তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ৪২

তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ৪২
আমেনা আক্তার

রুদ্রের কথা শুনে সবাই রুদ্রের দিকে তাকিয়ে তাকায়। এবং আরশাদ বিস্ফোরিত কন্ঠে রুদ্রকে বলর।
কাল পর্যন্ত তোর এই বিয়ে নিয়ে আফসোস হচ্ছিল।আর এখন তুই বাসরের জন্য আফসোস করছিস।আসলে তুই কি চাস বলবি।
আমি তো এখনও আফসোস করছি,তোরা জানিস সিরাত আজ সকালে আমার সাথে কি করেছে। একটুর জন্য আমি বেঁচে গিয়েছি।
নূর এতক্ষণ কান্না করলেও এখন ওর ধ্যান রুদ্রের দিকে। রুদ্রের কথা শুনে সকলে একসাথে বলল।
কি করেছে।

আমার গলায় আজ ছুড়ি ধরে বলল।আমি যদি কোনো দিন কোনো প্রকার নেশা করি তাহলে আমার গলা কেটে দিবে। চিন্তা করতে পারছিস কতটা সাংঘাতিক এই মেয়ে। অনেক কষ্টে আমি ওর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছি।
রুদ্রের কথা শুনে আব্রাহাম বলল।
বাহ! বাহ!তোরা দুজন কি জীবন সঙ্গী পেয়েছিস রে। একজনের স্ত্রী গলায় ছুড়ি ধরে গলা কাটার হুমকি দেয়।আর আরেকজনের স্বামী পুলিশ ইস্টিশনের থেকে উঠিয়ে এনে চুমু খায়। বাহ!
সকলের কথা শুনে হৃদিতা বলল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তোরা সবাই এই সকল কথা বাদ দে।জান তুই এইটা বল দুলাভাই তোকে বাংলা চুমু দিয়েছে নাকি ফ্রেন্স চুমু দিয়েছে যার জন্য তুই একদম বেহুঁশ হয়ে পরেছিলি।এমনি বলতে হবে দুলাভাইয়ের চুমুতে কিন্তু অনেক জোড় আছে দোস্ত।
হৃদিতার কথার সাথে সবাই তাল মিলিয়ে বলল।
হ্যাঁ হ্যাঁ বল আমরাও জানতে চাই, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
হৃদিতার কথা শুনে রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকায় নূর ওর দিকে। এবং দাঁতে দাঁত চেপে বলল।
তোদের এখনি দেখাচ্ছি ও আমাকে কি চুমু দিয়েছে।
কথাটি বলেই নূর একটি ঝাড়ু এনে সবাই কে ইচ্ছে মতো মারতে লাগলো। নূরের মার খেয়ে সবাই এদিক থেকে সেদিন পালাচ্ছে।আর নূর ওদের মারার জন্য পিছু পিছু ছুটছে।

বেশ বড়সড় কাচের তৈরি ডাইনিং টেবিলে বসে রাতের ডিনার করছে কিছু মানুষ। ডাইনিং টেবিলে এখন টুংটাং চামিচের শব্দ ছাড়া আর কিছুই শুনা যাচ্ছে না।এর মধ্যে একটি মেয়ে ও আরো দু তিনজন লোক এসে ডাইনিং টেবিলে বসে। মেয়েটি কান্না করছে।কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটির হেঁচকি উঠে গিয়েছে।
এখন সকলের ধ্যান এখন সেই মেয়েটির উপর থাকলেও। আদিত্যর সকল ধ্যান খাবারের উপর। আদিত্য এমন ভাবে খাবারে মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে যেনো ওই মেয়েটির কান্না ওর কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আদিত্য এক মনে খাবার খাচ্ছে তখনি আয়েশা চৌধুরী কিছুটা গম্ভীর গলায় উঠল।
সারা তুমি কান্না বন্ধ করো,আমি আদিত্যর সাথে কথা বলছি। আমার কিন্তু নাকে কান্না করা মেয়ে একদম পছন্দ না।
আয়শা চৌধুরীর কথা শুনে সারা কান্না করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এখনো সারা হেঁচকি তুলছে।সারা কান্না বন্ধ করতেই আয়েশা আদিত্যর উদ্দেশ্যে ভারি গলায় বলল।
শুনলাম আজ একটি মেয়ে তোমার নামে পুলিশ ইস্টিশনে রিপোর্ট লিখাতে গিয়েছিল।
আদিত্য মায়ের কথা শুনে খাবার খেতে খেতেই ছোট্ট করে বলল।

