তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৬০ (২)

তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৬০ (২)
নীল মণি

মধ্যরাতের আকাশ ঝলমল করছে হাজারো তারার আলোয়, চারপাশ নিস্তব্ধ, শুধু দূরে কোথাও গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে হাওয়ার সোঁ সোঁ শব্দ। জায়নের বাসার খোলা ব্যালকনির সুইমিং পুলটায় যেন নীল আকাশটাই নেমে এসেছে পানির উপর চাঁদের প্রতিচ্ছবি দুলছে, হালকা ঢেউ খেলছে।
সে নীলাভ ধারায় ধারায় দাঁড়িয়ে আছে দুজন মানুষ উত্তাপ আর নে*শায় ভেজা শরীর, তবু চারপাশের সৌন্দর্য যেন তাদের কা*মনার ঢেউ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিয়াশা ভিজে চুল কাঁধে ছড়িয়ে রেখেছে।
পুলের পানিতে দুটো প্রাণ নেমে পড়ল একসাথে, ঠাণ্ডা পানি যেন উত্তপ্ত শরীর ছুঁয়ে এক অদ্ভুত শিহরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে আগুনের সঙ্গে জলের মিলন। প্রতিটি ঢেউ তাদের গায়ে গিয়ে লেপ্টে থাকল, যেন প্রকৃতিও আজ তাদের কা**মনার সাক্ষী।

তিয়াশা এক পা এক পা করে পেছাতে লাগল, ভেজা শরীরের ফোঁটা পুলের আলোয় চিকচিক করছে তার প্রতিটা পদক্ষেপ যেন কাঁপা কাঁপা পিছিয়ে যেতে যেতে বুকের ভেতর শ্বাস গুলো আটকে আসছে। সামনে দাঁড়ানো জায়ন এর চোখে শি*কারীর ক্ষুধা, ঠোঁটে বাকা শয়তানি হাসি তার প্রতিটা পদক্ষেপ যেন তিয়াশার বুকের কাঁপুনি বাড়িয়ে দিচ্ছিল। চোখে মুখে এক অদ্ভুত ঘোর মেশানো ছায়া , লাল হয়ে উঠেছে চোখ জোড়া, সেই ছায়া যেন পুরো পরিবেশকেই গ্রাস করে নিচ্ছে।
তিয়াশার ভেজা চুল কাঁধে লেপ্টে আছে, ভেজা বি*কি*নির আড়ালে শরী*রের প্রতিটা রেখা যেন তাকে আরও চুম্বকের মতো টেনে আনছে জায়নকে। বুক কেঁপে উঠছে তার ,ভেজা কণ্ঠে তিয়াশা হকচকিয়ে বলে উঠল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

__” তু তু তুমি এতটা অ অ অসভ্য , একদম একদম কাছে আসবে না। আমার আমার উপর তোমার
ওই ওই বই এর প্রোসেস চালাচ্ছ?”
কিন্তু জায়ন কোনো উত্তর দিল না,শুধু ঘন নিঃশ্বাস ছেড়ে ঠোঁ*টের কোণে বাকা হাসি ফেলে এগিয়ে এল। তিয়াশা পানি ছুঁড়ে মারল জায়নের দিকে, কিন্তু তার পিঠ ইতিমধ্যেই ঠেকে গেছে সুইমিং পুলের প্রান্তে। সেই মুহূর্তে এক ঝটকায় জায়ন এগিয়ে এসে দুই হাত দিয়ে তাকে পুলের সাইড এ লক করে দিল। মাথা নিচু করে তিয়াশার চোখে চোখ রেখে গাঢ় নিঃশ্বাসে ফিসফিস করে বলে উঠল

__” ইউ আর টু মাচ বিউটিফুল মাই ওয়াইফ । দ্যাটস
হোয়াই আমার কোনো বই পড়া লাগেনা , আমার বউ পুরোই নে*শার আগুন , আর আমি সেই আগুনে পাগল হয়ে যাই জান , ইটস নট মাই ফল্ট বেইব।”
জায়ন এর কথায় তিয়াশা কিছু বলার আগেই জায়ন তার ঠোঁটে ঝড় নামিয়ে দিল ক্ষু*ধা*র্ত চু*ম্বনে। যেন তার ফুসফুস থেকে নিঃশ্বাস কেড়ে নিচ্ছে।
চুম্বন এর মাঝেই জায়ন পুলের পানিতে ভেসে থাকা ডেকোরেট বাস্কেট টা নিজের কাছে টেনে নিল যার মধ্যে ছিল দুই গ্লাস জ্যুইস, এদিকে তিয়াশা কিছুক্ষন আগের ঘটনায় জায়ন এর উপর রেগে থাকলেও আবারো নেতিয়ে পরছে জায়ন এর ছোঁয়ায় ।

