তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৭

তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৭
নীল মণি

সন্ধ্যার ব্যস্ত শহরে জলে ওঠে নানান রঙের বাতি আবার কোথাও কোন এক নিরিবিলি পরিবেশে শোনা ঝিঁঝিঁরের ডাক , দেখা যায় সোডিয়াম হালকা আলো….
সেরকম ই এক পরিবেশের রাস্তার চায়ের টং এর সামনে ৩ বন্ধু উপস্থিত,
জায়ন এর সব কথা শুনে সাগর মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে বলল
” দোস্ত কি কস তুই , তোর মাথা ঠিক আছে , না ঠিক নাই নাই নইলে কেউ নিজের হবু শালীর প্রেমে পড়ে , তাও আবার তোর হাঁটুর বয়সে , হে আল্লাহ আমার দোস্ত রে তুমি বাচাইও ”
জায়ন প্রেম শব্দ শুনে চমকে উঠল ।
আহান ও একটু মুচকি হেসে বলে উঠল —

” আমার বন্ধু পড়েছে এক পিচ্চির প্রেমে, এও শোনা বাকি ছিল ”
জায়ন রেগে বলে ওঠে ….
” কি বলছিস তোরা প্রেম , কিসের প্রেম আমি বৃষ্টি রে পছন্দ করি বুঝলি তোরা , ওর মত শান্ত মেয়ে হয় না, আর তোরা জানিস আমি অশান্ত পছন্দ করি না, আমার বাধ্য হয়ে থাকাটাই পছন্দ করি, আমি তোদের আমার এক ফিলিংস এর কথা শেয়ার করলাম।”
এই বলে রেগে দাড়িয়ে এদিক ওদিক ঘুরে হাঁসফাঁস করতে লাগল ।
আহান সাগর বন্ধুর এই দশা দেখে হাসবে না বন্ধুর কোথায় তাল মেলাবে বুঝে পারছে না —
কিন্তু সাগর চুপ রইল না , জায়ন কে জিগ্গেস করল —

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” আচ্ছা দোস্ত তুই যখন বৃষ্টির দিকে তাকাস, তখন তোর মনে হয় যে বুকের মাঝে কিছু উথাল পাতাল হইতাসে?”
” না ”
” আচ্ছা যখন তোর পিচ্চি রে দেখস, তখন কিরম লাগে?”
” মনে হয় একে নজরে এই দিল সব শেষ করে ”
” এবার ক তুই যেদিন প্রথম দেশে আসিস সেদিন বৃষ্টি কি রঙের ড্রেস পরা ছিল ”
” অত মনে আছে নাকি!!”
” আচ্ছা তোর তাইলে পিচ্চির ড্রেস এর কথা ও মনে নাই?”
” কেন ও তো নিল রাঙ্গা এক চুড়িদার পরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসছিল লম্বা খোলা চুল গুল সিঁড়ি তে ছুঁয়ে ছিল যাকে দেখে আমার জুস এর গ্লাস হাত থেকে পড়ে গেছিল। ” একটু মুচকি হাসি ও দেয়
আহান আর সাগর একে ওপর এর দিকে তাকাচ্ছে , আর জায়ন কি যেন আবার ভাবতে শুরু করল
সাগর আবার প্রস্ন করল —

” আচ্ছা দোস্ত এখন যদি বৃষ্টি রে কোন ছেলে পছন্দ করছে, কি করবি?”
” পছন্দ করতেই পারে আমিও তো কত কিছু পছন্দ করি, পছন্দ টা ব্যাক্তি গত বুঝলি”
” যদি পিচ্চির দিকে কোন ছেলে তাকয় তাইলে?”
জায়ন এর চোখ লাল রঙ্গা হয়ে উঠল চোয়াল শক্ত করে বসা থেকে উঠে সাগর এর কলার ধরে বলে উঠল —
” চোঁখ তুলে নেব, জানে মেরে দেব”
আহান তাড়াতাড়ি করে জায়ন কে ছড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে।।
সাগর বলে ওঠে কাঁদ কাদ ভঙ্গিমা সুরে
” ছাড় বাপ আমার বুজ্জি, এবার তুই বোঝ অবুঝ বেডা , তুই তো প্রেমে ও পরিস নাই বাপ তুই ত প্রনয়লীলার ঘোর এর সাগরে ডুবা ডুবি করতাসোস ।”
আহান ও বলে উঠল —

