তোমার জন্য সব পর্ব ২৫
রেহানা পুতুল
মাহফুজা কলিকে নেড়েচেড়ে দেখেই চিৎকার করে উঠলো,
“ওমা! আল্লাহ রহম করো। কলির তো কোন জ্ঞানই নেই। পুরো শরীর হিম হয়ে আছে। হাসপাতালে নিতে হবে। এম্বুলেন্স ডাক জলদি। হঠাৎ এমন হলো কেন?”
তড়িতেই মাহমুদ এপ এ প্রবেশ করে উবার ডাকলো। ডাকা মেডিক্যাল তাদের বাসার নিকটবর্তী। উবার তাদের অ্যাপার্টমেন্টের নিচে গ্যারেজে চলে এলো লোকেশন অনুযায়ী। মাহমুদ ও আনুশকা কলিকে শোয়া অবস্থায় তুলে ধরলো পিঠের নিচে হাত দিয়ে। বাতাসী লিফট ধরলো। ব্যতিব্যস্ত ও উদ্বিগ্নতার মাঝে দিয়ে কলিকে ঢাকা মেডিক্যাল হসপিটালে নেওয়া হলো। মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডের একটি সিটে ভর্তি করা হলো জরুরীভাবে। বাসার অতিথিরা সকালে চলে যাবে। সেজন্য মাহমুদ মাকে আসতে বারণ করলো। বাবাকেও আনল না কিছু একটা ভেবে। মাকে মানা করে দিলো কলিদের বাসায় যেন না জানানো হয়। নয়তো অহেতুক চিন্তা করবে তারা।
ডাক্তার এলো তৎক্ষনাৎ। ভালো করে কলির নার্ভ শিরা উপশিরা দেখলো। এবং স্যালাইন দেয়া হলো কলিকে। ডাক্তার মাহমুদ ও আনুশকার দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করলো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“পেশেন্ট কি হয় আপনাদের?”
“আমার ভাবি। ভাইয়ার ওয়াইফ। আজ বিয়ের চতুর্থ দিন।”
ডাক্তার ভালো করে লক্ষ্য করলো কলির পানে। সত্যি তাই। এই মেয়েটি নবোঢ়া। কলির দুহাত ভর্তি মেহেদি ও বেশভূষায় যা স্পষ্ট।
“উনার শরীর দুর্বল। শেষ খাবার কখন খেয়েছে?”
“কাল দুপুরে। তারপর আর কিছুই খায়নি।” বলল আনুশকা।
“কেন?”
“ভাইয়া বাইরে ছিলো। সে চিন্তায়। ভাইয়া সম্ভবত বলে যায়নি ভাবিকে।”
মাহমুদ অবাক চোখে বোনের দিকে চাইলো।
“উনার কি কোন ঠান্ডার সমস্যা আছে?”