এর মধ্যেই এক গ্লাস ঠান্ডা মিষ্টি জুইস ঢেলে দিলো তিয়াশার বুকে , আর জুইস ঢালার সঙ্গে সঙ্গেই জায়ন এর ভেজা ঠোঁট ছেড়ে তিয়াশার আধা উন্মু*ক্ত বু*কের উপর নেমে এলো,তার নিঃশ্বাস আটকে গেল যখন জায়ন ঠোঁট ডুবিয়ে দিল সেই মিষ্টি ভেজা বুকে।
আর সঙ্গে সঙ্গেই কেঁপে উঠলো তিয়াশা অজান্তেই খামচে ধরলো জায়ন এর পিঠ ,জায়ন জুস এর সব মিষ্টতা নিজের ঠো*টের সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছে , তিয়াশা কি করে বলবে তার শখের পুরুষের এই ছোঁয়া তাকে ঘোরের মধ্যে ডুবিয়ে দিচ্ছ , নিজের করুন অবস্থার কথা না পেরে ভেজা চোঁখে নেশাল কন্ঠে বলে উঠলো,
__” প্লী প্লীজ প্লীজ ……”

জায়ন তার বউ এর এই অবস্থা দেখে জুইস এর আরেকটা গ্লাস নিয়ে তিয়াশাকে পেছন ঘুরিয়ে তার
পিঠে ঢেলে দিল । আর পিঠে ঢালতেই এক নিঃশ্বাসে লুটে নিলো সেই মিষ্টি শরীরের স্বাদ। এদিকে তার দুই হাতের ঝড় বয়ে চলেছে আধা উন্মুক্ত বুকে, তিয়াশাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা অন্ধকারে , দুজনেই কেমন যেন পাগলামির দেশে ঠাঁই দিচ্ছে এদিকে তিয়াশা যেন আর নিজের মধ্যে নেই , তাই আবারো কাপা কন্ঠে বলে উঠলো,
__” বর প প্লীজ , ।”

জায়ন তিয়াশার কথা কানে না নিয়ে হাতের খেলা চালাতে চালাতেই নিশ্বাস ভারী করেই এবার দাঁত দিয়ে
পেছন দিয়েই খুলে দিল তিয়াশার বি**কিনির ফিতে,
আর তিয়াশা অনুভব করতেই ভয়ে আর লজ্জায় চোখ বুজে ফিসফিস করে উঠলো,
__” উমমম ম প্লীজ”
জায়ন এবার নিজের চিহ্ন রাখতে ব্যস্ত হয়ে উঠছে ,
তিয়াশার উন্মুক্ত পিঠে । এবার ঘোর লাগা কন্ঠে চোখে
একরাশ ভালোবাসার মাদ*কতা নিয়ে জায়নের দৃষ্টি আরও অন্ধকার হলো ,তার কণ্ঠে ভারী ঝড় বয়ে গেল

__”তোর ওই চোখ দুটো আমার ওভারডোজ দেখলেই নিজের হুঁশ থাকে না জান। রোজ রাতে আমি তোর নেশায় ডুবে মরতে চাই। ভালোবাসি খুব তবে আমি তোর শরীরটা চাই সম্পূর্ণভাবে ছিঁড়ে নিতে। আমি চাই তোর চোখের ভয়ের জল, চাই তোর ঠোঁ*টের কা*মড়ে চেপে রাখা চিৎকার। আমি তোর প্রতিটা আর্তনাদ শুনব, প্রতিটা কাঁপুনিকে গ্রাস করব। তোর ভেতরে আমি আমার উন্মাদনা এমনভাবে ঢেলে দেবো, যেন সারাজীবন মনে থাকে তুই শুধু আমার , তুই আমার পাগলামির বন্দি, তুই আমার কামনার জ্বলন্ত শিকার।”
জায়ন এর প্রতিটি শব্দ যেন তিয়াশাকে উন্মাদ করে
দিচ্ছে এদিকে জায়ন আবার তিয়াশাকে ঘুরিয়ে তার
উন্মুক্ত উরুর উপরে হাতের ঝড় চালিয়ে তিয়াশার গলায় মুখ ডুবিয়ে বলল ,

