তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৬
তাবাস্সুম খাতুন
রাতের আঁধার কেটে ধরণীতে সূর্যের আগমন ঘটলো। পাখিরা উড়ে বেড়াচ্ছে কিচির মিচির ডাক দিচ্ছে। মাস টা এখন অক্টোবর এর মাঝে সকালটা যেন শীত শীত ভাব। কুয়াশা ও দেখা যাই, নীল বলকুনিতে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া উড়ানো গরম কফি পান করছে। পোশাক বলতে সে নেভি ব্লু রঙের পাঞ্জাবী পড়ছে সাথে নিয়েছে সাদা রং এর উপরে সুন্দর ফুলের ডিজাইন করা শাল, দৃষ্টি তার দূরের আকাশের পানে, আর কিছু ঘন্টা এর পরেই তার ফ্লাইট চির বিদায় নেবে এই বাংলাদেশের মাটি থেকে। যেমন ভাবে শীতকালের অথিতি পাখিরা আসে দুইদিন থেকে চলে যাই। এই নীল ও সেই শীতকালের অথিতি পাখি দুইদিন থেকে বিদায় নিচ্ছে।
তবে অথিতি পাখি আবারো আসে শীত পড়লে, কিন্তু নীল আর আসবে না সে চলে যাবে এই দেশ ছেড়ে যেইখানে তার বলতে কিছুই নেই। এইসব কিছু ভেবে সে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। তার কোন আক্ষেপ নেই, না আছে কোন ছিনিয়ে নেওয়া, না আছে কারোর মাঝে ভুল বুজাবুজি করা। তবে একটা আখাঙ্খা, একটা শখ আছে মাত্র এই শেষ বেলায় দাঁড়িয়ে একটা বার সে তার শ্যামার সাথে দেখা করতে চাই। বিদায় দিতে চাই তার শ্যামা কে, বলতে চাই আজ কত বছর ধরে মনের গভীরে যেই কথা গুলো পুষে রেখেছিলো সবকিছু বলবে আজকে। এই আখাঙ্খা, এই শখ তার। নীলের এইসব ভাবনার মধ্যে তার ফোন শো শব্দে বেজে উঠলো নীল রিসিভ করে কানে ধরলো ঐপাশে কি বললো শোনা না গেলেও নীল বলে উঠলো,,,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আর দুই এক ঘন্টা বাকি। আমি আমার না বলা কথা গুলোও বলে তারপর এই দেশ ছাড়বো নয়তো, এই কথা গুলো আমার পিছু ছাড়বে না মরে গেলেও এর ভার আমাকে বয়ে বেড়াতে হবে। অপেক্ষা কর আমি আসছি!”
বলে নীল কল কেটে দিলো কফির মগ রেলিং এর উপরে রেখে নিজের ফোন নিয়ে ঐভাবেই বেড়িয়ে গেলো। বাইরে এসে গাড়িতে উঠে বসলো কোন ড্রাইভার নেই নি নিজেই গাড়ি চালিয়ে চৌধুরী ম্যানশনের দিকে চলতে লাগলো গাড়ি…..
সময়টা সকাল সাত টা বেজে পঁচিশ মিনিট। সিমির ঘুম ভাঙলো মাত্র, সে উঠে বসলো মাথা ব্যাথা করছে প্রচুর, সে ধীরে ধীরে উঠে ওয়াশরুমে গেলো ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে নিজের ফোন টা হাতে নিয়ে দেখলো সাড়ে সাতটা বেজে গেছে, সিমি ফোন টা ঐভাবে রেখে বেলকুনিতে চলে গেলো অগোছালো চুলগুলো হাত দিয়ে খোঁপা বাঁধলো। মাথাটা এখনো ভার হয়ে আছে, মেডিসিন নিতে হবে খালি পেটে নিলে সমস্যা হবে বিধায় নেই নি এখনো। সিমি চোখ বন্ধ করে বড়ো নিঃস্বাস নিলো চোখ খুলে দৃষ্টি নিচে রাখতেই দেখতে পেলো, নীল দাঁড়িয়ে আছে তার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়াচ্ছে। সিমি কিছু না বলে বেলকুনি থেকে চলে গেলো রুমে এসে উড়না টা ভালো ভাবে ম্যাথ সহ বুকে দিয়ে ফোন হাতে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো বাড়ি থেকে, কম বেশি অনেকে উঠছে যে যার কাজ করছে। সিমি বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে দেখলো নীল তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে গিয়ে হেসে বললো,,,
“নীল ভাইয়া যে ভালো আছেন?”
নীল ও সৌজন্যেমূলক হাসি দিয়ে বললো,,,
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, চলো একসাথে একটু হেঁটে আসি আর দুই চারটা কথা বলি!”