“তাতো জানিনা।”
বলল মাহমুদ ও আনুশকা।
ডাক্তার মাহমুদকে নিজের সঙ্গে ডেকে নিলো চেম্বারে। মাহমুদ চেয়ার টেনে বসলো।
” যে যে কারণে জ্বর এসেছে পেশেন্টের। এক,সম্ভবত উনি বেশসময় পানিতে ভিজেছিলেন। তাই ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। দুই, ফিজিক্যাল রিলেশন করেছেন দীর্ঘসময়। যার জন্য উনার শরীর প্রচুর ব্যথা। আর এমন জ্বর আসার জন্য শরীরের যে কোন একটা অঙ্গই ব্যথা হওয়া যথেষ্ট। এরমধ্যে ক্ষুধার্ত শরীর ছিলো উনার। তাই ক্ষুধা, ব্যাথা ও জ্বরের তোড়ে সেন্সলেস হয়েছে। বিয়ের পরে এমন জ্বর প্রায় সব মেয়েরই আসে। আশাকরি জ্ঞান ফিরে আসবে। মেডিসিন লিখে দিচ্ছি। ঠান্ডা হতে উনাকে সতর্ক থাকতে হবে। এখন ভারি খাবার দিবেন না। হালকা নরম খাবার দিবেন। বিকেল বা সন্ধ্যায় বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।”
শুনে মাহমুদ হহতবুদ্ধি ন্যায় হয়ে গেলো। মেয়েদের এমন সময় জ্বর আসে সে এই প্রথম শুনলো। সে ডাক্তারকে একটা ব্যক্তিগত বিষয় জিজ্ঞেস করলো। ডাক্তার বলল,
“নাম লিখে দিচ্ছি। এটা খেলে আশাকরি কোন অঘটন ঘটে যাবে না। আপনাদের সময় হলে তখন খাওয়া বন্ধ করে দিলেই হবে।”
মাহমুদ ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাইরে চলে গেলো। ফার্মেসি থেকে মেডিসিনগুলো কিনে নিলো। কলির জন্য স্যুপ,সেদ্ব ডিম,কলা,আঙ্গুর কিনে নিলো। সিটের পাশে গিয়ে টুল টেনে বসলো। আনুশকা বলল,
“কিরে ভাইয়া? কি বলল ডাক্তার?”
“বলল পানির ঠান্ডায় জ্বর আসলো। ঠিক হয়ে যাবে।”
“উফফস! থ্যাংকস গড! বাঁচলাম। আম্মু কি যে ভয় পেলো। ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।”
আনুশকা ফোন করে কলির শারিরীক কন্ডিশন জানিয়ে দিলো মাকে। মাহফুজা স্বস্তির স্বাস ফেলল। আনুশকা কলির মাথা তুলে নিজের হাতে স্যুপ ও ডিম খাইয়ে দিলো। টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে দিলো। এভাবে দুপুর হয়ে গেলো। সে বলল,
“ভাইয়া আমার ক্ষুধা লাগছে। বাসায় যাচ্ছি। তুই ভাবিকে নিয়ে আসতে পারবি না?”
“খুব পারবো। তুই বাসায় চলে যা।”
আনুশকা চলে যায়। মাহমুদ বেডের সামনে কলির মাথার নিকট বসলো। কলি চোখ বন্ধ করে আছে৷ মাহমুদ কলির মাথায় একটু হাত বুলিয়ে নিলো। কিছু আঙ্গুর ধুয়ে কলির মুখে একটা একটা করে পুরে দিতে লাগলো। কলি চার,পাঁচটা খেয়ে আর খেলো না। মাহমুদ কলিকে সব ট্যাবলেট খাইয়ে দিলো। আস্তে করে জিজ্ঞেস করলো,
” ব্যথা করছে না? ব্যথা কমে যাবে এবার।”
কলি বিরক্ত ও লজ্জাবোধ করলো মাহমুদের মুখে এহেন বাক্য শুনে। চোখ বন্ধ করে কাত হয়ে গেলো। মাহমুদ মনে মনে বলল,
“পরিশ্রম করলাম আমি। আর ব্যথা পেলো তুমি।”
