তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ১৩
নীল মণি
আজ বোধ হয় দুর আকাশের সঙ্গে সঙ্গে চোধুরী বাড়ির দোতলার ব্যালকনিতে বসে থাকা ইউভির মাথার উপরেও বেশ বড়সড় একটা বাজ পরলো।
“ভাইয়া কি বলছো এটা ? কোন ভাবেই সম্ভব না। কবে ? কোথায় ? কি ভাবে হল ভাইয়া এসব ।”
জায়ন এর নজর এখনো ওই দূরে থাকা গাছের ওপর যে বাতাসের তালের সঙ্গে তাল মিলাচ্ছে। সেই দিক চেয়েই জায়ন বলল —
” যেটা শুনছিস সেটাই বলছি । ব্যাস হয়ে গেছে সময় , ঠিকানা , কারন কিছুই জানি না শুধু জানি ‘i want her at any cost’
ইউভি আবারো চেয়ারে বসে পড়ল , মাথায় কাজ করছে কি করবে সে এখন? কি উত্তর দেবে তার ভাইয়া কে , তার কাছে তো কোন উত্তর নেই শুধুই আছে এক কৌতূহল….
” ভাইয়া বনু ও কি তোমায় ভালোবাসে ?”
জায়ন এবার ইউভির দিকে ফিরে বলল —
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” জানিনা, আমি জানার প্রয়োজন মনে করি না । কারন
আমি যখন বলেছি যে ও আমার তাহলে ও আমার সে ও আমাকে চাক বা না চাক । ইন ফিউচার যদি আমি ওঁকে কোন কারনে আঘাত করি তাও ও আমার কারণ ওর আঘাতে একমাত্র মলম লাগানোর দায়িত্ব আমার । আমি যদি ওকে কখনো ঘৃণাও করি তাও ও আমার। ওর নামের পাশে আবরার জায়ন ছাড়া অন্য কোন নাম যোগ হওয়ার আগে সেই ব্যাক্তি তার জীবনের নেক্সট দিনের সূর্য দেখবে কি না আমি নিজেও জানিনা ।
আর আমার তোর পারমিশনের কোন প্রয়োজন নেই, তোকে জানানোর তাই জানিয়ে দিলাম । শুধুমাত্র মেজমায়ের অসুস্থতার জন্য বৃষ্টি কে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছি তা না হলে বিয়েটা ভেঙেই দিতাম, বিয়েটা ভাঙলে আমি জানি মেজ মাকে বাঁচানো অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে তাই তোকে বলে রাখলাম । আর তাছাড়া বৃষ্টি না তো আমার কোন অনুভূতিতে থাকবে না তো আমার শরীরের কোনো ছোঁয়া সে পাবে , এখন তুই যদি কোন কারনে বিয়ে টা আটকে দিতে চাস দিতে পারিস,আমি এতে তোকে ধন্যবাদ ই জানাবো। তোর ছোট বনু যদি ভুল করে আমাকে আঘাত করে আমি শত বার আঘাত খেতে রাজি আর তোর বনু যদি আমর সঙ্গে প্রতারনা করে তো তাকে মেরে দাফন করে নিজে আ**ত্ম**ঘাতী হয়ে যাব । আর কেউ যদি তোর বোন কে আঘাত করার চেষ্টাও করে তার সঙ্গে তার পুরো দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব আর সেই জ্বালানো ছাইয়ের রানী হবে তোর বোন।
জায়ন একটু ইউভির দিকে ঝুঁকে বলল —
” Keep it in your mind ভাই।”
ইউভি ভাবছে তার সামনে কে দাঁড়ান, সে তো রীতিমত তার ভাইয়া কে ভয় পাচ্ছে —
” ভ ভ ভাইয়া বাট বৃষ্টির কি হবে?”
” বৃষ্টির সব দায়িত্ব নিতে রাজি , কিন্তু কোন ভালবাসা দিতে রাজি না”
” কি করে সম্ভব ভাইয়া ?”
” ওর সব ফ্যাসিলিটি ও পাবে , ও যদি ইন ফিউচার অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায় করে নেবে । আমি যদি দুটো বিয়ে করতে পারি , ও করলে দোষ কি?”