সিমি মাথা নাড়লো, দুইজনে পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো। সিমি বলে উঠলো,,,
“এত সকালে যে?”
নীল — “দুই ঘন্টা পরেই আমার ফ্লাইট, এইদিকে একটা কাজে আসছিলাম ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করে যাই, আদাও আর আসতে পারবো কিনা ঠিক নেই!”
“কেন পারবেন নাহ আসতে? ইচ্ছে শক্তি থাকলে সাত সমুদ্র – তেরো নদী ও পাড় করতে পারবেন।”
“আমি তো এত সাত সমুদ্র – তেরো নদী পাড় করত চাই না সিমি, যেই সাগরে ঝাঁপ দিয়েছি বহু আগে সেইটাই সাঁতরে পাড় করতে পারছিনা।”
নীলের কথার মানে সিমি বুজতে পারলোনা তাই ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“মানে বুজলাম না ভাইয়া!”
তারা হাঁটতে হাঁটতে ভালোই দূরে আসছে নীল মলিন হেসে বললো,,,
“কিছু কথা বলবো তোমাকে চুপ থেকে শুধু শুনবে কোন প্রকার কথা বলবে না। আর না আমাকে খারাপ ভাববে পুরোটা শুনে মন্তব্য করবে!”
সিমি বুজতে পারলোনা বিষয়টা তবুও মাথা নাড়লো নীল বলা শুরু করলো,,,,
“শ্যামা আমার শ্যামা পাখি জানো তোমাকে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি? তুমি কি জানো শ্যামা? এই শ্যামা কে ছাড়া এই সারজিদ খান নীল অসম্পূর্ণ। তুমি কি জানো শ্যামা? আমার উন্মাদ ভালোবাসা কতটা ভয়ঙ্কর!তুমি কি জানো শ্যামা? প্রতিটা ঘন্টা, প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা সেকেন্ড তোমাকে এক পলক দেখার জন্য আমি ছটফট করতে থাকি!তুমি কি জানো শ্যামা? তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য আমি এই সারজিদ খান নীল তার আব্বুর কাছে বাচ্চাদের মতো কান্না করে তোমাকে চেয়েছিলো। তুমি কি জানো শ্যামা? তোমার নিশ্বাস নেওয়াটা আমার জীবন মরণের সার্টিফিকেট। তুমি কি জানো শ্যামা? তোমাকে হারিয়ে আমি আবারো পাগল হয়ে যাবো? এই আমিময় নীল টা বিলীন হয়ে যাবে ধুলোর সাথে, বাতাসের সাথে, নয়তবা বেঁচে থেকেও মরে যাবে ভিতর থেকে।”
নীলের সম্পূর্ণ কথা শুনে সিমি প্রশ্ন করলো,,,
“ভাইয়া প্রেমে পড়ছেন? উফফফ সেই লাকি মেয়েটা কে? তার নাম বুজি শ্যামা? উফফ কত সুন্দর নাম, কিতনা রোমান্টিক!”
নীল হেসে সিমির দিকে ঘাড় কাত করে তাকিয়ে বললো,,,
“পড়েছি তো প্রেমে আমি বহু বছর আগে, আর সেই লাকি মেয়েটাই তুমি। তুমি সুন্দর তুমি অপরূপ তবুও আমার কাছে তুমি আমার শ্যামা আমার শ্যামা পাখি।”
সিমি হাসি থামালো মেকি হাসি দিয়ে বললো,,,
“মজা করচ্ছেন কেন ভাইয়া?”