” সাবধান জায়ন নিজেরে সামলাস সব ধ্বংস হয়ে যাবে, তোর বিয়ে আর ১০ দিন পর”
জায়ন বলে উঠল —
” ওই বিয়ের জন্যই তো বিয়ে বিয়ে শুধু এই বিয়ে আমাকে আটকে রাখছে , নইলে বয়স ও দেখতাম না তুলে নিয়ে বাসর করতাম”
সাগর হেসে বলে উঠল —
” হইসে হইসে বাপ আমার , তুই মাইয়ার দাদু লাগস আবার কস বয়স দেখতাম না বাসর করতাম হা হা হা।”””
জায়ন রেগে কটমট করে উঠল —
আহান বলল –
” আচ্ছা তিয়াশা জানে তুই ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস ?”
” না , আর জানতে দেব ও না কখন। যেভাবে চলছে সেভাবে যাক , উপেক্ষা করা ছাড়া আমার আর কোন রাস্তা নেই।”

সাগর বলে ” আচ্ছা চল ”
জায়ন বলে ” কোথায়?”
সাগর বলে ” আমাদের পিচ্চির ভা.. মানে তিয়াশার এ দেখতে তোদের বাসায়”
জায়ন রেগে সাগর দিকে চেয়ে বলল
” আমাদের পিচ্চি মানে? তোর কিসের পিচ্চি , বোন বলবি নাম ধরেও ডাকবি না । আর কোন বাসায় যেতে হবে না দেখা তো দূরে থাক।”
আহান বলে ওঠে ” দেখ সাগর ওর জেলাসী টা , আবার বলে আমি প্রেমে পড়ি নাই”
সাগর বলে – ” আচ্ছা বাবা তোর পিচ্ছি আমাদের বোন , কিন্তু আজ তো নিয়ে জেতেই হবে কোন বরণ শুনবো না,”
শেষ পর্যন্ত নাছর বান্ধা হয়ে জায়ন এর পিছু নিল।
এদিকে চৌধূরী বাড়িতে চায়ের আসর চলছে , বড়রা গল্প করছে আর বৃষ্টি, রায়ান , অনু , মারিয়া টিভি তে একটা মুভী দেখছিল … তিয়াশা তখন ও নিচে নামেনি , মা চাচী অনেক ডাকাডাকি করেছে তাও নামেনি , অনু ও গেছিল ডাকতে কিন্তু তিয়াশার জবাব আসে সে পড়ছে …..

হঠাৎ জায়ন তার দুই বন্ধু দের নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে , মেহজাবীন বেগম , আর রূহেনা বেগম ওদের দেখে বলে ” বাবা তোমরা কেমন আছ ?এই বাড়ির কথা তো ভুলেই গেছ , বন্ধু না থাকলে কি আসা যায় না? বাড়ির সবাই আর তোমার বউ র কেমন আছে?”
সাগর আর আহান ওনাদের সবাইকে সালাম দিয়ে একটু হেসে বলল —
” সব ভালো আন্টি, এখন সময় ওঠে না তাই আসা হয় না”
মেহজাবীন বেগম বললেন
” ঠিক আছে বাবা তোমরা বসো, আজকে রাতে না খেয়ে বাসায় ফেরা যাবে না”
আহান বলল –

“জী আন্টি”
সাগর আর আহান প্রান্তিক সাহেব ও বাকি সবাইকেও সালাম করল।
তারপর বৃষ্টির দিক তাকিয়ে বলল –
” ভাল আছ বোন ?”
বৃষ্টি ও উত্তর দিল –
“হ্যাঁ ভাইয়া, আপনারা আর ভাবীরা কেমন আছেন?”
সাগর আহান হ্যাঁ সূচক জবাব দিল।
তারপর এদিকে জায়ন 3 টে বড় পিৎজা আর এক বক্স চকলেট বৃষ্টির হাতে দিয়ে বলল
” তোরা মিলে খা , রোদ কোথায়?”
বৃষ্টি বলল

