তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৭

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৭
তাবাস্সুম খাতুন

সময়টা দুপুর দুইটা দশ মিনিট। অবস্থান টা চৌধুরী ম্যানশন। বাড়ির প্রতিটা সদস্য ড্রইং রুমে আছে। তাজউদ্দিন, সালাউদ্দিন, জামালউদ্দিন তিন ভাই এক সোফা তে বসে আছে। আরেক সোফা তে বসে আছে সেলিনা, রোজিনা, কিয়া আর মেহেরিমা। আরেক সোফায় জারা, রাত্রি, তাজ, মিহু, পিহু বসে আছে। আর সবার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে সিমি মাথা নিচু করে। জিহান আর সামিয়া ও আছে তবে এক পাশে। কারোর মুখে কোন কথা নেই। নিশান একটু আগে এসে সিমি কে ড্রইং রুমে রেখে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো। সবাই তখন ড্রইং রুমে বসে ছিলো। এইদিকে বাড়ির কর্তা রা নিশানের হাত কাঁটার বিষয় সহ ফোন ভাঙা এইসব শুনেছে কিন্তূ কি জন্য জানেনা তারা। হুট্ করে সিমি কে কোলে করে নিয়ে এসে ড্রইং রুমে রেখে যাওয়ার মানেও ও কেউ বুজলো না। সিমি কারোর দিকে লজ্জায় চোখ তুলে তাকাতে পারছেনা। রোজিনা বলে উঠলো,,

“সিমি তুমি নাকি হোস্টেল এ গিয়েছিলে? তাহলে এইখানে কি কর? নিশানের সাথেই বা কোথা থেকে এলে?”
সিমি কি বলবে যে তাকে ওই ন্যাসপাতি ভাই চড় মেরে মেরে জীবনের উপরে রিক্স নিয়ে এইখানে আনছে। আর কি জন্য আনছে সে তো নিজেও জানেনা। সিমির ভাবনার মধ্যে রোজিনা আবারো বললো,,
“কি হলো কথা বলছো না কেন? তুমি হোস্টেল থেকে এইভাবে বাড়ি আসলে কেন?”
সিমির উত্তর দেওয়ার আগে নিশান বাড়ির ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে জবাব দিলো,,
“ও আর এই বাড়ি ছেড়ে কোন হোস্টেল এ থাকবে না, তাই নিয়ে এসেছি আমি।”
বলতে বলতে নিশান ড্রইং রুমে আসলো। সবাই নিশানের দিকে তাকালো। তাজউদ্দিন গম্ভীর কণ্ঠে বললো,,
“তোমার নিয়মে তো চলবে না? সিমি মামুনি দুই বছর আগে থেকেই থাকে হোস্টেল এ এখন সেইটা তার কাছে কমফোর্টেবলে ত…!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তাজউদ্দিন এর কথা শেষ হওয়ার আগেই নিশান বললো,,
“কমফোর্টেবলে বাড়ি থেকেই করতে হবে। কোন হোস্টেল এ যাওয়া যাবে না। শুধু সে না এই বাড়ির কোন মেয়েই হোস্টেল এ যাবে না। বাড়ি থাকতে হোস্টেল এ কি? So কত বছর থেকেছে কিনা থাকে নি সেইটা ফ্যাক্ট না আজ থেকে শুরু করে আর কোনদিন যেন কোন মেয়ে হোস্টেল এ না যাই।”
বলে নিশান চলে যেতে নিলে তাজউদ্দিন বললো,,
“তোমার নিয়মে সবাই চলবে নাকি? তুমি কে হও ওর জীবনে ওর জীবন ওর ইচ্ছা।”
নিশানের পা থেমে গেলো পিছু ফিরে মাথা নত করে রাখা সিমির দিকে এক পলক তাকিয়ে নিজের বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,,

