তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৪১

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৪১
তাবাস্সুম খাতুন

রাত দশটা বেজে পয়ত্রিশ মিনিট…
শহরের মাঝে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত নিস্তব্ধ এক গোডাউন। এই গোডাউন পরিত্যক্ত হলেও যত ধরনের খারাপ দুই নাম্বারি ব্যবসা আছে সবগুলোর আস্তানা এই গোডাউনে। অস্ত্র পাচার, গাঁজা বিক্রয়, মদের পাহাড়, ছোট ছেলেদের নেশায় আসক্ত আর আছে কালো টাকার পাহাড়। সবকিছু আয়ত্তে চলে ভবিষ্যত এমপি ইদ্রিস মির্জার হাত দ্বারা। তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন শহরের ছেলে মেয়ে দের নেশায় আসক্ত করাবে, রাজত্ব চালাবে নিজের কালো পাহাড় দিয়ে। চুরি করে ভোট কিনছে হয় মানুষকে ভয় দেখিয়ে নয়তো লাখ লাখ কালো টাকা খরচ করে।

রাত হলে এই পরিত্যক্ত গোডাউন কালো শহরে ঢেকে যাই, দিনের আলোয় যেন কেউ বুজতে না পারে তাই লুকিয়ে থাকে নয়তো অল্প অর্ধেক কাজ করে। আজকের এই রাতে ইদ্রিস সেই গোডাউনে উপস্থিত আছে। অন্ধকার একদম বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভিতরে এত খারাপ পাপের রাজ্যে তৈরী করছে তিলে তিলে। দশটা চল্লিশ বাজতেই নিশানের গাড়ি থামলো সেই পরিত্যক্ত গোডাউনের সামনে, নিশান একা না তার সাথে পুলিশ টিম আছে। নিশান নিজের লোকদের লাগিয়ে রাখছিলো ইদ্রিসের পিছনে সবকিছু খবর যোগাড় করে সে পুলিশের হাতে দেই। সে চাইলে নিজেই খুন করতে পারতো কিন্তু করে নি কারণ এইটা দেশের মানুষের সাথে জড়িয়ে আছে আইন তাঁদের উচিত সাজা দিক। হ্যা সেও সাজা দেবে নিজে কাজ শেষ করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেবে। পুলিশের পাঁচটা টিম প্রত্যেকটা টিম এ দশ জন করে মোট পঞ্চাশ জন পুলিশ চারিদিক দিয়ে গোডাউন ঘিরে ফেললো। আর্মি অফিসার সাথে সিআইডি অফিসার নিশানের পিছু পিছু গোডাউনের ভিতরে ঢুকলো। তারা আড়ালে লুকালো। নিশান হেঁটে চললো তাঁদের রাজত্বের কাছে, তাঁদের সীমানায় ঢুকতে বডিগার্ড তাকে থামিয়ে বললো,,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“কে আপনি? এইভাবে ঢুকে পড়লেন?”
নিশান তাকালো বডিগার্ড দুটোর দিকে। দৃষ্টি নামিয়ে নিজের প্যান্টের পিছনে গুঁজে রাখা ছুরি বাহির করে দ্রুতটার সাথে তাঁদের দুইজনের গলায় পোচ দিলো, তারা ছটফট করতে লাগলো গুজ্ঞানীর আওয়াজ ভেসে বেড়ালো এই পরিত্যক্ত নিস্তব্ধ গোডাউন জুড়ে। তাঁদের দূরত্ব বেশি দূর না হওয়ায় প্রতিটা মানুষ সেইখানেই উপস্থিত হলো। নিশানের পায়ের কাছে নিজেদের লোকের এইভাবে মরা হয়ে পড়ে থাকতে দেখে, তারা দিক বেদিক ভুলে নিশানের উপরে অ্যাটাক করতে যেতেই ইদ্রিস বলে উঠলো,,,

“না ওকে মারিস না কেউ।”
ইদ্রিসের কথা শুনে সবাই থেমে গেলো। নিশান বাঁকা হাসলো এগিয়ে আসলো ইদ্রিসের কাছে স্লো ভয়েসে বললো,,,
“বলেছিলাম যত দোয়া আছে নিজের জন্য করতে, পরে সময় পাবি না!”
ইদ্রিস দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
“ভুলে যাস না নিশান তুই আমার রাজত্বে দাঁড়িয়ে আছিস।”
নিশান ইদ্রিসের কথাটা উড়িয়ে দেওয়ার মতো করে বললো,,,
“দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আদাও তোর এই পা থাকবে কিনা তার কোন ঠিকানা নেই।”
নিশানের কথা শুনে ইদ্রিস কিছু বলবে এর আগেই নিশান আবারো বললো,,,
“এইখানে অনেকে আছে অনেক কথা শুনবে এর থেকে পার্সোনাল কোন রুমে গেলে ভালো হতো, ভয় পাস না তুই ও পুরুষ আমিও পুরুষ রেপ করবো না তোকে।”

