তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ২৩

তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ২৩
আমেনা আক্তার

রাজিবের মা রাজিবের কাছে এসে আর্তনাদ করতে করতে বলল।
বাবা দেখ তোর বউ পুলিশ ডেকে নিয়ে এসেছে। তোকে নাকি ও পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে।ও আমার একটি কথাও শুনছে না।ও পুলিশ কে বলেছে আমরা নাকি ওকে অত্যাচার করি। এখন তুই বোঝা তোর বউকে এইরকম ছোট খাটো ঝগড়ার জন্য কেউ পুলিশ বাড়িতে ডেকে আনে।

মায়ের কথা শুনে রাজিব কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল রাজিব ও কখনো ভাবেনি ওর দ্বিতীয় স্ত্রী তিতির এমন কিছু করবে।জানলে ওর ব্যবস্থা আগেই করতো কখনো এত উড়তে দিতো না। কথাটি ভাবতেই রাজিবের মাথা গরম হয়ে গেল এটি ভাবতেই তিতিরের এত সাহস কিভাবে হলো এই সকল কিছু করার।ও কি ভেবেছে পুলিশকে ও ডেকে আনবেন পুলিশ ওকে ভয় দেখাবে আর ও ভয় পেয়ে যাবে।এত সহজ ওকে ভয় দেখানো।
কথাটির ভাবতেই রাজিব পুলিশের কাছে এগিয়ে নরম কন্ঠে বলল।
কি হয়েছে স্যার, আপনারা আমার বাড়িতে কেনো এসেছে।
রাজিবের কথার প্রতি উত্তরে ইন্সপেক্টর বলল।
আপনার স্ত্রী অভিযোগ করেছে আপনি উনাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছেন।
পুলিশের কথা শুনে রাজিব কিছুটা অনুনয় স্বরে বলল।
এমন কিছুই না স্যার, আমাদের মাঝে শুধু ছোট একটি ঝগড়া হয়েছে।ও হয়তো সেই জন্য রাগ করে আপনাদের কাছে চলে গিয়েছে এটি আমাদের পারিবারিক ব্যাপার।আমি আমার স্ত্রীকে বুঝিয়ে বলবো দয়া করে আপনারা ওর কথায় কিছু মনে করবেন না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাজিবের কথার প্রতি উত্তরে ইন্সপেক্টর বলল।
আমরা এখানে শুধু শুধু আসিনি, আপনার স্ত্রীর গায়ে থাকা মারের দাগই বলে দিচ্ছে তার উপর করা নির্যাতনের কথা। এছাড়া উনি আমাদের প্রমাণ ও দিয়েছে।
পুলিশের কথায় রাজিব বিস্ময়কর কন্ঠে বলল।
কি প্রমাণ ?
পুলিশ ইন্সপেক্টর ফোনে একটি ভিডিও ফুটেজ চালু করে এগিয়ে দিলো রাজিবের দিকে। রাজিব ফোনটি হাতে নিয়ে ফুটেজ দেখতেই তার হাত কাঁপতে লাগলো। কারণ এই ভিডিওতে কাল রাতে তিতিরের উপর করা অত্যাচারের ফুটেজ। রাজিব বুঝতে পারছে না তিতির কখন এই ভিডিও বানালো। তার মানে তিতির যা করেছে সকল কিছু ইচ্ছে করে করেছে। কিন্তু তিতির এই সকল কিছু কেনো করেছে তিতির কেনো ওকে ফাঁসাতে চাইছে তিতির তো ওকে ভালোবাসে তাহলে কি কারন হতে পারে।

রাজিব তিতিরের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়। এদিকে তিতির রাজিবের তাকানো দেখে শয়তানি হাসি দেয়। তিতির কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে তিতিরের অনেক দিনের পরিশ্রম আজ সফল হতে যাচ্ছে। তার মুখে লেপ্টে আছে জয়ের হাসি। তিতির এখন ভিতরে ভিতরে পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছে কিন্তু এই আনন্দের কারণ কি।এর মধ্যে রাজিবের হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয় পুলিশ ইন্সপেক্টর। রাজিব পুলিশ কে অনুরোধ করতে থাকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ তার কেনো কথা শুনছে না। তখন রাজিবের মা পুলিশের কাছে এসে বলল।
দোয়া করে আমার ছেলেকে ছেড়ে দিন আমার ছেলে কিছুই করেনি ও নির্দোষ সব এই মেয়ের চাল।
কথাটি বলেই রাজিবের মা তিতিরের কাছে এসে চিল্লিয়ে বলতে লাগলো।

