তোমার জন্য সব পর্ব ১২

তোমার জন্য সব পর্ব ১২
রেহানা পুতুল

সেদিন রাত নয়টার দিকে মাহমুদের ফোন বেজে উঠলো উচ্চস্বরে। ফোন রিসিভ হলো। ওপাশের কথা শোনার পর মাহমুদ উদ্বিগ্ন স্বরে বলল,
“ওহ মাই গড! এড্রেস বলুন। আমি এক্ষুনি আসছি আপনাদের বাসায়।”
মাহমুদ দ্রুতবেগে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বাসার কাউকে কিছু বলার সময়টুকুও নেই তারহাতে।
মাহমুদ গিয়ে পৌঁছালো এড্রেস অনুযায়ী। যদিও খেয়াদের এই বাড়ি সে আগেও একবার দেখেছে। তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবার জেনে নিলো। তিনতলা বাসায় প্রবেশ করেই মাহমুদ দেখলো সোফায় বসে আছে একজন বয়স্ক পুরুষ। সে সালাম দিলো।

“ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমি খেয়ার বাবা। তোমাকে আমিই ফোন দিয়েছি। বসো বাবা।”
মাহমুদ বসতে বসতে দ্বিধাগ্রস্ত চোখে তাকালো খেয়ার বাবার দিকে। মাহমুদ মার্জিত গলায় বলল,
“আংকেল আপনাকে আমার একটু চেনা চেনা মনে হচ্ছে। আপনার নাম যেন কি বলছিলেন সেদিন, ঠিক মনে করতে পারছি না।”
” আমি জাফর চৌধুরী। কিভাবে চেনা মনে হচ্ছে?”
” আপনার সঙ্গে একদিন দেখা হয়েছে পথচলায় আঙ্কেল। এটা বেশ কয়েকবছর আগের কথা।”
” একটু ধরিয়ে দাওতো। স্মৃতি ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে। তাই সময় লাগছে। মনে করতে পারছি না।”
দ্বিধাজড়িত স্বরে বলল জাফর চৌধুরী।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মাহমুদের সব মনে আছে দিনের আলোর মতই স্পষ্টভাবে। সে প্রীত চোখে চেয়ে চমকানো সুরে বলল,
“প্রায় দশ বছর পূর্বের কথা আংকেল। আমি মাত্র ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিলাম। আমাকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন আপনি। প্লেস ধানমন্ডি আট। সময় বিকেলেবেলা। অকারণেই পুলিশ ভুল করে ভুল বুঝে সেদিন বিকেলে আমাকে ধরে ফেলল। এবং হট্রগোল বাঁধিয়ে ফেলল। আপনি সেই পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পুলিশের জটলা দেখে আপনি দাঁড়ালেন। আমিই অসহায় কন্ঠে আপনার কাছে হেল্প চাইলাম।
মাহমুদের বলার মাঝপথেই খেয়ার বাবা তাকে থামিয়ে দিলেন। বললেন,

“ধানমন্ডির থানার ডি আই জি ছিলো আমার ঘনিষ্ঠজন। তাকে ফোন দিলাম। সে তোমাকে ধরা পুলিশকে ফোন দিলো। তারা তোমাকে ছেড়ে দিলো। তুমি অনেক আকুতি করে বললে আমি যেনো কাউকে বিষয়টা শেয়ার না করি। নয়তো কোনভাবে তোমার পরিবার জেনে যাবে। তাতে তোমার আদর্শবান শিক্ষক পিতার মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। ”
“ইয়েস আংকেল। ইয়েস! একদম রাইট। আপনার জন্যই পরে আর বেশি হেনস্তা করেনি পুলিশ আমাকে। আমি কি ঘাবড়ে নাই গিয়েছিলাম সেদিন।”
জাফর চৌধুরীর সারামুখে উৎফুল্লতার ছাপ ফুটে উঠলো। বললেন,

“স্বাভাবিক। তখন তোমার বয়সতো অল্প ছিলো। তোমাকেতো এখন আমি চিনতেই পারিনি বৎস! চেহারায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। সেদিনের সেই টগবগে তরুণ ছেলেটা আজকের তুমি। বেশ সুদর্শন হয়েছো ইয়াংম্যান। আমার মেয়েটা এমনি এমনি ক্রেজি হয়নি। এখন বুঝলাম। আমি ওপেন মাইন্ডের লোক।সো ডোন্ট মাইন্ড। ”
” না না আংকেল। ঠিক আছে। আমিও আপনাকে দেখেই চিনতে পারিনি।সেদিন আপনার গোঁফ দাঁড়ি ছিল না।”
“হুম।রেখে দিলাম। মুসলমান আমরা। মৃত্যুর ভয়তো আছেই।”
যেদিন মাহমুদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে খেয়ার বাবার দেখা হয়েছিলো। সেদিন তার ক্লিন সেভ ছিলো। চোখে চশমা ছিল না। এখন মাহমুদ পাওয়ারজনিত সমস্যার কারণে চব্বিশ ঘন্টাই চশমা পরে থাকে। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাঁটিগোঁফ।
মাহমুদ ও জাফরের কথোপকথনের ইতি ঘটে তনিমার আগমনে।