গতরাতে মাহমুদ মানসিক যন্ত্রণা ভোলার জন্য একটি বারে যায়। ড্রিংকস করে বৃষ্টিতে ভিজে মধ্যরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরে। তার কান্ডজ্ঞান ছিলো কিছুটা অস্বাভাবিক। তাই তাওয়েল পরেই শুয়ে গিয়েছিলো। এবং রাতের আঁধারে কলির দেহের ওম পেয়ে বহুদিনের ক্ষুর্ধাত বাঘের ন্যায় বন্য হয়ে উঠেছিলো। হুঁশ ছিল না। সকালে হুঁশ ফিরলে নিজের পরনে তাওয়েল ও কলির পরনে অন্য শাড়ি দেখে বুঝেছিলো রাতে কি ঘটেছে। এজন্যই ত তারকাছে এত রিফ্রেশ লাগছে। এদিকে কলি অভিমানে,রাগে,বাথরুমে গিয়ে ঝর্ণা ছেড়ে ইচ্ছেমতো ভিজেছে ও অশ্রুপাত করেছে। যার ফলশ্রুতিতে ব্যথায় ও ঠান্ডায় জ্বর এসে গিয়েছে। সেই জ্বরের ধকল সামলাতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে।
মাহমুদ বাইরে গিয়ে পাশেই হোটেলে বসে ঝটপট খিচুড়ি দিয়ে লাঞ্চ সেরে নিলো। এসে দেখে কলি ঘুমিয়ে আছে। কলি কপালে পুরুষ হাতের ছোঁয়া পেতেই চোখ মেলে তাকালো। দেখে মাহমুদের চোখজোড়া তার চোখে নিবদ্ধ হয়ে আছে। কলি বিব্রত হয়ে চোখের পাতা বুঁজে ফেলল।
সন্ধ্যায় ডাক্তার এসে কলিকে দেখে রিলিজ দিয়ে দিলো। জ্বর আছে। তবে অল্প। মাহমুদ নিচে গিয়ে একটা রিকসা ঠিক করে এলো। যেন কলিকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়। সে কলিকে ধরে সিটের নিচে দাঁড় করালো। স্যান্ডেল এগিয়ে দিয়ে পরতে সাহায্য করলো। কলিকে ধরে ধরে নিচে হাসপাতালের নিচে নিয়ে এলো। রিকশায় করে বাসায় চলে গেলো।
বাতাসী উড়ে গিয়ে বাসার দরজা খুলে দিলো ড়োরবেলের আওয়াজ কানে যেতেই। মাহমুদ কলিকে নিয়ে নিজেদের রুমে চলে গেলো। তাদের পিছন পিছন গেলো বাকি সবাই। মাহমুদের নানী ছাড়া বাকি অতিথিরা চলে গিয়েছে গ্রামে। কেউ গেলো ঢাকায় নিজের বাসায়।
স্বল্পভাষী আবদুর রহমান কলির কপাল ধরে দেখলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন। মাহফুজাও কলির কপালে হাত রাখলেন। কিন্তু কিছুই বললেন না। কারণটা তিনি জানেন তাই। তিনি বাতাসীকে নির্দেশ দিলেন কড়া করে মসলা চা তৈরি করার জন্য।
বাতাসী চা বানিয়ে রুমে নিয়ে এলো। কলি চায়ের সঙ্গে একটু শুকনো মুড়ি চাইলো। বাতাসী একটি কাঁচের বড় বাটিতে করে এক বাটি মুড়ি নিয়ে দিলো। গল্প কথায় মাহমুদ, আনুশকা,তার নানু মুড়ি খেয়ে বাটি সাবাড় করে ফেলল।
আঃ ভাবির মুড়ি আমরা খেয়ে ফেললাম বলে, বাতাসীকে আবার ডাক দিয়ে মুড়ি চাইলো আনুশকা। মুড়ি এনে দিলো বাতাসী। চায়ে ভিজিয়ে নিয়ে কলি বেশকিছু মুড়ি খেলো। আনুশকা বলল,
“চা দিয়ে মুড়ি খাওয়া নানুরও বেশ পছন্দ।”
কলি দুর্বল স্বরে বলল,
“আমি শুধু চা খেতে পারি না। বিস্কুট, কেক,পাউরুটি, মুড়ি দিয়ে খেতে খুব ভালোলাগে।”
আনুশকা ভাইয়ের দিকে চেয়ে বলল,
“শুনে রাখুন। আপনি ত আবার চায়ের সঙ্গে কিছুই খাওয়া তেমন লাইক করেন না”
তার নানু পাশ থেকে বলল,
“সঙ্গীর লাইগা নিজেরও অনেক কিছু পছন্দ কইরা নিতে হয়। কলির লগে এবার মাহমুদেরও মুড়ি চাবাইতে হইবো। নারে বইন।ঠিক কইছি না?”
