তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৪ (২)

তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৪ (২)
নওরিন মুনতাহা হিয়া

রাতের আকাশে মিটমিট করে জ্বলছে তারা। হালকা শীতের আগমন ঘটেছে। শীতের তীব্রতা উপলব্ধি করাতে, ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘ আর আদ্রিয়ান এখন, একে অপরের খুব নিকটে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে দুরত্ব মাএ, কয়েক হাত। জানালা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস, রুমের ভিতরে প্রবেশ করে। পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা, মেঘের চুল স্পর্শ করে৷ মৃদু বাতাসে মেঘের, খোলা চুল হালকা উড়ছে।

মেঘের উড়ন্ত এলোকেশী কিছু চুল, আটকে যায় আদ্রিয়ানের শার্টের বোতামে। যেহেতু আদ্রিয়ান তার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল। মেঘ খেয়াল করল না সেটা, ওর মনোযোগ এখন সম্পূর্ণ সামনের দিকে। আদ্রিয়ান ও হয়ত লক্ষ্য করে নি। তারা এখন কারান আর আবিহার খুনসুটি দেখতে ব্যস্ত। কারান এখন বাচ্চাদের ন্যায়, কাঁদো কাঁদে মুখ নিয়ে বসে আছে। তার মুখ দেখে মনে হবে, সে হয়ত কান্না করে দিবে। আবিহা এখন আকাশের প্রশংসা করে যাচ্ছে, যা শুনে কারানের এমন অবস্থা।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কারানের মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে, আবিহার ভীষণ মায়া হয় তবে ওর হাসি ও পায়। কিন্তু আবিহার তার ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠে না, বরং সে আনমনে হেসে উঠে। যা কারান দেখতে পায় না। বেচারা কারান বিয়ে, বউ, বাসর সবকিছু নিয়ে তার, কতো সপ্ন ছিল। বাসর রাত নিয়ে কারান কতো পরিকল্পনা করে রেখে ছিল, কিন্তু এখন সব শেষ। তার বউ অন্য কাউকে ভালোবাসে, তাকে না। কথাটা ভেবেই কারানের কষ্ট হচ্ছে। পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলে ও, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবিহাকে সে ভালোবেসে ফেলেছে। তার প্রেমে পড়ে গিয়েছে, কিন্তু এখন আবিহা বলছে তাকে ডিভোর্স দিয়ে আকাশের কাছে তাকে ফিরত দিয়ে আসতে। কিন্তু কারান কি করে আবিহাকে ছাড়া থাকবে? তার বউকে অন্য পুরুষের কাছে রেখে আসবে? এই কথা ভাবতে কারানের কষ্ট হচ্ছে? তার এখন কান্না করতে ইচ্ছা করছে __

আদ্রিয়ান যে মেঘের পিছনে, দাঁড়িয়ে আছে তা মেঘ যানত না। মেঘ যখন সামনের দিক থেকে, দৃষ্টি সরিয়ে পিছনের দিকে ঘুরতে যাবে৷ তখন তার চুলে জোরে টান লাগে, মেঘ ব্যাথায় আত্মানাথ করে উঠে। আদ্রিয়ান মেঘের ব্যাথাতুর কণ্ঠ শুনে, মেঘের দিকে ফিরে তাকায়। মেঘ তার চুল, হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। আদ্রিয়ান প্রশ্ন করে __
“- কি হয়েছে মেঘ?

মেঘ তার চুল ধরে, আদ্রিয়ানের পড়নে থাকা শার্টের বোতামের দিকে দেখায়। আদ্রিয়ান মেঘের দৃষ্টি অনুসরণ করে, তাকায় তার শার্টের দিকে। মেঘ কিছু চুল, সেখানে আটকে রয়েছে। হয়ত এইজন্য মেঘ ব্যাথায়, এমন আত্মানাথ করে উঠেছে। আদ্রিয়ান দ্রুত তার শার্টের থেকে, মেঘের চুল ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে মেঘের চুলে, আরো জোরে টান পড়ে। যার ফলে মেঘ, বেশি ব্যাথা পায়।আদ্রিয়ান যখন মেঘের চুল, ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল। তখন মেঘ তার ধরে ফেলে, আদ্রিয়ান থেমে যায়। মেঘ বলে __

