তোমার জন্য সব পর্ব ২১

তোমার জন্য সব পর্ব ২১
রেহানা পুতুল

মাহমুদ দরজার খিল লাগিয়ে দিলো ভিতর থেকে। এগিয়ে গিয়ে বিছানার সামনে কলির মুখোমুখি দাঁড়ালো।
প্রেমিক কন্ঠে শুধালো,
“কলি কেমন আছেন?”
“হ্যাঁ.. জ্বিইই…স্যার..একটু..একটু পানি হবে?”
গহীন গুহায় আটকে পড়া বিপথগামী মানুষের মতো ভীত কম্পিত স্বরে অনুনয় করে বলল কলি।
“পানি কোন তাপমাত্রার দিবো? নরমাল,ঠান্ডা, মিক্স?”
ব্যক্তিত্বপূর্ণ কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো মাহমুদ।
কলি তোতলানো স্বরে বলল,
“মিইই..মিইক্স।”

মাহমুদ রুমের বাইরে গেলো। ফিল্টার ও ফ্রিজ থেকে পানি মিক্স করে গ্লাসে নিলো। ফিরে এসে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো। কলির সামনে দাঁড়িয়ে গ্লাস এগিয়ে দিলো তারদিকে। কলি গ্লাস ধরতে গিয়েও পারছে না। হাতের পাঁচ আঙ্গুল অনবরত কাঁপছে।
“আশ্চর্য! একটু আগে দেখলাম আপনার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। তারপর দেখলাম তোতলাচ্ছেন। এখন দেখি হাত কাঁপছে। মৃগী রোগী নাকি? এতো জটিল সমস্যা। আপনাকে নিয়েতো সংসার করা যাবে না।”
বাঁকা স্বরে বলল মাহমুদ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কলি দু’হাত দিয়ে শক্ত করে গ্লাস ধরলো। কোনমতে পুরো গ্লাসের পানি খেয়ে নিলো। বেড সাইড টেবিলের ওপরে ওয়াটার পট রয়েছে। সেটা থেকে গ্লাসটিতে মাহমুদ একটু নরমাল পানি ঢেলে খেয়ে নিলো। তার পরনে বরের পোশাক নেই। সে আগেই চেঞ্জ করে ফেলেছে। নতুন ট্রাউজার ও টিশার্ট পরে নিলো। হাত খালি। ঘড়ি খুলে রেখেছে রোজরাতের মতই। তার শরীর থেকে পারফিউমের ঘ্রাণ গিয়ে কলির নাকে ঠেকছে। মাহমুদ কলির সামনে থেকে সরে এক চিলতে বারান্দাখানায় চলে গেলো।

কলির হার্টবিট ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। সে ছোট খুকী নয়। অনার্স থার্ড ইয়ারের ছাত্রী। বিয়ের প্রথম রাতে কি হয় তা বেশ অবগত সে। সেসব চিন্তা করতেই তার নিঃস্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সে এখন মাহমুদ স্যারের নিবন্ধিত নারী। ফোর্স করেও করতে পারে কিছু স্যার। ঠোঁটকাটা স্বভাবের মানুষ যিনি। তার মুখ, হাত ননস্টপ চলবে মনে হয়। কি করবে কলি। পালাবে কোথায়। যাকে সবসময় শিক্ষকের চোখে দেখে আসছে। আজ সে তার বিয়ে করা বউ। তার সবকিছু সে দেখবে। উপভোগ করবে। হায়! লজ্জায় তার মরি মরি দশা। স্যার কি তাকে কিছুদিন সময় দিবে আস্তেধীরে সহজ হওয়ার জন্য? মাহমুদ স্যার এখন তার স্বামী। এটা চিন্তা করতেই কলির প্রাণ উষ্ঠাগত!
বাসর রাত নব বর বধূর জন্য স্বপ্নের রাত। সুখের রাত। জেগে থাকার রাত। উপভোগের রাত। একে অপরের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ার রাত।

