তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৫

তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৫
নওরিন মুনতাহা হিয়া

গরম কফি পড়ে যাওয়া কারণে, মেঘের হাতের কবজির কাছের কিছু অংশ লাল হয়ে গেছে। আদ্রিয়ান মেঘের হাত দেখে, আতঙ্কিত হয়ে যায়। সে দ্রুত মেঘের হাত ধরে, পুড়ে যাওয়া স্থান পর্যযেক্ষণ করে। মেঘ তার চোখ – মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে থাকে, তার পুড়ে যাওয়া যন্ত্রণার চেয়ে বেশি আদ্রিয়ানের হাত ধরায় অস্বস্তি হচ্ছে। আদ্রিয়ান মেঘের হাতের কবজির মধ্যে, আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দেয়। তারা বর্তমানে ছাদে অবস্থান করছে, তাই আশেপাশে ঔষধ বা মলম নাই। যার কারণে আদ্রিয়ান মেঘের হাত, তার ঠোঁটের কাছে নিয়ে যায়। এরপর লাল বর্ণ ধারণ করা, স্থানে ফু দেয়। যাতে মেঘের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়।

আদ্রিয়ান যখন মেঘের যত্ন করছিল, তখনই ছাদে এসে উপস্থিত হয় জিয়া। জিয়া ছাদের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসে, এরপর আদ্রিয়ানের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্য পা বাড়ায়। তখনই জিয়ার চোখে পড়ে, মেঘ আর আদ্রিয়ানের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। জিয়া থমকে যায়, দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আদ্রিয়ান কোনো মেয়ের হাত ধরে রেখেছে, তার হাতে ফু দিচ্ছে। জিয়ার কাছে বিষয়টা অবিশ্বাস্য মনে হয়, আদ্রিয়ান কোনো মেয়ের যত্ন করছে? এইটা কি হতে পারে? যে আদ্রিয়ান নারী জাতিকে সয্য করতে পারে না, তাদের সাথে কথা অবধি বলে না। সে একজন মেয়ের হাত ধরেছে, তার সাথে ছাদে এসেছে? জিয়া যথেষ্ট জোরে শব্দ করে আদ্রিয়ানের নাম ধরে বলে উঠে __
– আদ্রিয়ান __.

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ছাদের সামনে থেকে, কোনো নারীর কণ্ঠ শুনে। মেঘ আর আদ্রিয়ান সে দিকে তাকায়, তাদের সম্মুখে জিয়া দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিয়াকে দেখে আদ্রিয়ান অবাক হয়ে যায়, এতো রাতে ও এখানে কি করছে? কাল যে সাতটা থাপ্পড় দিয়েছিল, তা কি আজই ভুলে গেছে। অবশ্য জিয়া যে বেহায়া আর নির্লজ্জা মেয়, ভুলে যাওয়ার কথা। অন্যদিকে জিয়াকে দেখে মেঘ চিনতে পারে, তার চোখের সামনে কাল রাতের ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। আদ্রিয়ান জিয়াকে দেখে বলে __

“- জিয়া তুমি এখানে? এতো রাতে রিসোর্টে কেনো এসেছ?
জিয়াকে দেখার সাথে সাথে, আদ্রিয়ানের ধরে রাখা মেঘের হাতের বাঁধন হালকা হয়ে যায়। যা মেঘ বুঝতে পারে। জিয়া আদ্রিয়ানের প্রেমিকা, হয়ত তার সামনে মেঘের হাত ধরতে চাই না সে। মেঘ আর বেহায়ার মতো, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকল না। সে দ্রুত তার হাত সরিয়ে নেয়, আদ্রিয়ানের হাতের বাঁধন থেকে। এরপর তাড়াতাড়ি বিদায় নেওয়ার উদ্দেশ্য, বলে উঠে _

“- আদ্রিয়ান স্যার আমি রুমে গেলাম, রুমে গিয়ে হাতে ঔষধ বা মলম লাগিয়ে নিব। আর এই যে আপনার কফি, এখনও গরম আছে ঠান্ডা হয় নি।
মেঘের কথা শুনে, আদ্রিয়ান জিয়ার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। এরপর বলে উঠে __
“- ওকে খুব দ্রত ঔষধ লাগিয়ে নিবে। না হলে কিন্তু পোড়া জায়গায় ভীষণ ব্যাথা করবে __.
মেঘ সম্মতি সূচক, মাথা নাড়িয়ে বলে উঠে __
“- জি অবশ্যই। আপনারা তাহলে কথা বলুন, আমি নিচে যায় __.