নিশানের কথা শুনে ইদ্রিস দাঁত মুখ কিড়মিড় করে বললো,,,
“জন্মের সময় তোর মুখে মধু দিতে ভুলে গেসিলো।”
বলে হাঁটতে লাগলো, নিশান ওর পিছু পিছু যেতে যেতে বললো,,,
“আমার পরিবার গরিব ছিলো বিধায় মধু কিনার টাকা ছিলো না।”
ইদ্রিস কিছু বললো না, একটু হেঁটে একটা বন্ধ রুমের দরজার সামনে দাঁড়ালো চাবি দিয়ে দরজা খুললো। ভিতরে প্রবেশ করলো, নিশান ও ভিতরে ঢুকলো। ইদ্রিস দরজা ভাজিয়ে দিলো রুমের লাইট অন করলো, সোফার উপরে পায়ের উপরে পা তুলে বসে বললো,,,,

“বল তোর সমস্যা কি?”
নিশান ঘাড় এইপাসে ঐপাশে কাত করে বললো,,,
“সরল সোজা ভাবে কিছু প্রশ্ন করবো আশা করি উত্তর দিবি।”
ইদ্রিস কিছু বললো না। নিশান বললো,,,
“তোর শত্রুতা আমার সাথে, তুই আমার বউ এর দিকে চোখ তুলে তাকাইলি কেন?”
“তোর বউ মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর একেবারে দারুন একটা মাল ত…”

বাকি কথা শেষ করার আগেই নিশানের শক্ত হাতের থাবা পড়লো ইদ্রিসের বাম গালে। ইদ্রিস গালে হাত দিয়ে কয়েক সেকেন্ড থ মেরে গেলো। সে বুঝে উঠতে নিশানের দিকে তাকালো উঠে দাঁড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
“কুত্তার বাচ্চা আমাকে মারলি কেন?”
নিশান ইদ্রিসের চোয়াল চেপে ধরলো রাগে মাথা ফেঁটে যাচ্ছে বলে উঠলো,,,
“শুয়ারের বাচ্চা তুই আমার বউ কে মাল বলিস? তোর সাহস দেখে আমি অবাক। তোকে তো জানে মেরে ফেলবো আমি।”

বলে জোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো। প্যান্টে গুঁজে রাখা ছুরি বাহির করে ডান হাত আর বাম হাত পোচ দিলো একবার করে। হাতের রক্ত ফিনকি দিয়ে নিশানের মুখে পড়লো। ইদ্রিস চিৎকার দিয়ে উঠলো কিন্তু তার কোন মানুষ এলো না। আসবে কি করে? সবাইকে পুলিশ এরেষ্ট করেছে। ইদ্রিস বলে উঠলো,,,
“আমার লোকজন কই কি করেছিস তুই তাঁদের সাথে?”
নিশান হাঁটু মুড়ে ফ্লোরে বসলো হাতে রিভালবার নিয়ে ইদ্রিসের বাম পায়ে সেট করে নিচু হয়ে রাগানিত্ব কন্ঠে বললো,,,

“আমার অর্ধাঙ্গিনীকে খারাপ ভাবে দেখা, আমার নামে ভুলভাল তথ্য পাঠানোর জন্য তোকে আমি জানে মেরে ফেলতাম। তবে করলাম না কেন জানিস? তুই এই দেশের মানুষের জন্যই পাপ। আর এই পাপ কে মুক্ত দেবে সাধারণ জনগন যাদের কালো টাকা আর ভয় দেখিয়ে কিনে রাখছিস। ”
নিশানের কথা শুনে ইদ্রিস বলে উঠলো,,,
“এই কালো টাকার পাহাড় তোকে দেবো আমি। তবে আমাকে পুলিশে দিস না ভাই প্লিজ।”
নিশান বাঁকা হেসে বলে উঠলো,,,
“Fuck you’re black money Business…!”
বলে নিশান একটা গুলি চালালো ইদ্রিসের পায়ে। ইদ্রিস সাথে সাথে আর্তচিৎকার দিয়ে উঠলো। নিশান রিভালবার প্যান্টের পেছনে গুঁজে রুম থেকে বেড়িয়ে পুলিশদের বাকিটা বুঝিয়ে চলে গেলো। পুলিশেরা পুরো গোডাউনে ছড়িয়ে পড়লো। আটক করলো সবাইকে ইদ্রিস কেউ আটক করলো। তাকে জেলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো।