কলি শুকনো হাসলো। একদিনেই কেমন হয়ে গিয়েছে কলির শ্যামবরণ
মুখখানি। পুরো পাংশুটে আকার ধারণ করেছে। ভেবে মাহমুদের খারাপ লাগলো কলির জন্য।
মাহফুজা এলো ছেলের রুমে। বলল,
“এই মাহমুদ, কলির মা ফোন দিলো আমাকে। তুই কলিকে নিয়ে কখন যাবি জানার জন্য।”
“সকালে ভার্সিটি যেতে হবে। বলে দাও কাল বিকেলেই যাব।”
মাহফুজা নিজের রুমে গিয়ে বেয়াইনকে সে খবর জানিয়ে দিলো। আনুশকার বর দেশের বাইরে থেকে ভিড়িও কল দিয়েছে। তাই আনুশকা নিজের রুমে চলে গেলো। নানুও বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। নাতির উদ্দেশ্যে বলল,
“কয়দিন ক্ষ্যামা দিস। ব্যথা সারুক।”
“অবশ্যই পরামর্শদাতি আমার।”
রুম খালি হয়ে গেলো। বাতাসী এসে ট্রে নিয়ে চলে গেলো। মাহমুদ দরজা লাগিয়ে দিলো। কলির পাশে গিয়ে বালিশে সোজা হয়ে শুইলো। কলির একহাত টেনে নিজের কোলের উপরে রাখলো। অনুতপ্তের সুরে ভার গলায় বলল,
“এক্সট্রেমলি সরি কলি। আমি বুঝতেই পারিনি আপনার ফিজিক্যাল কন্ডিশন এত বাজে হয়ে যাবে। কাল সারাদিন খাননি কেন? তারমানে আপনিও আমাকে ভালোবাসেন?”
কলি নিরুত্তর।
“ওহ,ভোরে এতসময় ধরে শাওয়ার নেওয়ার কি হেতু ছিলো? আর এত আরলি শাওয়ার নিতে হবে না। এটা মফস্বল নয় যে কেউ দেখে যাবে। তাই ঊষাকালেই পুকুরে গিয়ে গোসল সেরে আসতে হবে। আস্তে ধীরে করবেন। ঠান্ডা লাগলে গিজারের পানি ইউজ করবেন। পরনের পোশাক নিজে ধুতে যাবেন না ভুলেও। বাতাসী আছে। ওয়াশিং মেশিন আছে। সো আপনি কেন ধুবেন।”
কলি বুঝল মাহমুদ ব্যক্তি হিসেবে অসম্ভব ভালো। যথেষ্ট কেয়ারিং ঠিক তার মা বাবার মতো। তবে একরোখা, মুখকাটা ও রোমান্টিক। কলি ক্ষীণস্বরে বলল,
“তো আমি করবটা কি? আমাদের বাসায় ত নিজের পোশাক নিজে ধুই। আম্মুকে অনান্য কাজে হেল্প করি।”
“আপনি পড়াশোনা করবেন। আর বাকি কাজগুলোর পরিবর্তে আমাকে সান্নিধ্য দিবেন। আপনার আদুরে আদুরে স্পর্শ আমাকে দিওয়ানা করে দেয়। পিপাসায় হৃদয় ফেটে যাচ্ছে। গতরাতে অজ্ঞানে কিছু করেছি। সজ্ঞানে কবে যে করবো আর দেখবো,এটা অনিশ্চিত এখন।”
কলি মনে মনে বলল,
“ওহ গড! সেভ মি। এর কণ্ঠনালি অফ হয়ে যাক। ঘুরে ফিরে সেই একই বিষয় নিয়েই কথা বলছে। যেন এক টুকরো অমৃতের সন্ধান পেলো।”