মেঘ আর কথা বাড়ায় না, দ্রুত পা চালিয়ে নিচে চলে যায়। জিয়ার সাথে সে কথা বলে নি, আর কথা বলার ইচ্ছা ও নাই। মেঘ চলে যাওয়ার পর, জিয়া এগিয়ে আসে আদ্রিয়ানের কাছে। আদ্রিয়ান বিরক্ত সূচক, দৃষ্টি আর কণ্ঠ নিয়ে বলে উঠে __
“- জিয়া এতো রাতে রিসোর্টে কি করছ তুমি? বিয়ের অনুষ্ঠানে আসো নি কেনো?
“- বিয়ের অনুষ্ঠানে না আসার, কারণ কি তুমি যানো না আদ্রিয়ান?
“- হুম জানি। থাপ্পড় খাওয়ার মতো, কাজ করেছ তাই থাপ্পড় দিয়েছি। দোষ তোমার জিয়া।
“- হুম সব দোষ শুধু আমার হয়। আচ্ছা ওই মেয়েটা কে?
“- কোন মেয়েটা? কার কথা বলছ তুমি জিয়া?
“- যার তুমি এতো যত্ন করছিলে, হাত ধরে ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলে। সেই মেয়েটা কে?
“- ওর নাম মেঘ __.

মেঘ আদ্রিয়ানকে স্যার বলে সম্মধোন করছিল, আর ওর হাতে কফির মগ ছিল। যার কারণে জিয়া মনে করেছে, মেঘ যখন কাজের লোক। আদ্রিয়ানকে কফি দেওয়ার জন্য, ছাদে এসেছে। জিয়া বলে __
“- ওই মেঘ নামের মেয়েটা কি, এই রিসোর্টের কাজের লোক? নতুন জয়েন করেছে?
জিয়ার কথা শেষ হওয়ার আগেই, আদ্রিয়ান বলে উঠে
“- মেঘ রিসোর্টের কাজের লোক নয়। ও কারানের বউ, আবিহার বন্ধু। বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপে পড়াশোনা করতে আমেরিকায় এসেছে __.
মেঘের প্রতি যে আদ্রিয়ানের আগ্রহর বিষয়টা, জিয়ার নজর এড়ায় না। কিন্তু সে বেঁচে থাকতে, আদ্রিয়ান শুধু মাএ তার অন্য কারো নয়। জিয়া আর মেঘের বিষয়ে কথা বাড়ায় না, সে অন্য টপিকে কথা বলতে শুরু করে। মূলত কাল রাতের ঘটনার জন্য, সে আদ্রিয়ানের কাছে ক্ষমা চাই। সাতটা থাপ্পড় খেয়ে তার, শিক্ষা হয়ে গেছে। সে তার ভুল বুঝতে পারছে, তা জিয়া স্বীকার করে। জিয়া বলে __

“- আই এম রিয়েলি সরি আদ্রিয়ান কাল রাতে, তোমাকে এমন করে কিস করা উচিত হয় নি আমার। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও, ভবিষ্যতে এই ভুল আর কখনো হবে না আমার দ্বারা __.
জিয়ার মাফ চাওয়া বিষয়টা, কিছুটা অবিশ্বাস্য লাগে আদ্রিয়ানের কাছে। তবে সে জিয়াকে ক্ষমা করে দেয় না, আদ্রিয়ান শুধু বলে __
“- ইট’স অল রাইট জিয়া। বাট ফারদার যেনো এমন ভুল না হয়, তুমি ইরফান স্যারের মেয়ে বলে তোমায় এখন কিছু বললাম না৷ আমি তোমার সিনিয়র ডক্টর হয়, তাই আমার সম্মান দিয়ে চলবে তুমি __.
জিয়া আদ্রিয়ানের সামনে অনুতপ্ত হওয়ার নাটক করে বলে __

“- হুম অবশ্যই আদ্রিয়ান __
আদ্রিয়ান ঘড়ির দিকে তাকায়, সময় প্রায় রাত সাড়ে এগোরাটা। কাল সকালে আবার, কারান আর আবিহার বউভাতের অনুষ্ঠানে রয়েছে। যার জন্য তাকে, ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। আদ্রিয়ান বলে উঠে __
“- ওকে জিয়া আমি রুমে গেলাম, আমার ঘুম পেয়েছে। তুমি কি রিসোর্টে থাকবে? না বাসায় চলে যাবে?
“- রিসোর্টে থাকব না। বাসায় চলে যাব, কাল সকালে আবার আসব __.
“- ওকে তুমি থাকো আমি যায় __.
আদ্রিয়ান ছাদ থেকে নিচে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্য, পা বাড়ায়। তখনই জিয়া তার হাত ধরে ফেলে। আদ্রিয়ান পিছনে ঘুরে তাকায়, জিয়ার ধরে রাখা হাতের দিকে রাগী দৃষ্টিতে কটমট করে তাকায়। জিয়া কিছুটা ভয় পেয়ে হাত ছেড়ে দেয়, জিয়া ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে উঠে ___