“কে হয় কিনা হয় না, সেইটা আপনার থেকে জানতে চাচ্ছি না। আর আমার নিয়মেই ওকে চলতে হবে। এমনকি আমার অনুমতি বিনা ও নিশ্বাস ও নিতে পারবে না।”
বলেই নিশান আর দাঁড়ালো না হনহন করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিজের রুমে গেলো। এইদিকে নিশানের বলে যাওয়া কথা যেন কারোর মাথায় খেলছে না। কি বলে গেলো ও। কিন্তূ জিহান সে বুজতে পেরেছে। মনে মনে নিশান কে কয়টা গালিও দিয়ে দিলো। এর মধ্যে সিমি বলে উঠলো,,
“বড়ো আব্বু আমার কোন সমস্যা নেই। আমি বাড়ি তেই থাকবো এইবার থেকে। আর প্রতিদিন বাড়ি থেকেই ভার্সিটি যাবো। এখন ফ্রেশ হতে চাই আমি কি যাবো?”
তাজউদ্দিন — “তোমার যেইটা ভালো মনে হয়, এখন যাও।”
সিমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো। সিমির সাথে সাথে জারা, রাত্রি, সামিয়া তিনজনই উপরে উঠলো। জিহান ও উপরে যেতে মেহেরিমা ডাক দিলো,,

“জিহান।”
জিহান — “জি।”
মেহেরিমা — “তোমার আব্বু আর ভাই আসছে তুমি কি জানো?”
জিহান — “জি আম্মু সন্ধ্যায় আসছে, আমি পিক আপ করে নেবো।”
মেহেরিমা মাথা নাড়লো। জিহান ও আর দাঁড়ালো না উপরে চলে গেলো। এইদিকে সবাই যে যার রুমে যেতে লাগলো এইখানে বসে করবে কি?
উপরে সিমি রুমে এসেই ওয়াশরুম এ ঢুকেছে। জারা আর রাত্রি, সামিয়া কে ধরলো। জারা বললো,,
“সামু তুই বল তো কি হয়েছে?”
সামিয়া বেডে বসলো একটা বড়ো নিশ্বাস নিয়ে প্রথম থেকে শুরু করে সবকিছু বললো। সবটা শুনে রাত্রি বললো,,
“কি ভাইয়া পরপর চারটা চড় মারছে?”
সামিয়া মাথা নাড়লো। জারা বললো,,

“মানুষ না ও। আগেও মারছে এখনো মারে।অভিশাপ দিলাম বিয়ে হবে না ওর।”
সামিয়া চোখ ছোট ছোট করে বললো,,
“তোর ভাই হয় এমন অভিশাপ দিস না ভাবি পাবি না।”
জারা মাছি তাড়ানোর মতো করে হাত নাড়িয়ে বললো,,
“আরে সর আগে বেস্ট ফ্রেন্ড পরে ভাই।”
ওদের কথার মধ্যে সিমি ওয়াশরুম থেকে। বেড়িয়ে আসলে কেউ কিছু বলার আগে সিমি বললো,,
“আমি একটু ঘুমাবো, তাই তোরা যা, পরে আড্ডা দিমু।”
ওরা তিনজন সিমির মনের অবস্থা বুজলো তাই আর দাঁড়ালো না চলে গেল, রুম থেকে। সিমি দরজা লক করে বেডে গিয়ে শুয়ে পড়লো। দুই গাল বড্ড ব্যাথা করছে। শরীর তাও খারাপ লাগছে। ঘুমের প্রয়োজন বেডে গা লাগাতেই সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলো।

নিশান রুমে এসেই একটা সিগারেট ধরিয়ে বেডে বসে টান দিতে লাগলো। জিহান আসলো এসে নিশানের পাশে বসলো। জিহান বললো,,,
“নিচে ঐসব কি বললি তুই?”
নিশান — “কি বলেছি?”
জিহান — “সিমি নিশ্বাস নিতে গেলেও নাকি তোর পারমিশন লাগবে, এইসবের মানে ওদের কি বোজাতে চাচ্ছিস?”
নিশানের স্বাভাবিক উত্তর,,
“আমার পার্সোনাল প্রপার্টি, সেইটা বোজাতে চেয়েছি।”
জিহান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,,
“তোর পার্সোনাল প্রপার্টি তো ঐভাবে না বলে ডাইরেক্ট ভালো ভাবে বুজিয়ে দে।”
নিশান বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,,