রাতের আঁধার শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মধ্যে রাত সময়টা রাত একটা বেজে চার মিনিট। পুরো শহর আছে গভীর ঘুমে। এমন সময় নিশানের গাড়ি এসে থামলো চৌধুরী মঞ্জিলের সামনে। গাড়ি থেকে বেড়িয়ে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো। কোন শব্দ না করে সোজা উপরে নিজের রুমে গেলো, পকেট থেকে ডুপ্লিকেট চাবি বাহির করে লোকের খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখলো রুম অন্ধকার না অন্ধকার না হলদেতে আলো দিয়ে পরিপূর্ণ রুম জুড়ে। বেডের উপরে গোলাপ ফুলের পাপারি দিয়ে হার্ট আঁকা। দেয়ালে বেলুন টি টেবিলের পাশে শাড়ি পরিহিতা এক রমণী মোমবাতি জ্বালাচ্ছে। দরজা খুলার আওয়াজ পেতেই সিমি উঠে দাঁড়ালো, তার চোখ লেগে আসছিলো হুট্ করে চেতনা পেতেই দেখে মোমবাতি নিভে গেছে। তাই আবারো নতুন করে জ্বালালো। নিশান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। সিমি ধীরে ধীরে নিশানের কাছে গেলো নিশানের সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। নিশান অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সিমির পানে, অসম্ভব সুন্দর লাগছে এই মোমবাতির আলোতে সিমিকে কালো শাড়িতে। কিছু সময় মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নিজেকে সংবরং করলো,দরজা লাগিয়ে সরে যেতে চাইলেই সিমি দুই হাত মেলে দিয়ে নিশানের চোখের দিকে তাকালো বলে উঠলো,,,

“এইভাবে ইগনোর করে চলে যাচ্ছেন?”
নিশান সিমির কথাই পাত্তা না দিয়ে রুমের লাইট অন করলো পাস ঘুরে চলে গেলো সিমি আবারো নিশানের সামনে দাঁড়ালো, অন্ধকারে সিমির দেহের গঠন বোঝা না গেলেও আলোতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এইটা দেখে নিশানের মাথা গরম হয়ে গেলো নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলো সিমি বলে উঠলো,,,
“প্লিজ এইভাবে দূরে থাকবেন নাহ। আমি ভুল করছি আমাকে মাফ করে দেন প্লিজ।”

নিশান সিমিকে নিজের থেকে সরিয়ে ওর গাল শক্ত করে চেপে ধরে দেয়ালে ধরে রেখে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
“আমাকে সিডিউস করতে চাস তুই এইসব শরীর দেখানো কাপড় পরে? আমি ভালো তবে এতটাও ভালো না যতটা তুই ভাবিস। আমি তোর কাছে যাচ্ছিনা তুই ও আসবি না। আর কোনোদিন এইসব শাড়ি ও পড়বি না। যদি পড়েছিস I suer তোকে দাফন করবো এইবার।”
বলে সিমি কে ধাক্কা মেরে নিজের থেকে সরালো। সিমির চোখে পানি আসলো সে পানি মুছে নিশানের পা জড়িয়ে ধরে বললো,,,

“মারেন কাটেন যা খুশি করনে, আবারো জ্যান্ত কবর দেন বিশ্বাস করুন একটু কানিও অভিযোগ রাখবো না আপনার উপরে।শুধু আমাকে ছেড়ে যাবেন না। এইসব কথা বলেবেন না প্লিজ আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।”
নিশান চোখ বন্ধ করলো দুই তিনবার নিঃশাস নিলো বড়ো বড়ো নিজের রাগ সংবরং করতে চাই সে বলে উঠলো,,
“সিমি আমার পা ছাড় তোর সাথে নাটক করার কোন সময় আমার নেই সর সামনে থেকে।”
সিমি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো,,,
“এতটাই পর হয়ে গেলাম আমি? আজ সিমি নাম ধরে ডাকছেন? মানলাম ভুল করেছি ক্ষমা তো চাচ্ছি করে দেন না মাফ প্রমিস আর কখনো কোন কিছু বলবো না। আপনাকে অবিশ্বাস করবো না।”
নিশান নিজের জোর খাটিয়ে সিমির থেকে নিজের পা সরিয়ে নিয়ে বললো,,,
“Fuck you’r অবিশ্বাস.. এইসব নাটক আমার সামনে করবিনা। যদিও বাসায় আসছি, এমন করলে আমার নিশানা টুকুও খুঁজে পাবি না তুই।”

বলে নিশান ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো সিমি সেইখানে বসেই হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠলো সে জানতো নিশান রুড ব্যাবহার করবে মানবে না। তবে এতটা খারাপ ব্যবহার করবে এইটা ওর কল্পনাতেও ছিলো না। সিমি উঠে দাঁড়ালো কাভার্ড থেকে থ্রিপিস বাহির করে দ্রুত পরে নিলো নিশান যদি আবার রাগ করে? সিমি মোমবাতি গুলোও নিভিয়ে দিলো, বেলুন গুলো সরিয়ে দিলো। ফুলের পাঁপড়ি ফেলে দিলো।সবকাজ শেষে বেডের উপরে চুপ করে বসে নীরবে কান্না করতে লাগলো। এইদিকে বিশ মিনিট পরে নিশান ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসলো পরনে একটা টাওয়াল জড়ানো। আলমারি থেকে টাউজার আর গেঞ্জি বাহির করে পরে নিলো।