“- দাঁড়ান আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করছি __.
মেঘ ধীরে ধীরে তার হাত, নিয়ে রাখে আদ্রিয়ানের বুকের উপর। মেঘের হাত সহ, সারা শরীর কিছুটা কেঁপে উঠে। আদ্রিয়ানের অবস্থা ও তাই, মেঘের স্পর্শে সে ও থমকে যায়। এই মেয়ে যখন তার, নিকটে আসে তখন তার শরীরে অদ্ভুত এক শিহরণ বয়ে যায়। যা জিয়া বা অন্য নারীর সংস্পর্শে আসে না। আদ্রিয়ান শত চেষ্টা করলে, মেঘকে তার কাছে আসা থেকে আটকাতে পারে না। আর মেঘ আদ্রিয়ানের থেকে দূরে থাকতে পারে না। নিয়তি তাকে বারবার, আদ্রিয়ানের সম্মুখে নিয়ে আসে।

মেঘ তার হাত দিয়ে, আদ্রিয়ানের শার্টের নিচের কয়েকটা বোতাম খুলে দেয়। না হলে চুল খুলা যাবে না, তার হাতের ছোঁয়া লাগে আদ্রিয়ানের বুকের পশমে। মেঘ একবার তাকায় আদ্রিয়ানের মুখের দিকে। আদ্রিয়ানের দৃষ্টি, এখন মেঘের উপর সীমাবদ্ধ। মেঘ দ্রুত তার চোখ সরিয়ে নেয়, এরপর তার হাত চালায়। শার্টের বোতাম থেকে, একটা একটা করে চুল ছাড়ায়।

জানালার মৃদু বাতাসে, মেঘের চুল উড়তে থাকে। যা কিছুক্ষণ পর পর, মেঘের মুখের সামনে চলে আসে৷ যা মেঘকে বিরক্ত করে, আদ্রিয়ান হয়ত বিষয়টা খেয়াল করে। সে তার হাত দিয়ে মেঘের কপালে থাকা, চুল কানের পিঠে গুঁজে দেয়। মেঘ শুকনো ঢুক গিলে, এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেঘ তার চুল ছাড়িয়ে নেয়।

মেঘ আর আদ্রিয়ানের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের মধ্যে, হঠাৎ করে সকল কাজিনরা চিৎকার করে উঠে। মেঘ আর আদ্রিয়ান পিছনে ফিরে তাকায়, সকলে খাটের নিচ থেকে টেবিলের কোণা থেকে লুকিয়ে থাকা বের হয়। তারা কারান আর আবিহার বেডের কাছে গিয়ে শব্দ করে হেসে বলে উঠে _
“- কারান ভাই কান্না করে দিয়েছে। কারান ভাই বোকা। আমাদের পরিকল্পনা সফল হয়েছে __.
কারান সকল কাজিনদের দেখে, অবাক হয়ে যায়। রুমের দরজা বন্ধ, তাহলে এরা কি করে ভিতরে ঢুকল? কারান অবাক হয়ে তাকায়, আবিহার দিকে। আবিহা শব্দ করে হেঁসে উঠে, কারান প্রথমে কিছু বুঝতে পারে না। কিন্তু একটু পর, সে সব বুঝতে পারে। এইসব যে এই সয়তান কাজিনদের পরিকল্পনা তা বুঝতে পারে, কারান বেড থেকে নেমে বলে __

“- এই সবকিছু তোমাদের পরিকল্পনা তাই না? আর একটু হলে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত, আর তোমরা হাসছ? দাঁড়াও সবগুলো আজ যদি, কান ধরে উঠবস না করায় তবে আমার নাম কারান না __.
‎কারান যখন কাজিনদের দিকে অগ্রসর হয়, তখন পর্দার আড়াল থেকে বের হয় আদ্রিয়ান আর মেঘ। তারা বেডের কাছে যায়, কারান আদ্রিয়ানকে দেখে অবাক হয়ে যায়।কারান বলে __
“- আদ্রিয়ান তুই এখানে? তুই ও কি সকলের সাথে, লুকিয়ে আমার বাসর ঘরে বসে ছিলি? তোর থেকে এমন বাচ্চামির আশা করি নি আমি?

কারানের কথা শুনে আদ্রিয়ান, তার কাছে আসে এরপর বলে __
“- বিশ্বাস কর আমার কোনো দোষ নাই, সব দোষ এই সয়তান কাজিনদের। তবে তোর কান্না মিশ্রিত মুখ দেখতে, ভীষণ ভালো লাগছিল? বাসর করার শখ মিটছে এখন তোর?
কারান আদ্রিয়ানের দিকে দাঁত কটমট করে তাকায়, আর বলে উঠে __
“- আমার ইমোশন নিয়ে মজা করস তুই? তোর বাসর ঘরে যদি, এমন সয়তানি আমি না করি তবে আমার নাম কারান না। আর একটু হলে আমার, হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত __.