নীল — “আমি মজা করার মুডে নেই, আমি বলেছি না চুপচাপ শুনবে তুমি শুধু আমি বলবো।”
সিমি কিছু বললো না চুপ রইলো নীল আবারো বললো তবে কণ্ঠে আছে বেদনা হৃদয় ভাঙ্গন, ব্যার্থ প্রেমিকের শেষ কথা,,,,
“আমি বুজিনা কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করে মানুষ, তবে আমি গভীর ভাবে প্রকাশ করতে চাই না, তুমি এখন অন্যের তোমাকে ভালোবাসি কথাটা বলেও পাপ তবুও আজকে বলতে চাই। ভালোবাসি তোমাকে শ্যামা, বেশি কিছু না তুমি তোমার কাছে আমার একটাই চাওয়া তোমার গোলুমলু ছোট্ট ছোট্ট বেবি দের বলবে আমার কথা কেউ একজন ছিলো যে তাদের ম্মামা কে বড্ড ভালোবাসতো, তবে ভালোবাসা টা ছিলো একপাক্ষিক, সে ভালোবাসার দাবি নিয়ে কখনো আমার সামনে আসি নি তবে মনের কথা উজাড় করেছিল। সেই নীল তার শ্যামা কে ছাড়া সত্যিই অসম্পূর্ণ ছিলো। তার খোঁজ আর পাই নি তবুও সে যেন স্মৃতির পাতায় বন্ধী হয়ে রইলো।”
বলে থামলো তারা আবারো চৌধুরী বাড়ির সামনে আসছে সিমির চোখে পানি টলমল করছে নীল সিমির চোখে চোখ রাখলো বলে উঠলো,,,
“নীলের শ্যামা পাখির চোখে পানি নয় আনন্দের ঝলক থাকে। যদি পানি পছন্দ করতো তবে এই নীল তার শ্যামা পাখিকে ছিনিয়ে আনতো। ভালো থেকো আমার শ্যামা পাখি, হয়তো আমাদের আর জীবনেও দেখা হবে না। না হওয়া তাই ভালো, দেখা হলে যদি আবারো এমন মুহূর্তে আসি বিষয়টা লজ্জাজনক তুমি হাসিখুশি থেকো, আমি ছেড়ে যাই নি রয়ে গেছি তোমার স্মৃতির পাতায় আজীবন মনে রেখো আমাকে। আমি দূর হতেই তোমাকে দেখবো শত বাঁধা পেরিয়েও ভালো থেকো আল্লাহ হাফেজ।”
বলে আর এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না নীল নিজের গাড়িতে উঠে বসে গাড়ি টান দিলো একটা বারের জন্য ও পিছে ফিরে তাকালো না। সিমি চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ার আগেই মুছে নিলো জীবন টা কেমন? প্রতিটা মানুষের জীবনের আলাদা অধ্যায়, আলাদা সূচনা, আলাদা সমাপ্ত। নীল ভাই কি তার জীবনে আগে আসতে পারি নি? সিমি বলে উঠলো,,,
“আপনি যদিও ছিনিয়ে নিতেন তো আমি পারতাম না যেতে, আমি বেঁধে আছি এক অদৃশ্য দড়ি তে। যেই দড়ি ছিন্ন করার ক্ষমতা আমার নেই। মন প্রাণ দিয়ে একজনকেই ভালোবাসছি মৃত্যুর আগ পযন্ত তাকেই বাসবো, সে না বাসলেও আমি বাসবো। আপনিও ভালো থাকবেন নীল ভাইয়া সত্যিই আপনাকে আমি আমার স্মৃতিতে বন্ধী করে রাখবো।”
বলে আর দাঁড়ালো না সিমি সোজা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। এইদিকে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলে নিশানের ফোনে কল লাগালো নিশান ফোন রিসিভ করতেই সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বললো। নিশান কিছু না বলেই কল কেটে দিলো। কল কেটে দিয়েই ফোন টা জোরে আছাড় মারলো। রুমের ভিতরে থাকা জিনিষ পত্র ভাঙচুর করতে লাগলো আয়না ভাঙলো জোরে ঘুষি মেরে হাতে কাঁচ ঢুকলো কেটে গেলো। শান্তি হচ্ছে না দেওয়াল এর কাছে গিয়ে জোরে ঘুষি মারলো দেওয়াল এ হাত থেঁতলে গেছে একদম নিশান ঐভাবেই ফ্লোরে বসে পড়লো দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,,
“তোকে উড়ার পাখনা দিয়েছি বলে বিদেশ ঘুরছিস? তোর পাখনা আমি ভেঙে ফেলবো ইশু, এইবার তুই আমার খারাপ চেহেরা দেখবি। এই ভালো মানুষটা আর দেখবি না ডিসগাস্টিং।”
এইদিকে নীল গাড়ি এয়ারপোর্ট এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে তখন সিমির সামনে নিজেকে ঠিক রাখলেও একা গাড়ির ভিতরে নিজেকে ঠিক রাখতে পারচ্ছেনা কান্না আসছে প্রচুর সে কান্না করছে চোখে ঝাঁপসা দেখছে কান্না থামাতে পারছেনা এ কেমন যন্ত্রনা? কেমন অসহ্যকর পরিস্থিতি? কেমন অনুভূতি? কিচ্ছু ভালো লাগছে না কিচ্ছু না!নিজের চোখ মুছলো ভালো ভাবে বললো,,,,
“সত্যিই তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো কল্পনা করতে পারি নি। বাস্তবে করে ফেললাম আচ্ছা,,,,
ঈশ্বর কি তোমার আমার মিলন লিখতে পারতো না।”**
তার গাড়ি এসে থামলো এয়ারপোর্ট এর সামনে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে পানির বোতল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলো নিজেকে ঠিক করে ফোন হাতে নিয়ে ঢুকে পড়লো। সবকিছু ঠিক থাক করে প্লেনে উঠে বসলো। একটু পরেই ফ্লাইট।
সিমি বাড়ি ঢুকতেই তাজউদ্দিন প্রশ্ন করলো,,,
“কোথায় গিয়েছিলেন মামুনি?”