” ও তো সেই বিকালে একবার এসেছিল তারপর আর বেড়ায় নি, আম্মু অনেকবার ডেকেছে । অনু গেছিল বলে পড়ছে , একটু পর আসবে । ”
জায়ন বুঝতে পারল সব মেয়েটা আঘাত পেয়েছে দুপুরের ঘটনায়,, তারপর রুহেনা বেগম কে বললেন
” মেজ মা রোদ কে ডেকে আনো , পিৎজা ঠান্ডা হলে ভালো লাগবে না । ঘাড় তেড়া মেয়ে তোমার কথা ছাড়া শুনবে না ”
একটা সোফায় জায়ন , সাগর , আহান বসে ছিল ওদের ও চা দেওয়া হয়েছে আর জায়ন চা খায় না তাই তাকে কফি দেওয়া হয়েছে ।
রূহেনা বেগম এর অনেক বকা ঝকার পড়ে তিয়াশা নিচে নেমে এল পরনে ডার্ক গ্রীন রং এর ফুল হাতা ঘের আলা লং চুড়িদার , সিল্কি লম্বা হাঁটু সমান চুল গুলো একটা ছোট পাঞ্চ ক্লিপ দিয়ে বাধা , ফর্সা হলদে গায়ের রং এ এই সবুজ রং টা যেন একটু বেশি ই ফুটে উঠেছে….
যাকে দেখে আহান আর সাগর এর বুঝতে বাকি রইলো না ” এই সেই মায়াবী সুন্দরী কিশোরী রমনী যে কিনা তার বন্ধুর মনে ঝড় তুলেছে” , সেই ছোট বেলায় তিয়াশাকে দেখেছিল সে যে এত বড় হয়ে গেছে জানা ছিল না ।
মনে মনে বলল — মাশাল্লাহ।
আহান আর সাগর ও এক ভাবে তাকিয়ে আছে এই তাকানো দেখে জায়ন এর রাগে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে ।
জায়ন বলে ওঠে —

” তোরা কি চাস তোদের এখুনি বিদায় করি ”
এই শুনে সাগরের কাশি উঠে গেল , জায়ন এর কথা বুঝে আহান ও নজর ফিরিয়ে নিল ..
একটু পরে রূহেনা বেগম তিয়াশা কে বলল —
” আম্মু ভাইয়া দের সালাম কর”
তিয়াশা এগিয়ে গিয়ে ওদের সালাম করল
সাগর বলল –
” ভালো আছ ভা.. বোন ”
তিয়াশা বলল —
” জী ভাইয়া ভাল ”
আহান বলল –

” এবার তো এস এস সি দিয়েছ , জায়ন বলল। তো কেমন হল এক্সাম? ”
” জী ভাইয়া সব আলহামদুলিল্লাহ ”
এবার রাগে কিটি মিটি হয়ে জায়ন বলল তিয়াশা কে —
” যা এখন বৃষ্টিদের সঙ্গে বস, আমরা উপরে যাব”
তিয়াশা উত্তর দিল –
” জী”
জায়ন সাগর আর রায়ান কে ওর রুম এর বেলকনিতে নিয়ে গিয়ে বসল একটা সিগারেট ধরল , এর মধ্যে সাগর বলে উঠল
” বুঝছিস আহান এখন বুঝলাম আমার বন্ধুর কোন দোস নাই , আমার চোখে দেখা সব থেকে সুন্দর রমনী । যদি আমি দেখতাম আমিও…..
আর কিছু বলতে পারল না তার আগেই সাগর এর পেটে জায়ন কিল বসিয়ে দিয়ে বলল —

” সাগর এর বাচ্চা আর যদি একটা শব্দ ওকে নিয়ে করেছিস , i swear এই বেলকনি থেকে ফেলে দেব । ”
সাগর বলে উঠল — “সরি দোস্ত আর কোম না , বাবা রে হাত তো না যেন বাঘের থাবা , উফ কি ব্যথা পায়সি ”
আহান সাগরের উদ্দেশ্যে বলল —
” খুব ভাল হয়েছে আরেক টু জাগা সুয়ে
থাকা বাঘ কে “।
জায়ন বলে উঠল আহান কে- ” তুই ও চুপ থাকবি , কি ভেবেছিস আমি দেখি নাই তুইও হা করে তাকিয়ে ছিলি।
নিয়ে আসা টাই ভুল হয়েছে আমার ।”
আহান বলল –