__”আই ওয়ান্ট টু গিভ ইউ প্লেজার জাষ্ট বেগ ফর ইট ।”
তিয়াশার পক্ষে অসম্ভব হয়ে জায়ন এর এই নেশালো
অত্যাচার, যেই অত্যাচারে তিয়াশা আর নিজের মধ্যে নেই , এই ঠাণ্ডা পানিতেও দেখা যাচ্ছে তিয়াশার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে । চোখে মুখে নোনা পানির বিন্দু , ঠোঁটে উন্মাদনার নেশা তাই অনেক কষ্টে একটু জোরেই বলে উঠলো,
__”প্ল প্লীজ ব বর…..”
এই বলেই সঙ্গে সঙ্গে দুই হাত দিয়ে জায়ন এর মুখ কাছে টেনে এনে ঠোঁ*টে ঠোঁ*ট বসিয়ে পাগলের মত করতে লাগল কিন্তু তিয়াশার এই পদক্ষেপ আগুনে ঘী ঢালার মত হুট করেই তিয়াশা আবার ঠোঁ*ট ছেড়ে জায়ন এর কানে গলায় স্লাইড করতে লাগল জায়ন
সব ধৈর্য শেষ , সে চেয়েছিল তার বউ কে পাগল করতে আজ কিন্তু এখন সে নিজেই উন্মাদ পাগল ।
তিয়াশার গায়ের ঘ্রাণ এ সে যেন পাতালে ডুবে যাচ্ছে তাই জায়ন না পেরে চোখ মুখ কুচকে হাস্কী কন্ঠে
বলে উঠলো,

__” কল মি ড্যাডি বেইব ফার্স্ট প্লীজ ।”
তিয়াশা আধো ঘোরে হাত বুলিয়ে জায়নের দেহ জড়িয়ে ধরে, গলায় ঠোঁট ছুঁইয়ে কেঁপে কেঁপে বল
__” হেয় ড্যাডি।”
জায়নের চোখ জ্বলে উঠল,আর এক মুহুর্ত দেরি না করে জায়ন তিয়াশার শরীরের বাকি কাপর ছুড়ে ফেলে দিয়ে ঘোর লাগা দৃষ্টি ,যে দৃষ্টিতে ছিল এক অন্ধকার নেশা, ঠোঁটে এক নেশাল উক্তি,
__” ইটস ফাঁ**ক মাই মাইন্ড ওহ গড ইউ আর জাষ্ট আনবিলিভাবল বেইব, ইউ আর হেভেনলী বিউটিফুল মাই কিটি , আই লাভ ইউ সো মাচ দ্যাটস হোয়াই টুডে আই উইল গিভ ইউ মোর পেইন দ্যান বিফোর ।”
এত শিহরন এর মধ্যেও জায়ন এর কথায় তিয়াশা
কেঁপে উঠল, ঠোট ফাঁক করে কিছু বলতে যাবে কিন্তু
এর মধ্যেই জায়ন সামনে করে তিয়াশাকে কোলে তুলে নিল , আর কোলে তুলে নিতেই তিয়াশার এক তীব্র
চিৎ*কার বাতাসের সঙ্গে মিশে গেল , তিয়াশার দুই পা জড়িয়ে গেল জায়নের কোমরে, তীব্র ব্যথা আর নে*শায় কাঁপতে কাঁপতে সে খামচে ধরল জায়নের পিঠ। চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পরছিলো অশ্রু, অথচ সেই কান্না জায়ন চেপে দিল নিজের ঠোঁটে তার চিৎকারকে গিলে ফেলল উন্মাদ চু*ম্বনে।

জায়ন তাকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল, যেন পৃথিবীর সবকিছু ভেঙে গেলেও এই এক শরীর, এই এক আত্মা ছাড়া আর কিছু তার চাই না। তিয়াশার মাথা পিছনে হেলে গেল, উন্মুক্ত গলা নজর পড়তেই, জায়ন মুখ ডুবিয়ে দিল তার সেই কাঁপা গলায়, আর ঘোর লাগা কন্ঠে ফিস ফিস করে বলল,
__” ওহ ফাঁ* বেইব, ইউ ফিল টু গুড ।”
তিয়াশার কান্না, জায়নের গোঙানি দুটো সুর মিশে গিয়ে তৈরি করল এক অদ্ভুত সিম্ফনি। চারপাশের বাতাস যেনও তৃষ্ণায় ভারী হয়ে উঠল। নিঃশ্বাসে, ব্যথায়, ভালোবাসার অন্ধকার নেশায় ডুবে গেল তারা দুজন যেন সারাটি দুনিয়া থেমে আছে কেবল তাদের এই মিলনের উন্মাদনায়।
প্রায় ঘন্টা দেড়েক পরও সেই ব্যালকনির সানবাথ চেয়ারে তারা দুজন যেন ডুবে ছিল এক অচেনা জগতে।তিয়াশার বুক ওঠানামা করছে, নিঃশ্বাস আটকে আসছে, চোখের কোণ শুকনো অশ্রুজলে ভারী হয়ে আছে। তার পক্ষে আর সম্ভব না কিন্তু এই পাষাণ লোক টা বুঝবে না , তবুও সে কাঁপা কণ্ঠে জায়নের চুল আঁকড়ে ধরে ফিসফিস করে উঠল