“বোজানোর সময় আসলে ওরা এমনেই বুজে যাবে। আমার মুখের স্টক খুলতে হবে না ফাও।”
জিহান — “হুম একেবারে বিয়ে করে তাদের সামনে এনে বলবি, আপনাদের আদরের মেয়েকে আমি নিশান বিয়ে করেছি। তখন আবারো তোকে দেশ ছাড়তে হবে।”
নিশান জিহানের কথা শুনে শব্দ করে হেসে বললো,,
“সিরিয়াসলি জিহান। আমাকে দেখে তোর কি মনে হয়? বল কি মনে হয়? ওই অল্প একটু কানি বয়সী মেয়ে যার বয়স তখন মাত্র নয় বছর ওকে নিয়ে আমি কি করবো। তাইতো যা হয়েছে যা বলেছে সয়ে নিয়েছি কিছু বলি নি দেশ ও ছাড়তাম but.. থাক শুনতে হবে না আর এখন যদি কেউ ইশু কে আমার থেকে আলাদা করতে চাই। তাহলে আগে আমার সাথে হিসাব বুজতে হবে। হিসাবে ভুল হলে জানে মেরে ফেলবো হোক সে আমার বাপ কি তার বাপ।”
নিশানের কথা শুনে জিহান আর কিছু বললো না। কারন এই কথা সে আজ দশটা বছর ধরেই শুনে আসছে।। নিশান আবারো বললো,,

“সন্ধ্যায় অভি দের বাসায় যাবো।”
জিহান — “সন্ধ্যায় আব্বু আসছে আমাকে পিক আপ করতে হবে।”
নিশান — “সমস্যা নেই ফুফা কে রেখে তারপর যাবো।”
জিহান — “ok তুই থাক সাওয়ার নেবো আমি।”
বলে জিহান চলে গেলো। নিশান সিগারেটে শেষ টান দিয়ে বললো,,
“সত্যি ইশু আমি তোকে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিয়েছি বলে এখনো নিচ্ছিস। নয়তো মারা যেতিস।”

সন্ধ্যা সাত টা দুই। এয়ারপোর্ট এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে জিহান আর নিশান। তারা অপেক্ষা করছে রুবেল শেখ আর তিহান শেখ এর জন্য। পাঁচ মিনিট অতি বাহিত হতেই রুবেল আর তিহান কে দেখা গেলো। তিহান এসে দুই ভাই কে জড়িয়ে ধরলো। রুবেল ও জড়িয়ে ধরলো দুই ভাই কে। টুকটাক কথা বললো। জিহান গাড়িতে তুলে দিয়ে নিশানের সাথে অভিদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো। চল্লিশ মিনিট পরে তারা পৌঁছালো অভিদের বাড়িতে। দুইজনে ভিতরে ঢুকলো অভির মা তাদের ভালো খাতির যত্ন করলো। অবশ্য তারা জানেনা যে নিশান তার ছেলেদের এমন অবস্থা করেছে। জানলে হয়তো খাতির যত্ন এইরকম না হয়ে অন্যেরকম হতো। নিশান আর জিহান আয়ান দের রুমে ঢুকতেই দেখলো দুইজনে বেডের দুই পাশে শুয়ে ফোন দেখছে। হাত এখনো ব্যান্ডেজ করা। নিশান দের আসতে দেখে অভি আর আয়ান উঠে বসলো। নিশান বললো,,

“কেমন আছিস?”
আয়ান — “কি অবস্থা করেছিস দেখতেই তো পারছিস? আবার জিজ্ঞাসা করিস কেন?”
নিশান — “তোদের দোষ যেমন শাস্তি তেমন।”
অভি বললো,,
“উফ আগের কথা বাদ কেমন আছিস তোরা?”
জিহান — “ভালো তুই?”
অভি — “তোদের দেখে আরো ভালো লাগছে।”
আয়ান হুট্ করে নিশান কে বললো,,
“বিয়ে কবে করছিস তুই?”
নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,
“মানে?”