হুম,
আদিত্যর সম্মতি পেয়ে আয়েশা চৌধুরী আবার বলা শুরু করল।
সেই মেয়েকে তুমি কিছু না বলে, উল্টো সেই মেয়েকে নাকি স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছ সবার সামনে।
মায়ের কথার প্রতি উত্তরে আদিত্য ভাব অলসহীন ভাবে বলে উঠলো।
হ্যা বলেছি,
আদিত্যর কথা শুনে সারা আবার কান্না করা শুরু করে দিলো। আয়েশা চৌধুরী আদিত্যর কথা শুনে রাগে ডাইনিং টেবিল থেকে একটি খালি প্লেট নিচে ছুড়ে মারল। এবং বলল।
তুমি কি আমাদের বাড়ির মানসম্মান কোনো ছেলে খেলা পেয়েছ। কিভাবে তুমি একটি রাস্তার মেয়েকে নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছ। তুমি কি জানো না তোমার বিয়ে আমি সারার সাথে ঠিক করে রেখেছি।
আদিত্যর মায়ের কথা শুনে আদিত্য খাবার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়। এবং নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে ডাইনিং টেবিলে একটি ঘুসি মারতেই তা মুহূর্তের মাঝে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়।
সকলে দ্রুত সেখান থেকে সরে দাড়াই।

আদিত্যর হাত থেকে রক্ত ঝড়ে পরছে। তবুও আদিত্য এমন ভাবে দাড়িয়ে আছে যেনো কিছুই হয়নি। আদিত্য খুব শান্ত ভাবে বলল।
তুমি যাকে রাস্তার মেয়ে বলে অবজ্ঞা করছ সে আদিত্য চৌধুরীর স্ত্রী।আমি কখনো আমার স্ত্রীর নামে কোনো বাজে কথা সহ্য করব না।তা যার মুখ থেকেই বের হোক না কেনো।
আদিত্যর কথা শুনে আয়েশা চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে বলল।
তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছ তোমার সাথে সারার বিয়ে অনেক আগে থেকেই আমরা ঠিক করে রেখেছি। তোমাকে ও কতটা ভালোবাসে তুমি এটা খুব ভালোভাবেই জানে।সব কিছু জেনেও তুমি কিভাবে এটা করতে পারো।
আমি তোমাকে বলেছিলাম ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক করতে।
তুমি কিছু বলো নি, কিন্তু তোমার সামনেই ওর সাথে তোমার বিয়ে কথা পাকা করেছি আমরা। তখন তুমি তো নাও করো নি।
তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছিলে? তুমি যখন আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করোনি তাহলে না বা হ্যাঁ করার কথা কোথা থেকে আসছে।

আদিত্যর কথা শুনে আয়েশা চৌধুরী দ্বিগুণ তেজি গলায় বলল।
হ্যা আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। তোমার মা হিসেবে আমি তোমার বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার অধিকার ও দায়িত্ব দুটোই।
না আমি তোমাকে কখনো আমার দায়িত্ব বহন করতে বলেছি।আর না এই অধিকার আমি তোমাকে কখনো দিয়েছি। তাই জীবনে আর যাই করো না কোনো আমার উপর জোড় করে কখনো অধিকার খাটাতে এসো না।
আয়েশা চৌধুরী আর কিছু বলার আগেই আদিত্য বের হয়ে যেতে নেই বাড়ি থেকে। তখনি সারা আদিত্যর সামনে এসে কাঁদতে কাঁদতে বলল।
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, প্লিজ আদিত্য তুমি আমার সাথে এইরকম করো না। প্লিজ তুমি বলো এই সকল কিছু মিথ্যা।আমি সহ্য করতে পারব না।আমি মরে যাবো।