__” ছাড়ো এবার , আর পা*রছি না ।”
কিন্তু জায়ন এর কানে কিছুই যাচ্ছে না মনে হয় ,
শরীর বেয়ে ঘাম ঝরছে , শুধু ভারি নিশ্বাস আর সঙ্গে গো*ঙা*নি মিষে আসছে বাতাসে , তবুও ঘন নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে জায়ন এর এক হাতের আঙুলের মধ্যে তিয়াশার দুই হাতের কব্জি ধরে কাপা কন্ঠে বলে উঠলো,
__” আমি সবে শু*রু করেছি , ডোন্ট ডিস্টার্ব মি বেইব।”
তিয়াশার চোখ বড় বড় হয়ে গেল অবিশ্বাসে।তার ভেতরের মনটা চমকে উঠল, ‘কি বলল সে? এতক্ষণ ধরে পাগলের মতো তাণ্ডব চালিয়ে আমাকে নিঃশেষ করে দিয়েও বলছে সবে শুরু?’
এই ভাবতেই তিয়াশা ভয়ে কেঁপে উঠল, নড়তে পারছে না জায়ন এর এই পাহাড় সমান শ*রী*রের নিচ থেকে ,
তিয়াশা অনুভব করছে, জায়নের প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন তার দেহমনের সবটুকু শিরায় শিরায় ঢুকে যাচ্ছে।তবুও একটু নরা চড়া করে সরতে চাইল , শরীরে সেইটুকু জোর ও অবশিষ্ট রাখেনি এই লোক টা ,
জায়ন তিয়াশার কাঁপা শরীর নিজের নিচে নড়েচড়ে উঠতে দেখে চোখ আধবুজে ঠোঁ*টে শি*কা*রীর মতো বাকা হাসি টেনে আনল। নিঃশ্বাস গরম, কণ্ঠ ভিজে ওঠা অন্ধকারে ডুবে আছে, তার ঠোঁট তিয়াশার কানের পাশে গিয়ে থেমে ফিসফিসিয়ে উঠল–

__” ইটস ডিস্টার্বিং ডোন্ট মুভ, বেইব , ইটজ মে*কিং মি লুজ মাই কন্ট্রোল , অ্যান্ড আই লাভ দ্যাট ।”
এই শোনা মাত্রই জায়ন মনে মনে ছুঁড়ে দিল অজস্র গালি ,
‘কন্ট্রোললেস অসভ্য লোক আমি যতটা ভয় পাচ্ছি, সে ঠিক ততটাই আনন্দ পাচ্ছে?’
জায়ন এর কথায় তিয়াশা একটু বিরক্তি হয়ে রেগে গেল,
__” বে শি বেশি করছো বলে দিলাম, আমার কষ্ট হচ্ছে। সরো আগে ।”
এই কথা শুনতেই জায়ন তিয়াশার উপর থেকে উঠে
গেল , এদিকে তিয়াশাও এক দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়ল , মনে মনে একটু শান্তনা দিল অবশেষে লোকটা তাকে মুক্তি দিল , তার ঝাঝিতে কাজ দিয়েছে ।কিন্তু সেই ভাবনায় এক সমুদ্র পানি ঢেলে দিল ।
জায়ন হঠাৎই তিয়াশাকে আবার ব্রাইডাল স্টাইলে কোলে তুলে নিল।তিয়াশার ক্লান্ত চোখে ভেসে উঠল এক মুহূর্তের আশ্বাস হয়তো তারা নিচে এবার ঘুমোতে যাচ্ছে কিন্তু না তারা রুমে তো গেলকিন্তু সেই ভরসা ভেঙে গেল রুমে ঢোকার সাথেই।

জায়নের ঠোঁটে সেই বাঁকা, শয়তানি হাসি, চোখে এক অদ্ভুত নেশা।তিয়াশাকে নিয়ে সে সরাসরি বিছানার হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে শুইয়ে দিল।তারপর টেবিলের নিচ থেকে লুকিয়ে রাখা একটা প্যাকেট বের করল।
প্যাকেটটা খুলে জায়ন একে একে ভেতরের সব জিনিস বিছানায় সাজিয়ে রাখছে।তিয়াশার চোখ বড় বড় হয়ে যাচ্ছে, নিঃশ্বাস আটকে আসছে, শ*রীর ব্যথায় অবশ, তবুও কৌতূহল আর আতঙ্কে সে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
তিয়াশা বুঝতে পারছে না এগুলো দিয়ে কি করবে এখন , হঠাৎ জায়ন একটা জিনিস হাতে তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে এলো।তিয়াশার বুকের ভেতর বজ্রপাতের মতো কেঁপে উঠল সব অনুভূতি।
সে সারা শরীর জড়সড় করে বিছানার কোনায় সরে বসে গেল, ব্যথায় কুঁকড়ে উঠতে উঠতে।
চোখ ভিজে উঠছে আতঙ্কে, ঠোঁ*ট কাঁপছে অজানা শঙ্কায়।বড় বড় চোখ মেলে জায়নের দিকে তাকিয়ে থরথর কণ্ঠে বলল