মাহমুদ এক চিলতে বারান্দা থেকে একটু ঘুরে রুমে আসলো। ফুলের পাপড়ি ছড়ানো বিছানার একপাশে উঠে বসলো। একটা বালিশ নিয়ে হেলান দিলো আধশোয়ার মত হয়ে। নিজের একপায়ের উপর আরেক পা তুলে দিলো। কলির দিকে অবশ চোখে চেয়ে আছে। ঘোমটা ও মাথা ঝুঁকে থাকার জন্য কলি মাহমুদের মুখাভঙ্গি দেখতে পাচ্ছে না।
মাহমুদ স্থির গলায় বলল,
“মাথা তুলে সোজা হয়ে বসুন কলি। যেভাবে ঢুলে যাচ্ছেন, মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যাবে। ডাক্তারও সোজা করতে পারবে না।”

কলি একটু সোজা হলো মাথা তুলে। মাহমুদ কলির মুখটা ভালো করে দেখার জন্যই এটা বলল।
“এইতো। গুড গার্ল। আমি জানি আপনি কি কি ভাবছেন? তাই সেগুলো জানতে চাইবো না। বলুন আপনার বিয়ের প্রথম রজনী কিভাবে উপভোগ করতে চান?”
কলি আঁখিপল্লব বুঁজে ফেলল লজ্জায়। মৌন হয়ে আছে।
“কি প্রশ্ন করলাম? ওহে পুষ্পকলি?”
কলি ছোট্র করে অস্ফুট স্বরে বলল,
“কিছুই চাইনা স্যার।”
মাহমুদ গম্ভীর গলায় বলল,

“বাসর রজনী উপভোগ করতে কে না চায়? এভাবেই বসে থাকতে চান সারারাত্রি?”
“ঘুমাবো স্যার। ক্লান্ত লাগছে।”
ক্ষীণ স্বরে বলল কলি।
“ক্লান্ত লাগছে? ক্লান্ত লাগার মতো পরিশ্রম না করেই ক্লান্ত। শরীর মন বেশী উইক নাকি?”
শক্ত গলায় বলল মাহমুদ। কলি চুপ করে আছে মুখ ভিড়িয়ে।
“ঠিক আছে। ঘুমান। কিন্তু শরীরের গহনা,পোশাক, না খুলে ঘুমাতে পারবেন না। বাসরঘরে নাকি বউদের এসব স্বামীরা ঘুলে দেয়। মানে গহনাগুলো আমি খুলে দিবো?”
“নাহ। আমিই পারবো।”
“ওকে আপনি খুলুন।”

কলি থম মেরে আছে। একই অবস্থায় বসা থেকে হাত উল্টিয়ে গলার জড়োয়া নেকলেস খোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না বারবার চেষ্টা করেও। অগত্যা নিরুপায় হয়ে মাহমুদকে বলল,
“স্যার আনুশকা আপুকে ডেকে দিবেন? আমাকে হেল্প করতে। হুকটা এত টাইট, খুলতে পারছি না।”
আচ্ছা দেখছি, বলে মাহমুদ দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো। সবাই নিজ নিজ রুমে আছে। সে পা ঘুরিয়ে চলে এলো রুমে। বিছানার উপরে উঠে বসল। বলল,
“মধ্যরজনীতে আপনার গহনা খোলার জন্য আমি ছাড়া কাউকে পাবেন না। সবাই নিদ্রারত এখন। দেখি একটু ঘুরুন পিঠ আমার দিকে দিয়ে। আমি হেল্প করছি।”