“- আদ্রিয়ান এতো তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে কি করবে তুমি? চলো না একটু ছাদে আড্ডা দেয়, একান্তে কিছু মুহূর্ত কাটায় __.
আদ্রিয়ান যানত জিয়া বেহায়া, ও শত ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করার পর ও নির্লজ্জ থেকে যাবে। আদ্রিয়ান রাগী কণ্ঠে বলে উঠে __
“- জিয়া তুমি আমার প্রেমিকা বা বউ নয়, যে তোমার সাথে আমার একান্তে সময় কাটাতে হবে। কাল তোমার গালে সাতটা থাপ্পড় দিয়ে, কোনো ভুল করে নি আমি।তুমি সারাজীবন নির্লজ্জা আর বেহায়ায় থেকো যাবে। ইডিয়েট __.
আদ্রিয়ান কথাটা বলে বড় বড় পা ফেলে, ছাদ থেকে নিচে চলে যায়। কিন্তু আদ্রিয়ানের এমন অপমানজনক কথা শুনে, জিয়া রাগে ফুসতে থাকে। তার সাথে একটু সময় কাটাতে আদ্রিয়ান নিষেধ করে দিলো, কিন্তু এতোখন মেঘের সাথে ঠিকই ছাদে বসে ছিল। মেঘের হাত ধরে রেখেছিল, আর সে একটু হাত ধরেছে সে কতো কথা শুনালো। জিয়া প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে বলে উঠে __

“- আদ্রিয়ান রেদোয়ান তুমি আমার। তোমার স্পর্শ করার, হাত ধরার, কিস করার অধিকার শুধু মাএ আমার আছে। শুধু মাএ আমার, ইউ আর অনলি মাই __.
‎মেঘ তার রুমে প্রবেশ করে, শব্দ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে, কিছুটা নিজেকে ধাতস্থ করে। মেঘ নিজের মনকে শক্ত করে, এরপর প্রতিবাদী কণ্ঠে বলে উঠে __
“- মেঘ তুই নিজেকে শান্ত কর, জিয়া আদ্রিয়ান স্যারের প্রেমিকা হয়। ওনি ভালোবাসে জিয়াকে। তুই এতে কেনো কষ্ট পাবি? কে হয় তোর আদ্রিয়ান রেদোয়ান? কেউ হয় না। ওনার সাথে তোর তালাক হয়ে গেছে। ওকে কাম ডাউন মেঘ, কাম ডাউন __.

মেঘ নিজেকে শান্ত করে, এরপর সে ওয়াশরুমে চলে যায়। সেখান থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে, বিছানায় শুয়ে পড়ে। সারাদিনের ক্লান্তিতে তার, চোখ ঘুম চলে আসে। সে আর আদ্রিয়ান রেদোয়ান, কথা ভাবে না। তার নিজের কেরিয়ার আর, তার বাবার সপ্ন ও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

[ রাত প্রায় ১২ : ০০ ]
মেঘ তার রুমে ঘুমিয়ে আছে, তখনই হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনা যায়। মেঘের চোখ ঘুমে কাতর হয়ে গেছে, তার শরীর ভীষণ টার্য়াড। তবে দরজার শব্দ যখন বেশি হয়, তখন মেঘ ঘুম থেকে উঠে পড়ে। বিছানা থেকে নেমে যায়, দরজার কাছে। এতো রাতে তার রুমের দরজায় কে এসেছে? কোনো বিপদ হয়েছে কি? মেঘ দরজার লক খুলে দেয়।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানুষের ছায়া দেখা যাচ্ছে। মেঘ কিছুটা কৌতূহল আর ভয় নিয়ে, আগন্তুক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে __

“- কে আপনি? এতো রাতে হঠাৎ আমার দরজায় কড়া নক করছেন কেনো?
মেঘের কথা শুনে, সামনে থাকা লোকটা এগিয়ে আসে তার কাছে। জানালার মৃদু আলোয় তার মুখশ্রী, স্পষ্ট হয়ে উঠে। তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ান বলে __
“- মেঘ আমি আদ্রিয়ান __.
রাত প্রায় বারোটার সময়, আদ্রিয়ান তার রুমে কেনো আসবে? মেঘ বলে __
“- আদ্রিয়ান স্যার আপনি এতো রাতে এখানে? কেনো এসেছেন? কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
আদ্রিয়ান এগিয়ে যায়, মেঘের কাছে। এরপর মেঘের হাত ধরে, তার কবজির কাছের লাল হয়ে যাওয়া স্থানের দিকে ইশারা করে বলে উঠে __
_ “- পোড়া জায়গায় এখনো, ঔষধ বা মলম লাগা ও নি কেনো?
মেঘের তার হাতের কথা মনে পড়ে, ছাদে জিয়া আর আদ্রিয়ানকে একসাথে দেখার পর সে ব্যাথার কথা ভুলে গিয়েছিল। যে ব্যাথা বা যন্ত্রণা, তার হৃদয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে। তার কাছে এই সামান্য পোড়া তুচ্ছ। মেঘ বলে __

“- ঔষধ লাগানোর কথা মনে ছিল না। কিন্তু আপনি এতো রাতে কি আমার রুমে, এই কথা জিজ্ঞেস করতে এসেছেন?
“- তোমার হাতে ব্যাথাটা, আমার জন্য লেগেছে। তাই এর চিকিৎসা করার দায়িত্ব ও আমার। এখন হাত দাও, ওষুধ লাগিয়ে দিব __.
মেঘ আদ্রিয়ানের কথা শুনে হাসে। মেঘের অন্তর জুড়ে, যে অসহ্য ব্যাথার সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় ও তো আদ্রিয়ানের। তার মনের যন্ত্রণার চিকিৎসা কি আদ্রিয়ানের কাছে আছে? সেই ব্যাথায় মলম বা ঔষধ কি সে লাগিয়ে দিবে? শুধু কি শরীরের ব্যাথায়, মানুষের চোখের সামনে দৃশ্যমান হয়? মেঘ বলে উঠে __
“- স্যার আপনি ওষুধ দেন আমায়। আমি লাগিয়ে নিব __.

আদ্রিয়ান মেঘের কথা শুনে না, কারণ সে যানে মেঘ হয়ত এইবার ও তার হাতে মলম লাগাবে না। আদ্রিয়ান মেঘের হাত ধরে, তাকে রুমের ভিতরে নিয়ে আসে৷ বাড়ির সকলে এখন ঘুমিয়ে রয়েছে, তাই কেউ তাদের দেখতে পায় না। মেঘ শুধু তার হাতের উপর, রাখা আদ্রিয়ানের হাত দেখে যাচ্ছে। তার দৃষ্টি সেখানে সীমাবদ্ধ। আদ্রিয়ান মেঘকে বিছানায় নিয়ে আসে, সেখানে বেডের উপর বসায়। মেঘ কিছু বলে না, না বা হ্যা কোনো শব্দ উচ্চারণ করে না। শুধু চুপচাপ নিলুপ্ত হয়ে বসে থাকে।

আদ্রিয়ান তার হাতে থাকা মলম, মেঘের কবজির কাছে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে দেয়। মেঘের ব্যাথা করছে, কি না তা দেখতে তার মুখের দিকে তাকায়। কিন্তু মেঘ নীরব, সে তার মুখের চাহনি শান্ত রাখে। আদ্রিয়ান পরম যত্নে, মেঘের হাতে মলম লাগিয়ে দেয়। মেঘ মনে মনে বলে উঠে __

তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৪

“- আদ্রিয়ান রোদোয়ান কি হয়ে যেতো, যদি আপনি পৃথিবীর সকল নিয়ম অমান্য করে আমার হয়ে যেতেন। এই হাত দায়িত্বের কারণে না, বরং ভালোবেসে ধরতেন। সত্যি কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেতো আপনার আমাকে ভালোবাসলে? একবার শুধু একবার, ভালোবেসে দেখতেন এই মেঘ, সারাজীবন আপনার হয়ে থাকত। মৃত্যুর আগ অবধি আপনার, বুকে মাথা রেখে মরত। সত্যি কি একটু ভালোবাসা যেতো না আমাকে?
মেঘ আর আনমনে বলে কথাটা, আদ্রিয়ান তা শুনল না। সে এখন শুধু মেঘের হাতে মলম লাগাতে ব্যস্ত। মেঘ আদ্রিয়ানের উপর থেকে চোখ সরিয়ে নেয়, কোনো মিথ্যা মায়ায় সে আর জড়াবে না। কখনো না অসম্ভব।

তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১৫ (২)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here