ইউভি ভয়ে ঢোক গিলে বলল —
” ভাইয়া তুমি দুটো বিয়ে করবে মানে ?”
জায়ন একটু বাঁকা হাসি দিয়ে বলল —
” একটু আগে বললাম না রোদ এর পাশে শুধু আমার নাম হবে । তো হবেই হবে । তোর ছোট বোনুকে ভালবাসা
দিয়ে ভরিয়ে দেব কিন্তু কোন প্রতারনা বরদাস্ত করবোনা।
আর শোন মেজোমা কে আমি খুব ভালোবাসি ওনার কথা ভেবে এখনো সব মেনে নিচ্ছি । কিন্তু কোন কিছুই জানো লিমিটের বাইরে না যায়। আর তোর বনু যদি কোন ভুল করে তার মাসল সে পাবে , তাই তোর ছোট বনুকে সাবধানে রাখিস আর এই সব কিছু দেখার দায়িত্ব কার??
ইউভি ভয়ে ভয়ে বলল –
” আমার ।”
জায়ন একটু হেসে ,ইউভিড় মাথায় হাত দিয়ে একটু চুল গুলো নাড়িয়ে বলল —
” That’s my bhai”
এরপর পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে ইউভির
হাতে দিয়ে বলল —
“নে এটা ধর।”
ইউভি হাতটা কাঁপাতে কাপাতে কাগজটা নিল —
” এটা কি ভাইয়া?”
“এটা তোর বোন কি লাইক আর ডিসলাইক করে সেগুলো সব এই কাগজটা লিখে আমাকে কালকের মধ্যে দিবি।”
ইউভি মাথা নিচু করে রইল ।
“কি বললাম বুঝলি নাকি অন্যভাবে বোঝাবো?”
” জ জ জী ভাইয়া ”
বৃষ্টির সন্ধ্যায় গাছের পাতাগুলো খিলখিল করে হেসে উঠেছে পানির ছোঁয়ায়— প্রতিটা ফোটায় যেন মেঘের আনন্দ ঝড়ে পড়েছে। আজ সূর্যাস্ত দেখা যাবে না, আকাশ ঢেকে সে সোনালী না হয়ে ওঠা মেঘে। বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দে সারা শহর যেন এক আশ্চর্য রাগে বাজছে– নিঃশব্দে, কিন্তু গভীর এক ছন্দে।
সময় রাত ৯:৪৩ , বৃষ্টি ঝাঁপিয়ে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরেছে চৌধুরী বাড়ির গিন্নিরা ও বাচ্চারা, বৃষ্টি ছুতে পারিনি তাদের ,
কারণ তারা ব্যবহার করেছে তাদের পার্সোনাল গাড়ি ।
জায়ন ,ইউভি আর আকাশ ও সন্ধ্যায় বেরিয়ে গেছে বনানীর উদ্দেশ্যে আকাশ দের বাড়ি । জায়ন ফিরে আসার পরে ফুপি দের বাসায় তার যাওয়া হয়নি তাই আজকে আয়েশা বেগম তাকে অবশ্যই যেতে বলেছে ।
রাতেই আবার ফিরে আসবে ১০, ১৫ মিনিট এর রাস্তা।
তাই ৩ ভাই বেরিয়ে গেছে জায়ন এর মার্সিডিজ টি নিয়ে বাইক নিয়েই যেতো কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেটা আর হয়ে উঠল না।
চৌধুরী বাড়ির কর্তারা ও ফিরেছে অনেকক্ষণ, আফিজার মা (কাজের বুয়া) তাদের চা এবং কিছু পাকোড়া বানিয়ে দিয়েছিল, সঙ্গে ছিল কাটলেট ও কাবাব । রাতের জন্য বানিয়ে রেখেছিল ভাত , চিংড়ি ভর্তা, ডিম ভর্তা আর চিকেন এর ঝোল ।
প্রণয় আলী চৌধুরী সাহেব বলে উঠলেন —
” আমি তো ভাবছিলাম তোমরা পুরো ঢাকা শহরের যত শপিং মল আছে সব তুলে নিয়ে আসবে ।”
রুহেনা বেগম ড্রেসের প্যাকেট গুলো রাখতে রাখতে বললেন–
” আপনাদের এত সমস্যা কোথায় শুনি, নিজের তো নিয়ে যাবেন না আমরা গেলেও আপনাদের সমস্যা।
সব সময় কাজের ছুতো দেখাবেন।”
অমনি রায়ান দৌড়ে এসে তার মেজ চাচুকে বললেন–
” মেজো চাচ্চু আমি আজ বুঝলাম যখনই আম্মুরা শপিং এ যায় ,
আপনাদের এত কাজ কেন চলে আসে?”।
বৃষ্টি ভ্রূ কুঁচকে বলল —
“রায়ান তুই কি বলতে চায়ছিস?”