কারানের কথা শুনে, উপস্থিত সকলে হেসে দেয়। এরপর সকল কাজিনরা বিদায় নেয়, বিদায় নেয় বলতে এক প্রকার কারান সকলে রুম থেকে বের হয়ে দেয়। এখন শুধু রুমে, আদ্রিয়ান আর মেঘ রয়েছে। আদ্রিয়ান চলে যাওয়ার, আগে একবার আবিহার দিকে তাকায়। আবিহাকে দেখতে কিছুটা নার্ভার, মনে হচ্ছে। বাসর রাতে, সকল মেয়ের মধ্যে একটু ভয় আর উৎকণ্ঠ কাজ করে। আদ্রিয়ান কারানকে বলে __
“- কারান একটু রুমের বাহিরে আয়, তোর সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে?

কারান আদ্রিয়ানের সাথে রুমের, বাহিরে চলে আসে। মেঘ গিয়ে বসে, আবিহার কাছে। ওরা দুষ্ট, মিষ্টি, কথা বলতে থাকে। আদ্রিয়ান কারানকে নিয়ে ছাদে চলে যায়, ছাদের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে। ছাদে পৌঁছাতে কারান বলে __
“- হুম বল আদ্রিয়ান কি কথা আছে তোর, আমার সাথে __.
আদ্রিয়ান শান্ত স্বরে বলে উঠে __
“- তোর বাসর রাত নিয়ে কি পরিকল্পনা?
কারান নির্লজ্জর মতো বলে উঠে __
“- কি আর পরিকল্পনা থাকবে, বিয়ে করেছি। বাসর রাতে, বউয়ের সাথে ভরপুর রোমান্স করব।
কারান এমন কথা বলবে, তা আদ্রিয়ান যানে। আদ্রিয়ান বলে __
“- তুই কি খেয়াল করেছিস, আবিহা তোকে ভয় পাচ্ছে? ওর হাত – পা কাঁপছিল রীতিমত। আবিহাকে ছোঁয়ার বৈধতা, তোর এখন আছে আর সবসময় থাকবে। তবে বিয়ের প্রথম দিনে, এমন কিছু করিস না। যার ফলে ভবিষ্যতে, ও তোকে ভয় পায়।
আদ্রিয়ানের কথাটা কারান হয়ত বুঝলো, সে ও খেয়াল করেছে আবিহা তাকে দেখে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু বাসর রাতে, রোমান্স করা কারানের সপ্ন ছিল। কারান বলে _

“- কিন্তু বাসর ঘরে রোমান্স করা, আমার সপ্ন ছিল আদ্রিয়ান __.
আদ্রিয়ান কারানের পিঠে, হাত দিয়ে বলে __
“- শোন কারান সপ্ন শুধু তোর, একা নয় আবিহার ও থাকতে পারে। প্রতিটা মেয়ের বিয়ে, বাসর, এইসব নিয়ে সপ্ন থাকে? তোকে আগে আবিহার মনের কথা বুঝতে হবে, ওর চাওয়া পাওয়ার বিষয়ে জানতে হবে। হয়ত আবিহা এইটা চাই, সারারাত তুই ওর সাথে গল্প করবি, কথা বলবি, ওকে বুকে জড়িয়ে ঘুমাবি। যদি ভালোবাসার মানুষ, তোর সাথে থাকে তবে প্রতিটা রাত সুন্দর হয়। বিয়ের শুরুতে, তোর সপ্ন আর চাহিদা আবিহার উপর চাপিয়ে দিস না। ওর মন, ভালোবাসা, আবেগ বুঝার চেষ্টা কর __.

‎কারান হয়ত, আদ্রিয়ানের কথা বুঝে। সত্যি সে শুধু তার, চাহিদা আবিহার উপর চাপিয়ে দিতে পারে না। আবিহার হয়ত, একটু সময়ের প্রয়োজন। কারার সিদ্ধান্ত নেয়, যখন আবিহা রাজি থাকবে তখন সে তাকে স্পর্শ করবে। যেটা ভালোবাসা দিয়ে পাওয়া যায়, সেটা জোর করে আদায় করার চেষ্টা করা বোকামি। কারান আদ্রিয়ানের কথায় সম্মতি জানায়, আর বলে __

“- হুম তোর কথা ঠিক। আমার আবিহার সিদ্ধান্ত, আর ওর সপ্নের মূল্য দেওয়া উচিত। তবে একটা আদ্রিয়ান, এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ভাগ্যবতী হবে ওই মেয়ে। যে তোর বউ হবে, যাকে তুই ভালোবাসি “__.
কারানের কথা শুনে, আদ্রিয়ান শব্দ করে হেসে উঠে। তার বউ, সে আবার কাউকে ভালোবাসে? যে নারী জাতিকে সয্য করতে পারে না, সে আবার কোনো নারীর প্রেমে পড়বে। অসম্ভব বিষয়। আদ্রিয়ান বলে _
“- তোর মতো বিয়ে, বউ নিয়ে পাগলামি এই আদ্রিয়ান করে না? আর আমি নিজের কেরিয়ার ছাড়া, অন্য কিছুকে ভালোবাসি না?