এসব না চেঞ্জ করে ঘুমানো যাবে না কিছুতেই। অস্বস্তি লাগবে। কলি অসহায়ের মতো মাহমুদের দিকে পিঠ ঘুরিয়ে বসলো। তখন কলির বসার স্থানের দলিতমথিত হয়ে গন্ধ বিলানো ফুলের পাপড়িগুলো মাহমুদ মুঠি ভরে এক হাতে নিলো। নাকে চেপে ধরে দু’চোখ বন্ধ করে জোরে স্বাস নিলো।
মাহমুদ কলির মাথা থেকে ওড়না খুলে নিলো। কানের ঝুমকোজোড়া খুলে নিলো। ব্লাউজের পিছনের ফিতার গিঁট খুলে দিলো। গলার নেকলেস হাত দিয়ে খোলা যাচ্ছে না। হুকে দাঁত বসিয়ে খুলে নিলো। কলি শিরশির করে কেঁপে উঠলো।

” কে গলায় এটা পরালো কলি? খোলা যাচ্ছিল না দাঁতের ব্যবহার ছাড়া।”
মাহমুদের সংস্পর্শে কলির বুক ধড়ফড় করছে। মাহমুদ কলির হাত টেনে বালাগুলো খুলে দিলো। বলল,
“নিচে নেমে আসুন। শাড়ি খুলে দেই।”
কলির মুখ রক্তিম হয়ে উঠলো। মাহমুদ বলল,
“সরি। শাড়ি নয়। শাড়ির উপরে আটকানো সেফটিপিনগুলোর কথা বললাম।”
কলি বিছানার ফুলগুলো মাড়িয়ে নিচে নামলো। নিজ থেকেই মাহমুদের পা ছুঁয়ে সালাম করে ফেলো। এটা তার মা রেবেকা তাকে শিখিয়ে দিয়েছে। বিয়ের রাতে স্বামীকে সালাম করতে হয়। মাহমুদ গাড়ির ব্রেক খাওয়ার মতো চমকে উঠলো। কলির দু’বাহু ধরে দাঁড় করালো। শিহরিত চোখে বলল,
“বাসর রাতে স্বামীর পা ছুঁয়ে সালাম দেওয়া বাঙালি মেয়েদের জন্য একটা প্রচলিত রেওয়াজ। তার মানে কলি মাহমুদের বউ। এটা মানছেন?”

কলি দৃষ্টি অবনত করে রাখলো। মাহমুদ টেবিলের উপর থেকে একটি সোনার আংটির বক্স হাতে নিলো। খুলে কলির আঙ্গুলে পরিয়ে দিলো। চুমু খেতে ইচ্ছে করলেও নিজের ইমোশনকে দমিয়ে রাখলো। শুধু কলির হাতের পিঠটাকে নিজের গালে আলতো ছোঁয়ালো। বলল,
“এটাও রেওয়াজ। বউকে সালামের সালামী দিতে হয়।”
দু’হাত পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো মাহমুদ।

কলি মাথা ঝুঁকিয়ে শাড়ির কুচির উপরিভাগের সেফটিপিনগুলো খুলতে গিয়ে পারল না। মাহমুদ কলির হাঁটুর সামনে হাঁটুগেঁড়ে বসলো। দু’হাত ব্যবহার করে সেফটিপিন সব খুলে দিলো। পরক্ষণেই দাঁড়ালো। দেখলো শাড়ির আঁচলেও কয়েকটি সেফটিপিন। সেগুলো ব্লাউজের সঙ্গে আটকানো। মাহমুদ নিজ থেকেই কলির পিঠে,কাঁধের উপরে হাত দিয়ে সেফটিপিনগুলো খুলে দিলো। মাহমুদের হাতের স্পর্শ পেয়ে কলির সারাদেহ টলছে। এমন নেশা জাগানিয়া অনুভূতির সঙ্গে সে আজই প্রথম পরিচিতি হলো।
মাহমুদ বলল,