” ভাই কি করব বল ও এত সুন্দর, তুই টেনশান নিস না আমরা হ্যাপিলী ম্যারেড, আর কয়দিন পর তুই ও হবি”
এই বলে আহান আর সাগর মুচকি একটু হাসল, জায়ন ও রাগে ওদের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে , যেন ওদের মার্ডার করবে…..
এদিকে নিচে কি যেন এক পাথর নিয়ে তিয়াশা বৃষ্টির পাশে বসে আছে , আর মনে মনে ভাবছে —
” আমি বৃষ্টি আপু কেন হলাম না?, আমি এত ছোট কেন হলাম?”
এইসব ভাবনার মাঝে বৃষ্টি বলে ওঠে —
” এই বুনু কি হয়েছে , কি ভাবছিস ? পিৎজা টা খেয়ে নে”
তিয়াশা জবাবে বলল —

” না আপু কিছু না, আর আমি খাব না । তোরা খা আমি উপরে যাচ্ছি মাথা ব্যথা করছে।”… এই বলে উপরে চলে গেল ।
এদিকে তাহসান সাহেব বলে উঠলেন প্রান্তিক সাহেব ও প্রণয় আলী সাহেব এর উদ্দ্যেশে–
” তাহলে ভাইয়া কালকে দিয়ে দাওয়াত দেওয়া শুরু করে দেই, কি বল?”
প্রান্তিক সাহেব বললেন —
” হ্যাঁ আমিও তাই ভাবছিলাম, আর তো হতে গোনা ১০ টা দিন , যতই হোক এই বাড়ির বড় ছেলের আর বড় মেয়ের বিয়ে তা ছাড়া আমার এক মাত্র ছেলের বিয়ে সবার জানতে হবেনা।”
সুরাইয়া বেগম বলে উঠলেন–

” তাহলে আমরাও কেনা কাটা শুরু করে দেই কি বল আপা?”
আয়েশা বেগম একটু হেসে বলে ওঠে —
” হ্যাঁ তৈরি হও ভাবীরা আমার ভাইয়া দের টাকা সঠিক জায়গায় ব্যবহার করার জন্য ।
এই শুনে সবাই হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠলেন….
রাত্রে সবাই একসঙ্গে খাবার টেবল এ উপস্থিত হয়েছে
সঙ্গে আজ আহান আর সাগর যোগদান করেছেন, জায়ন এর একটা ফোন আসায় সে এখন এসে পারেনি।
বাড়ির গিন্নীরা সবাইকে খাবার পরিবেশন করতে লাগলেন এর মধ্যে জায়ন ও ফোন কল এ কথা বলা শেষ করে নিচে নামল, খাবার টেবল এ একবার চোখ বুলিয়ে বলল –
” রোদ কোথায় , খাবার টেবিল এ আসেনি কেন?”
এই কথা শুনে আহান আর সাগর মুচকি হাসি দিয়ে ইশারায় চোকাচুকি করল ।
রুহেনা বেগম বললেন –

” ডেকেছিরে বাবা অনেক বার । কিন্তু ও বলল ওর নাকি কাল শেষ পরীক্ষা তাই পড়ছে , পড়ে খাবে ।
জায়ন বুঝল কেন রোদ খেতে আসেনি , তারপর কিছু একটা ভেবে বলল –
” আচ্ছা”
তারপর জায়ন খেতে বসলে এর মধ্যে প্রণয় আলী বললেন –
” জায়ন বাবা কাল তাহসান এর সঙ্গে একবার একটু অফিস আস্তে পারবি? ”
জায়ন বলল –
” ঠিক আছে চাচু ”
প্রান্তিক সাহেব বললেন —