“- ডক্টর আদ্রিয়ান রেদোয়ান, যখন সত্যি কারো প্রেমে পড়বি? তখন ঠিকই ভালোবাসায় পাগলামি করবি?
“- হুম যখন প্রেমে পড়ব, তখন দেখা যাবে৷ এখন যা রুমে যা, তোর জন্য আবিহা হয়ত অপেক্ষা করছে _.
কারান ছাদ থেকে চলে যায়, তার রুমে। কারানকে দেখে, মেঘ আবিহার রুম থেকে বের হয়ে যায়। অন্যদিকে কাজের লোক, কফি রেডি করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসে। মেঘ যখন রুম থেকে বের হয়, তখন তার সাথে দেখা হয় কাজের লোকের। কাজের লোক বলে __
“- মেঘ ম্যাম আপনি কি আমার একটা উপকার করতে পারবেন?
“- হুম বলো কি করতে হবে?
“- ম্যাম এই কফিটা, আদ্রিয়ান স্যারকে দিয়ে আসবেন দয়া করে। আমার হাতে, অনেক কাজ রয়েছে। রাতের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। তাই যদি আপনি?
কাজের মেয়ের মুখে, আদ্রিয়ান নামটা শুনে মেঘ থমকে যায়। প্রথমকে না করলে, পরে কাজের লোকের মুখের দিকে তাকিয়ে হ্যা বলে দেয়। আর আদ্রিয়ান এখন তার কেউ হয় না, তার প্রতি কোনো ফিলিংস নাই মেঘের মনে। মেঘ কফির কাপ হাতে নিয়ে বলে __

“- ওকে তুমি যা-ও। আমি কফি দিয়ে আসব, আদ্রিয়ান স্যারকে __.
কাজের লোক কফির মগ, মেঘের হাতে দেয়। মেঘ তা নিয়ে ছাদে চলে যায়, আদ্রিয়ানের কাছে। আদ্রিয়ান যখন ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল, তখন মেঘ কফি নিয়ে যায় তার কাছে। মেঘ কফি নিয়ে, আদ্রিয়ানের পিছনে দাঁড়ায়। মেঘ যখন আদ্রিয়ানকে ডাকতে যাবে, তখনই আদ্রিয়ান পিছনে ফিরে তাকায়।
হঠাৎ করে আদ্রিয়ান পিছনে ফিরায়, মেঘ কিছুটা ভয় পেয়ে যায়৷ তার হাতে থাকা, কফির মগ থেকে কিছুটা গরম কফি তার হাতে পড়ে যায়। যদিও মেঘের হাতে, বেন্ডেজ করা ছিল, তবুও তার হাতের কনুইয়ে গরম কফি পড়ে। মেঘ ব্যাথায় আত্মনাথ করে বলে উঠে __
“- আহ__.

আদ্রিয়ান মেঘকে তার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়, এরপর ওর হাতে থাকা কফির দিকে তাকায়। হয়ত মেঘ তাকে কফি দিতে এসেছে। আদ্রিয়ানের চোখ যায়, মেঘের কনুইয়ের দিকে, গরম কফি পড়ে যাওয়ায় সেখানে লাল হয়ে গেছে। আদ্রিয়ান বলে __
“- মেঘ তোমার হাতে গরম কফি পড়ে গিয়েছে? কতটুকু লাল হয়ে গেছে?
“- না স্যার তেমন কিছু হয় নি __.

তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৪

আদ্রিয়ান মেঘের কথা শুনে না, সে লাল হয়ে যাওয়া স্থানে হাত দেয়। সেখানে ফু দিতে থাকে, ঠিক তখন ছাদে উপস্থিত হয় জিয়া। জিয়া আদ্রিয়ান আর মেঘকে একসাথে দেখে ,আদ্রিয়ান কোনো মেয়ের যত্ন করছে তা দেখে জিয়া বলে __
“- আদ্রিয়ান __.
আজ প্রায় পাঁচদিন পরে গল্প দিলাম, আসলে আমার নানু অনেক অসুস্থ ছিল, এরজন্য নানু বাড়ি যেতে হয়েছে আমাকে। যার জন্য দেরি হয়ে গেছে। তবে এখন থেকে নিয়মিত গল্প আসবে। সরি দেরি করে দেওয়ার জন্য

তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here