রায়ান একটু বারবার শ্বাস ছেড়ে বলল–
“বাবা আপু তোমাদের সঙ্গে মানুষের শপিংয়ে যায়, দশ দোকান ঘুরে তোমরা আর আম্মুরা একটা জিনিস নাও।
আমি তো কসম খেয়েছি আর তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছি না।”
রোদ অনেকক্ষণ আগেই উপরে চলে গেছে, তার মন এমনিতেই উদাসীনতায় ছেয়ে আছে।
এদিকে রায়ান এর কথা শুনে অনু বলে উঠল —
” তোকে যেতে কে বলেছিল? ”
রায়ান কিছু বলতে যাবে তার আগেই
তাহসান সাহেব বলে উঠলো–
“তাহলে তুইও টের পেয়ে গেলি বাবা এইটুকু বয়সে।”
প্রান্তিক চৌধুরী সাহেব বললেন–
” ওরে তাহসু কিছু বলিস না সকালে নাস্তা জুটবে না ।”
গটমট করে তাকিয়ে পড়ল মেহজাবীন বেগম আর সুরাইয়া বেগম মনে হচ্ছে এক্ষুনি গিলে খাবে ।
তাহসান আবারও বলে উঠলেন–
“আরে ভাইয়া টেনশন নিও না আমাদের আফিজার মা আছে তো, হি হি হি ।”
মেহজাবিন বেগম বললেন —
“মেজো এই ব্যাগগুলো এখন আর খুলবো না বুঝলি, যা ছোট যা মেজো। কাল তো আমাদের আর রান্না বান্না নেই এখন থেকেই আরাম কর, অফিজার মা আছে তো।”
এই বলে যে যার রুমে চলে গেলেন ….
তিন কর্তার চেহারায় কেমন যেন অন্ধকার ছেয়ে এলো —
প্রণয় সাহেব তাহাসানকে বলে উঠলো–
“দেখলি দেখলি বড় ভাইয়া তোকে বারবার বলেছে কিছু বলিস না সেই হলো তো। প্রস্তুত হও কাল থেকে পুরোপুরি অফিসার মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার জন্য।”
প্রান্তিক চৌধুরীও বলে উঠলেন আফিজার মা( কাজের বুয়া) এর উদ্দেশ্যে–
“ও আফিজার মা জিরাই নাও জিরাই নাও । তোমার কালকে অনেক খাটুনি ।”
কাজের বুয়া পান চিবোতে চিবোতে বললেন —
” আমি সব কইরা নিম বড় আব্বা।”
এই ভাবেই কেটে গেল চৌধুরী বাড়ির সন্ধ্যা রাতটা।
এদিকে আয়েশা বেগম ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে নানা রকমের ভর্তা, ভাজি, ইলিশ পাতুরি, বিফ ভুনা, চিকেন রোস্ট, কাচ্চি বিরিয়ানী, পোলাও…..
” ফুপি এত কিছু করার কি দরকার ছিল, কে খাবে এতকিছু আর তুমি তো জানো আমি এত ঝাল মসলা তেল খাই না।”
আয়েশা বেগম বলে উঠলেন–
” আমি সব তোর জন্য অল্প তেল মশলায় রান্না করেছি, চুপচাপ খেয়ে নে, অত তোমার শরীর চর্চা করতে হবে না।”
এদিকে আয়েশা বেগম এর স্বামী বলে উঠলেন —
“এখন শরীর চর্চা করবে না তো কখন করবে? আমাদের মত বুড়ো হলে?”