“বাপসরে! মেয়েদের এক শাড়িতেই সেফটিনের বহর দেখি। পুরুষ হয়েছি। সেই বেশ। এই লাগেজে আপনার ব্যবহারের জন্য শাড়ি এবং সবই রয়েছে। ওটা ওয়াশরুম। ফাইনালি জানতে চাই কলি,
বাসর না হোক। একই বেডে পাশাপাশি দুজন ঘুমাই?”
কাতর স্বরে বলল মাহমুদ।
“নাহ স্যার। এতে খুব সমস্যা হবে। প্লিজ। আমাকে কিছুদিন সময় দেন। আপনি বেডে ঘুমান। আমি ফ্লোরে বিছানা করে ঘুমাতে পারবো।”
” নো নীড ডিয়ার কলি! এই পুষ্পোশোভিত বিছানা আপনার জন্য। এখানে আপনাকেই মানাবে এই রাতে। ফ্রেস হয়ে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পড়ুন। ডিম লাইট জ্বালিয়ে নিবেন। নয়তো পড়ে যেতে পারেন। আমি বারান্দায় আছি। গল্প করতে চাইলে আসতে পারেন।”

কথাগুলো বলেই মাহমুদ দেরী করল না। বেড সাইড টেবিলের ড্রয়ার থেকে নতুন একটি সিগারেটের প্যাকেট, গ্যাসলাইট ও মশার স্প্রে বোতলটা হাতে নিয়ে নিলো। তার তাওয়েলটা কাঁধের উপর রাখলো। চশমাটা চোখে দিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। বাইরে থেকে দরজা চাপিয়ে দিলো। চেয়ারটাতে তাওয়েল দিয়ে বসলো। নিজের চুলগুলো খামচি দিয়ে ধরলো। ছিঁড়ে ফেলতে পারলে তার হৃদয়ের উত্তাপ কিছুটা বিলীন হতো।চোখদুটো নেশাখোরের মতো লালবর্ণ ধারণ করলো। বহুদিনের অভুক্ত মানুষের ন্যায় একের পর সিগারেট জ্বালিয়ে নিচ্ছে আর শেষ করছে। বুকের বাঁ পাশে চিনচিন ব্যথা হচ্ছে।

কলি ওয়াশরুমে চলে গেলো। শাড়ি ব্লাউজ চেঞ্জ করে নিলো। অন্য একটা নতুন সুতী শাড়ি,ব্লাউজ পরে নিলো। মুখের মেকাপ তুলে ফ্রেশ হয়ে রুমে এলো। দেখলো শৈল্পিক করে ফুলসজ্জা সজ্জিত। বিছানা ভর্তি শত ফুলের রঙিন পাপড়ি। সে সেগুলো তুলে ফেলল না। ফুলসজ্জা তার দারুন পছন্দ হলো। চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো রুম দেখলো কলি। কয়মাস আগের এই রুম আর আজকের রুমের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। নজর কাড়ার মতো। সে লাইট অফ করে দিয়ে ডিম লাইট জ্বালিয়ে দিলো। বিছানা থেকে গহনাগুলো তুলে টেবিলে রেখে দিলো। দুইহাঁটু ভাঁজ করে অবসাদজনিত দেহখানি এলিয়ে দিলো ফুলের পাপড়িগুলোর উপরেই। নিমিষেই তার তন্দ্রাচ্ছন্ন আঁখিযুগল গভীর নিদ্রাঘোরে তলিয়ে গেলো।

মশার স্প্রে মারার পরেও দু’একটা মশা আক্রমণ করে চলল মাহমুদের গায়ে। যেখানে সেখানে কুটকুট করে কামড়ে যাচ্ছে মশা। মাহমুদ বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। শব্দহীন পায়ে রুমের ভিতরে এলো।
গভীর রাত! নির্জন কক্ষ! ফুলেল বিছানায় ঘুমন্ত এক যুবতী। রুমের আবছায়া হলদে আলোর সব মায়া ছড়িয়ে আছে সেই যুবতীর সারা অঙ্গে। তার পাশে ঘুরঘুর করছে এক তৃষিত যুবক। কি সম্মোহনী! কি লোভনীয় পরিবেশ! তবুও যুবকটি তাকে নিবিড় আলিঙ্গন করতে পারছে না। কি সুখসুধা পাবে এভাবে মনের বাইরে তাকে ছুঁয়ে? থাকুক না সে তার মতো করে। মাহমুদ ফের চলে গেলো বারান্দায়। পূনরায় আরেকটি সিগারেট জ্বালিয়ে নিলো। বিরহের ধোঁয়া উড়িয়ে দিলো রাতের বাতাসে।