__” ও ও গুলো কি , আমি কি চোর যে ওটা নিয়ে আমার কাছে আসছো ?”
জায়ন ঠোঁটে এক মাদকী হাসি টেনে নিয়ে, কণ্ঠে গাঢ় উষ্ণতা ঢেলে ফিসফিস করল,
__” আমার অবুঝ বাচ্চা বউ, কাছে আয় শিখিয়ে
দিচ্ছি ,সব রেডি আছে তোকে নিজে হাতে বড় করে নিবো , আই জাস্ট নিড ইওর সোল বেবী গার্ল , কাম।”
তিয়াশা জায়ন এর কথায় আগা মাথা না বুঝে , কাঁপা
কন্ঠে বলে উঠলো,
__” মা মানে ।”

জায়নের মুখ থেকে সেই চেনা হাসি মিলিয়ে গিয়ে এলো এক নেশালো গম্ভীরতা। তিয়াশার দিকে তার দৃষ্টি যেন অদৃশ্য শিকল হয়ে ছুটে গেল। এক টানে তিয়াশার উ*ন্মু”ক্ত শরীর বুকে টেনে নিল সে। হঠাৎ ঘরটা নিস্তব্ধশুধু শোনা যাচ্ছে দুজনার ভারি নিঃশ্বাসের শব্দ , তার হাতে থাকা হ্যা*ন্ড*কাফ দিয়ে তিয়াশার হাত দুটো বেঁধে দিল, তিয়াশার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে যাচ্ছে ভয়ে , তিয়াশার শরীর থর থর করে কাপছে …..
__” কি কি কর….”
পুরো বাক্য শেষ করতে পারল না তার আগেই জায়ন
মুখে ক্র্যাফট টেপ লাগিয়ে দিয়ে মুখ বন্ধ আছে , তিয়াশার ভয়ে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরছে শুধু আসছে তিয়াশার গোঙানির আওয়াজ ছটপট করছে ,
দয়া মায়া হীন লোকের তা চোঁখে পড়ছে না । এর মধ্যেই জায়ন একটা রিবন নিয়ে চোখে বেঁধে দিল, জায়নের কণ্ঠে নামল এক চাপা ঝড়

__” বলেছিলাম ডোন্ট ডিস্টার্ব মি কিন্তু শুনলি না ,
অবশ্য তোর এগুলো পাওনা ছিল তোর কাছ থেকেই শেখা, কি সুন্দর করে ঝাল খাওয়ালি এবার অন্য কিছু খাবো । ভেবেছিলাম আজকে কিছু করব না, কিন্তু তুই তো আমার কথা শুনবি না, নে এবার আমাকে ডিস্টার্ব করে দেখা । ”
এই বলেই জায়ন চরে গেল তিয়াশার উপর ।চার দেওয়াল জুড়ে শুধুই বেজে উঠছে জায়ন এর ঘন নিঃশ্বাস আর নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছে কা**মনার গভির সমুদ্রে। আর তিয়াশার কাঁপা হৃদয়ের শব্দ যেন দুজনার মাঝে জমে থাকা অদৃশ্য ঝড় ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে পুরো ঘরটাকে।

ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই আকাশ ধীরে ধীরে সোনালি আভায় ভরে উঠল। নীলের গায়ে মিশে গেল হালকা গোলাপি রঙের রেখা, যেন আঁকা হয়েছে তুলির টানে। রাতভর জমে থাকা শিশিরে ভেজা পাতার গায়ে সূর্যের আলো ঝিলমিল করে উঠছে, ঘাসের ডগায় জ্বলজ্বল করছে কাঁচের ফোঁটার মতো বিন্দু।
হাওয়া খুব নরম, শীতল যেন এক অদৃশ্য হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে চারপাশ। দূরে গাছপালার ফাঁক দিয়ে আলো এসে পড়ছে লেকের পানিতে, আর সেই পানির গায়ে ভেসে যাচ্ছে সোনালি ঝিকিমিকি। আকাশে তখনো দু একটা সাদা মেঘ ভাসছে, সকালের আলোয় তাদের রঙ যেন রুপালি।
সকাল সকাল বাজারের ব্যাগ হাতে ঘরে ঢুকেই প্রণয় সাহেব জানলেন , মেয়ের জন্য কত আদর করে বাজার করছে কিন্তু মেয়ে আর জামাই বাসাতেই নেই ।
কিন্তু প্রান্তিক সাহেব রাগ সামলাতে পারলেন না। প্রতিদিন একই কাণ্ড, কী করতে ছেলে বৌমা এ বাসা ছেড়ে ও বাসায় ছুটে যায় বুঝে ওঠেনা , মুখ গম্ভীর করে কড়া গলায় বললেন,

