো এত সুন্দর কেন?সব কিছু কে আজকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
দ্রুত ছুটে এসেছে তাশফিন, বৃষ্টি বিলাসী ফারাহ কে দেখে হৃদস্পন্দন প্রবল বেগে ধুকপুক করছে। ফাঁকা ঢোক গিললো তাশফিন। বাঁকা কোমড়,দুহাত মেলে শীর্ণ বদন খানিতে লেপ্টে রয়েছে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা।তাশফিনের বড্ড হিং’সে হচ্ছে।

কোমড়ে বলিষ্ঠ হাতের স্পর্শে হকচকিয়ে গেল ফারাহ।চোখ নামিয়ে তাকালো পুরুষটির দিকে। চোখের কার্নিশ লাল হয়ে আছে তার ব্যক্তিগত পুরুষের।ভয়ে হাত দুটো কাঁপছে ফারাহর।কি হবে এখন?সে যে আজকে বড্ড জ্বালি’য়েছে লোকটাকে।
“লেফটেন্যান্ট সাহেব শুনুন?”
শাড়ির আঁচল হাতে পেঁচিয়ে নিলো তাশফিন, আঁতকে উঠে ফারাহ। ছটপট করছে সে।
“দদেখুন লেফটেন্যান্ট সাহেব সরি তো, আর হবে না।”
“নো মোর ওয়ার্ড’স।”

কোমড়ে তীব্র চাপে বেঁকে যাচ্ছে ফারাহ। বুকের ভেতর ধুকপুক ধুকপুক শব্দটি বেড়েই চলেছে। অন্তর আ’ত্মা কেঁপে উঠলো। অস্থির হলো সে।কান্না আর লজ্জার মিশেলে কণ্ঠটা কেঁপে উঠল ফারাহর, অনুরোধ জানাল।
“ছেড়ে দিন না প্লিজ। আপনার এই রূপ সহ্য করতে পারব না।”
তাশফিনের ঠোঁট হালকা হাসিতে বেঁকে উঠলো। মুখ নামিয়ে আলতোভাবে গালে নাক ঘষে ।
“ইটস্ মাই টার্ন বেইব।”
শাড়ি ভেদ করে মসৃণ মেদহীন উদরে স্পর্শ করলো তাশফিন,শিউরে উঠে ফারাহ, লজ্জায় কুঁকড়ে যায়। ভেতরে এক আ’তঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে। অবাধ্য পুরুষ তার খুব কষ্ট দেয়। নিজেকে নতুন রূপে ফারাহর সামনে নিয়ে আসে, যাকে সামলানো বড্ড মুশকিল হয়ে পড়ে ফারাহর নিকটে।এই যে তার একটুখানি বেসামাল স্পর্শে নিঃশ্বাস টুকু কুণ্ডলি পাকিয়ে গলায় আটকে আসছে!

দু’হাতে ছোট্ট শরীর টা তুলে ব্যালকনির এক প্রান্তে রাখা বেতের সোফায় নিয়ে গেল তাশফিন। বৃষ্টিভেজা আবছা আলোয় ফারাহকে আলগোছে শুইয়ে দিল সে যেনো কোনো পবিত্র আরাধনার শুরু হচ্ছে।ছাদের ধারে ঝুলে থাকা বৃষ্টির ফোঁটাগুলো তখনো নেমে আসছে একেক করে। ঠোঁটের ভাঁজে ঠোঁট গুঁজে গভীর ভাবে নিজের মাঝে টেনে নিচ্ছে ফারাহ কে।ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে ফারাহ। অকস্মাৎ ওষ্ঠো জোড়া ছেড়ে ব্যাকুল হয়ে গ্রীবাদেশে ওষ্ঠো ছোঁয়ায় তাশফিন। অনাবৃত বক্ষে, একটু উষ্ণ পরশ এঁকে মুখ তাকালো সে
আলতো করে ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে অশান্ত হয়ে, গলার স্বর নামিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো।
“মে আই হ্যাভ অ্যা বাইট সুখ।”
আকুল ভরা আবদারে মোচড়া যাচ্ছে ফারাহ। দুদিকে মাথা নাড়িয়ে লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস টেনে বলছে।
“না। একদম না

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৪

“জাস্ট ওয়ান বাইট, আই প্রমিস!”
তাশফিন কে ঠেলে উঠতে গিয়েও পারলো না ফারাহ।তার পূর্বেই চলে এলো তার নিকটে অবাধ্য পুরুষ। গভীর ভাবে দাঁত বসিয়ে দিলো তার বক্ষ ভাঁজে।তাশফিন ধৈর্য্য হারিয়েছে, ভেঙে দিয়েছে সব বাঁধ।ব্যথায় ককিয়ে উঠলো ফারাহ।চোখ দুটো খিঁচিয়ে বুঁজে নেয়।অবাধ্য পুরুষের সেদিক পানে খেয়াল নেই একটুও। তার অসুস্থ ছোট্ট বউটা যে বক্ষ তলে পিষ্ট হচ্ছে তা কি সে দেখে না? নিজেকে আরো একবার নতুন রূপে নিয়ে এলো ফারাহর সামনে।ভড়কালো ফারাহ, চমকে তাকায়। চেনার চেষ্টা করে এই পুরুষ কে।বড় অসহায় লাগছে নিজেকে, দু’হাতে অবাধ্য পুরুষ কে আলিঙ্গন করলো সে। টেনে ধরে তার ভেজা চুল গুলো। বৃষ্টির ফোঁটা ছুঁয়ে যাচ্ছে তাদের।তারা মিলে মিশে একাকার,এই খোলা আকাশ তাদের আরো একবার মিলনের সাক্ষী হলো।

তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৬