ফুপি বলে উঠলেন — “দুদিন পরেই বিয়ে কি দরকার এসবের।”
এই কথা শুনে ইউভি কেশে উঠল —
ফুপি ওমনি পাশে এসে ইউভির পিঠে হাত ঘষতে ঘষতে বলল
” আরে ঠিক ঠাক করে খাবি তো , কোন জগৎ এ আছিস ?যখন থেকে এসেছিস কিরকম একটা চেহারা বানিয়ে রেখেছিস ।,”
আয়েশা বেগম এর এই কথা শুনে জায়ন একটু ইউভির দিকে তাকাল ।
ইউভি এদিকে মনে মনে বলল —
” আমি আজ যা খেয়েছি আর দেখেছি আমার তো এমনিতেই পেট ভরা ।”
আকাশ বলল —
” আব্বু তুমি এখনো অনেক হ্যান্ডসাম, আম্মু তো বুড়ী হয়ে যাচ্ছে । ”
এই শুনে আয়েশা বেগম রাগান্বিত দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকাল ।
আকাশ ও চুপ হয়ে গেলো । মরিয়া খেয়ে অনেক্ষন আগেই রুমে চলে গেছিল তাই এখানে সে উপস্থিত হয়নি।
ওদিকে ফুপি বললেন-
“জায়ন তোকে বলেছিলাম বৃষ্টিকে নিয়ে আসিস, কিন্তু নিয়ে আসলি না।”
জায়ন কিছু বলবে তার আগেই ইউ ভি বলে উঠলো –
” আসলে ফুপি আম্মু তোমায় বলেছিল না ওরা শপিং যাবে বৃষ্টি ও ওদের সঙ্গে গেছে। ”
জায়ন একটু ইউভির দিকে ফিরে ফিসফিস করে বলল–
” এইতো আমার ভাইয়ের মত কাজ করছিস, আমার হবু সম্বন্ধী হি হি।”
ইউভি মনে মনে ভাবল —
” আমার জান প্রান বার করে ভাইয়া কি সুন্দর হাসছে , কোথায় পড়লাম আল্লাহ।”
আরো কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলল তাদের মধ্যে, রাতের খাবার শেষ করেই তিনজনেই চৌধুরী বাড়ির দিকে রওনা দিল । আকাশও যাবে কারণ আগে থেকেই বলা ছিল যে এই কয়দিন সে ওখানেই থাকবে।
জায়ন রা বাড়ি পৌঁছায় রাত ১১:৩০ টার পরে। আজকে সবাই শুয়ে পরেছে কারণ সবাই ক্লান্ত। তাই জায়ন দের কাছে একটা এক্সট্রা চাবি ছিল, সেটা দিয়েই সদর দড়জার লক ওপেন করে যে যার রুমে চলে যায় ।
জয়ন রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় । এদিকে একজনের চোঁখে যে ঘুম ছিল না তা কেউ জানে না, অপেক্ষায় ছিল জায়ন এর আসার ।
জায়ন এর আসার কিছুক্ষন পড়ে তিয়াশা রুমের সামনে উকি মারছিল ।
প্রায় ১৫ মিনিট এর উপরে দাড়িয়ে ,
কি একটা যেন হল হঠাৎ কি হল তার সঙ্গে এই মাত্র কি হলো , কারো পুরুষালি কঠিন হাত তাকে টেনে নিল —
রুমের ভেতরে টানতেই দেওয়ালে চেপে ধরলো।
সামনে দারিয়ে আছে তার ব্যক্তিগত মায়াবী পুরুষ , চুল থেকে বিন্দু বিন্দু জল পড়ছে স্বেত পাথরের মেঝেতে , তার মধ্যে এক বিন্দু জল ললাট বেয়ে চিবুক জড়িয়ে বুকের দিকে নেমে যাচ্ছে ।
পরনে শুধু রয়েছে সাদা রংয়ের টাওয়াল। পুরুষালি এই
কৃত্রিম দেহের নগ্নতায় ভরা সৌন্দর্য দেখে —
রোদ এর কেমন অসুস্থ লাগছে , তার এই ছোট্ট শরীর টা অবস হয়ে আসছে , গলা শুকিয়ে যাচ্ছে , পেটের ভিতরে কি যেন নড়া চড়া করছে , শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে , অধর জোড়া কাপাকাপি করছে, তাও ডাগর ডাগর নয়নগোচর হয়ে আছে জায়ন এর দৃষ্টিতে …..