এই ডাইনি তুই আমার ছেলেকে জেলে পাঠাচ্ছিস কেনো ও তোর স্বামী হয় ভুলে গেছিস। স্ত্রীর উচিত স্বামীর পায়ে ধরে বসে থাকা। আর তুই এতটুকু একটা কথার জন্য আমার ছেলেকে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছিস। আমার ছেলে এই কোন মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে মহিমা কত ভালো ছিল। আর এই মেয়ে আস্ত একটা ডাইনি আমার ঘর আমার জ্বালিয়ে ছাই করে দিচ্ছে।আমি তোকে ছাড়ব না।
কথাটি বলে যেই তিতিরের দিকে হামলা করতে গেল রাজিবের মা।তখনি পুলিশ গম্ভীর মুখে বলল।
আপনি যদি মিসেস তিতির কে কিছু করেন আমরা আপনাকেও গ্রেফতার করতে বাধ্য হব।
কথাটি বলতেই রাজিবের মা চুপছে গেলেন।উনি কিছুতেই জেলে যেতে চাননা তাই আর একটি শব্দ ও উনি করলেন না।

রাজিবকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে তখনি তিতির পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে বলল।
থামুন,
তিতিরের কথা শুনে রাজিব ও তার মা যেনো আশার আলো দেখতে পেলেন তারা মনে করেছে হয়তো তিতির পুলিশকে আটকাবে রাজিব কে নিয়ে যেতে। কিন্তু রাজিবের সামনে তিতির এসে বলল।
কেমন লাগছে নিজেকে বন্দি অবস্থায় দেখে। একটি সত্য কথা বলি তোমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে। কারণ তোমার এই অবস্থা আমার দির্ঘ দিনের পরিশ্রমের ফল।তোমাকে এই অবস্থায় আমি কি কি করেছি তা তুমি জানো না। কিন্তু আমার প্রতিশোধ এখনো পূর্ণ হয়নি তাই তোমাকে যে আরো কষ্ট পেতে হবে আমার জান। কিন্তু তুমি চিন্তা করো না তোমাকে তুমি যেনো ভালো মতো তোমার জীবনে করা সকল গুনাহের শাস্তি আরামে ভোগ করতে পারো আমি সেই ব্যবস্থায় করে রেখেছি।

রাজিব অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তিতিরের দিকে। রাজিবের সাথে এমন কেনো করছে তা রাজিব জানে। কিন্তু রাজিব এটা ঠিকই বুঝতে পারছে তিতির এতদিন তার সাথে ভালোবাসা নামক প্রতারণা করেছে। কিন্তু কেনো? তিতির সাথে পরকীয়ার আগে তো রাজিবের কেনো পরিচয় ছিল না।তাহলে তিতির কেনো এই সকল কিছু করছে কেনো রাজিবকে শাস্তি দিতে চাইছে। রাজিব তিতির কে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই পুলিশ টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজিবকে। সেদিকে তাকিয়ে প্রসান্তিময় হাসি হাসছে তিতির।

নূর,সিরাত ও রুদ্র বের হয়েছে মি.আজাদ চৌধরীর বাড়ির উদ্দেশ্যে আজ তাদের বিজনেস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবে।মি.আজাদদের বাড়িতে আরো কিছু লোক আসবে যারা সকলে এই প্রজেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত।সকলে হোটেল থেকে অনেক তাড়াতাড়ি বের হয়েছে কারণ এক তো তারা রাস্তা ঘাট ভালোভাবে চিনে না আর দ্বিতীয় রাস্তায় যদি কেনো কারনে জ্যামে পড়তে হয়।
সকলে যা ভেবে বের হয়েছিল তাদের সাথে তাই ঘটলো রাস্তায় সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।এই গাড়ির মাঝে আগে বাড়ার শক্তি কেনো গাড়ির নেই। কিন্তু গাড়িগুলো জ্যামে আটকায় নি গাড়ি গুলোকে ট্রাফিক ড্রাইভার আগে বাড়ার অনুমতি দিচ্ছে না। এখান দিয়ে কেনো এক বিশেষ ব্যাক্তি যাবে কেনো বড় রাজনীতিবিদ।তাই সকল গাড়ি থামিয়ে রাখা হয়েছে।