“বাবা খেয়া নড়ে উঠলো।”
উদ্বেগজনিত স্বরে বলল তনিমা।
“বাবা আগে একটু খেয়ার রুমে যাও। পরে ডিটেইলস জানাচ্ছি তোমাকে।”
অনুরোধ করে বলল জাফর।
মাহমুদ উঠে গেলো তনিমার সঙ্গে। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা ছাড়া আর উপায় কি তার। তনিমা মাহমুদকে খেয়ার রুমে নিয়ে গেলো। ফিসফিসিয়ে বলল,
“স্যার আপনি ওর পাশে বসে একটু হাতটা ধরেন। ওকে বোঝাবেন আপনি ওকে পছন্দ করেন। ভালোবাসেন। আমরা পরে সব বলছি আপনাকে।”

মাহমুদ হা হয়ে তাকিয়ে রইলো তনিমার দিকে। তার দু’চোখ দিয়ে যেন উষ্ণ ধোঁয়া বেরুচ্ছে। তনিমা দরজা চাপিয়ে রুমের বাইরে চলে গেলো। মাহমুদ কঠোর দৃষ্টিতে খেয়ার পানে চাইলো। খেয়ার চোখ বন্ধ। চিৎ হয়ে শোয়া। বিছানায় পড়ে আছে নির্জীবের মতো। হাত পা ছড়ানো। কোমরের উপর অবধি পাতলা একটি কম্বল দিয়ে ঢাকা। ঘুমের মেডিসিন দেয়া হয়েছে খেয়াকে।

মাহমুদ একটি চেয়ার টেনে খেয়ার মুখ বরাবর বসলো খাটের সামনে। দেখলো খেয়ার বুকে ওড়না নেই। গায়ে পাতলা একটি টিশার্ট জাতীয় কিছু। মাহমুদ নিজেই ইতস্ততবোধ করলো। না চাইতেই দৃষ্টি চলে যাচ্ছে খেয়ার বুকের দিকে। কি বিদঘুটে বিষয়। সে বিছানার আশপাশে খেয়ার ওড়না খুঁজেও পেলনা। বুঝে নিলো এই মেয়ে বাসায় তেমন ওড়না পরেই না। মাহমুদ আলতো করে খেয়ার গায়ের কম্বলটি বুকের উপর টেনে দিলো। এতেই খেয়া নড়ে উঠলো আবার। চোখের পাতা মেলে ধরলো। মাহমুদকে দেখেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো অবিশ্বাস্য চোখে। মাহমুদের একহাত ধরে ফেলল নরম করে। মাহমুদ অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে গেলো। তবুও হাত সরিয়ে নিলো না। বরং নিজের একহাত খেয়ার হাতের পিঠে রাখলো। কারণ মৃত্যুপথযাত্রী কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করাও ফরজ। একজন মানুষ হিসেবে এই দায় প্রতিটি মানুষের উপরেই বর্তায়। এবং এটা নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।

মাহমুদ এখানে বসে থাকলে হবে না। বাসায় যেতে হবে। তাই খেয়াকে হৃদ্যতাপূর্ণ কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“খেয়া পাগলামো করেন কেন? বাবা,মা কষ্ট পায়না? এই যে আমি আসলাম।”
খেয়া বিগলিত কন্ঠে বলল,
“স্যার আপনাকে কে আসতে বলল? কেন এলেন? আমি ঠিক আছি। আপনি চলে যেতে পারেন।”
মাহমুদ খেয়াল করলো,খেয়ার কন্ঠে গাঢ় অনুরাগ,অভিমান।