রাত্রির শেষ প্রহরে কলির ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কোন ডিস্টার্ব হয়নি বলে একটানা ভালো ঘুম হয়েছে তার। উঠে পরনের অবিন্যস্ত শাড়ি ঠিকঠাক করে নিলো। ঝরঝরে লাগছে তার নিজের কাছে নিজেকে। কলি দেখলো গোটা রুমে সে ছাড়া কেউ নেই। তাহলে স্যার কোথায় ঘুমালো? মাহমুদকে নিয়ে কলির ভাবনাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে হলো। সে চিন্তাই করতে পারেনি মাহমুদ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছোঁবেই না। তার ইচ্ছার মূল্যায়ন করবে এত বেশী। স্যার আসলেই কেয়ারিং মনে হয়। কলির ভালোলাগা কাজ করলো মাহমুদের উপর।

কলি পা টিপেটিপে সন্তপর্ণে বারান্দায় দরজায় গিয়ে উঁকি দিলো। হালকা আলোর সাদা বাল্ব জ্বলছে। সে দেখলো মাহমুদ চেয়ারে কোনরকম কাত হয়ে ঘুমিয়ে আছে। মেঝেতে তাকাতেই তার চক্ষু চড়কগাছ হলো। সবগুলো সিগারেটের খালি অংশ পড়ে আছে বিক্ষিপ্তভাবে। খালি প্যাকেটটাও পড়ে আছে। সে বিস্মিত চোখে মাহমুদের দিকে চেয়ে রইলো। শোয়ার নিদিষ্ট স্থান না হলে ভালো ঘুম আসা অসম্ভব। তাই মাহমুদেরও ভারি ঘুম এলোনা। সে কারো অস্তিত্ব অনুভব করতেই চোখ মেলে তাকালো। দেখলো কলি ঠায় চেয়ে আছে তার মুখ পানে।
সে জড়ানো কন্ঠে বলল,

“কলি আপনি? ঘুম ভালো হয়েছে?”
“আপনি কি করলেন এটা? সারারাত এখানে ছিলেন? এত সিগারেট টানলেন? মশার যন্ত্রণা সহ্য করলেন?”
অধিকারসুলব কন্ঠে নরম গলায় বলল কলি।
“যার কপালে বাসর উদযাপন নেই। তারতো এমনই যন্ত্রণা পোহাতেই হবে। সিগারেট খাওয়া,জেগে থাকা,মশার যন্ত্রণা সহ্য করা,ড্রিংকস করা। যদিও এটায় আমি নেই। রাত পোহাতে এখনো সময় বাকি। গিয়ে রেস্ট নিন। চলে যান।”
অভিমান,অনুযোগ মিশিয়ের ভারকন্ঠে বলল মাহমুদ।
“আপনি গল্প করতে চেয়েছেন স্যার। ”

তোমার জন্য সব পর্ব ২০

“সময়ের কাজ অসময়ে করতে নেই। এটা আপনার কথা। গল্প করার মতো মানসিক এনার্জি এখন আমার মাঝে অবশিষ্ট নেই। চলে যান বলছি।”
আদেশের ঢংয়ে বলল মাহমুদ।
কলি ম্লান মুখে বিছানায় এসে ফের শুয়ে পড়লো।

তোমার জন্য সব পর্ব ২২