সিমি — “একটু হাঁটতে গিয়েছিলাম। ”
তাজউদ্দিন – “নাস্তা করবে আসো।”
সিমি — “পরে করবো আর আজকে থেকে আমি ভার্সিটি যাবো।”
তাজউদ্দিন — “আচ্ছা যেও।”
সিমি আর কিছু বললো na সোজা উপরে নিজের রুমে চলে গেলো। সে রুমে ঢুকে রুম টা সুন্দর করে গুছিয়ে নিলো। এরপর ওয়াশরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য। সে সাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে আসলো একটা কালো লং থ্রিপিস পড়েছে সে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো শুকিয়ে নিলো uchu করে বাঁধলো। মাথায় কাপড় দিলো, মুখে পন্ডস ক্রিম আর ঠোঁটে লিপবাম দিয়ে ফোন আর স্কুল ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে আসলো, নিচে নাস্তা করার জন্য। সিমি সিঁড়ি বেয়ে নিচে এসে দেখলো জারা আর রাত্রি গল্প করছে সিমি বললো,,,
“তোরা ভার্সিটি যাবি না?”
জারা অবাক হয়ে বললো,,,
“ভাবিজান আজ থেকে ভার্সিটি যাবেন আপনি?”
সিমি মাথা নাড়লো জারা বললো,,,
“আপনি গেলে আমরাও যাবো।”
সিমি — “দ্রুত রেডি হয়ে আয়।”
জারা আর রাত্রি রেডি হতে চলে গেলো। সেলিনা সিমির প্লেটে নাস্তা তুলে দিলো। পাশে বসে দুইজনে টুকটাক গল্প করতে লাগলো। ওরা দুইজন আসতে সিমি বললো,,,
“সেই সামু কই?”
জারা ফিসফিস করে বললো,,,
“ওই শালার ভাতার আছে বলে ভার্সিটি আর যাবে না। তুই চল নয়তো তোর মত ঘুরে গেলে আমি আর রাত হয়ে যাবো ফকিন্নি।”
সিমি হাসলো সাথে রাত্রি ও। তিনজনে গিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।ড্রাইভার চলতে শুরু করলো ভার্সিটির দিকে। আর এর মধ্যে তিনজনে হাসি ঠাট্টা করতে লাগলো।
সকাল নয়টা বাজতে সামিয়ার ঘুম ভাঙলো সে আরমরা ভেঙে উঠে বসলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সূর্যের আলো আসছে রুমের ভিতরে। জিহান ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে ডিভানে বসে।সামিয়া ঘড়ির দিকে তাকাতে দেখে এখন নয়টা বাজে সামিয়া চিৎকার দিয়ে বললো,,,,
“আল্লাহ এখন নয়টা বেজে গেলো, আর আমি এখনো ঘুমিয়ে আছি।”
জিহান ভ্রু কুঁচকে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,,,,
“সমস্যা কি ঘুম থেকে উঠে চিৎকার কর কেন?”
সামিয়া ন্যাকা ভাব নিয়ে বললো,,,
“কত বেলা হয়ে গেছে আর আমি এখনো ঘুমাচ্ছি, আপনি ডাকলেন না কেন একবারও?”
জিহান আবারো কাজ করতে করতে বললো,,,
“এত সুন্দর করে ঘুমাচ্ছিলে বলে ডাকতে ইচ্ছে করেনি।”
সামিয়া উঠে দাঁড়ালো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বললো,,,,
“জবেদা+ ডাবল জবেদার ভাতার = হতছাড়া।”
বলে মুখ ভাঙিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো জিহান সেইদিকে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থেকে হেসে ফেললো মনে মনে বললো,,,
“আসলে পাগল।”
এইদিকে সামিয়া রুম থেকে বেড়িয়ে রোজিনার সাথে দেখা হয় সে জিজ্ঞাসা করলো,,,
“সিমিরা কই আম্মু?”
রোজিনা — “বাঁদর গুলো আজ ভার্সিটি গেছে।”
সামিয়া কান্নার ভান করে বললো,,,
তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৫
“আমাকে একা রেখে চলে গেছে! আমি এইগুলো মানবো না মামলা করবো তিনজনের নামে।”
রোজিনা হেসে বললো,,,
“আচ্ছা করিস। আগে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খাবি আয় দ্রুত।”
বলে নিচে চলে গেলো। সামিয়া কিছু না বলে রুমে ঢুকেওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে খাবারের জন্য গেলো।