“আপনি ভালো থাকলে আমার কাছে ফোন গেলো কেন? রাত করে আসতে হলো কেন আপনাদের বাসায়?”
খেয়া চুপ হয়ে আছে শান্ত দিঘির জলের মতো। মাহমুদ খেয়ার মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিলো। বলল,
“আপনি থাকুন। আমি আসছি। বাসায় বলে আসা হয়নি। ড্রয়িংরুমে গিয়ে জানিয়ে দিই।”
মাহমুদ খেয়ার বেডরুম থেকে বেরিয়ে যায়। ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসলো। তার মাকে ফোন দিয়ে বলল,
“মা টেনশন করো না। আমি খেয়াদের বাসায় আসছি। এসে সব বলছি।”
মাহমুদকে খেয়াদের হেল্প হ্যান্ডিং মেয়েটা এসে ট্রে ভর্তি নাস্তা দিয়ে গেলো। সে খাচ্ছে না। বসে বসে ভাবছে। কি হবে,কি করবে সে।
তনিমা, খেয়ার বাবা, খেয়ার বড় ভাই সাহিল গিয়ে বসলো মাহমুদের পাশে। সবাই মিলে নাস্তা করলো। কথা শুরু করলেন খেয়ার বাবা।

“কিভাবে যে বলি বিষয়টা। খেয়া ছোটবেলায় তার মাকে হারায়। আমি আর দ্বিতীয় বিয়ে করিনি। সে খালাদের কাছে বড় হয়। পরে হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় হলে আমার কাছে নিয়ে আসি। ওর টেইক কেয়ারের জন্য একজন খালা সার্বক্ষণিক থাকতো আমাদের বাসায়। লক্ষ্য করি ও দিনে দিনে একরোখা,বেয়াড়া,জেদী হয়ে উঠে। বিশেষ করে যেটা চায় সেটা না পেলে সে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। আমরা সাইক্রিয়াটিস্ট এর শরনাপন্ন হই।
ডাক্তার বলল,

এটা ওর একটা মেন্টাল ডিজিজ। এটার চিকিৎসা হলো ওকে ওর মতো করে থাকতে দেওয়া। বাঁচতে দেওয়া। মাকে হারানোর জন্য সে কোনকিছু না পাওয়া, ব্যর্থ হওয়া, হারানোর বিষয়টা নিতে পারেনা। সেটা ব্যক্তি হোক আর বস্তু হোক। যাইহোক চলছে সব মোটামুটি। কিন্তু ইদানীং সমস্যাটা প্রবল আকার রূপ নিলো। গ্লাস ছুঁড়ে মারছে। ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ফেলছে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ এই সেমিস্টার রেজাল্ট খারাপ হলো।
এবং এগুলো হচ্ছে তোমার জন্য। না না। আমরা তোমাকে ব্লেইম দিয়ে বলছি না। বলার জন্য বললাম। তোমাকে খেয়া অনেক ভালোবাসে। যা জানলাম আমার বৌমা তনিমার কাছ থেকে।

হ্যাঁ মাহমুদ, আমি জানি পৃথিবীতে জোর করে সব করা গেলেও ভালোবাসা,অনুভূতি জোর করে আদায় করা যায়না। কিন্তু আমি ও আমরা তোমাকে বলতে চাই, তুমি যদি একটু মন বসাবার চেষ্টা করো ভিতর থেকে। হয়তো পারবে। মানুষের অসাধ্য কি আছে বলো। এমন বহু বিয়ে হয় ছেলে মেয়ের অমতে। পরে দেখা যায় সংসার করতে করতে মন বসে যায়। কিছুদিন পাশে থাকলে কুকুর, বিড়ালের উপরেওতো আমাদের মায়া জন্মে যায়। আমার লজিক ভুল নাকি বলো?”
পাশ থেকে তনিমা ও সাহিল বলল,

” বাবার কথাই আমাদের কথা। আমরা কেবল চাই আপনি খেয়াকে বিয়ে করুন। এবং ওকে ভালোবাসার চেষ্টা করুন দয়া করে। আপনার পারিবারিক স্ট্যাটাসের সঙ্গে আমাদের পরিবার মানানসই।”
জাফর চৌধুরী করুণ চাহনিতে বসে রইলেন পায়ের উপর পা তুলে।
তনিমা বলল,

“আজতো সন্ধ্যায় আমরা না দেখলে তার প্রানবায়ু বের হয়েই যেতো। তার সুইসাইড সফল হয়নি অল্পের জন্য। পায় ঝুলেই গিয়েছিলো সিলিং ফ্যানটার সঙ্গে। পড়ে ও গিয়ে ডাক্তার নিয়ে এলো বাসায়। ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দিতে বলল ডাক্তার। সে কিছু চেয়ে পায়নি এই ব্যর্থতা কেন জানি সে হজম করতেই পারেনা। তখন সে নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে করে। অযোগ্য মনে করে। আমরা আপনার বিষয়ে ওকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু ও মানতেই চায়না। আপনার প্রতি খেয়া সিরিয়াস রকমের অবসেস।”