সারা কথাগুলো বলতে বলতেই আদিত্যর হাত চেপে ধরে।সারা আদিত্যর হাত ধরতেই আদিত্য সারার হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দেয়। আদিত্য এত তীব্র গতিতে সারার হাত ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়েছে যে সারা নিচে পরে যায়। আদিত্যর চোখ লাল হয়ে আছে। আদিত্য কড়া কন্ঠে সারার উদ্দেশ্যে বলল।
আদিত্য চৌধুরী নিজের শরীর স্পর্শ করার অধিকার নিজের ওয়াইফ ছাড়া আর কাওকে দেয় না।তোর বোধহয় সত্যি মরার শখ জেগেছে তাই এমন পাগলামী করছিস।যদি পরবর্তীতে এমন কোনো ভুল তোর দ্বারা হয়…
কথাটি বলেই আদিত্য নিজের মায়ের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল।
তাহলে আমার মা খুব ভালোভাবেই জানে আদিত্য চৌধুরী ঠিক কি করতে পারে।
কথাটি বলেই আদিত্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
আদিত্য চলে যেতেই সারাকে আয়েশা চৌধুরী ফ্লোর থেকে তুলে নেয়।সারা আয়েশা চৌধুরী কে জাপটে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল।
খালামনি আদিত্য কি কখনো আমার হবে না।আমি আদিত্য কে ছাড়া বাঁচব না।
আয়েশা চৌধুরী সারার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ওকে শান্তনা দিতে লাগলেন।আর মনে মনে শপথ গ্রহণ করলেন।যেই মেয়েই আদিত্যর জীবনে আসুক না কেনো।উনি ওই মেয়েকে আদিত্যর জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। ওনার ছেলে জেদি তো উনিও ওর মা।

রুদ্র মাত্র বাড়িতে ফিরেছে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাড়িতে আসতে আসতে রাত হয়ে গেছে।আজ সিরাতকে নিয়ে শপিং মলে যেতে বলেছিল রুদ্রের মা। কিন্তু রুদ্র বন্ধুদের পেয়ে সব ভুলে গিয়েছিল। রুদ্র বাড়িতে প্রবেশ করতেই রুদ্রের মা বলল।
রুদ্র তোকে না বলেছিলাম আজ সিরাত কে নিয়ে শপিং মলে যেতে।কাল বাড়িতে অনুষ্ঠান অনেক মানুষ আসবে সিরাত কে দেখতে ওর জন্য তো কিছু কিনা কাটা করা প্রয়োজন। কাল ও কি পরবে।
রুদ্র মায়ের কথার প্রতি উত্তরে কিছু বলবে তার আগেই সালেহা মির্জার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রুদ্রের চাচি বলে উঠলো।
ওই মেয়ের যেই গায়ের রং ওর জন্য শপিং করলেও কি বা না করলেও কি? ওই মেয়ে কি কালো থেকে সুন্দর হয়ে যাবে?আর এমনিতেও তুমি তোমার ছেলের জন্য এমন কালো মেয়ে এনেছ যার জন্য তোমার ছেলে ঘৃণায় ওর সাথে এক বিছানায় ঘুমাও না।

রুদ্রের কথাটি যেনো গাঁয়ে লাগলো ওর এখন প্রচুর রাগ উঠছে। কিন্তু ও সালেহা মির্জার সামনে কিছু বলে নিজের চাচির সাথে বেয়াদবি করতে চাইছে না। তবুও রুদ্র রাগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তার সামনে থাকা ফুলের তোড়া টি এক আছাড়ে ভেঙ্গে ফেলে। এবং কিছু না বলে নিজের রুমে চলে যায়।
রুদ্রের চলে যেতেই সালেহা মির্জা পান চিবুতে চিবুতে বলল।
দেখেছিস ওর বউয়ের কথা শুনতেই ও কত রেগে গেল। আল্লাহ যানে এই কালো মেয়ের সাথে রুদ্র কিভাবে সংসার করবে।