আয়ান — “আরে তোর পার্সোনাল প্রপার্টি প্রপার্টি করিস? এইভাবে করলে কি হবে যে দেখার সে তো দেখবেই? তুই আর কত দেখে দেখে রাখবি। তার থেকে ভালো বিয়ে করে ফেল। তোর চোখের সামনে রেখে দিবি সবসময় এর জন্য।”
নিশান আয়ানের দিকে তাকালো। আয়ান কাঁদো কাঁদো ভয়েসে বললো,,
“ভুল হলে মাফ কর ভাই। তাই বলে আর মারিস না। এখনো বিয়ে করি নি আমি।”
নিশান — “আরে শালা মারবো কেন? তোর বুদ্ধি টা দারুন। আচ্ছা এত বুদ্ধি নিয়ে তুই ঘুমাস কিভাবে? তোর বালিশ কিসের তৈরী?”
আয়ান ভাবলেশিন ভাবে বললো,,
“তুলা আছে না শিমুল তুলা দিয়ে তৈরী খুব নরম।”

নিশান — “তোর উচিত নরম বালিশে না ইটে মাথা দিয়ে শুতে। নরম মনে করে দরাম করে শুয়ে পড়বি, তখন মাথা ফাটবে আর কিছু সুবুদ্ধি ভিতরে ঢুকবে।”
নিশানের কথা শুনে অভি আর জিহান হাসতে লাগলো কিন্তূ আয়ান এখনো কিছু বুজলো না তাই ওদের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো। এইভাবে টুকটাক কথা বলার মধ্যে জিহানের ফোনে কল আসলো। জিহান ফোন হাতে নিয়ে দেখলো তার আম্মু কল দিয়েছে। জিহান কল রিসিভ করতে মেহেরিমা বললো,,
“কোথায় তোরা দুইজন?”

জিহান — “আয়ানদের বাড়িতে।”
মেহেরিমা — “তাড়াতাড়ি বাড়িতে আয়। সময় কিন্তূ ৩০ মিনিটের বেশি দেবো না দ্রুত আয়।”
বলে মেহেরিমা কল কেটে দিলো। জিহান নিশান কে বললো,,
“নিশান আম্মু বাড়িতে যেতে বললো।”
নিশান — “এনিথিং রঙ?”
জিহান — “i don’t know..!”
নিশান — “আচ্ছা চল দেখি।”
বলে দুই ভাই। আয়ানদের থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো।

নিশান দের বাড়ি ফিরতে প্রায় পয়ত্রিশ মিনিট লেগে গেলো। সময়টা এখন রাত নয়টা পঞ্চাশ। নিশান আর জিহান ভিতরে ঢুকলো। তাদের চোখ গেলো ড্রইং রুমে যেইখানে সবাই আছে বসে। নিশান আর জিহান সেইদিকে পাত্তা না দিয়ে উপরে যেতে নিলেই মেহেরিমা বললো,,
“কোথায় যাচ্ছ তোমরা দুইজন এইখানে আসো একটা ইম্পরট্যান্ট কথা আছে।”
নিশান আর জিহান থামলো। কোন কথা না বলে ড্রইং রুমের কাছে এসে দাঁড়ালো। মেহেরিমা সবাইকে এইখানে আধা ঘন্টা ধরে বসিয়ে রেখেছে। ইম্পরট্যান্ট কথা আছে। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলছে নিশান আর জিহান আসুক আগে। নিশান আর জিহান কে দেখে তাজউদ্দিন এইবার মেহেরিমা কে বললো,,

“মেহেরিমা এইবার বল তোর কি সারপ্রাইস আর ইম্পরট্যান্ট কথা।”
মেহেরিমা একবার সবার দিকে তাকালো সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। মেহেরিমা উঠে তার মেজো ভাই সালাউদ্দিনের কাছে গেলো। সবার চোখ তাদের দুই ভাই বোনের দিকে। হুট্ করে মেহেরিমা তার মেজো ভাইয়ের হাত ধরে বললো,,