__”এসব এবাসায় চলবে না তোমার ঘাড় ত্যাড়া ছেলে কে বলে দিও, একদিন এ বাসা, একদিন ও বাসা ,যদি ঠিকঠাক থাকতে পারে তবে থাক, নইলে নিজের ওই বাসায় চলে যাক। তবে মেজো আম্মুকে এখানেই রেখে যায় যেন ।”
কথাগুলো এত গম্ভীর যে ড্রয়িং রুমে মুহূর্তেই নীরবতা নেমে এল। কিন্তু মেহজাবীন বেগম হালকা হাসি চাপতে পারলেন না। রসিক ভঙ্গিতে হেসে বললেন,
__”আপনার ছেলে আপনি বলবেন, আমি কেন বলব? তা ছাড়া ওই শেষের কথাটা যেন ভুলেও বলবেন না। আপনি বাবা হন বলেই যে আপনাকে ছেড়ে দেবে তা ভাববেন না বুড়ো বয়সে আপনাকেও ডিভোর্স করিয়ে ছাড়বে।”
তার কথায় একসাথে হাসিতে ফেটে পড়ল সবাই,শুধু প্রান্তিক সাহেবের মুখ শুকিয়ে গেল। ভেতরে ভেতরে জানেন, মেহজাবীন বেগম অযথা কিছু বলেননি ঠিক
ই বলেছে যা প্যারা দেওয়া ছেলে তার। ।
প্রণয় সাহেব হেসে হেসেই আরেকটু পরিস্থিতি নরম করার চেষ্টা করলেন,

__”আরে ভাইয়া, ওদের এখন ওদের মতো চলতে দাও। জানো তো, আমাদের জায়ন কেমন? শুধু শুধু অশান্তি বাড়বে।”
ঠিক তখনই ইউভি সিঁড়ি বেয়ে নামছিল। তাকে দেখেই সেই মুহূর্তে তাহসান সাহেব কটাক্ষ করে বললেন,
__”বড় ভাই ঠিক বলেছে মেজো ভাই। আজকাল ছেলে মেয়েগুলো যা হয়েছে। কোনো কথা শুনবে না, বড়দের সম্মান করবে না, উচ্ছন্নে গেছে।”
কথাগুলো শোনা মাত্রই ইউভি বুঝল নিশানা তার দিকেই। ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হালকা হাসি, মনে মনে বিড়বিড় করল,
__”এরকম শ্বশুর থাকলে মানসম্মানের ঘর মোছা ন্যাতাঁ হয়ে যাবে , ঘর একেবারে ভাঙাচোরা হয়ে যাবে।”
পরিস্থিতি কিছুটা অস্বস্তিকর হয়ে উঠতেই রুহেনা বেগম মৃদু কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,

__”এত রাগ কার উপর ছোট ভাই? মনে হচ্ছে ভীষণ ক্ষেপে আছো?”
তাহসান সাহেবের তার মেজ ভাবির কথা শুনে হঠাৎ করেই মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। যেন ভেতরে জমে থাকা রাগ এক মুহূর্তে কারও হাতে ধরা পড়ে গেল। ইউভি ঠোঁটে মুচকি হাসি নিয়ে তাহসান সাহেব এর কাছে গিয়ে বসে পড়ল, খুনসুটির ভঙ্গিতে বলল,
__”হ্যা হ্যা, চাচু,আম্মু ঠিকই বলেছে। বলো , কার উপর এত ক্ষিপ্ত তুমি?”
ড্রয়িং রুমে সবাই তাকিয়ে আছে, আর তাহসান সাহেব মনে মনে দাঁত কিড়মিড় করছেন।
__”হতচ্ছাড়া বদজাত ছেলে,কেমন করে আমাকে সবার সামনে ফাঁসিয়ে দিল দেখো।”
এর মধ্যেই তাহসান সাহেব এর কানে ভেসে এল প্রণয় সাহেব এর স্বর ,
__”হ্যাঁরে ছোট, সত্যিই কারো উপর রাগ করেছিস নাকি? মুখ দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।”
এদিকে ইউভি মিট মিট হেসেই যাচ্ছে ।
তাহসান সাহেব এবার কি বলবে পড়েছে মহা ফ্যাসাদে ,মনে মনে তো ঝড় বইয়ে দিচ্ছে ইউভির জন্য। সব শেষে না পেরে তাহসান সাহেব কণ্ঠ ভার করে জোর করে হেসে বললেন,