এদিকে এইসব অভিনয়মঁচের যবনিকায় জায়ন এর অ্যাডাম আপেল বার বার আলোচ্য স্থান থেকে নিম্ন গামি হচ্ছে । জায়ন এর নিঃশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে , তাদের মধ্যে দুরত্ব শুধু কিছু পৃষ্ঠার বই বরাবর।
রোদ জায়ন এর এই পুরুষালি কঠিন বাহুর থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে , কিন্তু পারছে না ….
” ক ক ক কি করছেন ভাইয়া ? ছাড়ুন প্লিজ ।”
জায়ন তার তর্জনী আঙুল খানা রোদের ওষ্ঠ যুগলে ছুঁয়ে বলল —
” শশশশ একদম চুপ, ভাইয়া হবে তোর ইউভি ভাইয়া আর দুনিয়ার বাকি পুরুষ রা কিন্তু আমি না ।”
থেমে যায়নি এখনো সে , জায়ন তার মুখ টা রোদ এর কানের কাছে নিয়ে হাস্কি সুরে বলল —
” আগেই সাবধান করেছিলাম আমার সামনে আসবি না।
রোদ চোখ বন্ধ করে বলল —
“” আ আ আমি তো শুধু দেখছিলাম ।”
জায়ন বার বার তার ঘন ঘন নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল —
“কি দেখছিলি আমাকে? নে দেখ আমাকে এখন ভয় পাচ্ছিস কেন ?দেখছিস তো বাইরের ওয়েদার, তোর ভয় করল না আমার কাছে আসতে এই ওয়েদার এ, আমিতো নিজের ঠিক মস্তিষ্কে নেই এখন যদি কিছু করে দেই কি করবি?”
এই বলে রোদ এর এক হাত থেকে নিজের হাত টা ছাড়িয়ে, রোদ এর মেদহীন কোমর জড়িয়ে ধরলো।
রোদ যেন এবার আর কিছু বলতে পারল না ,তার নয়ন জোড়া আরো বড় বড় হয়ে গেল ,,, তাও নিজেকে গুটিয়ে বলল —
” আমি তো আসিনি , আপনিই তো ট ট টেনে আনলেন।”
জায়ন রোদ এর কোমর আরেকটু নিজের কাছে টেনে নিল , মিশে গেল দুজনে দুজনের সঙ্গে , জায়ন এর অর্ধ ভেজা উলংগ পুরুষালি শরীর এর উষ্ণতা রোদের ছোট্ট শরীর টা কাপিয়ে তুলছে ,
জায়ন মুখ টা রোদের কানের কাছে বার বার স্লাইড করে বলল —
” এতটা এসেছিস আরেকটু এসে আমাকে সামলা এবার। বারণ করেছি সুনিস নি , নে এবার সামলা আমায় ।
জায়ন তিয়াশার চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে , নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলল —
তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ১২
“ওহ বেইব ইউ স্মেল লাইক মাইন, আই ওয়ান্ট টু ইট ইউ লাইক আ ওয়াইল্ড বিস্ট। ”
জায়ন এর হাতটা একটু আলগা হয়ে গেল , আলগা হতেই রোদ দৌড়ে বেরিয়ে গেল….
জায়ন কোমরে তার বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে ঠোটের কোনায় টাচ করতে করতে মুচকি হাসি দিয়ে আবারও তার হুস্কি শুর ব্যবহার করে বলল —
” গো লিটিল কিটি ক্যাট গো , আই উইল ক্যাচ ইউ ।
নো অন্ ক্যান সেভ ইউ ফ্রম মি।