নূরের সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগে এই রাজনীতিবিদদের কথা শুনলে। তার মতে কেনো রাজনীতিবিদ কখনো ভালো হতে পারে না। কিন্তু তার সাথেই বারবার এই সকল ঘটনা ঘটে। আব্রাহামের বড় ভাই ব্যবসার সাথে সাথে রাজনীতির সাথেও জড়িতে তাই এটি নিয়ে নূর ওকে কম খেপাই নি।ওর এই খেপানোতে বিরক্ত হয়ে আব্রাহাম নূরকে শয়তানির ছলে বলেছে নূরের কপালে রাজনীতিবিদ স্বামী জুটবে এ নিয়েও কম মার খেতে হয়নি আব্রাহাম কে।
নূরের এইরকম জ্যামে বসে থেকে রাগে ফুঁসছে।তা দেখে সিরাত ভিশন অবাক হয় কারণ সিরাত নূরের এরুপ ব্যবহারের কারন বুঝতে পারছে না। কিন্তু রুদ্র ঠিকই বুঝতে পারছে নূরের এরুপ ব্যবহারের কারন তাই রুদ্র নূরকে আরেকটু রাগিয়ে দেওয়ার জন্য বলল।

কিরে নূর তোর জামাই দেখি আসছে,তো তোর কেমন অনুভুতি হচ্ছে।
রুদ্রের কথাটি বলতে দেড়ি নূরের তার হ্যান্ড ব্যাগ দিয়ে রুদ্রকে মারতে দেড়ি হয়নি।
শয়তান ওই রাজনীতিবিদ এর বোনের সাথে তোর বিয়ে দিবো।
কথাটি বলেই আবার মারতে লাগলো রুদ্রকে।আর এদিকে রুদ্র নূরের এরুপ রিয়েকশন দেখে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তখনি সেই রাস্তায় প্রবেশ করে সাতটি গাড়ি।একটি গাড়ি কালো রংয়ের।সেই কালো রংয়ের গাড়ির সামনে ও পিছনে তিনটি করে সাদা গাড়ি আসছে।গাড়িটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই গাড়ি দিয়ে সাধারণ কেনো ব্যাক্তি আসছে না। সকলের উত্তেজনা সেই কালো গাড়িটির দিকে।হয়তো এই গ্রামের সকলেই জানে এই গাড়ির ভিতরে কে আছে তবুও সকলের গাড়ির ভিতরে থাকা ব্যাক্তিটিকে দেখার আগ্রহ অনেক বেশি। কিছু লোকদের মাঝে একজন লোক বলে উঠলো।

আজ অনেকদিন পর ভাই গ্রামে এসেছে,উনার পরিবার গ্রামে থাকলেও উনি রাজনীতিক কাজে ঢাকা থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু আজ হঠাৎ গ্রামে আসার কারণ কি?
লোকটির কথা শুনে তাদের মধ্যে থাকা আরেকজন বলল।
হয়তো জরুরি কেনো কাজ হবে উনার,
লোকগুলোর কথার মাঝেই গাড়িটি অদৃশ্য হয়ে গেল। গাড়িটি কিন্তু গাড়ির ভিতরে কে আসে দেখতে কেমন কিছুই বুঝা যায়নি।সিরাত এতক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল গাড়িটির দিকে।আর নূর মুখ ফিরিয়ে বসে আছে। সকলের গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