“তুই আমার থেকে তিন বছরের ছোট আমি তোর বড়ো বোন মানে মায়ের সমতুল্য। আমিও মানুষ করেছি তোকে। আমি চলে যাওয়ার পরে ভাইজান করেছে। এখন আমি তোর বড়ো আফা। আর ছেলের মা হিসাবে তোর কাছে আমার বড়ো ছেলে জিহানের জন্য সিমির হাত চাচ্ছি। তুই কি সিমির হাত দিবি আমার ছেলের সাথে?”
মেহেরিমার কথা যেন পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ ছেয়ে গেলো হুট্ করে অপ্রকাশিত কিছু শুনে ফেলেছে তাই সবাই অতি শকড এ কথা বলতে পারছেনা। জিহান নিশানের দিকে তাকাতে দেখলো নিশান ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে হাসছে। জিহান মনে মনে বললো বেডা হয়তো পাগল হয়ে গেছে আর তার আম্মুই বা কি বলছে এইসব।
এইদিকে সিমি সে তো শকড একদম ফ্রিজ হয়ে গেছে। নিশ্বাস নিতেও হয়তো ভুলে গেসে। সবার এমন অবস্থার মধ্যে সালাউদ্দিন জবাব দিলো,,

“আফা থেকে বিয়ান হতে যাওয়া মন্দ ব্যাপার না। আমার মেয়ের জন্য তোর ছেলে পারফেক্ট। আমার মেয়ের হাত তোর ছেলের হাতে তুলে দিতে রাজি আছি বিয়ান।”
সালাউদ্দিন এর কথাই যেন সবাই হুসে আসলো। সবাই আনন্দিত হলো। এইদিকে জিহান নিশানের দিকে তাকাতে দেখল নিশান এখনো হাসছে ঠোঁট কামড়ে। জিহানের মাথা যেন এইবার উলোট পালট হয়ে যাচ্ছে কি হচ্ছে কিছু বুজতে পারছেনা। এইসবের মধ্যে সেলিনা বলে উঠলো,,

“আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ, এই সু সংবাদ শুনে আমিও সু সংবাদ দেই। নিশানের বিয়ে নিয়ে। আমার ভাগ্নি কে নিশানের সাথে বিয়ে দিতে চাই এইটা অনেক আগে থেকে ঠিক করা আছে শুধু বাড়িতে জানানো বাকি। তো আমার ভাগ্নি আর দুই মাস পরে আসার কথা, আমি কল দিয়ে বলবো যেন পনেরো দিনের ভিতরে চলে আসে। তখন নাহয় সিমি আর নিশান দুই ভাই বোনের একসাথে বিয়ে দেওয়া হবে।”

সেলিনার কথা শুনে সবাই অবাক হলেও খুশি হলো। সবাই রাজি। এখন সেলিনা চৌধুরীর ভাগ্নি আসলেই বিয়ে হবে। এইদিকে সিমি আর এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো। গিয়ে দরজা অফ করে। ওয়াশরুম এ ঢুকে সাওয়ার অন করে সেখানে বসে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে লাগলো। তার এখন বিয়ে করার কোন ইচ্ছা নেই। আর জিহান কে তো মোটেই না। তার বাবা মা কি তার থেকে একবারও পারমিশন নেবে না? সংসার তো সে করবে পারমিশন না নিয়ে কিভাবে রাজি হলো? এইসব মনের ভিতরে যুদ্ধ করছে আর কান্না করছে।
সবার দৃষ্টি এখন নিশানের দিকে। নিশান সবার দিকে তাকিয়ে বললো,,

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৬ (২)

“আমি বিয়েতে রাজি। আর কোন দ্বিতীয় প্রশ্ন কেউ যেন আমাকে না করে।”
বলে নিশান সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো। জিহানের মাথা ঘুরে আসছে কি হচ্ছে সবকিছু যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তাই সেও নিশানের পিছু পিছু গেলো।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৮