চুলগুলো শুকিয়ে সেট আপ করে বেড থেকে বালিশ নিয়ে লাইট অফ করে।পুরো রুম জুড়ে অন্ধকার নেমে আসলো। সে সোফায় শুয়ে পড়লো একটা বারের জন্যও সিমির দিকে তাকালো না।সিমি ঐভাবে সোফার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে আর নিশান কাত হয়ে ঘুমাচ্ছে। সময় কেটে গেলো এইভাবে পুরো দুইটা ঘন্টা। নিশান ঘুমিয়ে পড়েছে সিমি ধীরে ধীরে উঠে আসলো সোফার কাছে ফ্লোরে বসলো বাইরে থেকে আশা ল্যাম্প পোস্টের হলদেতে আলোতে নিশানের মুখে আবছা দেখা যাই। সিমি একটু নিচু হয়ে নিশানের কপালে গভীর চুম্বন দিলো। নিশান তাকালো সিমি উঠার আগে আবারো চোখ বন্ধ করে নিলো। সিমি নিশানের মুখে নিজের হাত রেখে কান্না ভেজা কন্ঠে বললো,,,

“আচ্ছা আমার ভুলের কি মাফ নেই? আমি কি ক্ষমার অযোগ্য হ্যা সত্যিই অযোগ্য। না জেনে না বুঝে আপনাকে কত খারাপ কথা বলেছি। হাজারো নারীতে আসক্ত এইগুলো পযন্ত বলেছি আসলেই আমি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না। করতে হবে না ক্ষমা তবে এইভাবে ছেড়ে যাবেন না প্রতিদিন রাতেই আসেন আমি চুরি করে দেখবো আপনাকে।”
ফুফিয়ে উঠলো সিমি নিজেকে ঠিক করে আবারো বললো,,,

“জানেন আমার এই ছোট্ট বুকে অনেক অনেক অভিমান জমা আছে সবগুলো আপনাকে নিয়েই। কই আমি তো এমন করি না। তবে এই অভিমান গুলো বেশি বড়ো না একদম ছোট ছোট আপনার অভিমান গুলো অনেক বড়ো আমি কিভাবে ভাঙবো বলেন না? সত্যি আমি বুজতে পারছি এইবার আপনার সন্নিকটে আশার জন্য আমি তোরপাবো তবুও আপনাকে পাবো না। আমি বিশ্বাস করতে পারি না আপনাকে। শুধু ভালোই বাসছি বিশ্বাস রাখতে পারি নি সত্যি আমি ক্ষমার অযোগ্য। তবে অভিমান ভাঙাতে চাই আপনার। দিবেন ভাঙাতে? কিভাবে ভাঙবো? আমারো তো অভিমান আছে অনেক গুলো আপনি ভাঙিয়ে দেন নি তো কখনো।”
সিমি থামল বড়ো নিশ্বাস নিলো দুইবার নিশানের মুখের পানে তাকিয়ে গেয়ে উঠলো,,,,

“তুমি বুঝোনি আমি বলিনি
তুমি স্বপ্নতে কেন আসো নি
আমার অভিমান তোমাকে নিয়ে
সব গেয়েছি গানে গানে সুরে সুরে কত কথা
বলেছি তোমাকে তুমি বুঝোনি,বুঝোনি….”
সিমি আবারো নিশানের কপালে চুম্বন দিয়ে বললো,,,

“ভোর হওয়ার মতো হয়েছে আমি বেডে গেলাম। যদি ঘুম থেকে উঠে আমাকে এইখানে দেখেন তাহলে হয়তো চলেই যাবেন আর আসবেন নাহ তখন আমি আর খুঁজে পাবো না, আপনাকে।এইটা কখনো হবে না আমি আপনার অভিমান ভাঙিয়ে ফেলবো দ্রুত দেখবেন।”
বলে উঠে দাঁড়ালো সোজা ওয়াশরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হতে। সিমি চলে যেতেই নিশান চোখ খুলে তাকালো ওয়াশরুমের পানে বিড়বিড় করলো,,,
“দেখি কতদিন তুই এইভাবে আমার সাথে থাকতে পারিস? চিন্তা করিস না নিশান তার ইশু হীনা কোথাও থাকতে পারবেনা।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৪০

বলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লো। সিমি ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে নিশানের পানে একবার তাকালো, নিঃশব্দে হাসলো সোজা বেডে গেলো একটু শোবে আজান দিলে উঠে তখন নামাজ পড়বে।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৪২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here