সবকিছু শুনে মাহমুদ জমে গেলো বরফখন্ডের ন্যায়। গ্রীষ্মের এই খরতাপেও তার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেলো সর্পিল গতিতে। বহুবছর আগে যেই মানুষটা তাকে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করলো। আজ এতটা বছর পরে এসে সেই প্রতিদান কি তাকে এভাবেই দিতে হবে?
খেয়ার বাবা নিদারুণ কন্ঠে বললেন,
” খেয়া যখন নিশ্চিত হবে তোমাকে কোনদিন পাবে না। তখন সে নিজেকে শেষ করে দিবে। এখন এনগেজমেন্ট হয়ে থাকুক না হয়। তোমার সুবিধা অনুযায়ী বিয়ে হবে। তাও খেয়া ভালোথাকবে। বুঝে নিবে যখনই হোক তুমি তারই হবে। আসলে বাবা হয়ে এসব বলতে আমারো বাধছে। কিন্তু আমরা নিরুপায়। আজতো এই সিচুয়েশন দেখে তনিমা বলল,

স্যারকে আনান। নয়তো রাতে আবার এক্সিডেন্ট ঘটে যেতে পারে।”
মাহমুদ বিপন্ন মুখে বলল,
” আচ্ছা আংকেল আমি বাসায় গিয়ে আলাপ করি আগে। এটা পুরো জীবনের বিষয়। হুট করে ডিসিশন নেয়া ঠিক হবে না। এখন উঠি আমি।”
“বাবা হুট করে হবে কেন? আমরা তোমার পরিবারের সঙ্গে আলাপে বসবো। তুমিও সময় নাও। ”
সাহিল বলল,

“আমি ক্লিয়ার করছি মাহমুদ ভাই। খেয়া আপনার স্টুডেন্ট। ভার্সিটি বলেন বা বাইরে বলেন আপনি আপাতত মিথ্যা করে হলেও খেয়াকে বোঝাবেন,আপনিও খেয়ার প্রতি অনুরক্ত। খেয়াকে পছন্দ করেন। তবেই আমার মা হারা একমাত্র আদরের ছোটবোনটা হাসিখুশি থাকবে। আপনার একটু সদয় আচরণ,সান্নিধ্য, কিছুক্ষণ গল্প করায় যদি একজন মানুষের জীবনটা ভালোভাবে বেঁচে যায়। তাতে আপনারও ভালোলাগার কথা। পৃথিবীতে কয়জন মানুষের হাতে এমন সুযোগ আগে কাউকে বাঁচিয়ে তোলার। ভালো রাখার। বলেন?”
মাহমুদ প্রতুৎত্তরে কিছুই বলল না। পাথর চোখে তাকালো সাহিলের দিকে।
তনিমা বলল,

“ভাইয়া যাওয়ার আগে খেয়াকে একটু বুঝিয়ে যান। ওর আনন্দে থাকার মেডিসিন আপনি। শুরু থেকে সব একবার চিন্তা করুন। রিয়েলাইজ করতে পারবেন একটা মেয়ে আপনাকে কতটা চায়। এমন করে আর দ্বিতীয় কোন মেয়ের হৃদয়ে আপনি বাস করতে পারছেন? এটা সৌভাগ্য হিসেবে ধরে নিন।”
মাহমুদ শক্ত চোয়ালে উঠে দাঁড়ালো। খেয়ার রুমে চলে গেলো গম্ভীর মুখে। খেয়ার পাশে বসলো। হাত ধরে বলল,
“খেয়া আমি আসি। ফোনে কথা হবে আমাদের। আমি হারাব না। এবার ভালো থাকবে অবশ্যই। ”
খেয়া ম্লান হাসে মাহমুদের মুখপানে চেয়ে৷

মাহমুদ নিজেকে সামলে অতিকষ্টে বাসায় এসে নিজের রুমে প্রবেশ করে। বিছানায় ধপাস করে পড়ে। মাথার চুল খামচি দিয়ে ধরে। ক্ষোভে, যন্ত্রণায় দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে তার হৃদয়টা।
মাহফুজা টের পেলেন ছেলে বাসায় এলো। তিনি ছেলের রুমে এলেন।
চিন্তাগ্রস্ত স্বরে কপাল ভাঁজ করে জিজ্ঞেস করলেন,

তোমার জন্য সব পর্ব ১১

“কিরে মাহমুদ কি হলো? কি বিপদ তাদের? গেলি কখন? এলি এখন। রাত কয়টা বাজ?”
“খেয়াকে বিয়ে করতে হবে মা। নইলে ও মরে যাবে।”
বরফ শীতল গলায় মায়ের মুখপানে তাকিয়ে বলল মাহমুদ।

তোমার জন্য সব পর্ব ১৩