কলি নিজের হাতটা সরিয়ে নিলো মাহমুদের কোলের উপর থেকে। মাহমুদ কাজে বাসার বাইরে গেলো। রাতে সবাই ডিনার সেরে ফেলল। আনুশকা কলিকে রুমে ভাত নিয়ে দিলো। কলি নিজের হাত ভাত খেয়ে নিলো। আনুশকা প্রেসক্রিপশন দেখে কলিকে সব রকমের মেডিসিন নিয়ে দিলে। কলি খেয়ে নিলো। বাতাসী গিয়ে কলিকে মশারি খাটিয়ে দিলো। কলি ঘুমিয়ে গেলো।
মাহমুদ বাসায় ফিরে খেয়ে একবারেই রুমে প্রবেশ করলো। ফ্রেস হয়ে ট্রাউজার পরে খালি গায়ে মশারির ভিতরে ঢুকে পড়লো। কলি টের পেয়ে দেয়ালের দিকে চেপে গেলো। মাহমুদ উচ্চস্বরে বলে উঠলো,
“আহা দেয়াল! তুমি বড়ই সৌভাগ্যবান। জড়বস্তু হয়েও একজন মানবীর কত মধুর স্পর্শ পাও। আর আমি জলজ্যান্ত একজন মানব। পুরুষ মানব। স্রস্টার শ্রেষ্ঠ জীব! তবুও পাই না। চেয়েও পাই না। একেই বলে কপাল। কপালের নাম গোপাল।”
কলি আধোঘুমে। মাহমুদ কলির কপাল ছুঁয়ে দেখলো জ্বর তেমন নেই। তবে হালকা গা গরম এখনো আছে। কলির শরীরের ব্যথাতো চোখে দেখা যায় না। অনুভবও করতে পারছে না সে। তাই সে কলির ঘাড়ের উপর ঝুঁকে জিজ্ঞেস করলো,
“কলিই ব্যথা করছে?”
কলি লজ্জায় বিছানার চাদর খামচে ধরছে। মাহমুদের ভারি উত্তপ্ত নিঃশ্বাস তার ঘাড়ে, বুকে আছড়ে পড়ছে বিরতিহীনভাবে। কলি চোখ বন্ধ করে আছে না শোনার ভান করে। মাহমুদ তার কানের সঙ্গে নিজের ঠোঁটকে ছুঁই ছুঁই করে বলল,
“এক রাত বেশি খাওয়ার জন্য কয়েক রাত উপোস থাকতে হবে,এমন জানলে অল্পই খেতাম। আস্তেই খেতাম। কঠিন শিক্ষা পেলাম। সাথে শাস্তিও। ওকেহ ঘুমান। খারাপ লাগলে জাগাবেন। শুভরাতি।”
কলি ঘুমিয়ে আছে। দুর্বল ও অভুক্ত শরীরে সারাদিন পর ভাত খাওয়ার দরুন শরীর ছেড়ে দিলো আলগোছে। নয়নজুড়ে নেমে এলো অতল ক্লান্তিকর নিদ্রা।
মাহমুদও চোখ বন্ধ করে ফেলল ঘুমানোর নিমিত্তে। তার পূর্বে সনু নিগমের বাংলা গানের প্লে লিস্ট অন করে দিলো ইউটিউবে। বেজে চলল তার অতি প্রিয় একটি গান।
“জানি তুমিও ঘুমাতে পারোনি,
আমিও ঘুমাইনি সেদিন রাতে।
সামান্য কি কথা নিয়ে যে,
অভিমান করেছিলে আমার সাথে।
একটু সহজ হতে ছিলো না তো দোষ,
কি এমন দোষ হতো করলে আপস।
তোমার জন্য সব পর্ব ২৪
যদি দু’জনে ভুলে যেতাম সব অভিমান।
কি এমন ক্ষতি ছিলো বলো তাতে…”
হঠাৎ তার হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ এলো। সে মেসেজটি পড়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেলো। আবার সেই উটকো ঝামেলা?