সিরাত কিচেনে দাঁড়িয়ে সকল কিছুই শুনেছে। রুদ্রকে এভাবে চলে যেতে দেখে তাচ্ছিল্যের একটি হাসি দেয় সিরাত।সিরাতের মনে হচ্ছে রুদ্রের মনে হয় এখন খুব আফসোস হচ্ছে ওর বাবার কথা শুনে ওর মতো একটি কালো মেয়ের সাথে সংসার করার কথায় রাজি হওয়ায়।তাই হয়তো কিছু না বলতে পেরে ফুলের তোড়া টি ভেঙ্গে ফেলেছে। আচ্ছা ওকি রুদ্রের জীবনের বোঝা হয়ে যাচ্ছে।ও কোনো ভুল করছে না তো এখানে থেকে।বা এই সম্পর্ক কে একটি সুযোগ দিয়ে।আর যাই হোক সিরাত কারও জীবনে বোঝা হয়ে থাকবে না ওর আত্মসম্মান খুবই প্রখর।
সিরাত নিজের সকল কাজ শেষ করে রুমে যেতেই দেখতে পায় রুদ্র নিজের চুল খামচে ধরে এদিক থেকে ওদিক পায়চারি করছে।মূলত রুদ্র নিজের রাগ কমানোর চেষ্টা করছে।সিরাত অনেক ক্লান্ত তাই কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে যায়।সিরাত ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে রুদ্র আগের মতোই পায়চারি করছে।তাই সিরাত বলল।
তুমি এভাবে পায়চারি করছ কোনো, সমস্যা কি তোমার?
সিরাতের কথা শুনে,রুদ্র কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।সিরাত এতে খুব অবাক হয় কিন্তু কিছু না বলে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরে।

রাত বারোটায় রুদ্র বাড়ি ফিরে, রুদ্র বাড়ি আসতেই দেখে সিরাত ওর জন্য ড্রয়িং টেবিলে খাবার নিয়ে বসে আছে। রুদ্র সিরাত কে বসে থাকতে দেখে ওর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো।
তুমি না খেয়ে এখনো আমার জন্য খাবার নিয়ে বসে আছো?
রুদ্রের কথায় সিরাত ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে বলল।
তোমার কি আমাকে দেখে এতটা মহান মনে হয়। যে, আমি না খেয়ে বসে বসে তোমার জন্য অপেক্ষা করব।আমি আমার খাবার খেয়ে নিয়েছি। আম্মু তোমার জন্য অপেক্ষা করছিল তাই ওনাকে রুমে পাঠিয়ে দিয়ে আমি বসে আছি।
সিরাতের কথার প্রতি উত্তরে রুদ্র কিছু না বলে চুপচাপ নিজের খাবার শেষ করে রুমে চলে যায়। রুদ্রের পিছু পিছু সিরাত ও রুমে চলে যায়।সিরাত বিছানা থেকে নিজের জন্য বালিশ ও কম্বল নিতে চাইলে রুদ্র সিরাতের হাত ধরে ওকে থামিয়ে দেয়।সিরাত রুদ্রের এই আচরণে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকায়।
রুদ্র সিরাতের দৃষ্টি দেখে ভালো ভাবে বুঝতে পারছে সিরাত কি বলতে চায়।তাই রুদ্র সিরাতের দিকে তাকিয়ে বলল।
তুমি আজ থেকে আমার সাথে বিছানায় ঘুমাবে।

সিরাত বিস্ফোরিত নয়নে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল।
আমি তোমার সাথে ঘুমাবো মানে?
আমার সাথে ঘুমাবে মানে আমার সাথে ঘুমাবে।
কথাটি বলেই সিরাত কে আর কিছু বলার সুযোগ দেয়না রুদ্র। রুদ্র সিরাতের এক হাত ধরে টান দিতেই সিরাত বিছানার উপর পরে। রুদ্র সিরাতকে কিছু করার সুযোগ না দিয়ে ওকে জাপটে ধরে শুয়ে পরে। এভাবে প্রথম কোনো পুরুষের কাছে আসায় সিরাতের প্রচুর অস্বস্তি হচ্ছে সাথে কিছুটা লজ্জাও লাগছে।তাই সিরাত নিজেকে ছাড়ানোর জন্য মুচড়া মুচড়ি করতে করতে রুদ্রকে উদ্দেশ্যে করে বলল।
আমাকে ছাড়ো, আমার অস্বস্তি হচ্ছে।আমি তোমার সাথে ঘুমাতে পারব না।

তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ৪১

সিরাতের কথায় রুদ্র বলল।
দেখো সিরাত বেশি নড়াচড়া করো না। নাহলে তোমার নড়াচড়া করার মাঝে যদি আমার হাত অন্য কোনো যায়গায় গিয়ে লাগে পরে আমি কিন্তু বাচ্চার নেওয়ার প্লানিং শুরু করে দিবো। তখন আমার দোষ দিতে পারবে না।
রুদ্রের কথা শুনে সিরাত একটি ঢোক গিলে এবং একদম শান্ত হয়ে শুয়ে থাকে..

তুমি শুধু গল্প না আমার ভালোবাসা পর্ব ৪৩