আজ দু’টো দিন কেটে গিয়েছে রুদ্রের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।এই দুদিন কাজের চাপে কোথাও বের ও হওয়া হয়নি।তাই রাত এগারোটা বাজার পরেও তিনজন একসাথে হাঁটতে বের হয়েছে অবশ্য তারা বেশিভাগ পথ গাড়ি দিয়ে এসেছে। তারপর যখন এই শান্ত ও মনোরম পরিবেশ দেখেছে তখনি ড্রাইভার কে পাঠিয়ে দিয়ে হাঁটা শুরু করেছে।তারা ইতিমধ্যে সূর্যধারী গ্রাম থেকে অন্য একটি গ্রামে প্রবেশ করেছে। কিন্তু তারা তিনজনই হয়তো ভুলে গিয়েছে এটা গ্রাম শহর না। অবশ্য সিরাত নূর ও রুদ্র কে বারবার মানা করেছে। কিন্তু রুদ্র ও নূর সিরাতের কোনো কথা শুনেনি উল্টো নূর সিরাতকে টেনে ওদের সাথে নিয়ে এসেছে।
তিনজন একসাথে শুনশান একটি পথ ধরে হেঁটে চলেছে।এই মুহূর্তে বোধহয় রাস্তায় একটি কাক-পক্ষিও দেখা যাচ্ছে না।এটিই স্বাভাবিক গ্রামের মানুষ অনেক তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরে। তিনজনের চলার পথেই নূর বলে উঠলো।
আমি হৃদয়, আরশাদ , আব্রাহাম ও রাজকে অনেক মিশ করছি। ওরা আমাদের সাথে থাকলে এখন কতই না মজা হতো।এই গ্রামের পরিবেশ অনেক বেশি সুন্দর।
নূরের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলল।

হুঁম ঠিক বলেছিস,এক কাজ করি, কাল ওদের সকলকে আসতে বলি সবাই মিলে একসাথে গ্রাম ঘুরে তবে যাবো।
রুদ্রের কথার সাথে সম্মতি প্রকাশ করে নূর। তিনজন আবার নিরবতার সাথে হাঁটতে শুরু করে। কিছুদূর যেতেই নূর রাস্তায় একজন লোককে পরে থাকতে দেখে রুদ্র কে বলল।
দেখ ওইখানে কে জানি পরে আছে,

নূরের কথা শুনে সিরাত ও নূর ও সেইদিকে তাকিয়ে দেখে একজন যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে।সময় ব্যয় না করে নূর,সিরাত ও রুদ্র সেই ছেলেটির দিকে এগিয়ে যায়। রুদ্র ভালোভাবে ছেলেটিকে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারে ছেলেটিকে হয়তো কেনো মাদক দ্রব্য দেওয়া হয়েছে। ছেলেটির শরীরের আঘাতের চিহ্ন বেশি না হলেও আঘাত গুলো খুব গভীর যত দ্রুত সম্ভব হসপিটালে ভর্তি করতে হবে তাকে। কিন্তু রুদ্র একটি বিষয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এই ছেলেটির শরীরের রক্ত অধিকাংশ এই ছেলের না অন্যকারও।হয়তো যারা এই ছেলেটিকে মারার চেষ্টা করেছে তাদের আহত করে সেখান থেকে পালিয়েছে এই ছেলে।
ছেলেটির বেশভুষায় বলে দিচ্ছে এই ছেলেটি কেনো সাধারণ পরিবারের না কেনো বড় ঘরের হবে হয়তো। রুদ্রের কেনো যেনো ছেলেটিকে কিছুটা চিনা চিনা রাগছে শুধু মনে করতে পারছে না তাকে কোথায় দেখেছে।
রুদ্র সিরাত ও নূর কে উদ্দেশ্য করে বলল।

কি করব?
নূর বিনা দ্বিধায় বলল।
চল হসপিটালে নিয়ে যায়।সামনে আলো জ্বলছে দেখে মনে হচ্ছে বাজার হবে হয়তো। উনাদের থেকে সাহায্য নিতে পারি আমরা।এমনো হতে পারে উনারা এই লোকটিকে চিনে।
নূরের কথা শুনে রুদ্র সেই যুবকটিকে একপাশ দিয়ে ধরে আগে বাড়তে থাকে। কিন্তু রুদ্রের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে যুবকটিকে সামলাতে তাই আরেকপাশ থেকে নূর সেই যুবককে ধরে। হাঁটতে হাঁটতে তারা বাজারের কিছুটা কাছে চলে আসে তখনি হঠাৎ রুদ্রের ফোনটি বেজে উঠল। রুদ্র অসাবধানতা বশত ফোনটি পকেট থেকে বের করতে নিয়ে যুবকটিকে ছেড়ে দিল যুবকটি পড়লো নূরের উপরে।

তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ২২

কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই গ্রামের একজন বুড়ো তাদের দেখে বলতে লাগলো আয় হায় আমাদের গ্রামে এই সব কি চলছে।কি নষ্টা*মি করছে এরা আমাদের গ্রামে কে কোথায় আছো তাড়াতাড়ি এসো…

তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ২৪