—“আরে না না ভাইয়া, সেরকম কিছু নয়।”
এর মাঝেই সিঁড়ি দিয়ে হড়বড় করে নেমে এলো রায়ান, ছেলেকে দেখা মাত্রই তাহসান সাহেব ভ্রু কুঁচকে খোঁচা মারলেন,
—“এই যে নবাব পূত্তুর সামনে পরীক্ষা, তবু এত বেলা করে ঘুম থেকে উঠছো? সকাল সকাল উঠে ফজরের নামাজ পড়ে আল্লাহকে দোয়া করো, তাহলেই এই যাত্রায় উত্তীর্ণ হবে।”
কথাগুলো কানে যেতেই রায়ানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বিরক্তি সামলাতে না পেরে সোজা গলায় বলে উঠল,

—“আব্বু, আমার পরীক্ষা, আমার নামাজ আমি বুঝে নেব। তোমার মাথায় চাপ নিতে হবে না । সবার ব্যাপারে খোঁচাখুঁচি না করে যদি ছেলের খোঁজ রাখতে, তবে জানতেন ছেলে কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।”
কথাগুলো শুনে যেন ঘরে বজ্রপাত হলো। পরিবেশ একদম গরম হয়ে উঠল। সুরাইয়া বেগমের মুখ শুকিয়ে গেল, এই ছেলে বাবার মাঝখানে পড়ে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করে । আর তাহসান সাহেব রাগে ফেটে পড়লেন,
__”এই হতচ্ছাড়া আব্বুর সাথে এমন করে কথা বলিস ? আমি সবার ব্যাপারে কুটকাচালি করি? বেয়াদপ।”
চারপাশে যেন বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। সবাই চুপচাপ তাকিয়ে আছে। কেবল ইউভি মজা পাচ্ছে, ঠোঁটের কোণে হাসি খেলা করছে।
রায়ান আবার কিছু বলতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই প্রান্তিক সাহেব কণ্ঠ ভার করে বললেন,

__”রায়ান বাবা, এভাবে বলতে নেই, নিজের আব্বুর সঙ্গে এমন করে কথা বলা উচিত নয়।”
মেহজাবীন বেগম তাড়াতাড়ি ছুটে এসে রায়ানকে শান্ত করার ভঙ্গিতে বললেন,
__”বাবা, তুই কোথায় যাচ্ছিলি না? সেখানে যা। অকারণ ঝগড়া বাড়া ভালো নয়।”
কিন্তু রায়ান দাঁড়িয়ে রইল ,দীর্ঘশ্বাস ফেলে বড় আব্বুর দিকে তাকিয়ে কোমল কণ্ঠে বলল,
__”বড় আব্বু, বাবা-মায়ের যদি সন্তানদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার অভ্যাস না থাকে, তবে সন্তানের কাছ থেকেও তারা সম্মানজনক কথা আশা করতে পারে না।”
কথাগুলো যেন ঘরে থাকা তিন কর্তার বুক চিরে তীরের মতো বিঁধল। রায়ান এরপর বড় আম্মুর দিকে তাকিয়ে নরম কণ্ঠে বলল,

—“সরি বড় আম্মু, এবাসার সবাই আপনার মতো নয়।”
এ কথাই বলে সে সোজা বেরিয়ে গেল।
ড্রয়িং রুমে মুহূর্তেই এক নিস্তব্ধতা। হাসি ঠাট্টায় ভরা সেই পরিবেশ এক নিমেষেই ভারী হয়ে উঠল। প্রণয় সাহেব, প্রান্তিক সাহেব, আর তাহসান সাহেব তিনজনেই বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলেন। রায়ানের এই শেষ কথাগুলো যেন তাদের মনের গভীরে এক অস্বস্তিকর আঘাত দিয়ে গেল।
এর মধ্যেই ইউভির ফোন বেজে উঠলো, পকেট থেকে ফোন বের করে দেখলো, এক আননোন নাম্বার থেকে কল এসেছে। ড্রয়িং রুমের পরিবেশে বুঝে বসা থেকে
উঠে বাইরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে ফোন রিসিভ
করতেই ,ওদিক থেকে মেয়ে আলী কন্ঠে বলে উঠলো

__” হ্যালো ইউপি ভাইয়া আমি আরোহী বলছি।”
ইউভি একটু অবাক ই হলো আরোহীর ফোন আসায় ।
তবুও নিজের বোনের মত দেখে তাকে , নিজের ভাইয়ের হবু বউ তাই আর বেশি কিছু না ভেবে বলে উঠল,
__” হ্যা বনু বলো ।”
__” আসলে ভাইয়া আমি তিয়াশা কে ফোন করেছিলাম
কিন্তু ধরছে না ওকে উইশ করার ও ছিল আরেকটা কথাও জিজ্ঞেস করা ছিল ।”
ইউভি একটু মৃদু হেসে জবাব দিল,
__” আসলে বোনু তো বাসায় নেই ও ওদের ওই বাসায় রয়েছে। বলো যদি কোন দরকার থাকে আমি বলে দেবো ও বাসায় আসলে ?