” এখন থেকেই শশুড় আব্বু বলা প্র্যাকটিস কর জায়ন”
এই বলে হেসে উঠলেন । সঙ্গে যোগদান করল সবাই
এই শুনে জায়ন এর খাবার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল এমনিও খাবার নিয়ে নারা চারা করছিল খাচ্ছিল আর না।
সাগর জায়ন এর কানের পাশে গিয়ে বলল —
” আরে দোস্ত শশুড় আব্বু ডাকা টা শিখে নে , পিচ্চির দিক দিয়াও কিন্তু তোর কিন্তু এনারেই শশুর আব্বু কইতে হবে , হা হা ”
জায়ন রেগে মেগে উঠে গেল ।
মেহজাবীন বেগম বললেন –

” আরে বাবা খাবার টা তো শেষ করে যা।”
“না মা খিদে নেই ”
প্রান্তিক সাহেব বললেন –
” এই ছেলে মেয়ে গুলার যে কি হয় ।”
রাতে খাবার শেষে সবাইকে বিদায় দিয়ে আহান আর সাগর যে যার বাসায় চলে যায়।
রাতে জায়ন রোদের রুম এর সামনে এসে খানিকক্ষণ দাড়িয়ে নক্ করতে গিয়ে ও করল না , প্রায় ১০, ১৫ মিন করিডোর এর রেলিং এ হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিল ।

সিগারেট হাতে নিয়ে ছাদের এর দিকে পা বাড়াল, ছাদে উঠতেই সোডিয়াম এর আলো তে চোখে পড়ল এক রামনি কিশোরী দোলনায় একটা বই বুকের উপর নিয়ে সুয়ে আছে, পরনে ব্ল্যাক প্লাজো, আর লাল রঙ্গা টপ পড়া, লম্বা চুল গুলো দোলনা ও ছাদের মেঝে নিয়ে ছড়িয়ে আছে আর ছোট্ট ঘুমন্ত মুখ টা ভীষন আকর্ষণ করছে জায়ন কে ।
জায়ন সিগারেট টা পুনরায় পকেটে ঢুকিয়ে , রোদের সামনে গিয়ে হাঁটু গেঁড়ে বসে ,এক হাত দোলনায় রেখে এক হাতের আঙ্গুল দিয়ে রোদের মুখের সামনে ছড়িয়ে থাকা চুল গুল আস্তে করে কানের পাশে গুঁজে দিল,
আর ধীর কন্ঠে আওড়াল —

” কি করব বল তো তোকে নিয়ে , হয় তো পাগল হয়ে যাব নয় তো তোকে পাগল করে দেব। ”
জায়ন কিছু ভেবে রোদ কে ডাকতে লাগল
” রোদ , এই রোদ”
রোদ থতমত খেয়ে উঠে পড়ল —
” কি পড়েছিস এইসব ওড়না কোথায়?”
রোদ আমতা আমতা করে বলল
” জী এইটা তো এখন কার স্টাইল ”
” স্টাইল তোর ছোটাব, নেক্সট টাইম যেন না দেখি”
” হুমম”
জায়ন মনে মনে বির বির করল —

” পারলে সুটকেস এ প্যাক করে ঘরে রেখে দিতাম।”
এর মধ্যেই জায়ন বলে উঠলো —
” খেতে আসিস নি কেন রাতে?”
” পড়ছিলাম, খিদে ও ছিল না”
” ঘুমোতে যাওয়ার আগে যেন খাবার খেয়ে আসা হয়”
” জায়ন ভাই ”
” হুমম বল”
” কালকে আমাকে নিতে আসবেন স্কুল এ ”
” না অফিস যেতে হবে, কেন? ”
” আপনাকে কিছু বলার ছিল ”
” কি এখন বল”
” না কিছু না ”
” ঠিক আছে , তাহলে নিচে যা”
” আপনি যাবেন না?”
” পরে যাব ”
” ওকে ”

তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৬

তিয়াশা যেতে গেল , অমনি জায়ন রোদ এর হাত টা ধরে বলল —
” শোন”
” জী ভাইয়া”
” খেয়ে নিস কিন্তু , আমি গিয়ে চেক করব”
তিয়াশা মাথা নাড়িয়ে চলে গেল ।
জায়ন সিগারেট টা ধরিয়ে , ধোয়া ওড়াতে ওড়াতে এক ভাবনার দেশে পাড়ি দিল।

তোমার ছোঁয়ায় আসক্ত আমি পর্ব ৮

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here