__”ভাইয়া আমি অনু কেও ফোন করেছিলাম
আমার দরকারের জন্য , আসলে আপনার ভাই কোথায় আছে একটু বলতে পারবেন ? অনু বলল
সে সঠিক জানেনা , আপনি কি একটু বলতে পারবেন?”
ইউভি মুচকি হাসি দিয়ে কোমরে হাত রেখে বলল,
__” বনু ওর মর্নিং ক্লাস ছিল তাই সকালেই হাসপাতাল
চলে গেছে । তুমি তো ওকেই ফোন করে নিতে পারতে।
ওদিক থেকে একটু থেমে আরোহী বলে উঠলো

__” ভাইয়া আমি একটু ওনাকে সারপ্রাইজ দিতে চাই ,
তার জন্যই আপনাকে কল দিলাম , আপনিও প্লীজ বলবেন না। ”
__” না না বনু কোন সমস্যা নেই , কখনো কোন দরকার
পড়লে এই ভাই কে মনে করতে পার । তুমিও তো আমার আরেকটা বোন ।”
ইউভির এই কথা শুনে ওদিক থেকে হাসি মুখে জবাব
এল,
__” নিশ্চয়ই ভাইয়া থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।”
এই বলেই ও আরোহী ফোন কেটে দিল, হয়তো লজ্জা পাচ্ছিল। এদিকে ইউভিও একটু মুচকি হাসি দিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল ।

আরোহী আজ বাসা থেকে আকাশের জন্য খুব যত্ন
করে নিজ হাতে সকালের নাস্তা বানিয়েছে । দুই দিন ধরে তাদের মাঝে কথা নেই , সে ও আপসোস করছে এখন যে শাস্তি টা অতিরিক্ত হয়ে গেছিল, তিয়াশা ও সব কিছু তাকে বলেছে ,তাই বাসার গাড়ি ছেড়ে সিএনজি চেপেই নিজেই আকাশের হাসপাতালের
উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে আকাশ কে সরি বলতে।
এদিকে আকাশ হসপিটাল ইউনিফর্ম গায়ে চড়িয়ে জেনারেল ওয়ার্ড এর সামনে বসে আছে । মনে বিয়ে ঠিক হওয়ার আনন্দ থাকলেও তার জলপরীর সঙ্গে দুই দিন কথা হয় নাতাই মন টা ছট পট করছে । ভয়ে আরোহী কে কল ও দিতে পারছেনা যদি আবার তার সঙ্গে কিছু করে । এর মধ্যেই তার হসপিটাল এর দুই বান্ধবী আর এক বন্ধু সামনে এসে দাড়াল , তার মধ্যে
বন্ধু টা বলল,

__” চল আকাশ এই সামনের ওই ক্যাফে থেকে কফি খেয়ে আসি তাহলে লেজি ফিল কেটে যাবে হসপিটালের এই ক্যান্টিনের কফি খেয়ে আমার আরো
ঘুম পায় ।”
এর মধ্যেই আরেক জন মেয়ে বান্ধবী বলে উঠলো,
__” হ্যা চল চল এখনো নেক্সট ক্লাসে টাইম আছে ।”
আকাশ এর ও মনে হল এক কাপ কফি খেলে হয়তো
একটু মাথা টা ঠিক হবে , তাই ক্যাফে তে যাওয়ার
জন্য সে ও উঠে দাড়িয়ে বলল,
__” আচ্ছা চল যাওয়া যাক।”

তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৬০

চার জন মিলে হাসি ঠাট্টা করতে করতে হসপিটালের
বাইরে যেতে লাগল ঠিক তখন ই দুই বান্ধবীর মধ্যে
একজন গল্পে মত্ত হয়েছিল সামনে একটা ছোট্ট পাথর খেয়াল করেনি পায়ে হোঁচট খেয়ে পড়তে যাবে , কিন্তু আকাশ তাকে ধরে বসে , মেয়ে টা টাল সামলানোর জন্য আকাশ কে ধরে ঠিক সেই মুহূর্তে
আকাশের গায়ে এক টিফিন বক্স এসে লাগে ব্যথায় সে তার বান্ধবীর হাত ছেড়ে উ আ করতে করতে টিফিন বক্স যে দিক দিয়ে এসেছে সেদিকে লক্ষ্য করতেই দেখতে পেল একজোড়া জ্বলন্ত অগ্নী দৃষ্টি তার দিকেই রয়েছে,
যা দেখা মাত্র আঁকাশের চোঁখ বড় বড় হয়ে মাথা ঘুরে
পরে যায় মাটিতে,
ঠাস স স…..

তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৬১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here